নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
সম্প্রতি বাংলাদেশ হাইকোর্ট রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা করতে বলেছেন, কেন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয় বেআইনি বা অবৈধ ঘোষনা করা হবেনা।
কঠিন কঠিন রোগের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে এ নিষেধাজ্ঞাটি অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। হাইকোর্টকে এ জন্যে ধন্যবাদ দেয়া যেতেই পারে। কারন বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান “এন্টিবায়োটিক রেসিষ্ট্যান্স” বা এন্টিবায়োটিক নামের ঔষধগুলির অকেজো হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশান থেকে শুরু করে ইউনিসেফ পর্যন্ত আতঙ্ক প্রকাশ করে সাবধানবাণী দিয়েছেন এই বলে, “The world is running out of antibiotics...”। তারা বলছেন, অনুজীব ধংসকারী( এন্টিমাইক্রোবিয়ালস) ঔষধের যথেচ্ছ আর অপব্যবহারের কারনে যক্ষা, নিউমোনিয়া সহ মূত্রতন্ত্রের রোগ, খাদ্যের বিষক্রিয়া, যৌনরোগ, পানি ও খাদ্যবাহিত রোগ, হাসপাতাল থেকে সংক্রমিত রোগ ইত্যাদি জীবন সংহারী রোগগুলোর বিরূদ্ধে মানুষের হাতের অস্ত্র মানে এন্টিমাইক্রোবিয়ালসগুলো দিনে দিনে ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। যে হারে অনুজীবগুলি বিশেষ করে ব্যাকটেরীয়া মানুষের তৈরী অস্ত্রগুলোর বিরূদ্ধে প্রতিরোধ ( রেসিষ্ট্যান্স) গড়ে তুলতে লেগেছে তাতে অচিরেই মানুষের অস্ত্রভান্ডারে টান ধরবে। টান ধরবে না-ই বা কেন? নতুন নতুন ঔষধ আবিষ্কারে গবেষণার কাজে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচের কথা না হয় বাদই দিলুম কিন্তু এক একটি নতুন এন্টিমাইক্রোবিয়াল তথা এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারে যে বছরের পর বছর লেগে যাচ্ছে, তা অতিক্রম করবে মানুষ কিভাবে ?
“বাঁচতে হলে লড়তে হবে” এই সূত্র ধরে ক্ষুদে ক্ষুদে অনুজীবগুলোই এখন মানুষকে প্রতি নিয়ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। মানুষ পড়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য হুমকির মুখে। যে হারে অনুজীবগুলো তাদের বিরূদ্ধে ব্যবহৃত ঔষধগুলোর প্রতি রেসিষ্ট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে ততো দ্রুত কিন্তু মানুষ নতুন নতুন ঔষধ নামক অস্ত্র সরবরাহ করতে ব্যর্থ। অনুজীবগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষ “সময়” নামের ফ্যাক্টরটিকে কব্জা করতে পারছেনা কিছুতেই। তাই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশান, ইউনিসেফ চিকিৎসক সমাজের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তারা যেন অযথা ও যথেচ্ছভাবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করেন এবং সর্বশেষ আবিষ্কৃত এন্টিবায়োটিকগুলির প্রয়োগে সতর্ক থাকেন। কারন যথেচ্ছ ব্যবহারে হাতের এই পাঁচও যদি অকেজো হয়ে যায় তবে আগামী দিনগুলোতে কঠিন কঠিন রোগগুলো থেকে মানুষকে আর বাঁচিয়ে আনা সম্ভব হবেনা। চিকিৎসা খরচ বৃদ্ধি সহ বাড়বে হাসপাতালে শুয়ে শুয়ে ভালো হওয়ার অপেক্ষায় গোনা দিন, বাড়বে মৃত্যুহার।
মানুষ, পশু আর কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকগুলো প্রাকৃতিক ভাবেই রেসিষ্ট্যান্ট হয়ে ওঠে বটে কিন্তু এন্টিবায়োটিকগুলোর যত্রতত্র -অযথা -অপর্যাপ্ত -অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এই রেসিষ্ট্যান্ট হয়ে ওঠার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে শতগুন।
এর প্রমান তো আমরা পেয়েছি অতি সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদে যে, দেশের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলিতে (আই-সি-ইউ) ৮০% মৃত্যই হয়ে থাকে ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকগুলো অতিমাত্রায় রেসিষ্ট্যান্ট হয়ে যাওয়ার কারনে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির (BSMMU) ফার্মাকোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন এই তথ্যটি।
যে দেশের এক তৃতীয়াংশ রোগীই যেখানে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এন্টিবায়োটিক খেয়ে থাকেন. যে দেশের মানুষ শারীরিক কিছু অস্বস্তি বোধ করলেই নিজে নিজেই এন্টিবায়োটিক কিনে এনে ব্যবহার করেন, সে দেশে এমনটি যে হবে তা জানা কথা-ই! তাই হাইকোর্ট সচেতন হয়েই প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। সাধু!
