নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
ছবি - বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালিতোলা গ্রোইন পয়েন্টে যমুনা.......
ছোটবেলায় দেখেছি, পাঁচ সাত দিন একনাগাঢ়ে প্রায় সারা দেশ জুড়ে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। থামার কোনও বিরাম নেই। তবুও বন্যায় সারা দেশ ভেসে গিয়ে একটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে, এমনটা দেখিনি। আর এখনতো বৃষ্টি “ লোড শেডিং” এর মতো এখানে খানিকক্ষন তো ওখানে কিছুক্ষন ধরে চলেই আবার রোদের হাসিতে মিলিয়ে যাচ্ছে। ঢাকার মহাখালিতে বৃষ্টি হচ্ছে তো বনানীতে নেই। তেমনি ঢাকার কিছু অংশে বৃষ্টি হচ্ছে তো নারায়নগঞ্জে ফকফকা রোদ্দুর। সিলেটে বৃষ্টি হচ্ছে তো নোয়াখালিতে বৃষ্টি নেই। নেই অন্য কোথাও। একযোগে দেশের বেশীর ভাগ এলাকাতেই বৃষ্টির কথা এখন আর শোনা যায়না। শোনা যায়না একদমে পাঁচ সাত দিন ধরে চলা বৃষ্টির কথাও। তবুও কোথাও কোথাও ঘন্টা দুয়েকের প্রবল বর্ষনেই সৃষ্টি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। কেন এমন হচ্ছে, কারনগুলো ভেবে দেখার মতো।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত আর প্রবল বর্ষনে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারনে দেশের বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারন করছে এটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। জাতীয় দৈনিকগুলোতে এ নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে উদ্বেগজনক সংবাদ-
বন্যায় বিপর্যস্ত জামালপুরের ২ লাখ মানুষ
জামালপুর: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি ও যমুনার পানি বাড়তে থাকায় জামালপুরে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার ছয়টি উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ।
সামান্য ঠাঁই পেতে বাঁধে ছুটছেন বানভাসিরা
বগুড়া: কয়েক সপ্তাহ আগেও যমুনা শান্ত ছিল। কিন্তু বর্তমানের চিত্রটা একেবারে ভিন্ন। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে ফুলে ফেঁপে উঠেছে যমুনার পেট!
কুড়িগ্রামে বন্যায় ২৮৫ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ
কুড়িগ্রাম: পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পাশাপাশি নদী ভাঙনে মানুষ ভিটেমাটি হারানোসহ ভাঙছে বিভিন্ন স্থাপনা। জেলার নয়টি উপজেলার চরাঞ্চলের তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
হবিগঞ্জে পানিবন্দি শতাধিক গ্রামবাসী,
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে তিনদিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার আশঙ্কায় চাল ও টিন মজুদ রেখেছে জেলা প্রশাসন। খোয়াই নদীর পানি কমতে শুরু করলেও সর্বনাশা রূপ ধারণ করছে কুশিয়ার।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ডুবেছে শতাধিক গ্রাম
সিলেটের সাত উপজেলায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অন্তত শতাধিক গ্রাম। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনদুর্ভোগ...
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে
কুড়িগ্রামে আজ রোববার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে জেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন।
সামু ব্লগার “সৈয়দ তাজুল ইসলাম”ও ভাটির গ্রামগুলোর ডুবে যাওয়া আর তাদের রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট লিখেছেন।
এসব দেখে মনে পড়লো বেশ আগে লেখা আমার একটি পোস্টের কথা, যেখানে আমি আশঙ্কা করেছিলুম এমনটাই হবে একদিন- বর্ষাকালে তলিয়ে যাবে দেশ। শুকিয়ে মরুভূমি হবে গ্রীষ্মকালে। অতি সম্প্রতি সেই পোস্টটি পড়েই সহ ব্লগার
“ ঠাকুরমাহমুদ” অনুরোধ করেছেন আমি যেন লেখাটি আবার ব্লগে রিপোস্ট করি।
ঠিক রিপোস্ট নয়, খানিকটা পরিমার্জন করে তাই এই লেখাটির অবতাড়না।
***প্রতিবেশী দেশের খুঁড়ে দেয়া কবরে শায়িত বাংলাদেশ নামের লাশটির উপরে মুষ্ঠিমেয় বাঙালীরা এবার মাটি চাপিয়ে ভরাট করে দিচ্ছে কবরটি । এদের কি থামানো যায় না ?***
ডাইনিং টেবিলে নাস্তা খেতে বসে চোখ গেলো সকালে দিয়ে যাওয়া খবরের কাগজখানির দিকে । ভেতরের পুরো একটি পৃষ্ঠা জুড়ে চরম ভয়াবহ একটি বিষয়ের উপর অনেকগুলি সংবাদের দিকে চোখ আটকে গেলো । বড় বড় হরফে একটি শিরোনাম – “ এখানে এক নদী ছিলো” কাব্যিক এই শিরোনামের ভেতরে এক মহা-বিভীষিকাময় আর আতঙ্কিত হওয়ার মতো সংবাদটি টেনে নিয়ে গেলো আমাকে দু’দিন আগে রেলপথে চট্টগাম থেকে ঢাকা আসার দিনটিতে ।
রেলের কামরায় বসে আমার স্বভাব মতো জানালা দিয়ে বাইরে দেখছিলাম । আদিগন্ত বিস্তৃত শষ্যের ক্ষেত । সেখানে সবে ফুটে ওঠা সর্ষেফুলের চোখ ধাঁধানো রঙ হঠাৎ হঠাৎ । তার মাঝে দিয়ে এলিয়ে থাকা শীর্ণ পানির ধারা । যেন থাকতে হয় তাই থাকা । এগুলি একসময় শাখা নদী ছিলো । রাস্তার পাশ ঘেসে বয়ে চলা একসময়ের প্রশস্ত খালগুলি ভরাট হয়ে গাঢ় সবুজ ধানের বীজতলা হয়ে উঠেছে । কেবল এখানে ওখানে পানির ছোপ । মাটিতে ডুবে থাকা দু’একটা নৌকার গলুই মাথা তুলে আছে এখানে সেখানে । ভাবলাম শীতকাল তাই পানি নেই । কিন্তু এ দৃশ্য তো সব সময়ই দেখছি, যখোনই এই পথে গেছি কি শীতে কিম্বা বর্ষায় । এই পথে যতোগুলি কালভার্ট দেখলাম তার ৯৫% এর কোথাও পানি নেই । শুকনো মাটিতে আগাছার মাথা তোলা কিম্বা সব্জীর ক্ষেত । পথে যেতে আবার অনেক নদীর দেখা মেলে । দেখলেই বোঝা যায়, অনেক ভরা যৌবন ছিলো একদিন তাদের । এখোন জড়াগ্রস্থ, মৃতপ্রায় । লম্বা লম্বা রেলসেতুগুলির নীচের নদীতে ধানের ক্ষেত, বালির হাট , ইট-সুড়কির মেলা । যেটুকু পানির দেখা মিলছে, গুটিকয়েক বছর গড়াতেই উধাও হয়ে যাবে তাও । তখোন এই পথে যেতে যেতে আমারই মতো কেউ একজন আঙ্গুল তুলে তার সন্তানকে বলবে - “এখানে এক নদী ছিলো” ।
খবর কাগজের এই সংবাদটি নতুন কিছু নয় । তবে নতুন করে আবারো ভেবে দেখার সুয়োগ করে দিলো । মোট ৯টি শিরোনামে খবরগুলো একটি পুরো পৃষ্ঠা জুড়ে । এখানে লেখা চিত্র থেকে খুব সামান্য তুলে ধরছি আমাদের কোনও বোধদয় হয় কিনা তার জন্যে -
১) এখানে এক নদী ছিলো –
……নদীগুলোর গতিপথ বদলে যাচ্ছে । হারাচ্ছে নাব্যতা । নদী দখলের তোড়ে ভেসে গেছে নদীর জল । মরে গেছে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ভৈরব, কপোতাক্ষ । সেই সঙ্গে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে মাথা ভাঙ্গা, নবগঙ্গা, চিত্রা, কুমার, হরিহর, মুক্তেশ্বরী, ভদ্রা, শালিখা, বেত্রাবতী ।
জলাবদ্ধতা, লবনাক্ততা, আর্সেনিক বেড়ে যাচ্ছে । জীববৈচিত্র হুমকিতে । অপরিকল্পিত বাধ, পোল্ডার , স্লুইস গেট , সেতু রেল লাইন নির্মান এর কারন । শিল্পায়নের ধোয়া তুলে বুড়িগঙ্গা দখলের পরিনতি তো জানাই আছে । এখানেও তাই । আজ পরিনতি দেখে মনে হয় - এখানে এক নদী ছিলো একদিন ।
২) মরছে নদী -
খুলণার ডুমুরিয়া উপজেলার হামকুমড়া নদী । আঠারো বেকি , বেতনা, কাছিবাছা, শালতা , পশুর নদী । মরছে সবাই ধুঁকে ধুঁকে ।
৩) হারিয়ে গেছে ঘুংঘুর কালা -
কুমিল্লার ঘুংঘুর আর কালা ডুমুর নদী হারিয়ে গেছে । মরে গেছে ক্ষীরাই । দখল হয়ে গেছে ডাকাতিয়া ।
৪) বাঙ্গালী-করোতোয়া একই পথে -
বগুড়ার যমুনা,বাঙ্গালী, করোতোয়া মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে । নদীর বুকে চাষাবাদ, মাছের চাষ, কলকারখানার বর্জ্য, ময়লা আবর্জনা ফেলে নদীর দফারফা করা হচ্ছে । ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বাধ দেয়াও একটি কারন ।
৫) মরার পথে রংপুরের ২৭ টি নদী -
প্রমত্তা তিস্তা এখোন শীর্ণ খাল । আত্রাই, ইছামতি, পূনর্ভবা , ডাহুক, যমুনেশ্বরী, কাটাখালি এখোন ছোট ছোট জল ধারা ।
৬) নাব্যতা হারাচ্ছে বাঁকখালি ও মাতামহুরী -
কক্সবাজারের দুই প্রধান নদী । মরমী শিল্পীদের মুখে মুখে একদিন এই নদীগুলো নিয়ে গান ছিলো । ডেজিংয়ের অভাবে সে গান শুকিয়ে গেছে ।
৭) নদীতে এখোন আবাদ হচ্ছে -
নীলফামারীর ২২ টি নদী পানিশূন্য । শষ্যের আবাদ এখোন সেখানে ।
৮) নদী শাসনের শিকার সাতক্ষীরার ২৭ টি নদী -
নদী তীর দখল, নদী শাসন, স্লুইসগেট নির্মান আর চিংড়ি চাষের জন্যে ছোট ছোট ঘের নির্মান করে সাতক্ষীরার ২৭ টি নদীকে বাকরূদ্ধ করা হয়েছে ।
৯) চলনবিলের সেই আট নদী -
মরে গেছে চলনবিল । অপরিকল্পিত বাধ, মহাসড়ক , ক্রস বাধ, স্থাপনা নির্মান করে চলনবিলের চলা থামিয়ে দেয়া হয়েছে । বিলুপ্তির পথে এর বিশাল মৎস সম্পদ ।
সব মিলিয়ে শুধু ভয়ঙ্কর একটি ভবিষ্যতের ছবি মাথার ভেতরে খেলে গেলো । আমি কোনও বিশেষজ্ঞ নই । নদীর উৎসমুখে পলি জমে কিভাবে নদীর স্রোতধারা কমে আসে, কিভাবে নদী ভাঙ্গনে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয় আর এতে কি ভাবেই বা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়, কিভাবেই বা জীব-বৈচিত্র হারিয়ে যায়, কি ভাবেই বা অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা আদায় করতে হয় ইত্যাকার বিষয়ে আমার জানা নেই । শুধু জানি, নদী হারিয়ে যাচ্ছে । প্রাকৃতিক ভাবেই তা হোক কিম্বা প্রতিবেশী দেশের বৈরিতার কারনেই হোক, তা নিয়ে এ মূহুর্তে আমার মাথাব্যথা নেই । প্রকৃতির বিরূদ্ধে আমাদের করনীয় কিছু নেই । প্রতিবেশী দেশের বৈরিতার জবাব দিতে আমাদের রাষ্ট্রীয় শক্তি নেই, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নেই । কিন্তু যেখানে আমাদের করার আছে সেখানে চুপ করে আছি কেন ?
