নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
- ক’টা বাজলো ?
- কয়টা দরকার আপনার ?
- নাহ..... আমার তেমন দরকার নেই শুধু পৃথিবীটা কদ্দুর বুড়ো হলো এটা জানা যেতো একটু। সাথে আমি আপনি......
- পৃথিবীটা কদ্দুর বুড়ো হলো মানে ? আপনার কি মাথাটাথা খারাপ হয়েছে? ঘড়িতে কয়টা বাজে এটা জানতে চায় মানুষ সময় জানতে। আপনি তো অদ্ভুত.....
- কি বললেন, অদ্ভুত? অ....মানে বলতে চাইছেন, অদ্ভুত একটা কথা বলে ফেলেছি এইতো? নাকি পাগল কিসিমের ?
- হুমমমম...... অদ্ভুত না তো কি! পাগল কিনা, দেখেতো মনে হয়না!
-কি করবো ভাইসাব? অদ্ভুত তো আমরা সবাই-ই। এই যেমন আপনি আমার প্রশ্নের জবাবে মশকরা করে বললেন, আমার কয়টা বাজার দরকার। এটাও অদ্ভুত না? এক সময় আমরা মানুষেরাই তো ঘড়ি বানিয়েছিলাম আর এখন সে ঘড়িই আমাদের ছুটিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। এই যে সাত সকালে আপনি ছুটছেন, ছুটছি আমিও। আর সেটা ঘড়ি দেখেই তো? ঘড়ির তালে তালে। ঐশ্বরিয়ার তাল ছবিটা দেখেছেন ? তাল সে তাল মিলাও......
-কেন ? ছবির সাথে আপনার কথার কি সম্পর্ক? এইমাত্র আপনিই না বললেন, আপনার নাকি কয়টা বাজলো তা জানার তেমন দরকার নেই? তাহলে জানতে চাইলেন কেন ? মনে হচ্ছে, আপনি বোধহয় তাল ছাড়া বেকার.....
-অনেকটা ঠিকই ধরেছেন। বেকার না হয়ে উপায় কি? বেকার হওয়া বাধ্যতামূলক। ঐ যে, কাগজের নোটের উপরে লেখা থাকেনা - চাহিবামাত্র বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে; তেমনি এ দেশে জন্মগ্রহন করিলেই বাধ্যতামূলক বেকার থাকিতে হইবে.....
- হা.....হা... হা...... বাধ্যতামূলক বেকার.......................
- হাসলেন ? ভালো ! নির্মল হাসি কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু হাসবেন কোথায় বসে ? নির্মল একটা হাসি দেয়ার মতো কোনও নির্মল জায়গা আছে দেশে ? তা, বাংলাদেশের এইটুকুন জায়গায় কতো লোক, জানেন ? প্রতি বর্গমাইলে দুই হাযার আটশো নব্বই জন। ভাবতে পারেন ? এতো লোকের চাকরী দেবেন কোত্থেকে? চাকরীর জায়গাই বা কই? একটা সরকারী পোস্টের জন্য যেখানে সাতশো লোকে দরখাস্ত দেয় সেখানে চাকরী কই!
দেশটা তো আবার কৃষি প্রধান। তা কৃষির জমিই কি আর আছে? সব তো বসতবাড়ীতে শেষ। সব যদি কৃষিজমি হয় তা হলে লোকে থাকবেই বা কই? বাকী যা আছে তা দখলটখল করে তো আপনারা আবার ইটভাটা, স্বপ্নের আবাসিক এলাকা, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ মাদ্রাসা ঐসব কি কি যেন বানিয়ে কৃষিজমির বারোটা বাজিয়েছেন।
-বাহ.... আপনি তো দেখছি ভাইজান আউলা-ঝাউলা টাইপের লোক। রাজনীতি-টিতি করেন টরেন নাকি! না কি অন্য কোনও ধান্ধা আছে?
-ছি...ছি..ছি... আপনি রাজনীতিবিদদের মতো আমাকেও ধান্ধাবাজ ভাবলেন? তেনারা তো স্বপ্ন বিক্রী করার ধান্ধা করেন আর বেকর্মা পাবলিক সেই স্বপ্ন কেনে .... আমিও ভাবছি কিছু স্বপ্ন কিনবো...
- ধুর মিয়া! খালি বেহুদা কথা!
-আমার কথাগুলোকে আপনি বেহুদা কথা বললেন ? ছোটবেলা স্কুলে পড়েন নাই - যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পেলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন? কি পড়েন নাই ? পড়েছেন ....পড়েছেন। এখন হয়তো মনে নাই। এগুলো এখন বেহুদা কথা মনে হলেও একদিন এইগুলোই অমূল্য রতনের মতো মনে হয়েছিলো, তাইনা? পরীক্ষার খাতায় ব্যাখ্যা লিখে পাশও করতে হয়েছিলো, ঠিক কিনা ?
- আরে...... রাখেন মিয়া যতো ফাইজলামি !