কিন্তু দেশীয় প্রেক্ষাপটে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কতোটা যৌক্তিক? এর দ্বারা কতোটুকু বা অর্জন করা সম্ভব হবে? এখনও এদেশে ১৮৪৭ জনের জন্যে রয়েছেন মাত্র ১জন চিকিৎসক (বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক রেজিষ্ট্রিকৃত)। আর সরকারী চিকিৎসক রয়েছেন ৬৫৭৯ জনের জন্যে সর্বসাকুল্যে ১জন। হিসেবটি ২০১৮সালের।এখন হয়তো এই অবস্থার কিছু উন্নতি হয়েছে যেহেতু বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যখাতে প্রচন্ড মনযোগী, আমরা দেখতে পাচ্ছি। সরকারী চিকিৎসা যারা নিচ্ছেন তারা হয়তো নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর হলে এন্টিবায়োটিকের অযথা বা যথেচ্ছ ব্যবহার থেকে রেহাই পাবেন কিন্তু বিপুল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা সরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে যান না, কিম্বা এড়িয়ে চলেন তারা তো নির্ভর করে থাকেন গ্রাম্য হাতুড়ে চিকিৎসকদের অথবা নিজেরাই নিজেদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, তাদের কি হবে? এদেরও তো কোনও কোনও সময় একটি এন্টিবায়োটিক জীবন বাঁচাতে জরুরী হয়ে পড়তে পারে! আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফার্মেসীগুলোতেও প্রায় সব এন্টিবায়োটিকই সহজলভ্য। এর ব্যবহার ঠেকানোই বা যাবে কি করে? দু’পয়সা রোজগারের আশায় বসে থাকা ঐ সব হাতুড়ে চিকিৎসক বা ঔষধ বিক্রয়কারী মানুষগুলো কি এই সব হিতোপদেশ শুনবেন? অর্থের সাথে সম্পর্কিত এই বিষয়টি তাই মনে হয় বেশ নাজুক অবস্থায় ফেলে দেবে আমাদেরকে।
আমার তো মনে হয়, সরকার মোটিভেশান প্রোগ্রাম ও প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে এন্টিবায়োটিকের বেহুদা ও যথেচ্ছ ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি- মরনঘাতী প্রতিক্রিয়া-চিকিৎসা বিভ্রাট-চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি সহ অন্যান্য কুফল সম্পর্কে সচেতন করতে পারলেই এন্টিবায়োটিকের অহেতুক ব্যবহার অনেকটা কমে আসতে পারে। সরকারের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোই এ জাতীয় প্রচার চালাতে পারেন।
এন্টিবায়োটিকের কার্যাবলী, অনুজীব তথা ব্যাকটেরীয়াদের কর্ম-বৃত্তান্ত, তাদের রেসিষ্ট্যান্ট হয়ে ওঠার প্রনালী ইত্যাদি সম্পর্কে কিছু সাধারন জ্ঞান থাকলেই আমরাও বুঝতে পারবো কেন কোনও এন্টিবায়োটিকের সাহায্য ছাড়াই আপনা আপনি বেশীর ভাগ রোগই ভালো হয়ে যায়। তা হলেই কেন - কখন - কিভাবে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার করতে হবে বুঝতে পারবো তা-ও! বুঝতে পারবো আমি নিজে সুরক্ষিত কিনা, দেশের বৃহত্তর জনমানুষের সুরক্ষায় আমি কোনও অবদান রাখতে পেরেছি কিনা!
শেষক্রমণিকা -
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২১ টায় ব্লগার “সত্যপথিক শাইয়্যান” এর পোস্ট “প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার/বিক্রি করা যাবে না - হাই কোর্ট” য়ে শেষ লাইন দু’টির প্রেক্ষিতে আমার এই লেখা।
হাই কোর্টের এই রায়টি নিয়ে ব্লগে তেমন আলোচনা দেখিনি। মনে হয় আমরা এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে সম্ভবত চিন্তিত নই কারন এ সব বিষয়ে আমাদের জানার আগ্রহ বা পরিধি হয়তো কম। কিন্তু এটাই আগামীতে এক ভয়াবহ দূর্যোগ ডেকে আনতে পারে।
তাই এখানেই শেষ নয়- আসছি এন্টিবায়োটিকের কথা নিয়ে।
সুত্র : Click This Link
https://www.who.int/en/news-room/fact-sheets/detail/antibiotic-resistance
bdnews24.com
https://thefinancialexpress.com.bd/health/bangladesh-has-one-doctor-for-every-1847-people-1519053209
ছবির কৃতজ্ঞতা : “ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ” এর কাছে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,
প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।
বিষয়টি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও অনেকের কাছেই মনে হতে পারে এটা তেমন কোনও বিষয় নয়।
অঃটঃ
"নতুন পোস্ট লিখুন" য়ে পোস্ট দিতে এতো যে ঝামেলা তবুও কিছু একটা দেয়ার আশায় ঝামেলাটুকু সইতেই হচ্ছে। আগে যে ভাবে পোস্ট করেছি সে ভাবে এইবার আর পারলুম না।
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট
বাংলাদেশে এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার মাত্রাতিরিক্ত। এসব খবর বা রায়ে যদি মানুষের টনক নড়ে !
শুভকামনা অশেষ
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স ,
এসব খবরে মানুষের টনক নড়বে কিনা জানিনে তবে ফার্মেসীগুলো ঝামেলা পাঁকাতে পারে। অনেক ঔষধ কোম্পানী বিপাকে পড়তে পারে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন যতো সহজ মনে হয় মূল সমস্যাটি ততো সহজে ওপড়ানো যাবেনা।
শুধু বাংলাদেশই নয়, ভারত, নেপাল, পাকিস্তানও আমাদের কাতারে।
শুভেচ্ছান্তে।
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: এন্টিবায়েটিক আরেকটা হচ্ছে পেইন কিলার। অনেক কাবিল আছেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এই দুটি জিনিস গিলতে থাকেন।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডার্ক ম্যান,
পেইন কিলার বা চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় যাকে এন-এস-এ-আই-ডি (NSAID) বলে তাও কিন্তু অহেতুক ও দীর্ঘকালীন ব্যবহারে
প্রধানতঃ কিডনীকে অকেজো করে দিতে পারে।
মনে রাখতে হবে, ঔষধ মানেই রাসায়নিক একটি বস্তু এবং শরীরের কাছে একটি "ফরেন বডি"। এতে অনেক অযাচিত ঘটনার জন্ম হতে পারে।
ভালো লাগলো পেইন কিলারের কথা তোলাতে।
শুভেচ্ছান্তে।
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এবার তুমি বাংলা ছাড়া।
অনেক দাম দিয়ে কেনা এই প্রিয় স্বদেশ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,
এই প্রিয় স্বদেশটা অনেক দাম দিয়ে কেনা বটে তবে তা এখন রান্নাঘরের ছেঁড়া ন্যাকড়ার মতো ফেলে রেখেছি আমরা, যে যেভাবে পারছি.................
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ফার্মেসী গুলোতে গেলে আমার মাথা ঘুরায় মানুষ পাগলের মতো হাজার হাজার টাকা ওষুধ কিনছে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
মানুষ মৃত্যুকেই সবচেয়ে বেশী ভয় পায় তাই বাঁচার জন্যে হয়তো পাগলের মতো ঔষধ কেনে!
