নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
( ডিজিটাল ভ্রমন..... ছবি আর লেখায় / প্রথম পর্ব )
নৈঃস্বর্গের মৃত্যু উপত্যকা .... ( রিপোস্ট । এই গৃহবন্দীত্বে থেকে মনমগজে আর কিছুই কাজ করছেনা। তাই নিজের সময়ের মুক্তির স্বাদ নিতে আর আপনাদের সেই স্বাদ পরখ করে দেখাতেই এই রিপোস্ট। )
ডানহাতখানা কপালে রেখে সূর্য্যের ঝলসানো আলো ঠেকিয়ে দিগন্তে তাকালো স্মীথ । চোখ কুঁচকে আছে তার । দিগন্তপ্রসারী ঢেউ খেলানো ধূ-ধূ বালিয়ারী থেকে উঠে আসছে আগুনের হলকা । দরদর করে নেমে আসা ঘামে তার কালো চামড়া চকচক করে উঠছে । নিচের উপত্যকা আর দুরের অস্পষ্ট পাহাড়শ্রেনী তীব্র হিটওয়েভ এর কারনে যেন কাপছে থিরথির করে । ঐ পাহাড় ছাড়িয়ে আর কতোপথ পাড়ি দিতে হবে তাকে ! স্বপ্নের সোনা কি জুটবে তার ভাগ্যে ?
ছবি -১ ..... লক্ষ লক্ষ একর জুড়ে পড়ে থাকা উষর বৃক্ষবিহীন বালিয়ারী.....
ক্যালিফোর্নিয়ার পূব অঞ্চলের এই নরকের মতো গনগনে মোজাভ ডেজার্টের সল্টলেক সিটির সীমানায় দাঁড়িয়ে আছে সে । বুঝতে চাইছে যেন সামনের লক্ষ লক্ষ একর জুড়ে পড়ে থাকা উষর বৃক্ষবিহীন বালিয়ারী , কঠিন পাহাড়শ্রেনীর হালচাল । মোজাভ মরুভূমির এই বৈরী উপত্যকার শত শত মাইল পেড়িয়ে তাকে পৌঁছুতে হবে সিয়েরা নেভাদার পাহাড়ী ঢালে । তারপরে আর কতো মাইল পেরুতে হবে তাকে, “সাটার’স মিল” এলাকায় যেতে ? যেখানে ভাগ্য ফেরাতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সারা আমেরিকার মানুষ ? পথের ধুলোয় যেখানে মিশে আছে সোনা আর সোনা ?
সোনার খোঁজে শুধু সে –ই নয়, ক্যাপ্টেন জেফারসন হান্টের নেতৃত্বে সল্টলেক সিটিতে জড়ো হয়েছে আরো আরো ভাগ্যান্বেষী । যদি কপাল ফিরে যায় ।
ছবি -২ ..... ভাগ্য ফেরাতে হুমড়ি খেয়ে পড়া মানুষ । ক্যালিফোর্নিয়া গোল্ড রাশ ।
১৮৪৯ সালের অক্টোবরের এক মধ্য সকালে তারই মতো কালো চামড়ার জো আর লিটল ওয়েষ্ট এর থেকে দশগজ দুরে দাঁড়িয়ে মনটাকে শক্ত করলো সে ।
সোনা হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাকে, ডাকছে লিটল ওয়েষ্ট আর জো কেও । তাদের পেড়িয়ে যেতেই হবে এ পথ । ৪৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা তার গায়ে আগুনের ছ্যাকা দিয়ে যাচ্ছে যেন । গরু আর খচ্চরে টানা ওয়াগনের কাছে জড়ো হওয়া দলটির দিকে তাকালো স্মীথ।
এই মহা নরকের পথ কখন, কতোদিনে , কিভাবে পেড়িয়ে যেতে হবে তার পরিকল্পনা চলছে ওখানে । তুষার ঝড়ে কয়েক বছর আগে এই পথেই সোনার খোঁজে যাওয়া ডোনার পার্টির মর্মান্তিক পরিনতির কথা এখনও জেগে আছে দলটির মনে । তাই জানে, শীত নামার আগেই এই নরক উপত্যকার পথ ধরে সিয়েরা নেভাদার ঢাল পেড়িয়ে যেতে হবে ওদের । যেন কিছুতেই তুষার ঝড়ের সামনে পড়তে না হয় । ওল্ড স্প্যানিস ট্রেইল ধরে গেলেই তাড়াতাড়ি হবে । শীতের বরফে সল্টলেক সিটিতেই আটকে থাকার কোনও মানে নেই । ট্রেইলটি সিয়েরা নেভাদার দক্ষিন পাশ ঘেসে গেছে আর শীতকালেও ট্রেইলটি নিরাপদ । কিন্তু সমস্যা হলো, ট্রেইলটি চেনে এমন কোনও ওয়াগন চালক নেই দলে ।
তবুও চলা শুরু হলো ভাগ্যকে সামনে রেখে । সল্টলেক সিটিতে খামোখা বসে থাকার কোনও যুক্তি নেই । ইতিমধ্যেই অনেক দেরী করে ফেলেছে দলটি । আরও দেরী হলে সোনার ভাগ না ও পাওয়া যেতে পারে । উৎসাহে টগবগ করছে দলের লোকেরা । এর মধ্যেই কে এক নবাগত আগন্তুক এক শর্টকাট পথের খবর নিয়ে এলো । “ওয়াকার পাস” এর পথ ধরে গেলে দলটি ৫০০ মাইলের মতো এই নরকসম মরুভূমির রাস্তা কমিয়ে ফেলতে পারবে । পথটি মনঃপূত হলোনা ক্যাপ্টেন জেফারসন হান্টের ।
কিন্তু সোনা বলে কথা । ক্যাপ্টেন হান্টকে ফেলে দল থেকে একশ’র ও বেশী ওয়াগন ধরলো “ওয়াকার পাস” এর পথ । জো , লিটল ওয়েষ্ট আর স্মীথ রইলো ওয়াগন বহরের পুরোভাগে । কিন্তু বিধি বাম ! যাত্রার দুদিনের মাথায় গভীর এক গিরিখাতের প্রান্তে এসে থমকে দাঁড়াতে হলো দলটিকে । এ গিরিখাত পেরিয়ে যাবে কে ? দলের অধিকাংশ ওয়াগন মুখ ঘুরিয়ে ফিরে চললো ক্যাপ্টেন হান্টের পথ ধরতে । দুঃসাহসে ভর করে থেকে গেল স্মীথ আর বন্ধুরা বাকী ২০টি ওয়াগনের সাথে । ভাগ্যদেবী যদি সহায় হন তবে তাড়াতাড়িই তারা পৌঁছে যেতে পারবে গন্তব্যে । ওয়াগনের মুখ ঘুরিয়ে গভীর ক্যানিয়নটিকে ঘুরে পাশ কাটাতে অজানা এক পথ ধরে চললো স্মীথ এর কাফেলা । খরচ হয়ে যেতে থাকলো এক একটি মূল্যবান দিন । আগুনের হলকা গায়ে মেখে তবুও শেষ বাঁকটি পেড়িয়ে গেলো দলটি ক্যানিয়নের গভীর খাত ছাড়িয়ে । সামনে বৃক্ষের ছায়া বিহীন মাইলের পর মাইল ছড়িয়ে থাকা বালি আর লবনে মাখানো রুক্ষ ধূঁ-ধূঁ মরুভুমি –গ্রুম লেক উপত্যকা ।
ছবি -৩ - গ্রুম লেক .. লবনে মাখানো রুক্ষ ধূঁ-ধূঁ মরুভুমি ।
স্মীথ এর মন কু গেয়ে উঠলো এতোক্ষনে । ভাগ্যদেবী মুখ তুলে চাইবেন তো ? কিন্তু কোন পথে যেতে হবে , কোন দিকে ! পথের খোঁজে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে গেল দলটি । দক্ষিনে বহুদুরের বরফাচ্ছাদিত মাউন্ট চার্লসষ্টোন হাতছানি দিয়ে ডাকছে যেন ভাগ হয়ে যাওয়া একটি দলকে । দুষ্প্রাপ্য পানির দেখা মিলতে পারে ওখানে । দক্ষিনের পথেই ওয়াগনের মুখ ঘুরলো তাদের । এই নরককুন্ড থেকে বেরিয়ে সম্ভাব্য একটি আশ্রয় লাভের আশায় শ্রান্ত দলটি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো যেন ।
স্মীথ এর ভাগ্য বিধাতা তখন আর এক হিসাবে ব্যস্ত । আর সোজা পশ্চিমমুখো গেলেই পাওয়া যেতে পারে ওয়াকার পাস, এই আশায় জে-হকার’স নামের মূল দলটি সোজা পশ্চিমের পথ ধরলো । ওয়াকার পাস এর খোঁজে । জো , লিটল ওয়েষ্ট আর স্মীথ রইলো দলটির আগেভাগে ।
সল্টলেক সিটি থেকে বেড়িয়েছে তারা দু’মাস হয়ে গেল প্রায় । খাবারে টান ধরলো । পানির পাত্র তলানীতে এসে ঠেকতে চাইলো । তবুও যেতে হবে, ফেরার পথ ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে আসছে যে । অথচ এখনও সিয়েরা নেভাদার দেখা নেই ।
