নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

একদিন ভালো লাগার দিন.....

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১৭



সময়ের অনেক আগেই পৌঁছে গেছি। রোববার বলেই সম্ভবত রাস্তাটা ফাঁকা। সকাল সাড়ে ন’টায় জামাত শুরু হবার কথা। লোক আসতে শুরু করেছে। মেয়েকে বললুম, মসযিদের কোথায় তোরা নামাজ পড়বি? মেয়েদের আলাদা জায়গা আছে? মেয়ের উত্তর, কেন? পুরষ মহিলা এক জায়গাতেই দাঁড়ায়, কেবল মেয়েরা আলাদা লাইনে, ছেলেরা আলাদা লাইনে। দেশের কথা মনে পড়লো, মসযিদে নারী-পুরুষ একসাথে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছে, ধর্মীয় কুপমন্ডুকতার কারনে এমনটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়না। যেসব মসযিদে নারী-পুরুষেরা নামাজ আদায় করেন সেখানেও নারীদের আলাদা পর্দা বা পার্টিশান দিয়ে আলাদা করে রাখতে দেখেছি। আমেরিকা উন্নত বলেই কি এমনটা ? মনে হয় না। মনে হলো, এখানে ধর্মকে হেজাব পড়িয়ে রেখে জ্ঞানের আলোর পথ রূদ্ধ করে রাখা হয়নি যেমনটা রাখা হয়েছে আমার নিজের দেশে, ধর্মের মূল চেতনাকে যেখানে অন্ধকারে রাখতে হাযারো ভুয়া হাদিস, মনগড়া হাদিস আর “মছলা” হাজির করা হয় যা ইসলামের শান্তির চরিত্রটিকে কর্দমাক্ত করেই রাখে শুধু।

ছবি ২ – শুরুর দিকে মেয়েদের জমায়েত।

ঢোকার সময় খেয়াল করেছি, এখানকার একটা এয়ারপোর্টের সারি সারি হ্যাঙ্গারের দিকে যাচ্ছে গাড়ী। বললুম, মসযিদ তো দেখছিনে কোথাও, হ্যাঙ্গারের দিকেই বা যাচ্ছি কেন ! যা জানলুম, তার জন্যে প্রস্তুত ছিলুম না। এখানে স্যাকরামেন্টোতে (ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের রাজধানী) বেশ কয়েকটি মসযিদ থাকলেও এতো বড় মসযিদ সেখানে নেই যেখানে কয়েক হাযার মানুষ ঈদের নামাজের জন্যে একত্রিত হতে পারেন। তাই স্যাকরামেন্টো সিটি কর্তৃপক্ষ মিউনিসিপাল এয়ারপোর্টের বিশাল হ্যাঙ্গারের একটিতে ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। দেখলুম, দু’দুটো শেরিফের গাড়ীও দাঁড়ানো সামনে। আশ্চর্য্য...... এয়ারপোর্ট হ্যাঙ্গারের মতো সর্বোচ্য নিরাপত্তায় ঘেরা জায়গাতেও মানুষের ধর্মীয় জমায়েতে দ্বিধা করেননি কর্তৃপক্ষ।

ছবি ৩ – শুরুর দিকে পুরুষ জমায়েৎ।

লোকজন আসছেন, বিভিন্ন দেশ বা জাতীর লোক। হরেক রকমের সাধারন পোষাকে। মনে হচ্ছে, খেলার মাঠে খেলা দেখতে যেমন আসে তেমন । ইরাক, সিরিয়া, মিশর, সুদান ইত্যাদি দেশের পুরুষেরা খুব কম সংখ্যকই পা পর্যন্ত জোব্বা পড়ে এসেছেন। ভারতীয়, পাকিস্তানী পুরুষেরাও তাই। কেউই টুপি-পাগড়ী, পাঞ্জাবী পড়ে জবরদস্ত মুসলিম সাজেন না। দেশের কথা মনে হলো, পাঞ্জাবী না পড়লে যেন ঈদের দিনগুলিতে মুসলমানই হওয়া গেলনা। ঈদের সময় এলেই তাই বাজারে পাঞ্জাবী কেনার ধুম লেগে যায়। পাঞ্জাবী যে পাঞ্জাব দেশের পোষাক এটা শিক্ষিতরাও অনেকেই কেন বোঝেন না, জানিনে। আবার টুপি নেই তো নামাজই হবেনা। এমন সংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মীয় চেতনা কোত্থেকে এলো ? যুগযুগ ধরে যে অজ্ঞতা আর অন্ধকারে আমরা পড়ে আছি তাতে একটুও আলোর ছোঁয়া লাগাতে পারিনি এতোদিনে? নাকি লাগতেই দেইনি ?


ছবি ৪ – সকল শ্রেনী-বর্ণ-জাতপাত সরিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ .........