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বেশীর ভাগ দোকানে ওষুধের নামে আটার তৈরী বড়ি বিক্রি করে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,
আপনার মন্তব্যটিতে দ্বিমত করছি। আটার বড়ি নয়, মানহীন ঔষধ হয়তো হতে পারে তাও বেশীর ভাগ দোকানেই নয়, গুটি কয়েক ফেরেববাজ ফার্মেসীতে বিক্রি হতে পারে ভুয়া কোম্পানীদের যোগসাজশে।
আপনি জানেন কিনা জানিনা, বাংলাদেশের ঔষধশিল্প তার স্বর্ণযুগে এখন। গুনে ও মানে তারা ধীরে ধীরে বিদেশের বাজারেও নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। আমেরিকা , ইটালী, ফ্রান্স সহ ১৫১টি দেশে রফ্তানী হচ্ছে বাংলাদেশের ঔষধ। বাংলা দেশে বর্তমানে ঔষধের বাজার ৩ বিলিয়ন ডলারের মতো। ২০২৩ সালে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে। ঔষধ রফতানী থেকে দেশের আয় বছরে প্রায় ২৩ বিলিয়ন টাকা।
বেশীর ভাগ দোকানেই যদি ওষুধের নামে আটার তৈরী বড়ি বিক্রি হতো তবে এই সমৃদ্ধি অর্জন কি করে সম্ভব হতো? আপনি যেটা জেনেছেন, তা কিছু শোনা কথা হবে হয়তো । যারা বলেছেন তারা নিজেরাও আসল চিত্রটির খোঁজ রাখেন না।
আশা করি, আপনার অমূলক ধারনা এবারে দূর হবে।
৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি এই ব্যাপারে প্রফেশানেল; এন্টিবায়োটিকের কথা ভাবলে, মানব জাতি ভয়ংকর এলাকায় প্রবেশ করেছে বেশ আগেই; যারা মাংস খাচ্ছেন, তারা প্রতিদিনই কিছু পরিমাণ এন্টিবায়োটিক খাচ্ছেন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
ঠিকই বলেছেন, পোলট্রি খাদ্য সামগ্রী, তরকারী-শাক-সব্জী থেকেও মানুষের শরীরে ঢুকছে এন্টিবায়োটিক। যা পরিনামে এন্টিবায়োটিকগুলিকে রেসিষ্ট্যান্ট করে তুলছে ক্রমাগত।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আবার সেই হাইকোর্ট! সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কাজ কি? এটা তো আরো বহু আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের করার কথা! আবারো সেই সিস্টেমের কথা বলতে হয়। আমাদের বর্তমান সিস্টেম কি এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্য যথেষ্ট। তারপরেও হাইকোর্টকে ধন্যবাদ। এট লিষ্ট, একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত তো আসলো।
এখানে বাংলাদেশী কমিউনিটির এখানকার ডাক্তারদের ব্যাপারে একটা বড় অভিযোগ, এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব না করা। তাদের কথা হলো, এন্টিবায়োটিক দিলে সমস্যার সমাধান দ্রুত হয়, কষ্ট কম হয়, তবুও তারা এন্টিবায়োটিক দেয় না। যেহেতু, দোকানগুলো প্রেসক্রিপশান ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করে না, তাই তাদের কোন উপায়ও থাকে না।
কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে যে এটা শরীরের জন্য কতোটা ক্ষতিকর......এটা তাদের কে বোঝাবে?
দেশে কিংবা বিদেশে, সবখানেই আমরা আসলে শর্টকাট খুজি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ ,
আমাদের সকল সিষ্টেমটাই তো জবাবদিহিতার বাইরে বিরাজিত। তাই কোনও সিষ্টেমের কাছে তাদের কর্মের হিসেব চাইতে নেই। চাইলেও পাবেন না।
ঐ যে, আপনার ওখানেও বাংলাদেশী কমিউনিটির মনের মধ্যেই গেঁথে আছে শারীরিক কিছু হলেই এন্টিবায়োটিক খেতে হবে এই ধারণাটি। এটা তাদের অজ্ঞতাপ্রসূত ধারণা। এই বিষয়টা নিয়েও আমার লেখার ইচ্ছে আছে যেমনটা আমি বলেছি এই পোস্টের শেষে--
"তাই এখানেই শেষ নয় - আসছি এন্টিবায়োটিকের কথা নিয়ে।"
শুভেচ্ছান্তে।
৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০০
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: খুব ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখা। সবার দৃষ্টিতে লেখাটি আনা খুব জরুরি । তাই লেখাটা স্টিকি করা প্রয়োজন বা করলে মন্দ হয়না। কৃতপক্ষের কাছে অনুরোধ থাকল।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ব্লগ মাস্টার,
ধন্যবাদ লেখাটির সাথে একাত্মতা এবং সহমর্মিতা প্রকাশের জন্যে।
সাথেই থাকুন।
শুভেচ্ছান্তে।
১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০১
সুমন কর বলেছেন: কাওসার ভাইয়ের পোস্টে কিছুক্ষণ আগে এ বিষয়ে মন্তব্য করে আসলাম, সেটাই তুলে দেই....."কেউ শুধুশুধু অপেক্ষা না করেই এন্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করে। আবার কেউ কেউ পুরো কোর্স না করেই এন্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করে দেয়। দু'টোই খারাপ।"
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,
কাওসার চৌধুরীও ভালো লিখেছেন, তথ্যবহুল। তবে আমার লেখার প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
আশা করি সাথেই থাকবেন।
১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৯
নতুন বলেছেন: মানুষ নিজে থেকে এন্টিবায়োটিক খাচ্ছে এবং পরক্ষ ভাবে মুরগী,গরু/খাশি খেতে গিয়ে খাচ্ছে.....
