নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৈঃস্বর্গের মৃত্যু উপত্যকা ...শেষ পর্ব

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৫



নৈঃস্বর্গের মৃত্যু উপত্যকা ....
( ডিজিটাল ভ্রমন..... ছবি আর লেখায় / শেষ পর্ব )

গনগনে আগুনের মতো হল্কা গায়ে মেখে এতোক্ষন ডেথভ্যালীর পথে চলতে চলতে ক্লান্ত ? শুধু বালু আর লবন দেখে দেখে হাপিয়ে উঠেছেন ? একটু বিশ্রামের জন্যে রাতের আঁধার নেমে আসার প্রতীক্ষায় ?
তবে দিনের শেষে রাতের আঁধার যখন নেমে আসবে গুটিগুটি পায়ে, তখন সেই প্রশান্ত নিরবতার মাঝে খানিকটা বিশ্রাম খুঁজতে গিয়ে যদি মন কেমন করে তবে তাকান আকাশের দিকে । দেখবেন, এ হলো সেই আকাশ যেখানে ঝর্নার মতো উল্কাপাত অন্ধকার চিরে আপনার চোখে মাখিয়ে দেবে মুগ্ধতা । পৃথিবীর তৃতীয় সর্ববৃহৎ গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশটা এখানেই, যার নীচে দাঁড়িয়ে আছেন আপনি । তাই ডেথভ্যালীতে রাতের জনপদে আলোর রোশনাই চোখে পড়বেনা আপনার । রাত যেন এখানে অন্ধকারে মুখ ঢেকে রাখে, তাই । একখানা চাদর আর একটি চেয়ার টেনে এনে বসে পড়ুন খোলা আকাশের নীচে । খসে খসে পড়া উল্কার ঝর্নার দিকে তাকিয়ে সশ্রদ্ধ সম্ভ্রমের সাথে অনুভব করুন , এই আকাশের তলে কতো ক্ষুদ্র আপনি !

কোন খসে পড়া তারা
মোর প্রানে এসে খুলে দিলো আজ
সুরের অশ্রুধারা ।
(রবীন্দ্রনাথ )


ছবি --- ডেথভ্যালীর ইউরেকা ডিউনস এর আকাশে উল্কার মেলা ( মিটিওর শাওয়ার ) ।

সব রাতেই উল্কার মেলা দেখতে না পেলেও আপনার মাথার উপর ডেথভ্যালীর রাতের আকাশের গায়ে লেগে থাকা ছায়াপথ আপনাকে সঙ্গ দেবেই । হাযার কোটি নক্ষত্র দিয়ে পুঁতির মালার মতো আকাশের কন্ঠলগ্ন হয়ে আছে যেন । আর তা আপনাকে করে তুলতে পারে আনমনা । মনের ভেতরে গুনগুন করে বেজে উঠতে পারে সেই চেনা সুর –
নিদ নাহি আঁখিপাতে …. তুমিও একাকী আমিও একাকী, আজি এই মাধবী রাতে …..।

ছবি --- ব্যাডওয়াটার বেসিনের আকাশে রাত সাড়ে তিনটের ছায়াপথ । নিঃসীম একাকী ।

ছবি --- ডেথভ্যালীর রেসট্রাক প্লায়ার আকাশে ছায়াপথ ( মিল্কিওয়ে )।

মকর’ক্রান্তির রাত অন্তহীন তারায় নবীন
- তবুও তা পৃখিবীর নয়:
এখন গভীর রাত, হে কালপুরুষ,
তবু পৃথিবীর মনে হয় ।
( জীবনানন্দ দাশ )

ছবি --- ব্যাডওয়াটার বেসিনে গোধুলি বেলায় ওরিয়ন বা কালপুরুষ ।

প্রতি শীত আর বসন্তের মৌসুমে এই মৃত্যু উপত্যকায় জমে ওঠে “নিশীথ রাতের আকাশ” প্রোগ্রাম । ডেথভ্যালী এ্যাষ্ট্রোনমি অর্গানাইজেশানের তত্ত্বাবধানে আপনিও দেখতে পারেন মৃত্যু উপত্যকার শ্বাসরূদ্ধকর রাতের আকাশ ।
একাকী নিঃসাড় পড়ে থাকা ক্লান্ত মৃত্যু উপত্যকায় যখন গোধুলির আমেজ নেমে আসে তার সাথে নেমে আসে ওরিয়ন কনষ্টিলেশান যাকে আপনি চেনেন “কালপুরুষ” বলে । সে আকাশের দিকে তাকিয়ে আপনার মনে হবে পায়ের কাছে নেমে এসেছে যেন সে আকাশ।

ছবি --- সন্ধ্যার ডেথভ্যালী ।

পৃথিবী যখন ক্রমে ক্রমে নিঝুম হয়ে আসবে , শ্রান্তি যখন ধীরে পায়ে হেটে আসবে কাছে তখন আকাশ সিন্ধুর এই রক্তিম উল্লাস আপনার মনের গহীন কোনে বাজাবে করুন অন্তরাগের বাঁশি । মনে পড়বে কি কারো কথা ?

তাই যদি মন কেমন করে তবে পরের দিন সিয়েরা নেভাদা পর্বতশ্রেনীর ঢাল বেয়ে ঘুরে আসুন । যে সিয়েরা নেভাদার ঢাল একদিন মুখরিত ছিলো সোনা সন্ধানী মানুষের ভীড়ে আজ তা পড়ে আছে শুনশান। আপনার পায়ের শব্দে তা আবার মুখরিত হয়ে উঠুক ।


ছবি --- বর্ণিল নেভাদা পর্বতশ্রেনীর ঢাল ।

সন্ধ্যা আসে , ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল । না, কোনও চিল বা পাখির দেখা আপনি পাবেন না এখানের আকাশে । কোনও পাখি, অসীম আকাশ ছেড়ে ধরা দিয়ে যাবেনা আপনার সোনার খাঁচায় । পাবেন শুধু দিগন্তের করুন নিঃশ্বাস । উত্তপ্ত বালুর আঁচল উড়িয়ে দিনান্তের বাতাস বয়ে যাবে শুধু ।
যে পাখি ডেথভ্যালীর অন্য কোথাও আপনার চোখে ধরা দিয়ে যাবে তা শুধু রোড রানার । সারা বছর ধরে আপনি এদেরই দেখতে পাবেন ।

ছবি --- রোড রানার ।

হাইওয়ে ১৯০ ধরে ষ্টোভপাইপ ওয়েল এর কাছাকাছি গেলেই আপনি দেখবেন মেসক্যুইট ভ্যালীর আর এক রূপ । ঢেউ খেলানো বালির সাগর । যেন, বায়ুর ঘোড়ার পায়ে কে যে পড়িয়ে গেছে নাল ........ তাই স্তব্ধ বাতসে শুধু থমকে আছে কাল !