ছবি - ৪ ---- The Lost '49ers
স্মীথ এর ভাগ্যে সিয়েরা নেভাদার দেখা আর মেলেনি কোনদিন । সিয়েরা নেভাদার পথে প্যানামিন্ট ভ্যালী ছাড়িয়ে রোদ ঝলসানো তপ্ত অজানা আর এক উপত্যকায় রেড ইন্ডিয়ানদের হাতে মৃত্যু ঘটে তার । আর সে থেকেই উপত্যকাটির নাম হয়ে যায় – মৃত্যু উপত্যকা । ডেথ-ভ্যালী ।
ডেথ-ভ্যালীর গল্প এখানেই শেষ নয় ।
সোনা খোঁজার দল “দ্য লষ্ট ফোর্টিনাইনার্স ” (Lost '49ers) যে ভাবে দুটো দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিলো সিয়েরা নেভাদার পথে , আপনারাও যদি তাদের সাথে পথ চলতে থাকেন তবে জানবেন ; গল্পটিও সেভাবে দু’ভাগ হয়ে গেছে এখান থেকে । কালো চামড়ার স্মীথ, জো আর লিটল ওয়েষ্টের গল্প নেই ডেথ-ভ্যালীর কোনও গুজব – গল্পে । ভাগ্যান্বেষী এই তিন কালো চামড়ার মানুষের রং, ঘামের গন্ধ হারিয়ে গেছে নেভাদার পথে ।
যে গল্প টিকে আছে তা “বেনেট আরকান” দলের কাহিনী ।
ওয়াকার পাস এর খোঁজে ক্যাপ্টেন জেফারসন হান্টের দলচ্যুত হয়ে গভীর গিরিখাতটি পেরিয়ে গ্রুম লেক উপত্যকায় এসে স্মীথের দলটি যে দুটোভাগে বিভক্ত হয়ে যায় , তা নিশ্চয়ই আপনার মনে আছে ? এখান থেকেই আবার টিকে থাকা আর একটি গল্পের শুরু ------
মিষ্টার বেনেট আর আরকান পরিবার সহ একটি দল ওয়াগনের মুখ ঘুরিয়ে ফেললো দক্ষিনে বহুদুরের বরফাচ্ছাদিত মাউন্ট চার্লসষ্টোনের পথে । তৃষ্ণার্ত নারী-শিশুদের জীবন বাঁচানোর পানির দেখা মিলবে ওখানে । মিলবে খাবার । আগেই তো ক্ষুধার্থ আর চলৎশক্তিহীন গরু আর খচ্চচরগুলিকে জবাই করে , রোদে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া ওয়াগনের কাঠ পুড়িয়ে খাবারের সংস্থান করতে হয়েছে তাদের । বাকী চলনসই যা রইল তাই নিয়ে আবার পথে নামা । আদিগন্ত বিস্তৃত লবনাচ্ছাদিত তপ্ত উপত্যকা পেড়িয়ে চলার শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাওয়া দলটি ওয়ার্ম স্প্রীং ক্যানিয়ন হয়ে প্যানামিন্ট পর্বতশ্রেনীর সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেল । এই পর্বতশ্রেনী পেড়ুতে হবে তাদের । হলোনা । পরিবারের নারীশিশুদের ভোগান্তি তখন চরমে । হাল ছেড়ে দিয়ে আবার ফিরে আসতে হলো সেই লবনাচ্ছাদিত তপ্ত উপত্যকাতেই । আশা বড় কুহকিনি । বাঁচতে চাই, বাঁচাতে চাই পরিবার – এই আশা নিয়ে উইলিয়াম ল্যুয়িস ম্যানলি আর জন রজার্স বাকীদের সেখানেই রেখে চললেন খাবার আর পানির খোঁজে । প্যানামিন্ট পর্বতশ্রেনী পেড়িয়ে গেলেই সিয়েরা নেভাদার দেখা মিলবে আর মিলবে খাবার ও পানি । শীঘ্রই ফিরে আসা যাবে এটা ভেবেই পা বাড়ালেন উইলিয়াম আর জন । তারপর ..... যেতে...যেতে ...যেতে । দিন গড়িয়ে মাস গেলে ৩০০ মাইল পাহড়ীপথ পাড়ি দিয়ে পৌছা গেল মিশন সান ফার্নান্দো’তে । খাবার আর পানি জোগাড় হলো, জোগাড় হলো ৩টি ঘোড়া আর একচোখ নেই এমন একটি খচ্চর । ফেরার পথে ক্লান্ত একটি ঘোড়া মরে গেল , বাকী দু’টোকেও ছেড়ে আসতে হলো পথের মাঝে । উইলিয়াম আর জন এর এতো পরিশ্রমেও শেষ রক্ষা হলোনা । ততোদিনে সোনা খোঁজার আশা ছেড়ে শিশু ও মহিলা সহ বেনেট আর আরকান পরিবারকে ফেলে রেখে বাকীরা যে যার মতো চলে গেছে এই অভিশপ্ত মরুভূমি পেড়িয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ।
ছবি – ৫ ------ বেনেট আরকান পরিবার ।
উইলিয়াম আর জন ফিরে আসবে জীবন ধারনের রসদ নিয়ে , এই গভীর বিশ্বাস বিধ্বস্ত বেনেট আর আরকান পরিবারকে দিয়েছে পথ চেয়ে থাকার শক্তি । উইলিয়াম আর জন ফিরে এলে এই দোযখের আগুন আর মৃত্যুসম ভয়াল অভিজ্ঞতার ভেতর থেকে বেঁচে আসা পরিবার দুটি যখন এই অভিশপ্ত মরুভূমি থেকে নতুন জীবনের সন্ধানে পা বাড়ালো তখন কেউ একজন নাকি এই বিভীষিকাকে বিদায় জানিয়েছিলো এই বলে – “ গুডবাই ডেথভ্যালী ” ।
সে-ই থেকেই তার নাম হয়ে যায় “মৃত্যু উপত্যকা” ।
আপনাদের অনেকেরই হয়তো ধারনা যে , এই উপত্যকায় গেলেই মৃত্যু অবধারিত তাই নাম ডেথভ্যালী । ধারনাটি যে ভুল, তা এতোক্ষন উপরের কাহিনীর সাথে হাটতে হাটতে আপনি বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই ! তবে এখানে ছড়ানো ছিটানো আছে অনেক মৃত স্বপ্নের নিঃশব্দ ধ্বংসাবশেষ । এর মাটি আর পাহাড়ের বর্ণিলতার মতোই ছড়িয়ে আছে হাযারো রঙিন গল্প ।
নামের সাথে “মৃত্যু” কথাটি জড়িয়ে থাকলেও এই মৃত্যু উপত্যকায় যে প্রান বৈচিত্রের দেখা মেলে, প্রকৃতি এখানে যে মনোহর রূপে সাজিয়েছে তাকে, তা আপনার শ্বাস রূদ্ধ করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট ।
ছবি – ৬ ----- শ্বাস রূদ্ধকর গোধূলির আকাশ নিয়ে পড়ে থাকা ব্যাডওয়াটার বেসিন ।
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের দক্ষিনাঞ্চলের মোজাভ ডেজার্টের ৫৫০ বর্গমাইল জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে আছে এই মৃত্যু উপত্যকা । বৈরী কিন্তু ভয়ঙ্কর সুন্দর এই বিরান উপত্যকাটির ব্যাডওয়াটার বেসিন এলাকাটিতে আপনি যখন পা রাখবেন, জানবেন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮২ ফুট নীচে আছেন আপনি । উত্তর আমেরিকাতে এটাই সর্বনীচু এবং পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ এলাকা । একশ বছর আগে ১৯১৩ সালের জুলাই মাসে এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫৭ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড । যা এ পর্য্যন্ত রেকর্ডকৃত পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা । বছরের ৬ মাস এই তাপমাত্রা ওঠানামা করে ৩৮ডিগ্রী থেকে ৪৮ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের মধ্যে । সারা বছরের গড়ে এই মাত্রা ২৫ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড । বুঝুন !
