|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 আহমেদ জী এস
আহমেদ জী এস
	পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
 
 
আজি এ শারদ প্রাতে......... [ ছবি ও লেখা ব্লগ ]
জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো ......... যুগ যুগ ধরে শোনা এমন কথাটির একটি আবেগীয় অনুভূতির মূর্চ্ছনা দিয়ে লেখাটি শুরু করতে পারলে ভালো হতো । ভালো হতো বলছি এ কারনে যে, এই অনুভূতিটা আজ যে জনে জনে মরে গেছে সেটা যদি না হতো।
এই জনমানুষের নিঠুর থাবার নীচে যে শ্যামলীমার কিছুটা আজও বেঁচেবর্তে আছে , সময়ের পালাবদলে যে নিঃস্বর্গের অপরূপ ছায়া মানুষের অবিমৃষ্যকারীতায় বদলে বদলে গিয়ে এখনও আবছায়া হয়ে ধরা দিয়ে যায় চোখে , বেঁচে থাকার অসম দৌঁড়ে যে মানুষ নামের আত্মীয়গুলো অনাত্মীয় হয়ে কোথায় ভেসে যায় ক্রমে ক্রমে তারই যেটুকু ছবি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এখানে ওখানে , তাই বা কম কিসে !
অনেকেই হয়তো এই কমটুকুরও খোঁজ রাখেন না । মানব থেকে অমানবিক হয়ে যাওয়ার এই সর্বগ্রাসী সময়ের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে কোনও কিছুই হয়তো তার মনে দাগ কাটেনা ।
আর দাগ কাটেনা বলেই, যে কজন মানুষ সর্বগ্রাসী সময়ের এই অভিঘাত সয়েও এখনও “জন্ম আমার ধন্য হলো...” বলতে পেরে ধন্য হয়ে যান লেখাটি তাদের জন্যে ।
............................ছয় সেবাদাসী
ছয় ঋতু ফিরে ফিরে নৃত্য করে আসি
নব নব পাত্র ভরি ঢালি দেয় তারা
নব নব বর্ণ-ময়ী মদিরার ধারা ......
বর্ষা তার নূপুরের ছন্দ থামিয়ে হারিয়ে গেলে সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে আসে শরৎ , শিউলির গন্ধ ডানায় মেখে । 
 
আসে নীলাকাশের দিন ।
স্নিগ্ধ সফেন জোছনা মাখা আকাশ আর হৃদয় উদাস করা আলোর বান ডেকে যাওয়া রাত । সে আকাশের সুঠাম কপালে সন্ধ্যাতারা যেন টিপ হয়ে জ্বলে ।
দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে শিশু ধানের চারা তোলে মাথা । আর গোধূলীর নরম আলো গায়ে মেখে আলপথে ঘরে ফেরে শ্রান্ত কৃষক ।
মেঘের অমল ধবল পালে লাগে হাওয়া । দল বাঁধা মেঘের নাও কোত্থেকেই যে আসে আর কোথায়ই বা যায় ! কেউ জানেনা , কোন ঘাটে ভিড়বে সে তরী ! শুধু পেঁজা পেঁজা তুলোর নাও হয়ে ভেসেই চলে ।
আশ্বিনের আগমনী সুরে সুরে দিগন্ত বিস্তারী কাশফুল বনে বয়ে যায় বাউরী বাতাসের লুটোপুটি । স্নিগ্ধ সফেন ফুলের ঢেউ তুলে শরতের দিন হেসে খেলে যায়। এরি মাঝে দু’দন্ড শান্তি খোঁজে কোনও যুগল মানব-মানবী । প্রান চঞ্চল করে দেয়া শিশির ভেজা ব্যাকুলতা নিয়ে ঝরে শিউলি । গেরুয়া রঙের পায়ে পায়ে যেন জড়িয়ে থাকা কোনও শ্বেতশুভ্র শাড়ীর আঁচল । শিউলি গন্ধে ভরে থাকে সকালের বাতাস । গেঁথে তোলা শিউলির মালা জড়িয়ে থাকে কারো ধবল - নরম হাত ।
 প্রান চঞ্চল করে দেয়া শিশির ভেজা ব্যাকুলতা নিয়ে ঝরে শিউলি । গেরুয়া রঙের পায়ে পায়ে যেন জড়িয়ে থাকা কোনও শ্বেতশুভ্র শাড়ীর আঁচল । শিউলি গন্ধে ভরে থাকে সকালের বাতাস । গেঁথে তোলা শিউলির মালা জড়িয়ে থাকে কারো ধবল - নরম হাত ।
এ ছবিও হেইইইইইইইইইইইইইইইই সুদূরের ।
ছিঁটে ফোটা হয়ে রয়ে গেছে আজও । আমাদেরই লোভে – লালসায় গুটিয়ে গেছে নীল শরতের দিন । ক্রমাগত ক্ষয়ে আসা ফসলের মাঠ, অপরিকল্পিত নগরায়ন, জলাশয় ভরাট করে শিল্পায়ন , বনাঞ্চল উজার করে নাগরিক সুবিধা প্রদানের নামে ব্যবসায়িক চেতনা শরতের আকাশে জড়িয়ে দিয়েছে এক পরত ধুলোর আবরন । আর আকাশও হয়ে গেছে ছোট ।
আমি বলি –যে চোখ আকাশের নীলিমার দেখা পায়না সে চোখ খুঁজে ফেরেনা জীবনের কোনও রঙ । যে মন দিগন্ত জোড়া বিশালতা দেখেনি কোনদিন , সে মনে উদারতার ছায়া পড়েনা । তেমন চোখ ও মনে বদ্ধ পুকুরের মতো জমে ওঠে শ্যাওলা । তেমন জঞ্জালে ভরা অনুদার মানুষেই আজ সব গৃহ ভরপুর । জানালা খুলে শিশুটিও আজ অবারিত আকাশ নয় , দেখে আলোহীন ইট-পাথরের কারাগার । তার ছোট্ট মনে সংকীর্নতা বাসা বেঁধে থেকে যায় ।
সে শিশু উদার হয়ে উঠবে কি করে ?
তাই শারদ প্রাতের প্রানময় ভালোবাসার নৈবেদ্য সাজিয়ে প্রকৃতি আর তেমন করে আসেনা আমাদের মনের আঙিনায় । ঠিক যেন -----
শরতের আকাশে আজ সারাদিন খর আলো
শিশিরের ফোঁটা আজ কোথায় হারালো
দেয়ালের ওপারে শিউলির গাছ
কি করে ফোঁটাবে ফুল !
মৌমাছি উড়ে যায় দূরে
বিষাদ লুকিয়ে থাকে
আমাদের ইট-কাঠ ও পাথরে ......... 