ছবি --- দিনান্তের শেষে পড়ে থাকা মেসক্যুইট ডিউন ।

ছবি --- চাক হ্যানে মেসক্যুইট ফ্লাট ডিউনস ।

গানের সুরের মতো বিকালের দিকের বাতাসে
পৃথিবীর পথ ছেড়ে - সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুঁজে
হৃদয় ভাসিয়া যায়, সেখানে সে কারে ভালোবাসে ! (
জীবনানন্দ দাশ )

ছবি --- ফার্নেস ক্রীক ডিউন ।

সেদিনের সোনা ঝরা সন্ধ্যা
আর এমনি মায়াবী রাত মিলে .....
ছবি --- নিঃসর্গের দিকে দিকে ডুবে গেলে সব কোলাহল -------

অতি দুর আকাশের মুখ হতে আসি
নবীন চাঁদ তার কনক আলোয় ভাসি
পোড়াইল মোরে ।
একাকী বিজন দেশে কবেকার
নিশীথ রাত করে হাহাকার
শুধু জড়ায়ে ধরে । ( নিজস্ব )


সুদুর্গম দূরদেশ –
পথশুন্য তরুশুন্য প্রান্তর অশেষ
মহাপিপাসার রঙভূমি ; রৌদ্রালোকে
জ্বলন্ত বালুকারাশি সূচি বিঁধে চোখে;
দিগন্তবিস্তৃত যেন ধূলিশয্যা পরে
জরাতুরা বসুন্ধরা লুটাইছে পড়ে ........ (রবীন্দ্রনাথ )

ছবি --- ভাঙা দেউলের দেবতা ... মনুমেন্ট ভ্যালী ।

দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার ........
নীলিমার থেকে কিছু নীচে ...... মানুষীর ঘুমের মতোন শুয়ে আছে জাবিরিস্কি পয়েন্ট । এখানের মাটিতে , পাথরে পাথরে রঙের খেলা । মনে হবে কোন চিত্রকর তার রঙের প্যালেট যেন এইমাত্র ফেলে রেখে হারিয়ে গেছে কোথাও । আপনারও এখানে হারিয়ে যেতে নেই মানা । এখানে যদি এসেই পড়েন তবে এর ডানদিক দিয়ে যে ট্রেইলটি গেছে গোল্ডেন ক্যানিয়নের দিকে সেদিকে একঘন্টার মতো হাইকিং করে ঘুরে আসতে পারেন । হাইকিং করতে করতে দেখে নিতে পারবেন ‌নীচে পড়ে থাকা আদিগন্ত নৈঃস্বর্গের রূপ ।



ছবি --- শুয়ে থাকা অনুপম জাবিরিস্কি পয়েন্ট ।



ছবি --- পাথরে রঙের মেলা .........



ছবি --- গোল্ডেন ক্যানিয়ন । হারিয়ে যেতে নেই মানা .......

পাথরেও ফোঁটে ফুল .......
বছরের বারোটা মাসই যেখানে তীব্র দাবদাহ বিরাজিত সেখানে খানিকটা জল-ই ভালোবাসার পরশে জাগিয়ে দিতে পারে প্রানের স্পন্দন । ডেথভ্যালী যে শুধু মৃত্যুই ছড়ায় তা নয়, এখানেও যে আছে জীবনের রঙ ছড়ানোর গল্প। খানিকটা বৃষ্টির জল পেলেই এখানে যে পাপড়ি মেলে চোখ ধাঁধানো লক্ষকোটি ফুল । ঘুরে ঘুরে মরে প্রজাপতি । প্রকৃতির বৈরী আহাওয়া, আর পাথুরে মাটির ভেতরেও তাই আপনি এখানে পাবেন ১০০০ প্রজাতির উদ্ভিদ । পথে যেতে যেতে নয়ন ভরে দেখুন প্রকৃতির এমন লীলাখেলা ..........















ছবি - নৈঃস্বর্গের মৃত্যু উপত্যকা .... এ কোন প্রানের মেলা!

ডেথভ্যালীতে এতোক্ষন যে ডিজিটাল ভ্রমন করে এলেন তা পূর্ণ হবেনা যদি, প্রকৃতির অদ্ভুত এই লীলাটিকে দেখে না আসেন । চলন্ত পাথর । কেউ কোথাও নেই হঠাৎ চলতে শুরু করে দিয়েছে একখন্ড পাথর । ভুত দেখার মতো চমকে উঠবেন হয়তো । ভুরুউউউউউউউউম ..............ভুরু্‌উউউউউউম পাথর ছুটছে জনমানবহীন এক প্রান্তরের বুকে । রেসট্রাক প্লায়াতে ( মরুময় বেসিনের সমতল মেঝে যার তলদেশে পানি অনিষ্কাশিত রয়ে গেছে ) আপনি দেখতে পাবেন এই উদ্ভুতুরে কান্ড ।



ছবি --- ভুতুড়ে পাথর .......

ডেথভ্যালীর একপ্রান্তে কটনউড আর লাষ্ট চান্স রেঞ্জের মাঝখানে পড়ে আছে চোখ ধাঁধানো রুপ নিয়ে এই রহস্যময় রেসট্রাক প্লায়া । ভাগ্য ভালো না হলে আর আপনার পেছনে ভুত না পড়লে এমন সৃষ্টিছাড়া কান্ড আপনি দেখতে পাবেন না । তবে আপনি ডেথভ্যালীতে অনেক “সেইলিং ষ্টোন” উপরের ছবির মতোই পড়ে থাকতে দেখবেন ।
বেশ কয়েক পাউন্ড ওজনের পাথর কি করে অদৃশ্য কারো টানে হঠাৎ হঠাৎ সাই করে ছুটে যায় মিটার খানেক পথ তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই সেই ১৯৪০ সাল থেকে যখন থেকে ভাগ্যান্বেষী মানুষ আসতে শুরু করে এখানে । তাহলে কি ভুতেদের খেলা ? অশরীরি কিছু ? জবাব মেলেনি দীর্ঘদিন । মানুষ শুধু অবাক হয়ে তাকিয় তাকিয়ে দেখে গেছে এমন আজব কান্ড ।
এই ভুতুড়ে পাথর গুলোর পেছনে লেগে রইলো একদল লোক । বছরের পর বছর ধরে এই তথ্য সেই তথ্যের জন্ম হলো । ধোঁপে টিকলো না একটাও । অনেক দিন ধরে বিশেষ কিছু নাছোড়বান্দা লোকেরা রিমোট ওয়েদার মনিটর , উন্নত মানের টাইম ল্যাপস ক্যামেরা , আর পাথরের গায়ে সেঁটে দেয়া GPS ডিভাইস নিয়ে বসে থেকেছে পাথর ঠেলা ভুতেদের ধরতে । ভুতেরা আর আসেনা । দিনগুলো যায় দিনের মতো । পাথর তো আর নড়েনা ! মাত্র এই সেদিন ২০১৪ সালের অগাষ্ট মাসে প্রকাশিত PLOS One ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হলো ভুতেদের আসল চেহারা । ঐ নাছোড়বান্দা লোকেরা যাদের আপনি বলবেন সায়েন্টিষ্ট, রিসার্চার তারা একদিন দেখলেন পাথর নড়ছে । ২০১৩ সালের ডিসেম্ভরের ২০ তারিখে ৬০টির ও বেশী পাথর ছুটে গেলো কয়েক মিটার । কিছু GPS ডিভাইস লাগানো পাথরও ছুটে গেলো তাদের সাথে । ২০১৪ সালের জানুয়ারীর মধ্যে ২২৪ মিটার পথ ভৌতিক ভাবে পেড়িয়ে গেলো পাথরগুলো ।
ব্যস, শুরু হয়ে গেলো অংক কষা ।

ছবি --- নাছোড়বান্দা একজন টাইম ল্যাপস ক্যামেরা নিয়ে .......