কেন এমনটা গরম এখানে ? বিশাল মরুময় প্রান্তরের মাঝে দাঁড়িয়ে আপনার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন না । যদি স্যাটেলাইটের তোলা নীচের ছবিটি আপনি দেখেন, দেখবেন এলাকাটি একটি বেসিন বা গামলার মতো ।
ছবি – ৭-----স্যাটেলাইটের তোলা মৃত্যু উপত্যকার ছবি ।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮২ ফুট নীচু হবার কারনে এবং চারদিক থেকে সুউচ্চ পাহাড় শ্রেনী একে আগলে আছে বলে , উপত্যকাটি লম্বাটে একটি গামলার আকার ধারন করেছে । এই গামলার তলদেশে সারা বছর আটকে থাকে ভারী বাতাস । ১১০০০ফুট উচ্চতার টেলিষ্কোপ চূড়া সহ এর চতুর্পাশ ঘিরে থাকা সুউচ্চ পর্বতশ্রেনী ডিঙিয়ে এই বাতাসের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই । ফলে , সূর্য্যতাপ বাতাসের ফাঁদে আটকা পড়ে যায় । বৃষ্টিপাত প্রায় নেই বলেই শুষ্ক বাতাস আর লবন-বালুর মেঝে (বেসিন ফ্লোর), মোজাভ ডেজার্টের গনগনে সূর্য্যের তাপে রূটি সেকা প্যান এর মতো উষ্ণতা ছড়ায় । বেসিনের পাথরগুলো এতো গরম হয়ে থাকে যে আপনি এখানে দুপুরের খাবারের জন্যে ডিম ভেজেও নিতে পারেন ।
ছবি - ৮ ------- ডেথভ্যালীর পাথুরে মেঝেতে ডিম ভাজার দৃশ্য ……..
লবন ছাড়া ডিম মুখে তুলবেন কি করে ? কুছ পরোয়াঁ নহী । ডেথভ্যালীর মেঝে জুড়ে আছে ২০০ বর্গমাইলের সল্টপ্যান (salt pan) । লম্বায় ৪০ মাইল আর প্রস্থে ৫ মাইল । সেখান থেকে খানিকটা তুলে নিলে ক্ষতি কি ?
ছবি –৯ -------ডেথভ্যালীর মেঝেতে বিছিয়ে থাকা লবনের স্তর ।
আপনি এখন বলতেই পারেন, এই পোড়ার মরুভূমিতে লবন এলো কোত্থেকে ।
প্লেইস্টোসিন যুগে উত্তর আমেরিকার আইসক্যাপের বরফ গলে গলে এখানেই ছোট ছোট সাগরের জন্ম দিলে তাদের একত্রে নাম দেয়া হয়েছিলো “লেক ম্যানলি” । বরফ গলা শেষে মরুকরনের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া শুরু হলে এই লেকের সব পানি বাষ্পীভূত হয়ে যায় । পড়ে থাকে শুধু লবন আর লবন । আর পড়ে থাকে বোরাক্স (borax), সিলভার আর সীসা।
“গোল্ড রাশ” এর পরে ১৮৮৩ সাল থেকে ১৯০৭ সাল পর্য্যন্ত এই বোরাক্স উত্তোলনই ডেথভ্যালীকে করে রাখে মানুষের কোলাহলে মুখর ।
ছবি – ১০ . হারমোনি বোরাক্স ওয়র্কস ।
ছবি – ১১ হারমোনি বোরাক্স ওয়র্কসের খচ্চরে টানা গাড়ী ।
সোনা খুঁজতে আসা লষ্ট ফোরটি নাইনার্সের গল্পের সাথে এই যে এতোক্ষন ডিজিটালী ঘুরে এলেন সিয়েরা নেভাদার পথ , তা আপনি নিজে স্বশরীরে হেটে গেলে আপনাকে ধরতে হবে ডেথভ্যালী ন্যাশনাল পার্কের ভিতর দিয়ে যাওয়া হাইওয়ে- ৩৯৫ । অথবা হাইওয়ে- ১৯০ । আছে আরও পথ । যেদিকে যেতে চান সেদিকের ।
ছবি -১২ --- এই পথ যদি না শেষ হয় ........
ছবি -১৩ --- হাইওয়ে - ৩৯৫ ।
ছবি -১৪--- নাম ফলক ।
এখন আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন , সেখানেই হাযার বছর ধরে দাঁপিয়ে বেড়িয়েছে আমেরিকার আদিবাসী “তিমবিশা” গোত্র । “রেড ইন্ডিয়ান” শব্দটি সম্ভবত এই “তিমবিশা” নামটি থেকেই এসেছে । কারন “তিমবিশা” শব্দটির অর্থ - "Red Rock Face Paint"
ছবি – ১৫. তিমবিশা, রেড ইন্ডিয়ান ।
সাদা মানুষেরা এখানে পা রাখার আগে এই তিমবিশা গোত্র এখানেই বেড়াত শিকার ধরে আর পিনিওন পাইন বাদাম ও মেসকুইট বীন চাষ করে । এই মাটিতেই তাদের সব প্রয়োজন মিটতো বলে উপত্যকাটি ছিলো এক পবিত্র ভূমির মতো । বিজাতীয় মানুষেরা পবিত্র ভূমিকে অপবিত্র করে বসতি গাড়বে, এটা পছন্দ হয়নি বলে ধূঁ-ধূঁ বালিয়ারীতে দিশেহারা ভাগ্যান্বেষী অসংখ্য সাদাকালো মানুষদের প্রান খোয়াতে হয়েছে তাদের হাতে । ধারনা করা হয়; শুরুর গল্পে যে স্মীথ, লিটল ওয়েষ্ট আর জো এর কথা জেনেছেন তারাও এই রেড ইন্ডিয়ানদের হাতেই মারা পড়েন ।
আজ আর সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই । তবে আছে কিছু গল্প আর স্বপ্নের সমাধি । আছে ফেলে রাখা স্মৃতি । আর আছে ফার্নেস ক্রীক নামের উপত্যকায় কিছু তিমবিশা রেড ইন্ডিয়ান ।
ডেথভ্যালী এখন “ডেথভ্যালী ন্যাশনাল পার্ক” । ১৯৩৩ এর ১১ই ফেব্রুয়ারী প্রেসিডেন্ট হার্বার্ট হুভার মূল উপত্যকা সহ আশেপাশের জায়গা নিয়ে “ডেথভ্যালী ন্যাশনাল মনুমেন্ট” এলাকা হিসাবে ঘোষনা করেন । ১৯৯৪ সালে এর বিস্তৃতি আরো বাড়িয়ে পুনঃনামকরন করা হয় “ডেথভ্যালী ন্যাশনাল পার্ক” ।
এখন এর জেল্লা গেছে বেড়ে । পথশ্রান্ত পথিক এখানে পাবেন বিভিন্ন রিসোর্ট । মৃত্যু উপত্যকায় জীবনের পরশ ।
ছবি –১৬ --- প্যানামিন্ট স্প্রীং রিসোর্ট ।
ছবি –১৭ -- আকাশ থেকে ফার্নেস ক্রীক রিসোর্ট ।
ছবি –১৮ --- ফার্নেস ক্রীক র্যাঞ্চ ।
ঘুরে আসতে পারেন ডেথভ্যালীর সর্ব উত্তরের গ্রেপ-ভাইন ক্যানিয়নের সবুজ মরুদ্যানে লুকিয়ে থাকা অনেক গল্পের জন্মদাতা “ স্কটি’জ ক্যাসেল” থেকে ।
ছবি – ১৯ -- স্কটি’জ ক্যাসেল
পথ চলতে চলতে দেখে আসুন লষ্ট ফোর্টিনাইনার্সের স্বপ্নের স্বর্ণতীর্থ “সাটার’স মিল” জায়গাটি ।
ছবি – ২০ -- সাটার’স মিল স্মৃতিফলক ।
এই স্মৃতি ফলকটি দেখতে দেখতে ক্যালিফোর্নিয়ান গোল্ডরাশের সেই সব দিনগুলোর কথা ভাবুন একবার । শত শত মাইল এবড়ো থেবড়ো পাহাড়ের ঢাল, আদিগন্ত গনগনে বালুময় মরুভূমি , গোত্তা খাওয়া ক্যানিয়ন পেড়িয়ে ছুটে আসা মানুষের ঢল । বয়ে চলা নদী আর ঝর্ণার জল ছেকে ছেকে সোনালু কনা তোলার হিড়িক । তিরতির বয়ে যাচ্ছে পাহাড় থেকে নেমে আসা স্রোতস্বিনী । তারই জলে দিনরাত শরীর ভিজিয়ে ছাঁকুনী হাতে ছেঁকে তোলা বালুমাটির দিকে তৃষিত চোখে চেয়ে আছে এই বিজন প্রান্তে মৃত্যু ঝুকি নিয়ে আসা মানুষগুলো । সোনালী কিছু ঝিলিক দিয়ে উঠলো কি ?
ছবি - ২১ স্বর্ণ সন্ধানে .........