 
তবুও কারো কারো দিগন্তে “তোমায় দিলাম ভূবন ডাঙার হাসি ....” র মতো এক চিলতে নীল আকাশ হাসে ....... আহা মরি মরি - রাতের কিন্নরী
 আহা মরি মরি - রাতের কিন্নরী
কেনো কাশফুলে গান গেয়ে যাও
আকাশ ভরিয়া কেবলি উছলাও
আমারে দিয়ে যাও দু’হাত ভরি । আমারে ফিরায়ে লহো
 আমারে ফিরায়ে লহো
সেই সর্ব-মাঝে যেথা হতে অহরহ
অঙ্কুরিছে মুকুলিছে মুঞ্জরিছে প্রান
শতেক সহস্র রূপে, গুঞ্জরিছে গান
শতলক্ষ সুরে ...... সন্ধ্যার বিদায় রাগে
 সন্ধ্যার বিদায় রাগে
আকাশ রাঙাও কি অনুরাগে
একাকী বিষন্ন তরুচ্ছায়ে
লাগে তার দোলা ...... 
 
  সবুজ কেশের সিঁথি মেলে
 সবুজ কেশের সিঁথি মেলে
প্রান্তর যেন ডাক দিয়ে যায়
যেতে হবে দূর কোন গাঁয়
শরতের মেঠো পথ ভেঙে....... সবে দুলিয়া উঠিছে ধানের চারা
 সবে দুলিয়া উঠিছে ধানের চারা
তারি মাঝে উল্লাসে পাগলপারা
আমারি শৈশব যেন উঠে ভাসি !
আকাশ যেখানে দিগন্তে গেছে মিশি
সেই নভঃতলে আরও একবার
যেন ফিরে ফিরে আসি ....... সাঁঝের আধারের কোমল হাত ধরে
 সাঁঝের আধারের কোমল হাত ধরে
হে কুশলী কোন পাখি , ফেরো নীড়ে
আমি পড়ে রই , শুধু রয়ে যাই
ক্লান্ত এক-পৃথিবী মানুষের ভিড়ে । 
 
  জনবিরল গভীর বাতাসে বাতাসে
 জনবিরল গভীর বাতাসে বাতাসে
সন্ধ্যার আলো ভেসে ভেসে আসে
একদিন এইখানে, উদ্বেল কাশের বনে ..... অম্বর বিস্তারী সঘন মেঘের ভেলা
   অম্বর বিস্তারী সঘন মেঘের ভেলা
উড়ে উড়ে কোন দেশে যাও ভাসি ,
আমার বধূয়া যেথায় আমারি লাগিয়া
অশ্রুসজল চোখে থাকে দিবা-নিশি ? আনমনে নিরবধি , বয়ে চলো হে নদী
 আনমনে নিরবধি , বয়ে চলো হে নদী
নীলাঞ্জন ছায়া সঞ্চারী তব বুকে,
মেঘের ভেলা ভেসে যায় কী সুখে
সেই বুকে একদিন ভাসাতাম খেয়া যদি ..... কোন সুদূরের পানে ওরে মনমাঝি বেয়ে যাও
 কোন সুদূরের পানে ওরে মনমাঝি বেয়ে যাও
উদাসী গাঙে একাকী আনমনে
আমার মন পবনের নাও ...... শেষ শরতের গন্ধ মেখে নীলাকাশ
 শেষ শরতের গন্ধ মেখে নীলাকাশ
মেঘের কুন্তলে সাজে
আলোর প্রজাপতি ছড়িয়ে ডানায়
সে আকাশ যেন - মরি মরি লাজে .... সন্ধ্যার আকাশের কাছে
 সন্ধ্যার আকাশের কাছে
শরৎ সূর্য্যের মাধুরীমা নিয়ে
কিছু নগ্ন নির্জনতা পড়ে আছে ....... ভিজে হয়ে আসে এ নদী
  ভিজে হয়ে আসে এ নদী
শরৎ সন্ধ্যার কোমল মুরতি
কেমন মেখে থাকে বুকে তার,
এইখানে একদিন
ফিরে আসিব আবার
কোলের সন্তান তব কোলের ভিতর   পঞ্চ পল্লবখানি মেলি
  পঞ্চ পল্লবখানি মেলি
শুভ্রবসনা , বাসন্তী নয়না
শিশিরে ভেজা এক শিউলি .......  
  শিউলি ফুঁটে ঝরছে কতো আমার আঙ্গিনায়
  শিউলি ফুঁটে ঝরছে কতো আমার আঙ্গিনায়
শিশির ভেজা সকাল বেলা তার গন্ধে ভরে যায় ... 
অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের সাথে সাথে পরিবেশও যেমন ধ্বংশ হতে বসেছে তেমনি সামাজিক – সাংস্কৃতিক অবক্ষয় ও আজ জেঁকে বসেছে ।
তবুও শরতের নীলাকাশ বেয়ে , শিউলির গন্ধ গায়ে মেখে আসে শারদোৎসব । ঈদ উৎসবের মতোই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ যেন বাঙলার প্রানের উৎসব । মহা মিলনের উৎসব । ঈদ যেমন সব ভেদাভেদ ভুলে মানুষকে বুকে টেনে নেয়ার মন্ত্র শেখায় , শরতের এই উৎসবও যেন তাই ।
বাতাস যেমন একদিকে কাশের বনে দোলা দিয়ে যায় তেমনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উঠোনেও ফুল্লরার আগমনী বার্তা নিয়ে লুটিয়ে পড়ে হেসে হেসে ।
শিউলি হয়ে ঝরেন তিনি , আসেন মহামায়া, যজ্ঞেশ্বরী হয়ে । অসুরের বিরূদ্ধে সুরের জয় , পামরাত্মার বিরূদ্ধে পুণ্যাত্মার জয় নিয়ে । গমন করেন সর্বভুতে , দুর্গতিনাশিনী হয়ে শান্তির - সমৃদ্ধির বারতা ছড়িয়ে ।
এ এক প্রতীকি বার্তা । ইহলৌকিক । মানুষ যেন নিবেদিত হয় মানবকল্যানে । মানুষ যেন মানুষকে ডেকে নেয় অন্তরে । সহমর্মিতার বন্ধনে যেন জড়ায় তাকে । মনের অসুরকে জয় করে মানুষ যেন ছোটে সুরের অমৃতকুম্ভের সন্ধানে । জলে, বায়ুতে, অন্তরীক্ষে, বাক্যে, মননে , চিত্তে এই সংস্কৃতির সুর যেন বেজে চলে দ্রিম দ্রিম তালে । যা দেবী সর্বভুতেষু
  যা দেবী সর্বভুতেষু
শান্তি রূপেন সংহস্থিতাঃ  হে কল্যানী, কল্যান করো
 হে কল্যানী, কল্যান করো
এ মানবে,
ধুম্রজালে নাশ
দানবে .......  অন্তরের নৈবেদ্য ঢালি
  অন্তরের নৈবেদ্য ঢালি
সাজাই পুজোর থালি
যদি করুনায় ফিরে দেখো চাহি ,
দুর্গতি নাশ এ ধরাধামে
তুমি বিনা কল্যানী আর নাহি ....  আরতির ঘন্টা কেঁদে কেঁদে শেষ
  আরতির ঘন্টা কেঁদে কেঁদে শেষ
বিসর্জনের পালা কি যে অনিমেষ
বাজে বুকের তলে ।
হৃদয় নিঙ্গাড়ী অর্ঘ্য
তুলে দিয়ে এই বেলা
সাঙ্গ হলে সব খেলা
ভাসাই তোমায় জলে ....... 