মানুষকে সচেতন না করলে এটা থামবেনা.. প্রতিটি ফা`মেসিকে এই বিষয়ে সচেতন করা দরকার।
ঔষুধ কস্পানীকে এন্টিবায়েটিকের ব্যাবসায় বেশি লাভ করা যাবেনা সেটা নিয়ে কাজ করা দরকার। দরকার হলে দাম বাড়ানো দরকার।
আরেকটা জিনিস করা যেতে পারে অনলাইন প্রিসক্রিবসান... ডাক্তার লিখবেন..সেটাই ফামেসি বিক্রি করবে... সেটার রেকোড থাকবে।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন ,
আর্থিক ফায়দার প্রশ্ন যেখানে জড়িত সেখানে বিনে পয়সায় বিলানো সচেতনতা কাউকেই সচেতন করবেনা। যাদের যাদের কথা বলেছেন, না সেই ফার্মেসীওয়ালারা, না সেই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীওয়ালারা জেনে বুঝে নিজেদের পায়ে কুড়োল মারবেনা।
আসলে ভোক্তাকে সচেতন হতে হবে যেটা হতে পারে টেকসই কিছু।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
সাথেই থাকুন। শুভেচ্ছান্তে।
১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:০৪
ল বলেছেন: বিদেশে এন্টিবায়োটিক লিখতে হলে ডাক্তারকে অন্তত কয়েকবার ভাবতে হয়।
হাইকোর্টের রায় প্রশংসার দাবিদার।
কাওসার চৌধুরী তেমন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন 'সুপারবাগ' নিয়ে।
আপনার বিস্তারিত পোস্টের অপেক্ষায় রইলুম।
বরাবরের মতো জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। +++
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,
বিধিনিষেধ এবং পদ্ধতি আছে এবং তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা হয় বলেই বিদেশে ডাক্তারকে ভাবতে হয়।
এন্টিবায়োটিক নিয়ে আমার আগামী লেখাগুলোতে এর একটা প্রয়োগিক ছবিও পেয়ে যেতে পারেন সম্ভবত।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। সাথেই থাকুন।
শুভেচ্ছান্তে।
১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৩১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাইকোর্টের এই আদেশ কতটা প্রতিপালিত হবে, তা' নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারণ, প্রথমত আমাদের দেশের মানুষ মোটেই সচেতন নয়। দ্বিতীয়ত ফার্মেসী থেকে বিনা প্রেসক্রিপশনে এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির বানিজ্যিক দিকটি উপেক্ষা করা যায় না। তৃতীয়ত আমাদের দেশে সব কিছুই প্রথম কিছুদিন মার মার কাট কাট ভাবে শুরু হয়, তারপর যেই লাউ সেই কদু। প্রকাশ্যে ধূমপানের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটা একটা উদাহরণ।
তারপরেও সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,
আপনার মন্তব্যের আশংকার কথাই তো আমি বলেছি। কোনও কিছুতেই কাজ হবেনা কারন আমাদের সিষ্টেমটাই অকাজের।
কেবলমাত্র সকল মানুষ এই ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে যদি নিজেরাই সচেতন হন তবে ক্ষতি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
ধন্যবাদ আপনাকেও মন্তব্যের জন্যে।
শুভেচ্ছান্তে।
১৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,
অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল কমবেশি আমাদের সবারই জানা আছে। তবে আপনার আজকের পোস্টটি থেকে বিষয়টি আরও একবার ঝালিয়ে নেওয়া গেল। সুন্দর পরিশ্রমী পোস্ট। এমন পোস্ট স্টিকি দেওয়াই যাই। জনসচেতনতা বাড়াতে এমন পোস্ট জরুরী। ++
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। তবে অসচেতন জনগোষ্ঠীর সচেতনতা বাড়ানো কোনও সহজ কাজ নয়। এই লেখা দেখে হয়তো আপনাদের মতোন কিছু সংখ্যক মানুষ সচেতন হতে চেষ্টা করবেন কিন্তু এই লেখার বিষয়বস্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছানোর কোনও সুযোগ নেই।
তবে কেন লিখেছি?
লিখেছি এই কারনে যে, অন্তত আপনাদের কাছে বার্তাটি পৌঁছে দিতে পেরেছি আর ভরসা রাখছি আপনারা অন্তত নিজ নিজ পরিবার বা ধারাকাছের মানুষদের সচেতন হতে সাহায্য করবেন।
ভালো থাকুন আর সুস্থ্য।
শুভেচ্ছান্তে।
১৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রথমেই আহমেদ জী এস ভাইকে ধন্যবাদ জানাই এন্টি বায়োটিকের কথা পোস্টের জন্য।
আমার পরিচিত অনেক শিক্ষিত ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলা আছেন, যারা এন্টিবায়েটিক খাওয়ার ব্যাপারে মোটেও সচেতন নন। সাতদিনের এন্টিবায়েটিক ওষুধ তিনদিন খাওয়ার পর খাওয়া বন্ধ করে দেন। রোগ তো ভালো হয়ে গেছে। তিনি যে নিজে এবং আর দশটা মানুষকে বিপদের মধ্যে ফেলছেন, সেই জ্ঞান নেই। এন্টিবায়েটিক কেন, কখন, কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে তা নিয়ে আপনার কাছে থেকে আর একটা লেখা আশা করছি।
আহমেদ জী এস ভাই, এন্টিবায়েটিক নিয়ে আপনার সময়োপযোগী পোস্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো অনেকে এখনো এর গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না। তাই এই পোস্টটা স্টিকি করা হলে জনসচেতনতা আরো বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস। শুধু হাইকোর্টের নির্দেশনা দিয়ে কাজ হবে না। ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের লড়তে হবে, নতুবা সামান্য রোগেই আমাদের মৃত্যুবরণ করতে হবে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,
আপনার অভিজ্ঞতাগুলোই বলে দেয়, এন্টিবায়োটিকের অযথা এবং অকার্যকর ও ক্ষতিকর ব্যবহারের ব্যাপকতার দিকটি। এমন অভিজ্ঞতা মনে হয় আমাদের সবারই আছে।
