নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
তুই কি জানিস, আমি চলে যাচ্ছি এ শহর ছেড়ে ?
এ কোন আকাল, ধীরে ধীরে নিয়ে যাচ্ছে কেড়ে
বেড়ে ওঠা গন্ধ-শব্দ-বোধ সব। ঝুমঝুমির মতো এখনও যা বাজে
কানে। শামুকের খোলের ভাজে
গুটিসুটি মারা জীবনের সব গল্প ঝেড়ে
শূন্যহাতে আমি যে ফিরে যাচ্ছি আজ গ্রামে, নিজ ঘরে।
এই অচেনা পৃথিবীতে আর কাঁহাতক বসবাস
কি জারজ চরিত্রহীন এক ভাইরাস
অনায়াসে জিতে গেছে যুদ্ধ, আক্রোশে ক্রদ্ধ
প্রকৃতি অনায়াসে জীবনের সব কোলাহল করেছে রূদ্ধ!
একা একা ঘরে জানালা সেঁটে কেবল উঠছি বেড়ে
সকাল সন্ধ্যে, আমি কুকুর কুন্ডলী শুয়ে থাকি অন্ধকারে
বেশুমার ছাড়পোকা নিয়ে। মানুষবিহীন একা শুয়ে থাকি
একা একা মনে মনে ঈশ্বরকে ডাকি, জীবনের সব ফাঁকি
নিয়ে মড়ার মতো শুয়েই থাকি এক থৈ-হীন অন্ধকারে
আমার নিজস্ব নির্জন এক দশ বাই দশ ঘরে।
তুই কি বুঝিস, কি কষ্টে কাটছে আমার দিন
এখন ? রোজ রোজ যখন শুধছি জীবনের ঋণ,
তখন কামারের হাপড়ের মতো ওঠা নামা বুক
ধুঁকছে ভয়ানক, বাতাসে উগড়ে সব সুখ !
কতো আর বোঝাবো তোকে, কতো শোকে
সব কিছু ফেলে রেখে
লিখছি এ লেখা
এই আশায় যদি আবার কোনদিন হয় দেখা !
আমার যে টিউশানিগুলো আর নেই সে কথা কি তোকে বলেছি ? বলিনি,
কাকে বলা যায় বল ? বাড়ীতে কি বলা যায়, চলে গেছে টিউশানি ?
ক’বেলা খাওয়া হয়নি ঠিকঠাক ? পেটের দাপানি
গেছে মরে, আবুল হোটেলের ডাল-ঝোলমাখা ভাত
ক’দিন পরেনি পেটে, উপোস দিয়েছি অনেক দিন-রাত
বলা কি যায় ?
গুটিকয় ত্রানের লোক খাবারের একটা পোটলা রেখে গেছিলো, হায়
কদিন আগে ! এরপর, কিছুটা সময় পেটে পাথর
বেঁধে রেখে মনে মনে সয়েছি ক্ষুধার জ্বালা, অনেকটা কাতর
হয়ে আমি চুষেছি যে কতোবার মনে নেই
নিজের বুড়ো আঙুল সেই।
আজ চার চারটা মাস নগর কমিটি রাস্তাঘাট আর যতো দোকানপাট,
পথ চলাচল, অফিস আদালত , শহরের যতো মাঠ-ঘাট
সব লকডাউন করে দিলে ঘরে ঘরে
নেচে উঠছে হাহাকার, টান ধরেছে নিত্য রোজগারে।
আমিও এই গত দুই মাস হাজেরা বিবির মতো
চেয়েছি যতো
দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে দুটো ভাত। ( তোদের কারো কারো বাড়ীতে)
কতো রাত,
কতো দিন ভেবেছি কি করি , কি করি...
শেষে, সবজী নিয়ে পথে পথে ঠেলাগাড়ি
ঠেলে কেটেছে ক’দিন , ক’দিন মাস্ক হাতে
এখানে ওখানে, আমার চলেছে দিন কোনমতে।
বাড়ীতে আমার কারা কেমন আছে জানিনা, চলছে দিন কি করে
তাদের। সব দানাপানি বাড়ন্ত যে ঘরে !