- কেন ভাইজান! এতে ফাইজলামির কি দেখলেন? আপনি কি কখনও স্বপ্ন দেখেন নাই ? একটা রাজপ্রাসাদের মতো সুন্দর বাড়ী, নুসরাত ফারিয়ার মতো সুন্দরী স্ত্রী, একখানা প্রাডো গাড়ী, দুপুরের লাঞ্চ রেডিসনে, রাত্তিরে গুলশানের কোনও হটস্পটে, ক্যাসিনোতে জুয়ার আড্ডায় লাখ লাখ টাকার কড়কড়ে নোট পকেটে, সর্দি হলেই সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথে........... কি দেখেন নাই?
সারা জীবনটাই তো নয়টা-পাঁচটা করে কাটিয়ে দিলেন, একটু স্বপ্নটপ্নও তো দেখা চাই। না কি দেখতে নাই? অবশ্য আপনি এসব কথা আমাকে বলবেন না। কেইবা বলে বলেন! এসব স্বপ্ন বুকের মধ্যে একলা একলা ঘাঁই মারে মাছের মতো। মনের সুখ তখন ঘাঁইয়ের জলের মতো একটু ঘুরপাক খায়। এটা লুকিয়ে রাখার জিনিষ। আমাদের মতো পাবলিকের, যাদের কিছুই করার নেই, লবন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের এইরকম স্বপ্ন দেখতেই সুখ...
- তা একদম খারাপ কিছু বলেন নি! তা আপনিও তো মনে হয় আরও ভালো স্বপ্ন দেখেন..
- তা তো রোজই দেখি । একেক দিন একেক রকম। ভালো কি মন্দ জানিনা। একদিন দেখি এরকম - সম্পূর্ণ আলাদা বন্য-নিয়মহীন- আলোহীন-পথহীন- গাঁথুনিহীন এক পৃথিবীর মাঝে আমি হেটে যাচ্ছি! হেটে যাচ্ছি রাজার বেশে, সাইকেল-রিক্সা-ভ্যান-ঠেলাগাড়ি-বাস-ট্রাকের সাথে পথচারীদের মতো গুতোগুতি করে। হেটে যাচ্ছি প্রধান ডাকঘরের দিকে। একটা চিঠি পোষ্ট করতে হবে -ভগবান ঈশ্বরচন্দ্রের ঠিকানায়। সমস্যাটা হলো তিনি আবার আমার আপনার মতো সাধারন ভিখারী পাবলিকের চিঠি খুলে পড়েন না। তার চাই জমকালো রাজা-বাদশাহদের চিঠি। তাহলেই তেনার দিলখোশ। সে কারনেই রাজার বেশে হেটে যাবার স্বপ্ন দেখি।
আবার আরেকদিন দেখি-আলাদিনের যাদুই চেরাগের এক ঘসাতেই, না...না একটা ঘসা না, মনে হয় তিন চার বার ঘসা দিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছি। রসাতলে যাওয়া বন্য দেশটাকে সোজা করতে ঘোষনা দিয়েছি -যে কোনও ধরনের আইন-শৃঙ্খলা ভাঙার সর্বনিম্ন শাস্তি মৃত্যুদন্ড.... তা আপনি ফুটওভার ব্রীজের নীচ দিয়ে পথ পারাপার করলেই বা কি আর মানুষ খুন করলেই বা কি। নিম্নতম শাস্তি মৃত্যুদন্ড। কোনও তদন্ত ফদন্ত নাই, স্বাক্ষপ্রমানের দরকার নাই ....
-কন কি ভাইজান ! সর্বনিম্ন শাস্তি মৃত্যুদন্ড হয় কি করে ? মৃত্যুদন্ডের চেয়ে বড় শাস্তি কি ? পাগল হলেন নাকি ?
-আরে........ হয় হয়। স্বপ্নে কতো কিছুই তো হয়। ব্রাশফায়ারে সরাসরি ফুট্টুস আর ফাঁসির দড়িতে খাসির মতো ঝুলিয়ে মারলে আইন ভঙ্গকারী ব্যাটা টেরই পায়না যন্ত্রনা কি জিনিষ। ঐ যে খবরের কাগজে, টেলিভিষনে দেখেন নাই, টেষ্ট ক্রিকেটের মতো টি-ব্রেক, লাঞ্চ ব্রেক দিয়ে ধীরে সুস্থ্যে আয়েশ করে বল পেটানোর মতো করে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারতে? অপরাধের ধরন বুঝে তেমন তেমন যন্ত্রনা দিয়েই তিলে তিলে মেরে ফেলা হবে বড় শাস্তি, যাতে আর কেউ কোন ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায় জিন্দেগীতে।
- বুঝলাম না ঠিক!