আবাহনের এই সুর সংষ্কৃতি হয়ে বাঙলার ঘরে ঘরে যেন বাঁধে সামাজিকতার বন্ধন ।
আগেই বলেছি , আকাশ দেখেনা বলেই আজকাল মানুষ উদারতা জানেনা ; বিশালতা কি বোঝেনা তাও ।
তাই মনে হয় - মানুষে মানুষে সামাজিকতার ,সংস্কৃতির, সহযোগিতার, সহমর্মিতার এই অচ্ছেদ্দ বন্ধন ছিড়ে গেলে দেশ আর দেশ থাকেনা , একটি ভূখন্ড হয়ে যায় ।
ছবি – ইন্টারনেট থেকে ।
প্রতিটি ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি তাঁদেরই যারা ছবিগুলোর প্রকৃত দাবীদার ।
আর স্বনামধন্য যে সব কবি-লেখকের দু’একটি চরন তুলে এনেছি, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি সেই মহাগুনীজনদের ও ।
এদের সকলের কাছেই ঋনী হয়ে রইলুম ।
 ৫৫ টি
    	৫৫ টি    	 +১৮/-০
    	+১৮/-০  ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১৩
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,
প্রথম মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। 
 শরতের শুভেচ্ছা।
২|  ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১১
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১১
ল বলেছেন: এইখানে একদিন....
ফিরে আসবো আবার 
কোলের সন্তান তব কোলের ভেতর....... 
হৃদয়ে বাংলাকে ধারণ করার মতো ছবি ও কথা।।।। 
  ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:৪৫
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,
চমৎকার মন্তব্য, হৃদয়ে লেগে থাকার মতো। 
৩|  ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:২৪
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কোনো বিচিত্র কারণে বাংলাদেশ অভিশপ্ত হতে যাচ্ছে দিনকে দিন, প্রকৃতির অভিশাপ ভয়াবহ - এর থাবা মনে হয়না বাংলাদেশের মানুষ নিতে পারবে।
  ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩১
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
প্রকৃতির গায়ে হাত দিলে প্রকৃতি কখনও কাউকে ছেড়ে কথা কয়না।  ঘড়ি ধরে সব আঘাতের প্রত্যাঘাত সে করেই। হিসেব করে পাই পাই। কিছু মানুষ বুঝতে শিখেছে, প্রকৃতিতে  মানুষের অশুচি হাত ছোঁয়াতে নেই। তাই তো আজ  বিশ্ব জুড়ে পরিবেশ রক্ষার  এতো এতো জোর আন্দোলন বেগবান। 
শুধু বাংলাদেশই নয় প্রায় সকল দেশেই প্রকৃতির অভিশাপ লেগেছে।  মানুষ নিজের অবিমৃষ্যকারীতায় প্রকৃতিকে ফুঁসে ওঠার যে সুযোগ করে দিয়েছে তার হাত থেকে নিস্তার নেই হয়তো!
৪|  ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:১০
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:১০
চাঁদগাজী বলেছেন: 
গদ্যে, পদ্যে, কথায়, অনুরাগে মিলে শরতের  এক বিশাল অনুভবতা
  ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৫৯
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
শরতের নীল আকাশের মতো বর্ণিল আপনার এই মন্তব্য। 
শরৎ শুভেচ্ছা। 
৫|  ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:১৫
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নানা রঙের শারদীয় প্রভাতের ঝলকানিতে মুগ্ধ হলাম। আশ্বিনের আগমনী সুরে দিগন্তবিস্তারী কাশফুল বনে বয়ে যায় বাউরি বাতাসের লুটোপুটি।আহা! মায়াবী অভিব্যক্তি। ছবিগুলিও ভীষণ সুন্দর।++
শুভেচ্ছা নিয়েন ।
  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:২৮
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
সুন্দর মন্তব্য। ধন্যবাদ। 
শারদীয় শুভেচ্ছা রইলো।
৬|  ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪৮
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কঠিন করে লিখেছেন। আপনার এই লেখা পড়ে বুঝতে হলে যে কবি মনের দরকার, তা আনফরচুনেটলি আমার নাই।  
 
তবে ছবিগুলো খুব ভালো লাগলো।
বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি এখনও গাজীভাইএর ওখানে, নাকি বাংলা মায়ের কোলে ফিরে এসেছেন?
  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৫৩
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
কবি মন তো বেড়ে ওঠে রসের ধারায়। সে রস যে আপনার কম নয় তা তো আপনার লেখাগুলোর ভেতরেই বারেবারে উঁকিঝুকি মেরে যায়। 
বোঝার দরকার নেই, অনুভবে ছোঁয়া দিয়ে গেলেই চলবে। 
বাংলা আমার জীবনানন্দ, বাংলা আমার সুর..............