তারপর ? প্রতীক্ষিত সোনার খনির দেখা মেলা ।
যে সোনার খনির পথ চেয়ে কেটেছে হাযারো ভাগ্যান্বেষী মানুষের দিন। তেমনি একটি সোনার খনি ; ডেথভ্যালীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ আর বেশী উত্তোলন যোগ্য “কিয়েন ওয়ান্ডার মাইন” । গোল্ড রাশের মূল আকর্ষন । এখনও এমনটাই দেখতে পাবেন আপনি বাইরে থেকে । সেই আগের মতো । বহু দুর থেকে এলেও ডেথভ্যালী ন্যাশনাল পার্কের রক্ষনাবেক্ষনকারীর দল আপনার ভেতরে ঢুকে ঘুরে ঘুরে দেখার আশাটি পুরন হতে দেবে না । নিরাপত্তার কারনে আপনার এখন ভিতরে ঢুকতে নিষেধ আছে তাদের ।
ছবি - ২২ -- কিয়েন ওয়ান্ডার মাইন ।
আপনার চোখে এটাকে ভুতুড়ে মনে হবে । নির্জন, পরিত্যক্ত । ঢুকতেই যখন পারা যাচ্ছেনা তাই ওদিকের কথা না ভেবে পা বাড়ান সোনার খনির মতো ভুতুড়ে নির্জন আরো যে অনেক শহর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই মৃত্যু উপত্যকায়, সেদিকে । যেখানে সেদিনগুলির মানুষের ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের নিথর ধংশাবশেষ দেখতে পাবেন আপনি ।
ছবি - ২৩ -- ডেথভ্যালী ঘোষ্ট টাউন ।
“আমার বিশ্বাসই হচ্ছেনা ফ্রিসকো এই অল্প সময়ের মধ্যেই এখন এক মৃত শহর । ভাবতেই পারিনা, এই ক’দিন আগেও যেখানে লাইন ধরে আমরা খাবার আর মদ গিলেছি সেই পানশালাগুলোর ভেতর এখন পেঁচারা উড়ে বেড়ায় ! আমাদের হেটে চলা পথ এখন আগাছার জঙ্গল ।” - এই ছিলো ১৯৩০ সালে “ট্যুরিং টপিকস” এ সাক্ষাৎকার দেয়া ফ্রাঙ্ক শর্টি হ্যারিসের বিস্ময় । ডেথভ্যালীর ভুতুরে শহরগুলো সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন এমনটাই ।
ছবি - ২৪ -- ফ্রাঙ্ক শর্টি হ্যারিস (উপরে) আর নীচের ছবিতে ওয়াল্ট স্কটি ( খচ্চরের পিঠে ) আর শর্টি ।
কে এই ফ্রাঙ্ক শর্টি হ্যারিস ? সে সময়কার ডেথভ্যালীর একজন কিংবদন্তীর ল্যান্ড প্রসপেক্টর ।ছোটখাটো একটি মানুষ । রোড আইল্যান্ডে জন্ম নিয়ে সাত বছর বয়সেই এতিম । ১৪ বছর বয়সে ভাগ্যান্বেষনে পশ্চিমে আসা তার । লেডভাইল , কলোরাডো, টম্বষ্টোন, আরিজোনা ঘুরে অবশেষে থিতু হওয়া ডেথভ্যালীতে । খর্বাকৃতির জন্যে নাম হয়ে যায় “শর্টি” । ডেথভ্যলীর অনেক সোনার খনিই শর্টির আবিষ্কার । শর্টি নাকি বাতাসে সোনার গন্ধ খুঁজে পায়, এমন কিংবদন্তী ছড়িয়ে আছে ডেথভ্যালীর মানুষের মুখে মুখে । কিন্তু গোল্ড মাইনিংয়ে জড়িয়ে পড়েন নি বা খনি মজুরের কাজ করেননি কখনও । শুধু পশ্চিমের সেলুনগুলিতে বসে গল্প বলা আর মদ গিলে চূর হয়ে থাকাতেই ছিলো তার আনন্দ । তার বলা গল্পগুলিই তাকে মৃত্যু উপত্যকার “হিরো” বানিয়ে রেখেছে আজও ।
৭৮ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার বিগ পাইন এলাকায় নিজ কেবিনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই মানুষটি । মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছে জানিয়ে ছিলেন , তাকে যেন মৃত্যু উপত্যকার মাঝখানে দাফন করা হয় । আর তার শিয়রের পাথর ফলকে যেন লেখা হয় এই এপিটাফটি ----- “ হিয়ার লাইজ শর্টি হ্যারিস, আ সিঙ্গল ব্লাঙ্কেট জ্যাকএ্যাজ প্রসপেক্টর ১৮৫৬ – ১৯৩৪ ।”
ছবি - ২৫ -- রিয়োলাইট ঘোষ্ট টাউন ।১৯০৫ এ নব্বই হাযার ডলারে নির্মিত তিন তালা ব্যাংকের ভুতুরে কাঠামো ।
একশত বছর আগে দশ হাযারের ও বেশী মানুষের পদভারে মুখরিত ছিলো যে রিয়োলাইট শহরটি, মাত্র একযুগের মধ্যেই তা বিরান । ১৯০৪ এর আগেও পাহাড়ে পাহাড়ে ছিল আকরিক কোয়াটর্জ এর ছড়াছড়ি । তাতে মেশানো ছিলো সোনা । জুটে গেলো সোনাখেকো লোক । ২০০ ল্যান্ড ক্লেইম জমা পড়লো । বসলো কোয়াটর্জ পরিশোধন ফ্যাক্টরী । এলো বিদ্যুত । গড়ে উঠলো ব্যাংক , ষ্টক এক্সচেঞ্জ , বোর্ড অব ট্রেড । জমজমাট এই শহরের আর এক নাম হয়ে গেলো “ দ্য কুইন সিটি ” । ১৯০৭ সালে শুরু হলো অর্থনৈতিক ধস । ১৯১২ সালের ভেতরেই ভুতুরে হয়ে গেলো শহরটি । ফার্নেস ক্রীক ভিজিটরস সেন্টার থেকে হাইওয়ে – ৩৭৪ ধরে উত্তর দিকে ৩৫ মাইল দুরে গেলেই আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন এই ঘোষ্ট টাউনের একদম মাঝখানে ।
ছবি - ২৬ -- ভিনটেজ স্বাদে ভুতুরে শহর...
ছবি - ২৭ -- ওয়াইল্ডরোজ কিল্ন । ইটের ভাটা...............
এবারে উপরের ছবিটিতে এস্কিমোদের বাড়ীর মতো দেখতে কিম্ভুত কিমাকার স্থাপনাগুলোর চারপাশ ঘুরে আসুন । ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েষ্ট এর সু - সংরক্ষিত পুরোনো যা কিছু আছে তার ভেতরে এই ওয়াইল্ডরোজ কিল্ন একটি । মৌচাকের মতো আকৃতি নিয়ে ২৫ ফুট উঁচু এই দশ দশটা কয়লা পুড়িয়ে সিলভার আর সীসা গলানোর ভাঁটি আমাদের দেশের ইটভাটার কথা মনে করিয়ে দেবে আপনাকে । ১৮৭৭ সালে বানানো হয়েছিলো এগুলো । ১৮৭৯ এর পরে এগুলো আর ব্যবহার করা হয়েছিলো কিনা তার কোন হদিশ নেই । তাই এগুলো এখনও টিকে আছে গায়ে গতরে অনেকটা আগেরই মতো । প্যানামিন্ট পর্বতশ্রেনীর পশ্চিম অংশে ওয়াইল্ডরোজ ক্যানিয়নে এগুলো দেখতে পাবেন আপনি । কয়লা পোড়ানো গন্ধও লেগে আছে তার গায়ে আজও ................
ছবি, তথ্য ও সূত্র – ইন্টারনেট ।
আগামী পর্বে সমাপ্য--------
২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
তবুও আপনিই যৌথভাবে প্রথম বলে ধরে নেবো।
আসুন সময় করে। কারন বদ্ধঘরে বসে থাকার এতো এতো সময়ের মাঝেও কিন্তু সময় বের করা হয়ে ওঠেনা।
২| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভীতিকর ছিলো তখনকার আমেরিকান জীবন।
২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
আসলেই সে সময় গুলো একদিকে যেমন ছিলো ভাগ্য ফেরানোর আশা জাগানিয়া তেমনি অপরদিকে ছিলো মৃত্যুভয়।
আমেরিকার গোল্ডরাশের পাল্লায় পড়ে কতো মানুষ যে রেড ইন্ডিয়ানদের হাতে মারা গেছে, মারা গেছে নেভাদা মরুভূমির তপ্ত বালিয়ারীতে খাদ্য আর পানির অভাবে তার অফিসিয়াল নথিপত্র নেই তেমন।
৩| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভাগ্যিস তখন আমার জন্ম হয়নি।
২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
হা...হা... জন্ম হলেও এই দেশেই থাকতে হতো। সোনার পিছে দৌঁড়ুতে পারতেন না । বড়জোর বৃটিশদের সেপাই হতে পারতেন........
৪| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
কল্পদ্রুম বলেছেন: গোল্ডরাশ — একটা শব্দেই অনেক ইতিহাস।রিয়োলাইট শহরটা দেখে খারাপ লাগলো।ইউটিউবে আমেরিকান একদল তরুণ ভ্লগারের কিছু ভ্লগ দেখেছিলাম।তারা আমেরিকার বিভিন্ন পরিত্যাক্ত শহর, প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিত্যাক্ত বাড়িতে ঘুড়ে বেড়াতো।
২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: কল্পদ্রুম,
শুধু রিয়োলাইটই নয় , ভুতুরে শহর আরো আছে ব্যালারাত, প্যানামিন্ট পর্বতের পাদদেশে। আছে র্যান্ডসবার্গ, লেডফিল্ড, কলোরাইড ইত্যাদি ইত্যাদি।
আসলেই ঐ সব ভুতুরে শহরে ঘুরে বেড়ানো শিহরন জাগানীয়।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
৫| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যেমন দুর্ধষ বর্ণনা, যেমন আকর্ষনীয় প্লট তেমনি দুর্দান্ত ছবি....
