| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
আহমেদ জী এস
	পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
 
“রাতের গর্ভে শুয়ে থাকা দিনের পিতা”
 
অজ্ঞানতার কুলীন চাদরখানা টেনে নিলীমা ঘুমায় । রাতের গর্ভ ছিঁড়ে দিনের আলো শুদ্ধতম রোশনাইয়ের পিদীমখানা জ্বেলে দিলেও নিলীমা অন্ধকারের চাদরখানা জড়িয়ে রাখে মনের শরীরে । আড়মোড়া ভাঙেনা, ওম দিয়ে পড়ে থাকে । মনের নাবুঝ ডিমখানা তার আধখেঁচরা ওমে ভেতরে ভেতরে এক একটা ক্লেদাক্ত ভ্রুনের জন্ম দিতে থাকে । এক থেকে দুই, দুই থেকে চার, চার থেকে ........ । 
সে বীজভ্রুন ছড়িয়ে যায় সবখানে , নিলীমার যতো আকাশ আর পাতাল আছে তার সবখানে । সে বীজ থেকে আপাতঃ উজ্জ্বল সোনার বরণ স্বর্ণলতার কচি  তনুখানি ডানা মেলে দিলেও সে ডানায় আছর করে থাকে পৌরানিক নির্বুদ্ধিতার বিষ । কলুষিত জ্ঞানের পঁচাগলা গন্ধম রস । অবুঝ নিলীমা আবেশে জড়ায় তাকে । তার দেহকোষের প্রানভোমরা যে তাতে শ্বাসরূদ্ধ হয়ে ওঠে নিলীমা বোঝেনা তা । 
দু’কলম পাশ দিয়েই নিলীমা ভাবে , যা কিছু ছিলো জানার তা হয়েছে শেষ । এখন স্তবের গান শোনাই তার শেষ পারানীর কড়ি ।  উৎরে যাবে সে স্বর্গের কৈবল্যধাম । স্বর্ণলতার সে মোহময় জালে আটকে যায় নিলীমার মনের চৌহদ্দি ।   ফুল ফল বিহীন সে লতা অজগরী পাঁকে ফেলে গিলে খায় তাকে । নিলীমা আচ্ছন্ন হয়ে থাকে তার বুদ্ধির ঘরে ঝোলানো রং-তামাশার নামাবলীর বদখত কারূকাজে। সে নামাবলী জনে জনে ডেকে ডেকে দেখায় নিলীমা। দেখনেওয়ালারা বুঁদ হয়ে দেখে যায় সে নামাবলীর গায়ের নকশা কাটা  ঘুলঘুলির অন্ধকার । সে দেখায় অন্ধকারের গর্ভে শুয়ে থাকা দিনের পিতার আদল দৃশ্যমান হয়না ! তাদের জ্ঞানের চোখে লাগানো ঠুলির আস্তরণ পেড়িয়ে সূর্য্যের আলো ঢোকেনা কোথাও, পড়ে থাকে অন্ধকার ।  
বাইরের পৃথিবীতে সহোদরা রাতের গর্ভে শুয়ে থাকা দিনের পিতা যখন ধীরে ধীরে আড়মোড়া ভাঙে , নিলীমার  খোয়াব দেখা চোখে তার রোশনাই ধরা পড়েনা । পিতার পৌরুষে যে সপ্তসমুদ্র মন্থনের বীর্য্য অমরতা ছড়ায়  ধরা পড়েনা তা । ধরা পড়েনা তার উর্দ্বারোহনের বাসনায় সে যে তার নিজের পতনকেই  কামনা করে চলেছে নিয়ত, তা-ও । জরাতুরা বসুন্ধরার মতো  নিলীমার বুদ্ধির ভাড়ার ঘরে অস্তরাগে লীয়মান আলোর অঞ্চল সীমিত হয়ে এলে অজড়, অমর কম্পমান পত্রাবলীর সংগীত শোনা হয়না তার ...................... 
 
  [ এরপর থেকে  আমার নতুন লেখা দেখার আমন্ত্রন রইলো  আমার নতুন ব্লগ পোস্টএ এখানে
 অতল জলের আহ্বান] 
 
০৮ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদুর রহমান ,
ব্লগের এই ব্লগার সংখ্যাল্পতার সময়েও আপনার প্রথম মন্তব্যটি আমারও মন ছুঁয়ে গেলো।
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন! 
২| 
০৮ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:৫২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অতল জলের আহ্বানে সাড়া দিলাম, চা পানির ব্যবস্থা রাইখেন  ![]()
 
০৮ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৯:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন,
বড় দুঃসময়ে এমন অতল জলের একটি  আহ্বান জানাতে হলো! 
নিজের লেখালেখির একটি জায়গা হারিয়ে যাওয়ার আশংকায় এছাড়া আর উপায় ছিলোনা।
সাড়া দেয়ার জন্যে একরাশ ধন্যবাদ। 
পানি তো আছেই, চা-টার ব্যবস্থা হয়ে যাবে.... 
 