সেই বাংলায় আবার শঙ্খচিল হয়ে ফিরে এসেছি বলেই তো ব্লগের আকাশে বিচরণশীল দেখতে পাচ্ছেন।
৭|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১:৪৪
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১:৪৪
রাকু হাসান বলেছেন: 
বাহ বেশ মনোরঞ্জন করলো আমার । চরণগুলোর সাথে ছবিগুলো জুতসই।অবশই প্লাস ও এবং প্রিয়তে ।
  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৮:২০
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৮:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাকু হাসান,
প্লাস ও এবং প্রিয়তে নেয়ার জন্যে শরতের রং লাগলো মনে।
অজস্র ধন্যবাদ। 
শরতের শুভেচ্ছা রইলো।  
৮|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১:৫৩
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: 
ব্লগে ঢুকেই লেখাটি দেখে  মনে পড়ল রবিঠাকুরের গান “শারদ প্রাতে আমার রাত পোহালো”। সব ছেড়ে ছুড়ে লেখাটি পাঠে নড়েচরে বলসাম । উপলব্ধি করলাম কাশফুল পেখম মেলেছে , হাওয়ার সুরে তাল মিলিয়ে তারা দুলতে লেগেছে , আকাশ জুড়ে পেঁজা মেঘের বাহার জমছে , শরতের আগমনের সাথে সাথে পূজোর ঢাঁকে  যেন কাঠি পড়েছে । চারিদিকে  হুটোপুটি রেশ শুরু হয়েছে ।  আর মাত্র কদিন পরেই শারদীয় পুজা, মনে পড়ল শরতের চির চেনা কাশফুলের মাথা দোলানোর কথা, যার পাশে গিয়ে ছোটকালে কত খেলাই খেলতাম, সন্ধাকাল কাটত পুজামন্ডপে বেজে উঠা ডোল বাজনার তালে তালে গান আর মহালয়া শুনে। ব্রহ্ম মুহূর্তে দেবী দুর্গাকে স্মরণ করে স্ত্রোত্র পাঠ হতো  শুরু । দর্শক শ্রোতারা  আস্তে আস্তে ডুবে যেতো  মন্ত্রের মধ্যে। পুরোত মশায়ের মন্ত্র পাঠের  সঙ্গে চলত শিল্পীদের গান  'তব অচিন্ত্য রূপ জড়িত মহিমা', 'জাগো তুমি জাগো'। পাঠ যত এগোত  দর্শক তত হতো আত্মভোলা , কারো কারো  চোখ দিয়ে, গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ত শরতের শিশিরের মতো  অশ্রুকণা। কেও কেও  বাকহারা হয়ে শুনত মন্ত্রপাঠ। কখন যে দিকচক্রবালরেখায় লাল আবির ছড়াতে ছড়াতে দেখা দিত পোষ্টের ছবিটার মত ভোরের সুর্য তা মনেই থাকতনা অনেকের।  ওমন আত্মা নিংড়ানো আকুতিতে সময়ও হতো স্তব্ধ! আকাশে-বাতাসে তখন গমগম করে একটাই শব্দ  'আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠা মঙ্গল শঙ্খ' ।
কতকাল পেরিয়ে গেল তবে শরতের সকাল একই ভাবে আজো হয় হাজির, একইভাবে মাথা নেড়ে কাশফুল  স্বচ্ছ পেঁজা মেঘমালাকে স্বাগত জানায়  জীবনের পালা বদলের ঘটে । কেবল বদলে যায় দিন, তবে আনন্দটুকু  নয়, বদলায় কর্মের ভুমিকা , বদলায়  জাঁকজমকের পসার, অন্তরের মিল চিরকাল একই থেকে যায় । তাইতো শারদীয়ায় পর হয় আপন, ব্লগত্যাগি  ব্লগারবৃন্দ  ব্লগে  ফিরে এসে  হয় একাকার, মনে হয় যেন যুগযুগন্ত ধরে কাশফুলগুলি  হাওয়ায় মাথা নাড়ে  আর  হাসে শ্বেতসুভ্রতায়। কি নাই এই পোষ্টের লেখায়, যেমনি সব নজর কাড়া ছবি, তেমনি কবিতার ছড়াছড়ি দেখে ও পাঠে মুগ্ধ। এমন স্মৃতি জাগানিয়া পোষ্ট প্রিয়তে  গেল । 
শুভেচ্ছা রইল 
  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৮:৫৪
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৮:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
নষ্টালজিক করে দেয়া মন্তব্য। 
আজও চোখে ভাসে শৈশবের সেইসব শারদীয় দিন । আজও কাঁসর ঘন্টা বাজায় বুকে। চোখে মুখে খেলা করে যায় শরতের রৌদ্রস্নাত নীল আকাশ। আজও মেঘের ভেলারা স্মৃতি নিয়ে উড়ে আসে মন নদীর তীরে।
তবে অন্তরের মিল কি আজও একই সুরে কথা কয় ? একই বৃন্তে দু'টি কুসুম হয়েও কি নিদারুন দূরত্ব তাদের মাঝে! শরতের শ্বেতশুভ্র শিউলির মাঝেও যে লুকিয়ে থাকে কীট। হায়! যদি এমন না হোত! কবে পোহাবে এমন তিমির রাত! 
মন্তব্যে প্লাসও ধন্যবাদ। 
শরৎ শুভেচ্ছা।  
৯|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ২:০০
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ২:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গানটির লাইন হবে আমার রাত পোহালো শারদ প্রাতে
  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৯:৫৩
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৯:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
বুঝতে পেরেছি। কাঁহাতক আর সব কিছু লাইন বাই লাইন মনে থাকে !!!!!!!
১০|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সকাল ৭:১৮
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সকাল ৭:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর। প্রানবন্ত।
  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৯:৫৭
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৯:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
টুকরো টাকরা জীবনের গল্প। 
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
১১|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সকাল ৯:১০
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সকাল ৯:১০
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল গুরুজী,
আপনার লেখাটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। আমার খুব প্রিয় একটা সময়কাল নিয়ে লিখেছে আপনি। আর তাই---- 
ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশে এখন চলে এসেছে প্রিয় শরৎ। বর্ষা ঋতুর অবসানে অপূর্ব শোভা নিয়ে আবির্ভূত হয় স্নিগ্ধ শরৎকাল। ভোরবেলায় ঘাসের ডগায় জমে শিশির। শরতের প্রতীক যেন ‘কাশবন’ আর ঘন নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। শরতের মাঠে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো ধানের ক্ষেত। শরতের হাওয়ায় দোলে সবুজ মাঠ। বিলেঝিলে জলাশয়ে শাপলা-শালুকের নয়নাভিরাম শোভা। আমাদের যাপিত জীবনের বন্দি অবস্থার বৃত্ত ভেঙে অমল ধবল শরৎ ডেকে বলে এসো এসো তব মোর সাথে। শরতে প্রকৃতিতে শাপলা, শালুক, পদ্ম, জুঁই, কেয়া, কাশফুল, শিউলি, জবা, কামিনী, মালতি, মল্লিকা, মাধবী, ছাতিম ফুল, বরই ফুল, দোলনচাঁপা, বেলি জারুল, নয়নতারা, ধুতরা, ঝিঙে, শ্বেতকাঝন, রাধুচূড়া, স্থল পদ্মা, বোগেনভেলিয়াসহ নানা রকমের ফুলের মুগ্ধতায় যেন হেসে ওঠে প্রকৃতি। 
প্রকৃতির রঙরূপ বদলে দিয়ে শরৎ আসে মেঘের কোলে হেসে হেসে, ভেসে ভেসে। ঋতুচক্রের ধারায় শ্রাবণ শেষে যেন চুপিসারেই চলে আসে ভাদ্র। আর তাই কালো মেঘে ঢাকা আকাশ সেজেছে ময়ূরকণ্ঠী নীলে। সাদা মেঘে নীল আকাশের ফাঁকে ফাঁকে রুপালি রদ্দুরের উঁকিঝুঁকি কতইনা ভালো লাগে। যখনই প্রকৃতিতে শরতের আগমন তখনই হৃদয়মঞ্জুরিতে ফোটে ফুল- শিউলি, গোলাপ, বকুল। আরো আছে মল্লিকা, কামিনি, মাধবী! বিলেঝিলে শাপলার পাপড়ি মেলানো স্ফুটন যেন জগতের সব কালো (অপ) শুভ্র সাদায় ধুয়েমুছে দিতে আহ্বান জানায়। আর কাশফুল নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের প্রতিবিম্ব, নদীর জলে যেন সবকিছু একাকার হয়ে যায়।
বাংলার বিভিন্ন কবি শরৎকালের কথা যেভাবে তুলে ধরছেন সেটাই নীচে দিয়ে দিলামঃ-
১) কাশফুলে সৌন্দর্য প্রীতির কথা জীবনানন্দ দাশের কবিতাতেই ফুটে উঠেছে। কবি বলেছেন-
পৃথিবীর পথে আমি কেটেছি আঁচড় ঢের, অশ্রু গেছি রেখে
তবু ঐ মরালীরা কাশ ধান রোদ ঘাস এসে-এসে মুছে দেয় সব।
২) শরৎকালে প্রকৃতির রূপসংগীত রচনা করে গেছেন কবিগুরু রবিঠাকুর। তিনি লিখে গেছেন-
আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা রে ভাই, লুকোচুরি খেলা
নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই-লুকোচুরি খেলা...