এন্টিবায়েটিক কেন, কখন, কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে তা নিয়ে আমার কাছে থেকে লেখা আশা করেছেন। আমিও আশা করছি এন্টিবায়োটিকের খুঁটিনাটি সহ রোগ সংক্রান্ত বেশ কিছু টিপস যাতে সাধারন মানুষ নিজের সাস্থ্য সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারনা পান তেমন বোধগম্য করে লেখা নিয়ে অচিরেই আপনাদের কাছে আসার।
সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে।
১৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩১
হাবিব বলেছেন: গ্রামের অবস্থা বেশি ভয়াবহ, ওখানে ঔষধ বিক্রেতারা বড় ডাক্তার
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাবিব স্যার ,
একান্তই বাস্তব। সে বাস্তবতার আশংকার কথাও বলেছি আমি ---
......... কিন্তু বিপুল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা সরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে যান না, কিম্বা এড়িয়ে চলেন তারা তো নির্ভর করে থাকেন গ্রাম্য হাতুড়ে চিকিৎসকদের অথবা নিজেরাই নিজেদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, তাদের কি হবে? এদেরও তো কোনও কোনও সময় একটি এন্টিবায়োটিক জীবন বাঁচাতে জরুরী হয়ে পড়তে পারে! আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফার্মেসীগুলোতেও প্রায় সব এন্টিবায়োটিকই সহজলভ্য। এর ব্যবহার ঠেকানোই বা যাবে কি করে? দু’পয়সা রোজগারের আশায় বসে থাকা ঐ সব হাতুড়ে চিকিৎসক বা ঔষধ বিক্রয়কারী মানুষগুলো কি এই সব হিতোপদেশ শুনবেন? অর্থের সাথে সম্পর্কিত এই বিষয়টি তাই মনে হয় বেশ নাজুক অবস্থায় ফেলে দেবে আমাদেরকে।
নীচে সহব্লগার ডঃ এম এ আলী র মন্তব্যে এমন ছবিই পরিষ্কার -
এন্টিবায়োটিক ব্যাবহারের বিষয়ে দেশের সাধারণ লোকজন আর ওষুধ বিক্রেতাদের সচেতনতারও অভাব রয়েছে।
ইনফ্লুয়েঞ্ছা, সামান্য সর্দী কাশী, গলায় ফুসফুসী, আমাশায় প্রভৃতি অসুখের জন্য অনেকেই মনে করেন যে ডাক্তারের কাছে গেলে চার পাঁচশ টাকা ভিজিট দিতে হবে এ ছাড়াও ডাক্তার যে সব টেস্ট দিবেন তার জন্য চার পাঁচ হাজার টাকার মতো নেমে যেতে পারে, এ বিবেচনায় অনেক মানুষ নীজেই ফার্মাসিতে গিয়ে নীজের জানা নামের এন্টিবায়টিক ঔষধ কিংবা দোকানদারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়টিক সহ আরো বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় ঔষধ কিনে নিয়ে আসেন । শুধু ঢাকায় নয় - সারা বাংলাদেশেই এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে।
এমন অবস্থা থেকে খানিকটা হলেও যাতে আমরা সরে আসতে পারি তা নিয়েও লেখা থাকবে আমার আগামী পোস্টে।
সাথেই থাকুন।
১৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যথেচ্ছ এক্টিবায়োটিক বেশি ব্যবহার হচ্ছে হাতুড়ে আর কোয়াক ডাক্তার দের কারনে । এরা মুড়ি মুড়কির মত রোগীদের এক্টিবায়োটিক দেয়। সাজা শাস্তির পাশাপাশি এদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন,
বাস্তবতা এমনটাই। পাশাপাশি আবার এটাও রূঢ় বাস্তব যে, রোগীরাও মনে করে ডাক্তার যদি একটা দুইটা এন্টিবায়োটিক না দেয় তবে সে কিসের ডাক্তার? তাহলে ঘন্টাটা বেড়ালের কোথায় বাঁধবো আমরা?
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
সাথেই থাকুন।
১৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৮
করুণাধারা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, এমন একটি সচেতনতামূলক পোস্ট দেবার জন্য।
অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু কতটা, তা হাইকোর্ট রায় দেওয়ার আগে আমরা কখনো ভেবে দেখেছি কি? এখন হয়তো নড়েচড়ে বসেছি, কিন্তু কিছুদিন পর ভুলে যাব, ভুলে যাওয়াটাই আমাদের বৈশিষ্ট্য!!! ১৩ নম্বর মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি।
আমাদের মধ্যে যারা শিক্ষিত, যারা কিছুটা লেখাপড়া জানে, আপনার এই পোষ্টের মতো কিছু লেখা পড়ে এন্টিবায়োটিকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারবে, কিন্তু দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী যারা এ সম্পর্কে কিছু জানেও না, বুঝেও না তাদের কি হবে? এদের অধিকাংশই রোগ ভালো হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করে দেয়। এরা মনে করে ডাক্তার এন্টিবায়োটিক না দিলে তাদের কোন চিকিৎসা করল না!! আমি এমন কিছু মানুষকে ওষুধ কেনার টাকা দিয়েও দেখেছি, এরা কখনোই পুরো কোর্স শেষ করে না। এটাকে কি আপনি রাতারাতি বদলে দিতে পারবেন বলে মনে করেন? যেভাবে বলেছেন, সরকারিভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বলা হলে সচেতনতা বাড়বে, আমার তা মনে হয় না....…... আমাদের শিক্ষিত লোকেদেরই দেখুন, আমি দেখেছি যারা বিদেশে যান, তারা প্রায়ই প্রবাসী অন্যদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক কিনে নিয়ে যান, কারন সে সব দেশে অ্যান্টিবায়োটিক সহজলভ্য নয়।
আপনার পরের পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
আপনার মতো আমারও একই প্রশ্ন।
বলেছেন - কিন্তু দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী যারা এ সম্পর্কে কিছু জানেও না, বুঝেও না তাদের কি হবে?
এই লেখার বিষয়বস্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছানোর কোনও সুযোগ নেই। এই লেখা দেখে হয়তো আপনাদের মতোন কিছু সংখ্যক মানুষ সচেতন হতে চেষ্টা করবেন।
তবে কেন লিখেছি?
