নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেসাস রিবর্ন....

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬



সামনের টেবিলে ইতস্ততঃ ছড়ানো গত ক’দিনের খবরের কাগজের দঙ্গল থেকে চোখ সরিয়ে উঠে দাঁড়ালেন তিনি। প্রতিদিনকার মতো অস্থির ভাবে পায়চারী করলেন ঘরের ভেতর এদিক থেকে ওদিক । মুষ্ঠিবদ্ধ করলেন হাত দুটি বার কয়েক । তার এতোদিনকার কোমল-সরল চোখে আস্তে আস্তে আগুনের লালচে আভা জাগতে শুরু করলো । সে আভায় ভৌতিক আলো আঁধারীর মতো রহস্যময় হয়ে উঠলো তার ছোট্ট গৃহখানি । ঠোটদুটো শক্ত হয়ে বসে গেল পরষ্পর ।
তার স্ত্রী কি যেন বলতে এসেও তার দিকে চেয়ে থমকে গেলেন । তিনি ঈশারায় স্ত্রীকে কি যেন বললেন , মুখ খুললেন না ।
চোখদুটো বড় বড় করে একটা অজানা আতঙ্ক নিয়ে স্ত্রী তাকিয়ে থাকলেন তার দিকে, তার এতোকালকার শান্ত মানুষটির দিকে । এমোনটি তো দেখেননি কখোনও তিনি । এই পাপের সংসারে, যেখানে ক্ষুধা আছে , সন্তান আছে , আছে প্রতিদিনকার সহস্র জটিলতা, সেখানেও তিনি ছিলেন স্থিতধী । নির্বিকার এক সংসারী, জাগতিক ব্যাপারে একেবারেই অক্ষম। অব্যবহিত পারিপার্শ্বিকতাকেও তিলতম পরিবর্তনও যিনি ঘটাতে পারেন না। অথচ নিজের মধ্যে কি এমন নিখিল ক্রোধযুক্ত বেদনাকে ধারন করেন আছেন তিনি যে আমূল বদলে গেলেন অবয়বে !
কি হয়েছে বুঝতে পারলেন না । কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেলেন ।

পায়চারী থামিয়ে তিনি স্থির দৃষ্টিতে তাকালেন ত্রিশ বছর আগে যে মেয়েটিকে জীবনের সঙ্গী করে এনেছিলেন তার দিকে । ঠোট জোড়া নড়ে উঠলো তার –
‘তুমি কি জানো, কি হচ্ছে আমার ?’
নাহ্‌ , স্ত্রীর ভয়ার্ত জবাব ।
চোখে আগুনের ফুলকি ঝিলিক দিয়ে উঠলো তার । তিনি বুঝতে পারলেন কি যেন একটা ঘটে যাচ্ছে তার নিজের ভেতর । একটা জিঘাংসা ছোরার মতো অবলীলায় ঢুকে যাচ্ছে তার মানবিক শরীরের কোথাও। ঠিক কোনখানে ধরতে পারলেন না । কঠিনতম কষ্টে নিজেকে সংযত রাখলেন তিনি । আবারো নড়ে উঠলো ঠোট – ‘ অঞ্জলী, যে আমাকে তুমি চেন গেল ত্রিশটি বছর ধরে , সেই আমি আর আমাতে নেই । আমার ভেতরে অদ্ভুত একটা কিছু ঘটে যাচ্ছে – আমার রক্তের প্রতিটি বিন্দুতে বিন্দুতে একটা আশ্চর্য্য প্রতিশোধের প্রচন্ড জোয়ারের শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছি । এতোদিন পড়ে পড়ে শুধু মারই খেয়েছি আমরা – তুমি , আমি সবাই । এই কথিত সমাজ আর অন্ধ রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক খান কয়েক লোক আর তাদের তল্পিবাহকদের কারনে আমাদের সবার পিঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে । আমাদের কাউকে ভদ্রভাবে, শান্তিতে বাঁচতে দেবেনা ওরা । আমাদের সন্তানদের আতঙ্কিত প্রহর, দিন , মাস, বছর কাটবে মাটিতে মুখ গুঁজে কারন প্রতিবাদের প্রতিটি পথ বন্ধ করে রেখেছে ওরা । আমরা মরছি প্রতিদিন – মরতেই থাকব । এভাবে বেঁচে থাকা চলেনা । এটাকে রুখতে হবে এবং এখনই । একটি মাত্র আগাছাই তোমার একটুকরো ধানী জমিকে বন্ধ্যা করে দিতে পারে । আর তাই এই বিপুল বিষবৃক্ষ আগাছাকে উপরে ফেলতে হবে যাতে এই মাটিতে সবুজ দূর্বাঘাস নিশ্চিন্তে মাথা তুলতে পারে আবারো’ ।
তিনি থামলেন ।

অদ্ভুত এক স্বর্গীয় আলোকে তার শরীর জ্বলে উঠলো । দেহে ভর করলো এক অজানা সর্বগ্রাসী শক্তি । দক্ষিন বাহু আস্তে আস্তে আশ্চর্য্য এক ভঙ্গীমায় উর্দ্ধে উঠে গেল তার ।
বিড়বিড় করে বললেন – ‘বি হোল্ড’।

থমকে গেল বিশ্ব চরাচর । হতবিহ্বল স্ত্রীর চোখের পর্দা থেকে হারিয়ে গিয়ে তিনি দেখলেন উন্মুক্ত রাজপথের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি । একজন যিশুর মতো । দৃশ্যমান যাবতীয় পার্থিব বিষয়বস্তু অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে দেখলো তাকে । এমোন একটি মানুষ তারা দেখেনি কোনওদিন । এক মসীহা ।
জানালায় থমকে যাওয়া চড়ুই, উড়তে উড়তে থেমে যাওয়া কাকটিও বুঝলো, এবার হাযার বছর পরে ক্রুশবিদ্ধ হবে অন্য কেউ । এই যিশু নয়।

থমকে যাওয়া জনপদের ভেতর দিয়ে তিনি এগিয়ে চললেন দৃপ্ত পদে । কাঁপতে থাকলো পায়ের নীচে পড়ে থাকা ধরণী । মূহুর্তে পৌঁছে গেলেন গন্তব্যে । হাতের পাঁচ আঙ্গুলে অবলীলায় তুলে আনলেন সেই সব শিশু ধর্ষকদের আর ঝুলিয়ে দিলেন ষ্টেডিয়ামের সুউচ্চ ফ্লাড লাইটের পোষ্টে । ধর্ষকদের নিম্নাঙ্গ থেকে দড়িতে বাঁধা আধলা ইটগুলো দুলতে থাকলো পেন্ডুলামের মতো । সতর্ক মৃত্যুর ঘন্টা বেজে উঠলো চারদিকে । শতনারী ভোগী ধর্ষককেও দেখা গেলো সেই অদ্ভুৎ দৃশ্যপটে ।

বৈশাখী উৎসবে যারা বোমা মেরে নিভিয়ে দিয়েছিলো যাবতীয় মঙ্গল প্রদীপ তাদেরকেও তুলে আনলেন একে একে । তাদের পাপিষ্ঠ হাতে বোমা বেধে দিয়ে চাপ দিলেন দ্রুত । ছিটকে গেলো হাতগুলো । কান গেল ছিঁড়ে । তারপর ক্ষতবিক্ষত দেহগুলোকে ঝোলালেন আগের দেহগুলোর পাশে ।

যে লোকটি এসিড ছুড়ে বীভৎস করে দিয়েছিলো মেয়েটির জীবনময় শরীর, তাকেও তুলে আনলেন অবলীলায় । স্টেডিয়ামের ব্যাটারীর দোকানে রাখা এসিড ভরা পাত্রে ছেড়ে দিলেন আস্তে আস্তে । গগনবিদারী চীৎকারের সাথে সাথে শরীর থেকে খসে গেলো চামড়া । গলতে শুরু করলো মাংশ । মরলো না লোকটি । লাইট পোষ্টে ঝোলালেন তাকেও ।