-এটাও বুঝলেন না? দাঁড়ান, বোঝাই। ধরুন, কেউ নদী ভরাট করে জায়গা দখল করলো। স্বপ্নে দেখলাম তাকে আর তার স্ত্রী-ছেলেমেয়ে সহ সবাইকে বেঁধে এনে ঐ ভরাট জায়গাটকে আবার আগের মতো করে রাখার জন্যে হাতে শাবল-কোদাল ধরিয়ে দিয়েছি। একটু থামলেই পাছায় বেতের মার যতোক্ষন পর্যন্ত না নদী আবার আগের মতো হয় । যাতে তারা বুঝতে পারে, কি অপরাধ তারা করেছে। দিন রাত্তির চব্বিশ ঘন্টা এভাবে মাটি সরাতে সরাতে যদি তারা মরে যায়, বেঁচে গেলো নইলে কাজ শেষ হলে তাদের সবার হাতেপায়ে দড়ি আর ছয়খানা ইট তাতে বেঁধে নদীর ঐ জায়গাটাতেই ডুবিয়ে দিলাম। হাযার হোক, ঐ জায়গাতো তারাই দখল করতে বেছে নিয়েছিলো। এটা তো তাদের প্রাপ্য, তাইনা? মৃত্যুর স্বাদ কেমন তা হাড়ে হাড়ে এভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে ঐ সব বেজন্মাদের।
আর ফুটওভার ব্রীজের নীচ দিয়ে রাস্তা পারাপার করলে কাপড়চোপড় খুলে, হাতে দড়ি বেঁধে ওভারব্রীজের রেলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখতে হবে যতোক্ষন না হাত বা দড়ি ছিঁড়ে রাস্তার মাঝখানে ঝপাৎ করে পড়ে বাসের চাকায় মাথাটা ফট্টাৎ করে ফেটে না যায়।
-মিয়াভাই তো জব্ববর কইছেন।
-হ্যা...... এসব তরিকা হলো মৃত্যুদন্ডের সর্বোচ্চ ষ্টাইল, তিলে তিলে যন্ত্রনা দিয়ে মৃত্যু। আমার স্বপ্নে অবশ্য আরো কিছু তরিকা আছে............
-তা ভাইসাহেব আপনার মাথাটাথা ঠিক আছে তো ?
-কেন থাকবেনা ? মাথাটা ঠিক আছে বলেই তো হাতের কিছুটা সময় আপনার সাথে কথা বলে কাটালাম। আমার বন্ধু ইকবালের এখানে আসার কথা ছিলো সকাল নয়টায়। হারামজাদা লেট করছে, সময় মতো আসছেনা বলেই তো আপনাকে ধরে রাখা। একা একা চুপচাপ অপেক্ষায় থাকা কি কারো ভালো লাগে ?
- অহ....... আ.......আপ........আপনি আমাকে বেহুদা কথা শুনিয়ে এতোক্ষন আটকে রাখলেন ? আপনি নিজেই তো তাহলে বড় একটা হারামজাদা।
-জ্বী ভাইজান, আমরা সবাই এক একটা হারামজাদা, কেউ বড় কেউ ছোট, নইলে সব কিছু দেখেশুনেও এমন চুপচাপ থাকি? ঐ যে পত্রিকাওয়ালারা বড় বড় হেডলাইনে লিখছেনা - চাঞ্চল্যকর তথ্য- রিমান্ডে নেয়া অমুকের জবানবন্দিতে রাঘব বোয়ালদের নাম ফাঁস ? লিখছে তো ? কিন্তু রাঘব বোয়ালদের নাম কোনও পত্রিকাতে ছাপা হতে দেখেছেন ? বাটি চালান দিয়েও তাদের নাম পাবেননা। জবানবন্দির দাড়ি-কমা-সেমিকোলন সহ সব কথা ছাপানো দেখবেন শুধু নামগুলো বাদে। এখন আপনিই বলেন, বড় হারামজাদা কারা!
-আরে তাইতো! রাঘব বোয়ালদের নাম যদি ফাঁসই হয় তবে সে কথা তারা লেখেনা কেন!
-ভাইজান! সব কথা কি সব সময় বলতে হয়, না জানান দিতে হয় ? বুঝে নিতে হয়। এই যে আমি আপনাকে আসল কথা কিছু না বলেই এতোক্ষন আটকে রাখলাম বেহুদা ফ্যাদরা প্যাঁচাল পেড়ে, আসল কথা বললে তো আপনাকে আটকাতেই পারতামনা। যদি বলতাম , আমার দোস্তের আসতে দেরী হচ্ছে, কখন আসবে জানিনা, ভাইজান আসেন আপনার সাথে একটু কথা বলে সময় কাটাই; তা হলে আপনি নিশ্চয়ই আমাকে দু’চারটে গালি দিয়ে ফুটে পড়তেন। ঠিক কিনা?
যাকগে ..... ঐ যে..... হারামজাদা ইকবাল আসছে, ঐ যে। সেই প্রতিবারের মতো ফুটওভার ব্রীজ থাকতেও নীচ দিয়েই রাস্তা পার হয়ে আসছে। দেখতে পাচ্ছেন নীল জিন্স আর হলুদ সার্ট গায়ে? বুঝলেন কিছু। আমার দোস্ত হয়েও সে ফুটওভার ব্রীজের নীচ দিয়েই আসছে। আজকে হারামজাদাকে “ কোনও ছাড় দেয়া হবেনা ”।
-মানে ?