আগের থিয়রী, বাতাসের ধাক্কায় চলছে পাথরগুলো অথবা পুরু বরফের ভাসমান চাঁইয়ের উপর থাকা পাথরগুলোই চলছে তা বাতিল হয়ে গেলো । রিসার্চাররা বললেন, ভৌতিক কিছু নেই এখানে । প্লায়ার ( মনে আছে তো প্লায়া কাকে বলে ? ) উপরের স্তরে জমে থাকা বরফের ৩ থেকে ৬ মিলিমিটার মাত্র পুরু , কাঁচের মতো স্বচ্ছ বরফের কয়েক মিটার লম্বা এক একটা ফালি মধ্য সকালের রোদে গলতে শুরু করে দেয় । আর সেকেন্ডে ৪ থেকে ৫ মিটার বেগে চলা বাতাসের হাল্কা ধাক্কাতেই প্লায়ার মেঝে থেকে সে বরফের ফালি খসে যায় । প্লায়ার মেঝেতে থাকা অনিষ্কাশিত পানির ধারার উপর দিয়ে চলতে থাকে তা । সারফেস টেনশানের কারনেই এই ফালিগুলোর উপরে থাকা পাথর খন্ডও চলতে থাকে ধীরে ধীরে । বাতাসের বেগ আর গতিপথের সাথে সাথে চলতে থাকা পাথরগুলোকে তখন ভুতুড়ে মনে হয় সাধারন লোকের চোখে । মনে হবে আপনার চোখেও ।

ভুতের ভয় নেই কার ? কখন ঘাড় মটকে দেয় ! অনেক ঘোরা হলো এখন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাওয়াই ভালো।
এখন যাবার আগে আপনিও কি শুরুর কাহিনীর “বেনেট আরকান” পরিবারের কারো মতো বলে যেতে চান -
“গুডবাই ডেথভ্যালী” ?

ছবি, তথ্য ও সূত্র – ইন্টারনেট ।

প্রথম পর্ব -----নৈঃস্বর্গের মৃত্যু উপত্যকা .... প্রথম পর্ব

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভয়ংকর সুন্দর এলাকা ও প্রকৃতি, মানুষের মনের উপর ছা্যা ফেলবে সব সময়।

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,




আমি তো ডিজিটালী দেখছি কিন্তু জানিনে আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে কিনা।
আসলেই ভয়ংকর সুন্দর আর শ্বাসরুদ্ধকর।
প্রথম মন্তব্যের জন্যে শুকরিয়া।

২| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!

আগের পর্বের মতোই দারুন বর্ণনা, কাব্য আর ভাবনার অলিন্দে বিজলী চমকে চমকে দেয়া সব ছবি!
মিলে মিশে যেন বুদ হয়ে ছিলাম ডেথভ্যালিতে!
আহা রাতের আকাশ এমন্ও হয়!
হায় প্রকৃতি এমন রংয়ের খেলাও খেলে - - - -
আহা মৃত উপত্যকাতেও কি প্রাণের মেলা ----------

দারুন বিস্ময়ের ঘোরে অতুলনীয় ভার্চুয়াল ভ্রমন করানোয় কৃতজ্ঞতা!
গুডভাই ডেথভ্যালি বললেও আপনাকে কিন্তু গুডবাই দেয়াই যাবে না!
নইলে আবার ভ্রমনে নিয়ে যাবে কে? ;)

+++++

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,



বিজলীর মতো চমকে দেয়া মন্তব্য।

আসলে পৃথিবীটা বড়ই সুন্দর।
আমি নেটে নেটে ঘুরে প্রকৃতির এসব রূপ দেখি। কতো কিছুই যে আছে আপনাদের সাথে শেয়ার করার কিন্তু খাটুনীর কাজ বলে মাঝে মাঝে থমকে যাই।

গুডবাই আমাকে জানাবেন কি ! আমিই আপনাকে গুডনাইট জানাচ্ছি।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পড়েছি । এইসব লেখা অনেকবার পড়তে হয় । কারণ লেখাটা সেরকম । প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য। আবার আসবেন জ্ঞান আহরণের মত লেখা নিয়ে

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,




আমি নেটে নেটে ঘুরে প্রকৃতির এসব রূপ দেখি। কতো সুন্দর যে এ পৃথিবী ! তেমন মন থাকলে এমন সুন্দরতায় মূর্ছা যেতে হয়।

পৃথিবীর সব সুন্দরতা-অসুন্দরতা নিয়ে কতো কিছুই যে আছে আপনাদের সাথে শেয়ার করার কিন্তু তেমন কোনও একটি বিষয়ের উপর লিখতে গেলে প্রচুর ঘাটতে হয়। খাটুনীর কাজ বলে মাঝে মাঝে থমকে যাই।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "আমি তো ডিজিটালী দেখছি কিন্তু জানিনে আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে কিনা।
আসলেই ভয়ংকর সুন্দর আর শ্বাসরুদ্ধকর। "

-না, আমি ঐ এলাকায় যাইনি।

১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,




হয়তো কিছু কারন ছিলো না যাওয়ার, দূরত্ব আর সুযোগের। আমেরিকাতে যে কতো কিছু দেখার আছে!

৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভয়ংকর সুন্দর আর কাকে বলে!!!
++++++

১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,



প্রকৃতি আসলেই ভয়ংকর রকমের সুন্দর................

প্লাস দেয়াতে ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: জাবিরিস্কি পয়েন্ট। কবিতার মত সুন্দর।

১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,




পৃথিবীটাই আসলে কবিতার মতো।
মন্তব্যের জন্যে শুকরিয়া।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: বর্ণনার সাথে অবিশ্বাস্য সব ছবি দেখলাম।
কিছু কিছু ছবি বর্ণনা না থাকলে মনে হতো আঁকা ছবি।

আকাশ, পাহাড়, পাথর, মরুভূমির ছবি দেখে আমি মুগ্ধ্।

ধন্যবাদ।

১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢুকিচেপা,




ভয়ংকরতারও কিছু সুন্দরতা থাকে এবং সেটা থাকে কেবলমাত্র প্রকৃতিতেই।

আমি নেটে নেটে ঘুরে প্রকৃতির ভয়ংকর সুন্দরতার অমন সব রূপ দেখি। কতো কিছুই যে আছে আপনাদের সাথে শেয়ার করার কিন্তু খাটুনীর কাজ বলে মাঝে মাঝে থমকে যেতে হয়।

শুকরিয়া মন্তব্যের জন্যে।
শুভেচ্ছান্তে।

৮| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: বেছে বেছে আমার প্রিয় কবিতা গুলোই দিয়েছেন।

১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




তাই !!!!!!!!
তাহলে তো একটা ধন্যবাদ পাওনা রয়েছে আমার ................

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ছবি: সাহারা মরুভূমি - লিবিয়া অঞ্চল।

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এ হৃদয়ে সে কিছু নয়
শত আঘাতেও নিঃস্ব যে আজ
তার আবার হারানোর ভয়

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এ হৃদয়ে সে কিছু নয়
শত আঘাতেও নিঃস্ব যে আজ
তার আবার হারানোর ভয়

কি ভুলে আমি এতো সয়েছি যে ব্যথা
কি করে ভুলেছি অতীতের কথা
কি ভুলে আমি এতো সয়েছি যে ব্যথা
কি করে ভুলেছি অতীতের কথা

জানতেও পারবে না কেউ তা
জানতেও পারবে না কেউ তা

- খালিদ

আহমেদ জী এস ভাই,
বিরান মরুভূমিরও এক সৌন্দর্য আছে, হয়তো এই সৌন্দর্যের কারণে যেমন তেমন ঝানু ড্রইভারও পথ ভুল করেন।

১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




ওয়াও ......... দারুন কিন্তু এই পোস্টের সাথে মেলাতে পারছিনে!