নদী দখল করে স্থাপনা নির্মান, নদী শাসনে অপরিকল্পিত বাঁধ প্রকল্প প্রনয়ন (যেমন পদ্মা ও যমুনার সংযোগকারী বড়াল নদের মুখের বাঁধ) , পরিনতির কথা চিন্তা না করে মহাসড়ক নির্মান, চিংড়ি ঘের নির্মান, নদীতে রাসায়নিক বর্জ্য উদগারন এগুলো কারা করছে ? প্রতিবেশী দেশের লোকেরা ? ভারত-পাকিস্তান-মিয়ানমার-নেপালের লোকেরা ? নাকি আমি আর আপনি ? নাকি সাধারন পাবলিক ?
যে ৫৪টি অভিন্ন নদী ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তার স্রোত নিয়ন্ত্রন করছে ভারত নিজের স্বার্থেই । এর ও উজানে রয়েছে নেপাল আর চীন । দেশের সব নদ-নদীগুলো দিয়ে বছরে প্রায় এক হাজার ৪০০ বিলিয়ন ঘনমিটার পানি বয়ে চলে বঙ্গোপসাগরের দিকে। এর মধ্যে ভারত থেকে আসা নদীগুলো বয়ে আনে প্রায় এক হাজার ৫০ বিলিয়ন ঘনমিটার পানি। বাকি ৩৫০ বিলিয়ন ঘনমিটার পানি দেশের অভ্যন্তরে আসে বৃষ্টিপাত থেকে । এই নদীগুলো কেবল পানিই বহন করেনা , করে বিলিয়ন বিলিয়ন টন পলি (সেডিমেন্ট)। নদী স্রোত এই পলি নিয়ে যায় সাগর অবধি । ভারতের কারনে স্রোতের ধার কমে গেছে অনেক । সে কারনেই পলি জমে জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এখানকার নদীগুলো । কেবলমাত্র গঙ্গা-ব্রহ্মপূত্র-মেঘনা নদী প্রবাহ দিয়ে বয়ে আসে প্রায় ৩ বিলিয়ন টন পলি, যা বিশ্বের সকল নদী পথে বয়ে আসা পলির এক-তৃতীয়াংশ । এই পলি বা সেডিমেন্টের শেষ গন্তব্য বঙ্গোপসাগর । অর্থাৎ বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে এই বিপুল পলি স্রোতের সাথে ভেসে যাচ্ছে দক্ষিনে । এই একটিই পথ ।
পানি সল্পতার কারনে নদীতে স্রোত নেই তাই পলি সরছেনা । এতে নদীগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে অকালবন্যা। ড্রেজিঙ এর অভাবে জমে থাকা এই বিশাল পলি সরিয়ে নদীকে “ নদী আপন বেগে পাগল পারা ...” করা যাচ্ছেনা । দেশে ড্রেজার আছে নাকি ৬খানা । প্রয়োজন ৫৪ বা ৫৫ টি ড্রেজারের । ৯ খানি ড্রেজার নির্মানাধীন । এগুলো কয়েক বছর আগেকার হিসেব। যতোদূর জানি, এর অনেক বছর পরে ২০১৫ কিম্বা ২০১৬ সালে নাকি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ৩৫ খানা ড্রেজার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেনা যে হয়নি তা বোঝা যায় যখন এ সম্পর্কে অনেক জায়গাতে খুঁজেও কিছু পাইনি। আবার দেখছি, ২০১৮ এর অক্টোবর ২০ তারিখের “আলোকিত বাংলাদেশ” পত্রিকা লিখেছে ,সাড়ে চার হাযার কোটি টাকায় ৩৫টি ড্রেজার ও সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় তোলা হচ্ছে বলে পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছেন। অনুমোদন পেলে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ড্রেজারগুলো বহরে যোগ করবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বিআইডব্লিউটিএ। হায়রে !!!! ড্রেজারের হদিশ ড্রেজিং করেও পাওয়া গেলোনা এখনও।
আর এতো সব গড়িমসির কারনে শক্তিশালী কারো কারো পোয়াবারো হয়েছে । নদী শুকোতে শুরু করতে না করতেই তাকে ভরাটের আয়োজন শুরু করে দিয়েছে তারা । যে যেভাবে পারছে, ভরাট করে জায়গা দখলের খেলায় মেতেছে । এভাবেই ঢাকার বুড়িগঙ্গা, বালু নদী দখল হয়ে গেছে । শীতালক্ষ্যাও যায় যায় । এগুলো তো আমাদের চোখের সামনেই হচ্ছে । ভারত, নেপাল নাকি চীনকে দোষ দেবেন ?
পানি বিশারদ থেকে শুরু করে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সোচ্চার অনেকদিন থেকে এর ভয়াবহ পরিনতি কি হতে যাচ্ছে তা নিয়ে । বুড়িগঙ্গার শোচনীয় হাল দেখে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো যেখানে বলা হয়েছে, বুড়িগঙ্গা নদী দূষণের জন্য দায়ী মূলত শিল্পবর্জ্য। নদীতে পড়া বর্জ্যের ৬০ শতাংশ শিল্পখাতের। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ ট্যানারি, ২০ শতাংশ অন্য শিল্পের। এর বাইরে ১৫ শতাংশ কঠিন বর্জ্য, ১৫ শতাংশ অন্য ও ১০ শতাংশ নৌযান বর্জ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিদিন ঢাকা শহরের চার হাজার ৫০০ টন আবর্জনা ও ২২ হাজার লিটার বিষাক্ত ট্যানারিবর্জ্য পড়ছে।
বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন হয়েছে , হচ্ছে । কতোটুকু কি হবে জানিনা । খুব একটা যে কিছু হবেনা বোঝা যায় । কারন দখলের হাতগুলো উপর তলার, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনযন্ত্রের সুবিধাবাদীগোষ্ঠির মদদপুষ্ট, সরকারী সংস্থাগুলোর আনুকুল্যে টেবিলের নীচের আদান-প্রদান সিদ্ধ । নইলে লেক থেকে শুরু করে হাওড়–বাওর আর নদীতীরের পানি সহ সরকারী জমি বাপ-দাদার আমলের পাওয়া কিম্বা শ্বশুড়ের দেওয়া হয় কি করে ? গুলশান লেক মরতে মরতে খানিকটা বেঁচেছে । ভাগ্যিস পরিবেশবাদী আর প্রতিবাদী এলাকাবাসীরা ছিলেন ! সরকার ঢাকা ও আশেপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করতে ইদানীং কঠোর অবস্থান নিলেও পেরে উঠছেন না খুব একটা। দোর্দন্ড প্রতাপ দখলকারীরা সরকারী কাজে বাঁধা দিচ্ছে যখন তখন। এতে নদীকে দখল থেকে মুক্ত করতে কালক্ষেপন হচ্ছে অযথা। ট্যানারীগুলো বুড়িগঙ্গার ধার থেকে সরেছে বটে তবে সাভারের ধলেশ্বরী নদী, যেখানে নতুন করে গড়ে উঠেছে ট্যানারী তার বর্জ্যে ধলেশ্বরী আর একটি বুড়িগঙ্গা হতে সময় নেবেনা মোটেও।
ওদিকে পাকিস্তান, ভারত, নেপাল আর ভুটান মিলে সিন্ধু, গঙ্গা , ব্রম্মপূত্র , ইরাবতী নদী সমৃদ্ধ হিমালয় অঞ্চলে ৫৫২টি হাইড্রো-পাওয়ার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে অনেকদিন আগে থেকেই। এর মধ্যে অনেকগুলিই তৈরী হয়ে গেছে , অনেকগুলি নির্মানাধীন । টিপাইমুখ তার একটি । এতে করে পদ্মা-যমুনা আর মেঘনা দিয়ে আসা পানির পরিমান আরো কমে যাবে । পদ্মা-যমুনা তো শেষ । এবার ধীরে বইবে মেঘনা । সমস্ত দক্ষিনবঙ্গ পলিতে ভরে যাবে । আর টিপাইমুখী বাঁধের কল্যানে সিলেট সহ উত্তর-পূর্ববঙ্গ মহাশ্মশানে পরিনত হবে । আন্তর্জাতিক দরবারে “ধণ্যা” দিয়ে কিছু একটা পাওয়ার আশায় সময় ক্ষেপনের সময় কি আছে আমাদের ?