-এটাও বুঝলেননা ভাইজান ? কিছু হলেই মন্ত্রী-মিনিষ্টার, পুলিশ্, র্যাব, দুদক ইত্যাদি সহ তামাম মহারথীরা যে বলেন - “ কাউকেই কোনও ছাড় দেয়া হবেনা ”? আমিও তাই বললাম- দোস্তকে কোনও ছাড় দেয়া হবেনা.................................
(ছবি - নেট থেকে নিয়ে পরিবর্ধিত)
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
প্রথম মন্তব্যের জন্যে "একতাল" ধন্যবাদ।
তয় "একতিল" কথাডা কোনহানথে বাদ দিছি ভইন ?
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবকিছুই বলা হয়েছে
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
জ্বী, বলতে গেলে সবকিছুই তো বলতে হয়..................
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
জুন বলেছেন: কাউকে একতিল ছাড় দেয়া হবেনা
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
"একতিল" শব্দটা খুব বেশী একটা বলা হয়না। "কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা.." এটাই বহুল ব্যবহৃত।
মন্তব্যে বিভ্রান্ত করার জন্যে আপনাকেও ছাড় দেয়া হলোনা।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: একমাত্র রোজ হাশরের ময়দানে কোনো শালা ছাড় পাবে না।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
একদম হক কথা!
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!
রম্য করেও যে মনের কথা বলে বুকের বোঝা হালকা করা যায়.. বেশ শিখে নিলুম!
হয়তো পারবোনানে কুনুদিন। তাও তো শিখেছি। লয়? তাইবা মন্দ কি?
আমি হয়তো মনের কষ্টে দু চার লাইনের কোবতে বানিয়ে হালকা হই!
আর দিনশেষে সব শালা হারামজাদা হয়ে বিবির কোলে যৌবনের স্বাদ খুঁজি!
আর অদৃশ্য শত্তুরকে গালী দেই!
মাৎসানায় সময় কেটে যাক । আলোর স্বপনে সবাই মানুষ হয়ে উঠুক!
শুভ কামনা রইল প্রিয় ভায়া
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
আলোর স্বপনে সবাই মানুষ হয়ে উঠুক, এই প্রত্যাশা নিয়েই তো আমরা সবাই জেগে আছি।
শুভেচ্ছান্তে।
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫২
ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে ++++++
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে প্লাস দেয়াতে।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাউকে একতিল ছাড় দেয়া হবেনা - রাজনৈতিকভাবে এর ব্যাখ্যা কি?
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
ঐ কথার কর্মফল ভিত্তিক একটা ব্যাখ্যা হতে পারে কিন্তু কোনও রাজনৈতিক ব্যাখ্যা হয়না। যদি সফল রাজনীতি হয়- কথা দিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করা তবে ঐ কথাটির একটি ব্যাখ্যা মিলতে পারে।
৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৩
সাইন বোর্ড বলেছেন: রম্য লেখায় অনেক কিছু উঠে এসেছে, দারুণ লিখেছেন ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাইন বোর্ড,
ধন্যবাদ মন্তব্যে দারুন বলায়।
৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: জয়ী মামুনের সেই বিশেষ সাক্ষাতকারটা কি দেখেছেন?
একগাদা খড়ের মধ্যে সুই খুঁজে লাভ নেই?
সুই বহাল তবিয়তে নিজের আসনেই বসে সিংহাসন চালায়।
আর সিংহাসনে থাকার জন্য সাপ্লাই চেইন ম্যানাজমেন্ট ভালো মতনই মেইনটেইন করে সুই।
আর দেশের হাভাতে আম পাব্লিক কয়েকদিন পর পর একটা পর একটা ভাইরাল নিউজ নিয়ে ফাল পারে, লাফজগাপ দেয়। কাজের কাজ কিছুই হয় না, হবেও না।
আম পাব্লিক কোন দিন জানবেও না, এই সব ভাইরাল নিউজ সবই টাইম বোমা, সিকোয়েন্স মোতাবেক ফুটবে ঠিক জায়গা আর সময় মতো!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
সাক্ষাতকারটা দেখা হয়নি। তবে একগাদা খড়ের মধ্যে সুই খুঁজে লাভ যে নেই তা নয়, কিছু লাভ আছেই। বেহুদা কামে নিজেকে ব্যস্ত রাখা যায়। বাধ্যতামূলক বেকার আর হাভাতে আম পাব্লিকদের জন্যে টাইম পাস আর কি!
আর ঐদিকে খড়ের মধ্যে সুই রাখনেওয়ালারা তখন সবাইকে ব্যস্ত রেখে কাছা মেরে অন্য কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
এটার নামই হলো - পলিট্রিকস.......................
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:০৯
ল বলেছেন: বাধ্যতামূলক বেকার!!!
ভালো বলেছেন।।।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,
খারাপ আবার বলেছি কবে?