লিখেছি এই কারনে যে, অন্তত আপনাদের কাছে বার্তাটি পৌঁছে দিতে পেরেছি আর ভরসা রাখছি আপনারা অন্তত নিজ নিজ পরিবার বা ধারেকাছের মানুষদের সচেতন হতে সাহায্য করবেন।
রাতারাতি কিছু বদলে দেবার মতো অবস্থানে নেই আমি। তবে যেটুক পারি তা হলো - এন্টিবায়োটিকের খুঁটিনাটি সহ রোগ সংক্রান্ত বেশ কিছু টিপস যাতে সাধারন মানুষ নিজের সাস্থ্য সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারনা পান তেমন বোধগম্য করে লেখা নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হতে।
সাথেই থাকুন এমন উৎসাহ যুগিয়ে।
শুভেচ্ছান্তে।
১৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাই,
চমৎকার এবং দুর্দান্ত একটা বিষয় তুলে এনেছেন এখানে। মাত্র সেইদিনই পড়লাম প্রায় কাছাকাছি বিষয় নিয়ে লেখা
কায়সার ভাইয়ের পোস্ট - সুপারবাগ (superbug) এক নীরব ঘাতক ও মহামারী।
"সুপারবাগ" হলো সেই সমস্ত ব্যাকটেরিয়া, যেগুলো আজকের দুনিয়ায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকগুলির প্রতিরোধী। এটা একটা ভয়াবহ বিপদের কারন যখন প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াগুলি নিউমোনিয়া, মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং ত্বকের সংক্রমণ ঘটায়। এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ স্বাভাবিকভাবেই ঘটছে, হতে পারে এটি ধীর গতিতে , কিন্তু থামানো যাচ্ছে না। যে ঔষধগুলি তাদের মেরে ফেলতো সময়ের সাথে সাথে জীবাণুরা সেই ওষুধের সাথে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে । ফলে এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য পূর্বে যে ঔষুধ কার্যকর ছিল সেই ঔষুধ এখন কম কার্যকর, এবং কিছু ক্ষেত্রে, একেবারেই অকার্যকর।
একমাত্র জন সচেতনতা ছাড়া এটা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব না। বাংলাদেশে ডাক্তারদের তো এন্টিবায়োটিক লিখতে কোন বাছবিচার করতে হয় না। ছোটখাট কারনেও হুট করেই এই গুলি দিয়ে দেয়। আমাদের দেশের ডাক্তারদের কাছে টাকাটাই মূল বিষয়। এজন্য প্রতিনিয়ত কমিশনের নেশায় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর এন্টিবায়োটিক লিখে প্রেসক্রিপশন ভরে দেন। বাংলাদেশে এইসব ডাক্তার বিচার করার জন্য নতুন করে হলেও আইন করা উচিৎ। তার সাথে যেইসব ফার্মেসী থেকে বিনা প্রেসক্রিপশনে
এন্টিবায়োটিক বিক্রি করে তাদেরও বিচার করা উচিৎ।
আমরা চাই জন সচেতনতা বাড়ুক, ডাক্তাররা রোগীদের বিষয়ে আরো যত্নবান হোন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
ঠিকই বলেছেন , সচেতনতা ছাড়া এই ভিসাস সাইকল থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব নয়।
এর জন্যে এককভাবে ডাক্তাররাই দায়ী নন। বাস্তবতা এমনই রূঢ় যে, রোগীরাও মনে করে ডাক্তার যদি একটা দুইটা এন্টিবায়োটিক না দেয় তবে সে কিসের ডাক্তার? তাহলে ঘন্টাটা বেড়ালের কোথায় বাঁধবো আমরা?
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন।
শুভেচ্ছান্তে।
২০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসুখ বিসুখ হলে আমাদের অনেকেরই একটি সাধারণ প্রবণতা হচ্ছে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসিতে গিয়ে দোকানির পরামর্শে, এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা। এর অপব্যবহারের কারণে এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা থাকছে না এবং সাময়িকভাবে রোগ সেরে গেলেও, রোগীকে পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হচ্ছে। পরে কড়া ওষুধ ব্যবহার করেও রোগ সারছে না। পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। পল্লী চিকিৎসক হিসাবে পরিচিত গ্রাম ডাক্তাররা এবং ফার্মেসীতে ঔষধ বিক্রেতারা অবাধে এন্টিবায়োটিক দিচ্ছেন।
এন্টিবায়োটিক ব্যাবহারের বিষয়ে দেশের সাধারণ লোকজন আর ওষুধ বিক্রেতাদের সচেতনতারও অভাব রয়েছে।
ইনফ্লুয়েঞ্ছা, সামান্য সর্দী কাশী, গলায় ফুসফুসী, আমাশায় প্রভৃতি অসুখের জন্য অনেকেই মনে করেন যে ডাক্তারের কাছে গেলে চার পাঁচশ টাকা ভিজিট দিতে হবে এ ছাড়াও ডাক্তার যে সব টেস্ট দিবেন তার জন্য চার পাঁচ হাজার টাকার মতো নেমে যেতে পারে, এ বিবেচনায় অনেক মানুষ নীজেই ফার্মাসিতে গিয়ে নীজের জানা নামের এন্টিবায়টিক ঔষধ কিংবা দোকানদারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়টিক সহ আরো বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় ঔষধ কিনে নিয়ে আসেন । শুধু ঢাকায় নয় - সারা বাংলাদেশেই এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে।
নিবন্ধিত চিকিৎসক, যারা এ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন তারা ছাড়াও অনেকে প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়োটিক লেখেন। আপনি ঠিকই বলেছেন , শুধু হাইকোর্টের নির্দেশেই যে এর ব্যাবহার হ্রাস পাবে তার সম্ভাবনা খুবই কম । বিভিন্ন কলাকৌশলে এর ব্যবহার অপরিবর্তিত কিংবা আরো বেশী বেড়ে যেতে পারে । ঔষধ কারবারীদের সুসংগঠিত নেটওয়ার্কের কুটকৌশলে এর প্রয়োগ সরকারী বেসরকারী সকল জায়গাতেই বিবিধ প্রকারে বরং আরো বেড়েই যেতে পারে ।
এ্যান্টিবায়োটিক বিত্রয়ের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করা হলেও এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এর জন্য ঔষধ বিক্রেতারা যেমন দায়ী - চিকিৎসকরাও এই দায় এড়াতে পারে না বলে অনেক বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন। উল্লেখ্য যে নিবন্ধিত সরকারী -বেসরকারী চিকিৎসকদের একটি বড় অংশই দেশের সকল স্থানে ঔষধ বিক্রেতাদের ঔষধের দোকানের এক কোণে কিংবা পর্দার আড়ালে বসে রুগী দেখে প্রেসক্রিপশন দেন , রুগীদের বেশীর ভাগই সেই দোকান হতে ঔষধ কিনেন ।
অপরদিকে প্রায় অনেক ঔষধের দোকানে ( মোটামুটি বেশী বেচা কেনা হয় এমন দোকানে ) নামী দামী ঔষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেনটিটিভগন রুগীর হাত হতে বিভিন্ন বাহানায় প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে দেখেন ডাক্তার কি কি ওষধের নাম লিখেছেন ।
আমি নীজেও এরকম অভিজ্ঞতার মুখামুখী হয়েছি বেশ কয়েকবার । এরকম বিষয়টা , কিসের জন্য কি, তা বুঝা তেমন কষ্টকর কিছুনা ।