যেসব লোভী লোকেদের কারনে অসহায় নারীরা মরছে বিদেশ-বিভূঁইয়ে, পুরুষেরা মরছে দূর-অজানা দেশের জেলে- জলে-জঙ্গলে তাদের পা ধরে টেনে হিঁচড়ে বাইরে আনলেন অলঙ্কৃত অন্তঃপুর থেকে। এবড়ো -থেবড়ো রাস্তার ঘর্ষনে ঘর্ষনে তাদের মাংশ-চামড়া গেল ছিঁড়ে। ঝুলিয়ে দিলেন পোষ্টে। রক্ত ঝরতে থাকলো অসহায় নারী-পুরুষদের, স্বজনদের মনে রক্ত ঝরার মতো অবিরল।

আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার মতো বিভৎস খেলায় মেতে উঠেছিলো যারা, এক এক করে তাদেরকেও টেনে আনলেন সুরক্ষিত গৃহকোন থেকে।

এরপর একে একে তুলে আনলেন বিষবৃক্ষের বীজ বপনকারী পাপীদের ,বুক উচু করে চলা সব অপরাধী । তুলে আনলেন সেইসব ধোঁকাবাজদের যারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি কোনওদিন । তুলে আনলেন তাদেরও যারা কোনও কিছু না করেই সবকিছুর মৌরসীপাট্টা নিয়ে নিয়েছে নিজেরাই, ভাগে ভাগে ভাগ করে দেশটার অস্থিমজ্জ্বা চুষে চুষে খেয়েছে এতোদিন। ঝোলালেন এক এক করে । ঠুকে দিলেন পেরেক তাদের শরীরে । সুউচ্চ ফ্লাড লাইটের পোষ্টগুলো ভরে গেলো সেইসব উৎপীড়ক, অত্যাচারী, লোভী অমানুষের ক্রুশবিদ্ধ শরীরে ।

থমকে গিয়ে স্থির হয়ে যাওয়া জনপদ এবার নড়ে উঠলো যেন । করতালিতে মুখরিত হলো আকাশ । লক্ষ লক্ষ স্বস্তির নিঃশ্বাস বেড়িয়ে এলো লক্ষ লক্ষ দেহের পিঞ্জর থেকে । ঘূর্নিঝড় হয়ে তা ধেঁয়ে গেল স্টেডিয়ামের দিকে । ঝুলে থাকা দেহগুলো কেঁপে কেঁপে উঠে দুলতে থাকলো উত্তর থেকে দক্ষিনে, পশ্চিম থেকে পুবে । ধূসর কালো হাড়গিলে শরীর নিয়ে শকুনীর দল উড়ে এলো। কুতকুতে চোখ নিয়ে একটা ভুরিভোজের মহোৎসবের অপেক্ষায় তাকিয়ে রইলো দুলতে থাকা দেহগুলোর দিকে।

ফুল বিক্রেতা দুটো ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ছুটে এলো কোথা থেকে ! অতি সযতনে ওরা তুলে দিল তার হাতে রক্তে মাখা একটি তুলি আর কুড়িয়ে আনা একটুকরো কাগজ । তিনি স্মিত হাসলেন । অভয়ের হাসি । তারপর উপুড় হয়ে তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুললেন লেখাগুলো –
“ এই নিষ্পাপ শিশুদের হাসি যেন মুছে না যায় আর কোনওদিন । এই শাস্তিই এদের একমাত্র প্রাপ্য । এখোনই সময় । এদের কে এভাবেই রুখে দিন ।”

উঠে দাড়ালেন তিনি । কাগজটি লটকে দিলেন স্টেডিয়ামের গেটে ।



ছবির কৃতজ্ঞতা - নেট।
নেট থেকে নিয়ে কম্পোজিশান করা।

মন্তব্য ১০৫ টি রেটিং +৩৮/-০

মন্তব্য (১০৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

ইসিয়াক বলেছেন: কিছুটা পড়লাম ....।পুরো পড়ে মন্তব্যে আসছি।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,




আসুন, অপেক্ষায় রইলুম।
প্রথম লাইকের জন্যে ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

ইসিয়াক বলেছেন: দারুণ আবেগ মাখা প্রতিবাদী লেখা।
আসলে ই সমাজের প্রতিটি স্তরের দগদগে ক্ষতগুলোর কোন প্রতিকার নেই ,প্রতিরোধ নেই।
আইন, প্রশাসন ,বিচার ব্যাবস্থা ধ্বংসের পথে । রুদ্ধ বাক স্বাধীনতা ।
আপনার প্রতিবাদের ভাষা আমার ভালো লেগেছে।
বিপ্লব চাই । চাই বিস্ফোরিত প্রতিবাদ। চুপ করে বসে থাকার দিন শেষ হোক ।
সব অনাচার পাপাচার দূর হোক।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,





শুধু -
চাই বিস্ফোরিত প্রতিবাদ।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এমন যদি হতো.... আহা
প্রতিবাদ কেউ করতো
ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবার
দেশটা সোনার গড়তো।


১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,





তাইতো বলি,
স্বপ্ন দেখি কেবলি!
একজন যিশুর অপেক্ষায়,
আমাদের দিন যে যায়
আশায় আশায় !

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী,
খুব আবেগ মাখা পোস্ট। মনের গোপনতম ইচ্ছের পোস্ট। বুকের ভিতর লুকিয়ে থাকা ঐকান্তিক আকাঙ্ক্ষার পোস্ট!
সবার মতো আমারও ইচ্ছে করে কেউ এসে ঠিক এভাবেই যেন সবকিছু সত্য শ্বাশত সুন্দর করে দেবে।
আবার এই ধুলিময় মাটির পৃথিবী স্বর্গের চেয়ে মধুময়, প্রেমময় আর ভালোবাসার সংসার হয়ে উঠবে।
জেসাস আবার আসবে। শ্বাশত চির সত্যকে আবার প্রতিষ্ঠিত করবে। এটা ধর্মীয় সত্য।
তবে কবে সেটা আমরা কেউ জানি না।
শুভ কামনা রইল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,





এই লেখাটি একটি মেসেজ, সম্ভাবনা সঞ্জাত এক মসীহার জন্যে। আমরা সবাই তেমন কেউ একজন আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছি।

এই মূহুর্তে কেবলমাত্র মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীই নামতে পারেন এই ভূমিকায়, হতে পারেন একজন ত্রাতা যেমনটা তিনি ঘোষনা দিয়েছেন দূর্নীতি নির্মূলের। সকল আশংকা , অনিশ্চয়তা, সংশয়কে সরিয়ে কেবল তিনিই পারেন এমন কঠিন হতে এবং এখনই সময় তাঁর একজন "মসীহা" হয়ে ওঠার। এই সুযোগটা কি তিনি নেবেন ? ব্লগের এই লেখা দেখার সুযোগ তাঁর নেই কস্মিনকালেও। কিন্তু তাঁর নিজের মধ্যেই এই চেতনা কি একবারও জেগে ওঠেনা যে , যে অবস্থানে তিনি অধিষ্টিত সেখান থেকেই তিনি হুঙ্কার দিয়ে উঠতে পারেন - বি হোল্ড ? একবারও কি তাঁর মনে হয়না, ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে থাকুন ত্রাতা হিসেবে ? এই মূহুর্তে কেবলমাত্র তাঁর হাতেই শুধু "বি হোল্ড" এর চাবী, যে চাবী আগামী একযুগেও আর কারো করতলগত হবার নয়! সেই চাবি দিয়ে কি একটিবারও তাঁর ইচ্ছে করেনা, এক সোনার দেশে যাবার পথটি খুলে দিতে ?
জানতে ইচ্ছে করে- খুউব জানতে ইচ্ছে করে.............।

( এই প্রতিমন্তব্যে কেউ অন্য কিছু ভেবে বসবেন না। ভালো করে ভেবে দেখুন, নিরেট বাস্তবতা এটাই। ইট উইল বি দ্য আল্টিমেট রেজাল্টস দ্যাট কাউন্টস! )