১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:২৯
মা.হাসান বলেছেন: একটি অসাধারণ নিটোল সাহিত্যকর্ম, অনেক দিন বাদে এরকম লেখা পড়লাম। স্যালুট।
মানুষ ঘড়ি বানিয়েছিল, আর আজ সময় মানুষকে দৌড়িয়ে বেড়ায়- বড় চিন্তার খোরাক জোগায়।
আপনার পোস্টে দেখাচ্ছে রাত ৮ঃ২২ মিনিটে পোস্ট করা হয়েছে। কেমন যেন দেজাভু হয়ে গেল, মনে হচ্ছে আঝ দুপুরে ঘুমের ঘোরে বা স্বপ্নে পোস্টটা আংশিক দেখেছিলাম, মৃত্যুদন্ডের ব্যাপারটা বাদে।
আমরা সবাই এক একটা *রামজাদা- এই লাইন পড়ে একটা পুরোনো স্মৃতি ভেসে উঠলো। ৯০ এর দশকের শেষ দিকে বিপিএটিসেতে আমাদের ডেভেলাপমেন্ট ইকোনোমিক্স পড়িয়েছিলেন ওখানকার সে সময়ের ডিরেক্টর জনাব গোলাম মোস্তাকিম (সৈয়দ মুজতবা আলী : প্রসঙ্গ, অপ্রসঙ্গ- এই নামে ওনার একটা অসাধারণ বই আছে, স্টুডেন্ট ওয়েজ থেকে বের হয়েছিল , এখন আউট অফ প্রিন্ট। উনি বেশ অনেক বছর আগে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, কাজেই রিপ্রিন্ট কবে হবে বলা মুশকিল) । উনি একদিন বলেছিলেন-- আমরা সবাই বাস্টার্ড । কেউ অ্যাসিস্ট্যান্ট বাস্টার্ড, কেউ সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট বাস্টার্ড, কেউ ডেপুটি বাস্টার্ড, কেউ জয়েন্ট বাস্টার্ড- সবার লক্ষ্য কিভাবে ফুল বাস্টার্ড হওয়া যায় (সে সময়ে জেষ্ঠ্য বাস্টার্ডের পদ চালু হয় নি)।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,
লেখাটি নিটোল কোনও সাহিত্যকর্ম হয়েছে কিনা জানিনে তবে "কর্ম" যে একটা হয়েছে তা বুঝতে পারছি পাঠকের মন্তব্যগুলিতে।
লিখেছেন - "................ ৮ঃ২২ মিনিটে পোস্ট করা হয়েছে। কেমন যেন দেজাভু হয়ে গেল............"
এটা ঠিক বুঝতে পারিনি কি বলতে চেয়েছেন। অপারগতার জন্যে দুঃখিত।
আসলেই কি আমরা *রামজাদা- নই? নাই-ই যদি হবো তবে সমাজ-রাষ্ট্রের প্রতিটি অলিতে গলিতে এতো এতো দুর্গন্ধ মুখ বুজে সয়ে যাচ্ছি কি করে?
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৪১
শামছুল ইসলাম বলেছেন: সকাল সকাল ফ্যাদরা প্যাঁচাল শুইনা তো মাথাটাই গুলাইয়া গেল ।
আকারে-ইঙ্গিতে অনেক কথাই বলে ফেলেছেন ।
সবাই বুঝে কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধবে কে?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম,
আমরা সব্বাই রোজ দশবার রাজা-উজির মারি কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধতে পারিনে। তাইতো ফ্যাদরা প্যাঁচালেই শান্তি..............
১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব নুর,
একদম হক কথা!
হক কথা বলি ব্লেই আজ আমার এই অবস্থা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
হক কথা বলি ব্লেই আজ আমার এই অবস্থা।
১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
একটা সুন্দর লেখা পড়লাম।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,
ধন্যবাদ।
সুন্দর লেখা হলো কই ? এতো ফ্যাদরা প্যাঁচাল !
১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার এই ফ্যাদরা প্যাঁচাল পড়ে আন্তন চেকভ এর দ্যা বেট এর কথা মনে পড়ছিলো।
লেখাটা পড়ে অন্যরকম ভালো লাগলো। এমন ভালো লেগেছিলো দিপঙ্কর চন্দের নো ওয়ান কিলড জেসিকা পড়ে, যদিও বিষয়বস্তুতে দুটোয় বিস্তর ফারাক আছে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু,
ফ্যাদরা প্যাঁচালে যোগ দেয়াতে ধন্যবাদ।
চেখভের ঐ বইটি পড়া হয়নি। সন্দেহ নেই ছোটগল্পে চেখভ দূর্দান্ত।
দিপঙ্কর চন্দের "নো ওয়ান কিলড জেসিকা" পড়েছিলুম বোধহয় যদিও কিছু মনে নেই। নামটি পরিচিত লাগছে বলে মনে হয় পড়েছি।
১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: দারুন!
ফ্যাদরা প্যাচাল করনেওয়ালার স্বপ্নের কথা শুনে মনে হলো, আহা! এমন স্বপ্ন সত্যি হয় না কেন!
