নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

The world is running out of antibiotics... Why? এন্টিবায়োটিকের কথা। শেষ পর্ব

১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩০



[ ...................বাজারে আসতে থাকলো নতুন নতুন এন্টিবায়োটিক। চলতে থাকলো মানুষ আর ব্যাকটেরীয়ার মধ্যে অসম এক যুদ্ধ যে যুদ্ধ কখনও থেমে যাবার নয়, চলছে আজ অবধি। এবারে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন হাযারো এন্টিবায়োটিক কেন বাজারে? ]

আগের পর্বগুলির লিংক -
“The world is running out of antibiotics...” এন্টিবায়োটিকের কথা।
The world is running out of antibiotics... Why? এন্টিবায়োটিকের কথা। প্রথম পর্ব
The world is running out of antibiotics... Why? এন্টিবায়োটিকের কথা। দ্বিতীয় পর্ব

আমাদের বিচারবিবেচনাহীন এবং অপর্যাপ্ত এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ব্যাকটেরিয়াগুলোকে এন্টিবায়োটিকের কাজের ধরন সম্পর্কে বারেবারে দিনের পর দিন তথ্য যুগিয়ে চলছে। আর এন্টিবায়োটিকের প্রয়োগে সব ব্যাকটেরীয়া মারা গেলেও কোনক্রমে যদি একটি দু’টি ব্যাকটেরীয়া প্রান নিয়ে পালিয়ে আসতে পারে তবে তাদের জিনগুলো দেখে দেখে, শিখে শিখে রেসিষ্ট্যান্ট হয়ে যায় এবং জ্যামিতিক হারে বংশবিস্তার করে ফেলে। এবং বাস্তবে ঘটছে এটাই। এদের হাত থেকে বাঁচতে হলে মানুষকে নতুন নতুন এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করতেই হবে যা দুরূহ একটি কাজ এবং সময় সাপেক্ষ আবার গবেষণার জন্যে লাগে বিলিয়নস অব ডলার। টাকাপয়সার কথা বাদ দিলেও হয়তো বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে কোনও নতুন একটি এন্টিবায়োটিকের মলিক্যিউল আবিষ্কারে। তাছাড়া মানুষ যে তা পারবেই এমন কোনও নিশ্চয়তাও নেই। দেখা গেলো, একযুগ ধরে চেষ্টা করেও মানুষ নতুন আর একটি এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করতে পারলোনা। তখন কি হবে?

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) তাই এন্টিবায়োটিক রেসিষ্ট্যান্সের ক্রমাগত সম্প্রসারণ ও ‘মাল্টিপল এন্টিবায়োটিক রেসিষ্ট্যান্স’ প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরীয়ার আবির্ভাবের ঘটনাকে পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন যা ব্যাকটেরীয়া ঘটিত ইনফেকশানগুলোর চিকিৎসা ক্রমান্বয়েই জটিল করে তুলছে। দীর্ঘদিন থেকেই এর বিরূদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলছে সংস্থাটি। এই ব্যবস্থাগুলো হবে - কেবলমাত্র ব্যাকটেরীয়া ঘটিত ইনফেকশানগুলোতে সঠিক এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার, হাসপাতালগুলোর সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, ব্যাকটেরীয়াল সংক্রমনের প্রতিরোধ, এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিষ্ট্যান্সের তত্বাবধান কার্যাবলীর সম্প্রসারণ।

শুধু মানুষের বেলাতেই নয় পশুদের চিকিৎসার উপকরণ হিসেবে কিম্বা তাদের স্বাস্থ্যবৃদ্ধি ও সুরক্ষার বেলাতেও বিশেষ করে পশুখাদ্যে ঢালাওভাবে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার এই দূর্বিপাকে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। যদিও এর পরিমান এতোই অল্প যে ঔষধগুলি গবাদি পশুর সংক্রমনকে ঠেকাতে পারেনা অথচ প্রতিরোধী ব্যাকটেরীয়াগুলোকে আরো শক্তিশালী হিসেবে বংশবিস্তারের সুবিধা করে দেয়ার জন্যে ঐ পরিমানই যথেষ্ট। পোলট্রি শিল্পে এই অযৌক্তিক ও অত্যাধিক এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার রেসিষ্ট্যান্ট ‘ফুড পয়জনিং’ ব্যাকটেরিয়াগুলোর জন্ম দিচ্ছে।

এছাড়াও কৃষিপণ্যে এবং গাছে এন্টিবায়োটিক কীটনাশক স্প্রে করা হয় ব্যাকটেরীয়া ধংশের জন্যে। এই ফল ও শাকসব্জীতে লেগে থাকা এন্টিবায়োটিকের অবশিষ্টাংশ আমাদের পেটে গিয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরীয়াগুলোকে আক্রান্ত করছে আর অধিক শক্তিশালী, ক্ষতিকর প্রতিরোধী ব্যাকটেরীয়াগুলোকে সুযোগ করে দিচ্ছে।

ছবি -পোলট্রির মাংশ থেকেও ছড়ায় রেসিষ্ট্যান্ট ব্যাকটেরীয়ার দল।

এখন সবচেয়ে সঙ্গত একটি প্রশ্ন আপনি করতেই পারেন -তাহলে আমরা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করবো কিসের উপরে ভিত্তি করে?
এন্টিবায়োটিকের অঢেল ও অযথা ব্যবহার রুখতে হলে উত্তরটি আপনার অবশ্যই জানা দরকার।