মেয়েরাও এসেছেন স্বাভাবিক পোষাকে। আরবী ভাষাভাষী যারা স্বভাবতই হেজাব পড়ে থাকেন তারা হেজাব পড়েই আছেন কিন্তু বেশীর ভাগই এসেছেন টাইট জিন্স আর টপসের উপরে শুধু সামনে থেকে সম্পূর্ণ ফাঁড়া রঙিন একটা কাফতান টাইপের বাড়তি কিছু পড়ে। বাঙালী আর প্রতিবেশী দুটো দেশের কাউকেই দেখলুম না ঈদের মতো এমন ধর্মীয় একটা অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমার দেশের মেয়েদের মতো বোরকা আর হেজাবে নিজেদের জবরজং করে রেখেছেন । নামাজ শেষে নারী পুরুষদের হ্যান্ডসেক করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখলুম। খুব কম লোককেই দেখেছি কোলা কুলি করতে। আমেরিকায় থাকছে বলেই কি তারা এরকমের? আমেরিকাতে ইসলামের রঙ কি আলাদা ? সবেমাত্র বাংলাদেশ থেকে এসেছি বেড়াতে, নেহাৎ বাংলাদেশী, মনেপ্রানেই বাংলাদেশী একজন । সেই বাঙালী চরিত্রের কারনেই কি এখানে এসে এমনতরো একটা মিলনমেলা, ভ্রাতৃত্বের এমন সুন্দরতর কিছু দেখে, এমন আলাদা আলাদা রঙ খুঁজতে বসেছি , সে রঙে ত্রুটি ধরতে লেগেছি ? চোখে লেগে থাকা আজন্ম সংস্কারের যে রূপ, তা থেকে অন্যরকম কিছু দেখছি বলেই কি!

ছবি ৫ – ছোট ছোট বাচ্চারাও শরিক হচ্ছে আল্লাহতায়ালার গুনকীর্তনে।

নামাজ শুরুর আগে মঞ্চে যিনি আল্লাহতায়ালার নাম নিয়ে বারবার – “আল্লাহু আকবর..... আল্লাহু আকবর... ওয়ালিল্লাহিল হামদ....” বলছিলেন তার পরনেও জিন্সের প্যান্ট উপরে গলাবদ্ধ কামিজের মতো তার দেশীয় পোষাক। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা মঞ্চে উঠে নিজেরাও মাইকে একই বানী শুনিয়ে যাচ্ছিলো। যে বাচ্চারাই আসছিলো তাদের কে সাদরে ডেকে নেয়া হচ্ছিলো মঞ্চে। হায়রে..... এমনটা বাংলাদেশে কখনও চোখে পড়েনি কেন ! বরং উল্টোটাই দেখেছি- বাচ্চাকাচ্চাদের ধমক দিয়ে কথা বলা থামিয়ে দেয়া হচ্ছে- চুপচাপ করে বসে থাকার আদেশ জারী করা হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে অভিভাবকদের আক্কেল-জ্ঞান নিয়ে টানাটানি করাও হচ্ছে।
তরুন এক ইমামের পেছনে নামাজ পড়া হলো। নামাজ শেষে খুৎবা। আমাদের দেশের মতো ‌আদ্যিকালের পুরোনো আরবী খুৎবার বই দেখে দেখে অর্থবিহীন আরবী বলে যাওয়া নয়- আমেরিকান ইংরেজীতেই খুৎবা পড়লেন মূল ইমাম যাতে বিশ্বের সমসাময়িক কিছু বিষয় সম্পর্কেও বক্তব্য ছিলো। এটাই তো হওয়া উচিৎ নিজ ভাষায় খুৎবা পড়া যাতে উপস্থিত লোকজন পরিষ্কার বুঝতে পারেন কি বলা হলো। শেষে মোনাজাত, সংক্ষিপ্ত । ফালতু কথার বালাই নেই কোনও। শুধু ত্যাগের কথাই বলা হলো, বলা হলো বিশ্বভ্রাতৃত্বের কথাও।


ছবি ৬ – প্রবেশমুখে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের রিসেপশান কাউন্টার।

সমস্ত কিছুর ব্যবস্থাপনায় ছিলো “ তারবিয়াহ ইন্সষ্টিটিউট” নামের একটি ইসলামিক প্রতিষ্ঠান। এরা এখানে ইসলামের দিকদর্শন তুলে ধরার কাজে নিয়োজিত। প্রতিবছর ঈদুল ফিতর আর ঈদুল আযহার জমায়েতের আয়োজনও তাদের। সদস্যদের অনেককেই দেখলুম বয়সে তরুণ। প্রবেশ পথে তারা একটি সুদৃশ্য রিসেপশান কাউন্টার বানিয়ে তাদের কর্মসূচিও প্রচার করছেন দেখলুম।
দেশে এরকমের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কবরের মতো নিস্তব্দ পরিবেশের অভিজ্ঞতা থেকে আলাদা একটি স্বতঃফূর্ত অনুষ্ঠান আমার সকালটাকে অন্য এক রঙে রাঙিয়ে দিয়ে গেলো যেন!
ধর্মকে যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন বিধিনিষেধ আর আচারের চাদরে ঢেকে রাখা হয় তখন তার আলো ছড়ায় না কোথাও বরং সেই অন্ধকার আতঙ্ক-ভয়-অশ্রদ্ধারই জন্ম দেয়।

এমন একটি সকাল যেন আরেক চোখ খুলে দিয়ে আবারও বলে গেলো- ধর্ম কোনও পাষাণভার নয়, সূর্যের আলোর মতো নরম-হালকা কিন্তু দীপ্যমান। বড্ড ইচ্ছে হলো, তেমন আলোয় যেন আমাদের উত্তরন ঘটে, অন্ধকার থেকে আলোর পথে শুরু হয় নতুন এক যাত্রা.........................