কেউ নদী ভরাট করে জায়গা দখল করলো। স্বপ্নে দেখলাম তাকে আর তার স্ত্রী-ছেলেমেয়ে সহ সবাইকে বেঁধে এনে ঐ ভরাট জায়গাটকে আবার আগের মতো করে রাখার জন্যে হাতে শাবল-কোদাল ধরিয়ে দিয়েছি। একটু থামলেই পাছায় বেতের মার যতোক্ষন পর্যন্ত না নদী আবার আগের মতো হয় । যাতে তারা বুঝতে পারে, কি অপরাধ তারা করেছে। দিন রাত্তির চব্বিশ ঘন্টা এভাবে মাটি সরাতে সরাতে যদি তারা মরে যায়, বেঁচে গেলো নইলে কাজ শেষ হলে তাদের সবার হাতেপায়ে দড়ি আর ছয়খানা ইট তাতে বেঁধে নদীর ঐ জায়গাটাতেই ডুবিয়ে দিলাম। হাযার হোক, ঐ জায়গাতো তারাই দখল করতে বেছে নিয়েছিলো। এটা তো তাদের প্রাপ্য, তাইনা? মৃত্যুর স্বাদ কেমন তা হাড়ে হাড়ে এভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে ঐ সব বেজন্মাদের।
আর ফুটওভার ব্রীজের নীচ দিয়ে রাস্তা পারাপার করলে কাপড়চোপড় খুলে, হাতে দড়ি বেঁধে ওভারব্রীজের রেলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখতে হবে যতোক্ষন না হাত বা দড়ি ছিঁড়ে রাস্তার মাঝখানে ঝপাৎ করে পড়ে বাসের চাকায় মাথাটা ফট্টাৎ করে ফেটে না যায়।
আহা, কি নিদারুণ বর্ণনা! মাত্র দুইজনকে যদি এমন ব্যবস্থায় আনা যেত- এইসব নদী দখল আর ব্রিজের নিচ দিয়ে রাস্তা পারাপার একেবারে বন্ধ হয়ে যেত।
বিমলানন্দ পেলাম পোস্ট পড়ে। ধোঁয়াশা ছবিটাও চমৎকার হয়েছে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
একমাত্র আপনিই বুঝতে পেরেছেন ফ্যাদরা প্যাঁচাল করনেওয়ালার স্বপ্নের কথা ঠিকঠাক। তাইতো বোল্ড করে স্বপ্নের ইচ্ছেটাকেই তুলে ধরে ক্ষেদোক্তি করেছেন এই বলে - আহা মাত্র দুইজনকে যদি এমন ব্যবস্থায় আনা যেত.....!!!!
আমিও প্যাঁচাল লাগিয়ে বলি, যে কোনও অপরাধের শাস্তি এভাবেই দৃষ্টান্তমূলক হলে পরে অপরাধ কমে আসতো সর্বনিম্ন পর্যায়ে। হয়তো কোনও অপরাধই থাকতোনা শেষতক।
মন্তব্যের জন্যে সবিশেষ ধন্যবাদ।
১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারণ স্যাটায়ার। সত্যিই অসাধারণ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা,
ধন্যবাদ।
এভাবেই যে আমি তুমি আমরা চেতনার ব্রীজের নীচ দিয়ে অবলীলায় হেটে যাই নিত্যদিন!
১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইজান,
স্যাটায়ার লেখকদের প্লাস পয়েন্ট অনেক। হাসতে হাসতে ছুরি চালিয়ে দেয়। পোস্টে ভাললাগা বললে কমই বলা হয়।++++
লেখক হিসেবে আপনি উল্লেখ না করায় পাঠক হিসেবে যাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি,
বেকারত্ব, গোটা দেশে নির্মল স্থানাভাব, কৃষি জমির অভাব, অধিক জনঘনত্বের কুফল, নদী ভরাট, ইয়েলো জার্নালিজম, মন্ত্রী পুলিশ-র্যাব প্রমুখের জমজমাট উপস্থিতিতে পোস্টটি দারুণ উপভোগ্য হয়ে উঠল।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,
হুমমমমমম হাসতে হাসতেই হয়তো ছুরি চালিয়ে দিয়েছি বর্তমান সময়ের বাস্তবতার গলায়!
শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও।
১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৭
পুলক ঢালী বলেছেন: বাহ্ দারুন লিখেছেন বাদ পড়েনি কিছুই। স্বপ্নে ইকবালের কি দশা করলেন আম পাব্লিক জান্তে চায়।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলক ঢালী,
সব দশাই তো স্বপ্নে করলুম। ইকবালেরও তাই হবে। দোস্ত বলে কোনও ছাড় দেয়া হবেনা। স্বপ্নেও প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে ইকবালকে কাপড়চোপড় খুলে, হাতে দড়ি বেঁধে ফুটওভার ব্রীজের রেলিঙে ঝুলিয়ে.....................