সংক্ষেপে উত্তরটি হবে অনুজীব চিহ্নিতকরণ এবং কোন ধরনের এন্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগ সেই অনুজীবের উপরে কার্যকর তা নিরূপন। সাধারণভাবে একটি ছোট্ট ল্যাবরেটরী টেষ্ট দিয়ে এগুলো জানা সম্ভব। এটি হলো C/S বা Culture & Sensitivity Test. যে টেষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার রোগটি কোনও অনুজীব দ্বারা সংগঠিত হয়েছে কিনা । পাশাপাশি জানতে পারবেন , রোগের কারনটি অনুজীব হলে তা কোন কোন এন্টিবায়োটিকের প্রতি সংবেদনশীল বা সেনসেটিভ এবং কোন কোন এন্টিবায়োটিক রেসিষ্ট্যান্ট বা প্রতিরোধী।

উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলে সমগ্র ব্যাপারটি আপনার কাছে জলবৎ তরলং মনে হবে-

ধরা যাক আপনার প্রস্রাবে জ্বালা যন্ত্রনা হচ্ছে, কষ্ট হচ্ছে প্রস্রাব করতে। ধরে নিতে হয় আপনার মূত্রনালীতে সম্ভবত ইনফেকশান হয়েছে। আপনার ডাক্তার আপনাকে বলবেন, একটি ইউরিন টেষ্ট করিয়ে আনতে। তিনি আপনাকে Urine for C/S এ্যাডভাইস করবেন। আপনি আপনার প্রস্রাব বা মূত্র প্যাথলোজিক্যাল ল্যাবরেটরীতে দিয়ে এলেন। প্যাথলোজিষ্ট আপনাকে ৭২ ঘন্টা পরে এসে রিপোর্ট নিয়ে যেতে বলবেন। রিপোর্টটি হাতে পেলে দেখবেন, ফাইন্ডিংস’য়ে হয়তো লেখা আছে মোটামুটি এরকম কিছু -

Organism found -E.Coli.

Sensitivity- [ S= Sensitive (+). R= Resistant (-) ]

Penicillin -R. Ampicillin -R. Doxycycline - S++. Ciprofloxacin -R
Levofloxacin - R. Azythromycin - S+. Cefixime - R.
Cefpodoxime - S+. Ceftriaxone - R. Cefepime - S++.

এ থেকে নিশ্চিতভাবে বোঝা যাবে আপনার মূত্রনালীতে E.Coli. নামের ব্যাকটেরীয়ার সংক্রমন ঘটেছে। এবং এই ব্যাকটেরীয়াটি Doxycycline ও Cefepime এর প্রতি অতিমাত্রায় (++) সংবেদনশীল অর্থাৎ ঐ দু’টি এন্টিবায়োটিকের প্রয়োগে মারা পড়বে খুব দ্রুত। আর Azythromycin ও Cefpodoxime এর প্রতি অনুজীবটি সংবেদনশীল (+) । মারা পড়বে কিন্তু আগের দু’টোর মতো দ্রুত নয়। এর মানে, আপনার ঐ প্রস্রাব সংক্রান্ত রোগে Doxycycline ও Cefepime হলো সবচেয়ে কার্যকরী ঔষধ তার পরে Azythromycin ও Cefpodoxime.
এইগুলো থেকে একটাকে আপনার ডাক্তার আপনাকে খেতে বলবেন। কতো মাত্রায়, দিনে কয়বার করে এবং কতোদিন ধরে তা খাবেন তেমন পরামর্শ দেবেন।

বাকী সব এন্টিবায়োটিক রেসিষ্ট্যান্ট। ঐগুলো টনকে টন খাওয়ালেও আপনার ঐ মূত্রনালীর সংক্রমন ( Urinary Tract Infection) ভালো হবার নয় জিন্দেগীতেও।

ছবি - একটি কালচার মিডিয়াতে ই-কোলাই ব্যাকটেরীয়া

আর রিপোর্টে যদি লেখা থাকে - No Organism found তবে বুঝতে হবে আপনার রোগটির পেছনে কোনও অনুজীব বা ব্যাকটেরীয়ার হাত নেই মোটেও। এক্ষেত্রে কোনও এন্টিবায়োটিকই আপনার প্রয়োজন হবেনা। বেশী করে পানি খাওয়াই হবে আপনার রোগের মূল চিকিৎসা। নতুবা অন্য কারন খোঁজার জন্যে অন্য ধরনের প্যাথলোজিক্যাল পরীক্ষায় যেতে হবে আপনাকে।

এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের বেলায় একজন চিকিৎসককে অবশ্য-অবশ্যই এইভাবে এগুতে হয় এবং এটাই তাকে শেখানো হয়ে থাকে মেডিসিন বিদ্যায়। পাশাপাশি এটা তার প্রফেশনাল ইথিকস বা পেশাগত নৈতিকতাও।