আমি তাই চলে যাব সব ফেলে পিছে
এই আতঙ্কগ্রস্থ-স্থবির লোকালয়ে আর পড়ে থাকা মিছে ।
গতকাল পকেট হাতড়ে ক’টা টাকা পেয়েছি শুধু সম্বল
আর তোষকের নীচে বকুলের দেয়া সেই ফুলতোলা রুমাল
নিয়ে কতোক্ষন আর বেঁচে থাকা যায়, বল ?
কতোক্ষন আর বেঁচে থাকা যায় বল এভাবে
জানিনা পৃথিবী নিঃশ্বাস নেবে আবার কবে!
কবে ফিরে পাবো সেই চেনা শহর, ফিরে পাবো মানুষের ভিড়!
আমি তাই চলে যাচ্ছি ছেড়ে তোদের এই নষ্টনীড়................
ছবিসূত্র - নিজের আঁকা ।
২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
প্রথম মন্তব্য ও লাইকের জন্যে বৃষ্টি ঝরা সকালের রিনিঝিনি শুভেচ্ছা।
একটা সময়কালের চালচিত্রকে আটকে রাখতে চেয়েছি এই কবিতায়।
২| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৪২
নজসু বলেছেন:
পৃথিবী আবার হেসে উঠবে খিলখিল হাসিতে।
গাছগাছালি তরুলতা আলিঙ্গন করবে একে অপরের সাথে।
চাঁদের আলো হবে আগের মতোই স্নিগ্ধ।
ক্লেশ থাকবে না প্রকৃতিতে। বাতাসে থাকবে না কোন ভাইরাস।
প্রিয়জনকে হৃদয়াবেগে আলিঙ্গন করতে পারবো অবলীলায়।
প্রতীক্ষায় রইলাম টিউশনি করে জীবন কাটানো ছেলেটির ফিরে আসার।
২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: নজসু,
জীবনের এই স্বপ্ন যেন সত্যি হয়। আগামী দিনগুলোতে যেন থাকেনা কোনও ক্লেশ, স্নিগ্ধ চাঁদের হাসিতে যেন ভরে ওঠে আমাদের আকাশ!
শহর ছেড়ে যাওয়া এমন মানুষেরা যেন আবার ফিরে আসে চেনা শহরে ......................
৩| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:১৮
জুন বলেছেন: আমি তাই চলে যাচ্ছি তোদের এই নষ্টনীড় ছেড়ে -----
সত্যি কি আহমেদ জী এস?
কেমন মন কেমন করা কবিতায় অজস্র ভালোলাগা
+
২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
কবিতার কাজকর্মহীন কথক আর কি করতে পারে যখন তার সামনে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ? এটা তো সত্যি হতেই পারে, তাইনা ? বাস্তবে তো এমনটাই ঘটছে, মানুষজন পাড়ি দিচ্ছে শহর ছেড়ে গ্রামে গ্রামে।
করোনাকালীন বাস্তবতার একটা ছবি ধরে রাখার চেষ্টাতে ব্লগ পাতায় এই কবিতা রেখে যাচ্ছি।
অজস্র ভালোলাগা জানানোতে কৃতজ্ঞ।
৪| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: হতাশার এক দুঃখগাথা।দুঃখের সময় বিলাপ নাকরে আশার বানী শুনাতে হবে।
২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪,
বাস্তবের ছবি, হতাশার কাল যে! তাই হতাশা । সে বাস্তবে দুঃখ থাকলে তাকে এড়িয়ে যাওয়া নয়, তাকে ভাগাভাগি করে নিলে দুঃখের ওজন কমে যায়।
আর সুখের আশার জন্যে আশাও কি নেই কবিতার শেষে ?
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন ।
৫| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর
মানুষের যে কী হাহাকার
কী কষ্ট মানুষের ঘর থেকে বেরোলেই দেখা যায়/
আল্লাহ আমাদের সুস্থ সময় ফিরিয়ে দিন এই প্রার্থনা কেবল
২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,
"আল্লাহ আমাদের সুস্থ সময় ফিরিয়ে দিন এই প্রার্থনা কেবল..."