৩) শরতে ফোটা ফুলের নাম শিউলি। শরতের প্রতীক ফুল শিউলি সূর্যাস্তের পর ফোটে এবং সূর্যোদয়ের আগে ঝরে যায়। শরতের প্রেমে পড়ে কবি নজরুল গেয়েছেন শিউলি শরতের গান-
তোমারি অশ্রুজলে শিউলি তলে সিক্ত শরতে
হিমানীর পরশ বুলাও ঘুম ভেঙ্গে দাও...।
৪) শরৎ এসেছে মেঘের কোলে ভেসে। শরতের মোহন রূপে ভুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রভাতের শুকতারাকে শরতের শিউলির সঙ্গে তুলনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ। শরতের সিগ্ধতায় বিমোহিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন-
মেঘের কোলে রোদ হেসেছে, বাদল গেছে টুটি,
আজ আমাদের ছুটি ও ভাই, আজ আমাদের ছুটি
কী করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন বনে যাই,
কোন মাঠে যে ছুটে বেড়াই সকল ছেলের জুটি.....
৫) শিউলি ফুল যেন শরতের রানী। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও মজেছেন শরতের রূপে। বিশেষ করে শরতের শিউলি তাকে দিয়েছিল অপার মুগ্ধতা। প্রিয় কবি লিখেছেন-
আবার যেদিন শিউলী ফুলে ভরবে তোমার অঙ্গন
তুলতে সে ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কন
কাঁদবে কুঠীর অঙ্গন,
শিউলী ঢাকা মোর সমাধি
পড়বে মনে, উঠবে কাঁদি
বুকের জ্বালা করবে মালা
চোখের জলে সেদিন বালা।
মুখের হাসি ঘুচবে
বুঝবে সেদিন বুঝবে।’
৬) শিউলির গন্ধমাখা বাতাস জানায় শরতের আগমন। এ কারণেই হয়তোবা শিউলি ফুলে ঢাকা সমাধির কথা স্মরণে এনে নজরুল লিখেছেন-
এসো শারদপ্রাতের পথিক এসো শিউলী-বিছানো পথে,
এসো ধুইয়া চরণ শিশিরে এসো অরুণ-কিরণ-রথে...
৭) আবার শরতের মধুর সকালের অপরূপ বর্ণনাও মেলে বিদ্রোহী কবির সৃষ্টিতে। তিনি লিখেছেন-
শিউলি তলায় ভোর বেলায় কুসুম কুড়ায় পল্লী-বালা,
শেফালি পুলকে ঝ’রে পড়ে মুখে খোঁপাতে চিবুকে আবেশ-উতলা
৭) শরতের এত রূপ, এত ঐশ্বর্য, এত মোহ, এত ঋতুবৈচিত্র্য, এত রঙধনুর রঙ, আকাশের এত নীল, এত ছায়াপথের আলোছায়া, এত সূর্যাস্তের রক্তরাগ, এত ভোরের শিশির, এত কাশফুলের হেলাদোলা আর এই বাংলা ছাড়া কোথায় পাবে বল। কবি মন আজি বলতে চায়-
শরতের এই রূপ দেখে মোর চোখ জুড়িয়ে যায়,
মোর মন জুড়িয়ে যায়, মোর প্রাণ জুড়িয়ে যায়,
আমি সব পেয়েছি হেথায় সেথা্
আমার এই বাংলা মায়ের শ্যামল-অমল মায়ায়।
৮) নজরুলের কবিতা-গানে শরৎকালের শিউলি এসেছে ঘুরে ফিরেই। শিউলি ফুলে মুগ্ধ কবি নিজের বুকের হাহাকারের কথা বলতেও শিউলিকে আশ্রয় করেছেন। লিখেছেন, 
শিউলি ফুলের মালা দোলে শারদ-রাতের বুকে ঐ,
এমন রাতে একলা জাগি সাথে জাগার সাথী কই...
৯) সৈয়দ মুজতবা আলীর নায়ক কান্দাহারে গিয়ে কাবুলদুহিতা শবনমের প্রেমে পড়ে শরৎ স্মৃতি তুলে এনেছিল। শবনম মানে শিশিরবিন্দু, হিমকণা। পরিচয়ের শুরুতেই নায়ক মজনুন শবনমকে শিশিরের সঙ্গে শিউলির সম্পর্ক তুলে ধরে কবিতা আউড়েছিল। সেই কবিতা মন হরণ করে শবনমের, সে নিজের নাম ‘শিউলি শবনম’ হলে কেমন হয় জানতে চেয়েছিল প্রেমাষ্পদের কাছে। [কেন আমি আমার লেখা গল্পের সিরিজের নাম শবনম রেখেছিলাম আশা করি এখন বুঝতে পেরেছেন!] 