আর আপনি কি বলতে চান, " পথিক! তুমি কি পথ হারাইয়াছো... " ? বিরান নিঃশব্দ মরুভূমিতে চলতে গিয়ে যতোখানি পেরেছি গাড়ীর ষ্টিয়ারিং সোজা পথেই রাখতে চেয়েছি। পথ হারাইনি বরং পথ চিনে ষ্টিয়ারিং সোজা রাখতে গিয়ে আরো অনেক মোহময় সৌন্দর্যই হয়তো দেখতে পাইনি। ;)

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট । ছবি ও লেখা দুটোই সুন্দর। ভালো লাগলো।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,




ধন্যবাদ লেখাটি পড়াতে আর তা ভালো লাগাতে।

১১| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ছবি ও বর্ণনার সমন্বয়ে চমৎকার হয়েছে পোস্টটি।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী,




আপনাদের কাছে চমৎকার লাগানোর জন্যে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। সে চেষ্টা যে একেবারেই মাঠে মারা যায়নি তা আপনার এই মন্তব্যেই উঠে এসেছে। ধন্যবাদ।

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪১

জুন বলেছেন: আজ ভাবলাম সকাল সকাল রান্না শেষ করে নিজের পোস্ট আর আপনাদের পোস্ট পড়ে মন্তব্য করবো। কিন্ত কপালের লেখা না যায় খন্ডন :(
দুদিন আগে কর্তামশাই বাজার করলো তার মধ্যে ছিল বড় বড় পাবদা এক কেজি, মুরগী আর পিছ করা ইলিশ ম্যানেজ করতে পারলেও পাবদা নিয়ে সংকটে পরলো বেচারা। জিজ্ঞেস করলো এই মাছ কি করবো? আমি তখন রান্না গোসল সব কম্পলিট। বল্লাম শুধু বেলী ক্লিনিং করে রেখে দাও :P আজ তাড়াতাড়ি সেই পাবদা রান্না করবো বলে বের করে দেখি সবগুলো মাছের থুতনি থেকে পেট পর্যন্ত কেটেকুটে ছ্যাড়াব্যাড়া কিন্ত বেলির ময়লা বহাল তবিয়তেই আছে :-/ সেই সব মাছের বেলি ক্লিনিং করে রান্না বসাতে গিয়ে ব্লগে আসা গেলো না । তাই ছবিগুলো দেখে গেলাম পরে এসে পড়বো।
+

১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




সম্ভবত আপনার কর্তামশাই ব্লগার গিয়াস লিটনের সাম্প্রতিক পোস্ট " এক ভুলে দশ বছর" পড়েন নি। পড়লে এই অপকর্মটিতে ভুলেও হাত দিতেন না। :) কর্তামশাই তার কপালের লেখা আর খন্ডন করতে পারলেন না! আপচুছ..... :P
তা আপনি বেলী আনক্লিনড পাবদা মাছ আর বেলী ক্লিনড সেই রান্নাকরা মাছের একটি করে ছবি দিতে পারতেন যাতে বুঝতে পারতুম আসলেই কত্তো গ্যাঁড়াকলে পড়ে আপনি আসল মন্তব্যটা করতে পারেন নি। :(

৩৪ ঘন্টা তো পার হলো, এখন তো আপনার রান্না- গোসল সব কমপ্লিট কিন্তু এখনও পোস্টটি পড়লেন কিনা জানান দিলেন না। নাকি কর্তামশাই আবার কোনও একটা হুজ্জত বাঁধিয়ে বসেছে ? :-P

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

আহমেদ জী এস ভাই,
মরুজীবন খুবই কষ্টের ও সংগ্রামের জীবন। আমার মনে হয় যিনি জীবনে একবার অন্তত মরুজীবন সামনা সামনি দেখার সুযোগ পেয়েছেন তিনি জীবনে আর পানি অপচয় করবেন না।

পাহাড় দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি পাহাড়ের বাঁকে লুকিয়ে থাকে ভয়ঙ্কর মৃত্যুখাদ, আর মরুভূমিতে একবার পথ ভুলে গেলে বার বার একই জায়গাতে ফিরে আসতে হয়! গহীন জঙ্গলের মতো ভুল হতে থাকে মরুভূমিতেও।

আপনার লেখা পোস্ট পড়ে আমারও ইচ্ছে হচ্ছে মরুঅঞ্চল নিয়ে কিছু লিখি জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা - সমস্যা হচ্ছে ঘরে বসে বসে অলস হয়ে গিয়েছি।

আহমেদ জী এস ভাই ভালো থাকুন - নিরাপদ থাকুন।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




জীবনে মরুঅঞ্চলের কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনার যখন ইচ্ছে হচ্ছে কিছু লিখবেন তখন আলসেমী নয়, মরুদ্যানের দেখা পেলে মানুষ যেমন জোড় কদমে ছোটে তেমনি ছুটে গিয়ে লিখতে বসুন।

আমারটা তো ডিজিটাল আপনারটা হবে চাক্ষুস মরুভূমি।

নিরাপদ হোক আপনার প্রতিটি দিন।

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



চমৎকার পোস্ট। +

১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,




ধন্যবাদ + এর জন্যে।

যেখানেই থাকুন, নিরাপদে থাকুন।


১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

মিরোরডডল বলেছেন:



ওয়াও বিউটিফুল !
বেশী ভালো লেগেছে ব্যাডওয়াটার বেসিনে কালপুরুষ, সন্ধ্যার ডেথভ্যালি, নেভাদা পর্বতের ঢাল ।
মেসক্যুইট ভ্যালি এটা মাথা খারাপ করা সুন্দর :)

১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,




ভালো লাগার মতোই ব্যাডওয়াটার বেসিনের কালপুরুষ। সন্ধ্যার ডেথভ্যালির রংও যেন চোখেমনে মোহমুগ্ধতা ছড়ানোর মতো।
মেসক্যুইট ভ্যালির ডিউনসগুলোও যেন মনে উথাল পাতাল ঢেউ খেলে যায়।
আসলেই সবটাই মাথা খারাপ করা সুন্দর....................

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
ডেথ ভ্যালিতে আকাশের ভিন্নরূপ মনোমুগ্ধকর।
রোড রোনার পাখিটি দেখতে হুবহু আমাদের চড়ুই
পাখির মতো দেখতে একটু ছোট বড় এই পার্থক্য।
ডেথ ভ্যালিতে এত সুন্দর সুন্দর ছবি দেখে মনে হলো
সত্যি জীবনের রং ছাড়ানোর গল্প মিশে আছে প্রকৃতির
সাথে, ্অচেনা জায়গা সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,




ডেথভ্যালীর তারা খসা আকাশের নীচে নিজেকে আপনার ক্ষুদ্র মনে হবে। সন্ধ্যার ডেথভ্যালী আপনাকে চমকে দেবে বাহারী রংয়ের ওড়না উড়িয়ে। দিনের মেসক্যুইট ভ্যালির ডিউনসগুলোকে মনে হবে ঢেউ খেলানো বালির সীমাহীন সমুদ্র। রোড রানার পাখিগুলো আপনার গাড়ীর পিছে পিছে দৌঁড়ুবে আর আপনার মনে হবে এদের সাথে হারিয়ে যেতে নেই মানা।
প্রকৃতির এমন রূপকে ভালো না লেগে যে উপায় থাকেনা!