কবিতার শেষের লাইন দু'টিতে অনুচ্চারিত এমন একটি আশাবাদের কথাও বলা আছে।
একটি সুস্থ্য সময় ফিরে আসুক আবার !
৬| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: অতি মনোরম।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
ধন্যবাদ ।
৭| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
রাজধানী নিম্নআয়ের মানুষ অবস্থা করুন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ বেতন পাচ্ছে না কেউবা অর্ধেক পাচ্ছে ।তাদের মধ্যে কেউ দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস শ্রমিক, ছাত্র- প্রাইভেট শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশার মানুষ। কত জানি কত স্বপ্ন ভেঙে
ফিরে যাচ্ছে অনিশ্চয়তার দিকে ।্বরাবরের মতই কবিতার আপনার বহিঃপ্রকাশ একটু অন্যরকম ।
খুব কষ্ট পায় এসব ভেবে , জানিনা কবে আমাদের দেশটা আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে ।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,
কবিতায় এই ক্রান্তিকালে আপনার দেখার ছবিটাকেই আঁকা হয়েছে, কালের স্বাক্ষী করে।
সব সময় সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন , থাকুন নিরাপদে।
৮| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৬
সাইন বোর্ড বলেছেন: দুঃসময়ের হাহাকার, মানবিক আবেদন জাগায় মনে ।
কবিতা ভাল লেগেছে ।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাইন বোর্ড,
সময়ের একটা স্বাক্ষী রেখে যাওয়ার বাসনা থেকেই এই কবিতা। তাই দুঃসময়ের হাহাকার শোনাতে হয়েছে যদি কারো মনে সময়টা খানিকটা হলেও একটা ছাপ ফেলে যায়।
কবিতা ভালো লাগায় কবিতাটি সার্থক হয়ে উঠলো।
ধন্যবাদান্তে।
৯| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫২
ডি মুন বলেছেন:
বর্তমান পরিস্থিতির চিত্রটা খুব সুন্দর করে আকলেন।
চমৎকার লাগলো
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডি মুন,
একটা সময়কালের চালচিত্রকে আটকে রাখতে চেয়েই এই কবিতা।
এই ক্রান্তিকালের ছবিটা না হয় থাকুক ব্লগের পাতাতেই - "একদিন করোনার দিন" হয়ে!!!!!!!
ভালো থাকুন , নিরাপদে থাকুন ।
১০| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০১
নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: কবিতা পড়ে যতটা না মুগ্ধ হয়েছি তার চেয়ে বেশি মন খারাপ হলো।
দেশে এখন কত শত মানুষ একবেলা না খেয়ে থাকে আর বড় বড় চোররা দেশের টাকা পয়সা লুটপাট করে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: নিঃশব্দ অভিযাত্রী,
আমার ব্লগে আপনার এই প্রথম আগমনে স্বাগত জানাই।
সময়ের একটা স্বাক্ষী রেখে যাওয়ার বাসনা থেকেই এই কবিতা।
তাই দুঃসময়ের হাহাকার শোনাতে হয়েছে বাস্তবতার কারনেই।
আর আপনিও যা বলেছেন তাও কঠিন বাস্তব।
শুভেচ্ছান্তে।
১১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কবিতা খুব কমই দেখেছি। কিন্তু যে-কটা দেখেছি ব্লগে, সবকটাই অতিমূল্য হীরকখণ্ডের চাইতেও মূল্যবান এবং মনোহর। 'সমিল মুক্তক অক্ষরবৃত্ত' ছব্দের কবিতার একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণও এ কবিতাটি।
বর্তমান করোনাকালে এক ছা-পোষা শহুরে কর্মজীবীর জীবনালেখ্য বিধৃত করেছেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে। তিনি চলে যাচ্ছেন এ শহর ছেড়ে, গ্রামের নিজ ঘরে। নিজের টিউশনিটাও তার চলে গেছে, যা থেকে অর্জিত টাকা গ্রামের বাড়িতে যেত। কিন্তু, এই দুর্দিনে এ টিউশনি হারানোর কথাও বলতে পারছেন না। পুরো কবিতায় একটা দমবন্ধ পরিস্থিতি ফুটে উঠেছে। বাস্তবিকই তো তাই!