সবশেষে সবার জানার জন্য শিউলি নিয়ে পুরাণের বিষণ্ন কাহিনিটি লিখে দিলাম। দ্বিজেন শর্মার ‘শ্যামলী নিসর্গ’ বইতেও আছে। কোনো এককালে এক রাজনন্দিনী ভালোবেসেছিলেন সূর্যকে। ব্যর্থ হলো তার প্রেম। প্রবঞ্চিত রাজকন্যা হলেন আত্মঘাতী। তার চিতাভস্ম থেকে জন্মাল একটি গাছ। আর সেই গাছেই তার বেদনা ফুটল শুভ্র ফুল হয়ে। রাতের নিভৃতে। সূর্যের আলোর স্পর্শ পাওয়ার আগেই গেল ঝরে। সেই হলো শিউলি ফুল। উজ্জ্বল কমলাবৃন্তের ওপর সাজানো তুষার শুভ্র পাপড়ির চোখজুড়ানো স্নিগ্ধ রূপ আর মনে প্রশান্তি আনা সৌরভের জন্য শিউলি ফুল কেবল প্রিয়ই নয়, আদরণীয় হয়ে আছে ছেলে-বুড়ো সবার কাছে।
শরৎ আমার খুব প্রিয়। আর তাই আমার লেখার মাঝে এর ছবি মাঝে মাঝেই খুঁজে পাবেন। আমার ব্লগীয় নিক নামও কিন্তু এই শরৎকালের অপরূপা প্রকৃতির কাছ থেকেই ধার করেছি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:৩৬
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
নীল আকাশের মতো বিশাল এই মন্তব্যে যা বুঝলুম তা হলো - নীল আকাশকেও শরতের শিউলি দোলা দিয়ে যায়। আকাশের প্রক্ষাপটে ফুঁটে থাকা কাশের বনেও হাওয়ারা লুকোচুরি খেলে। মনের মতো একখানা মন থাকলে পরেই মনে হয় - উড়ে উড়ে কোন দেশে যাও ভাসি! 
আপনিও ভেসে গেছেন তেমন করে, সব মহারথী কবিদের কবিতার নাওয়ে ভেসে ভেসে। এ আপনার শরৎ প্রেম।  
শরৎ তার শিশির স্নাত দেহবল্লরী দিয়ে নাচায়নি , এমন মানুষ খুঁজে পাবেন না! 
মন্তব্যে প্লাস। আপনার এই শরৎ বন্দনা আমার এই পোস্টে শিউলি হয়ে ফুটে থাকুক।
১২|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সকাল ৯:১১
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সকাল ৯:১১
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার পোস্ট লাইকড এবং সোজা প্রিয়তে................
  ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৫৫
০১ লা অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
ধন্যবাদ সবটুকুর জন্যে। 
শারদ শুভেচ্ছা। 
১৩|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সকাল ১০:০০
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সকাল ১০:০০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মনে হচ্ছে ছবি গুলো আপনার লেখার কথা ভেবেই ক্যাপচার করা হয়েছিল। ছবি ক্যাপচারকারীদের ধন্যবাদ দিতেই হয়। ছবি যদি কল্পনা হয় তবে কল্পনার প্রকাশ এর চেয়ে ভালো হতো কি ? পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে। 
ভালো থাকবেন স্যার।  শরতের নীল  আকাশ আপনার জন্য বরাদ্দ থাক।
  ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:৪৭
০১ লা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ,
শরতের নীল আকাশ শুধু আমার জন্যেই নয়, বরাদ্দ থাক বাংলার সকল মানুষের জন্যে। তারা যেন উদার হতে শেখে, হয় নির্মল!
শরতের একপশলা শুভেচ্ছা লেখাটি প্রিয়তে নেয়ার জন্যে। 
১৪|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১২:৪৯
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১২:৪৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট
অনেক ভালো লাগা পোস্টটিতে
  ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৯:১৮
০১ লা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৯:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,
শারদ শুভেচ্ছার সাথে ধন্যবাদ , ভালো লেগেছে জেনে।
১৫|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১২:৫৩
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১২:৫৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ছবি ও কথায় মন ভরে গেল।
জাষ্ট অসাধারণ।
  ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ১০:৪১
০১ লা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ১০:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,
আপনাকে দেখে ভালো লাগছে এই জন্যে যে, এই ক্রান্তিকালে সামুতে একজন পাঠক বৃদ্ধি পেলো। 
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ও একই সাথে মরতের শুভেচ্ছা।
১৬|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  দুপুর ২:১৩
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  দুপুর ২:১৩
বিজন রয় বলেছেন: আশাকরি ভাল আছেন।
আপনার এই পোস্ট ও কয়েকজনের দারুনসব মন্তব্য আমাকে কয়েক মুহূর্তের জন্য থমকে দিল।
আপনার পোস্টে আসলে মনে হয় আমার ব্লগজীবন ধন্য।
আহা! শান্তি! সুখ!
এটা অব্যাহত থাকুক।
  ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৪৪
০২ রা অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয়,
মন্তব্যের প্রথম দু'লাইনে আপ্লুত। 
অব্যাহত থাকুক শান্তি আর সুখ! 
শারদীয় শুভেচ্ছা।
১৭|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৫:০২
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৫:০২
করুণাধারা বলেছেন: ছবি দেখে তারপর উপযুক্ত কথা ভাবলেন, নাকি আগে কথা তারপর ছবি খোঁজা!! যেটাই হোক ছবির সাথে কথাগুলো খাপে খাপে মিলে গেছে। চমৎকার, এক শান্তিময় পোস্ট।
 শেষে যে কথা বলেছেন, আকাশ দেখেনা বলেই আজকাল মানুষ উদারতা কি জানেনা, বিশালতা কি জানেনা-  একেবারে খাঁটি কথা। ছোটবেলায় সেই যে কবিতা পড়েছিলাম, "আকাশ আমায় শিক্ষা দিল উদার হতে ভাইরে/ কর্মী হবার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাই রে", এটা পড়ার পর থেকে আকাশ দেখতাম খুব। আজকাল আকাশ কোথায়!! জানালা খুললে পাশের বাড়ির দেয়াল! সেই দেয়াল দেখে আর যাই শেখা যাক, উদারতা শেখা যায় না! 
  শান্তিদায়ক পোস্টে লাইক।
  ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:৩৭
০২ রা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
আমার ছবি ব্লগে প্রথমে বিষয়বস্তু ভিত্তিক ছবি বাছাই করি তারপরে কথাদের সাজাই। খাপে খাপে মিলে যায় কিনা জানিনে তবে মেলানোর চেষ্টা থাকেই। এটাও তেমন। এটাকে চমৎকার ও শান্তিময় বলায় ধন্যবাদ।
মন্তব্যের দ্বিতীয় প্যারায় যা বলেছেন তা আমার নিটোল বিশ্বাস ও উপলব্ধি থেকেই বলেছি। বলি বারেবারে। নিরেট বাস্তব। নইলে অবারিত ধানখেতের কোল ঘেসে থাকা গ্রাম-জনপদের মানুষগুলো আগে এতো সরল এবং মনের দিক থেকে বিশাল থেকেছে কিভাবে? আজ কি তা তেমন আছে? গ্রামেগঞ্জে আগেকার মতো সহজ, সরল, উদার, অমায়িক মানুষের দেখা মেলা ভার। গ্রামের আকাশও যে আজ সংকুচিত হয়ে আসছে, তাই !