সুন্দর মন্তব্যে শুকরিয়া।
নিরাপদে থাকুন।

১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: ডিজিটাল ভ্রমণে কি নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে নাকি?
ভ্রমণই শেষ করে দিলেন!

১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ,



নিষেধাজ্ঞা তো আরোপ করতেই হয় । সবখানে করোনার সংক্রমন, এখন কি ঢ্যাং ঢ্যাং করে বাইরে বেড়ানো ঠিক হবে ? B-)
এখন হাত ধুঁতে হবে, মাস্ক পড়ে "নো-টক" অবস্থায় থাকতে হবে আর থাকতে হবে ঘরে। বাইরে নো ভ্রমন-ট্রমন......... :P :((

১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম, অসাধারণ কিছু ছবি দেখলাম।
কিছু বর্ননা পড়ে টাস্কি খেয়েছি। কত বিচিত্র এই পৃথিবি!

১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন,




আসলে পৃথিবীটা তো ‌আশ্চর্য্য ভাবেই বিচিত্র।
আসলে কবিতার মতোই এই পৃথিবী।

শুকরিয়া মন্তব্যের জন্যে।
নিরাপদে থাকুন।

১৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অসাধারণ! অসাধারণ!!

১৭ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী,




ধন্যবাদ পোস্টটি দেখে মন্তব্য করে যাওয়াতে।

থাকুন নিরাপদে।

২০| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই,
আমি যদিও যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছি কিন্তু ডেথ ভ্যালি আমার দেখা হয়নি। আমার যাত্রাপথ বিমানপথে সিমাবদ্ধ ছিলো। তাছাড়া আমেরিকা এতো বড় দেশ - আমার পক্ষে দেখা অসম্ভব বিষয়। আপনার ডেথ ভ্যালির বর্ণনা আমি আপনার পোস্টে পড়তে পেরেছি এবং জানতে পেরেছি পাথর চলার গল্পও! - এটি আমার জানা ছিলো না, আপনার পোস্ট না পড়লে পাথর চলার বিষয়টি জানতেও পারতাম না।

আমার নিজ চোখে দেখা মরু অঞ্চল হচ্ছে “পশ্চিম আফিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারত”। তাই আমার বর্ণনা ডেথ ভ্যালির সাথে সম্পর্ক কতোটুকু রাখতে পেরেছে ঠিক জানিনা কারণ আমার মন্তব্য ভিন্ন মরুঅঞ্চল নিয়ে। আপনার লেখা পোস্ট পড়ে জীবনের অনেক অনেক ঘটনা মনে পরে গেলো, তাই - “অসাধারণ / খুব সুন্দর পোস্ট” - এ ধরনের মন্তব্য লেখা সম্ভব হয়নি কারণ আপনার মতো আমিও পুরো পোস্ট পড়ে মন্তব্য করি। তাছাড়া আমি জানি, আপনি মধ্যপ্রাচ্য মরু অঞ্চল দেখেছেন - মরু অঞ্চল সম্পর্কে আপনি জানেন।

ভালো থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




দ্বিতীয়বার এসে এমন একটি মন্তব্য করাতে কৃতজ্ঞ।
আমার পোস্ট পড়ে আপনার জীবনের অনেক অনেক ঘটনাই নাকি মনে পরে গেছে। তা নিয়েই লেখা দিন কিছু। পশ্চিম আফিকা, মধ্যপ্রাচ্য বা ভারতের মরুভূমির কোনও একটা নিয়ে অচিরেই লিখুন। তবে রাজস্থানের মরুভূমি আর তার মানুষগুলো অসম্ভব বর্ণিল বলে জানি, সেটা জানতে চাই।

নিজের উৎপাদিত সব্জী নিয়ে ব্যস্ত আছেন এখনও মনে হয়। এ সময়ে সতর্ক থাকুন আর থাকুন নিরাপদে।
শুভেচ্ছান্তে।

২১| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

করুণাধারা বলেছেন: প্রথমবার দেখে ভয়ংকর সুন্দর বলেই মনে হচ্ছিল, কারণ বোধহয় মাথার মধ্যে ড্যাথ ভেলী কথাটা ঘুরছিল... কিন্তু ছবিগুলো এমন, আর সাথের টুকরো কবিতা ছবির সাথে এতোটাই মানিয়ে গেছে যে, পরে যতবার দেখেছি ছবিগুলো ততবার মনে হয়েছে কি অপূর্ব সুন্দর! কি বিস্ময়কর নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য!!

ড্যাথ ভেলীর আকাশের তারা থেকে ঘাসের ফুল পর্যন্ত সবার ছবি একটা মালায় গেঁথেছেন, সেই মালা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে ড্যাথ ভেলী ভার্চুয়ালী দেখা হয়ে গেল!! ড্যাথ ভেলীর রাতের আকাশে ছায়াপথ, উল্কাপাত আর হিরের মতো তারার ঝিকিমিকি দেখতে অপরুপ লাগলো। আর দিনের আকাশ... :( গত পর্বে তার বর্ণনা তো দিয়েছেন... বর্ণিল পাহাড়গুলোও কি অপরূপ! পাথর কীভাবে চলতে পারে, আপনি ব্যাখ্যা না করলে এটা সারাজীবন ভেবেও বুঝতাম না...

ছবির একাকী পথিক কি শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছিল!!!

অসাধারণ পোস্টে প্লাস।

১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




আসাধারণ একটি মন্তব্য। মন্তব্যকারিনীর মুগ্ধতা স্পষ্ট।

যে পথ শেষ হয়ে যায় সেটা তো আসলে পথই নয়। পথ হবে অফুরান। ছবির একাকী পথিক তাই ঘুরে ঘুরে হারিয়ে ফেলবে পথের দিশা, হেমন্ত যে ভাবে গানে গানে বলে গেছেন ----
পথ হারাবো বলেই এবার পথে নেমেছি
সোজা পথের ধাঁধাঁয় আমি অনেক ধেঁধেছি.....


মন্তব্য লাইকড।

২২| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১১

শায়মা বলেছেন: সবগুলো ছবিও সুন্দর এবং বিস্ময়কর! কিন্তু ভুতের পাথর তো মহা ভয়ংকরও!!

ভাইয়া সেই হ্রদটার কথা জানো??
যেই হ্রদে প্রানীরা চুবিয়ে উঠলেই মমি হয়ে যায়!!!