অনেক অভিমানের কবিতা। এ অভিমান হতে পারে প্রকৃতির বিরুদ্ধে, তা হতে পারে তাদের বিরুদ্ধে- যারা এ শহরটাকে করে ফেলেছে একটা 'নষ্টনীড়'। এ থেকে কবে উত্তরণ ঘটবে তা সত্যিই অজানা।
তবু, এই দুর্দিন কেটে যাবে, এ আশায় আমরা সবাই বুক বেঁধে আছি।
চমৎকার কবিতা প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই। শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
আপনি একজন কবিতা বোদ্ধা। স্বীকার করতে দোষ নেই, আমি কবিতা লেখার ব্যকরণ জানিনে মোটেও। এই যে আমার এই কবিতাটিকে 'সমিল মুক্তক অক্ষরবৃত্ত' বললেন , আমি কিন্তু সচেতন ভাবে সেই অক্ষরবৃত্তের ঢং অনুসারে লিখিনি। প্রথমে লিখেছিলুম অন্যভাবে ,দেখি যে মিল হয়ে যাচ্ছে শব্দ জুড়তে গিয়ে। তাই ভাবলুম, লাইনে লাইনেই মিল রেখে যাই , দেখি কি হয়!সেটা যে একজন কবিতা বোদ্ধার কাছে কবিতাই মনে হবে এমনটা আমার অনেক পাওয়া। কৃতজ্ঞ।
হ্যা ....অভিমান নয়, সব কিছুর উপরে বিবমিষা এসে যাওয়াতে মনে হলো এই ক্রান্তিকালের একটা ছাপ রেখে যাই। যেটা একদিন ভবিষ্যতের মানুষকে মনে করিয়ে দেবে " একদিন করোনার দিন " এর বাস্তবতাকে।
মন্তব্যে লাইক একটাই দেয়া যায়, দিয়েছিও, তবুও এখানেই দিয়ে যাচ্ছি বাকী ++++++++++++ ।
ভালো থাকুন আপনিও, থাকুন নিরাপদে।
শুভেচ্ছান্তে।
১২| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । আপনার জীবন সবীব ও সতেজ হোক।
২২ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
আপনিও থাকুন এক নিরাপদ জীবনে, সতেজতার সাথে।
১৩| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: ঘর থেকে মাঝে মাঝে শুনতে পাই, "দাঁ- বঁটি ধার করাইবেন..." কিংবা "পুরান কাগজ বইখাতা বিক্রি করবেন..." বলে ক্লান্ত স্বরে রাস্তায় কেউ হেঁকে যাচ্ছে। এই কাজ করা তাদের পেশা, এতকাল এই করে পরিবার নিয়ে দিন কাটিয়েছেন। এখন তারা কর্মহীন, দিনশেষে শূন্য হাতে ঘরে ফেরেন। এমন আরও কত মানুষ... আপনার কবিতা পড়ে তাদের সবার কথা মনে পড়লো। টিউশনি করে চলা তরুনের স্বপ্নহীন দিন যাপনের যে ছবি এঁকেছেন তা পড়ে মনে পড়লো, দুমাস আগে আমার পরিচিত এক মেয়ে যে টিউশনি করে নিজের পরিবার চালাত সে বলছিল তার সব টিউশনি বন্ধ। আমি তাকে বলেছিলাম আমার থেকে ধার হিসেবে কিছু টাকা নিতে, সেটাও তার আত্মমর্যাদাবোধে আঘাত দিল হয়তো!! আমাকে বলেছিল দরকার হলে পরে নেবে, কিন্তু সে আর আসেনি...
করোনা কালে সবচেয়ে অসুবিধায় পড়েছে মধ্যবিত্ত- ছবির মত করে কবিতায় তা ফুটিয়ে তুলেছেন। অসাধারণ একটি কবিতা- লাইক!!