প্রতিবেশী দেশের খুঁড়ে দেয়া কবরে শায়িত বাংলাদেশ নামের লাশটির উপরে মুষ্ঠিমেয় বাঙালীরা এবার মাটি চাপিয়ে ভরাট করে দিচ্ছে কবরটি । এদের কি থামানো যায় না ?
যায় হয়তো কিন্তু যারা করবেন তারা করছেন না । কেন করছেন না ? কারন তাতে যে তাদের দখল করা বিঘার পর বিঘা জমি ছেড়ে দিতে হয় । যতোদুর মনে পড়ে, রাজউককৃত ঢাকা মহানগরের তৃতীয় মাষ্টার প্লানে, এর হারিয়ে যাওয়া নদী আর খালগুলিকে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব ছিলো রাজধানীকে জলাবদ্ধতা আর ভুমিকম্প থেকে বাঁচানোর জন্য । কাজ ও এগুচ্ছিলো । বন্ধ হয়ে গেছে সে প্রকল্প । কেন ? পত্রিকায় দেখেছি, প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত এক মহারথীর জমি নাকি তার ভেতরে পড়ে গেছে । তাই পুরো প্রকল্পের কাজটিই বাদ ।
এসব হলো জলাবদ্ধতার রাজনৈতিক অর্থনীতি বা বলতে পারেন জলাবদ্ধতার অর্থনৈতিক রাজনীতি। ব্যাপারটা খোলাসা হবে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, ড. মইনুল ইসলামের সাম্প্রতিকতম একটি লেখায়। লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে ১১ জুলাই ২০১৯ এর দৈনিক “সমকাল” পত্রিকায়।
সুপ্রিয় পাঠক, ঠান্ডা মাথা নিয়ে বসুন । আপাতঃ গায়ে লাগছেনা, এই এমোন বিষয়টি নিয়ে গভীর করে ভাবুন । হয়তো বলবেন, কি হবে ? দেশ মরুভূমি হয়ে যাবে , এইতো ?
( নদী শুকিয়ে গেলে কি হয় প্রসঙ্গে এই লিঙ্কটি দেখে নিতে পারেন -কষ্টে শুকিয়ে যাওয়া এক সাগর )
বলবেন, আরবের মরুভূমিতে কি মানুষ থাকেনা ? সাহারা মরুভূমিতে কি মোটেও মানুষ নেই ? আছে অনেক মানুষ আছে ! সেখানে কেউ নদী ভরাট করে মরুভূমি বানায়নি । আরবের মরুভূমি এখোন স্বপ্নের দেশ । ঐশ্বর্য্যের আর সবুজের ছড়াছড়ি সেখানে । সাহারা মরুভূমিতে সবুজের সমারোহ আর ফসল দেখেছি আমি । কিন্তু আমাদের ভৌগলিক অবস্থান কি ওদের মতো ? ওদের কি নদী আছে তেমন একটা ? নেই । আমাদের আছে, আর তা দিয়ে পানি সাগরে পড়ে । ভূ-তাত্বিক ভাবে আমরা একটি “বেসিন” এলাকায় বাস করি । এই বিষয়টা মাথায় রাখুন । দেশ যদি শুধু মরুভূমি হয়েই যেতো তা না হয় দাঁত কামড়ে মানা যেতো ! কিন্তু শুধু কি মরুভূমিই হয়েই থেমে থাকবে দেশ ? মোটেও না ।
উষ্ণায়নের কারণে ধারণার চেয়ে দ্রুতগতিতে গলছে হিমালয়ের বরফ। গত ৪০ বছরে হিমালয়ের বরফ গলার হার দ্বিগুণ হয়েছে। এখন প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৮০০ কোটি টন বরফ গলছে। এই যে প্রতিবছর ৮০০ কোটি টন বরফ কমছে, তা দিয়ে অলিম্পিকে ব্যবহৃত সুইমিংপুলের মতো ৩২ লাখ পুল ভরাট করা সম্ভব।
হিমালয়ের হিমবাহ গলে যে পানি নামে প্রতি বছর, বর্ষামৌসুমে যে পানির ঢল বয়ে যায় তাতেই আমরা বন্যায় ভাসতে থাকি বছরের অনেকটা সময় জুড়ে । নদীগুলো দিয়ে এখোনো পানি নেমে যেতে পারে বলে রক্ষা । সব নদী যখোন বুক চিতিয়ে ভরাট হয়ে যাবে, যা আমরাই করে ফেলবো অতি দ্রুত, তখোন গঙ্গা- ব্রহ্মপূত্র দিয়ে নেমে আসা পানি কোথায় যাবে ? ভারত বন্যার পানি সরাতে তাদের সব ক’টি স্লুইসগেট সারা বর্ষাকাল জুড়ে খুলে রাখবে, রেখেছেও গত ক'দিন ধরে । কারন সকল পানিকে বাংলাদেশের উপর দিয়েই বয়ে যেতে হবে দক্ষিন সাগরে । বর্ষা মৌসুমে পরিনতিটা কি ভয়ানক হবে, একবার ভাবুন । এখোন বন্যার পানিতে ঘরের খাট পর্য্যন্ত ডুবে যায় । তখোন বন্যার পানি ছাড়িয়ে যাবে ঘরের ছাদ-টিনের চাল । আক্রান্ত এলাকার ব্যাপ্তি হবে সমগ্র বাংলাদেশ । অথৈ পানিতে ভাসবে সব । বর্তমানে যে বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে এ তারই আলামত। এটা ঘটতে থাকবে ঘন ঘন।
সবটা মিলিয়ে যে চিত্র আমরা দেখছি তাতে আমরা মরবো দু’ভাবে - শুষ্ক মৌসুমে মরুভূমিতে আর বর্ষাকালে ভয়াবহ বন্যায় । একবার চরম আবহাওয়ায় আর একবার পানিতে ।
আর অদুর ভবিষ্যতে এইরকম ভয়ঙ্করতা নিয়ে যা ঘটবেই তার জন্যে আমরাই দায়ী থাকবো অর্ধেকটা । কেন যে আমরা নিজেরাই ডেকে আনছি নিজেদের মরন !
এখান থেকে কি আমরা ফিরতে পারিনা ?
সে বোধদয় আদৌ কারো হবে কি !
১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
জ্বী.... সবই হবে, চাঁদ দেখার যন্তর মন্তরও কেনা হবে, শুধু হবেনা আমাদের দুর্গতিনাশী স্বপ্ন কেনা।
প্রথম মন্তব্যের জন্যে অজস্র ধন্যবাদ।
২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
সময়োপযোগী, তত্ত্ববহুল একটি লেখা; ধন্যবাদ।
পোস্টের প্রথম ছবিটাই পুরো পোস্টকে এক লাইনে ব্যাখ্যা করতে যথেষ্ট। আমাদের নদী কমিশন আছে, পানিসম্পদমন্ত্রণালয় আছে; কিন্তু নদী নিয়ে ভাবনার, গবেষণার সময় কারো নেই।
নাকি যোগ্যতা নেই!!
প্রতি বছর এই সময়ে দেশের প্রধান নদীগুলোতে বৃষ্টির পানি উপচে পড়ে। এসব পানির উৎস আমাদের দেশে না হলেও বঙ্গীয় দ্বীপের ঢালু অঞ্চলে আমার বসবাস হওয়ায় আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হই। আসাম, নেপাল, তিব্বতের একটি অংশের বৃষ্টির পানি বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে।
এজন্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিকভাবে এ সমস্যাটি মোকাবেলার কোন বিকল্প নেই। অথচ, ভারত সরকার এ বিষয়ে আমাদের কোন প্রকার সহযোগিতা করছে না। অন্য দেশগুলোও এগিয়ে আসছে না। এগুলোর একটি যুক্তিসংগত সমাধান না হলে বাংলাদেশ কখনো বন্যা মুক্ত হবে না। প্রতি বছর ঘরবাড়ি তলিয়ে যাবে, গরীবরা নিঃস্ব হবে, ক্ষেতের ফসল হারিয়ে কৃষকরা আহাজারি করবে, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্তা ভেঙ্গে পড়বে।
১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,
আমাদের সবই আছে তবে কেতাবে।
আমাদের নদী কমিশন আছে, পানিসম্পদমন্ত্রণালয় আছে;
কিন্তু ভিশনারী কেউ নেই। মিশনারী আছে তবে সে মিশন ভিন্ন! তাই নদী নিয়ে ভাবনার, গবেষণার সময় কারো নেই।
নীচে সম্মানিত ব্লগার "জুন" এর মন্তব্য দেখার অনুরোধ করছি। সেখান থেকে হয়তো বুঝতে পারবেন, আমাদের যোগ্যতা আছে কি নেই।
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিকভাবে এই পানি সমস্যার সমাধানে যে কূটনীতি বা কলজের জোর লাগে আমাদের তা নেই।
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মুল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট , সরাসরি প্রিয়তে ।
বাংলাদেশের নদীগুলি দিয়ে পানি প্রবাহের পরিমান ও সেডিমেন্টশন সম্পর্কে পরিসংখ্যান সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করেও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান সংগ্রহ করতে পারছিলাম না । নিরোপায় হয়ে আমার স্কুল জীবনের ক্লাশমেট বাংলদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিং বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর সহিত ফোনে কথা বলছিলাম । তাকে আজকে সামুর পাতায় পদ্মা নদীর উপরে প্রকাশিত আমার লেখাটি দেখে তার মতামত দেয়ার কথা বলি । সে সময় পেলেই অনলাইন ভিজিটর হিসাবে মাঝে মধ্যে সামুর লেখা পাঠ করে । আমার লেখাটি দেখতে গিয়ে প্রথমেই সে আপনার লেখার সাক্ষাত পেয়ে আমাকে বলে আপনার লেখাটিতেই নাকি আমার প্রশ্নের অনেক উত্তর দেয়া আছে । তার সাথে কথা সংক্ষিপ্ত করে এসে দেখি তাইতো । সময় নিয়ে এটা পড়ব বলে প্রিয়তে তুলে রাখলাম । আমি স্লো- লারনার, বুঝতে বেশ সময় লাগবে । তাই ভাল করে পাঠের পর আবার আসব আলোচনার আসরে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
আমার নেট স্লো তাই বেশি কিছু বলা গেলনা। তাই আপনার পরবর্তী মন্তব্য না পড়ে এখানে কিছু আলোচনা থেকে বিরত রইলুম।
অপেক্ষায়..................
৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৮
ল বলেছেন: আফসোস এসব দেখার কেউ নেই--------
১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,
এসব দেখার লোক আছে তবে অন্য কারনে................
আফসোস তো আমাদের নিত্য সঙ্গী , থাকবেই!
৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ব্যাত্তিগত ভাবে আমরা প্রতিটি মানুষ আমরা নিজেদের স্বার্থ আগে দেখবো, নদী ভরাট হোক, নদী মারা যাক কি আসে যায় তাতে। নদীর পাড় ভরাট করে মিল কল কারখানা মসজীদ-মাদ্রাসা মন্দির গীর্জ করবো, তাতে পেশী শক্তি-রাজনৈতিক শক্তি ও আর্থীক শক্তি সহ যতো ধরনের শক্তি আছে তা ব্যায় করবোই করবো, তবে নদী ভরাট করে দেশ দখল করে ছাড়বো - ইনশাল্লাহ (সাচ্চা মুসলমান হিসেবে একটু আধটু ধর্মও জড়াবো) - এখানে কোনো ছাড় নেই।
ভাষন দেওয়ার বেলায় গলার রগ ফুলিয়ে ঘাড় ত্যাড়া করে এক পশলা বিরোধী দলের দোষারোপ করে বক্তৃতা দিবো তবে খোঁজ নিলে জানা যাবে আমিই দেশের প্রধান শত্রু!!!
*** **এই দেশটাকে বিরোধী দল আর সরকারী দলই তরমুজের মতো কামড়িয়ে কামড়িয়ে খেয়েছে - আর তাদের ছত্র ছায়ায় পালিত সরকরী অফিসার ও নুডলস মার্কা এনজিও। আর আমরা আম জাম যধু মধু কদু জনতা - সাধরণ মানুষ ভদ্রলোকের বেশ ধরে ভদ্রতার বুলি আওড়াতে আওড়াতে দুই চারটা জ্ঞান গুণের বাণী ছেড়ে ভাববো আহঃ মুই তো দেশ উদ্ধার করে দিছি - এক্কেবারে
১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
..........তবে খোঁজ নিলে জানা যাবে আমিই দেশের প্রধান শত্রু!!! এর চেয়ে নির্মম সত্য আর কিছু নেই।
শুধু বিরোধী বা সরকারী দলই নয়, অবিরোধী - অসরকারী, ক্ষমতাধারী- অক্ষমতাধারী, সুশীল-অসুশীল, নীতিবাগিশ- অনীতিবাগিশ সবাই মিলে যে যেভাবে পেরেছে তরমুজের মতোই কামড়ে কামড়ে খেয়েছে দেশটাকে। একটা জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই যখন স্বার্থসর্বস্য হয়ে ওঠে তখন আম জাম যধু মধুদের বানের জলে ভেসে যাওয়া ছাড়া কপালে আর কিছু লেখা থাকেনা!
নির্মম সুন্দর মন্তব্যে প্লাস।
৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০৪
জুন বলেছেন: থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভুমিবল আমাদের বাংলাদেশ থেকে শিখে গিয়েছিলেন ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এটা কিছুদিন আগে আমাদের দেশে আসা তার কন্যা মহাচাক্রী শ্রিনির্ধনও বলে গেছেন । বলেছেন কি ভাবে সেই শিক্ষাকে স্বার্থক ভাবে প্রয়োগ করে তার পিতা নিজ দেশকে সুজলা সুফলা করে গিয়েছেন । তার পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে বানিয়েছেন আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য ওয়াটার রিজারভয়ার যেগুলোতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখে, রাখে বর্ষায় নদীর উপচে পড়া জল । তারপর ও প্রচুর বৃষ্টিতে ভাসে দেশ কিন্ত সেটা বেশিক্ষন স্থায়ী হয় না নদীর নাব্যতার জন্য সাথে উন্নত ড্রেইনেজ ব্যাবস্থার জন্য । আমাদের থেকে শিখে একটি জাতি কই গেলো আর আর আমরা নিজেরা কি করলাম !
পোষ্টে প্লাস
+
১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
থাইল্যান্ডের রাজা ভুমিবল যে একজন আগাগোড়া দেশপ্রেমিক সেকথা আপনার অনেক পোস্টেই পড়েছি। আমাদেরই পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে উনি কেমন করে যে তাঁর দেশকে সবুজ বানিয়েছেন, বন্যা নিয়ন্ত্রন করেছেন সে কথাও এসেছে আপনার অনেক লেখাতেই।
আমাদের শ্বান্তনা ঐটুকুই।
আর নিজের দেশে আমরা ব্যবস্থাপনা নয়, মহাব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত। দু'কোদাল মাটি ফেলে কোটি টাকা লুটপাটের মহাব্যবস্থাপনা! পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েব সাইটে শুধু কোথায় কোথায় বেড়ী বাঁধ, কোথায় পানি ব্যবস্থাপনায় কতো শত কোটি টাকার প্রজেক্ট নেয়া হয়েছে তার ফিরিস্তি। আবার সে বেড়ী বাঁধ কতো বার সংস্কার করা হয়েছে দেখবেন তাও। কারন যে দু'মুঠো মাটি ফেলেছেন তা নদীর বানেই তো ভেসে গেছে, আপনার তো কিছু করার নেই! নদী আর পানির সাথে ইয়ার্কি ? বাঁধ- ড্যাম করেছেন তা ভাসিয়ে দিয়ে যাচ্ছে আশেপাশের নীচু জমি। এসব নিয়ে প্রজেক্ট..প্রজেক্ট...আর প্রজেক্টের ছড়াছড়ি। আসল কাজের কিছু নেই। মানুষের অভিযোগই আছে শুধু। ড্রেজিং ও ড্রেজারের স্বপ্ন কাহিনী তো পোস্টেই দেয়া আছে, নতুন করে বলার নেই কিছু।
থাইল্যান্ড পারলে আমরা পারছিনে কেন, এমন প্রশ্ন এসেই যায়। সে প্রশ্নই রাখছি - জনতার কাছে...................
৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫১
করুণাধারা বলেছেন: ছোটবেলায় বাক্য সংকোচন শিখেছিলাম, "নদী মাতা যার- নদীমাতৃক"! সেই নদীমাতৃক কী? আমাদের বাংলাদেশ। তখন জানতাম, সারাদেশে জালের মত ছড়িয়ে থাকা নদীগুলো মায়ের মত মমতায় আমাদের লালন করছে। এই নদী গুলোর কারনেই আমাদের দেশ সুজলা- সুফলা- শস্য- শ্যামলা; আর আমাদের পরিচিতি হয়েছে মাছে ভাতে বাঙালি বলে...
অথচ ব্যক্তি স্বার্থে লোভের বশবর্তী হয়ে নদী ভরাট করে ফেলছি আমরা। আপনি যে মরুকরণের ছবি আঁকলেন, সেই মরুর দেশে আমাদের আগামী প্রজন্ম কি ধারণা নেবে আমাদের সম্পর্কে? আপনি যেভাবে বলেছেন, নিয়মিত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা বজায় রাখতে পারলে সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে। সমস্যা হচ্ছে, সমস্যা সমাধানের ইচ্ছেটা কর্তৃপক্ষর নেই।
আমারও একটা পুরনো পোস্ট ছিল নদী মরে যাওয়া নিয়ে। সেখান থেকে কিছুটা এখানে তুলে দিলাম:
তাহলে নদীরা কি এভাবে মরতেই থাকবে? না, আমাদের সচেতনতা নদীকে বাঁচাতে পারে। নদী বাঁচানোর জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ করে গঙ্গা ও তিস্তা নদীর মৃত্যু রোধ করা সম্ভব। আমাদের দেশীয় আইন দিয়ে নদীকে দখলদারিদের এবং দূষণকারীদের থেকে বাঁচানো সম্ভব। আমাদের সংবিধানের ১৮( ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, "দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা করতে রাষ্ট্র সদা সচেষ্ট থাকবে।" পরিবেশের সুরক্ষার জন্য আমাদের বেশ কিছু আইন আছে যেমন ২০১০ সালে প্রণিত পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং ২০১৩ সালে প্রণিত পানি আইন ও নদী উরক্ষা কমিশন আইন যাতে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও নিরসন করে পরিবেশ সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পৃথিবীর যে অল্প কয়টি দেশে আলাদা পরিবেশ আদালত আছে বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। সুতরাং কোন নদী যদি দখলদার কবলিত হয় বা দূষিত হয় তবে ভুক্তভোগীরা পরিবেশ আদালতে বিচার চাইতে পারেন। সুবিচার হলে নদী বেঁচে যেতে পারে।
বিচার চাইতে পারি, আমরা সুবিচার আশা করতে পারি কি!!
১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
সমস্যা হচ্ছে, সমস্যা সমাধানের ইচ্ছেটা কর্তৃপক্ষর নেই।
এই একটি বাক্যেই সকল সমাধানের করুন সমাপ্তির সুর।
আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ করে গঙ্গা ও তিস্তা নদীর মৃত্যু রোধ করা সম্ভব।
নতজানু পররাষ্ট্রনীতি আর মেরুদন্ড নরম হওয়াতে এর কিছুই করা সম্ভব নয়।
সংবিধানে তো সবকিছুই লেখা আছে। একটি রাষ্ট্রের সংবিধান থাকতে হয় বলে আছে। সে সংবিধান কি আপনার-আমার জন্যে? আমি নিজেও জানিনে ঐ সংবিধান আসলে কাদের জন্যে!
বিচার চাইতে পারি, আমরা সুবিচার আশা করতে পারি কি!!