শুভেচ্ছান্তে ।
৩| 
০৮ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:৫৩
হাবিব বলেছেন: খুব ভালো লাগলো অতল জলের আহবান।
 
০৮ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৯:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাবিব স্যার, 
লেখালেখির  জায়গা থেকে একেবারেই যেন হারিয়ে না যাই তাই এমন আহ্বান।
ব্লগার পাঠক সংখ্যাল্পতার কালেও এই যে মন্তব্যটি করেছেন তাতেই অনেক পাওয়া হলো। 
শুভেচ্ছা জানবেন।
৪| 
০৮ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৯:১১
আরোহী আশা বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প। লেখাটা সুখপাঠ্য
 
০৮ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৯:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরোহী আশা,
লেখাটি ঠিক গল্প নয় বরং মুক্তগদ্য। জ্ঞান আর অজ্ঞানতার কথা বলা হয়েছে এই মুক্তগদ্যে। বলেছি, জ্ঞানের চোখে ঠুলি পড়িয়ে এক অন্ধকার ঘেরাটোপে বাস করা মানুষের কথা।  
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
৫| 
০৮ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: দুর্দিনে ভালো পোষ্ট দিয়েছেন।
 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
দুর্দিনে এলান করে দিয়েছি, সামু বেঁচে থাকবে সকল "সামুরাইটস"দের ঘরে ঘরে। 
ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলার আহ্বানের মতো আমারও আহ্বান এটাই !
৬| 
০৮ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ১০:০৩
ল বলেছেন: দুঃসময়ে অতল জলের আহ্বানে আমিও সাড়া দিলাম ------
 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ল ,
জ্বী, ধন্যবাদ অতল জলের আহ্বানে সাড়া দেয়ার জন্যে। 
এই দুঃসময়ে খানিকটা শান্তির পরশ!
৭| 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ১২:১৯
নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো লেখা ।++ 
স্যর ,আপনার নতুন লেখার বসতখানা দেখে আসলাম আর একই সাথে বুদ্ধি ধার করলাম ।নিজেও ওরকম একটা আস্তানা খোলার চেষ্টা করবো ।  ঋণ শোধ দিতে পারবো না যদিও ।  
শুভকামনা রইলো
 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি,
লেখাটি সুন্দর লাগায়, ভালোলাগা।
হুম, মনে হয় সকলেরই একটা আস্তানা গড়ে তোলা উচিৎ যাতে বিশাল সৌধ ভেঙে গেলেও সবক'টি আস্তানা মিলে সৌধের আবেশ যেন ছড়িয়ে দিতে পারে বিশ্বময়।  
খুলে ফেলুন তেমন একটি ঘর। আমরা সকল সামু-ব্লগাররা যেন সেখানে বিশ্রাম নিতে পারি সময়ে, অসময়ে....
৮| 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ১২:৪০
প্রামানিক বলেছেন: গুরু, নতুন ওয়েব সাইট খুলেছেন নাকি?
 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক, 
ওয়েব সাইট নয়, "ব্লগপোস্ট ডট কম" এ একটি একাউন্ট খুলেছি। আমার সকল সহোদর ব্লগাররা যারা যারা ব্লকড হয়ে আছেন , সামুতে আসতে পারছেন না তাদের কথা মাথায় রেখেই blogspot.comটিতে একটি দেয়াল গড়ে তুলেছি।  সামুতে আমার যা প্রকাশিত হবে তা ওখানেও দেখা যাবে যাতে সামুর অভাবটা কিছুটা হলেও কমে আসে!   
সামু বন্ধ হয়ে গেলেও ( শত্রুর মুখে ছাই পড়ুক ) যেন সামু মরে না যায় তাই আমরা সবাই মিলে তাকে এমনি করে বাঁচিয়ে রাখতে চাই অন্য এক ভূবনে যেখানে কারো কালোহাতের ছায়া নেই। 
সময়ে, অসময়ে  ঘুরে আসতে পারেন আমার ঘর থেকে। সামুর দুধের স্বাদ না হয় আমার ঘরের ঘোলে মেটালেন!
৯| 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  সকাল ৯:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত উপস্থিতি জানান দিলাম। পোস্ট পড়ে সুযোগ বা সময় হলে আবার আসবো ।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন ।
 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৯:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
ভালো লাগলো অনেক অসময়ে আপনার উপস্থিতি।
১০| 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  সকাল ৯:২৩
রুদ্র আতিক বলেছেন: নিস্তল নীরের নিমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করলাম । নতুন বসতখানা হোক সমৃদ্ধ পারাবার ! শুভ কামনা !
 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৯:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: রুদ্র আতিক,
কষ্ট করে ঘুরপথে এখানে ঢুকতে হয়েছে। আপনিও ঘুরপথে "অতল জলের আহ্বান" গ্রহন করেছেন জেনে ভালো লাগলো।
সাথেই থাকুন । শুভকামনা রইলো আপনার জন্যেও।
১১| 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  সকাল ১০:৪৭
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: মস্ত বড়ো একটা কবিতা উপহার দিয়েছেন শ্রদ্ধেয় প্রিয়, এত গভীর কথামালা বুঝে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে আমার অবুঝ মনটা। গভীর থেকে গভীরে চলে গেছে কবিতার মর্ম ভেদ। 
ভালো লাগলো সুপ্রিয়, অসাধারণ কথামালা। 
শুভকামনা আপনার জন্য, অভিনন্দন 'অতল জলের আহ্বান'-কে।
 