আপনি ছবি আঁকাতেও পারদর্শী, এটা লাইক করেছি!!
২২ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
সময়ের একটা স্বাক্ষী রেখে যাওয়ার বাসনা থেকেই এই কবিতা। এই ক্রান্তিকালে আপনার ছোট ছোট অভিজ্ঞতার ছবিগুলোই আঁকা হয়েছে, কালের স্বাক্ষী করে।
প্রতিদিন তো এমন সব খবরই দেখছি আমরা। স্কুল বন্ধ থাকাতে শিক্ষকেরা স্কুলের সামনে আম বিক্রি করছেন, কেউ করছেন গ্লাভস-মাস্ক বিক্রি। দেখছি টিভির সংবাদে, পিক-আপে লটবহর উঠিয়ে অসহায় মানুষদের অনিশ্চয়তার পথে ছুটে চলার ছবি। ঘর ভাড়া দিতে না পারা অক্ষম মানুষের মুখ।
কবিতাটি এমন জীবনকালেরই গল্প।
শিরোনামের ছবিটি নিয়ে আপনিই প্রথম মন্তব্য করলেন। কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ সবকিছুতে লাইক দেয়াতে।
ভালো থাকুন।
১৪| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেকেই অনেক কিছু ছাড়ছে। ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।
২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,
মন্তব্যে বলা আপনার মনেই কথাই উঠে এসেছে কবিতায়- "অনেকেই অনেক কিছু ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।"
সে খবরই তো আমরা দেখছি নিত্যদিন। দেখছি স্কুল বন্ধ থাকাতে শিক্ষকেরা স্কুলের সামনে আম বিক্রি করছেন, কেউ করছেন গ্লাভস-মাস্ক বিক্রি। দেখছি টিভির সংবাদে, পিক-আপে লটবহর উঠিয়ে অসহায় মানুষদের অনিশ্চয়তার পথে ছুটে চলার ছবি। ঘর ভাড়া দিতে না পারা অক্ষম মানুষের মুখ, দেখছি তাও।
যাপিত প্রহর ফিরুক , জীবন হয়ে উঠুক আবার কবিতা ........................
১৫| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সোহানী বলেছেন: শিরোণাম দেখে ভয়েই ঢুকলাম পোস্টে............। ওহ............
পরে পড়ে মন্তব্য হবে!!
২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
ভয় চলে গেছে ? ভয়ের কি আছে, কাউকে না কাউকে তো একসময় চলে যেতেই হয় !
মন্তব্যের অপেক্ষায়.....................
১৬| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
তারেক ফাহিম বলেছেন: করোনার যাতনা চিত্র ফুটে উঠেছে কবিতার পরতে পরতে।
অসম্ভব ভালোলাগা++
২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: তারেক ফাহিম,
করোনাকাল যে কতো কতো অসহায়ত্বের, অক্ষমতার ছবি এঁকে চলেছে , কবিতাটি তারই খন্ডচিত্র।
এমন মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। লাইকড....
১৭| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমি চলে যাচিছ আবার ফিরে আসবো করোনা চলে গেলে শহর ছেড়ে
আমাকে ফিরে আসতে হবে স্মৃতির সুগন্ধি রোমালের খোজে এই শহরে।
++++
২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,
ফিরে আসার আকাঙ্খার কথাও বলা আছে কবিতায় তবে তা সুগন্ধি রুমালের খোঁজে না কি একটি চলনসই কাজ জোটানোর খোঁজে, ঠিক জানিনে!
১৮| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৩
ইসিয়াক বলেছেন: সময়ের চরম বাস্তব চিত্র.......একদিন হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে।
অনবদ্য লেখনী ।
২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,
একদিন হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে।
এই আশাতেই দিন কাটছে সবারই।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
১৯| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চলমান দুঃসময়ের চমৎকার চিত্রায়ন।
একটা সময় প্রেমের একটা পর্যায়ে ফুলতোলা রুমাল প্রদান ছিল অত্যাবশ্যকিয় ঘটনা। অনেকে রুমালের ভিতর কিছু তিব্বত পাউডার ঢেলে দিত।
কাব্যের একটা লাইনে ফুল তোলা রুমালের কথা আসায় অনেক স্মৃতি মনে পড়ল ।
২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন,
ফুল তোলা রুমালের স্মৃতি ? তা, এই দুঃসময়ে সুসময়ের একটা গল্প হয়ে যাক....................