ছবি সূত্রঃ নিজের মোবাইলে আনাড়ী অভিজ্ঞতায় তোলা।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: নিজ ভাষায় খুৎবা পড়া যাতে উপস্থিত লোকজন পরিষ্কার বুঝতে পারেন কি বলা হলো।
.........................................................................................................................
সহমত, তবে আমরা কেন আরবী ভাষা অনুসরন করে আসছি, তার আলোচনা হওয়া উচিৎ ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নের শঙ্খচিল,




প্রথম মন্তবের জন্যে ধন্যবাদ।
আরবী ভাষা মনে হয় আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকেরাই অনুসরণ করেনা, শুধু কোরআনের সুরাগুলো মুখস্ত করে (অনেকটা অনুকরণ বলা যায় ) নামাজ আদায়ের কাজটি চালিয়ে যায়। অনুসরণ করা আর অর্থ বুঝে সে ভাবে মেনে চলা এক জিনিস নয়। সারা পৃথিবীতে মসজিদে নামাজ আদায় করা হয় কোরআনের ভাষায়। কারন এক এক মসজিদে তাদের ভাষায় যদি নামাজ আদায় করা হয় তবে সেখানে উপস্থিত অন্য ভাষাভাষীর তা অনুসরন করতে এবং সুরা সমূহের অর্থ বুঝতে কষ্ট তো হবেই এমনকি বুঝবেনও না। তাই নামাজের সবটা হতে হবে সার্বজনীন যাতে পৃথিবীর যে কোনও একটি স্থানে নামাজীরা তার অর্থ বুঝতে পারেন এবং বুঝতে পারার মধ্যেও সাম্য বজায় থাকে। এবং সে কারনেই সব মুসলিমানকে কোরআন পড়তে বলা হয়। আমাদের দেশে্র বেশীর ভাগ মুসল্লীরাই নামাজের মধ্যে যে সুরা পাঠ করে্ন তার অর্থই জানেননা। এমনকি সুরা ফাতেহা যা শুধু রোজ ফরজ হিসেবে দিনে ১৭ বার পাঠ করতে হয় সে সুরার অর্থও জানেননা। তাই এরা আরবী ভাষা অনুসরন করেননা কেবল "অনুকরন" করেন মাত্র। যদি আমরা আরবী ভাষা অনুসরণই করতুম তবে যে কোনও আরবী ভাষাভাষীর কথা আমরা বুঝতে পারতুম। তা কি আমরা পারি ?????
আর খুৎবা অর্থ "ভাষন" যেখানে ধর্মের দিক নির্দেশনা দেয়া হয় কালের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। কালের সাথে সাথে বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ের সাথে সাথে একজন মুসলমানকে কি কি করতে হবে তার নির্দেশ্ দেয়া হয় খুৎবায়। তাই আমাকে যদি আরবীতে খুৎবা বলা হয় তবে আমি বুঝবোনা কিছুই।

আলোচনাটা আমি খুব প্রাঞ্জল করে করতে পারলুম না কারন আমার ল্যাপির টাইপিংয়ে টেকনিক্যাল এরর আছে মনে হয়। যেমন এটুকু টাইপ করতে আমার লেগেছে প্রায় আধাঘন্টার বেশী। কার্সার উল্টোপাল্টা দৌঁড়োয়....
আর নিজেও তো ধর্ম বিষয়ে পন্ডিত নই মোটেও।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৫৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমাদের দেশে ধর্ম মানেই পর্দা, নারীপুরুষ বিভেদ, বিধর্মী বিদ্বেষ ইত্যাদি। আমাদের হুজুরদের এইসব উদাহরণ দেখালে বলবেন, এগুলা ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্র। তারপরেও তর্ক করলে বলবেন, তুমি কি মাদ্রাসায় পড়েছো? তোমার কি হাদিসের উপর বিশেষ ডিগ্রী বা জ্ঞান আছে? নাই! তাহলে চুপ থাকো। এবং এহেন চিন্তাভাবনার জন্য তওবা করো; ঈমান বাচাও।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুনায়েদ বি রাহমান,





এমনটাই আমাদের দেশের চিত্র।এখনতো নিজের বানানো হাদিস আর অন্য হাদিসের নিজস্ব ব্যাখ্যার জয় জয়কার!
সে কারনেই লিখেছি -- ধর্ম কোনও পাষাণভার নয়, সূর্যের আলোর মতো নরম-হালকা কিন্তু দীপ্যমান। ধর্মকে যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন বিধিনিষেধ আর আচারের চাদরে ঢেকে রাখা হয় তখন তার আলো ছড়ায় না কোথাও বরং সেই অন্ধকার, আতঙ্ক-ভয়-অশ্রদ্ধারই জন্ম দেয়।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধর্ম সহজ ব্যাপার। এখানে ভয়ের আতংকের ছাপ তখনি আসবে যখন অধর্ম ভর করে। বাংলাদেশের যেই সকল মানুুষ ফেসবুক আর ইউটিউব নির্ভর ধার্মীক তারা ধর্ম থেকে শত শত কোটি মাইল দুরে আছে। সম্প্রতি আমার একটি পোষ্টে গ্রামবাসীকে দাওয়াত দিয়ে সম্মানের সাথে খাওয়ানোর অনুষ্ঠানের কথা ছিলো যেখানে আমি কোথাও লিখিনি এটি কোনো কুলখানি!!! তারপর ও একজন ২০-২৫ বছরের একজন তরুণ ধর্ম নিয়ে চলে এলেন আমার পোষ্টে তখন মনে হলো “এই ধর্মই আসলে অধর্ম”। ফেসবুকে অসংখ্য পোষ্ট আছে নিজের মনগড়া কথা লিখে নিচে হযরত আলী, হযরত উমর নাম লিখে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভাংগালী (ভাং খেয়ে গালী দেওয়া জাতি) আর মানুষজন তাই বিস্বাস করছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,