যাহোক, এন্টিবায়টিক ওষুধ ব্যবহারের ব্যাপারে লোকজনকে সচতেন করার জন্যে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই আজ উল্লেখযোগ্য প্রচারণা ও কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আপনার এ পোষ্টটিও আমাদের সকলের সচেতনতা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক হবে । সময়োচিত পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ । মুল্যবান পোষ্টটি প্রিয়তে গেল । পরের মুল্যবান পোষ্টটি দেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
একরাশ কৃতজ্ঞতা, মন্তব্যে সোসিও-ইকোনোমিক একটি বিষয় তুলে আনার জন্যে। এই আর্থ-সামাজিক অবস্থাটাই অযথা আর অপরিমিত ভাবে যখন তখন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা থেকে আমাদের ফেরাতে প্রধান বাঁধা।
ঠিকই বলেছেন -"এ্যান্টিবায়োটিক বিত্রয়ের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করা হলেও এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।"
এটাই চরম বাস্তব। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশে টেকসই নিয়ন্ত্রন আনাও কিছুতেই সম্ভব নয়।
সারা বিশ্ব আজ আতঙ্কে আছে বলেই উন্নত দেশগুলোতে প্রচারনা আর কার্যক্রম শুরু হয়েছে অনেক আগেই । ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশান এবং ইউনিসেফের এমন হুশিয়ার বাণী আমিও কিন্তু তুলে ধরেছি এই লেখাতে।
তাই পরের পোস্টে চাইছি এমন কিছু বিষয় তুলে আনতে যাতে আমাদের মতো নন-মেডিক্যাল মানুষগুলো বুঝতে পারেন কখন এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার করতে হবে, কখন নয়।
প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
সাথেই থাকুন। শুভেচ্ছান্তে ।
২১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
চমৎকার তথ্যবহুল একটি পোস্ট। আশা করি, পাঠকরা উপকৃত হবেন এবং পরিবার-পরিজনকে সচেতন করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো হাইকোর্টের কোন নির্দেশনা এ পর্যন্ত সঠিকভাবে মেনে চলার বিধান এদেশে নেই। কারণ, এদেশের পাবলিক যেমন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন নয়, সরকারও ঠিক তাই। তবে ডাক্তার সাহেবরা নিজেদের পরিবারের বিষয়ে সচেতন হলেও রোগীদের বিষয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত।
এ বিষয়ে "ভুয়া মফিজ" যথার্থই বলেছেন, "আবার সেই হাইকোর্ট! সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কাজ কি? এটা তো আরো বহু আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের করার কথা! আবারো সেই সিস্টেমের কথা বলতে হয়। আমাদের বর্তমান সিস্টেম কি এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্য যথেষ্ট। তারপরেও হাইকোর্টকে ধন্যবাদ। এট লিষ্ট, একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত তো আসলো।"
এ বিষয়ে কঠোর আইন করতে হবে। ডাক্তারদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করতে হবে। ঔষধ কোম্পানীগুলোর লাগাম টেনে ধরতে হবে। সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলো যুগোপযোগী করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা যারা এন্টিবায়োটিক না বুঝে গিলতেছি তাদেরকে সচেতন হতে হবে।
ধন্যবাদ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,
অনেকদিন পরে আপনাকে আমার এখানে দেখে ভালো লাগলো।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী কিনা সময় তা বলে দেবে। পেছনের কারনগুলো তো আপনি, ভুয়া মফিজ আর ডঃ এম এ আলী বলে গেছেন আপনাদের মন্তব্যে।
আইন করে মনে হয় তেমন কিছু একটা সুবিধে হবেনা। এদেশের প্রান্তিক বিশাল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অজ্ঞানতা, কুসংস্কার, অযথা আর অপরিমিত ভাবে যখন তখন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা থেকে আমাদের ফেরাতে প্রধান বাঁধা।
"মাস রিয়েলাইজেশান" ছাড়া এমন দূর্ভোগ থেকে বের হওয়া বেশ কঠিন।
সাথেই থাকুন।
শুভেচ্ছান্তে ।
২২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খুব জরুরি একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।
হাইকোর্ট হুকুম আর স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের পত্র দিলেই হবে না।।
বাস্তবায়নে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
দুই নম্বরি এড়াতে ডিজিটালের বিকল্প নেই।
যেহেতু বেশিরভাগ স্থানে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে, উন্নত দেশের ন্যায় অনলাইন ভিত্তিক প্রেসক্রিপশন করা যেতে পারে।
প্রেসক্রিপশনের এক কপি ডাঃ লাইসেন্সিং কতৃপক্ষ মেডিক্যাল কাউন্সিল বা ঔষধ নিয়ন্ত্রন কতৃপক্ষের কাছে অটো চলে যাবে।
০১ লা মে, ২০১৯ রাত ৮:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ,
উন্নত দেশের মতো আমাদের ডিজিটাল যোগাযোগের কাঠামো অতোটা বিস্তৃত নেই যে অনলাইন ভিত্তিক প্রেসক্রিপশন সবাই পাবেন।
প্রেসক্রিপশান অটো ভাবে কারো কাছে চলে যাবে এমন ডিজিটাল ইনফ্রাষ্ট্রাকচার আমাদের নেই।
বিষয়টি জরুরী অবশ্যই কিন্ত তাতে অনেক "কিন্তু" আছে।
সাথেই থাকুন।
২৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
০২ রা মে, ২০১৯ রাত ৮:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদুর রহমান,
ধন্যবাদ আপনাকেও সাথে থাকার জন্যে।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: এদেশের মানুষ নিজেরাই ডাক্তারের থেকে বড় ডাক্তার। তারা নিজেরাই নিজের রোগ নির্নয় করেন, নিজেরাই ঠিক করেন কী কী অসুধ খাবেন, কোন কোন কোম্পানীর অসুধ খাবেন। তারপর ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলেন,
'ডাক্তার সাব আমাকে এই এই অসুধ দিন!'
আপনার লেখাটি খুব সুন্দর ও সময় উপযোগী। আমি নিজেও মাঝেমধ্যে মাথা ব্যথা হলে এটা সেটা খেয়ে থাকি- এখন খাব না আর।
০২ রা মে, ২০১৯ রাত ৯:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক,
এই অভ্যেস তো আর একদিনে হয়নি! এর পেছনে অর্থনৈতিক দুরবস্থাই প্রধানতঃ দায়ী। আর অশিক্ষা এবং অজ্ঞানতা তো আছেই।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সহ সবারই বোধদয় ছাড়া এমন দূর্ভোগ থেকে বের হওয়া বেশ কঠিন।
সাথেই থাকুন..................