১০ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: অতৃপ্তচোখ,
ধন্যবাদ, এই খরার দিনে মন্তব্য করাতে।
তবে এটা কবিতা নয়, মুক্তগদ্য। কবিতার মতো দুলিয়ে যাওয়া গদ্য। জ্ঞান আর অজ্ঞানতার কথা বলা হয়েছে এই মুক্তগদ্যে। বলেছি, জ্ঞানের চোখে ঠুলি পড়িয়ে এক অন্ধকার ঘেরাটোপে বাস করা মানুষের কথা। 
'অতল জলের আহ্বান' এ সাড়া দেয়াতে কৃতজ্ঞ। 
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন। শুভেচ্ছান্তে।
১২| 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  সকাল ১১:২৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অসাধারণ কথামালা, ভাবগাম্ভীর্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। কাব্য রসে মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
আপনার ব্লগস্পটের জন্য শুভকামনা রইল।
 
১০ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন,
ব্লগের এই পাঠক স্বল্পতার কালে আপনার মন্তব্যটি সত্যিই আশা জাগানিয়া। ধন্যবাদ।
আমার নতুন ব্লগপোস্ট "অতল জলের আহ্বান"য়ে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। এভাবেই সাথে থাকুন।
শুভেচ্ছান্তে। 
১৩| 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  সকাল ১১:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: অতৃপ্তচোখ বলেছেন: মস্ত বড়ো একটা কবিতা উপহার দিয়েছেন শ্রদ্ধেয় প্রিয়, - এটা কিভাবে সম্ভব? এটাকে কিভাবে উনি কবিতা বলল? ব্লগে আসলেই দু:সময় চলছে..........
  
আপনার প্রতি আমার সুতীব্র ক্ষোভ জমছে। blogspot.com এ চলে যাবেন নাকি আপনি? ইচ্ছা করলে তো আমরা সবাই চলে যেতে পারি। কেন যাচ্ছি না?? ব্লগের প্রতি কি আমাদের কোনই কমিটমেন্ট নেই? কিছুই কি দেয়নি আমাদের এই সামু ব্লগ? এর এই চরম দু:সময়ে আমার সবাই কি একে ফেলে রেখে একে একে চলে যাব? আপনার লেখা আমার অনুসারিত ব্লগ থাকে। আমি এই ব্লগে মাত্র ৪ জনকে অনুসরন করি তার মধ্যে আপনি হচ্ছেন প্রথম। আপনার এই সিদ্ধান্ত আমার ব্লগীয় মনে কুঠারাঘাত করেছে........   
 