১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,



এরকমের কোনও হ্রদ আছে? থাকলে এতো কষ্ট করে ফারাওরা মমি বানালো কেন ? :| নিজেরা ঐ হ্রদে একটা ডুব দিয়ে উঠলেই তো হতো।
খুঁজতে যাচ্ছি.............. দেখি হ্রদটা কোথায় আছে ! :)
পেলে আপনাকে জানাবো । দু'জনে মমি বানিয়ে পোটলা করে নিয়ে আসবো। খবরদার! ব্লগের কাউকে সে তথ্য জানাবেন না। সেখানে যাওয়ার খরচাপাতি কিন্তু আপনার। ;)
তাহলে কেবল আপনার আর দরকার হলে আমার মমিটা সামুর শোকেসে রাখা হবে। :P

১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,




পাইছিরে .....পাইছি ................... :D

তয় মিছা তথ্য দিয়া ঘুরাইলেন ক্যা ? কৈছেন - "যেই হ্রদে প্রানীরা চুবিয়ে উঠলেই মমি হয়ে যায়!!!"
ঠিক হেডা না । আন্দিজ পর্বতমালায় উত্তর পেরুর চাচাপোইয়া নামক অঞ্চলে "লেগুনা ডি লস কন্ডোরস" হ্রদের পাশে এক খাড়া ঢালে শত শত মমি খুঁইজ্জা বাইর করেছে আর্কিওলজিষ্টরা। ওইডা একটা ইনকা সভ্যতার এলাকা । তয় ঐ লেগুনে ডুব দিলেই যে আম্নে মমি হৈয়া যাইতে পারবেন হেই গ্যারান্টি মুই দিতে পারমুনা। ঘোরাঘুরির পয়সা জলে গ্যালো। :((

হের পরেও আশা ছাইররেন না। আম্নেরে হ্রদের পানিতে চুবাইলেই যদি মমি হৈয়া যান হেইরাম এখখান হ্রদ খুইজ্জা বাইর করতে পারমুই। কাছাকাছিই হৈবে মনে হয়। :P

২৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়ে আসলাম। মনে হলো ওয়েস্টার্ণ কোন গল্প, তবে এটা খুবই চমৎকার লাগলো। অসাধারন!! ছবিগুলো নিজেই নিজেদের ভাষায় যেন কথা বলছে, বিস্তারিত কিছু বলার কোন প্রয়োজনই নাই। আর চলন্ত পাথরের ব্যাপারটা আসলেই ইন্টারেস্টিং। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না পেলে এটা একটা ভুতুরে ব্যাপার হিসাবেই থেকে যেতো।

কিছু জায়গা আছে, যেখানে রাতে গেলে মনে হয় আকাশটা অনেক নীচে নেমে এসেছে। ইংল্যান্ডের লেক ডিস্ট্রিক্ট তেমনই একটা জায়গা। অসাধারন অনুভূতি হয় সেখানে, চিৎ হয়ে খোলা মাঠে শুয়ে থাকলে।

অনেক খাটুনির লেখা। ব্লগারদের জন্য কষ্ট করেছেন......অনেক ধন্যবাদ। :)

রোড রানার পাখিটার ফুটিগুলোর সাথে আমাদের এখানের স্টার্লিং পাখির মিল আছে। ছবি দিলাম।

ছোট্টবেলায় লুনি টিউনস এর Wile E. Coyote and the Road Runner কার্টুন খুব দেখতাম। অন্যতম প্রিয় কার্টুন ছিল এটা। আপনার দেয়া রোড রানারের ছবিটা দেখে মনে পড়ে গেল।

অনেক খাটুনির লেখা। ব্লগারদের জন্য কষ্ট করেছেন......অনেক ধন্যবাদ। :)

১৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




"কিছু জায়গা আছে, যেখানে রাতে গেলে মনে হয় আকাশটা অনেক নীচে নেমে এসেছে।"
বিশাল খোলা প্রান্তরে দাঁড়ালে সব আকাশই মনে হবে আপনার মাথায় পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে।

লেক ডিষ্ট্রিক্টের কনিষ্টন লেকের পাড়ের ঘাসের এমন সবুজ গালিচায় পিঠ এলিয়ে দিলে মনে হতেই পারে আকাশটা মাথা ছুঁই ছুঁই!

আমাদের মতো অনেক প্রবীনরাই তখন টিভিতে " রোড রানার" কার্টুনটা দেখে থাকবেন। আমিও।
তবে আপনাদের ওখানের স্টার্লিং পাখির সাথে মিল থাকলেও রোড রানার গলায় ও লেজে খানিকটা লম্বা। যদি আপনাদের স্টার্লিংটাকে গলা ও লেজ ধরে টানাটানি করতে পারেন তবে রোড রানার হতেও পারে! কারন ছেড়ে দিলে আপনার মতো ভুয়া কশাইয়ের হাত থেকে বাঁচতে স্টার্লিং তো কষে একটা দৌঁড় ( রান ) ষ্টার্ট করবেই। :D :-P
"জোকস হিসেবে বলেছি কশাই
রাগ করবেন না মশাই" :#)

কষ্টতো আপনার জন্যেও এখন করলুম তবে এ কষ্টেও একটা আলাদা আনন্দ আছে।

মন্তব্যের সবটা মিলিয়ে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন , থাকুন নিরাপদে.................

২৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৭

জুন বলেছেন: বালিয়ারি গুলোর সৌন্দর্য্যই আলাদা , মরুর আকাশে কালপুরুষ সেও দেখার মত আহমেদ জী এস । অত্যন্ত নিপুনতায় কবিতায় আর ছবিতায় মালা গেথে গেছেন মনে হলো । ভারত দুবাই আর ইজিপ্টের ভয়ংকর মরুভুমির অভিজ্ঞতা আছে । আশাকরি শীঘ্রই ডেথভ্যালিতেও ঘুরে আসবো বেচে বর্তে B-)
তবে সব মরুর মাঝে ইজিপ্টের বাহারিয়ার মরু আমাকে / আমাদের পাগল করেছিল তার রূপে ।
আর ঐ রোড রানার নিয়ে একটা কার্টুন নিয়মিত দেখতাম । কয়োটিকে যে কেমন ঘোল খাওয়াতো সেটাই ছিল মজার ।
বাহারিয়ার একটা ছবি দিলাম দেখেন ।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




মন্তব্যে দেয়া ছবিটা আপনার কোনও এক পোস্টে দেখেছি। সেখানে আরও অনেক ছবি ছিলো সুন্দর ভ্রমন কাহিনীর সাথে।
তবে আশা করবো যদি সম্ভব হয় তবে ভারতের রাজস্থানের মরুভূমি আর তার মানুষদের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে কিছু লিখবেন।

বেলী ক্লিনড মাছ খেয়েও কিন্তু এই মন্তব্যে আপনি আপনার বেলী ক্লিন করে মন্তব্য করেননি যা সাধারণত আপনি করে থাকেন সব সময়। ফাঁকি দিয়েছেন। ডেথভ্যালীর আকাশের ঐতিহাসিক কিছু তথ্য আশা করেছিলুম। :| :((

২৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পোস্টে ব্যাবহৃত কবিতার লাইন ও ছবি গুলো মন ছুঁয়ে গেলো । পোস্টে ভালো লাগা।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,



অজস্র ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
আপনার মন ছুঁয়ে গেছে জেনে আমার মনও ভরে উঠলো।

শুভেচ্ছান্তে।
যেখানেই থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

২৬| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এক নজর দেখে প্রিয়তে তুলে লাখলাম ।
পরে আবার আসব।

শুভেচ্ছা রইল

১৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,



প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
এবারে মন্তব্য নিয়ে আসুন।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৮

শায়মা বলেছেন: লেগুনা ডি লস কন্ডোরস"
তুমি ছাই পাইসো.......

সেই হ্রদের নাম লেগুনা বেগুনা না......

নাই্ট্রিক সাইট্রিক টাইপ কি যেন ছিলো!