অনেকে বাইরের দেশের কথা বলে থাকেন যেখানে প্রেসক্রিপশান ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যায়না। পেশাগত নৈতিকতাকে সেখানে উঁচ্চে তুলে রাখা হয় বলেই তা সম্ভব। তাছাড়া এন্টিবায়োটিকের যে সব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে তার কোনওটিতে ভুগলে রোগী ডাক্তারের বিরূদ্ধে মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণের মামলাও করে বসতে পারেন সে সব দেশে। সেক্ষেত্রে যদি প্রমানিত হয় যে, কোনও C/S ছাড়াই রোগীকে এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়েছে তবে ডাক্তার সাহেবের কম্ম সাবার। তাকে ক্ষতিপূরণ তো দিতেই হবে এবং ডাক্তারী লাইসেন্সও বাতিল হয়ে যেতে পারে। আর যদি তিনি C/S করেই সেই মতো ঔষধ দিয়ে থাকেন তবে তিনি বেকসুর খালাস কারন প্রতিটি এন্টিবায়োটিকের (সব ঔষধেরই) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই। তা এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতে যে সব রোগীরাই ভুগবেন এমন কোনও কথা নেই। হয়তো দেখা যাবে হাযারে ভুগছেন মাত্র একজন। উপরের উদাহরণে রোগীটির দূর্ভাগ্য যে তিনি সেই হাযারের একজন।

এমনটা কি আমাদের দেশে আদৌ সম্ভব?
মোটেও সম্ভব নয়, আমাদের আর্থ-সামাজিক এবং অশিক্ষা ও অজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে। উপরের আপনার উদাহরণটি দিয়েই বোঝাই --ঐ C/S পরীক্ষায় আপনার টাকা লাগবে ৪ থেকে ৫ শত। লাগবে কমপক্ষে ৭২ঘন্টা সময় অর্থাৎ তিন দিন। এখন টাকাপয়সা খরচ করে তিন তিনটি দিনের বেশী অপেক্ষা করে যদি আপনাকে ঔষধ নিতে হয় তবে ঐ তিন দিন প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রনা আপনি সইবেন ? আপনি তো চাইবেন তৎক্ষনাৎ প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রনা যেন দূর হয়ে যায়। আপনি যদি শিক্ষিত আর বুঝদার হন তবে হয়তো ঐসব পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যাবেন, ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করবেন রিপোর্টের। কিন্তু দেশের আর্থিক দৈন্যতায় পড়ে থাকা অগনিত রোগীরা কি তেমনটা করবেন বা তেমন সামর্থ্য আর ধৈর্য্য কি তাদের সবার আছে? তারা তো চাইবেনই ডাক্তারসাহেব যেন তক্ষনি একটা “হাই-পাওয়ার” এর এন্টিবায়োটিক লিখে দেন যাতে প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রনা মূহুর্তে উধাও হয়। ডাক্তার সাহেবেরও তখন অনুমান ভিত্তিক কিছু একটা না লিখে উপায় থাকেনা। নিজের পায়ে নিজেই কুড়োল কে মারতে চায়? ডাক্তার সাহেবেরাও ( আমাদের দেশে যার গলায় একটি ষ্টেথোস্কোপ ঝুলানো আছে, আমরা ধরেই নেই তিনিই ডাক্তার) চাইবেন না রোগী হাতছাড়া হবার ভয়ে!
সর্দিকাশি বা কিছু একটা হলেই এন্টিবায়োটিক না দিলে আমাদের দেশের সাধারন রোগীদের ধারনা, ডাক্তার সাহেব কোনও ডাক্তারই না। তারা চলে যাবেন ঔষধের দোকানে, সেখান থেকে ঔষধ বিক্রেতার পরামর্শে বা নিজের ইচ্ছেতে এক বা একাধিক এন্টিবায়োটিক কিনে নেবেন। এই তো আমাদের দেশের আনাচে-কানাচের চিত্র ?
এই চিত্র পাল্টবো আমরা কি করে ?

প্রেসক্রিপশান ছাড়া এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারে আমরা যতোই আইন করিনে কেন তা কি ফুলপ্রুফ হবে? যে দেশে আইনের প্রয়োগ নেই, নেই আইনের প্রতি সামান্য সম্মান প্রদর্শনের সদিচ্ছা সেখানে প্রেসক্রিপশান ছাড়া এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো যাবে কি?
উত্তরটি - কিছুতেই না ।

আর আইন হলেও আইনগুলোর মনিটরিং বা তদারকি করবে কে ? যত্রতত্র লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসী গজিয়ে ওঠার হাত থেকেই আমাদের যেখানে রেহাই নেই সেখানে এমন তদারকি কি করে সফল হবে?

দরকার, চিকিৎসক থেকে শুরু করে সবারই এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারের খুটিনাটি জানার, তা থেকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক প্রয়োগ ও সেবনের অভ্যেস তৈরী করা, অপ্রয়োজনে তা থেকে বিরত থাকা। এজন্যে সবার আগে চাই মানুষের সচেতনতা।

এই সচেতনতা জাগাতেই চেল্লাতে হচ্ছে বিশ্ব সংস্থাগুলোকে। এই এতোক্ষন ধরে চেল্লালুম আমিও…………………..


[ ছবির জন্যে ইন্টারনেটের কাছে কৃতজ্ঞ । ]



মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: সচেতন হওয়া ছাড়া তো আর কোনো উপায় নেই।
ডাক্তাদের হতে হবে অভিজ্ঞ।

১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,



আপনার কথার সাথে একমত।
ডাক্তাদের শুধু অভিজ্ঞ হলেই চলবেনা, হতে হবে বিবেচকও।

প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

পথিক প্রত্যয় বলেছেন: ভাল জিনিস জানলাম

১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পথিক প্রত্যয়,




আমার ঘরে স্বাগতম।
সব পর্ব পড়ুন অনুগ্রহ করে তবেই আরো ভালো কিছু জানতে পারবেন বলে প্রত্যয় রাখছি। এসব আপনাদের সচেতনতা বাড়াবে নিঃসন্দেহে।

শুভ কামনায়।

৩| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৫

করুণাধারা বলেছেন: আপনার চেল্লানি শুনলুম, একটু বুঝে নিয়ে তারপর কিছু বলব!