২৫| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১২:৪২
রাকু হাসান বলেছেন:
শেষ ক্রমণিকার সাথে একমত স্যার । উক্ত টপিক টি নিয়ে আমি আগে থেকেই বেশ চিন্তিত ছিলাম । বলতে পারেন অনেকটা ভয়ও । কেমন লাগবে যখন আমাদের সন্তানরা সামন্য জ্বর,ঠান্ডা হলেও মৃতু্্য ঝুঁকি থাকবে । আপনি যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলোর সাথে দ্বিমত নেই ।বরং খুব আগ্রহ নিয়েই পড়লাম । সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই । হাইকোর্ট রিট ভালো লেগেছে । সেটা আরও আগে হলে খুশি হতাম । এসব নিয়ে আলোচনা কম বেশি অনেক দিন ধরেই হচ্ছে চিকিৎসক মহলে । এই আদেশটি ফার্মাসিগুলো টিক কতাটা মানছে সে সব দেখতে আমি নিজ এলাকায় সরেজমিনে দেখি । দুঃখের বিষয় হলো এগুলো মানছে না । এমন কি নেই কোনো জন সচেনতার কোনো পোস্টারও । সরকার নিজ উদ্যোগে সারা দেশের ফামার্সি গুলোতে এসব ছোটেোস্টার বা লিপলেট ছাপাতে পারে । সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে মনে করি । এ ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমান আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে । সেসবের উদ্যোগ সরকার কে নিতে হবে । সাধারণ মানুষ কে এই রিট টিট দিয়ে বুঝানো যাবে । মূল কথা আপনার কথাতে শতভাগ একমত এবং এটাই সবচেয়ে কার্যকরি পন্থা । জনসচেনতা বৃদ্ধি করা । আপনার সকল পোস্টে জানার ,ভাববার কিছু না কিছু পায় । মাঝে মাঝে সসম্যা হয়ে যায় আমার । অবিশেষ করে অতি মূল্যবান পোসে্ট । সেসব পোস্টে মন্তব্য করতেও ভয় পায় । কেননা পোস্টের বিষয় বস্তুর প্রতি আমার জ্ঞান খুব কম থাকে । ভালো থাকুন স্যার । শুভরাত্রি ।
০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাকু হাসান,
ব্লগের এই অচলায়তন ভেঙে আপনার আসাতে ভালো লাগছে।
যখন তখন, যত্রতত্র, অনিয়ন্ত্রিত ভাবে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার যে একটি বিভীষিকাময় আগামীকে নিয়ে আসবে আমাদের প্রজন্মের জন্যে তা বুঝে উঠতে পারছিনে আমরা।
এক্ষেত্রে সমবেত সচেতনতার বিকল্প নেই আর কিছুতেই। এই সচেতনতা হতে পারে আপনার ধারনার মতো আদলে।
হা...হা... আমার লেখায় ভয় পাবার কিছু নেই। আমি তো খুব টেবিল টক ভঙিতে বা গল্পের ঢংয়ে সহজ ভাষায় আমার লেখাগুলি লিখি যাতে আমরা সকল শ্রেনীর মানুষ তা বুঝতে পারি। একজন "রাকু হাসান" ও যেন বুঝতে পারেন তা।
এন্টিবায়োটিক নিয়ে লেখা দিচ্ছি অচিরেই। বুঝতে মোটেও বেগ পেতে হবেনা বলেই আমার বিশ্বাস। সাথেই থাকবেন আশা করি।
মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।
২৬| ০৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
নীলপরি বলেছেন: সচেতনামূলক পোষ্টটা আগেই পড়ে গেছি । অনেক ধন্যবাদ এতো ভালো পোষ্টের জন্য ।
আমাদের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় অনেকে ডাক্তারী পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খেতে বাধ্য হন । আর অনেকে পরামর্শ পেয়েও মানেন না ।
আপনার লেখা থেকে সরলভাবে অনেক কিছু জানলাম । পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
শুভকামনা
২৭| ২৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: দেশের সমস্যাগুলো যাদের যাদের দেখার কথা, তারা সবাই হাত গুটিয়ে বসে থাকে। এই সিদ্ধান্তের জন্য আদালত কেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও তো অনেক পরের কথা, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরই যথেষ্ট হবার কথা ছিল। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, তারা সবাই ঔষধ কোম্পানীগুলোর কাছে জিম্মি।
দেশের সব সমস্যার সমাধানের পথই যদি হয় প্রধানমন্ত্রীকে নয়তো আদালতকে দেখিয়ে দিতে হবে, তবে আর এত টাকা কড়ি ব্যয় করে অথর্ব মন্ত্রী পোষা কেন?
গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টে তথ্য উপাত্তসহ আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ এ বিষয়ে পরের পোস্টগুলোও পড়বো বলে আশা রাখছি।
দেশে কিংবা বিদেশে, সবখানেই আমরা আসলে শর্টকাট খুজি - ভুয়া মফিজ এর এ মন্তব্যটি খুবই সত্য।
শামছুল ইসলাম, করুণাধারা, ডঃ এম এ আলী, কাওসার চৌধুরী প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে, সাথে আপনার প্রায় প্রতিটি প্রতিমন্তব্যও।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
ব্লগের অচলাবস্থায় আটকে ছিলুম গত ক'টা দিন। তাই সময় মতো জবাব দিতে পারিনি বলে দুঃখিত।
দেশের সব সমস্যার সমাধানের পথই যদি হয় প্রধানমন্ত্রীকে নয়তো আদালতকে দেখিয়ে দিতে হবে, তবে আর এত টাকা কড়ি ব্যয় করে অথর্ব মন্ত্রী পোষা কেন?
একদম খাঁটি কথা। কিন্তু এই সত্য কথাটি বলবে কে? একটা খুনের আসামী ধরতেও যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই নির্দেশ দিতে হয় নইলে কাজ হয়না, সেখানে প্রশাসন নামের সাদাহাতী পালার দরকারটা কি?
শুভেচ্ছান্তে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছেন।
ধন্যবাদ।