বিচার চাওয়ার মতো অবস্থায় কি জনগণ আছে? "রোটি-কাপড়া ঔর মকান" এর জন্যে যে জনগোষ্ঠীকে ঘোড়দৌঁড় দৌঁড়ুতে হয়, সে বিচার চাইবে কখন ? কার কাছে ? বিচার চেয়ে যদি কালক্ষেপন ব্যতিরেকে সুবিচার পাওয়া যেতো তবে ছোট্ট শিশুগুলোকে কি পশুচিত অমানুষিক কারনে মরতে হতো?
( ঠিক মনে পড়ছেনা আপনার ঐ পোস্টটি দেখেছি কিনা! )
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১২
মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: সবাই যার যার নিজ স্বার্থ চিন্তা করে আজ দেশের অবস্থা এই দাড়িয়েছে। পোষ্টে লাইক ও প্রিয়তে রাখছি। জীবনের অসংখ্য সময় এই পোষ্ট প্রয়োজন পরবে। দুঃখ করা ছাড়া কি করার আছে বুঝতে পারছি না।
১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মৃন্ময়ী শবনম ,
দুঃখ করলে আরো বিপদ বাড়বে। দুঃখে আপনার আমার চোখের জলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে!
একটা জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই যখন স্বার্থসর্বস্য হয়ে উঠে দেশের বারোটা বাজায় তখন দুঃখ না করে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখাই ভালো। এটাই নিরাপদ।
পোষ্টে লাইক দেয়া আর প্রিয়তে রেখেছেন দেখে ভালো লাগলো। কৃতজ্ঞ।
৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৪৭
এমজেডএফ বলেছেন: প্রথমেই সময়োপযোগী তথ্যবহুল চমৎকার লেখাটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঔপন্যাসিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ তাঁর রচিত বিখ্যাত "তিতাস একটি নদীর নাম" গ্রন্থে আজ থেকে প্রায় ৬৫ বছর আগে ১৯৫৬ সালে বর্ণনা করেছিলেন কিভাবে একটি নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে আশাপাশের মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠে। অথচ আমরা জ্ঞানী সমাজ এখনও সচেতন হইনি, এগিয়ে আসিনি কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে!
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারটি এখন আর অস্বীকার করার উপায় নেই। সারা বিশ্বে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। চরমমাত্রার (extreme) তাপদাহ, দাবানল, বন্যা, খরা, তুষারপাত এখন সারা বিশ্বে নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার। আমাদের দুর্ভাগ্য যে বাংলাদেশের বেশিরভাগ নদীর উজানে ভারত। যার কারণে নদীগুলোর সুফলটা তারা ভোগ করে আর কুফলটা আমাদের বয়ে বেড়াতে হয়।
ভারতের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে এর সমাধান বের করতে হবে। সেইসাথে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: এমজেডএফ,
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা নিরসন প্রশ্নে বাংলাদেশের ভূমিকা যথেষ্ট জোড়ালো। কিন্তু একা সরকার কতোটুকু কি করতে পারে যদি না মানুষ এগিয়ে আসে।
মানুষ আসবে কি- তারা যে সবাই নদীনালা-খালবিল-মাঠঘাট দখলের ধান্ধায় যে যেভাবে পারে বসে বসে বুদ্ধির গোড়ায় ধার দিচ্ছে! মদদ যোগাচ্ছে শক্তিমান মানুষেরা!
ভারতের সাথে বন্ধুত্ব তো অনেক হলো, আর কতো বন্ধুত্ব হলে পরে সামান্য একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রির দাপটের গোড়ায় পানি পড়বে ?
মন্তব্যে প্লাস।
১০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
নদী, পানি, বন্যা, খরা, জাতির জীবন মরণ সমস্যা; জাতির সামান্য কিছু সন্তান এগুলো বুঝতে সক্ষম!
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
জাতির সামান্য যে কিছু সন্তান এগুলো বুঝতে সক্ষম আসলে তাদের করার কিছুই নেই।
যাদের করার কথা তারা এসব বুঝতে অক্ষম এবং এটাই আমাদের কপাল! আপনি ঠিকই বলেন, এদের সব ডোডোপাখি, লিলিপুটিয়ান মগজ!!!!!!!
১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ ভাগের পর থেকেই নদী ভাঙ্গন চলছেই প্রতি বছর।
এর কি কোনো স্থায়ী সমাধান নেই?
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
নদী ভাঙন, দেশ যখন আস্তা ছিলো তখনও ছিলো। এর কোনও স্থায়ী সমাধান নেই। নির্ভর করে মাটির গঠন, জোয়ার ভাটার গতিবেগ, বাতাসের প্রবাহ, পরিবেশ, নদীর গভীরতা, ঐ এলাকার বৃষ্টিপাত ইত্যাদি অনেক কিছুর উপর। একত্রে সবগুলোর সমাধান সম্ভব নয়।
১২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দলান্ধতার অন্ধবৃত্তে
স্বাধীনতা আটকে থাকে চল্লিশ বছর
ইতিহাস ঘুরপাক খায় ক্ষমতা বলয়ের বৃত্তে
পদলেহনের পদ চাপায় সত্য মৃত্যুউপত্যকায়!
যে স্বৈরাচারিতার বিরোধীতা স্বাধীনতার মূলমন্ত্র
চেতনার দোহাই দিয়ে খোদ স্বৈরাচারী
উন্নয়ন, কল্যান, এখন আপেক্ষিক
পদ্মার মরা বুকে খাঁ খাঁ মরুর মরিচিকা!
আমি বদলালেই বদলাবে দেশ
শ্লোগানে নয়- কর্মে, বিশ্বাসে, বাস্তবায়নে
ত্যাগে, কৃচ্ছতায়, দানে ভালবাসায়।
যাপিত জীবনের প্রতিটি ক্ষনে।
খাল কাটা দারুন উপযোগী হলেও জিয়াউর রহমানের নাম চলে আসে!
তাই দেশ জাহান্নামে যাক - খাল কেটে শুকনো মৌসুমের জন্য পানির রিজার্ভার বানানো বন্ধ!
এত আত্মঘাতি জাতিরে বুঝী আল্লাহো বাঁচায় না।
আমাদের সুস্থ চেতনা ফিরে আসুক। সবেমিলে কাজ করলেই বাঁচা যায় -বোধ জাগ্রত হোক।
অন্ধ দলান্ধতার বিষ চেতনা মুছে যাক।
১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
আমি বদলালেই বদলাবে দেশ
শ্লোগানে নয়- কর্মে, বিশ্বাসে, বাস্তবায়নে
ত্যাগে, কৃচ্ছতায়, দানে ভালবাসায়.............
সুন্দর বলেছেন। আমি বদলে গেলেই বদলে যাবে সবকিছূ। কিন্তু আমি যে মোটেও বদলাই না ! শুধু বদলে যেতে বলি অন্যকে...
১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪০
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: নদী তো শুধু নদী নয়, তাতো জীবন রক্ষাকারী স্রোতস্বিনীও। অথচ অতি নিষ্ঠুরতার সাথে এই জীবন রক্ষাকারী জলধারাগুলোকে মেরে ফেলা হচ্ছে। দুর্ভোগ তো পোহাতে হবেই।
১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: অর্থনীতিবিদ,
হ্যা..... তাই! এ হলো, নদীর প্রতিশোধ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪১
মিথী_মারজান বলেছেন: তথ্যবহুল, প্রয়োজনীয় এবং বোধশক্তি নাড়া দিয়ে এখনি সচেতন হবার পোস্ট।
সদিচ্ছা থাকতে হবে সবার।
শুধুমাত্র প্রশাসনের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল না হয়ে ব্যক্তিগতভাবেও সবাইকে সচেতন হতে হবে।
১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিথী_মারজান ,
অনেকদিন পরে বন্যার জলে ভেসে এলেন বুঝি !!!!!!!! ভালো লাগলো দেখে। সামুর নিদেন কালে আরও একজন পাঠক বাড়লো।
পোস্ট সম্পর্কে যা বললেন তাতে বন্যার পানি পেয়ে তরতর করে বেড়ে উঠলুম আনন্দে।
ব্যক্তিগতভাবেও সবাইকে সচেতন হতে হবে তো বললেন কিন্তু আমরা যে কিছুতেই সচেতন হয়ে বদলে যেতে চাইনে!!!!!!!
১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল্লাগে না নদী মরার কথা শুনলে
২১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,
কোনও সুন্দরতাই মরে গেলে কারো ভালো লাগার কথা নয়..................
১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: যত দিন গড়াচ্ছে ততই হতাশা বাড়ছে। এসব অরাজকতা থেকে মুক্তির কোন পথই দৃষ্যমান হচ্ছে না।
২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
যত দিন গড়াচ্ছে ততই হতাশা বাড়ছে। এসব অরাজকতা থেকে মুক্তির কোন পথই দৃষ্যমান হচ্ছে না।
হওয়ার সম্ভাবনাও নেই .......................
১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট। শুধু প্রতিবেশি রাষ্ট্র বা বাহিরের শত্রু নয় তাদের সঙ্গে ঘরের শত্রু বিভীষণ মিলে নদীগুলোকে মেরে ফেলছে। ঘরের শত্রুরা করে নদী ভরাট আর বহিশত্রুরা করে আন্ত নদী সংযোগ বাধ ইত্যাদি ইত্যাদি। দুয়ে মিলে বিভীষিকার ষোলকলা পূর্ণ। আর শিল্পকারখানা বর্জ্য পনিদূষণ করে মাছ সহ সকল জলজ প্রাণী শূণ্য করে বিষ ছড়াচ্ছে। ঘরের শত্রুদের এখনই নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। নদী ভরাট, খাল ভরাট । মাটি কাটার নম করে বেশি খনন করা ইটের ভাটা সহ সকল কারখানা পরিবেশ বান্ধব নীতিমালার আওতায় আনা দরকার ।
২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,
ঘরের শত্রুদের এখনই নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার।
সে কথাই বলেছি এখানে। নিয়ন্ত্রনে আনা গেলে ভালো, নইলে নিজেরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রন করলে সুফলটা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০০
সুমন কর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে.......