বাংলাদেশের যে সকল মানুুষ ফেসবুক আর ইউটিউব নির্ভর ধার্মীক তারা ধর্ম থেকে শত শত কোটি মাইল দুরে আছে।
ঠিকই বলেছেন। এরাই যতো ঘটনট বাজিয়ে ধর্মের বারোটা বাজাচ্ছে।
ভাংগালি শবদটি জম্পেশ হয়েছে।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২৭

বলেছেন: "বিদেশে ধর্মকে হিজাব পরিয়ে জ্ঞানের আলোর পথে রুদ্ধ করে রাখা হয়নি বরং ধর্মীয় সংকট ও সংক্রমণ থেকে শুদ্ধতা চর্চার সুযোগ করে দিয়েছে"

বিদেশে খেলার মাঠ, পার্ক ও বিভিন্ন খোলা জায়গায় নারী পুরুষ এক জমায়েত মিলিত হয় তার সত্যি প্রশংসনীয়।।

অসম্ভব সুন্দর লেখা +++

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,





সে কথাই বলতে চেয়েছি যে, ধর্মকে না জানলে ধর্মের গায়ে কাদা মেখে তাকে কিম্ভুত কিমাকার বানাতে অসুবিধা হয়না মোটেও। উলটো ফায়দা লোটা যায় বেশী। যেখানে মানুষ অশিক্ষিত সেখানে ব্যবসাও জমে ভালো।


৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: রিসেপশোন কাউন্টারে একটা লোক লুঙ্গি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওটা কি আপনি? মাথায় টুপিও আছে। হাতে মনে হয় মোবাইল টিপছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,





মনে হয় তো সেরকমই

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজিব নুর,




দাঁড়ান জিজ্ঞেস করে আসি।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি ভালো লেগেছে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,



ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:০৮

মিরোরডডল বলেছেন: Same here.
That's how it should be.
Wonderful writing! Loved it.

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: MirroredDoll,




সাম্য মানেই তো সবকিছুতে - সব ব্যবসথায় সমান আচরণ করা, দেয়া ও পাওয়া।

ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১১

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার বিদেশীয় ঈদ জামাত অভিজ্ঞতা ও ধর্ম পালন নিয়ে ভাবনা। বরাবরের মতই সহমত।

দেশের বাইরে ঈদ কিংবা জুমার নামাজ এর অভিজ্ঞতার সাথে দেশের পরিবেশ চিন্তা করতে গেলে হতাশ হতে হয় বৈকি। আর ধর্মীয় উন্মাদনা দেশ কাল পাত্র ও কিন্তু ভিন্ন। তবে কেন যেন আমার কাছে মনে হয়েছে আমেরিকা কিংবা কানাডায় ধর্ম পালন বিভিন্ন রকম। এখানে যেমন সহমর্মিতার ধর্ম পালন আছে তেমনি কিন্তু কিছু উন্মাদনা ও আছে।

আর দেশের সাথে কোন কিছুরই তুলনা চলে না কারন দেশ যে কিভাবে চলছে, কে চালাচ্ছে, কোন নীতিতে চলছে কেউই জানে না। অঅ র তা নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা আছে কি না সন্দেহ আছে।

অনেক ভালো থাকুন আর দেশে কি ফিরেছেন?

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,





আর ধর্মীয় উন্মাদনা দেশ কাল পাত্র ও কিন্তু ভিন্ন।
ঠিকই বলেছেন কিনতু আমাদের দেশে এই উন্মাদনার স্বরূপটা ভয়ংকর ভাবে উৎকট তাতে অশিক্ষা- অজ্ঞানতা-কুবুদ্বি- অযুক্তির প্রলেপ থাকার কারনে।
ভয়টা সেখানেই।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৮

সোহানী বলেছেন: ওওও এখানের ঈদগাহ এর ছবি দিলাম। বৃষ্টি ঠান্ডা উপেক্ষা করে নারী পুরুষ এক কাতারেই আমরা নামাজ পড়ি।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




সুন্দর এই দুটি ছবির জন্যে ধন্যবাদ।

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

ইসিয়াক বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধর্ম সহজ ব্যাপার। এখানে ভয়ের আতংকের ছাপ তখনি আসবে যখন অধর্ম ভর করে।
সহমত।
পোষ্ট ভালো লেগেছে ।
ধন্যবাদ

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,




ঠিক বলেছেন সবাই।
ধর্মের সহজতা-সরলতার মাঝে যখন অধর্ম ঢোকানো হয় তখন ধর্ম তার সুন্দরতা হারিয়ে কদর্য্য হয়ে ওঠে, ছড়ায় আতংক।

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধর্মের সহজ জিনিষগুলোকে এভাবে পেজিয়ে কঠিন করেছি আমরা
মানুষ রীতিমত আংকিত ও অনীহা প্রকাশ করে।

দিন দিন সবকিছু কঠিন থেকে কঠিনতর করা হচ্ছে। হায়রে মানুষ!!!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার ,




মানুষের অজ্ঞতা, অল্প শিক্ষা আর অবিদ্যা সবকিছুকেই জটিল ও ভয়ংকর করে তোলে তারই অজান্তে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

নজসু বলেছেন:





ধর্ম আসলে সহজ। ধর্মকে কঠিন করে তুলি আমরা।
আনাড়ী পরিচয় দিলেও ছবিগুলো ভালো লেগেছে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: নজসু,