আকাশ নেই বলেই শহুরে মানুষ বড়ই অনুদার। নীলিমার নীল কেমন তা জানেনা বলেই শহুরে মানুষ মন-মানসিকতায় কালো।
ভালো লাগলো আপনার এই উপলব্ধিমূলক মন্তব্যখানি।
শরতের সান্ধ্যকালীন শুভেচ্ছা রইলো।
১৮|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:২৯
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:২৯
শায়মা বলেছেন: আমি সেদিন আমার স্কুলের একটা বাচ্চাকে জিগাসা করছিলাম। আকাশের দিকে দেখো। তার বয়স ১৪। সে তাকিয়ে বললো কি? আমি বললাম, কোনো স্পেশালিটি দেখতে পাও? সে বললো, কি আবার? আকাশ, বাতাস...... এটা দেখার কি হলো? 
অথচ আমি আমার ছোটবেলায় শরৎ আসলে গাইতাম, নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা ....... আর অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম ঝকঝকে নীল আকাশের সাদা ধপধপে মেঘ দেখে....
আমার ছোটবেলায় আমি কবিরা যেভাবে ভেবেছেন বা মা যেভাবে বলেছেন সেটাই উপলদ্ধি করার চেষ্টা করতাম কিন্তু এখনকার বাচ্চাদের কাছে এসব ইমোশন জিরো.... তারা মনে হচ্ছে ফিলিংলেস হয়ে বড় হচ্ছে ......
ভাইয়া শরতের শিউলীফুলে ছাওয়া শিউলি তলা! কি যে এক মায়াময় নম্র সৌন্দর্য্য! একটু রোদ করা হলেই তার কোমলতা হারায় যেন দিনের তাপে রৌদ্রজ্বালায় , শুকায় মালা পূজার থালায় ......
আর পূজোর সেই দেবী দূর্গার সাথে শরতের সৌন্দর্য্য! সে কি ভোলা যায়! 
ভাইয়া একদম মন উচাটন পোস্ট! 
  ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৯:৪৮
০২ রা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৯:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
যে চোখ আকাশ দেখেনা, দেখেনা আকাশের নীল; সে সব চোখের মানুষের অনুভব থাকেনা। আর তাই এ প্রজন্মের শিশু-কিশোরেরা সব অনুভূতি শূণ্য। তাইতো শিশু অপরাধ বাড়ছে দিনকে দিন। সহপাঠিকে গলা টিপে মারতে তাদের হাত কাঁপেনা এতোটুকুও।
এখনকার বাচ্চাদের কাছে এসব ইমোশন জিরো.... তারা মনে হচ্ছে ফিলিংলেস হয়ে বড় হচ্ছে ......
"মনে হচ্ছে" নয় তারা আসলেই অনুভূতি শূণ্য হয়ে গেছে।  এই দীনতা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু...। এমন করে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া এ থেকে উত্তরণের কোন পথ নেই। একদিন এ পৃথিবীটা ধূসর হয়ে যাবে এদের জন্যেই।  
একদম মন উচাটন করা মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ। 
শারদ শুভেচ্ছা।
১৯|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৩৩
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৩৩
মুক্তা নীল বলেছেন: 
শ্রদ্ধেয় ভাই ,
শরৎকালের প্রকৃতি এক অদ্ভুত বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়। সেই সাথে আবহাওয়ার বিচিত্র খেলা আমরা অনুভব করি কখনো রোদ কখনো বৃষ্টি। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায়, ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা, ঝিরিঝিরি হাওয়া নৃত্যের তালে    ন্যায় বৃষ্টি প্রকৃতির এক অসাধারণ রূপ দেখে অভিভূত হই।
আমাদের মনের আকাশটাও কোন এক সময়ে উজ্জ্বল দীপ্তময় হয় আবার কখনো কখনো তা অন্ধকারের নয় বিষন্নতার কালো মেঘে পরিণত হয়। ঠিক এই প্রকৃতি ও আকাশের মতোই , তাই শরৎকাল আমারও ভীষণ প্রিয়। আগমনী থেকে বিসর্জন ,পুরো পোস্টটিতে চমৎকার কিছু ছবি এবং কিছু  চরণ এতটা আবেগ দিয়ে প্রকাশ করেছেন , সেজন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ । 
পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে নিয়ে নিলাম ।
  ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:০৮
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,
 সর্বগ্রাসী সময়ের অভিঘাত সয়ে সয়েও মনের ভেতর যাদের গুনগুনিয়ে ওঠে - "আমায় ফিরায়ে লহো / সেই সর্ব মাঝে যেথা হতে অহরহ / অঙ্কুরিছে ,  মুকুলিছে, মুঞ্জরিছে প্রাণ....." এই গানখানি, শরৎ তাদের ভালো না লেগে উপায় নেই। 
পোস্টটিকে চমৎকার বলে যে প্রিয়তে ঠাঁই দিয়েছেন তাতে কৃতজ্ঞ।
শরৎ শুভেচ্ছা রইলো।
২০|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৯:৪৭
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৯:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক দিন পর ঠিক যেন শরতের মতোই চক্রাবর্তেন ফিরে এলেন দারুন ভাবে
রাজকীয় প্রত্যাবর্তন কি একেই বলে? ঋতু বন্দনার সাথে সাথে চলমান সময়, চেতনার বানিজ্যিকরণ
আমাদের হারিয়ে যাওয়া সুকুমার মনোবৃত্তি, সেই বর্ণালী শৈশব বঞ্চিত এ প্রজন্ম... সব মিলিয়ে এক
দারুন ভাবনার পোষ্ট। ভাললাগার পোষ্ট! আরেকবার পড়বার মতো পোষ্ট!
প্রকৃতি নিজেই প্রতিশোধ নেয়! কত সভ্যতা সাগরের অতলে গবেষক ছাড়া কে খুঁজ রাখে!
লোভী মানুষ নামের দু পেয়েজীবগুলো কি শেষ মুহুর্তেও অনুভব করতে পারে তাদের অন্যায়!
প্রকৃতির প্রতি করা তাদের অনাচার! জানতে ইচ্ছে হয় খুব! 
শারদীয় শুভেচ্ছা।
  ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:২৬
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
প্রকৃতি নিজেই প্রতিশোধ নেয় এবং ভয়ঙ্কর ভাবেই নেয়। মানুষ তা বোঝেনা কখনও।
আমাদের হারিয়ে যাওয়া সুকুমার মনোবৃত্তি, সেই বর্ণালী শৈশব বঞ্চিত এ প্রজন্ম... সব মিলিয়ে এক
দারুন ভাবনার পোষ্ট। ভাললাগার পোষ্ট! আরেকবার পড়বার মতো পোষ্ট!