২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর,
তেমন টেকসই উন্নয়ন হলে বন্যায় ভেসে যাবার কথা নয়, বন্যা নিয়ন্ত্রনে এনে গা-গ্রাম ভেসে যাওয়া থেকে রক্ষা করা যেত!
১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১৫
ক্লে ডল বলেছেন: দূষণ আর দখলের ভয়বহতা অনুধাবন করে তূরাগকে তো হাইকোর্ট জীবন্ত সত্তার অধিকার দিয়েছেন।
আমরা পথে ঘাটে মানুষ কুপিয়ে মারছি। নদী মারতে আমাদের হাত কাঁপবে না।
এখন সময় এসেছে নদীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনি লড়াইয়ের।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ক্লে ডল ,
এখন যা অবস্থা তাতে কোনও কিছুই মারতে আমাদের হাত কাঁপবেনা।
বুড়িগঙ্গা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। অনেকটা এগিয়েছেও। এই ধারাবাহিকতা চালু রেখে উদ্ধারের ফলটাকে টেকসই করতে হবে। শুধু নদী দখলই নয় , খাল-বিল-হাওড়-জলাভূমি ইত্যাকার জলের সব আঁধারগুলিকেও দখলমূক্ত করতে হবে। পলিতে ভরে যাওয়া নদীগুলোকেও ড্রেজিং করে পানির প্রবাহ অবাধ করতে হবে। কাজ আছে অনেক, করতে হবে অনেক কিছুই।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
২০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৪
শায়মা বলেছেন: নদীগুলো হারিয়ে যাচ্ছে!
আমাদের সুফিয়ার মেয়ের বাড়ীর গোয়ালঘর, রান্নাঘর সব বন্য়ায় ভেঙ্গে গেছে। তার বাড়ী জামালপুর। এই এক সপ্তাহে তাদের গ্রামের দু'জন মানুষ সাপে কেটে মরে গেলো।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
নদীগুলো হারিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তাদের স্মৃতি হৃদয়ের পার যে ভেঙে দিচ্ছে!
আগামী দু'তিন দিনে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হয়ে যাবে। আশা করি, আপনার সুফিয়ার মেয়ের গোয়ালঘরও আবার হাম্বা রবে ভরে উঠবে। রান্না ঘরে উনুনে আগুন জ্বলবে আগের মতোই।
২১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ,
তথ্যবহুল গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট এর মাধ্যমে অনেক কিছুই জানলাম ।
দেশ ও নদী দুটোই বেঁচে থাকুক। যমুনা নদীর মতো ঢেউ খেলানো আওয়াজ পেলাম ।
শুভকামনা জানবেন।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,
সুন্দর মন্তব্য। ++
তবে যমুনা নদীর মতো ঢেউ খেলানো আওয়াজ নয়, নিরব হাহাকারে দু'কুল ভাঙার শব্দ।
২২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এমনিতো শরীরটা ভাল যাচ্ছেনা তার পরে বাংলা ফন্ট যে খেলা দেখাচ্ছে তাতে করে কোন পোষ্ট পাঠ করে তার উপরে দু চার কথা লিখা একটু কঠিনই হয়ে যাচ্ছে । তার পরেও কয়দিন ধরে আমার কম্পিউটারে বিশেষ করে সামুর পাতায় মন্তব্য লিখে সাবমিট করলে তা পাবলিশ হতে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে . কোন কোন সময় নিচ্ছেই না । কষ্টকরে লেখা মন্তব্যটিই লাপাত্তা হয়ে যায়।
যাহোক পোষ্টটি পড়লাম । এখানে একটি নদী ছিল , এমনি্ই হয়ত একদিন হবে যদি না সকলেই এখন হতেই সচেতন না হই । ব বেশ বড় পোষ্ট, কোন দিক হতে শুরু করব সেটাই ভেবে পাচ্ছিনা । তবে আমার মুল ভাবনা হলো নদীর পানি প্রবাহের গতিধারা মসৃন রাখা নিয়ে । এর চলার পথের বাঁধা অপসারণ করা । গঙ্গার বুকে গড়ে তোলা বাঁধ হয়ত একদিন ভেঙ্গে ফেলা হবে , এটা সময়ের ব্যপার মাত্র । আমার চিন্তা হল এর প্রবাহ সচল রাখা নিয়ে । গঙ্গার বাঁধ ভাঙ্গার জন্য তার নীজ দেশেই এখন দাবী উঠেছে । ফারাক্কা বাঁধকে ভেংগে ফেলার জন্য ভারতীয় রাজনৈতিক নেতারা ও কিছু নদী বিশেষজ্ঞরাও দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে । আমরা তাদের দাবীটির স্বাথে একাত্বতা ঘোষনা করে একে স্বাগত জানাতে পারি । রাজনীতিবিদদের মধ্যে, ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার এখন বেশ জোরে সুরেই এই দাবি করছেন । সম্প্রতি এই চাহিদা তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উত্থাপন করেছেন বলেও জানা যায়।
ফারাক্কার বাঁধকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য মজলুম জননেতা মাওলানা ভাষানী দেশে একটি আন্দোলন গড়ে তোলেছিলেন ।আমি তখন ছাত্র ছিলাম । ১৯৭৬ সনের ১৬ মে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও সারাদেশ থেকে ট্রেন, বাস, লঞ্চ ও নৌকায় চড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের সাথে ফারাক্কা মিছিলে অংশগ্রহণ করার জন্য রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে এসে মিলিত হয়েছিলাম। লাখো জনতার এই জনসমুদ্রে একটি স্লোগান মুখরিত হয়ে উঠেছিল ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে, দিতে হবে। মাওলানা ভাসানীর শুরু করা এই সংগ্রাম দেশপ্রেমিক সাধারণ জনগণকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, ভাসানী বলেছিলেন, আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে । ভাসানীই বলেছেন, জনগনের আন্দোলন এটম বোমার চেয়েও শক্তিশালী এবং জনগনের শক্তি আধুনিক ও উন্নত সকল মরণাস্রের চাইতেও দুর্জয় । তাই যে যাই ভাবুক জনতা একবার ফুসে উঠলে তা ঠেকানোর সাধ্য কারো থাকবেনা ।
বিবিধ প্রক্রিয়ায় পাকৃতিক কারনে ও নীজ দেশের ভিতরকার রজনৈতিক চাপে কিংবা প্রতিবেশী দেশের প্রবল জনমতের কারণে একদিন না হয় একদিন এই বাঁধ বিলীন হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই । কিন্ত বেচে থাকবে গঙ্গা তার পদ্মা অংশটুকু নিয়ে, ততদিনে হয়ত এটা শুকিয়ে একটুকরা ফিতা কিংবা আপনার দেখানো ছবির মত ধুধু বালুচর হয়ে বেঁচে থাকবে । আমার কথা সেখানেই । আমার কথা হলো একে বাচানোর একমাত্র উপায় হবে এর বুকে জমে থাকা পলিমাটি অপসারন ও অপসারনের পর তা নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন । আর এ জায়গাটিতেই আপনার পোষ্টের ড্রেজিং বিষয়ক আলোচনা আমার নজর কেরেছে। নদী ভাঙ্গন ও নদীর তলদেশে পলিভরন বাংলাদেশের ভৌগলিক ও পরিবেশগত প্রেক্ষাপটে এখন যে এক প্রকট সমস্য তা সুন্দরভাবে আপনি তুলে ধরেছেন । এর প্রতিক্রিয়া এখন স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী । এযাবতকাল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী শাসনের নিমিত্তে শুধুমাত্র নদী তীর সংরক্ষন কাজ বাস্তবায়ন করে এসেছে । কিন্ত তাতে করে নদীর প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়নি । নদী শাসন প্রক্রিয়ায় নদীর গতিপথকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য সমন্বিত ড্রেজিং কার্যক্রম গ্রহন করা প্রয়োজন ছিল সেই শুরু হতেই । কিন্ত কোন কালেই এই গুরুত্বপুর্ণ কার্যটির প্রতি তেমন কোন নজর দেয়া হয়নি ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০১৮ সনের প্রতিবেদন হতে দেখা যায় বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনার আলোকে দেশের নদ-নদীসমুহ খননের মাধ্যমে তাদের ধারন ক্ষমতা ও প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে । প্রকল্পগুলির আওতায় বিভিন্ন মেয়াদে সুষ্ঠু পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সেচ ব্যবস্থাপনা ,মৎস সম্পদ উন্নয়ন ,পরিবেশ সংরক্ষন,ভুমি পুণরুদ্ধার ,ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে । এরই ধারাবাহিকতায় দেশের নদ-নদী ড্রেজিং কল্পে Procurement of Dredger and Ancillary Equipment for River Dredging of Bangladesh শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সাইজের/ক্ষমতার ২১ টি ড্রেজার ও অন্যান্য সহযোগী জলযান/যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে । ইতোমধ্যে উক্ত প্রকল্পের অধীনে ৬ টি ২৬”, ২টি ২০” ডিসচার্জ ডায়ার ড্রেজার ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যায় ( সুত্র বাপাউবো প্রতিবেদন ২০১৮)। উক্ত প্রকল্পের আওতায় আরো ১ টি ২৬” ড্রেজার গ্রহনের অপেক্ষায় এবং ২ টি ২০” ও ১ টি ১০” ড্রেজার ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ড্রেজার পরিদপ্তরে বর্তমানে মোট ৪০ টি ( ৮ টি ২৬”, ২টি ২০” ,১৬টি ১৮”,১৩টি ১২” ও ১ টি ৬” ডিসচার্জ পাইপ ডায়ার) বিভিন্ন ক্ষমতা সম্পন্ন কাটার সাকসন ড্রেজার রয়েছে । এছাড়া বাপাউবো’র প্রকল্পের কাজে ব্যবহারের জন্য তিস্তা ব্যরেজ ২টি ১২” কাটার সাকসন ড্রেজার রয়েছে । বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বার্ষিক বার্ষিক প্রতিবেদন হতে আরো দেখা যায় যে তাদের ড্রেজার পরিদপ্তর কতৃক ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দৈর্ঘে ৬৫ লক্ষ ঘনমিটার ড্রেজিং সম্পাদন হয়েছে ।