১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




আমার চেল্লানিতে কান ঝালাপালা তো ? কানটি ঝেড়েই না হয় আসুন....................

৪| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ব্যাক্টেরিয়াগুলো কি তবে অভিযোজিত হচ্ছে ? কেননা ওদের জীন এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হওয়ার কথা বলেছেন।

এদেশের ডাক্তাররা অকারণে উল্টাপাল্টা টেস্ট দেয়। আর সরকারী হাসপাতালে তো যে দশা ! ৪০ সেকেন্ড অন্তর অন্তর বিমান উঠানামা যেন ! রোগী আসে আর যায় !

এন্টিবায়োটিক এবং এর ভয়ংকর দিকসমূহ নিয়ে পূর্ণ ধারণা পেলাম। ডাক্তাররা জেনেও কতটা ক্ষতি করে চলেছে।

কয়েকদিন আগে একটা বিখ্যাত জার্নালে আপনার আলোচিত বিষয় নিয়ে পড়লাম। হাজারো ক্লিকের ভীড়ে লিংকটা হারিয়ে ফেলেছি। ওখানেও এমন কনসার্নের কথা বলা হয়েছে।

১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স,




ব্যাক্টেরিয়াগুলো যে অভিযোজিত হচ্ছে সে কথাই বলা হয়েছে।

ডাক্তারদের খুব একটা দোষ আছে কি ? আমি নিজে ডাক্তার বলে সাফাই গাইছিনে। অনেক আগের লেখা আমার পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন -- ।।চিকিৎসক- রোগী: একটি জটিল মনঃস্তত্ব ।। যদিও এখন দেখতে পাচ্ছি পোস্টটি আংশিক আছে। এডিট করে যে বাদ পড়ে যাওয়া অংশটুকু যোগ করে দেবো সেই "এডিট করুন" অপসনটিও পোস্টে নেই। দেখা যাক রিপোস্ট করবো না হয়।

এ বিষয়ে সতর্কতা তো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ করে আসছেন বহুদিন ধরেই। তাই অন্যান্য জার্নালেও এ বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্নতার খবর পেতেই পারেন।

সমস্ত পর্বে সাথে থাকার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ষ্টেমসেল ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্হা কি ক্রমেই এন্টিবাইোটিকের ভুমিকা কমায়ে আনবে?

১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,




"ষ্টেমসেল" সম্পূর্ন ভিন্ন প্রযুক্তি। এটা কোষ নিয়ে কারবার। এন্টিবায়োটিকের ভুমিকা কমাতে "ষ্টেমসেল" প্রযুক্তি নয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হয়তো কাজে আসতে পারে। অদূর ভবিষ্যতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর কারনে হয়তো মানুষের জীন ব্যাকটেরীয়াকে প্রতিহত করার গুনাবলী অর্জন করে ফেলতেও পারে।

৬| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ, পাকিষ্তান ও ভারত ছাড়া অন্য দেশের লোকেরা এন্টিবাইওটিকের বেলায় অনেক সচেতন।

১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,




ঠিক বলেছেন। তারা শিক্ষিত আর বুঝদার বলে।
আমরা একগুয়ে, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অসচেতন আর শিক্ষার কথা না হয় না-ই বললুম।

৭| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পোল্ট্রি এবং পশুখাদ্যর ব্যাপারটা মারাত্মক।

লেখায় বৃষ্টির ফোঁটার ন্যায় ঠান্ডা মুগ্ধতা.....

১৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স ,




পোল্ট্রি, পশুখাদ্য আর কৃষিপণ্যে যখন তখন এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার আসলেই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রেখেছে ভোক্তাদের।

আপনার ফিরে ফিরে আসাও ঝিরঝিরে বৃষ্টির মতোই ভালোলাগার.....................

৮| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
১ম রমযান থেকে এমন এক অসহ্য রোগে ভুগছি যে, শেষ পর্যন্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হল, তবে ডাক্তার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় আমায় এন্টিবায়োটিক মুখি না করে মোটের উপর হালকা-পাতলা ঔষধ দিল, কিন্তু ঔষধ শেষে আবারো যন্ত্রণা শুরু। আজ আফিস শেষে বাসায় এসে যখন রেস্ট নিচ্ছিলাম তখন আমার দূরাবস্থা দেখে পাশের বাড়াটিয়া আপু কিছু প্রাকৃতিক ঔষধ দেয়ার কথা বলল। দেখা যাক কী হয়। আশাকরি এতে কাজ হবে খুব।

আপনার পূর্বের পোষ্টগুলো শুধু পড়েই গেছি। কিছু কথে না পারার জন্য দুঃখিত। তবে আমি কিন্তু বিদেশি ধোঁয়ার কথা এখনো ভুলিনি দাদা =p~

শরীর স্বাস্থ্য কেমন আছে জানাইয়েন!