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: প্রতিবাদের প্রধান উপবীজ হচ্ছে আবেগ। এই আবেগ সঙ্গবদ্ধ হয়ে একদিন বিপ্লব হবে , কেউ ঠেকাতে।
পোস্টে ভালো লাগা জানবেন স্যার। ++

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ,





প্রতিবাদের প্রধান উপবীজ হচ্ছে আবেগ কিন্তু বাঙালীর আবেগ হলো ক্ষনস্থায়ী। সে আবেগ দিয়ে আমাদের মতো ব্লগিং, ফেসবুকিংই করা যায়, আন্দোলন বা প্রতিবাদের মিছিল হয়ে দানা বাঁধেনা।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "থমকে গেল বিশ্ব চরাচর" - এমনই একজনের আগমনের প্রতীক্ষায়, যিনি বিশ্বকে থমকে দিয়ে এ দেশে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে যেতে পারবেন।
"করতালিতে মুখরিত হলো আকাশ" - এমনই একটি গণ-করতালিতে অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষমান।
যে কাগজটি তিনি লটকে দিয়ে গেলেন স্টেডিয়ামের গেটে, সেটির প্রতিকৃতি লটকানো থাক প্রতিটি ঘরে ঘরে, প্রতিটি মানুষের মনে!
সময়ের অধিপতি, সময় নিয়ন্ত্রণকারী, সময় বিলোপকারী, সময়ের স্রষ্টার কাছে একটি প্রার্থনা রেখে গেলাম - একটু সুসময়ের জন্য।
পোস্টে প্লাস + +

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




মানুষের অফুরান দূর্দশা মোচনের জন্যে কারো কারো মনের ভেতরে যে সুপ্ত প্রার্থনা অহর্নিশ গুমরে গুমরে ওঠে তেমনি একজন সচেতন মানুষের মতোই আপনার প্রার্থনা ব্যক্ত হলো মন্তব্যে।
অতিশয় সুন্দর মন্তব্য।

মন্তব্যে লাইক।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রতিবাদী লিখা


পাঠে ভালোলাগা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: তারেক ফাহিম,




পাঠে ভালোলাগা জানিয়ে গেছেন, ধন্যবাদ।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

মা.হাসান বলেছেন: বড় ক্ষোভ, বড় কষ্টের অনুভুতির তাৎপর্যময় প্রকাশ। ক্ষমতাধরদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। ভিজিল্যান্টি চাই না, রাষ্ট্র তার দয়িত্ব পালন করুক। সকলের কল্যান হোক।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,




ক্ষোভ আর নিস্ফল ক্রোধের প্রকাশ।
সকলের কল্যান হোক।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫২

অন্তরন্তর বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আপনার মত কোটি কোটি মানুষ এমন একজনের অপেক্ষা করছে যদিও তা সম্ভব হচ্ছে না। এই কোটি কোটি লোকগুলো মেরুদণ্ডহীন প্রাণীতে পরিণত হয়েছে অথচ তারা জানে না তাদের সম্মিলিত শক্তি যে কোন অন্যায়, অপরাধ বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট। পৃথিবীতে এমন সম্মিলিত শক্তিশালী লোকদের প্রতিরোধ করার শক্তি কোন অপশক্তির নেই। তাই এখন আমরা একজন মসিহার দিকে তাকিয়ে আছি।
সকল অপশক্তির বিনাশ হউক এই আশায় চেয়ে আছি আমিও আপনার মত। লিখা দুর্দান্ত হয়েছে। শুভ কামনা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্তরন্তর,




হতাশাময় জীবন পাড়ি দিতে দিতে কোটি মানুষের পুষে রাখা নিস্ফল ক্রোধের এ এক অনুচ্চারিত প্রকাশ। মেরুদন্ডহীন বলেই এই সব অক্ষমেরা এক অলীক অবতারের মিছে স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখে, কুয়াশার ভেতর থেকে জন্ম নিচ্ছে এক রোদ্দুরে সকাল।

মন্তব্য লাইকড।

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং ৯ জনের মন্তব্য গুলো পড়লাম।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




ভালো করেছেন।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

বলেছেন: একজন মসীহের আগমনের প্রতিক্ষায়,
এক রুগ্ন, রুক্ষ, মুমূর্ষু, সভ্যতার তিলকে পরিয়ে দিবেন
বিচারহীনতার সকল অপবাদ থামবে বলেন "" বি হোল্ড।।।


অসাধারণ +++

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ল ,




এক রুগ্ন, রুক্ষ, মুমূর্ষু সভ্যতার গায়ে শৃঙ্খলার পোষাক পড়িয়ে যিনি দিতে পারেন তেমন এক মসীহার অপেক্ষায়.............

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফিনিক্স চেতনায় বেঁচে থাকে স্বপ্ন
স্বপ্নের ভেতর আশা
আশার শেকলে মসীহার ঠাস বুননে
জ্বলে ওঠে প্রতিবাদের আগুন

এক বিস্ফোরন! বিগ ব্যাং!
অচলায়তনের রুদ্ধ দুয়ার যায় খুলে
স্বপ্নেরা বয়ে যায় স্নিগ্ধ ফুরফুরে স্বপ্নের আশ্বাসে
নতুন মসীহার অপেক্ষায়।।

+++
প্রিয় সিনিয়র খায়রুল আহসান ভাইর মন্তব্যে মুগ্ধ ভাললাগা

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,




আপনার নামের মতো বিদ্রোহ ছড়াতে চেয়েছি হয়তো এই লেখায়! তা বিগ ব্যাংয়ের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে কিনা জানিনে।
আমরা সবাই এমন একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি যে, একজন অবতারই পারেন সে জায়গা থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতে!

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতো পাপ জমেছে যে, এ'কয়টা লাইট পোস্টে কোন জায়গাই হবে না। সারা দেশে অসংখ্য লাইট পোস্ট লাগবে। বিকল্প ভাবনা ভাবা দরকার এখনই।

তবে একটা কথা। বাড়ীতে বসে এসব কল্পনা ভালোই লাগে। হেলমেট বাহিনীর সামনে পড়লে আসলে বোঝা যাবে কার বীরত্ব কতোখানি!! ;)

এমনটা হলে কিন্তু মন্দ হতো না.....জী এস ভাই!! :)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




হা...হা... ভালো বলেছেন - "হেলমেট বাহিনীর সামনে পড়লে আসলে বোঝা যাবে কার বীরত্ব কতোখানি!!"
আমাদের মতো নাদান পাবলিকের বীরত্ত্ব ঐ ঘরের মধ্যেই। মোল্লার দৌঁড় মসজিদ পর্যন্ত! :)

হুমমমমমম... অনেক খাম্বা লাগবে লাইটের। এতে খাম্বা সাপ্লাইকারীদের ভাগ্য খুলবে আর সেই খাম্বা লাগাতে লাখো বেকারদেরও কর্মসংস্থান হবে। কর্ম সংস্থান প্রকল্প। ক্রুশিফিকেশান চালিয়ে যেতে পারলে প্রকল্প সাসটেইনেবলও হবে। :|| এটা বিকল্প ভাবনা।

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শায়মা বলেছেন: এইভাবে ঐশ্বরিক ক্ষমতায় স্বর্গ নরকের শাস্তি দিয়ে খুনে বদমাশদেরকে শিক্ষা দিয়ে ভবলীলা সাংগ করে দিতে পারলে ভালোই হত ভাইয়া.....

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,




হুমমমমমম...একেকবার মনে হয়, "মিঃ ইন্ডিয়া" হতে পারলে আরও ভালো হোত !