ধর্ম কিন্তু আসলেই সহজ। মেনে চললে কাউকে ঠকানো চলেনা। কারো মাথায় বারি দেয়াও চলেনা। সত্যের পথে থাকতে হয়। সুন্দর হতে হয়।
এগুলোই মেনে চলতে হয় বলেই যতো ঝামেলা। নিজের আখের গোছানো যায়না। কারো সম্পত্তি দখল করা যায়না। তাই বিভিন্ন মছলা বানাতে হয় যাতে ঐসব করা যায়। ফলে ধর্ম কঠিন হয়ে ওঠে।

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকা কানাডা অষ্ট্রেলিয়ার মত উন্নত দেশে দেখা যায় মসজিদে পুরুষ মহিলা নামাজ পড়ে

হজ ওমরা ছাড়াও কাবা ঘর, মক্কা ও মদিনার মসজিদে পুরুষ মহিলা একসাথেই নামাজ, পর্দা দিয়েও সেপারেট নেই।
একসাথেই চলাফেরা, কাতারও আলাদা না।

আমাদের দেশে এত বাড়াবাড়ি কেন?

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,




বাড়াবাড়িটা হয় এ কারনে যে, আরবী ভাষা সম্পর্কে ভালোভাবে না জানা। আরবীতে শুধু বাক্যের শব্দগুলো দেখেই ঠিক ঠিক অর্থ বোঝা দুরূহ। একটি শব্দ ও তার আশেপাশের শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ মিলিয়ে বাক্যের মূল অর্থ বুঝতে হয়। আর কোরআন তো ক্লাসিক আরবীতে লেখা। সুতরাং ঠিকঠাক ভাবে কোরআনের বাণী বুঝে ওঠা সহজ নয় সবার পক্ষে। আরবী গ্রামার ও ভাষা সম্পর্কে যথেষ্ট ভালো জ্ঞান না থাকলে পরে যে কোনও আয়াৎ বা বাক্যের অর্থ ভুল ভাবে বোঝা হয়ে যেতে পারে। আমাদের লোকজন অল্প বিদ্যার কারনে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কোরআন উপস্থাপন করেন বলেই বাড়াবাড়িটা হয়ে যায়। এ বলেন এইরকম তো উনি বলেন ঐরকম।
আর আমিই যে বেশী পন্ডিত, এ গুনটা তো আমাদের আছেই।

১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: কথাগুলো শুনে ভালো লাগলো।
ইসলাম শান্তির ধর্ম।
ঝামেলা করি, কিছু কম-জানা আর কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ।

শুভ কামনা রইল।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহের ইসলাম,



ঝামেলাকারি কিছু কম-জানা আর কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ।
একদম ঠিক বলেছেন। এদের জন্যেই যতো অশান্তি।

১৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ,
মানব সম্প্রদায়ের মানবিক সম্প্রদায়িকতা ও সংস্কৃতি ধর্মকে
অগ্রাহ্য করে নয় বরং সহজতম উপায়ে মেলবন্ধন বিস্তারিত
পড়লাম। পরবাসে ঈদের জামাত , পোশাক কালচার ও
খুতবা সম্পর্কিত বিষয় গুলো পড়ে ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাচ্ছি।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,




সুন্দর মন্তব্য।
যা বলেছেন মূলত সে কথাই বলতে চেয়েছি লেখায়। সহজ বন্ধন।

শুভেচ্ছা আপনাকেও।

১৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই উপমহাদেশ ছাড়া অন্য কোথাও ধর্ম নিয়ে এত বাড়াবাড়ি হয়না।
এরা ইসলাম এককাঠি বেশি বুঝে। আর বেশি বুঝে বলেই ফতুয়া দেয় ইংরেজি শিখা হারাম,টিভি দেখা হারাম, মাইকে আজান দেয়া হারাম।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন,




এই উপমহাদেশেই যতো অশিক্ষা, অজ্ঞতা আর গোড়ামি হিমালয়ের ব্যাপ্তি নিয়ে গেড়ে বসে আছে। তাই মৌসুমী বায়ুর মতোই সুযোগ বুঝে ফতোয়ার মৌসুমী হাওয়া ছড়াতে তারা ভুল করেনা।

১৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: এমন ঈদের বর্ণনা পড়ে খুব ভালো লাগলো, ছবিগুলোও চমৎকার তুলেছেন।

সবচাইতে ভালো লেগেছে রাজীব নুরের ৫ নাম্বার মন্তব্য! আপনি কেন ইন্দোনেশিয়ান লুঙ্গি পড়ে, নামাজ পড়তে গিয়ে মোবাইল টিপছিলেন- আশা করি সে সম্পর্কে জানাবেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,



হুম আমিও ধান্ধায় পড়ে গেছি :|| মোবাইলে কারে টিপছিলুম মনে করতে পারছিনে ! সকাল থেকেই তো টিপতে আছি, এটা কত নম্বর মনে নেই। ;) B:-/

মালুশিয়ার লুঙ্গি আর টুফি মাথায় দিছি যাতে দোজখে যেতে না হয়---- :P

খুশি তো সব জেনে? 8-|

১৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো লাগলো.....