যেন নিজেই নেবে গেছিলাম ড্যাথ ভ্যালির সেই মৃত্যুসংকুল উপত্যকায়
সামনে সোনার হাতছানি, মাথঅর উপর গণগনে সূর্য, নীচে তপ্ত বেসিন
আহ ভায়া, দুর্দান্ত এক ভার্চুয়াল ট্যুর করানোয়া কৃতজ্ঞতা
পরের পর্বের জন্য তৃষ্ণার্ত অপেক্ষায় - - -
+++++
২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
আমিতো আর ব্লগের ভ্রমনকারী স্বনামধ্যন্য কোনও ব্লগার নই, আমি মোল্লার দৌঁড় মসজিদ পর্যন্ত।
এই বন্ধ্যা সময়ে আপনাদের কোয়ালিটি রিফুয়েলিংয়ের জন্যে এমন ভার্চুয়াল ট্যুরের চেষ্টা।
৬| ২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪
ইসিয়াক বলেছেন: নতুন করে পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় শ্রদ্ধেয়।
অসাধারণ পোস্ট। ছবি, বর্ণনা সবই অতি চমৎকার।
শুভকামনা।
২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,
ধন্যবাদ প্রথমেই লাইকটি ও মন্তব্য করাতে।
ভালো থাকুন, থাকুন নিরাপদে।
৭| ২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪
ঢুকিচেপা বলেছেন: এতক্ষণ মনে হচ্ছিল সেই ছোটবেলার ওয়ের্স্টান বই পড়ছি। একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল মাথায় কিন্তু পরে সেটার উত্তর পেয়ে গেছি, লবনের ব্যাপার। আর ডেথভ্যালীর আগের এবং বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা হলো। ভাল লেগেছে।
শুভেচ্ছা রইল।
২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢুকিচেপা,
ওয়ের্স্টান বইয়ের মতো করে গল্পের ছলেই লিখতে চেয়েছি।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে লেখার স্বার্থকতা খুঁজে পাচ্ছি।
শুভকামনা রইলো । ভালো থাকুন আর নিরাপদে।
৮| ২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রেইরি নিয়ে কিছু লেখেন। Little House on the Prairie বইটা আমি আংশিক পড়েছি। ছোটকালে টিভিতে দেখেছি। মনে হবে আমাদের দেশের গ্রামের মানুষের মত সরল জীবন।
৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
ভালো লাগলো প্রেইরী নিয়ে কিছু লিখতে বলায়। দেখি খুঁজে পেতে আপনাদের মনোমতো কিচু পাই কিনা!
আর "লিটল হাউজ অন দ্য প্রেইরী" বইটি কিন্তু একসময় নিষিদ্ধ বইয়ের তালিকায় ছিলো ।
ভালো থাকুন আর নিরাপদে।
৯| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১২
লাবনী আক্তার বলেছেন: প্রথম ছবিটা অদ্ভুত সুন্দর।
দশ হাজারেরও বেশি মানুষের পদভারে মুখরিত শহরটি একযুগে জনশূন্য হয়ে যাওয়াটা সত্যিই অবাক করেছে।
৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: লাবনী আক্তার ,
মরুভূমির "ডিউন" বা "বালিয়াড়ি"গুলো আরো সুন্দর। সাথে থাকুন, পরের পর্বেই দেখতে পাবেন তা।
ডেথভ্যালীর অনেক উপাখ্যান আসলেই অবাক করার মতো।
ভালো থাকুন এই বৈরী সময়ে।
১০| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২০
ঢাবিয়ান বলেছেন: ওয়েস্টার্ন গল্পের কথা মনে পড়ে গেল। সেই সময়ের গোল্ড ডিগারদের মাইনিং , পানির কষ্ট, উত্তপ্ত আবহাওয়ার গল্পগুলো পড়ে শিউরে উঠতাম। আপনার লেখা ও ডিম ভাজার ছবিটা দেখে একই অনুভুতি হল।
৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
ক্যালিফোর্নিয়া গোল্ড রাশের সময় শুধু কপাল ফেরাতে মানুষ আসলেই নরকের কষ্ট সহ্য করে অনেক গল্পের জন্ম দিয়ে গেছে।
ওয়েষ্টার্ন গল্পগুলোতো টেক্সাস সহ ঐ এলাকার গল্পই। সেই ক্যানিয়ন, ক্রীক, ট্রেইল.....
সাথে থাকুন।
শুভেচ্ছান্তে।
১১| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৪
শায়মা বলেছেন: বাপরে!!
এত বড় ইতিহাস.......
সোনার জন্য এত লড়াই। জীবন যুদ্ধে হানাহানিও।
তার থেকে আমরাই ভালো.........
সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা
সোনা নয় তত খাঁটি
যত বল খাঁটি তারও চেয়ে খাঁটি
বাংলাদেশের মাটিরে আমার বাংলাদেশের মাটি......
যাইহোক ভাইয়া তোমার লেখাটা পড়ে মুগ্ধ হলাম!!!
৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
বাংলাদেশের মাটি যে সোনার চেয়েও খাটি তা ঢাকাতে একফালি মাটি (জমি) কিনতে গেলে বুঝবেন! সেজন্যই তো ড্রেজিং করে করে বালুমাটি তুলে খালবিল ভরাট করে জমি তৈরীর মহোৎসব হয়।
সোনা-হীরে ঐসব নিয়ে কতো যে হানাহানি হয় তা দেখতে পাবেন ডি ক্যাপ্রিওর " ব্লাড ডায়মন্ড " ছবিতে। সুন্দর ছবি।
সাথে থাকুন, এই তপ্ত বিরান মরূভূমিকে সাজুগুজু করিয়ে আনছি পরবর্তী পর্বে।
লাইক দেয়া আর মুগ্ধ হওয়াতে ধন্যবাদ।
১২| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য । তবে ভয়ংকর । মুখস্থ করে ফেলবো। হাঃ হাঃ । চমৎকার ছবি ও লেখা।
৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,
মুখস্থ করে ফেলবেন ? কেন বিসিএস পরীক্ষা দেবেন ?????? তাহলে তো পরের পর্বও ঠোটস্থ করতে হবে।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
১৩| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২১
মা.হাসান বলেছেন: আড়াই বার পড়ার পর কিছুটা বুঝলাম। উনিশ শতকের ম্যাপের সাথে এখনকার ম্যাপের মিল নেই। মোহাভে ডেজার্ট বললে গুগুল সবুজ পার্কে নিয়ে যায়, সাটারস মিল বললে এর রিপ্লিকাতে নিয়ে যায়, এজন্য অনেক বেশি সময় লাগলো।
আটশ কিলোমিটার রাস্তা এখন পাড়ি দিতে কয়েক ঘন্টার বেশি লাগে না, কিন্তু সেই সময়ে দু মাসেও ঐ দূর্গম পথ পাড়ি না দিতে পারাটা মোটেও বিস্ময়কর না।
ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাডা, উটাহ, অ্যারিজোনা- সব ই দেখলাম বাংলাদেশের কাছাকাছি, কোনোটা সামান্য ছোটো, কোনোটা দেড় গুন মতো বড়। বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে মরূভূমি। শুধু মোহাভেই প্রায় বাংলাদেশের অর্ধেক।
সবুজ বাংলাদেশে জন্মে মরূভূমির প্রকৃতি বোঝাটা মুশকিল। স্বাচ্ছন্দের মাঝে থেকে এটাও বোঝা মুশকিল মানুষ কতটা মরিয়া হয়ে পড়লে পরিবার নিয়ে অনিশ্চিতের পথে পা বাড়ায়।
কত হাজার হাজার অভিযাত্রীই না রেড ইন্ডিয়ানদের হাতে প্রান হারিয়েছে। কিন্তু সাদাদের হাতে রেড ইন্ডিয়ানরা যে প্রায় নিশ্চিহ্ণ হয়ে গিয়েছে এটা খুব কম লোকেই স্বীকার করে। বিজয়ীদের দ্বারাই ইতিহাস লেখা হয়।
বাগসি নামের একটা মুভিতে (৯০এর দশকের সিনেমা, এখনকার মতো এত ফাটাফাটি না) দেখেছিলাম কি ভাবে চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে ঐ এলাকায় ক্যাসিনো গড়ে উঠতে থাকে (যদিও অনেক স্টেটে অবৈধ, নেভাদায় সে সময় গ্যাম্বলিং লিগ্যাল ছিলো ), ওটা ছিলো বিশাল বড় পরিবর্তনের সূচনা।
(আমেরিকানরা এখনো সেলসিয়াস বুঝে উঠতে পারে নি, তাপমাত্রা গুলো ফারেনহাইটে রাখলে মাইলের সাথে হয়তো বেশি মিল খেতো)
৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,
আমেরিকানরা এখনো সেলসিয়াস বুঝে উঠতে পারে নি, তাপমাত্রা গুলো ফারেনহাইটে রাখলে মাইলের সাথে হয়তো বেশি মিল খেতো
এই পোস্ট তো কোনও আমেরিকানদের পড়ার জন্যে লেখা হয়নি। আপনি পড়বেন বলে লেখা ।
উনিশ শতকের ম্যাপের সাথে এখনকার ম্যাপের মিল নেই।
কি করে থাকবে ? আপনিই কি সেই আগের মতোই আছেন? বিশ বছর আগে যেমন ছিলেন ?