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আহমেদ জিএস ভাই,

চমৎকার ! চমৎকার !
নিঃশব্দ, নিস্তব্ধ দেশে আমাদের আধ মরাদের ঘা মেরে বাঁচাবার জন্য জেসাস রিবর্নের খুবই দরকার । জেসাস যদি নাও আসে ঐশ্বরিক ক্ষমতা নিয়ে এই নষ্ট সময়েতবে আমাদের ঘনঘোর দুর্দিনে নিদেন পক্ষে ল্যাজারাসের মতো কেউ উঠে আসুক কবর থেকে, আমাদের এই অসীম অব্যব্যবস্থা, অনিয়ম, নষ্টামির বিরুদ্ধে অল্প কিছু সত্যি,জীবন সুন্দর শুধু এই কথা বলার জন্য - মৃত্যুর ওপর কিছু জীবনের ফুল ফুটুক তাতে ।অসীম নৈরাশ্যে খানিকটা স্বপ্নিক হয়ে উঠলাম আমিও লেখাটা পড়ে । লেখায় অনেক ভালোলাগা ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মলাসইলমুইনা,




স্বপ্ন দেখাতে চাইনি।
এই লেখাটি একটি মেসেজ হিসেবে লিখেছি, সম্ভাবনা সঞ্জাত এক মসীহার জন্যে। আমরা সবাই তেমন কেউ একজন আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছি।

এটা কি হতে পারেনা যে সেই জেসাস হতে পারেন আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী ? এই মূহুর্তে কেবলমাত্র মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীই নামতে পারেন এই ভূমিকায়, হতে পারেন একজন ত্রাতা যেমনটা তিনি ঘোষনা দিয়েছেন দূর্নীতি নির্মূলের। সকল আশংকা , অনিশ্চয়তা, সংশয়কে সরিয়ে কেবল তিনিই পারেন এমন কঠিন হতে এবং এখনই সময় তাঁর একজন "মসীহা" বা : অবতার" হয়ে ওঠার। এই সুযোগটা কি তিনি নেবেন ?
ব্লগের এই লেখা দেখার সুযোগ তাঁর নেই কস্মিনকালেও। কিন্তু তাঁর নিজের মধ্যেই এই চেতনা কি একবারও জেগে ওঠেনা যে , যে অবস্থানে তিনি অধিষ্টিত সেখান থেকেই তিনি হুঙ্কার দিয়ে উঠতে পারেন - বি হোল্ড ? একবারও কি তাঁর মনে হয়না, ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে থাকুন ত্রাতা হিসেবে ?
এই মূহুর্তে কেবলমাত্র তাঁর হাতেই শুধু "বি হোল্ড" এর চাবী, যে চাবী আগামী একযুগেও আর কারো করতলগত হবার নয়! সেই চাবি দিয়ে কি একটিবারও তাঁর ইচ্ছে করেনা, এক সোনার দেশে যাবার পথটি খুলে দিতে ?
জানতে ইচ্ছে করে- খুউব জানতে ইচ্ছে করে.............।


ভালো করে ভেবে দেখুন, নিরেট বাস্তবতা এটাই। মন্তব্যটিকে যেভাবেই দেখুন না কেন ইট উইল বি দ্য আল্টিমেট রেজাল্টস দ্যাট কাউন্টস!

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশটাকে যারা লুটেপুটে এভাবে শেষ করে দিচ্ছে তাদের এভাবে পেড়েক মেরে , ক্রুশবিদ্ধ হয়েেই মরতে দেখতে চায় জনতা ।

অসাধারন পোস্ট। সবার মনের অভ্যন্তরের যন্ত্রনাটা দারুনভাবে তুলে ধরেছেন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,




সবার মনের অভ্যন্তরের যন্ত্রনাটাই তুলে ধরতে চেয়েছি।
আমরা ঢাল-তলোয়ার ছাড়াই নিধিরাম সর্দার। যন্ত্রনার শব্দছবি কেবল কলমেই আঁকতে পারি!

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: অন্যায় অবিচার থেকে মুক্তির চমৎকার ছবি এঁকেছেন; সমস্ত পাপের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই করার জন্য আমাদের একজন জেসাসের বড় প্রয়োজন। কিন্তু সেই জেসাসের জন্ম কবে হবে!!

এই সময়ে জেসাস হবার সক্ষমতা কেবল একজনেরই আছে, যেমন আপনি ৪ নম্বর প্রতিমন্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আশা করি তিনি আমাদের মুক্তিদাতা রূপে আবির্ভূত হবেন... সকলের শুভ বুদ্ধির উন্মেষ ঘটুক।

ছবির মত সুন্দর পোস্টে লাইক।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




আমার আর্তিটা বুঝতে পেরেছেন দেখে স্বস্তি পেলুম। অবশ্য এমন আর্তি আমার একার নয়, জনে জনের।

অপেক্ষায় আছি, কবে কেউ একজন "জেসাস" হয়ে উঠবেন!

মন্তব্য লাইকড।

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: ক্ষমতার শিখরে বসে থাকাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আইনের শাসনের প্রতি অশ্রদ্ধা জাতিকেও টানতে টানতে ঐ ল্যাম্পপোস্টের মাথায় তুলে আছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করে চলেছে প্রতিনিয়ত।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,



রাজনীতি যেখানে ব্যবসার ও ক্ষমতার গুদামঘর সেখানে অসংলগ্ন কথাবার্তাই তো স্বাভাবিক।
জাতিকে কেউ ল্যাম্পপোস্টের মাথায় তুলে আছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি, বরং জাতিই তাদেরকে ল্যাম্পপোস্টে বসিয়ে তাদের আলোকিত রাখতে লাইটের তেল জুগিয়ে যাচ্ছে । এ বাস্তবতা স্বীকার করুন আর না করুন, সত্য কিন্তু এটাই।
ভোট নামের তেল, পায়ে মালিশের তেল, তেলা মাথায় তেল দিয়ে রাজনীতির বাত্তি তো আমরাই জ্বালিয়ে রেখেছি মুখে কুলুপ এঁটে। ল্যাম্পপোস্টের মাথায় তুলে তাদের আছাড় দেওয়ার কথা তো জাতির, সেই আলামত জাতি দেখাতে পারছে কি?

১৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১১

সোহানী বলেছেন: হায়, একজন জেসাসের প্রতিক্ষায় সেই শিশুটি যার চিৎকার কোনভাবেই পৈাছায় না নরপশুদের কানে, প্রতিক্ষায় সে নারীটি যাকে গর্মেন্টস কাজ থেকে ফেরার পথে তুলে এনেছে একদল হায়েনা, প্রতিক্ষায় সে কিশোরী মেয়েটি যে সংসারের বন্ধ চাকা সচল করার জন্য বিদেশ বিভুয়ে কাজ করতে যেয়ে আজ তিলে তিলে মরছে, প্রতিক্ষায় সে কিশোরীটি যে নিজের পায়ে দাড়াঁবে বলে সব বাধা পেরিয়ে একজন মানুষ হতে চেয়েছিল আর তার সব স্বপ্নকে গুড়িয়ে দিয়েছে রাজিতিকি পৃষ্ঠপোসকতায় বেয়ে উঠা একদল হিংস্র কুকুর............

প্রতিক্ষায় আছি, আপনি, সবাই..................। কবে সে প্রতিক্ষার অবসান হবে আমি আপনি কেউই জানি না।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




সমাজে যখন পঁচন ধরে তখন মাথা থেকেই ধরে, এর পরে পঁচন ছড়ায় সর্বত্র। সমাজের প্রায় সব মানুষই কম বেশী গলিত-কুষ্ঠ মন-মানসিকতার অধিকারী। তাই সব স্বপ্নই গুড়িয়ে যায় সমাজের।

এ থেকে পরিত্রানের একটাই উপায়, কেউ একজন এসে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে যাক সব হায়েনাদের রক্তখেকো দাঁত।

২০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৪

ওমেরা বলেছেন: সবাই একজন জেসাসের প্রতিক্ষায় আছে , কিন্ত কারোরই সাহস নেই জেসাস হবার হতে পারবেও না। কিন্ত যে ইচ্ছা করলেই হতে পারে তার সেই সৎইচ্ছাটাই নেই।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা,




হয়তো সঠিক কথাটিই বলেছেন শেষটাতে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