২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স,





ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।

১৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের এইখানে মসজিদেও এই ব্যবস্থা। আমাদের দেশে মহিলারা মসজিদের যায় না শুনে এখানকার মানুষ খুব অবাক হয়। তবে এটাও ঠিক আমাদের মত জনবহুল দেশে এত মানুষের মসজিদে জায়গা দেয়া এক প্রকার অসম্ভব।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,



প্রশ্নটা মসজিদে জায়গা দেয়া না দেয়ার সক্ষমতা নয়, প্রশ্নটা চিন্তা-চেতনা এবং জ্ঞান ও মানসিকতার।

দেশের বাইরে ছিলুম বলে সময়মতো জবাব দেয়া সম্ভব হয়নি বলে দুঃখিত।
শুভেচ্ছান্তে ।

২০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই আহমেদ জী এস, ল, হাসান কালবৈশাখী, নজসু ইসিয়াক, ও বোন সোহানী
আমাদের দেশে আমরা ধর্ম একটু বেশী বেশী বুঝি, মনে হতে পারে ধর্মের আর্বিভাব বাংলাদেশ থেকেই শুরু হয়েছে। আর এই দেশের পুং সমাজ আর স্ত্রী সমাজের ক্রিয়া কলাপে এটিও মনে হয় কামশাস্ত্র এই দেশেই উৎপত্তি আর ভূৎপত্তি!!!

ধর্মশাস্ত্র আর কামশাস্ত্র ফেসবুকে পিএইচডি ডক্টরেট করা ভাংগালীকে কি বলবেন?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,



সুন্দর বলেছেন - ..........মনে হতে পারে ধর্মের আর্বিভাব বাংলাদেশ থেকেই শুরু হয়েছে।

এবং এনারাই ( আমরাই ) ধর্মকে হেফাজত করার লাইসেন্স প্রাপ্ত বলে ভেবে থাকেন।

দেশের বাইরে ছিলুম বলে সময়মতো জবাব দেয়া সম্ভব হয়নি বলে দুঃখিত। এসেই সকল মন্তব্যের জবাব দেয়ার জন্যে হাত নিশপিশ করছে।
শুভেচ্ছান্তে ।

২১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিক্ষিত ও অশিক্ষিত সমাজের ধর্ম-পালন একই রকমের হতে পারে না।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,



"শিক্ষিত ও অশিক্ষিত সমাজের ধর্ম-পালন একই রকমের হতে পারে না।"
বাস্তবের প্রেক্ষাপটে ঠিকই বলেছেন তবে ধর্ম পালন সব ক্ষেত্রেই, সব কালেই একই হওয়া বাঞ্ছনীয়।

২২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



সৌদি আরবে হজ্জের সময় নারী-পুরুষ এক সাথে কাবাঘর প্রদক্ষিণ করতে পারে। মসজিদে একসাথে নামাজ পড়তে পারে। তাহলে আমাদের দেশে নারীদের মসজিদে একত্রে নামাজ পড়লে সমস্যা কোথায়?
হ্যা, সমস্যা আছে। তা ধর্মীয় নয় মানসিক। আমেপরিকায় ক্যালিফোরনিয়া বাংলাদেশে হলে আয়োজকরা নাস্তিক মুরতাদ পদবী পেতেন। দলে দলে লোক মিছিল বের করতো আয়োজকদের মাথা দিখন্ডিত করার জন্য। দেশটি আমেরিকা তাই অনেকে বাধ্য হয়ে হজম করছে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,



অনিবার্য কারন বশতঃ উত্তর দিতে দেরী হওয়াতে দুঃখিত।

আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশের উত্তরে উপরে ঠাকুরমাহমুদ এর কথাতেই বলি- "আমাদের দেশে আমরা ধর্ম একটু বেশী বেশী বুঝি, মনে হতে পারে ধর্মের আর্বিভাব বাংলাদেশ থেকেই শুরু হয়েছে।"

২৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সকল সুহৃদ পাঠককে--


অনিবার্য কারনবশতঃ সামুতে আসা বেশীরভাগক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছেনা। তাই আপনাদের মন্তব্যের জবাব যথাসময়ে দেয়া হয়ে উঠছেনা বলে দুঃখিত।
সময় সুযোগ মতো আপনাদের সবার মন্তব্যের জবাব পাবেন অবশ্যই।
ধন্যবাদান্তে।

২৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: টেরাম্পের দেশে ঈদের জামাতের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা পড়ে ভালো লাগলো।
আপনি যেহেতু বেড়াতে গিয়েছেন, কাজেই সামুতে আসা একটু কষ্টকরই বটে। অসুবিধা নাই, জবাব নিয়ে চিন্তা করবেন না। মন দিয়ে বেড়ান.....টেইক ইউর টাইম। :)

তবে, এমনিভাবেই চোখ-কান খোলা রাখবেন। খুটি-নাটি কোন কিছুই যেন নজর না এড়ায়। আমরা অপেক্ষায় আছি আপনার আরো অভিজ্ঞতা জানার জন্যে।

সবচেয়ে ভালো হয়, সাথে যদি একটা ছোট্ট নোটবুক রাখেন। স্মৃতির উপর বেশী নির্ভর না করাই ভালো.....মাঝেমধ্যে প্রতারণা করে কিন্তু!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




না, দেশের বাইরে থেকে সামুতে ঢোকা মোটেও কষ্টকর হয়নি। শুধু সময়ের অভাবে সামুতে ঢোকা হয়নি তেমন একটা।
চোখ কান খোলা রাখলে শুধু হতাশাই বাড়ে। দেশের সব কিছুর জন্যে দীর্ঘশ্বাস পড়ে, কষ্টই হয় শুধু। তবুও রাখি, প্রকৃতি দেখি, দেখি মানুষজন - পথঘাট । আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি !
আর আমি তো বেড়াতে যাইনি। তাই এমন বেড়ানো নিয়ে খুব একটা কিছু যে লিখবো তা মনে হয়না। নোটবুক রাখার অভ্যেস নেই। স্মৃতিতে জমা রাখতে চেষ্টা করি আর মেখে রাখি চোখে। সেখান থেকেই হয়তো কিছু তুলে আনতে পারি কোনও দিন, কোনও এক সময়।