২০| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
২য় সাময়িক পরীক্ষা
বাংলা - ২য় পত্র (সময় - ৩ ঘন্টা)
--------------------------------------------------------------------------------------------------
(৭) প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা জানিয়ে একটি পত্র লিখো। পূর্ণাঙ্গ নাম্বার - ১০
যেতে নাহি দিব। হায় , তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।
===================================
প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই, আপনার লেখা পোস্ট পড়ে অনেক অতীতে চলে যেতে হয় (আপাতত ৭০ এর দশকে এসে থেমেছি) তার প্রমাণ কি হাতে কলমে দিতে পেরেছি? ক্লাস এইট - নাইনের বাংলা ২য় পত্র (বাংলা ব্যকরণ) ২য় সাময়িক/বার্ষিক পরীক্ষায় প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা জানিয়ে একটি পত্র লেখা আসতো। আমরা কবিতা লিখে লিখে আর বিশেষণে বিশেষিত করে একটি পত্র লিখতাম।
আহমেদ জী এস ভাই, আপনাকে বিদায় সম্বর্ধনা দিচ্ছি না, কারণ আপনাকে যেতে দিচ্ছি না। ভালো মন্দে আমাদের সাথে থাকুন। শহর ছেড়ে যেতে দিবো না, দেশ ছেড়েও যেতে দিবো না। প্রয়োজনে হরতাল অবরোধ করে গাড়ির চাক্কা জাম করে দিবো। গাড়ির চাকা চলবে না - আহমেদ জী এস ভাইয়ের যাওয়া চলবে না।
অনেক দুঃখ কষ্টের কবিতা লিখেছেন আশা করি আমার মন্তব্য পড়ে কিছুটা হলেও আনন্দ পাবেন। দুঃখের কবিতা হলেও কবিতা হয়েছে খুবই ভালো ও মনে রাখার মতো। ভালো থাকুন - শুভ কামনা রইলো।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
"যেতে নাহি দিব। হায় , তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।" এরকম বিদায় সম্বর্ধনা আমরাও জানিয়েছি কোনও শিক্ষকের বিদায় কালে। এ কথা মনে করে এরপরে আর কি করে যাই বলুন ? যাওয়া কি আর চলে?
আমার মতো যেতে চাইছে তো সবাই-ই কষ্টে।
কি নিদারূন কাটছে মানুষের দিন, এই করোনাকালে! সে খবরই তো আমরা দেখছি নিত্যদিন। দেখছি স্কুল বন্ধ থাকাতে শিক্ষকেরা স্কুলের সামনে আম বিক্রি করছেন, কেউ করছেন গ্লাভস-মাস্ক বিক্রি। দেখছি টিভির সংবাদে, পিক-আপে লটবহর উঠিয়ে অসহায় মানুষদের অনিশ্চয়তার পথে ছুটে চলার ছবি। ঘর ভাড়া দিতে না পারা অক্ষম মানুষের মুখ, দেখছি তাও।
এমন একটি সময়কালকে ধরে রাখতে চেয়েছি ।
২১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দুঃখ আবৃত কবিতার পাতায় বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি...