একথার পরে আর কোনও কথা চলেনা। শুধু কৃতজ্ঞতার কথাই বলতে পারি!
২১|  ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:৩৭
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:৩৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: Vivid....
  ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৩১
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স,
তাই কি !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
শরৎ শুভেচ্ছা।
২২|  ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৩:১৯
০২ রা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৩:১৯
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: শরতের আকাশ, শরতের কাশফুল, শরতের বিকেল সন্ধ্যা আমাকে খুব মুগ্ধ করে।
পোষ্টের কল্যাণে বাংলার শরৎ দেখলাম।
  ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:০২
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুনায়েদ বি রাহমান,
শরৎ মুগ্ধ করার মতোই রূপ নিয়ে আসে তেমন চোখের জন্যে। সাঁঝের কোমল হাত ধরে শিউলিগন্ধ মাখা প্রান্তর যেন ডাক দিয়ে যায়।
তবে ছবিতে দেখা শরৎ আর চোখে দেখা শরৎ এক নয়। 
শরৎ শুভেচ্ছা রইলো। 
২৩|  ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯  সকাল ১০:৪১
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯  সকাল ১০:৪১
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস,
 আমার প্রিয় ঋতুকে নিয়ে অনাবদ্য একখানি লেখাই লিখেছেন বটে। মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে গেলাম আপনার শরৎ বন্দনা সাথে উপহার ছবিগুলো ।  আপনার লেখার সাথে তাল মিলিয়ে আমিও কবিগুরুর মত বলি ঃ-  
 
ওগো আমার শ্রাবন মেঘের খেয়া তরীর মাঝি 
অশ্রুভরা পুরব হাওয়ায় পাল তুলে দাও আজি   
  
  
কবি নির্মলেন্দুগুনের কবিতায় শরৎ এর কাশফুলের মতই আমার ছবিটি 
“সরে তো এই বর্ষা গেল
শরৎ এলো মাত্র,
এই মধ্যে শুভ্র কাশে
ভরলো তোমার গাত্র।
ক্ষেত্রের আলে মুখ নামিয়ে
পুকুরের এ পাড়টায়
হঠাৎ দেখি কাশ ফুটছে
বাশবনের ঐ ধারটায় "। 
লেখায় অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো । 
ছবিদুটো এই অভাজনের তোলা 
  ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ১০:২২
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯  রাত ১০:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
শরৎ হাওয়ায় পাল তুলেই হাজির হলেন যেন। কোন কাশের বনে ছিলেন লুকিয়ে এ্যাদ্দিন ? 
আপনার নিজ হাতে তোলা ছবি দু'টো পোস্টের অলঙ্কার হয়ে থাকলো। তবুও "ছবিদুটো এই অভাজনের তোলা"  বলে যে কথা বললেন, তার বিপরীতে গুগল থেকে আমি মহাজনের ধার ( আরেক অর্থে "চুরি" ) করা ছবিগুলোর জন্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলতেই হয় -  বোধহয় গ্রহন করা ( ছবি তোলার অর্থে ) অপেক্ষা চুরি করে নেয়া অধিক মিষ্টি ।  কারন যে গ্রহন করে  তার আনন্দ আমি জানিনে ।  
ভালো লাগলো আপনাকে আবার ব্লগে দেখে। মনে হলো, হঠাৎ দেখি কাশ ফুটছে  সামু বনের ঐ ধারটায় "।
আশ্বিনের মেঘমেদুর দিনের শুভেচ্ছা।
২৪|  ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯  দুপুর ২:৫২
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯  দুপুর ২:৫২
জাহিদ অনিক বলেছেন: 
শারদীয় শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা প্রিয় কবি 
ছবি আর ছোট্টকাব্যের ক্যাপশন ভালো লেগেছে --- শরত শরত লাগছে
  ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯  রাত ১০:২৭
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯  রাত ১০:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক,
শরতের দিন তো শরতের মতোই লাগবে!   
  
শরৎ শুভেচ্ছা আপনাকেও। 
২৫|  ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:২২
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:২২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
শারদীয়  শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা প্রিয় আহমেদ জিএস ।
  ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:১১
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,
শারদীয় শুভেচ্ছা আপনাকেও।
২৬|  ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯  সকাল ৯:০৩
২২ শে অক্টোবর, ২০১৯  সকাল ৯:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার শরৎ বন্দনা। অনবদ্য, অসাধারণ!
নেট ঘেঁটে ঘেঁটে কত সব সুন্দর শারদীয় ছবি খুঁজে বের করেছেন। সেই সাথে উপযুক্ত পংক্তিমালা এবং নিজের অনুভব মেশানো চমৎকার কথামালা!
পাঠকের মন্তব্যের অনেকগুলোর মধ্যেই আমার মনের কথা লুকনো আছে। যেমন, 
শায়মা বলেছেন, "ভাইয়া একদম মন উচাটন পোস্ট!"। 
করুণাধারা বলেছেন, "চমৎকার, এক শান্তিময় পোস্ট"।
বিজন রয় বলেছেন, "আহা! শান্তি! সুখ! এটা অব্যাহত থাকুক"।
তবে আপনার এ পোস্টে আমার মনে হয়, চাঁদগাজী এর কথাগুলোই সবার মন্তব্যকে ছাড়িয়ে গেছেঃ গদ্যে, পদ্যে, কথায়, অনুরাগে মিলে শরতের এক বিশাল অনুভবতা 
শারদীয় আকাশ, নদী, কাশফুল এর অনুপম দৃশ্যের এবং 'মন উচাটন' কথামালার এ পোস্টে অষ্টাদশ প্লাস। সেই সাথে "প্রিয়"তেও। 
  ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:৪৮
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯  রাত ৮:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
এই শারদ প্রাতের বন্দনা আজ ঝরে পড়ছে যেন ব্লগের কানায় কানায়। 
মন উচাটন এ আনন্দে আপনার মন্তব্যখানিও একটুকরো সুগন্ধ ছড়িয়ে গেলো। 
"প্রিয়"তে নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। 
ব্লগের নবজীবনের শুভেচ্ছা জানুন।
২৭|  ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০  রাত ১২:৪২
২৫ শে এপ্রিল, ২০২০  রাত ১২:৪২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ফলো করতেই ফলোব্যাক..  গুড গুড  
  ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০  রাত ১২:৫৪
২৫ শে এপ্রিল, ২০২০  রাত ১২:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স,
শরতের মেঘের মতোই কই কই যে ভেসে বেড়ান!!!!!!!!!!
২৮|  ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০  রাত ১২:৫৬
২৫ শে এপ্রিল, ২০২০  রাত ১২:৫৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ওয়েবে ভেসে বেড়াই   
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:০৪
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:০৪
ইসিয়াক বলেছেন: অপূর্ব।