২১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
দারুন লিখেছেন, সরাসরি প্রিয়তে । প্রতিবাদের ভাষার সাথে সহমত ।
আমাদের অচেতনদেরকে চেতন করার জন্য জেসাস রিবর্নের প্রয়োজন আছে ।
তবে যদি তাঁর নাগাল আমি কভু পাই, তবে তাঁর কাছে আকুল আকুতি জানিয়ে বলব, হে জেসাস, আমাদের অনন্ত ক্ষমতা নাই, সে তুমি জান। আমাদিগকে কাজও করতে হয় এবং সমাজ, সংসার, দেশ, জাতি ও বিধাতার কাছে হিসাবও দিতে হয়। আমাদের জীবনের সময়ও অল্প এবং সংসারের পথও কঠিন। বিধাতা আমাদিগকে দেহ দিয়েছেন, মন দিয়েছেন, আত্মা দিয়েছেন; ক্ষুধা দিয়েছেন, বুদ্ধি দিয়েছেন, প্রেম দিয়েছেন; এবং এই-সমস্ত বোঝা নিয়ে আমাদিগকে সংসারের সহস্র লোকের সহস্র বিষয়ের আবর্তের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। এর উপরেও ধর্ম ও রাজদন্ড কেবলই ভয় দেখাইতেছে, বিধাতা যে শোভা সৌন্দর্য বৈচিত্র্যময় সাগরাম্বরা পৃথিবীতে আমাদিগকে প্রেরণ করেছেন , সে-পৃথিবীতো এখন হানা হানি, মারা মারি, কাটাকাটি , লোভ লালসা, হিংসা বিদ্ধেস, অনিয়ম , অত্যাচারে ভরে গিয়েছে । বিধাতা যে উন্নত মানববংশে আমাদিগকে জন্মদান করাইয়াছেন সেই মানবদের সহিত পরশ্পরের শান্তিপুর্ণ সহবস্থান এবং একে অপরের দুঃখমোচন ও তাহাদের উন্নতিসাধনের জন্য বিচিত্র যে সব কর্মানুষ্ঠান, সে তো আমাদের জন্য এখন বলতে গেলে বিবিধ কারণে অসাধ্য হয়ে পড়েছে । তাই বলি করি হে জেসাস এখানে এখন ঘুরে ফিরে অপরাধিকে যত পার দাও শাস্তি দাও, গাছে কিংবা লাইট পোষ্টে ঝুলিয়ে দাও সে ক্ষমতা তোমার আছে , তবে আরো ভাল হয় যদি তরিত ফিরে যাও তুমি বিধাতার কাছে, আর বল গিয়ে তাঁরে, তিনি যেন আমাদের সকলেরে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পরিনত করে দেন তাঁর কুদরতি ক্ষমতাবলে তারই অতি কাঙ্খিত উন্নত মানবে, মানবিক সকল বিদ্যাবুদ্ধি জাগ্রত করে । তাহলে রিবর্ন হয়ে আর তোমাকে আসতে হবেনা জঞ্জালে পরিপুর্ণ এই নশ্বর জগতে , পুর্ব জনমে অনেক করেছ তুমি এই জগতের মঙ্গলের তরে , এখন চীর শান্তিতে থাক তুমি সেখানেই । ধারনা করি সেখানে তোমার যে স্টেটাস আছে সে অনুযায়ী বিধাতার কাছে তুমি আমাদের মঙ্গলের জন্য যা চাইবে মহর্তেই তা ঘটে যেতে পারে এই জগতে ।

শুভেচ্ছা রইল

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




বিধাতার কাছে অমন প্রার্থনা করাই যায়, যে প্রার্থনা আপনার মতো আমাদেরও। বিধাতা প্রার্থনা কবুল করবেন বটে তবে তা ঘটবে একজন জেসাসের মধ্যে দিয়েই।

সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। এবং লাইকড।

২২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দেশে দুর্নীতী ও অনিয়মের যে রকম বিস্তার ঘটে চলেছে তার জন্য প্রয়োজন বিশাল শক্তিশালী একটি দৈব শক্তির । একজন দৈবিকই পারেন দেশকে পঙ্কিলতার এই আবর্ত হতে টেনে তুলতে ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




সে কারনেই একজন যিশুর পূনর্জন্ম হওয়া প্রয়োজন।

২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৭

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: সুন্দর লেখা, শুধু শিরনামটা অন্য হতে পারত, জিশু (উনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক), উনি কাউকে না লটকিয়ে ক্ষমা করে দিবেন।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান জামাল গোলাপ,



মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

এই সময়ে আমাদের প্রয়োজন একজন ত্রানকর্তা বা অবতার এর। এর জন্যে কাউকে না কাউকে আসতে হবে। এ আকাঙ্খাই গল্পের উপজীব্য। যেহেতু "ক্রুশিফিকেশান" শব্দটি জেসাসের বা যিশুর সাথে অঙ্গাঙ্গীজড়িত তাই গল্পটির শিরোনাম অমন- একজন জেসাসের ফিরে আসা।

২৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: ইশ, এমন একজন জেসাসেরই প্রয়োজন এখন আবার। সমাজের ক্ষয়গুলো পূরণ করার জন্য। আগাছাগুলো পরিষ্কার করার জন্য।
খুব সুন্দর লিখেছেন আহমেদ জী এস ভাই।+++

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা,




হালের অবস্থায় এর চে' ভালো আর কোনও অলীক স্বপ্নের দেখা পাচ্ছিনে। আগাছাগুলো পরিষ্কার করা এ ছাড়া আর কি ভাবে সম্ভব ?
প্লাসের জন্যে ধন্যবাদ।

২৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সোনার বাংলা কী স্বপ্নই থেকে যাবে?

সুন্দর।+

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,




সোনার বাংলা নিজেই একটা স্বপ্ন। সেই বাংলার সব কিছুই তো স্বপ্নবৎ হবে!

২৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

নেক্সাস বলেছেন: অনবদ্য। শিল্পে সাহিত্যে প্রতিবাদ চলুক

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নেক্সাস,




প্রতিবাদ শুধু শিল্পে সাহিত্যেই নয় চলুক চলার সব পথে, সকল বাঁকে............

২৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩১

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: শায়মা,




হুমমমমমম...একেকবার মনে হয়, "মিঃ ইন্ডিয়া" হতে পারলে আরও ভালো হোত !


হা হা ভাইয়া মিঃ বাংলাদেশ হলে সমস্যা কি?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,




সমস্য আছে অনেক!
"মিঃ ইন্ডিয়া" হলে অদৃশ্য হওয়া যায়, "মিঃ বাংলাদেশ" হলে কি তা হওয়া যেতো? "মিঃ ইন্ডিয়া" হলে আপনার প্রথম মন্তব্যের ইচ্ছেগুলো সবটাই পুরণ করা যেত। খুনে বদমাশদেরকে শিক্ষা দিয়ে ভবলীলা সাংগ করে দিতে পারা যেতো, কেউ টের পেতোনা। ;)

আর বোঝেনই তো, অদৃশ্য হতে পারলে কতো মজা, যা ইচ্ছা ( এই লেখার মতো ) তাই করা যেত; আপনার ঘাড়ে সুড়সুড়ি দেয়া যেতো, ভাবতেন উতল হাওয়া..................... :P

২৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

লেখার শিরোনাম দিয়েছেন বেশ আড়ম্বর করে। লেখাটিও সেভাবে সাজিয়েছেন।
সমস্যাগুলো আমাদের চেনা। সমাধানগুলো সবার দায়িত্বে।
অসহায় দেশের অসহায় মানুষগুলোর পরিত্রাণ প্রয়োজন। প্রয়োজন একজন পরিত্রাতার। যিনি নিজে বিদ্ধ হয়ে অন্যকে বাঁচাবেন।


আমার হঠাৎ দেখায়, জনাব আহমেদ জীএস-এর লেখার স্টাইল ও বিষয় বদলেছে। বলা যায় সম্প্রসারিত হয়েছে।
বাকীটুকু নিজে বলতে পারবেন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল,




হঠাৎ দেখায় সবকিছু বদলে গেছে বলেই মনে হবে, আসলে লেখার স্টাইল ও বিষয় বদল হয়নি। ষ্টাইল ষ্টাইলের মতোই আছে। বিষয়গুলোর বিষয়ান্তর হয়েছে। কিন্তু যেই "থোড়-বড়ি-খাড়া" সেই " খাড়া-বড়ি-থোড়"ই আছে।
সচেতনতা, বিবেকবোধ নিয়ে যেমন প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত আগেও ছিলো, এখনও আছে। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর অভ্যেসটা নিভৃত অভ্যেসই রয়ে গেছে। জীবনবোধ থেকে পালানো সহজ নয়। সেখানে রস যেমন আছে আছে কষও।

এই নিয়েই আমার লেখার ঘর-সংসার। হঠাৎ করে দেখলে নতুনই মনে হবে। অন্দরে ঢুকলে দেখবেন - জানালায় সেই পর্দাই ঝুলে আছে, চেয়ারখানা আগের মতোই , দেয়ালের ছবিখানি দেয়ালেই...................

২৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: অপুর্ব!!!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন ,




ধন্যবাদ এসে মন্তব্য করার জন্যে এবং লাইক দেয়াতে।
শুভেচ্ছান্তে।

৩০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: এমন যদি হতো....যদি একদিন প্রতিবাদ কেউ করতো ... যদি...

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা,





হায়রে! এমন যদি হতো....................

৩১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার প্রায় এক দশক পুর্বের কবিতায় একটি মন্তব্য রেখে এসেছি।
তাহলে কবিতা কি ? কাহাকে বলে কবিতা ?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,




ব্রাভো ! ব্লগের নোটিফিকেশানের জটিল সমস্যায় আপনি নিজেই নেমে পড়েছেন ডাকপিয়নের ভূমিকায়!
ভালো লাগলো এ ভূমিকায় আপনাকে দেখে।

আমার ঐ পোস্টে আপনার রেখে আসা মন্তব্যের জবাব দিতে যাচ্ছি এখন।
ধন্যবাদ।

৩২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ভাই ,
প্রতিহিংসাপরায়ণতা , অসংগতি অন্যায় পাপাচার এসব
কুলুষিত সমাজ থেকে দূর হোক। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে,
সর্বাঙ্গে ব্যথা ঔষধ দিব কোথা? প্রায় সব জায়গাতেই
তো মিথ্যা ও পাপাচারে লিপ্ত । তারপরে বলতে ইচ্ছে করছে আপনার লেখায় প্রতিবাদী সুস্পষ্ট।

পোস্টে ভাললাগা ও ৩১ তম লাইক।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,



সব কথাই তো বলে দিলেন!
সব জায়গাতেই বিষবৃক্ষের তুমুল বিস্তার, ঠেকাবে কি ভাবে কেউ ?

ভাললাগা ও লাইকের জন্যে কৃতজ্ঞ।
শুভেচ্ছান্তে।

৩৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





আহমেদ জি এস ভাই,
মানুষ দিন দিন যেভাবে হিংস্র হচ্ছে এটি কিসের নমুনা জানতে জানতে পরিবার সমাজ দেশ সহ সমগ্র পৃথিবীতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কথা - আপনার কি মনে হয়?

আপনার পোষ্ট পড়ে মনে হচ্ছিলো চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি - ভয়ঙ্কর লেখা !

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




মন্তব্যে প্রশ্ন রেখেছেন বলে ধন্যবাদ।
আমার যা মনে হওয়ার তা এই রূপকেই বলা আছে। "যেমন কর্ম তেমন ফল" যদি আমরা নিশ্চিত করতে পারতুম তবে ভ্রষ্টাচার, অনীতি, লুন্ঠন, হিংস্রতার অবসান হয়ে যেত।
বিচারে এসিড সন্ত্রাসের কারনে গোটা দুই ফাঁসীর রায় হওয়াতে এসিড সন্ত্রাস কিন্তু এখন অনেকটাই "নাই" হয়ে গেছে।
সকল অপকর্মের বেলাতেই যদি এমনটি হোত তবে "হিংস্রতা" শব্দটি এ দেশ থেকে অনেকটাই "নাই" হয়ে যেত।

বাঙালীকে রাখতে হয় মাইরে আর দৌঁড়ে, এ সত্যটি নিশ্চয়ই ভুলে যান নি।

৩৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাঙালীকে রাখতে হয় মাইরে আর দৌঁড়ে, এ সত্যটি নিশ্চয়ই ভুলে যান নি। - - আহমেদ জি এস ভাই, ভুলে যাই নি, সমস্যা হচ্ছে পুলিশের হাত বন্ধ পুলিশের হাতেই এখন হাতকড়া। এই দেশে সকল থানায় ক্রাইম আর ক্রিমিনাল ফাইলে আটকা লকআপে না

আপনার পোষ্টে একটি কথা না বলে পারছি না। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এক বছর করে সামরিক শাসন প্রয়োজন। নীল প্লাষ্টিক ড্রামে সরিষার তেলে ডুবানো পাহাড়ি বেত আছে - বাদবাকী আপনি জানেন আমি কি বলতে চেয়েছি। ডিসম্বরে বিজয়ের মাসে আপনার মতোই একটি ভয়ঙ্কর লেখা লিখতে চাচ্ছি। অনুরোধ সাথে থাকবেন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




আবারও এসেছেন দেখে ভালো লাগলো।
বাঙালীকে কেন যে রাখতে হয় মাইরে আর দৌঁড়ে তার পেছনের কারনটি মনে হয় জেনেটিক। শত শত বছর পরের গোলামী করে, লাঠি-ঝাঁটার বারি খেয়ে খেয়ে এসেছে বাঙালী ( মনে কিছু নেবেন না, এটাই মনে হয় ঐতিহাসিক ও জেনেটিক্যাল সত্য) তাই তাদের জেনেটিক কোডে সম্ভবত "মাইর" নামের উদ্দীপনার ( ষ্টিম্যুলাই ) একটা আলাদা সংবেদনশীলতা আছে। মাইরের কথা শুনলেই বাঙালীরা তাই সোজা হয়ে যায়, মাইর দিয়ে যেমনটা সোজা রাখা হয়েছে বিগত শত শত বছর।

স্কুলবেলায় ডিবেট ক্লাসে একটি ডিবেটিং বিষয় ছিলো - "অসির চেয়ে মসি বড়"। এখনও বিশ্বাস করি তাই-ই।

দেশ-কাল-মানুষকে নিয়ে সব ভালো লেখার সাথে সবময়ই থাকার চেষ্টা করি।

৩৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

বিজন রয় বলেছেন: মুক্তির পথ খুঁজি সবসময়।
কেউ এসে মুক্ত করে দেবে এমন স্বপ্ন দেখা যেমন ভাল, মুক্তির জন্য নিজেও লড়াই করা তেমন ভাল।

আশাকরি ভাল আছেন।
আমাকে কিভাকে ভুলে গেলেন সেটা জানতে এলাম।

শুভকামনা রইল।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয়,




আপনাকে ভুলিনি। আপনার কবিতা সংকলন সবটাই দেখি ও পড়ি।
কিন্তু এতো এতো কবিতা প্রসবের কাতরতা সহ্য হয়না বলেই মন্তব্য করা হয়না।

ভুল বুঝবেন না। আমিও কবিতা লিখি, কবিতা পছন্দ করি তার মানে এই নয় যে, যা কিছু লিখলেই কবিতা হবে তা ধরে নেয়া । মিনিমাম একটা ষ্ট্যান্ডার্ড থাকতে হবে তার।

আপনার লেখা পড়তে আমার আলস্য নেই মোটেও।

শুভেচ্ছান্তে।

৩৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গতকাল একটা কমেন্ট করেছিলাম, এখন এসে দেখি কমেন্টটাই পোস্ট হয় নাই!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,




হুম......... যেমনটা আপনার গত কালকের গল্পটা লিখতে গিয়েও লেখেননি তেমনি হয়তো এখানে করা কমেন্টটাও পোস্ট করতে গিয়েও করা হয়নি কিম্বা করলেও তা কোনও নো ম্যানস ল্যান্ডে গিয়ে পড়েছে। :||