২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম,



হালকা পাতলা লোকের জন্যে হালকা পাতলা ঔষধ ..হা....হা... :D
ভাড়াটিয়া আপুর জড়িবুটিতে এখন মনে হয় সুস্থ্য আছেন।

পূর্বের পোষ্টগুলো শুধু পড়ে গেলেই হবে না , বিষয়গুলো জেনে নিজেকে সচেতন করতে হবে। যেমন নীচের ১৩ নম্বর মন্তব্যের উদাহরণে পুলক ঢালী র সচেতনতাই তাকে রেসিষ্ট্যান্ট এন্টিবায়োটিকের অহেতুক ব্যবহারের হাত থেকে অল্পতে রেহাই দিয়েছে।

আবার দেখা হলে বিদেশী ধোঁয়া............................ :P

৯| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এর আগের পর্বে আমার একটা প্রশ্ন ছিল। ওটার উত্তর কিন্তু পেলাম না।

১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম,



আপনার অভিযোগটি গুরুতর বলে নিয়ম এবং সৌজন্যবোধ ভেঙে আপনার এই মন্তব্যটির জবাব আগে দিতে হচ্ছে বলে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

আগের পোস্টে আপনার মন্তব্য ছিলো এরকম --- আমার মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আর তা' হলো সময় যতই লাগুক, ব্যাকটেরিয়া বিধ্বংসী নতুন নতুন এন্টিবায়োটিক তৈরির উৎস কী সীমিত হয়ে আসছে? তাহলে এক সময় যখন আর কোন উৎসই পাওয়া যাবে না, তখন তো মহা সর্বনাশ।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস।


১০ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৮ আমার প্রতি মন্তব্য ছিলো এরকম -

লেখক বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম,
ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্যে।
আপনার আশঙ্কার জবাব আসছে আগামী পর্বে।

আশা করি এই পর্বে আপনার জবাব পেয়েছেন প্রথম প্যারাতে, সরাসরি না হলেও।
সাথে থাকার জন্যে আবারও ধন্যবাদ।

১০| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:০১

বলেছেন: এন্টিবায়োটিকের পুরা সিজারিয়ান অপারেশন C/ S জানলাম সবকটি পর্ব পড়ে।

সুপ্রিয় ব্লগার,,,

এন্টিবায়োটিকের পুরা সিজারিয়ান অপারেশন C/ S জানলাম সবকটি পর্ব পড়ে।
অনেক সাবলীল ও স্বচ্ছ উপউপস্থাপনার ফলে কঠিন জিনিস সহজ লাগলো

তবে হতাশ হলাম এর ব্যবহার ও প্রয়োগে কিভাবে কমানে যায় সে বসাপারে উদাসীনতা কি পরিহার করার কোন জো নেই!!!

আগামীতে আরো ভালো কিছু জানার পত্যাশায় রইলাম।।

শুভ কামনা নিরন্তর।।

২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,




কঠিন জিনিসটি যাতে সহজ লাগে তেমন করেই গল্পের ছলে লিখেছি। নইলে কাঠখোট্টা আর নীরস লেখা আমরা কেউ সচরাচর পড়তে চাইনে, বিষয়বস্তু যতোই জানার মতো হোক না কেন! এটাই ব্লগীয় সত্য।
শেষ পর্য্যন্ত সাথে থাকার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।

চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু সহজ করে লেখার।
অফুরান শুভকামনা।

১১| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১:১৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর করে উপকারী মন নিয়ে জনসচেতনামূলক পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানলাম। ভাল থাকবেন আহমেদ জী এস ভাই।

২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন,




ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
অনেক কিছু জানাতে পেরেছি বলে লেখাটি সার্থক হলো মনে হয়। আসলে আমাদের অনেকেরই এই বিষয়ে জানা নেই বলে বিষয়টির খুঁটিনাটি জানাতে চেষ্টা করেছি যাতে আমরা ভুল ধারনাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারি।

ভালো থাকুন আপনিও!

১২| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দরকার, চিকিৎসক থেকে শুরু করে সবারই এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারের খুটিনাটি জানার, তা থেকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক প্রয়োগ ও সেবনের অভ্যেস তৈরী করা, অপ্রয়োজনে তা থেকে বিরত থাকা। এজন্যে সবার আগে চাই মানুষের সচেতনতা। সহমত।

২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন,




এই লেখাটি পড়ে যদি কারো সামান্যতম সচেতনতাও জেগে ওঠে তবে ভাববো লেখাটি সার্থক।

সহমতের জন্যে ধন্যবাদ।

১৩| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:০৮

পুলক ঢালী বলেছেন: জী এস ভাই, খুবই গুরুত্বপূর্ন লেখায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার কেন প্রয়োজন তা অনেক শ্রমব্যয় করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।

একটা উদাহরন দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা :D

আমার বা হাতে ছোট্ট একটা ফোড়া হয়ে পেকে যাওয়ার পর অনেক ব্যথা নিয়ে বসুন্ধরায় এপোলো হাসপাতালে গেলাম। অনেক ফি দিয়ে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে দেখাবার জন্য লাইনে ঘন্টা দেড়েক অপেক্ষা করে তারপর সাক্ষাৎ পেলাম। তিনি ফিজিক্যালি দেখে AMOXYCILLIN ট্যবলেট ৩টা করে ৭দিন খেতে দিলেন। আমি বললাম, ঠিক আছে এই ঔষধ খাবো তারপরও ফোড়াটা থেকে একটু PUS নিয়ে কোন ব্যাক্টেরিয়া এবং কোন ঔষধে কাজ হবে তা জেনে নিলে কেমন হয়? তখন তিনি টেষ্ট এবং কালচার করতে দিলেন। দেখা গেল ওটা Coagulas Negative Staphylococcus ৪টায় R এবং ৭টায় S । ৭দিন পর গেলাম তিনি রিপোর্ট দেখে বললেন, যে ঔষধ দিয়েছিলাম তাতে ওটা পুরোপুরি সারবে না আপনি এই ঔষধ খান বলে এজিথ্রোমাইসিন দিলেন। পরে সেরে যায়।
এরকম স্বনাম ধন্য হসপিটালে যখন এমন অবস্থা, তাহলে সারা দেশের সাধারন হাসপাতাল আর ক্লিনিকের কি অবস্থা? সর্ব অঙ্গে ব্যথা অষুধ দেবো কোথা? আপনার পরিশ্রমটা অরন্যে রোদনের মত হয়ে যাচ্ছে মনে হয়। :P
এখন আমরা কি করবো ? শরীরে ন্যানোবট ঢুকিয়ে চিকিৎসা কবে শুরু হবে সেই অপেক্ষায় থাকবো :D
নো মোর এন্টিবায়োটিকস! কারন এই যুদ্ধের যে শেষ নেই তা আপনিও বলেছেন :)