এখন সেখানে অনেক জাতীয় উদ্যান গড়ে তোলা হয়েছে। সবুজের ছোঁয়া লেগেছে। আগামী পর্বে তার কিছু আভাস পাবেন।
কত হাজার হাজার অভিযাত্রীই না রেড ইন্ডিয়ানদের হাতে প্রান হারিয়েছে। কিন্তু সাদাদের হাতে রেড ইন্ডিয়ানরা যে প্রায় নিশ্চিহ্ণ হয়ে গিয়েছে এটা খুব কম লোকেই স্বীকার করে।
আমেরিকাতে কলোনী যারা গড়েছেন তারাই হয়তো "মাস রেড ইন্ডিয়ান কিলিং" স্বীকার করেনা কিন্তু অন্যেরা করে। এখনও আমেরিকাতে ৫ মিলিয়নের মতো নেটিভ আমেরিকান (রেড ইন্ডিয়ান) আছে যাদের দুই তৃতীয়াংশই থাকে তাদের নিজস্ব রিজার্ভেশান এলাকার বাইরে সাধারণ আমেরিকানদের সাথে।
মন্তব্যে আপনার অবজার্ভেশান ভালো লাগলো। কষ্ট করে আড়াই বার পড়েছেন মাত্র ? উপরের মন্তব্যে দেখুন নেওয়াজ আলি মুখস্ত করে ফেলেছে প্রায়!
শুভেচ্ছান্তে।
১৪| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মনে হচ্ছিল - ইন্ডিয়ানা জোনসের কোনো সিকোয়েল পড়ছি!!!
পড়তে পড়তে বার বার পেছনে যেতে হয়েছে রেফারেন্স দেখার জন্য, বা ক্লিয়ার হওয়ার জন্য।
ডেথ ভ্যালি নামটা কি তাহলে দুটো গ্রুপের কাছ থেকে দুইভাবে দেয়া?
৫০০ মাইল যেতে হবে, ঘোড়া আর খচ্চরের পিঠে চড়ে- এটা পড়েই আমার শ্বাস রোধ হয়ে আসছিল। সোনার প্রতি কতই না আকর্ষণ! তখন তো পাকা রাস্তা ছিল না, রুট কীভাবে চিনতো, সেটাও বিস্ময়। ম্যাপও ছিল বলে মনে হয় না। ৪/৫/১০/২০ মাইল হলে কথা ছিল- ৫০০ মাইল! অকল্পনীয়। সাথে আবার ফ্যামিলি আছে, বাচ্চাকাচ্চাসহ!
মেন্টাল রিলিফ হলো- মডার্ন ডেথ ভ্যালি দেখে।
কঠিন লেখা আহমেদ জী এস ভাই
০১ লা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
ওয়াইল্ড পশ্চিমের গল্প লিখতে হয়েছে বলেই লেখা এগিয়েছে পাথুরে ট্রেইল ধরে ধরে তাই সামনের ট্রেইলের মতিগতি বুঝতে পিছে যা ফেলে আসা হয়েছে ঘাড় ঘুরিয়ে তা দেখতে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
ডেথভ্যালী নামটি ঠিক কোনখান থেকে এসেছে এর কোনও ঐতিহাসিক নথিপত্র নেই । নরকসম মরুভূমি পার হতে গিয়ে যে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর কাহিনী লোকমুখে ঘুরেছে সেই বাস্তবতা থেকেই সম্ভবত নামটির উদ্ভব। এই লেখাতেও তেমন দু'টো কাহিনীর সূত্র টানা হয়েছে।
শুধু ৫০০ মাইল নয় অনেককেই পাড়ি দিতে হয়েছে হাযার মাইলেরও বেশী। রাস্তা চিনতে হতো পথের পাশের শুড়িখানায় লোকদের কাছে শোনা কোনও "ট্রেইল" এর গল্প থেকে। মিলে গেলে ভালো নয়তো এই লেখার মতো ভুল পথে ঘুরে ঘুরে মরা!
ওয়াইল্ড ওয়েষ্টের যে সব ছবি আমরা দেখি, বাস্তব তারচেয়েও ভয়ঙ্কর । ১৮৪৯ সালের পরে সময় পেরিয়ে গেছে অনেক। অন্য অনেক কিছুর মতোই মনুষ্যপোযোগী করতে হয়েছে মোজাভ বা মোহাব এর কিছু এলাকাগুলোকে যেখানে একসময় জমজমাট বসতি ছিলো মানুষের।
সাথেই থাকুন, পরের পর্বে চোখের রিলিফও হতে পারে।
১৫| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব নুর, হা...হা... জন্ম হলেও এই দেশেই থাকতে হতো। সোনার পিছে দৌঁড়ুতে পারতেন না । বড়জোর বৃটিশদের সেপাই হতে পারতেন.....
সাধারন সেপাই হয়ে আমার জীবন চলতো না। অবশ্যই বড় কিছু হতাম।
০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
চাইলেই তো আর হবেনা! ঐ সময়ে ম্লেচ্ছদের সেপাইয়ের পদ পাওয়াই ছিলো সাতপুরুষের ভাগ্য।
১৬| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২১
জেন রসি বলেছেন: দেশ, শহর, এলাকা, বাসা সকিছুই এখন মৃত্যু উপত্যকা মনে হচ্ছে।
০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি,
আসলেই এ যেন শব্দময় কোলাহলপূর্ণ এক মৃত্যু উপত্যকা!
কঠিন এই বাস্তব নিয়ে আমরাও যেন সেই উপত্যকা পাড়ি দিয়ে চলেছি জীবন নামের এক শহরের পানে.................
১৭| ০১ লা জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:২৭
সোহানী বলেছেন: লিখাটি কি রিপোস্ট। কেমন যেন পড়েছি পড়েছি মনে হয়।
০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
দ্রুত চোখ বুলিয়ে এখান সেখান থেকে একটু একটু পড়েছেন পড়েছেন বলে আমারও কেমন যেন মনে হয়। তাই শুরুর লাইনটি চোখে পড়েনি।
এক মৃত্যু উপত্যকায় বসে আর এক মৃত্যু উপত্যকার জাবর কেটেছি সেটা লেখা আছে ওখানে।
১৮| ০১ লা জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৫১
চাঙ্কু বলেছেন: গোল্ডরাশের ইতিহাস পড়া শুরু করলে আর শেষ হয় না। গোল্ডরাশ না হলে হয়তো ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাস/অর্থনীতিও অন্যরকম হত।
ছোটবেলায় সেবার ওয়েস্টার্ন বইগুলো পড়তে পড়তে মাথার মধ্যে পশ্চিমের রুক্ষ যেই ইমেজ বানিয়েছিলাম, মোহাভি ডেজার্ট আর এর আশে-পাশের শহরগুলোতে বুঝতে পেরেছিলাম তখনকার সময়ে তাদের লাইফ কত কঠিন ছিল!!
সুন্দর একটা রি-পোষ্ট করার জন্যও অনেক বন্যবাদ। অনেক কিছু জানলাম!
০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঙ্কু,
গোল্ডরাশের শুরু হয়েছিলো জেমস মার্শালের হাত ধরে। ১৮৪৮ সালের জানুয়ারীতে মার্শাল ক্যালিফোর্নিয়াতে একটি পানির পাম্প বসাতে গিয়ে নদীতে সোনার খোঁজ পেয়ে যান। গোল্ডরাশ সেই সময় থেকেই। সারা আমেরিকা থেকে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলো সেই সাটার্স মিল এলাকায় যেখানে আগষ্টে মাসের মধ্যেই গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪০০০ গোল্ড মাইন। আর সানফ্রানসিসকো এলাকায় মেয়েরাও ঝাঁকে ঝাঁকে জড়ো হয়েছিলো সোনা খোঁড়া মাইনার স্বামী খুঁজতে। সেই থেকেই সানফ্রান্সিসকোর অর্থনীতির বোলবোলাও।
রুক্ষ মরুভূমি, পানির অভাব, পথঘাট বলতে শুধু পাহাড় পর্বত ডিঙিয়ে পাথুরে ট্রেইল; জীবনটাতো কঠিন হবেই!