এমন আন্তরিক মন্তব্য ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছান্তে।

২৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৬

জুন বলেছেন: আপনার দেখার চোখটি যে অসাধারণ তা এই লেখার প্রতিটি ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে আহমেদ জী এস। সুদুর মার্কিন মুল্লুকে বসেও আমাদের প্রিয় ব্লগে তাই তুলে ধরেছেন যা চোখে পড়েছে অল্প সময়ের ভেতর ।
ভালো থাকুন আর আমাদের জন্য নতুন কিছু লেখালেখি নিয়ে শীঘ্রই ফিরে আসুন সেই প্রত্যাশা রইলো।
+

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




আপনার এমন করে করা প্রশংসায় আসলেই চোখে এখন কিছু দেখছিনে।
চেষ্টা করি, চোখে বাহ্যিক ভাবে যা দেখা যায় তার ভেতরের অঙ্গনটাকে বুঝতে। আর সেটাই ব্লগে তুলে ধরতে চেষ্টা করি।

দেশে তো ফিরেছি কিন্তু লেখালেখি হবে কি করে ! আমি তো আর আপনার মতো ভ্রমনের উদ্দেশ্য নিয়ে যাইনি যে আপনার মতো
দেশ বিদেশ ভ্রমন করে ভ্রমন বিষয়ক অনন্য একেকখানি পোস্ট দেবো!
সেখান থেকে কোনও লেখা নিয়ে আসিনি তবুও আপনার কথা রাখতে চেষ্টার ত্রুটি থাকবেনা। দেখবেন, বানিয়ে বানিয়ে একখানা রচনা হয়তো লিখেই ফেলবো। ;)

ভালো থাকুন আপনিও।
শুভরাত্রি।

২৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ ! বিদেশী ঈদের খুশি দেখলাম আপনার লেখায়।
একদিন ভালো লাগার দিন, কতটা ভালোলাগা ছিল সেটা শিরোনামেই বোঝা যাচ্ছে।


ভালো থাকুন প্রিয় কবি সতত

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক,



বড্ড দেরী হয়ে গেলো জবাব দিতে, ভালো কি করে থাকি ?
তবে ঈদের খুশি নয় একটা তুলনা দেখেছেন লেখায়, জ্ঞান অজ্ঞানের!

২৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: পবিত্র একটি দিনের এমন চমৎকার বর্ণনা পরে মুগ্ধ হ'লাম। বিশেষ করে পোস্টের শেষের মোটা হরফের কথাগুলো সত্যিই খুব ভাল লাগলো।
যতদিন ওখানে আছেন এবং ঘোরাঘুরি করছেন, নোট রাখুন, ছবি তুলুন, দেশে এসে পোস্ট দিলেও চলবে। পরিবারের সাথে আনন্দে কাটুক আপনার প্রতিটি দিন!
পোস্টে প্লাস + +

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



বড্ড দেরী করে ফেলেছি "প্লাস" দেয়া এমন মন্তব্যটির জবাব দিতে। আন্তরিক ভাবেই দুঃখিত।
আপনারা যেমন করে অবলীলায় ভ্রমন কাহিনী লিখে যান অনবদ্য ভাবে তেমন করে লেখা আমার খুব একটা আসেনা।
বেড়ানো কালিন দেখা কিছু জিনিষ যা দেখে অনেক ভাবনার উৎপত্তি হয় তা হয়তো লিখতে পারি। দেখা যাক...

প্লাস দেয়াতে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।

২৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন একটা ব্যাপার তুলে ধরেছেন। আপনার পবিত্র একটি দিন পড়ে মুগ্ধ। মূলত ভাষা শৈলীর জন্য। আনন্দে থাকুন ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,




এমন সুন্দর মন্তব্য যেন ঈদের খুশিটাকেই নিয়ে এলো!

২৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯

অন্তরন্তর বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আপনার বিশেষ একটি আনন্দের দিনের লিখাটা খুবই সুপাঠ্য হয়েছে। আপনি শেষের দিকের যে কথাগুলো বলেছেন বা আশার প্রত্যাশার দিকে তাকিয়ে আছেন তা আমি ঠিক বিপরীত বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে আরও খারাপ হবে বলে মনে করছি। দেশের বাইরে একটা দীর্ঘ সময় আছি বলে আগের এবং বর্তমানের অবস্থা দেখতে পারছি। আপনি হয়ত জানেন যে এই ঈদ বেশ কয়েকবছর ধরে ইউকে আমরা মুসলিমরা দুদিন পালন করছি। পাকিস্তানীরা আমাদের অন্যান্য দেশের সাথে ঈদ উদযাপন করে না বরঞ্চ আমাদের পরেরদিন ঈদ পালন করে। এটা দু ঈদ এই হচ্ছে। আরও বিভক্তি আমি ভবিষ্যতে দেখতে পাচ্ছি। ছেলে মেয়ে একসাথে ঈদ আমাদের দেশের মত পশ্চিমা দেশগুলোতে ভবিষ্যতে হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। আমাদের দিন দিন অধঃপতন হচ্ছে। আপনার প্রবাস সফর আনন্দদায়ক হউক এটাই আশা করছি। মন্তব্য দীর্ঘ হয়ে গেছে বলে দুঃখিত। শুভ কামনা।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্তরন্তর,