আমি খুব অবাক হই ব্যক্টেরিয়ারা কতবড় বিজ্ঞানী!? (আমাদের কোষকে নির্দেশ দিয়ে ওরা ওদের চাহিদা মত প্রোটিন বানিয়ে নেয়? ডিএনএ কোড বদলে দেয়? বাপরে বাপ!) ওদের চোখ নেই, নাক নেই, কান নেই, আর আমাদের সব থেকেও ওদের চেয়ে কত ছোট বিজ্ঞানী আমরা। সারা পৃথিবীতে মনে হয় এই জগৎ এবং স্পেসিস আমাদের খালি চোখে দেখা জগতের চেয়ে কয়েক কোটি গুন বড়। :D

ভাল থাকুন আহমেদ জী এস ভাই।

২২ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলক ঢালী,




দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় নিত্য ঘটে যাওয়া একটি জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ সহ চমৎকার মন্তব্য। এমন একটি মন্তব্য এই লেখাটির উদ্দেশ্যর পক্ষে একটি প্রমানিক দলিল হয়ে থাকলো।
আপনাদের মতো সচেতন মানুষদেরই যদি এই অবস্থায় পড়তে হয় তবে অসচেতন-অজ্ঞ-অসহায় মানুষদের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। আপনি বিষয়টি জানতেন বলে অল্পতে বেঁচে গিয়েছেন। যারা এসব জানেনই না, তাদের অবস্থাটা কি হতো?

এই লেখাটি আপনাদের সকলের জন্যে একটি বার্তা। এই লেখাটির প্রতি আপনাদের সকলের অকুন্ঠ সমর্থনে এই লেখক সবিশেষ কৃতজ্ঞ হয়ে রইলো।

না , এটা মনে হয় ঠিক নয় যে ব্যাকটেরীয়া আমাদের কোষকে নির্দেশ দিয়ে ওদের চাহিদা মত প্রোটিন বানিয়ে নেয় । প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেরাই নিজেদের পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে, এমন কথাই বলা আছে লেখাটির দ্বিতীয় পর্বে।

ভালো থাকুন আপনিও, থাকুন এমন করেই সচেতন আর এই সচেতনতা ছড়িয়ে দিন আপনার কাছের মানুষদের মাঝে।
শুভেচ্ছান্তে।

১৪| ২০ শে মে, ২০১৯ রাত ১:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এন্টিবায়োটিক এবং এর ভয়ংকর দিকসমূহ নিয়ে
পরিপূর্ণ একটি অসাধারন পোষ্ট ।
সরাসরি প্রিয়তে । বর্তমান প্রেক্ষাপটে পোষ্টটির
বহুল পাঠ একান্ত কাম্য । এটি সামুতে স্টিকি
হওয়ার দাবী রাখে ।

শুভেচ্ছা রইল

২২ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,




মন্তব্য দেয়া আর প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
বলেছেন, "বর্তমান প্রেক্ষাপটে পোষ্টটির বহুল পাঠ একান্ত কাম্য" । কিন্তু এই পাঠের কাজটি করবে কারা কারা ! একে তো ব্লগে ঢুকতেই অনেকেই হিমসিম খাচ্ছেন তার উপরে অনলাইনে ব্লগে উপস্থিতি নগন্য।
তাই একজন এটা পাঠ করে নিজেদের পরিবারের সবাইকে সচেতন করতে পারলে হয়তো বহুল পাঠের আক্ষেপটা থাকতোনা।

হ্যা... ষ্টিকি হতে পারতো। আগেও কেউ এই 'ষ্টিকি" হবার কথা বলেছিলেন।

ভালো থাকুন আর সুস্থ্য!

১৫| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয়। জনসচেতনতা সৃষ্টির যে প্রয়াস আপনি নিয়েছেন সেটি খুব সাবলিল ও সহজবোধগম্য হয়েছে। এখানেই পোস্টের স্বার্থকতা । মানুষ সচেতন হোক। আপনার উদ্দেশ্য সফল হোক।

২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,



হ্যা... রোগ-বালাই নিয়ে মানুষ সচেতন হোক।
আপনার এমন মন্তব্যে লেখাটি সার্থক হলো।

ধন্যবাদান্তে..........