বাপাউবো’র প্রতিবেদন মতে তাদের বর্তমান ও কর্যক্ষম ড্রেজারগুলির বাৎসরিক ড্রেজিং ক্ষমতা মাত্র ২কোটি২০ লক্ষ ঘন মিটার । এখন কথা হলো ড্রেজিং পরিদপ্তরের এই বর্তমান সীমিত ক্ষমতা ও লটবহর দিয়ে পদ্মা মেঘনা যমুনা সহ দেশের সকল বড় বড় নদীগুলির ড্রেজিং কাজের পরিমান হবে একেবারে নস্যি । এটা থাকা না থাকার কোন মানেই হয়না । নদীর চলার পথে মাঝে মাঝে কোন কোন জায়গায় ড্রেজিং করলে তা পরের দিনই আবার পুর্বের মতই ভরাট হয়ে যায়, যদিনা তা যথাযথ পরিকল্পনা মাফিক হয় । তাই নদী শাসনের নামে অপরিকল্পিত ভাবে ভেরি বাধ ,তীর সংরক্ষন ও শহর রক্ষা করার জন্য প্রতি বছর অপরিকল্পিতভাবে যে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয় তার থেকে সিংহভাগ অর্থ কেটে নিয়ে তা সর্বাত্বকভাবে ড্রেজিং কর্মসুচীর উপর ব্যয় করা হলে সেটাই হত প্রকৃত কাজ । উল্লেখ্য এ যাবতকাল পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমাপ্ত ঘোষিত ৭৪৫ টি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র দুটি প্রকল্প দেখা যায় ড্রেজিং বিষয়ক প্রকল্প , বাকি গুলি বন্যা নিয়ন্ত্রন (মুলত ভেরি বাঁধ), সেচ ও পানি নিষ্কাসন , নদী তীর রক্ষা , শহর রক্ষা , গবেষনা ও ফিজিবিলিটি স্টাডি বিষয়ক প্রকল্প ।
এখানে প্রসঙ্গক্রমে আরো উল্লেখ যে, দেশে অনুষ্ঠিত সবকটি বড় বড় বন্যার সময়ে দেখা গেছে যে, সে সময়ে দেশের নদীগুলী গড়ে বিপদ সীমার ৫০ হতে ৬০ সেন্টিমিটার (ক্ষেত্র বিশেষে ১০০ সেন্টিমিটারেরো বেশী হয়) উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে । তাই নদীগুলিকে ড্রেজিংএর মাধ্যমে তার স্বাভাবিক প্রবাহ সীমার মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে সেটাই হবে দীর্ঘ মেয়াদী সাফল্য। অন্যদিকে ভা্ঙ্গনের মুখামুখী কিংবা ঝুঁকির মধ্যে আছে এমন নদীর কুলে বালির বাধ দেয়ার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় না করে , সে অর্থ দিয়ে সম্ভাবনাময় নদী ভাঙ্গন এলাকা হতে সকলকে নিরাপদ দুরত্বে সড়িয়ে নিয়ে সেখানে তাদেরকে পুর্ণবাসন করলেই বেশী ভাল হয় । এ বিষয়ে আমার নীজের একটি পোষ্টে বিষদ ভাবে বলা হয়েছে ।
শুভেচ্ছা রইল
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
যে ব্রাউজার দিয়ে ব্লগে আসতে হয় তা ইদানীং খুব স্লো হয়ে আছে। তাই ব্লগে ঢুকে ৩/৪টি পোস্ট পড়া আর নিজের পোস্ট মিলিয়ে ৫/৬টি মন্তব্য করতে করতে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলি, হাপ ধরে যায়। সে কারনে আপনার এমন তথ্যবহুল পোস্টটিতে যথাযথ সম্মানের সাথে প্রতিমন্তব্য করতে দেরী হয়ে গেলো।
বলতেই হয়, এই মন্তব্যটি আমার পোস্টে এক অমূল্য সংযোজন। সকল পাঠকই মনে হয় এতে অনেক বাড়তি কিছু জানতে পারবেন।
লিখেছেন - আমার মুল ভাবনা হলো নদীর পানি প্রবাহের গতিধারা মসৃন রাখা নিয়ে । এর চলার পথের বাঁধা অপসারণ করা ।................... নদীরবুকে জমে থাকা পলিমাটি অপসারন ও অপসারনের পর তা নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন ।
আমার লেখার মূল বক্তব্যই এটি। সে কারনেই লিখতে হয়েছে --***প্রতিবেশী দেশের খুঁড়ে দেয়া কবরে শায়িত বাংলাদেশ নামের লাশটির উপরে মুষ্ঠিমেয় বাঙালীরা এবার মাটি চাপিয়ে ভরাট করে দিচ্ছে কবরটি । এদের কি থামানো যায় না ?***
এই থামানোর কথা বলতে গিয়ে বাধ্য হয়েই লিখতে হয়েছে এটুকুও - "নদী দখল করে স্থাপনা নির্মান, নদী শাসনে অপরিকল্পিত বাঁধ প্রকল্প প্রনয়ন (যেমন পদ্মা ও যমুনার সংযোগকারী বড়াল নদের মুখের বাঁধ) , পরিনতির কথা চিন্তা না করে মহাসড়ক নির্মান, চিংড়ি ঘের নির্মান, নদীতে রাসায়নিক বর্জ্য উদগারন এগুলো কারা করছে ? প্রতিবেশী দেশের লোকেরা ? ভারত-পাকিস্তান-মিয়ানমার-নেপালের লোকেরা ? নাকি আমি আর আপনি ? নাকি সাধারন পাবলিক ?"
আপনার এই মন্তব্যটি পড়ে সবাই বুঝতে পারবেন , নিজ নিজ জায়গা থেকে কার কতোটুকু ও কি করা প্রয়োজন। প্রকৃতির রূদ্র রোষ থেকে বাঁচতে এখন শুধু নদী খননই নয় বৃক্ষ রোপন করা ছাড়াও আমাদের আর কোনও বিকল্প নেই।
মন্তব্যে +++++++++
শুভেচ্ছান্তে। করুনাময় আপনাকে সুস্থ্য রাখুন!
২৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:০৫
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
এক কথায় লেখাটা অসাধারণ হয়েছে। যদিও লেখাটা অনেকাংশে রিপোস্ট কিন্তু আমি আজকেই পড়লাম। এমন তাত্ত্বিক বিশ্লেষণাত্মক লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ গুরু।
যদি বিসিএস পরীক্ষার্থীকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার জেলার পাঁচটি/দশটি নদীর নাম বলেন তো!
আমার মনে হয় পরীক্ষার্থী ওখানেই পাজামা ভিজিয়ে ফেলবে।
আবার তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, বলুনতো আপনার জেলার নতুন তৈরি/সংস্কৃত পনেরোটি রাস্তার নাম !
সে তখন গড় গড় করে বলে দিতে পারবে একেবারে নিজের বাড়ির সামনের নদীটির ভরাট করে তৈরি হওয়া নতুন রাস্তা টির নাম সহ!
আমি আজ অব্দি কোন পরীক্ষায় দেখিনি যে আমায় প্রশ্ন করা হয়েছে নিজ এলাকার পাঁচটি বা দশটি নদীর নাম লেখার জন্য। নদীগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পাঠ্যপুস্তকে ক্লাসে তেমন গুরুত্বের সাথে বিশ্লেষণ হয় না। বড়জোর পুরোদেশ থেকে বাছাই করে পাঁচটি/দশটি নদীর নাম লিখতে বলা হলেও, অনেকেই পারে না লিখতে।
আমরা এখন ধীরে ধীরে নিজেদের মৌলিকত্ব ভুলতে বসেছি। তৃপ্তি পাই আমরা রূপক আনন্দে! একবার ভেবে দেখেছেন, কী ডিজিট্যালটাই না হয়েছি আমরা(!)
যে জমিগুলো বছরে দুবার আবাদ করা যেত, কৃষকদের জন্য আজ সেই জমিগুলো বছরে একবার আবাদ করাও অসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক কষ্টে আবাদ করার পর সেই জমির সোনায় ফলানো সোনালী ফসল নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা ঘরেও তুলতে পারে না। বাঁধ তৈরির নামে দুর্নীতিগুলোই তাদের সোনালী ফসলের নিরাপত্তাহীনতা। আর বিভিন্ন দুর্যোগে জীবনের ঝুঁকি তো আছেই ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম,
আমরা এখন ধীরে ধীরে নিজেদের মৌলিকত্ব ভুলতে বসেছি। তৃপ্তি পাই আমরা রূপক আনন্দে! একবার ভেবে দেখেছেন, কী ডিজিট্যালটাই না হয়েছি আমরা(!)
এই ডিজিটালাইজেশনের কারনেই নদীর নাম জানা তো দূর, নদীর ছলাৎ ছলাৎ ঢেউও হয়তো দেখেনি এই প্রজন্মের অনেকেই, শোনেনি তিরতির বয়ে বয়ে চলা নদীর সুর-ছন্দ! দখল হয়ে যাওয়া নদীর মতো শুকিয়ে গেছে তাদের সকল শিক্ষা- সকল বোধ, সকল নান্দনিকতা.............
প্রকৃতি ছেড়ে কথা কয়না। একদিন না একদিন সে ছোবল মারেই!
২৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২
নীলপরি বলেছেন: বরাবরের মতোই তথ্যবহুল পোষ্ট । বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন ।
++
শুভকামনা
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি,
বরাবরের মতোই সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।
লেখার ভেতরের বাস্তবতার চেয়েও আসল বান্তব আরও ভয়ঙ্কর!