সাথেই থাকুন পরের পর্বের জন্যে।
১৯| ০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৪৩
জুন বলেছেন: আগে পড়েছি তারপর আবারও পড়লাম আহমেদ জী এস। অসাধারণ বর্ননায় চোখের সামনে জীবিত হয়ে উঠে আসলো ডেথভ্যালীর সোনা সন্ধানে হারিয়ে যাওয়া প্রতিটি চরিত্র। স্মীথের শেষ পরিনতি বড়ই কষ্টের। বিশেষ করে বেনেট আর আরাকান পরিবার সেই নরকে পানি খাবারের প্রতীক্ষায় অনিশ্চিত এক আশায় বসে আছে ভাবতেই ভয় হয়। আর তার সেই গল্প বলেছেন শর্টি নিজে খনিতে কাজ না করে। ভালোই হয়েছে নাহলে এই ভয়ংকর কাহিনী তুলে আনার কেউ থাকতো না। ওয়াইল্ড ওয়েস্ট নিয়ে অনেক সিনেমা হয়েছে, দেখেছিও, কিন্ত আপনার বর্ননায় আরেকবার জীবন্ত হয়ে উঠলো সেই গোল্ডরাশের সময়কার মানুষজন। সাথে অকুতোভয় রেড ইন্ডিয়ানরা যারা তাদের মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে না দিতে বধ্যপরিকর ছিল, যেই এক ইঞ্চি জায়গার দখল আজ চীন আর ভারতের সংঘর্ষর মধ্যে দেখা যায় । মোজাভে রেড ইন্ডিয়ানরা ছিল ইন্ডিয়ানদের মধ্যে সবচেয়ে দুধর্ষ। বিজয়ীরাই ইতিহাস লিখে তাই পরাজিতরা অছ্যুতই থেকে যায়।
ভাগ্যোন্নয়নে কত মানুষ যে উন্মাদের মত ছুটে গিয়েছে মুল্যবান ধাতুর সন্ধানে তার গল্প পাওয়া যায় দেশে দেশে মহাদেশে। আফ্রিকায়ও এমনটি দেখি। বিভুতিভূষনের চাদের পাহাড় বই পড়ে ছোট বেলার মত এখনো মুগ্ধ হই এখনো।
ভালোলাগা জানিয়েছিলাম আগেই। সময় নিয়ে পড়েছি তাই মন্তব্যে দেরী। ভালো থাকুন সবসময় আর নিরাপদে।
০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
ভালো লাগা জানিয়ে ভালোলাগার মতোই গোল্ডরাশের দূর্লভ সোনার মতো মন্তব্য।
মন্তব্যে আপনার স্বভাব সুলভ ইতিহাস টেনে আনলেন। দেশে দেশে মহাদেশে ভাগ্যোন্নয়নে কত মানুষ যে উন্মাদের মত ছুটে গিয়েছে মুল্যবান ধাতুর সন্ধানে টেনে এনেছেন সে কথা। এক ইঞ্চি জায়গার দখলও যে ছেড়ে দেবেনা চীন আর ভারত, রাজনীতির এমন কথাও বললেন। এমন মন্তব্যে একজন জ্ঞান সমৃদ্ধশালী ব্লগারের ছবিই যেন ভাসিয়ে তুললেন। ব্লগ যে এখনও জ্ঞানী শূন্য হয়নি এটা তারই প্রমান।
এবারে আপনার মন্তব্যে ফিরি - ক্যালিফোর্নিয়া , নর্থ ক্যারোলিনা আর মন্টানার গোল্ডরাশের মতো সোনা খোঁজার হিড়িক পড়ে ছিলো অষ্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া এলাকার বালারাত, বীচওয়ার্থ; কুইন্সল্যান্ডের চার্টার্স টাওয়ার্স, ক্যানুনা; নিউ সাউথওয়েলসের হীল এন্ড আর গুলগং এর মতো শহরগুলোতে উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে। ক্যালিফোর্নিয়া গোল্ডরাশের সময়ের প্রায় সাথে সাথে।
আফ্রিকাতে উইটওয়াটার গোল্ডরাশ পত্তন করেছিলো খনির শহর জোহানেসবার্গের আর সেখান থেকেই শুরু বোয়র আর বৃটিশ সেটলারদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ধের।
দক্ষিন আমেরিকার ভেনিজুয়েলার এল-কাল্লাও সোনার খনি একসময় পৃথিবীর বৃহত্তমও ছিলো ১৮৭১ সালের দিকে।
ডেথভ্যালীর এইসব সোনা খোঁজা নিয়ে হাযারো কাহিনী লোকমুখে ঘুরে বেড়াতো তখন। এই লেখাতে তেমন কিছু কাহিনীর কথাই আছে। শর্টি হ্যারিসের মতো গোল্ড প্রসপেক্টর যারা শুঁড়িখানা মাতিয়ে রাখতো দিনভর, সম্ভবত তাদের কথা থেকেই এই সব কাহিনীর জন্ম হতো।
যে তিমবিসা রেডইন্ডিয়ানদের কথা বলা হয়েছে তারা সেখানে বসবাস করতো গোল্ডরাশের শত শত বছর আগে থেকেই। গোল্ডরাশের হুজুগে ধেঁয়ে আসা জোয়ারের মতো বহিরাগতদের কেনই বা তারা ও অন্য গোত্রের আদিবাসীরা সহ্য করবে নিজভূমে? নিজের জমি কে ছেড়ে দিতে চায়? যেমনটা চায় না ভারত বা চীন। এখন আবার নেপালও চাচ্ছেনা। তিব্বত নিয়েও সেই একই টানাটানি।
মন্তব্যে বিভুতিভূষনের মতো আপনাকে মুগ্ধ করা গেলো কিনা বুঝতে পারছিনে।
ভালো থাকুন আর দিনগুলো কাটুক নিরাপদে।
শুভরাত্রি।
২০| ০২ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ছবি: শিমের বিচি দিয়ে পোলাও ভাত। আমেরিকান আদিবাসীদের রেসেপি। মজার বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদেরও খাবার এটি।
আহমেদ জী এস ভাই,
আমি অত্যন্ত দুঃখিত আপনার পোস্ট বেশ দেড়ি করে পড়েছি ও মন্তব্য করছি। আমাদের গ্রমের বাড়িতে ও জমিতে চাষাবাদ নিয়ে একটু ব্যস্ত আছি। সময় করে আমি এ ব্যাপারে একটি পোস্ট দিবো। বাড়িতে মিষ্টি কুমড়া, লাউ, বেগুন চাষ হয়েছে যার ফলন এখন বাজারে যাচ্ছে।
আমেরিকান আদিবাসী (রেড ইন্ডিয়ান) পরিবারের সাথে আমার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক, তাদের পূর্ব পুরুষ সহ বর্তমানে তারাও কি পরিমান পরিশ্রম করে তা বলা বাহুল্য। আশার বিষয় আদিবাসীদের সমাজ ব্যবস্থা বেশ শক্ত। এরা গুরুজনদের কথার খুবই মূল্য দেয়।
আমেরিকান আদিবাসী, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সহ পৃথিবীর সকল দেশের আদিবাসীদের মধ্য আমি অনেক মিল খোঁজে পাই আর তা হচ্ছে:-
১। এরা প্রচুর পরিশ্রম করতে জানেন।
২। একই সাথে প্রচুর অলসতা করতে জানেন।
৩। কবিরাজী চিকিৎসা সম্ভবত আদিবাসীদের হাত ধরে এসেছে।
৪। এরা গুরুজনদের খুব মানেন।
৫। রান্না - ফার্স্টক্লাস রান্না জানেন।
৬। ঘরে বানানো হার্ড লিক্যোয়ার (ওয়াইন) সুপার ক্লাস।
৭। পূর্ব পুরুষদের মনে রাখেন ইতিহাসের মাঝে যা গল্পে গল্পে বংশ পরম্পরা চলতে থাকে।
০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
সবুরে মেওয়া ফলে বলে একটা কথা আছে। সে মেওয়াই ফলিয়েছেন দেরী করে এসে, নইলে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য যেখানে আছে ফসল ফলানোর কথা, আছে আদিবাসীদের সাথে অন্তরঙ্গতার আভাস , সেগুলোর হদিশ পেতুম কই ?