কমেন্টটা আবারো পোস্ট করুন যাতে জবাব দিতে পারি।

৩৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বেশি কিছু লিখি নাই। "তিনি" চরিত্রটা অনেক রিয়েলিস্টিক লেগেছে , তার চোখের আগুনের ফুলকি, তার ভেতরের দ্রোহ চোখের সামনে দেখতে পারছিলাম।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,



"তিনি" চরিত্রটা অনেক রিয়েলিস্টিক লেগেছে
তাই কি ?
মনে হয় চরিত্রটি রিয়েলিস্টিক নয় বরং কাল্পনিক বা স্বাপ্নিক। অবশ্য রিয়েলিস্টিক হলে ভালো হতো যা আপামর মানুষ খুঁজে ফিরছে। সে কারনেই আপনি চোখের সামনে তেমন একটি চরিত্র দেখতে পাচ্ছিলেন। যা আপনারও কাম্য।

৩৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আহা! যদি এমন একজন সত্যি সত্যি প্রতিবাদী হতো তবে সমাজটাই বদলে যেত।

এখন শুধু এক জন দিয়ে হেব না সবাইকে প্রতিবাদী হতে হবে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,





শুধু প্রতিবাদী নয় একজন সংস্কারক দরকার। আহা ! তাই যদি হতো..................

৩৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৫

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া তোমার জন্য গান
ওগো উতল হাওয়া

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা ,




এখনও উতল হাওয়ার সময় আসেনি। এখন সময় হলো ঠান্ডা হাওয়ার।

" ঠান্ডা হাওয়ার তালে তালে আমার শীত শীত যে লাগে ...." এমন গান নেই ??????? :|| :P

৪০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আবার ঘুরে গেলাম।
আপনার এ পোস্টটা ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। পোস্টে অনেকগুলো চমৎকার মন্তব্য এসেছে। সেগুলোর প্রতিমন্তব্যও সেরকমই হয়েছে। দেখে খুব ভাল লাগলো।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



ঘুরে যাওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

পাঠকপ্রিয়তা পাবার কারন হয়তো , পাঠকের মনের ভেতরে এইরকম একজন জেসাসের পূনর্জন্ম হয় কখনও না কখনও!

ডাকপিয়নের ঝুলি -
আপনার "আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ১৪: বেলা শেষের গান" পোস্টে একটি মন্তব্য কর এসেছি।

৪১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনার পোস্টটি নিয়ে কমপ্লিমেন্ট করার যোগ্যতা আমার নেই.....
যাহোক,শ্রদ্ধেয় ঠাকুরমাহমুদ সাহেবের পোস্ট থেকে জানলাম,আপনি একজন বীর মুক্তযোদ্ধা।
আপনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা.......

৪২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনার পোস্টটি নিয়ে কমপ্লিমেন্ট করার যোগ্যতা আমার নেই.....
যাহোক,শ্রদ্ধেয় ঠাকুরমাহমুদ সাহেবের পোস্ট থেকে জানলাম,আপনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আপনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা......

মাফ করবেন,আগের মন্তব্যে বানান ভুল ছিল।ওটা মুছে ফেলবেন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপম রিজওয়ান,



ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
নিজেকে অতোখানি অসহায় ভাববেন না। নিজের যোগ্যতার উপর আস্থা রাখুন, পারবেন। অবশ্যই পারবেন।

আগের মন্তব্যে মনে হয় ভুল বানান নেই। তাই ওটাও থাকলো স্মৃতি হিসেবে। ( আমি কারও কোনও মন্তব্য মুছে ফেলিনে। )
শুভেচ্ছান্তে।

৪৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৬

নজসু বলেছেন:



৩৬ নম্বর লাইক।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নজসু,




আপনার লাইকখানা শীতের পিঠেপুলির মতো মিষ্টি লাগলো।

৪৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ২ হাজার বছর পূর্বে জেসাস ধরণীতে এসেছিলেন সাধারণ মানুষের মধ্য থেকেই, ক্ষমতার কোনো অংশ থেকে নয় | রাষ্ট্রযন্ত্র তার গেস্টাপো বাহিনী দিয়ে তাকে অনেক কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল | আজও আমাদের আশেপাশে জেসাসের জন্ম হচ্ছে, আমাদের আশেপাশেই আমাদের মধ্য থেকেই | এই যুগের জেসাসরাও অন্যায়ের বিপক্ষে প্রতিবাদ ঠিকই করছে রাষ্ট্রযন্ত্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে | আর তাদেরই কেউ কেউ অনেক কষ্ট পেয়ে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করছেন লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে |

জেসাসদের রিবর্ন নেতৃত্ব বা ক্ষমতার কোনো অংশ থেকে আশা করার প্রয়োজন নেই |

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বামী বিশুদ্ধানন্দ,



ব্যাপারটা একটু অন্যভাবে দেখি-
জেসাসের ছোঁয়ায় কুষ্ঠরোগী ভালো হয়ে যেত বলে জানি। জানি, সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে ক্রুশবিদ্ধও হয়েছেন।
এ বিষয় দু'টো আপনিও জানেন না এমন নয়।
এদু'টি বিষয় মাথায় রেখেই এই পোস্ট। কুষ্ঠগ্রস্থ এই সমাজ,রাষ্ট্রকে সারিয়ে তোলার লক্ষ্যে জেসাস এখানে রূপক হিসেবে আবির্ভূত। আর অন্য বিষয়টিকে আমি ঘুরিয়ে দিয়েছি এই ভাবে - এই জেসাস নিজে আর ক্রুশবিদ্ধ হবেন না , ক্রশবিদ্ধ করে যাবেন সমস্ত পাপিষ্ঠদের। যেমনটা আপনি বলেছেন - "এই যুগের জেসাসরাও অন্যায়ের বিপক্ষে প্রতিবাদ ঠিকই করছে রাষ্ট্রযন্ত্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে | আর তাদেরই কেউ কেউ অনেক কষ্ট পেয়ে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করছেন লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে |"
আপনার এমন অক্ষম ক্ষোভের কারনেই আমি সেই সব লাঠিয়াল বাহিনীদেরকেই ক্রুশবিদ্ধ করতে পারেন এমন একজন জেসাসের আবির্ভাবই কামনা করেছি।

এটা মনে হয় সবার মনের প্রত্যাশারই গুঞ্জরণ।

৪৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্লগ ডে লং অনুষ্ঠানে আসেননি তাই একটু খারাপ লাগলো। অনুষ্ঠানে আসলে বুঝতেন ব্লগ মুক্ত হয়েছে মুক্তির আনন্দে ভাইসা গেছে ব্লগ যুদ্ধাগণ । চাটুকারিতা কি দায়বদ্ধতা? কবি গুরুর বাঙালি কি মানুষ হয় না? কিঙবা সত্য উপলব্ধি করতে পারে না? অথবা শুধুই সুবিধাবাদীদের ভূস্বর্গ ?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,



কিছু পারিবারিক কাজে আটকে থাকার কারনে যেতে পারিনি। আপনাদের মিস করেছি খুব।

এই মন্তব্যে আপনার করা প্রশ্ন ক'টি ভাবিয়ে তুলেছে। কেন এমন প্রশ্ন রেখেছেন বুঝে উঠতে পারছিনে। তবে বলি, যেখানে যা-ই ঘটুক না কেন, এটা মনে রাখবেন এ পৃথিবীর কেউ-ই কারো নয়, এটা একটা রঙ্গশালা । এখানে একজনকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। মন যুগিয়ে চলতে হয় মূখ্য চরিত্রগুলির, পরিচালকদের, ক্যামেরাম্যানদের। পার্শ্বচরিত্রগুলো তাই অবহেলা আর অনাদরে পড়েই থাকে ক্যামেরার বাইরের সীমানায়। বাঙালীরা বাঙালীই থাকে, মানুষ হয়না।