আশাবাদী হই মানুষের সংগ্রাম দেখে। ভয় কেটে যাবে একদিন।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা,
দু'মুঠো ভাতের জন্যে কিম্বা সংসারকে একটুখানি চালিয়ে নিতে কতো মানুষ যে জীবনের ঝুঁকি নিতে বাধ্য হচ্ছে! এ মূহূর্তে এর চেয়ে বাস্তব আর নেই।
"ভয় কেটে যাবে একদিন।" তেমন আশাবাদও কিন্তু জিইয়ে রাখা আছে কবিতার শেষে।
অনেকদিন পরে আপনার দেখা মিললো।
ভালো থাকুন , থাকুন নিরাপদে।
২২| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বর্তমান সময়ের এক অনাকাঙ্খিত করুণ চিত্র বা এক রূঢ় বাস্তবকে কাব্যে তুলে ধরলেন। জীবনের ঝরাপাতা হয়ে মনেই রয়ে যাবে শত সহস্র বছর ধরে। কাব্যে বিষন্ন ভালোলাগা।
শুভেচ্ছা নিয়েন শ্রদ্ধেয় ভাই।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,
কি নিদারূন কাটছে মানুষের দিন, এই করোনাকালে! সে খবরই তো আমরা দেখছি নিত্যদিন। দেখছি স্কুল বন্ধ থাকাতে শিক্ষকেরা স্কুলের সামনে আম বিক্রি করছেন, কেউ করছেন গ্লাভস-মাস্ক বিক্রি। দেখছি টিভির সংবাদে, পিক-আপে লটবহর উঠিয়ে অসহায় মানুষদের অনিশ্চয়তার পথে ছুটে চলার ছবি। ঘর ভাড়া দিতে না পারা অক্ষম মানুষের মুখ, দেখছি তাও।
এক অনাকাঙ্খিত করুণ চিত্র........
ব্লগের শিলাপটে সে চিত্রই এঁকে গেলুম।
সুন্দর মন্তব্যে ++
শুভেচ্ছান্তে ।
২৩| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আজকে একটা নিউজ দেখলাম শুধু পর্যটন খাতে কর্মহীন হয়েছে ৪০ লাখ মানুষ । কি নির্মম
পোস্ট ভালো লাগলো ।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,
নির্মম তো বটেই। কতো মানুষ যে কর্মহীন হয়ে গেছে আর সামনেও হবে, ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে!
পোস্ট ভালো লাগাতে ধন্যবাদ।
নিরাপদে থাকুন , থাকুন ভালো।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৪| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫২
রাফা বলেছেন: যাহা বলিবো সত্য বলিবো ........।এক কথায় করোনার করুনকালের চিত্রটা উঠে এসেছে। লক্ষ লক্ষ চলে গেছে হয়তো কোটিও ছুয়ে ফেলবে...।এমন চলে যাওয়া দেখাটা চলে যাওয়ার চাইতেও কষ্টের।
ফিরে যেতে চাই আমার সেই চিরচেনা পৃথিবিতে।এরকম নতুন পৃথিবি কখনই কাম্য ছিলোনা।
শুভ কামনা আ.জি এস।চলে যাওয়াটা থেমে যাক।ধন্যবাদ।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাফা,
এক অনাকাঙ্খিত করুণ চিত্র........
প্রতিদিন টিভির সংবাদে, পত্রিকার পাতায় কতো যে অসহায় মানুষের ছবি! পিক-আপে লটবহর উঠিয়ে অসহায় মানুষদের অনিশ্চয়তার পথে ছুটে চলার ছবি। ঘর ভাড়া দিতে না পারা অক্ষম মানুষের মুখ, দেখছি তাও।
ব্লগের শিলাপটে সে চিত্রই এঁকে গেলুম এই ভরষায় যে, একদিন ফিরে আসা সেই আগের পৃথিবীতেই বসে স্মৃতির পাতা উল্টে উল্টে দেখা যায়.................
২৫| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:১১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: 'বকুলের ফুলতোলা রুমাল' পকেটে নিয়ে ফিরে আসবেন আবার...
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী,
নিজের ঘরে ফিরে আসতে তো সবাই চায় ! কিন্তু সব ফেরা-ই যে ফেরা হয়না !
ফুল তোলা রুমালের বকুল তো এখন শুধুই স্মৃতি। কবিতার "বকুল"কে যে ফেলে এসেছি অনেক দূরে, আর এক কবিতায় -তুই ফেলে এসেছিস কারে ......