১৬| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ১০ নাম্বার কমেন্ট এ আপনার বলা কাঠখোট্টা আর নিরস বিষয়ও আমি পড়তে ভালোবাসি B-))

যদিও Simplicity is the Ultimate Sophistication

২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স,



জেনে রাখা ভালো। জেনে রাখলুম..... :|

১৭| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৪০

করুণাধারা বলেছেন: এজন্যে সবার আগে চাই মানুষের সচেতনতা। সহমত। আপনার এই পোস্ট সেই সচেতনতা সৃষ্টিতে অনেকটাই অবদান রাখবে নিঃসন্দেহে। ব্লগাররা এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানলেন পোস্ট পড়ে, এখন তারা তাদের পরিচিতদের এটা জানাবেন...

আপনি ঠিকই বলেছেন, আইন করে অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে না কারণ রোগীরা তো দূরের কথা, অনেক ডাক্তাররা পর্যন্ত এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে উদাসীন। ১৩ নম্বর মন্তব্য পড়ে আমার মনে পড়ল, এমন ঘটনা আমার জীবনেও ঘটেছে । এই অবস্থার সহসা পরিবর্তন কিছু হবে, এমন আশা বোধহয় দুরাশা!

আপনার এই চমৎকার পোস্ট অন্তত কিছু মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে, এটা শুধু আমার আশা নয়, বিশ্বাসও!
ভালো থাকুন।

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,



ব্লগাররা এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানলেন পোস্ট পড়ে, এখন তারা তাদের পরিচিতদের এটা জানাবেন...
এটাই চেয়েছি এই লেখাটি পোস্ট করে। আসলে আমাদের অনেকেরই এই বিষয়ে জানা নেই বলে বিষয়টির খুঁটিনাটি জানাতে চেষ্টা করেছি যাতে আমরা ভুল ধারনাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারি।

১৩ নম্বর মন্তব্যের "পুলক ঢালী' মতো আপনারও একই ধরনের অভিজ্ঞতা। আপনাদের মতো সচেতন মানুষদেরই যদি এই অবস্থায় পড়তে হয় তবে অসচেতন-অজ্ঞ-অসহায় মানুষদের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়।

আইন করে কিছুই হবেনা যদি না আমরা নিজেরাই নিজেদের কথা ভেবে সচেতন হই।

আপনার "বিশ্বাস"টি বাস্তবেও অটুট থাকুক এমন প্রত্যাশা আমারও।
শুভেচ্ছান্তে।

১৮| ২৬ শে মে, ২০১৯ রাত ২:১৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে মাত্র ৮% আন্টিবায়োটিক ডাক্তারের উপদেশে বিক্রি করা হয়।
উন্নত বিশ্বেও এই সমস্যা আছে, তবে খবুই কম। কিছু কিছু দেশে অল্পকিছু চিকিৎসা (দাঁত ও ত্বকের) বাদে বাকীগুলো প্রায় ফ্রিতেই করা হয়, ইনসুরেন্সের আওতায়। বাংলাদেশে এমন কিছু আছে বলে শুনি নাই।

তাছাড়া যারা হাসপাতালে কাজ করে তারা কিছু না চাইলেও তাদের মধ্যে সাধারণত আন্টিবায়োটিক-রোধী ব্যাক্টেরিয়া উপস্থিতি থাকে বেশি।

এসব ব্যপারে ভাবা উচিত সকলের, সচেতনতা থাকা উচিত, তাই আপনার চিল্লাপিল্লা শুনলুম, বুঝলুম এবং এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে ডিমোটিভেটেড হলুম; এই উদ্দীপনা কদ্দিন থাকে সেটাই দেখার বিষয়।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।

২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক,




বাংলাদেশে ঐ সবের কিছুই নেই।
হাসপাতাল বা হেলথ কেয়ার ফ্যাসিলাটিজে যারা কাজ করেন শুধু তারাই নন, যারা ভিজিটরও থাকেন তারাও আন্টিবায়োটিক-রোধী ব্যাক্টেরিয়া বহণ করে আনতে পারেন, হতে পারেন আক্রান্ত। এটাকে "নসোকমিয়াল ইনফেকশান" বলা হয় । সে কারনেই বাচ্চাদের হাসপাতালে ভিজিটর হিসেবে আনতে নিষেধ করা হয়।

আমার চিল্লাপিল্লা শুনে তাতে কানে তুলো দিয়ে যে রাখেন নি, তাই ঢের!

"এই উদ্দীপনা কদ্দিন থাকে সেটাই দেখার বিষয়।"
এটা আমাদের মূখ্য চরিত্রের একটি। আমাদের জন্যে আদেশ-উপদেশ-ভালো কথা সবকিছুই - "যে লাউ সেই কদু!"

কৃতজ্ঞতা, পূনরায় এসে পোস্টের চিত্রটাকে আবারো চিত্রিত করার জন্যে।

১৯| ২৭ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

নীলপরি বলেছেন: এই পোষ্টটা পড়তে দেরী হয়ে গেলো । ঠিকই বলেছেন এসবের জন্য আইন তো দরকার । তবে সচেতনার দরকার ।

এই পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ

২৯ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি,




আইনের আগে দরকার সচেতনতা। মানুষ সচেতন হলেই তবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখে।

দেরীতে হলেও পোস্টটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখছি আগাম আগাম................