আবার সবাই সুবিধাবাদী হতেও পারেনা। তারা থাকে গল্পের কাঠামোর বাইরে।

ভালো থাকুন। আসছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

৪৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: প্রতিবাদকে উৎসাহিত করবে এই লেখনী । অন্যায় অবিচার রুখে দেওয়ার প্রথম ধাপ প্রতিবাদ। লেখায় প্লাস দিলাম +

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঘুড্ডির পাইলট,




অন্যায় অবিচার রুখে দেওয়ার প্রথম ধাপ প্রতিবাদের সাথে সাথে "মাইর"। এই দেশের জন্যে এর বাইরে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

৪৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২০

ইসিয়াক বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো শ্রদ্ধেয়।
আগামী প্রতিটি দিন আপনার ভালো কাটুক এই কামনা রইলো

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,




নতুন বছরের শুভেচ্ছা আপনাকেও। আপনার দিনগুলোও যেন বন্দী থাকে সোনার খাঁচায়।

৪৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অরাবোরাসের নাম শুনেছেন? অতিরিক্ত গরমে সাপের মাথা বেঠিক হলে নিজের লেজ গিলতে থাকে। সমগ্র মানবজাতি সেদিকেই এগুচ্ছে বহু আগে থেকেই তবে কিছু মহামানব যেমন বুদ্ধ আভিরুশ গ্যালিলিও সাত্রের গ্রেটা থুনবারীরা এসে সেটাকে পিছিয়ে দিচ্ছে।

আপনি কি করবেন? ধ্বংসের আশায় গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাবেন নাকি এসব মহামানবের পদাঙ্ক অনুসরন করবেন!!!


লেখার বাচনশৈলী অসাধারন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,




প্রশ্নটা শুধু আমার একার জন্যেই তোলা রইলোনা। সে প্রশ্নের আওতার মধ্যে আপনিও যে এসে যান। নিজের লেজ গিলতে থাকা এই মানবজাতির আপনিও তো এক হিস্যা।

লেখার বাচনশৈলী অসাধারন হলেও আসলে এমন লেখা হলো এক অক্ষমের দিবাস্বপ্ন। এছাড়া তার যে আর করার কিছুই থাকেনা। সবাই তো আর গ্রেটার মতো গ্রেট হবার সাহস রাখেনা। গ্রেটা এক সভ্য সমাজের মানুষ আর আমার, হয়তো আপনার মতোও মানুষেরা এমন এক ভূখন্ডে থাকি যেখানে অসভ্যতা, অসহিষ্ণুতা, অনাচার মৌরসীপাট্টা নিয়ে বহাল তবিয়তে বিরাজমান।
এখানে স্বপ্ন দেখা চলে, স্বপ্ন বিক্রী করা যায়না!

৪৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৪

অরণি বলেছেন: দারুণ লেখা।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: অরণি,




আমার ব্লগে সম্ভবত এই প্রথম এলেন, স্বাগতম।
কোনও লেখা যদি দারুন লাগে তবে তা পাঠকের দেখার গুন।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

অঃ টঃ - আপনি বেশ সুদীর্ঘ সময় ব্লগে আছেন অথচ কিছু লেখেন নি। কেন ?

৫০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নিশ্চয়ই কোনো একদিন এমনটাই ঘটবে। হবে শেষ থেকে নতুন শুরু।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু,




হয়তো...........

মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৫১| ০১ লা মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:২৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অক্ষমেরা, দুর্বলেরা আর ভীতুরা এভাবে ভাবে যে, কোনো এক প্রচণ্ড শক্তিশালী কেউ এসে দুষ্টের দমন করবেন। অথবা তাদের যদি এমন কোনো অলৌকিক ক্ষমতা থাকতো, তাহলে এভাবে লহমায় বদলে বদলে দিতে পারতো সব কিছু। ধার্মিক ভাবে ঈশ্বরের আদেশ ভিন্ন কোনো কার্য সংগঠিত হয় না। তেমনই বাংলাদেশের যাবতীয় কু কর্মের হোতা সরকার প্রধান। তার অজ্ঞাতে কিছুই ঘটে না। অথবা এমন কোনো দুষ্কর্ম হয় না যা তার গোচরে আসে না।

ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ক্ষমা পেয়ে যায় লুটেরা ঋণ খেলাপি অথচ সাত হাজার বা বিশ হাজার টাকার কৃষি ঋণের দায়ে মামলার আসামী হয় কৃষক। এই দেশে কবে অলৌকিক মানুষ আসবে আর আমাদের উদ্ধার করবে? তার চেয়ে ভাল আমরাই ককিছু করি। কিন্তু পেছন থেকে টেনে ধরার লোক পাবেন, সঙ্গী নয়। কাজেই আমরা বরং অপেক্ষা করি কবে ইমাম মেহেদি বা কল্কি অবতার আসবেন অথবা খোদার পুত্র যিশুর পূণর্জীবন লাভের।


লেখা বরাবরের মতই পরিছন্ন আর পরিপু।

০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী,




শুরুতে যা বলেছেন, তা নিতান্তই সত্য ।
বরাবরের মতই লেখাটি পরিছন্ন আর পরিপূর্ণ হলেও আসলে এমন লেখা হলো এক অক্ষমের দিবাস্বপ্ন। এখানে স্বপ্ন দেখা চলে, স্বপ্ন বিক্রী করা যায়না! তাই স্বপ্ন কেনার মানুষ পাবেন না যতোই বলুন না কেন - "আমরাই কিছু করি!"
হালের অবস্থায় এর চে' ভালো আর কোনও অলীক স্বপ্নের দেখা পাচ্ছিনে। এ ছাড়া আগাছাগুলো পরিষ্কার করা আর কি ভাবে সম্ভব ?

৫২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: অসাধারণ প্রতিবাদী ভাষা। আমাদের মাঝে এরকম জেসাসের পূণর্জন্ম হোক আমরা সবাই চাই। কিন্তু কদাচিৎ সেই কাঙ্ক্ষিত যীশুকে ধারণ করে নিজেরা প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারছি। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের একেক জন এই গল্পের প্রতিবাদী যীশুর পুনর্জন্ম। প্রজন্মান্তরে আরো অনেক মহাপুরুষের আবির্ভাব হয়েছে ঠিকই। তবে এই গল্পের মহাশক্তিধর প্রতিবাদী যীশুর মতো, যিনি/যাঁরা পুরো জাতিকে আমূল বদলে দেবেন, তার জন্য বোধহয় আরো অপেক্ষা করতে হবে।
সুন্দর এই লেখায় একরাশ মুগ্ধতা থাকলো শ্রদ্ধেয়।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: কল্পদ্রুম,




বিশেষ কারনে প্রতিমন্তব্য দিতে দেরী হওয়ার জন্যে দুঃখিত।
ঠিকই বলেছেন - "এই গল্পের মহাশক্তিধর প্রতিবাদী যীশুর মতো, যিনি/যাঁরা পুরো জাতিকে আমূল বদলে দেবেন, তার জন্য বোধহয় আরো অপেক্ষা করতে হবে।"

মন্তব্যে মুগ্ধতা প্রকাশ করাতে এই লেখক আপ্লুত।

৫৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এমন একজন মহামানবকে যীশুরূপে আবার আবির্ভূত হতে হবে, অন্যায়কারী, খুনি, ধর্ষকদের বধ করার মানসে যিনি নির্ভয়দিত্তে এগিয়ে যাবেন, যার দেখাদেখি প্রতিবাদী সকল মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মতো রিবর্ন যীশুর পিছে এসে সংঘবদ্ধ হবে।

অনেক আবেগী লেখা। পাঠক মাত্রই উদবুদ্ধ হবেন, যেমন আমিও হলাম।

শুভেচ্ছা রইল আহমেদ জী এস ভাই।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,





আপনার পোস্টে আমার মন্তব্যের লিংক ধরে এখানে আসাতে কৃতজ্ঞ ।
এমন যাঞ্চনা মনে হয় অনেকেরই মনে উদয় হয় আমাদের পারিপার্শ্বিক ঘটনাগুলো দেখে।

শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্যেও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.