ভুলে গেছি তো!!!! ওকে আমিও খুঁজি। তারপর সবাইকে ধরে ধরে মমি বানানো যাবে..... :)

১৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,



শুধু ছাই-ই না সাথে ধূলাবালিও পাইছি। ;) যেটার ঠিকানা পরবর্তি মন্তব্যে দিয়েছি।
সবাইকে ধরে ধরে মমি বানাবেন ? নামের লিষ্টি করেছেন ? দেখা যাবে আসল লোকেরা বাদ পড়ে গেছে শেষে।
হয়তো নিজের নামটাই দেখবেন , নাই.................ই..ই..ই..ই...ইই :|

২৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার জন্য খুঁজে বের করতে হলো

Lake Natron

Lake Natron
Lake in Africa
4.3
184 Google reviews
Description
DescriptionLake Natron is a mineral-rich soda lake in northern Tanzania, at the border with Kenya. It's a breeding ground for hundreds of thousands of lesser flamingos, despite the highly alkaline state of the striking red waters. It sits below Ol Doinyo Lengai, a soaring active volcano in the Rift Valley. Trails lead from the lake to the Engero Sero waterfalls, which flow over craggy rocks into a natural pool.
Area: 1,040 km²
Surface elevation: 600 m
Length: 57 km
Location: Northern Tanzania
Reference no: 1080

Mysterious fact of Lake Natron

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,



আম্নেও ছাই পাইছেন। :P
লেক নর্টনে পাখিরা ঝাঁপ দিলে মমি হয়না, দ্যাকতে মমির মতো শক্ত হৈয়া যায়, লবনের কারনে। লবন দিয়া শুটকি বানায় না হেইরাম আর কি! মানুষ মমি হওয়ার ঘটনা নাই। তয় আম্নেও কি এ্যাহোন হেই পান্তে ঝাঁপ দেতে চান রেকর্ড করার লৈগ্যা? :|

গুগুল মামারে জিগাইয়েন । হে এইডা কৈবে - Laguna de las Momias (Lagoon of the Mummies), also known as Laguna de los Cóndores (Lagoon of the Condors) is an archaeological site located in Leimebamba, in the province of Chachapoyas in the Amazonas Region of Peru. The site is called "Laguna de los Condores" because the people that found the lagoon would see these birds soar near the lagoon and it also obtained the name " Laguna de las Momias" because of the findings of the mummies around the area. In the lake of the mummies there were ceramics and other artifacts found that are traced back to the Incas.
এইরাম খোজতে খোজতে তো আমিই মমি হৈয়া যামু । আম্নের আর আমারে ধৈররা মমি বানান লাগবেনা। :-P

২৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৯

শায়মা বলেছেন: হাহাহাহাহহাহাহাা ভাইয়া কইলোই তো একটা ভিডিওতে সব পক্ষীরাই নাকি কিছুক্ষনের মাঝে মমি হয়ে দাঁড়ায় থাকে। হায় হায় তাই দেখেই তো আমি অবাক!!!

মমী বানানো অনেক খরচের ব্যপার তাই আমি ভাবলাম গরীবেরা বিশেষ করে করোনায় মরে যাই যদি তো মরার আগে এই পানিতে ঝাঁপ দিলেই তো হয়ে গেলো। বিনা খরচায় মমি। :)

অবশ্য ঝাঁপ দেওয়ার আগে সোনার গয়নাগাটি, হীরার মুকুট না হোক ক্রিস্টালের মুকুট পরে লাফ দেবো। নইলে একে তো গরীবের হ্রদে ঝাঁপ দিয়ে মমী আবার সেটা গয়নাগাটি ছাড়াও হবে নাকি!!! :P

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,



অনেক দৌঁড় ঝাপ করছি, টায়ার্ড। রাইত অনেক.....
আম্নে গয়নাগাটি পৈররাই ঝাফ দ্যান, দ্যাশের ইজ্জত কা সওয়াল। :D :#) আমি ঘুমাইতে যাই......................

৩০| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সোহানী বলেছেন: এইটা কি দেখাইলেন.........। আমি ফিদা। এক্ষুনি যেতে হবে.... মরি কি বাচিঁ :-B বালি পাথরের মাঝে যে এমন সৈান্দর্য্য লুকিয়ে আছে , তা অবিশ্বাস্য।

যেমন ছবি তেমন তার শায়েরী। পারফেক্ট কম্বিনেশান।........... এই না হলে জী ভাই।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




এক্ষুনি যাবেন কি করে ? চারদিকে যে করোনা ওৎ পেতে আছে! "মরি কি বাঁচি" বললে হবে ? অবশ্য উপরেই শায়মা অমর হয়ে থাকার রেসিপি দিয়েছেন। তার সাথে যোগাযোগ করে দু'জনে একসাথে "লেক ন্যাট্রন"য়ে ঝাঁপ দিয়ে আপনিও অমর মমি হয়ে যেতে পারেন। ;)

চেষ্টা তো করেছি প্রানপন, পারফেক্ট কম্বিনেশান করার। আপনার মন্তব্যে তা যে পেরেছি জেনে খুশি।

যেখানেই থাকুন সুস্থ্য থাকুন। নিরাপদে কাটুক আপনার দিনগুলো।
শুভেচ্ছান্তে।

৩১| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৬

সোহানাজোহা বলেছেন:




যদিও ডেথভ্যালি দেখার এখনো সুযোগ হয়নি কিন্তু আপনার পোস্টের মাধ্যমে তো ঘুমে আসা গেলো। তাছাড়া সাথে ছিলো সুন্দর সুন্দর কিছু কবিতা। ১। পোস্টে লাইক ২। কবিতায় লাইক ৩। পোস্টের প্রতিটি ছবিতে লাইক।

মন্তব্যে লাইক: বিদ্রোহী ভৃগু, ঠাকুরমাহমুদ, জুন, করুণাধারা, মুক্তা নীল ও ভুয়া মফিজ।

পোস্টে প্রচুর শ্রম দিয়েছেন। শ্রমে লাইক দেয়ার ব্যবস্থা নেই তাই এখানে বলছি, অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানাজোহা,




লেখাপড়ার বা দিনের ব্যস্ততা আর এই সন্ত্রস্ত্রতার মাঝেও পোস্টে এসেছেন আর মন্তব্যও করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আর এতো এতো লাইকের জন্যে আপ্লুত। যাদের মন্তব্যে লাইক দিয়েছেন তারা আসলে তেমন মন্তব্যই করেছেন।