২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩০
মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ভাই ,
আপনার এই লেখাটা পড়ছি আর ভাবছি কি বলবো। আপনি
বিভিন্ন বিষয়ের লোকদেখানো মুখোশগুলোকে আর লুকিয়ে থাকতে দিলেন না । রম্য আকারে প্যাচাল বা ক্যাচাল যাই বলেন না কেন প্রতিটি কথাই যেন অক্ষরে অক্ষরে ঠিক।
পোস্টটি দারুন লিখেছেন ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,
মুখোশের আড়ালে যে মুখখানা থাকে তাকে সবাই-ই দেখতে পারে, বুঝতে পারে, অনুভব করতে পারে। কিন্তু এই পাপের সংসারে, যেখানে ক্ষুধা আছে , সন্তান আছে , আছে জীবনটাকে কোনক্রমে বাঁচিয়ে রাখার সকল জটিলতা সেখানে ক’জন পারে সব সময় মনের কথা স্পষ্ট করে উচ্চারণ করতে ? আপোষ ভিন্ন সংসারে টেকা যায়না । আপোষ করে বেঁচে থাকার এই প্রতিযোগিতায় আমরা তাই এক একজন "হারামজাদা" হয়ে যাই।
ফ্যাদরা প্যাঁচাল তারই গল্প।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ।
২১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৪
শেহজাদী১৯ বলেছেন: প্যাঁচাল হোক আর কেচাল হোক ছাড়াছাড়ি নাই।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেহজাদী১৯ ,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। শেহজাদী এসে মন্তব্য করেছেন , আমজনতা খুশি.........
২২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৫
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা; কথায় কথায় অনেক কথায় কিলবিল করে বের হয়েছে। আমরাও সেই কথার ফাও প্যাঁচালে বন্দি হলুম। নাকি গোটা দেশটাই 'ফাও প্যাঁচালে' বন্দি।
*নুসরাত ফারিয়া কিন্তু প্রাডো নয় অডি'তে সুখ খুঁজে নিয়েছে। তাই প্রাডোর মতো বুড়া বলদ দিয়ে খুশি করোন যাইতন ন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,
মোরা হৈলাম আমজনতা। হোমকে বেশী দামী গাড়ী কৈতে প্রাডোরেই চিনি। আর চিনি বিএমডব্লিউ। অডি চিনি কয়জনে মোরা?
খুশি কি আর মুই করি ? পাব্লিক এক্লারা এক্লারা খুশি হয় হেগো মতো । পাব্লিকের মতো বুজদার আম্নে পাইবেন কৈ ? প্যাঁচাল পুইট্টাও তো লাব নাই.....
২৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১৫
সোহানী বলেছেন: এইটা কি লিখলেন জী ভাই!! রম্য দিয়ে যে এমন সুন্দর বাশঁ দেয়া যায় তা আরেক দফা শিখলাম আপনার কাছ থেকে। হুম, বুঝলাম বিদ্রোহীর কবিতা, আপনার রম্য এগুলোরো মতোই হাল ধরতে হবে। আমার চিল্লাচিল্লি সরাসরি বলে কারো কারো আঁতে ঘা লাগে......
বরাবরেই মতই অসাধারন.................. সুপার লাইক।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
এটা কিছু না, প্যাঁচাল.....ফ্যাদরা প্যাঁচাল! কান না দিলেই হয়।
রম্যের গূঢ় অর্থই তো কাউকে বাঁশ দেয়া, কাউকে ঝাড়ু মারা, কাউকে গজাল লোহা ঠোকা, কাউকে পঁচা ডিম ছোঁড়া............
সরাসরি বলতে নেই , বলতে হবে ভাবে সপ্তমীতে।
সুপার লাইকে " মোগাম্বো খুশ হুয়া "
২৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১
প্রামানিক বলেছেন: রম্যাকারে বাঁশ দেয়া দারুণ কাহিনী। ধন্যবাদ গুরু।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক,
এখন কি ফ্যাদরা প্যাঁচাল পাড়ার সময় ? এখন তো আনন্দই আনন্দ, আকাশে বাতাসে! সে আনন্দের ভাগ আপনাকেও দিলুম।
ভালো লাগছে দেখে।
২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার, উপভোগ্য রম্য।
নদী ভড়াটের ঐ শাস্তিটার কিয়দংশও যদি বাস্তবে দেখে যেতে পারতাম!
স্বপ্ন দেখতে দেখতেই কিন্তু স্বপ্ন একদিন বাস্তবে এসে ধরা দেয়! তখন আর সে স্বপ্ন থাকে না।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
এমন সব স্বপ্ন বাস্তবে দেখার ইচ্ছে থেকেই এই ফ্যাদরা প্যাঁচালের কথা লিখতে হলো।
আপনার মতো আমি-তুমি-আমরাও এমন স্বপ্নের কিয়দংশও যদি বাস্তবে দেখে যেতে পারতাম!
২৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: দু'দিন হলো, সামু অপশক্তির ছোবল থেকে শাপমুক্ত, রাহুমুক্ত, অবমুক্ত হয়েছে। এ অবমুক্তি আপনার পরিচিতিতে উল্লেখ করা "ট্রুথ নেভার ডাই্জ" কথাটাকেই যেন সত্য প্রমাণ করে গেল।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
দ্বিতীয়বার আসাতে ধন্যবাদ। আরো ধন্যবাদ "ট্রুথ নেভার ডাই্জ" যে সত্য তা তুলে ধরার জন্যে।
২৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩১
মা.হাসান বলেছেন: ১১ নম্বর মন্তব্যে দেজাভু সংক্রান্ত বিভ্রান্তির জন্য দুঃখিত। ঐদিন খুব ক্লান্ত ছিলাম। রাত আটটার দিকে বাসায় ফিরে সামুতে ঢুকে আপনার এই লেখাটা পড়তে পড়তে শেষ না করেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাত একটার দিকে ঘুম ভাঙার পর ঘুমের ঘোরে মনে হচ্ছিল আমি দুপুরবেলা ঘুমিয়েছি, আপনার লেখাটা দুপুরে দেখেছি, আপনি কোন কারণে এডিট করে রিপোস্ট করেছেন। সামু যখন নিষিদ্ধ ছিল তখন যা খুশি লিখতাম। এখন ব্লক মুক্ত হওয়ার পর লিখতে ভয় লাগছে, কখন গোয়েন্দা সংস্থার কে বলে ওঠে সরকার বিরোধী লেখা লিখছি। যদি শাসকরা কখনো তাদের রঙিন চশমা খুলে এরকম লেখা গুলো পড়ে দেখতো তাহলে হয়তো কিছু পরিবর্তন হলেও হতে পারতো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,
হা....হা... আমারও মাঝে মাঝে এমনটা মনে হয়। হয়তো দুপুরে ঘুমিয়ে পড়ে সন্ধ্যের আগে আগে উঠেছি কিন্তু মনে হচ্ছে এতো সকাল হয়ে গেলো, অফিসে যেতে লেট হয়ে যাবে তো! অথচ চা-নাস্তা টেবিলে নেই কেন, ঘটনা কি !!!!!!!!!!!!!!
২৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
কিছু না বলেও অনেক কিছু বলা হয়ে যায় ।
কেমন আছেন ভাই?
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট ,
হয়তো হয়, আবার হয়ও না অনেক সময়! সবারই তো আর সব কিছু বোঝার জ্ঞানগম্যি থাকেনা!
আছি, যেমন আছে পৃথিবী!
২৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাই --
খুবই রসালো শোক সাহিত্য হিসেবেই নিলাম এই লেখাকে ! গ্রামারে যতই উল্টাপাল্টা হোক এই বলাতে ।
দেশের নদী নালার পানি কলমের কালি বানিয়ে এরকম শোক সাহিত্য লিখতে লিখতে দেশের সব যদি নালার পানিই মনে হয় শেষ হয়ে যাবে কিন্তু মন্ত্রী-মিনিষ্টার, পুলিশ্, র্যাব, দুদক ইত্যাদি সহ তামাম মহারথীরা যে বলেন - “ কাউকেই কোনও ছাড় দেয়া হবেনা ” গোষ্ঠীর সবাই ছাড়া পেয়েই থাকবেন আজীবন আর দেশও নদী দখলের মতো দখল হয়ে যাবে নষ্ট সময়ের কলাকুশলীর কৌরবসম ষড়যন্ত্রে ।
শীতের পাতা ঝরার কষ্টের মতো একরাশ কষ্ট নিয়ে আপনার লেখা পড়লাম -মানে দেশে হওয়া অন্তহীন অরাজকতার জন্য মনটা খারাপ হয়েই থাকলো এই রস রচনা পড়েও । লেখায় ভালো লাগা ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: মলাসইলমুইনা,
এসেই চমৎকার একটি মন্তব্য করলেন আপনার অনবদ্য স্বকীয় ঢংয়ে।
অন্তহীন অরাজকতার এই দেশে আপনার মতোই একবুক কষ্ট নিয়ে যন্ত্রনার বাঁশী এমন করেই বাজিয়ে গেলুম, যদি কেউ শোনে!
৩০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৭
ওমেরা বলেছেন: এত চমৎকার রম্য প্রতিমাসে একটা করে না লিখলে আপনাকেও কোন ছাড় দেয়া হবে না-------------------।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা,
হা....হা.........হা...........
প্রতিমাসে একটা করে রম্য না লিখলে আমাকে "কোন ছাড় দেয়া হবে না" মানে?
ছাড় দিতেই হবে এ ব্যাপারে আপনাকেও কোনও ছাড় দেয়া হবেনা............
৩১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পড়ের বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী,
নতুন করে স্বাগতম।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
জুন বলেছেন: আপনি কিন্ত একতিল কথাডা বাদ দেছেন ম্যায়া বাই
একতিল কথাডা কিন্ত খুবই গুরুত্বপুর্ন
লেখা দারুন হয়েছে বরাবরের মত আহমেদ জী এস।
+