চাষাবাদ নিয়ে ব্যস্ত আছেন , বাজারে যাচ্ছে আপনার সব্জী । গল্পের ছলে এসবের একটি সচিত্র উপাখ্যান লেখা তো যায়ই। এই করোনাকালের ব্যস্ততার বাস্তব নিয়ে তেমন লেখা করোনাকালের একটা ইতিহাস হয়ে থাকতো। " একদিন করোনার দিন.." এই শিরোনামে লিখতে পারেন জীবনযুদ্ধের কাহিনী।
ভালো থাকুন। দিনগুলো কাটুক শঙ্কাহীন - নিরাপদ।
২১| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আমেরিকান আদিবাসী সম্পর্কে তেমন কিছুই জানিনা
ইংলিশ সিনেমাতে তাদের দেখেছি। আপনার লেখা পোস্ট
পড়ে জানলাম, জানতে পারলাম ডেড ভ্যালি ও স্বর্ণ
সম্পর্কেও। কত অজানা বিষয় নতুন করে জানতে পেরেছি
সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
বাংলাদেশে যেভাবে দিন দিন গরম বাড়ছে তাতে আমরা
দেশেই বাসা বাড়ির ছাদে পাকার উপর আগুন ছাড়া ডিম
ভাজি করতে পারবো। কোনো একদিন সমগ্র পৃথিবীই হয়তো
ডেড ভ্যালি হয়ে যাবে।
সিলেটের মুনিপুরি পরিবার আমার পরিচিত ছিলো,
ঠাকুর দা কে ধন্যবাদ তিনি এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিলেন।
আদিবাসীদের ব্যবহার খুবই অমায়িক ও খুবই আপ্যায়নপ্রিয়।
সবশেষে বলতে চাই অনেক অজানা অনেক কিছুই জানা
হলো আপনার এই পরিশ্রমী পোস্ট এর মাধ্যমে।
ধন্যবাদ সহ ভালো থাকুন।
০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,
হ্যা... আমরাও আছি এক শব্দ ভরপুর মৃত্যু উপত্যকায় । নিষ্কৃতি নেই মনে হয় শীগগির!
আপনাকে কিছু অজানা বিষয় জানাতে পেরে লেখাটিকে সার্থক মনে করছি।
পৃথিবীর সব দেশের আদিবাসীরাই কিন্তু সহজ - সরল - অমায়িক হয় কারন তারা আদি অকৃত্রিম। চাষাবাদের ফসল নয় যে বেস্বাদের হবে।
ভালো থাকুন। দিনগুলো নিরাপদে কাটুক।
২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: বিষে হয় বিষ ক্ষয়...
আজকাল দিন কাটে মৃত্যু কত প্রকারে হতে পারে সেটা ভেবে। আপনি এলেন আরেকখান নতুন প্রকারের মৃত্যুর খবর নিয়ে।
সোনার লোভ হয়ত মানুষকে উন্মাদ করে তোলে!! নাহলে এভাবে পায়ে হেঁটে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় কীভাবে? তাও পরিবার পরিজন নিয়ে!! আজ মরূভূমির যে পথ মানুষ কয়েক ঘন্টায় পাড়ি দিচ্ছে, একসময় এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কত জীবন শেষ হয়ে গেছে!!
ভয়ংকর মৃত্যু উপত্যকার কাহিনী পড়েছি আগ্রহ নিয়ে! চমৎকার ছবিগুলো আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে... আরেকবার প্লাস দিলাম, অবশ্য এটা অদৃশ্য হয়ে গেল!!
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
কথা রেখেছেন, আবার আসবেন বলে। অনেক ধন্যবাদ।
হ্যা ....এক শব্দ ভরপুর মৃত্যু উপত্যকায় বসে বসে আরেক মৃত্যু উপত্যকার কথা মনে পড়ায় লেখাটির অবতাড়না, রিপোস্ট হলেও।
জীবনের পথ বড়ই দুস্তর। সোনার লোভ নয় , ভাগ্য ফেরাতে অসহায় মানুষ দুস্তর পথ পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুকে উপেক্ষা করেও দিগদিগন্তে ছোটে। যেমন ছোটে আমাদের দেশের মানুষেরা আরবের মরুভূমিতে, আফ্রিকায়, ভুমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালীতে।
প্লাস দেয়াতে আপনার অবস্থান প্রথম মন্তব্যটিতেই করেছি। আবারো প্লাস দেবার চেষ্টা করেছেন জেনে কৃতজ্ঞ।
দিন কাটুক নিরাপদে আর থাকুন ভালো।
২৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: ডেথভ্যালিতে কি ডিম পোচ করে খেয়েছিলেন? আমি যাওয়ার সুযোগ পেলে ডিম নিয়ে যাবো।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ,
হা...হা...হা... ডেথভ্যালিতে ডিম পোচ করে খেয়েছিলুম কিনা ?
সে সুযোগ হলে পোস্টের শুরুতেই লিখতুম না " ডিজিটাল ভ্রমন" ।
আপনাকে ডিম নিয়ে গিয়ে ভেজে খেতে হবেনা, ভেজে খাওয়ার আগেই আন্ডা সেদ্ধ হয়ে যাবে পকেটেই..........
২৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ সচিত্র একটি পোষ্ট ।
আমার একটিলেখার কাজেদিন কয়েক ব্যস্ত
থাকায় এমন চমৎকার একটি লেখা দেখতে
বিলম্ব হয়ে গেল ।সে জন্য আফছোছ লাগছে।
অনেকক্ষন ধরে মৃত্যু ভেলীতে বিচরন করে
আসলাম । ভাগ্য ভাল যে সেখানে রিসোর্ট
(পোষ্টের মঝাদার কাব্যিক লেখা )
করে রেখেছেন তা নাহলে জীবন নিয়ে
ফিরাই দায় হতো । লেখাটি প্রিয়তে
নিয়ে পরের পর্ব দেখতে চললাম
১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
জানি, লেখা নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে এই যে এখানে এসেছেন , নিয়ে গেছেন প্রিয়তেও সেজন্যে কৃতজ্ঞ।
রসিক মন্তব্য, শেষের দিকে।
২৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ পোস্টটা রিপোস্ট হলেও, এর আগে পড়েছিলাম কিনা তা স্মরণ করতে পারছি না। মৃত্যু উপত্যকা ডিজিটালী পাড়ি দিতে দিতে শিহরিত হচ্ছিলাম। সোনা বোধকরি আবহমানকাল ধরে মানুষের চিরন্তন আকর্ষণ।
আপাততঃ এটুকু বলে প্লাস দিয়ে গেলাম। পরে আরেকবার আসার আশা রাখি।
২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
প্লাস দিয়ে গেলেন বলে কৃতজ্ঞ।
দুষ্প্রাপ্য সকল মেটালের প্রতিই মানুষের আকর্ষণ চিরকালের।
২৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত যত্ন করে লেখা একটি শ্রমসাধ্য পোস্ট। সাজিয়ে গুছিয়ে, দুর্লভ ছবির সমাহার দিয়ে গল্প বলার আপনার এ গুণটির আমি প্রশংসা করি। আর গল্প যদি হয় অজানা দেশের অজানা কাহিনী, তাহলে তো আরও মজার। নেভাডার নাম আগে শুনেছিলাম, মরুভূমি হিসেবে এবং নিউক্লীয়ার টেস্টিং গ্রাউন্ড হিসেবে।
আর "লিটল হাউজ অন দ্য প্রেইরী" বইটি কিন্তু একসময় নিষিদ্ধ বইয়ের তালিকায় ছিলো (৮ নং প্রতিমন্তব্য) - কিন্তু কেন?
নিজের জমি কে ছেড়ে দিতে চায়? (১৯ নং প্রতিমন্তব্য) - আমরা চাই। নিজ ভূমের উপর দিয়ে পরের অবাধ যাতায়াত বিনা "অসভ্যতায়" (মনে আছে কথাটা?) মেনে নিয়েছি।
২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
আবারও এসে বাকী কথাগোলো বলে যাওয়াতে ধন্যবাদ।
নেভাদা মরুভূমিতে শুধু নিউক্লীয়ার টেস্টিং গ্রাউন্ডই নয় একটি এক্সক্লুসিভলি এক্সক্লুসিভ এলাকায় বিমান বাহিনীর বিমান উড্ডয়ন ও এরোনটিক্স পরীক্ষাগারও আছে যেখানে কোনও মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
"লিটল হাউজ অন দ্য প্রেইরী" বর্ণবাদের কারনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বেশ কিছু আমেরিকান স্কুলের লাইব্রেরীতে । কারন বইটিতে নেটিভ আমেরিকান দের " ব্লাক" ও "ইন্ডিয়ান" বলা হয়েছে এবং এরকম বাক্যও আছে " একমাত্র ভালো ইন্ডিয়ান হলো মৃত ইন্ডিয়ান।"
আরও কিছু বই নিষিদ্ধ হয়েছে যা আপনার ভাবনারও বাইরে। অনুগ্রহ করে এখানে দেখুন -নিষিদ্ধ যতো বই .......
শুধু জমিই নয় আমরা দরকার হলে পরনের লুঙ্গিখানাও খুলে দিতে চাই......................
২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
অনুগ্রহ করে এখানে গেলেই ভালো হয় - নিষিদ্ধ যতো বই ....... শেষ পর্ব।
২৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সেই সময়ের দারুন জীবন্ত বর্ণনা, পরের পর্বে যাচ্ছি........
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মেঘনা পাড়ের ছেলে,
ধন্যবাদ পোস্টটিতে আসার জন্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম লাইক দিতে চেয়েছিলাম অল্প পড়ে ভালো লাগলো দেখে। দেখি দ্বিতীয় হয়ে গেলাম।
পড়ে আসছি ভালভাবে পড়ে।