কালকে এসে পড়ে গিয়ে ছিলাম।  আপনার লেখা বেশ কয়েকবার না পড়লে কখনোই পুরোপুরি থীম বুঝা যায় না। নীলিমা তার বাবার পৌরুষ এতই বার বার খুব সস্তা দামে কিংবা প্রায় বিনা মূল্যে বেঁচে দিয়েছে শুধুই নিজের স্বার্থের প্রয়োজনে। এখন এটার কোনই দামই নেই বা এর কোন এখন ধারও নেই!!  বাইরের পৃথিবীতে দেখনেওয়ালারা এখন বড়ই শিক্ষিত আর সমঝদার। সেখানে সবাই আকাশ পাতাল আর দিন রাত্রীর পার্থক্য সবাই খুব ভালো করেই বুঝে..........। আর সেজন্যই নীলিমার নিস্তর এই কালোয় কলুসিত অন্ধকারে বাইরের পৃথিবীরে কোন সুসংগীতই আজ প্রবেশ করে না..............
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!      
 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ ,
আপনার মন্তব্যের গুরুত্ব বুঝে সকল নিয়ম ভেঙে সবাইকে ডিঙিয়ে আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে হচ্ছে।
না আমি কোথাও যাচ্ছিনে। কারন "সামু" ই আমার লেখার প্রথম শ্লেটখানি। আমার সকল সহোদর ব্লগাররা যারা যারা ব্লকড হয়ে আছেন , সামুতে আসতে পারছেন না তাদের কথা মাথায় রেখেই blogspot.comটিতে একটি দেয়াল গড়ে তুলেছি। আমার যে কোনও আনকোরা নতুন লেখা প্রথমেই সামুতে প্রকাশিত হবে। এবং পরে সামু থেকে নিয়ে আমি blogspot.com এ আমার ব্লগটির দেয়ালে সেঁটে দেবো চিন্তা করেই এই ব্লগ পোস্টটি খুলেছি। 
সামু বন্ধ হয়ে গেলেও ( শত্রুর মুখে ছাই পড়ুক ) যেন সামু মরে না যায় তাই আমরা সবাই মিলে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই অন্য এক ভূবনে যেখানে কারো কালোহাতের ছায়া নেই। 
আশা করি ভুল বুঝবেন না। আপাততঃ এইটুকু..............
১৪| 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  দুপুর ১:২৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক চমৎকার প্রকাশ। শুভংকরেরা ফাকি দিলেও সুন্দর সদায় সুন্দর। সময় আমাদের বিকাশ আটকে দিতে পারে না। দেখা হবে প্রতিনিয়ত প্রত্যাশা বরাবরের মতোই।
 
১০ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ১০:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন ,
সময় আমাদের  বিকাশ আটকে দিতে পারে না হয়তো কিন্তু অজ্ঞতার মায়াজাল সময়কে পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারে! 
হুমমমমমম, প্রতিনিয়ত দেখা হবে এইখানেই , দেখিবার ইচ্ছা যদি হয়..........
১৫| 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৩২
সাহসী সন্তান বলেছেন: মুক্তগদ্য লেখার ব্যাপারে আপনি যে ওস্তাদ মানুষ সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না! তবে আজকের শিরোনামটা স্পেশালী অনেক সুন্দর হইছে! A beautiful name is greater than a lot of wealth... 
 
আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি অবলোকন আসলাম। অনেক সুন্দর হইছে! এই ধরনের সম্পত্তি আমারও একটা আছে! "প্রতিধ্বনি" নামে। ২০১৬ সালের দিকে তৈরি করছিলাম, ব্লগ পোস্টের ব্যাকআপ রাখার জন্য! কিন্তু আলসেমী আর সময়ের অভাব সেটা সামান্য কয়েকটা পোস্ট ব্যাতিত পুরোটা রাখা সম্ভব হয়নি! 
 
আপনার পোস্টে ভালোলাগা! শুভ কামনা জানবেন!
 
১১ ই মার্চ, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান,
অনেকদিন পরে আপনার দেখা মিললো! 
আলসেমী করবেন না,  "প্রতিধ্বনি" প্রতিধ্বনিত হোক বারেবারে। এভাবে আমরা ব্লগাররা যদি প্রত্যেকেই একটি করে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানাই তবে সে সব সম্পত্তি মিলিয়ে মনে হবে আমরা  "সামু"তেই আছি।
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। 
শুভেচ্ছান্তে।
১৬| 
০৯ ই মার্চ, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: 
টিমটিমে জ্বলে কেরোসিন বাতি
আঁধার বাড়ায় আরো
তবু দু:সহ ঘুটঘুটে আঁধারে
তাই যেন দিশা প্রাণের!
আঁধার যত ঘন হয়
ভোরের আভাস তত নিকটে
আপাত ভরসা ক্ষীন হয়ে যায়
ঘড়ির কাটা যেন ঘোরে উল্টে!
রাতের গর্ভে শুয়ে থাকা
সোনালী ভোরের স্বপ্নে
হামাগুড়ি পথচলা আর 
ফিসফিসিয়ে আশ্বাসের কথা বলা।।
 