কাছাকাছি থাকলে সুযোগ করে দেখে আসুন।

যেখানেই থাকুন , থাকুন নিরাপদে আর সতর্ক।

৩২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৪

পুলক ঢালী বলেছেন: জী এস ভাই এটা একটা ভয়ানক জায়গা, নামেই তার পরিচয়। ক্যালিফোর্নিয়াতে শীতের সময় সাধারন একটা সোয়েটার পড়লেই চলে কিন্তু গরমের সময় এত গরম যে সহ্য হয়না। গাছপালা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, পাহাড়ে এক হাটু পরিমান শুকনো পাতা জমে যায়, তাই প্রায়ই আগুন লাগে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নাদিনো থেকে নাভাডা মরুভূমির রানী লাস ভেগাস যাওয়ার পথে ডেডভ্যালীর উত্তাপ টের পাওয়া যায়। দিনে ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রায় ওঠানামা করে রাতে খুব ঠান্ডা।
শীতকালে ভয়ানক ঠান্ডা পড়ে । এই তথ্যগুলো যাওয়ার পথে বিজ্ঞাপনে চোখে পড়ে।
একটা জায়গায় ষ্টপিং পয়েন্ট আছে, এখানে আধাঘন্টার জন্য হলেও থামতে হবে। গাড়ী থেকে বের হলে গায়ে রীতিমত ছ্যাকা লাগে, কিন্তু টায়ার যাতে না গলে যায়, ইঞ্জিন যেন গরমে সিজ না করে তাই সতর্কতা স্বরূপ থামতে হয়।
আপনার পোষ্টে ফুলের ছবি দেখে ভাবছি এগুলো কখন ফোটে ! হয়তো শীত গরমের মাঝামাঝি সময়ে।
পাহাড়, ক্যানিয়ন যাওয়ার পথে কিছু চোখে পড়লেও ছবির মত এমন সুন্দর গিরিখাত বা শৈলশিরা চোখে পড়েনি। ওগুলো হয়তো ভেগাস থেকে মৃত্যু উপত্যকায় যাওয়ার পথে পড়ে। ভেগাস থেকে শুনেছিলাম ২ ঘন্টার পথ ।
যাওয়ার চিন্তা করার মত সাহস হয়নি।

আপনি ইন্টারনেটের তথ্য সূত্র ব্যবহার করে এমন জীবন্ত একটা পোষ্ট দিয়েছেন চিন্তাই করা যায়না।
অতএব অনুরোধ থাকলো ইয়েলো স্টোন ন্যাশনাল পার্ক, গেইসার ইত্যাদি নিয়ে এরকম সৃজনশীল একটি পোষ্ট দেবেন।
ওখানে যাওয়ার এখনি সময় কিন্তু করোনা -----।

ভাল থাকুন জী এস ভাই।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলক ঢালী ,



আমি ভেগাসে গেছি বাই এয়ার। ভেগাসে রেন্ট এ কারে ঘুরেছি কাছাকাছি জায়গায়। খুব গরমের কারনে বেশী ঘোরা হয়নি।। তখন জানতুম না ডেথভ্যালী ভেগাসের এতো কাছে। :(
আপনার মন্তব্যে গরমের যে হাওয়া বইয়েছেন তাতে ডেথভ্যলী যে আসলেই নরক তার ঝাঁপটা যেন গায়ে লাগলো।
আমার দৌঁড় ঐ নেট পর্যন্ত। তা থেকে যা ধারনা হয়েছে তেমনটাই তুলে ধরতে চেয়েছি। আপনার তা ভালো লাগায় কৃতজ্ঞ।

আপনার অনুরোধ রাখতে চেষ্টা করবো। তবে করোনার একঘেয়েমীতে কিছু করতেই ভালো লাগছেনা। স্থবির হয়ে গেছে যেন সব!

শুভেচ্ছান্তে। ভালো থাকুন আপনিও..............

৩৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৮

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার চলন্ত পাথর নিয়ে নুতনের পোষ্টে মজা করেছি আপনার মন্তব্যের পিঠে :D

৩৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ, অনিন্দ্যসুন্দর ছবিসমৃদ্ধ একটি পোস্ট, সাথে শ্রেষ্ঠ কিছু কবিতার লাইন সে পোস্টকে আরও অনেক সমৃদ্ধ করেছে, তথ্যের এবং কাব্যিক বর্ণনার কথা না হয় আপাততঃ বাদই দিলাম।
রোড রানার ছাড়া আর কোন পাখিই কি সেখানে দেখা যায় না?
"নিসর্গের দিকে দিকে ডুবে গেলে সব কোলাহল" ছবির নীচে দেয়া 'নিজস্ব' কবিতার পংক্তিগুলো চমৎকার! ভাল লেগেছে। ছবিটাও মন উদাস করে দেয়।
জাবিরিস্কি পয়েন্ট এবং পাথরে রঙের মেলা এর ছবি গুলোও খুব সুন্দর!

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



ভালো লাগলো ডেথভ্যালীতে আপনাকে জীবন্ত দেখে, যেমন জীবন্ত আপনার মন্তব্যখানিও।
রোড রানার পাখি ছাড়াও সেখানে অন্য পাখিও টুকটাক দেখা যায় । বলা হয়ে থাকে ১৯১৭ সালে সেখানে ৬৯ প্রজাতির পাখি ছিলো। এর মধ্যে ১২টি প্রজাতি স্থায়ী যেমন ডেজার্ট কোয়েইল, কীলডিয়ার, প্রেইরী ফ্যালকন, ইংলিশ স্প্যারো ইত্যাদি বাকি গুলোকে ঋতু ভিত্তিক দেখা যায়। অবশ্য দিনে দিনে তাদের সংখ্যা কমে আসছে। তবে রোড রানার বছরের সব সময়ই দৃষ্টি গোচর থাকে।

৩৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রচন্ড দাবদাহের মাঝেও কিছুটা জলের পরশ পেয়ে মাথা উঁচু করে ফোটা ফুলগুলো এবং তাদের মাঝে রঙিন প্রজাপতি দেখে মুগ্ধ হ'লাম। সেইলিং স্টোন এর ছবিগুলো দেখে বিস্মিত!
ভুতুড়ে পাথর এর রহস্য উদঘাটন হলো অবশেষে ২০১৪ সালে। যাক, তবুও তো কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেল!
২৩ নং প্রতিমন্তব্যে দেয়া ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে, এক্ষুণি সেখানে গিয়ে সবুজ ঘাসের উপর চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ি!
@জুন যদি আবার কখনো ভুল করেও আপনার এ পোস্টে আসেন, তবে তার উদ্দেশ্যে বলছি, ভাইজানকে জলদি করে একটা "পাবদা বেলী ক্লীনিং কোর্স" করিয়ে নিন! :)
আগামীতে আবারও যদি আমেরিকা যাই, তবে ডেথভ্যালী ভিজিট মাস্ট, ইন শা আল্লাহ!
আপনার শ্রমের ফলে অগণিত পাঠক যে আনন্দ নিয়ে এ পোস্ট পড়া শেষ করলো, তার তুলনা হয় না। এ নিয়ে আপনি অবশ্যই তৃপ্তি বোধ করেছেন এবং করবেন, তা জানি। অনেক ধন্যবাদ এ শ্রমসাধ্য পোস্টের জন্য।
পোস্টে বিংশতিতম ভাল লাগা + +।


১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




আগামীতে আবারও যদি আমেরিকা যাই, তবে ডেথভ্যালী ভিজিট মাস্ট, ইন শা আল্লাহ!
মহান সৃষ্টিকর্তা আপনার মনোবাসনা পূর্ণ করুন।

ভুতুড়ে পাথর এর ছবি দেখে কেন বিস্মিত হবেন? এ কাহিনী তো অনেক পুরোনো।
প্রকৃতি যে কতো কতো সুন্দর তা নেট ঘেটে দেখলেই বোঝা যায় । স্রষ্ঠার প্রতি মাথা নত হয়ে আসে অজান্তেই।
মনে হয়, চিরটা কাল যদি ওমোন সুন্দরতার মাঝে কাটিয়ে দেয়া যেত!

ভালোলাগা আর প্লাস দেয়াতে আপ্লুত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.