২০| ০১ লা জুন, ২০১৯ রাত ১১:২০

রাকু হাসান বলেছেন:

চিল্লাপিল্লা যথেষ্ট ভালো হয়েছে । একটু দেরিতেই পড়লাম । এসব বিষয়ে আপনার বিস্তর জ্ঞান ও এত সহজভাবে উপস্থাপন অবাক করছে । এই টপিকে আসি অনলাইনে আরও লেখা পড়তে চেষ্টা করছি ছিলাম(বাংলায়) তেমন বিশ্লেষণী,তথ্যপূর্ণ লেখা পাইনি । কাগজগুলোর জায়গার অভাবেই হোক আর নিতান্ত দ্বায়সাড়া ,একটু আদটুকু লিখে দ্বায় সাড়লেই হোক,আপনার পর্বটিই বেস্ট মনে হচ্ছে,আমর কাছে। বলেছেন আইন করলেই চলবে কঠার হাতে প্রয়োগ করতে হবে । এটা করাও উচিত। এই যে পর্বটা লিখছেন ব্লগ না হলে একজন পাঠক সহজেই আসতে পারতো ।গুগলে সার্চ করলে আসতো কিন্তু এখন ? এই সাধারণ অনুসন্ধানকারীরা তো এইসব ভিপিএন বুঝতে না । এতে বাংলাদেশের উপকার হতো না ! দু:খ লাগে। চিকিৎসকরাও নিরুপায়,রোগ তাড়াতাড়ি সাড়লেই ভালো,সেই চিকিৎসকই বেস্ট,সুনাম,ইনকাম দুইটায় হচে্ছ । তাদের দিকেই ছুটি । আর ফার্মাসি মালিকরাও সচেতন নয়।অতিরিক্ত লাভের আশায় জেনে,না জেনে বিক্রি করছে । স্বার্থ জড়িত । আসলে আমরা খুব স্বার্থপর ।

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাকু হাসান ,




বেশ দেরী হয়ে গেলো আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জবাব দিতে। দুঃখিত। নোটিফিকেশান থেকে শুরু করে ব্লগের অনেক কিছুই নড়বড়ে হয়ে যাওয়াতে এই বিপত্তি।

যেহেতু ব্লগে সবাই আসেন একটা "কোয়ালিটি রিফুয়েলিং" এর জন্যে। সেখানে ভারী ও কঠিন প্রবন্ধ টাইপের লেখা মনে হয় অনেকটা বিরক্তি উৎপাদন করে। তাই চেষ্টা করি "টেবল-টক" এর মতো করে আমার ফিচার টাইপ লেখাগুলো লিখতে, আপনাদের বোধগম্য উপায়ে বিষয়বস্তুকে সাজাতে যাতে একটা রিফুয়েলিং হয়ে যেতে পারে পাঠকের।

চিকিৎসক-রোগীর মনঃস্তত্ত্ব আসলেই আমাদের দেশে বেশ জটিল। সেটা বুঝতে পারলে আমরা অনেক ভুল ধারনা থেকে সরে আসতে পারতুম। ব্লগে অনেক আগে বিষয়টি নিয়ে আমি লিখেছিলুমও। কিন্তু ব্লগের টেকনিক্যাল কারনে বর্তমানে তার অধেকটা আছে আধেকটা নেই, দেখতে পাচ্ছি। সময় করে আবারও তার পুরোটা ব্লগে পোস্ট করতে আশা রাখি।

সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।

২১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মোট তিনটি পর্বে খুব চমৎকারভাবে ব্যাকটেরিয়াদের ক্রিয়াশীলতা এবং এ্যান্টি বায়োটিক্সের সঠিক ব্যবহারে মানুষের উপকার পাওয়া এবং বেঠিক ব্যবহারে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা সম্পর্কে গল্পচ্ছলে বুঝিয়ে গেলেন, এতে আমরা খুবই উপকৃত হ'লাম।
আপনার এ পোস্ট তিনটি এ ব্লগে আরো ব্যাপকভাবে পঠিত এবং আলোচিত হওয়া উচিত বলে মনে করি।
পোস্টে দশম প্লাস + +

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




"এ পোস্ট তিনটি এ ব্লগে আরো ব্যাপকভাবে পঠিত এবং আলোচিত হওয়া উচিত বলে মনে করি।"
ভালো লেগেছে আপনার এমন সচেতনতা। কিন্তু সে সুযোগ কই ? রিপোস্ট হতে পারে কিন্তু আলোচনা তো পাঠকদেরই করতে হবে! সেই পাঠক কি আর আছে তেমন ভাবে ?
ধন্যবাদ প্লাস দেয়াতে।

২২| ০৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার বন্ধ করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা ছাড়া আর কোন উপায় বাংলাদেশের হাতে নাই বলে মনে হচ্ছে। খাবারের মাধ্যমে যে এন্টিবায়োটিক শরীরে ঢুকছে সাধারণ মানুষ হিসেবে সেক্ষেত্রে আমরা কি সাবধানতা নিতে পারি?

০৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কল্পদ্রুম,



ঠিকই বলেছেন - এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার বন্ধ করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা ছাড়া আর কোন উপায় বাংলাদেশের হাতে নাই বলে মনে হচ্ছে।
আইন করে কিছছু হবেনা কারন আমরা আইনকে থোড়াই কেয়ার করি!
খাবারের মাধ্যমে যে সব কেমিক্যালস আমাদের শরীরে ঢুকছে তাও রোধ করা যাবেনা। রোধ করতে হলে আপনাকে সব্জীচাষ, হাসমুরগী পালন, গরুর খামার ইত্যাদি গড়তে হবে নিজে নিজে যেখানে আপনি কোনও ধরনের কেমিক্যালস ব্যবহার করবেন না। এছাড়া তো আর কোনও উপায় দেখিনে!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.