১১ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
সুন্দর বলেছেন কবিতায় । 
অজ্ঞানতার চাদর দিয়ে মনের যে আকাশ ঢেকে রাখা হয় তা ভেদ করে ভোরের জ্ঞান-আলো চোখে ধরা পড়েনা। মানুষের অজ্ঞানতা যে খোয়াব দেখায় , সে খোয়াব থেকে তার বেরুনোর পথ সে নিজেই রূদ্ধ করে রাখে। কারন তার চোখ অন্ধকারেই থাকে ঢাকা, টিমটিমে আলোও সে অন্ধকার সরাতে অক্ষম। 
সে চোখে সকাল হয়না কখনও। 
১৭| 
১১ ই মার্চ, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৩৩
জুন বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন, এইসব নীলিমারা অজ্ঞানতার লেপ মুড়ি দিয়েই তাদের জীবনকে পার করে দিতে চায় । দারুন মুন্সীয়ানার সাথে জ্ঞ্যান আর অজ্ঞানের তুলনা করেছেন আহমেদ জী এস ।  ভালোলাগলো আপনার লেখাটি আমাদের প্রিয় সামুর এই দুর্দিনে । আমরা যেন প্রিয় ব্লগের এই মঞ্চ থেকে সবার সাথে ভাবের আদান প্রদানে যত হিংসা বিদ্বেস কুসংস্কার আর নোংরামীকে দূর করে দিয়ে জ্ঞ্যানের আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করে তুলতে পারি সেই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা ।
+
 
১১ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
চমৎকার বলেছেন।
অনেক মানুষ আছেন যারা অজ্ঞানতার লেপ মুড়ি দিয়েই তাদের জীবনকে পার করে দিতে চান। তাদের লেপ ফুঁড়ে আলোর সামান্যতম ঝলকানি আসতে দিতেও নারাজ তারা। ভাবেন, তার জানার শেষ হয়ে গেছে আর কিছু নেই বাকী। তাদের লেপ ফুঁড়ে আলো আসেনা বলেই তার বোধবুদ্ধির অন্ধকারত্ব বোঝাতে আমি লিখেছি -
নিলীমা আচ্ছন্ন হয়ে থাকে তার বুদ্ধির ঘরে ঝোলানো রং-তামাশার নামাবলীর বদখত কারূকাজে। সে নামাবলী জনে জনে ডেকে ডেকে দেখায় নিলীমা। দেখনেওয়ালারা বুঁদ হয়ে দেখে যায় সে নামাবলীর গায়ের নকশা কাটা ঘুলঘুলির অন্ধকার । সে দেখায় অন্ধকারের গর্ভে শুয়ে থাকা দিনের পিতার আদল দৃশ্যমান হয়না ! তাদের জ্ঞানের চোখে লাগানো ঠুলির আস্তরণ পেড়িয়ে সূর্য্যের আলো ঢোকেনা কোথাও, পড়ে থাকে অন্ধকার । 
১৮| 
১১ ই মার্চ, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৪৬
নজসু বলেছেন: 
আপনার লেখা পড়লেই আমি যেন ভাব সাগরে ডুবে যাই।
 
১৪ ই মার্চ, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: নজসু,
ভাবের সাগরে ডুব দেয়ানোটাই তো মুক্তগদ্যের কাজ। শব্দ জোড়া লেগে লেগে যে বাক্য, তার অন্তর্নিহিত অর্থ কিন্তু না শব্দে না বাক্যে থাকে। থাকে ভাবের ঘরে। ওটা তেমন পাঠককেই ভাব সাগরে নিয়ে যায়! 
মন্তব্যে লাইক +++
১৯| 
১২ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:৪৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।
 
১৪ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ ,
ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলুম।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
২০| 
১৪ ই মার্চ, ২০১৯  সকাল ৯:০৪
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড... যা লিখলেন তা হাজার বছর সাধনা করলেও আমার পক্ষে এর এক লাইন ও লিখা সম্ভব নয়। একেই বলে জাত লেখক। আপনি যদি বই বের না করেন তাহলে খুবই অন্যায় হবে পাঠকদের সাথে আর সে অন্যায় আপনার করা কোনভাবেই উচিত নয় বলেই আমি মনে করি  
  