শুভকামনা আপনার জন্যেও।
২৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: গুরু,
যারা পদ্মা ন্দীর বর্ত্মান চেহারা দেখেনি তারা বুঝতে পারবেনা দেশে ন্দীগুলি ঠিক কি অবস্থা! পদ্মার পাড় নিয়ে কত কত আনন্দময় স্মৃতি আছে যা আজ মনে পড়লে খুব ক্ষট হয়। প্রমত্তা ন্দ ন্দীগুলি শুকিয়ে আজ ভরাট জমি হয়ে যাচ্ছে।
আপনার এই লেখা আজকেই প্রথম পড়লাম। আগেরবারের টা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল।
সারা দেশে এখন লুটপাট করার অশুভ চক্রান্ত চলছে। যে যেভাবে পারে দেশটাকে চুষে খেয়ে ফেলছে। সরকার আছে এই সব লুটেরাদের মদদ দেয়ড় জন্য।
চমৎকার লেখা। একবার পড়লে বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। সেদিন একবার এসে পড়ে গিয়েছিলাম। আজকে আবার পড়লাম। পোস্ট স্টিকি করার আবেদন করে যাচ্ছি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
যে চোখ একবার উল্লাসিনী, যৌবনবতী নদীর দেহভঙিমায় মজেছে, সেই চোখ এখন আর, ত্রিশ টপকে গেলে মেয়েদের শরীর যেমন ইস্তিরি না-করা শাড়ীর মতো নেতিয়ে আসে তেমন শীর্ণকায়া নেতিয়ে পড়া নদীতে মজেনা।
ভেতর আর বাইরে থেকে এই যে নদী হত্যা চলছে তার দায় কে নেবে!!!!! মানুষ খুন হলে পরে মানুষেই তার বিচার করে। তবে নদী কেন তার এই খুনের বিচার পায়না ? মানুষ তার বিবেকবোধ দিয়ে এইরকম নদী খুনকে যাতে রুখে দিতে পারে সে আর্তি নিয়েই লেখাটি।
ষ্টিকি করার আবেদন করাতে কৃতজ্ঞ।
( যে ব্রাউজার দিয়ে ব্লগে আসি তা ইদানীং খুব স্লো । তাই ব্লগে ঢুকে ৩/৪টি পোস্ট পড়া আর নিজের পোস্ট মিলিয়ে ৫/৬টি মন্তব্য করতে করতে ধৈর্য্য হারিয়ে যায়। সে কারনে আপনাকে প্রতিমন্তব্য করতে এতো দেরী হয়ে যাওয়াতে দুঃখিত )
২৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৭
রাকু হাসান বলেছেন:
এখন তো দুটি ঋতুই ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায় । গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকাল । আগের চেয়ে শীত অনেক কমেছে তেমনি গ্রীষ্ককালের স্থায়িত্ব আশঙ্কা জনক হারে বেড়েছে । বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রভাব হলো হঠাৎ ব্যাপক বন্যা । সাম্প্রতিক সময়ের বন্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্যা এটাই । ঘন ঘন বন্যা হবার সম্ভবনা দেখছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা । বর্ষাকাল ছাড়াও বন্যা হতে পারে । অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম । বর্ষার পরে যে রোদ্দুর পায় সেটা আগে অনেকটাই সহনীয় ছিল । কিন্তু ঠিক বৃষ্টির পর মুহূর্তের রোদের প্রকোপ ৩০-৩৫ হয়ে যাচ্ছে । আগে হতে দেখিনি। দুই ঋতুর বাংলাদেশে এখন শুধু কাগজে কাগজে কলমে স্বীকৃতি পাবার বাকী যেন । আপনার দূরদর্শী পোস্টে ভালো লাগা রইলো আমার । খুব সুন্দর হয়েছে পুনরায় পরিমার্জন করে পোস্ট করার জন্য ।
আমরা এখন ধীরে ধীরে নিজেদের মৌলিকত্ব ভুলতে বসেছি। তৃপ্তি পাই আমরা রূপক আনন্দে! একবার ভেবে দেখেছেন, কী ডিজিট্যালটাই না হয়েছি আমরা(!) --তাজুল ভাইয়া ভালো প্রশ্ন রেখেছেন আপনি । আমরা মৌলিকত্ব অবশ্যই হারাচ্ছি । আমাদের স্বকীয়তা বিলুপ্ত হতে খুব একটা সময়ের প্রয়োজন নেই ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাকু হাসান,
আগেই দুঃখ প্রকাশ করছি জবাব দিতে এতো দেরী হয়ে যাওয়াতে। আসলে যে ব্রাউজার দিয়ে ব্লগে আসি তা ইদানীং খুব স্লো । তাই ব্লগে ঢুকে ৩/৪টি পোস্ট পড়া আর নিজের পোস্ট মিলিয়ে ৫/৬টি মন্তব্য করতে করতে ধৈর্য্য হারিয়ে যায়।
বৈশ্বিক জলবায়ুর তড়িৎ ও চরম পরিবর্তন এখন এক অমোঘ নিয়তি। পৃথিবীর তাপমাত্রা যাতে দেড় ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের উপরে আর না যায় সে জন্যে যা যা করার তা করতে হবে ২০২০ সালের মধ্যেই, এমন সতর্কবানী আবহাওয়াবিদদের। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, জ্বলন্ত উনুনের মুখে আমরা বসে আছি নির্বিকার। ইউরোপ ধুকছে হিট ওয়েভে। আসাম-বাংলাদেশ ডুবছে পানিতে।
পৃথিবীর অনেক জায়গাই পানির নীচে বিলুপ্ত হতে আর বাকী জায়গা নেগেভ মরুভূমির মতো গনগনে আগুন হতে খুব একটা সময়ের প্রয়োজন নেই মনে হয় ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
২৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৫
ইসিয়াক বলেছেন:
১২ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,
ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকেও।
২৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঈদ মোবারক ,
ঈদ হোক আনন্দময় সকলের তরে ।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকে আর সবাইকে ।
ত্যাগের ঈদ, ত্যাগী হতে শেখাক মানুষকে!
২৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৪০
মাহের ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল, ঈদ মোবারক।
তথ্যবহুল একটি পোস্ট।
নদীর নাব্যাতা হারানো পাশাপাশি, আরেকটা ব্যাপার ঘটছে।
প্রতি বছর নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
শুভ কামনা রইল।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহের ইসলাম,
অনেকদিন পরে এসে মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ।
হ্যা, নদী শুকিয়ে গিয়েও যেমন তেমনি দুকুল ভেঙেও মানুষের সর্বস্ব নিয়ে নেয়। এইতো নদীর খেলা....
ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকেও।
৩০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০০
সোহানী বলেছেন: সেই কবরে মাটি দিয়ে চলছি জীবনভর। কিন্তু থামানোর কেউই নেই। হায়রে দেশ.......। ভুয়া মফিজের মতোই বলি স্যাটালাইট উড়াতে পারি কিন্তু সামান্য ড্রেজার কিনতে পারি না। আসলে তা না .. সবই পারি কিন্তু ড্রেজার কেনায় দাদারা অখুশি হবে কিনা এ ধারনাতেই কেনা হয়ে উঠে না। আর এসব নিয়ে ভাবার সময় কোথায়??? সেটাও বড় প্রশ্ন। এদের সবারই সেকেন্ড হোম আছে, দেশ তলিয়ে গেলে ওদের কি???????????
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
অনেকদিন পরে আপনার দেখা মিললো।
দেশ তলিয়ে " লষ্ট আটলান্টিস" হয়ে গেলে স্যাটেলাইটও খুঁজে পাবেনা কোথায় তলিয়ে গেলুম আমরা আর স্যাটেলাইটবাসীরাও ভুলেও উড়ে আসবেনা ত্রান নিয়ে কেউ।
শুভেচ্ছান্তে।
৩১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন: প্রতিবছর বন্যা হয় অথচ এর কোন সমাধান তো নেই, সমাধান এর কোন চেষ্টাও নেই ।
সরকারের অবহেলার শিকার সাধারন মানুষেরা । সত্যি খুবই দুঃখজনক ।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: MirroredDoll,
দুঃখজনক তো বটেই সাথে সরকারের অবহেলাও ভয়ংকর।
শুভেচ্ছান্তে।
৩২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: নদীমাতৃক দেশের নদীপ্রেমী এক সন্তানের এ আলেখ্যটি পড়ে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম!
আমরা পথে ঘাটে মানুষ কুপিয়ে মারছি। নদী মারতে আমাদের হাত কাঁপবে না - ক্লে ডল এর এ মন্তব্যের পর (১৯ নং) আর কোন আশার আলো দেখছিনা। মনে হচ্ছে যেন কোপগুলো আমার ঘাড়েই এসে পড়ছে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
কোথাও কোনও আশার আলো নেই, যে যতোই আশাবাদী হোকনা কেন। এই দেশের খোল-নলচে সব না পাল্টানো পর্য্যন্ত কিচ্ছু হবেনা। একটি নক্ষত্র যেমন সেলফ ডেস্ট্রাক্টেড হয়ে ব্লাকহোলে পরিনত হলে সব কিছু গিলে খায় তেমনি আমরাও সেলফ ডেস্ট্রাক্টেড একটা জাতি, সব কিছু গিলে ফেলছি অবলীলায়।
মন্তব্যের প্রথম লাইনটি পড়ে ভেসে যাচ্ছি খুশির বন্যায়।
৩৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৯
দারাশিকো বলেছেন: অসাধারণ এই পোস্টের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। মাসখানেক আগে বাংলাদেশের মরে যাওয়া নদীগুলো নিয়ে একটা লিখা শুরু করেছিলাম, শেষ করতে পারিনি। আপনার এই লিখাটি সেই অভাব পূরণ করে দিল।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: দারাশিকো,
আমার ব্লগে স্বাগতম এবং ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
বাংলাদেশের মরে যাওয়া নদীগুলো নিয়ে যে লেখা শুরু করেছিলেন তা আমার এই লেখার কারনে শেষ না করা পর্য্যন্ত থেমে থাকাটা ঠিক হবেনা!
শেষ করুন এবং আমাদের আবার নতুন করে জানিয়ে দিন - "কোথায় কোথায় একদিন নদী ছিলো। "
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্যাটেলাইট কিনে উড়ানোও হয়ে গিয়েছে, কিন্তু ড্রেজার কিনতে গড়িমসি। কারন, এসব ভোগদখলের সাথে সরকারের লোকজন জড়িত। তারাই এসবকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিলম্বিত করছে।
আর কিছুদিন পরে সামান্য বৃষ্টিতেই বন্যা হবে, কারন পানি ধারন করার জন্য কোন জায়গাই দেশে আর অবশিষ্ট থাকবে না। অভাগা দেশ। লোভের যাতাকলে পিষ্ট।