যা বলেছেন বা যেভাবে সামনের দিনগুলোর কথা বললেন তা মোটেও ঠেলে সরিয়ে দেবার মতো নয়।
মানুষের অজ্ঞতা, অল্প শিক্ষা আর অবিদ্যা সবকিছুকেই জটিল ও ভয়ংকর করে তোলে তারই অজান্তে। তার সাথে যদি যোগ হয় নিজের বা নিজ গোষ্ঠির শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করার প্রতিযোগিতা তবে ভবিষ্যত আরো অসুন্দর, সন্দেহ নেই।

মানুষ কথিত সামাজিক জীব হলেও "সম্প্রীতি" থেকে তার অবস্থান যোজন দূর। তারপরেও আশা থাকে একদিন মানুষ "মানুষ" হয়ে উঠবে!

মন্তব্যের জন্যে অজস্র ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।

৩০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনকে দেরিতে চোখে পড়ল। বলিম্বজনিত ত্রুটি মার্জনা করুন মহাত্মন!

হুম। অজ্ঞতা অজ্ঞতা এবং অজ্ঞতাকেই আকড়ে ধরে আছে।
প্রচলিত আচার র্স্বস্বতায় বুদ হয়ে আছে।
যে ধর্ম আলোর, মুক্তির, জ্ঞানের, উন্নত প্রজ্ঞার
তাকে বস্তাবন্ধী করে রেখেছে স্রেফ অজ্ঞানতায়! এরপর যদি কিছু থেকে থাকে তা ক্ষনিত স্বার্থ
মোল্লাতন্ত্রের বেড়াজাল আর লাল সালুর মজিদ গংদের কারিকুরি!

মুক্তি পাক সকল বাঁধা ছিড়ে
আলোর ধর্মে সবাইকে আলোকিত করুক - শুরুর মতোন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,



দেরী করে এলেও সঠিক কথাটা বলে যেতে দেরী করেন নি --- যে ধর্ম আলোর, মুক্তির, জ্ঞানের, উন্নত প্রজ্ঞার তাকে বস্তাবন্ধী করে রাখা হয়েছে স্রেফ অজ্ঞানতায়!
শিক্ষা আর জ্ঞান ছাড়া এমন কূপমন্ডুকতা থেকে আলোতে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
শুভেচ্ছান্তে।

৩১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আসলে মূল সমস্যাটা আমাদেরই। মৌলভী সাহেবের কাছ থেকে বাপ-দাদা যা শিখেছেন তার বেশি কিছু আমরা জানতে চাই না। ফলে এদেশে মেয়েরা মসজিদে নামায পড়তে পারে না, বাচ্চারা দুটো শব্দ করলেই মুরুব্বীদের ভ্রু বিরকতিতে কুচকে যায়। আসার কথা পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। এখনকার তরুণরা চিন্তাধারায় স্মার্ট, মৌলভি সাহেবের কথাই মেনে নিতে হবে, কোন প্রশ্ন করা যাবে না- এই ধারণা এখন আর অনেকেই পোষণ করে না।

অঃ টঃ এয়ারপোর্টের হ্যাঙ্গার মানে?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা,




অনেকটাই সত্যি কথা বলেছেন - মূল সমস্যাটা আমাদেরই। মৌলভী সাহেবের কাছ থেকে বাপ-দাদা যা শিখেছেন তার বেশি কিছু আমরা জানতে চাই না।
সময় কতিপয়ের জন্যে পাল্টেছে কিন্তু অধিকাংশই পড়ে রয়েছেন আদিম যুগে।

এয়ারপোর্ট হ্যাঙ্গার হলো, এয়ারক্রাফটগুলোকে রোদ-বৃষ্টি-ঝড় থেকে নিরাপদে রাখার, তাদের তৈরী ও মেরামত করা সহ যাবতীয় মেনটেইন্যান্সের স্থান।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছান্তে।

৩২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫১

উম্মে সায়মা বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, আপনার ঈদের নামাজের তুলনামূলক লেখাটি পড়লাম। খুব সূক্ষ্ম বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। আমাদের দেশে আসলেই গোঁড়ামি বেশি। কিছু কিছু ব্যাপার যেগুলোতে নাক না গলালেও চলে সেগুলোতে বাড়াবাড়ি করবে আর কাজের বেলায় ঠনঠন। আল্লাহ আমাদের দেশের মানুষগুলোকো হেদায়েত দিক। ভালো লাগল আপনার ঈদ সমাচার পড়ে। যদিও একটু দেরী হয়ে গেল পড়তে।
একটা মজার কথা হল, আমি যখনই আপনার পোস্টে এলাম তখনই নোটিফিকেশন পেলাম আপনি আমার ব্লগে মন্তব্য করেছেন :)
ভালো থাকবেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা,




আমরা আসলেই আসল কাজে ঠনঠন, খালি কলসীর মতো শুধু বাজি ঝনঝন!

একেই বোধহয় বলে, টেলিপ্যাথী !
ব্লগে থাকুন যাতে ব্লগটাকে ভারী মনে হয়। দুয়ার হয়তো রূদ্ধ হয় কিন্তু মনটাকে আটকে রাখবে কে ???????
ভালো থাকুন আপনিও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.