 
আরে ব্লগস্পট এর কথা মাথায়ই আসেনি। এটা কিন্তু দারুন একটা ব্যাপার। নিজের লিখা সংগ্রহ অবশ্যই দরকার। যদি ও আমি মনে করি সামহোয়ার তার নিজ গুনেই বেচেঁ থাকবে যুগের পর যুগ।
 আহবানে সাড়া না দেবার কোন কারন দেখি না......... জী ভাই বলে কথা।
 
১৫ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ১২:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
আপনার এমন মন্তব্যখানি হাযার বছর ধরে সাধনা করেও মনে হয় ভুলবোনা।
বই বের করার কথা কখনও ভাবিনি।  ছাপার অক্ষরের বই নিরন্তর নিঃশ্চুপ। সে নিঃশ্চুপতা হয়তো পাঠক হৃদয়ে লালন করেন, মুখ ফুটে বলার রাস্তাটি জনবিরল হয়েই থাকে। 
এই ব্লগের পরতে পরতে আপনারা মিশে আছেন, ধরে নিন এখানের লেখাগুলোই আমার বই। আপনাদের প্রতিক্রিয়া এখানে অনায়াস লভ্য। আমার লেখার সাথে সাথে আপনারা নিজের মতো করে কথা বলে যান।   সে  কথারা আমাকে দোলায়, আমাকে ভাসায়ও!
আর অতল জলের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
ব্লগ স্পটের কথায় নিজেরও একখানা স্পট থাকার কথা অনুভব করছেন দেখে মান্না দে'র একটা গান মনে পড়লো ---
ও কোকিলা তোরে শুধাই রে,
সবা্রই তো ঘর রয়েছে
কেনরে তোর বাসা কোথাও নাইরে।
বনে বনে দেখিস যখন  
পরের বাসা ও পাখি
একটি বারও পরানটা তোর 
উদাস হয় যায়না কি!
কখনও কি মন বলেনা 
এমন একটি বাসা আমার চাই রে,
ও কোকিলা তোরে শুধাই রে................ 
ভালো থাকুন সাথেই থাকুন। 
  
২১| 
১৪ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৯:১৮
করুণাধারা বলেছেন: শব্দের কারিগরের চমৎকার কারিকুরি!!! মুগ্ধ- পঠন...
ব্লগস্পট ঘুরে এলাম; আশা করি সামুতেও নিয়মিত থাকবেন।
 
১৫ ই মার্চ, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
মন্তব্যে প্রীত। 
সামুতে তো আছিই, নিয়মিতই আছি। আপনাদের মতো সামু যে আমারও ঘর-গেরস্থালী! তাকে ছেঁড়ে আবার যাবো কই? এমন দুঃসাহস আমার যেন না হয়!
আমার ব্লগস্পটে মাঝে মাঝে হানা দিলে ভালো লাগবে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
২২| 
২০ শে মার্চ, ২০১৯  দুপুর ২:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন: নীলিমার মত আমিও, দু'বার পড়ে ভাবি যা পড়ার ছিল পরা শেষ বুঝে ফেলেছি মুক্তগদ্য ! 
খুব সুন্দর ও দুর্দান্ত একটি লেখা পড়ালাম।
 
২০ শে মার্চ, ২০১৯  রাত ১০:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক,
হা.....হা.......ভালো বলেছেন, নিলীমার মতো দু'বার পড়েই ভেবেছেন যা পড়ার ছিল পরা শেষ! 
লেখাটি মুচড়ে করা মন্তব্যটিও দুর্দান্ত লাগলো।
২৩| 
৩০ শে মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ কাব্যকথা! শেষের অনুচ্ছেদটি কয়েকবার পড়লাম। যতই পড়ি, ততই ভাল লাগে।
৫ ও ১৮ নং প্রতিমন্তব্যদুটো খুব ভাল লেগেছে। 
 
৩১ শে মার্চ, ২০১৯  রাত ১০:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
অজ্ঞানতার চাদর গায়ে দিয়ে যারা যারা উর্দ্ধারোহনে যেতে চান তারা যে আসলেই নিজের পতনকে ঘনিয়ে নিয়ে আসেন, তা বোঝার বুদ্ধিটুকুও যে তাদের হয়না সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। জ্ঞান আর অজ্ঞানতার কথা বলতে চেয়েছি। 
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য, যেমন মন্তব্য আপনি সব সময় করে থাকেন জ্ঞানের উঠোনে দাঁড়িয়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৯  রাত ৮:৫১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল।
বেশ সাজানো গোছানো লিখা।এমন লিখা আরও চাই।