২৬| ২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
দোযখ থেকে নির্বাসন।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
দোযখ থেকে নির্বাসিত হয়ে কখনোই স্বর্গে যাওয়া সম্ভব নয়। হয়তো আরেক দোযখে বা এই মাটির দোযখেই নির্বাসিত হতে হবে। আমরা সবাই সে অপেক্ষায়.....................
২৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১১
মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন:
পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যা কি ১৯০০-২১০০ এই ২০০ বছরে হচ্ছে! আর এইসব দেখার জন্য হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বছরের মধ্য সৃষ্টিকর্তা আমাদেরই একমাত্র দর্শক পেলেন! এমনি করে সবাই যাবে - যেতে হবে বললেও প্রস্থানটি এমন হবে কেউ হয়তো স্বপ্নেও ভাবেন নি। সমগ্র বিশ্বের মানুষ রিফিউজিতে পরিনত হচ্ছেন।
সবাই চলে যাওয়ার জন্য কান্নাচোখে ব্যাগ বের্ডিং বাধছেন।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মৃন্ময়ী শবনম,
নজরুলের গানে আছে -
" খেলিছো এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে
প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে ( নির্জনে)......"
আমরা, এই মাটির মানুষেরা মনে হয় সেই মহান কারো খেলার পুতুল। তিনি খেলছেন যেন একা একাই সেই সৃষ্টির শুরু থেকেই।
সেই খেলাতেই খেলছি আমরাও। খেলতে খেলতেই বাক্স-পেটরা গুছিয়ে নিচ্ছি বারবার আউট হচ্ছি বলে। তাই ছেড়ে যেতে হচ্ছে খেলার মাঠ!
প্রতিদিন টিভির সংবাদে, পত্রিকার পাতায় সেই সব অসহায় মানুষের ছবি! পিক-আপে লটবহর উঠিয়ে জীবন-জীবিকার খেলায় হেরে যাওয়া মানুষগুলোরর অনিশ্চয়তার পথে ছুটে চলার ছবি। ঘর ভাড়া দিতে না পারা অক্ষম মানুষের মুখ, দেখছি তাও।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
নিরাপদে থাকুন।
২৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৯
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: সুন্দর কবিতা। একদম বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। ভালো লাগলো।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী,
সম্ভবত আমার ব্লগঘরে আপনার প্রথম পদধূলি পড়লো। স্বাগতম।
এক অনাকাঙ্খিত বাস্তবের চিত্র........
কি নিদারূন কাটছে মানুষের দিন, এই করোনাকালে! সে খবরই তো আমরা দেখছি নিত্যদিন। দেখছি স্কুল বন্ধ থাকাতে শিক্ষকেরা স্কুলের সামনে আম বিক্রি করছেন, কেউ করছেন গ্লাভস-মাস্ক বিক্রি। দেখছি টিভির সংবাদে, পিক-আপে লটবহর উঠিয়ে অসহায় মানুষদের অনিশ্চয়তার পথে ছুটে চলার ছবি। ঘর ভাড়া দিতে না পারা অক্ষম মানুষের মুখ, দেখছি তাও।
ব্লগের শিলাপটে সে চিত্রই এঁকে গেছি । আপনার ভালো লেগেছে জেনে - কৃতজ্ঞ।
২৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪১
সোহানাজোহা বলেছেন:
আমি আমার বোন মৃন্ময়ী শবনম এর সাথে একমত। সমগ্র বিশ্বে কি পরিমান মানুষ রিফিউজিতে পরিনত হবেন তা বলা বাহুল্য। আমরা একটি কথা বলে থাকি ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলেছে! সত্যি সত্যি সিঙ্গাপুরের হোটেল রেস্টুরেন্ট ব্যবসাগুলোতে লাল বাতি জ্বলে গেছে।
প্রিয় ব্লগার আহমেদ জী এস স্যার, আপনার যাওয়ার জায়গা আছে। আমারও যাওয়ার জায়গা আছে। কিন্তু যাদের কোনো আবাসন নেই, নেই কোনো বসতি, স্থায়ী বা অস্থায়ী ঠিকানা! - তারা কোথায় যাবেন একবার ভেবে দেখবেন প্লিজ!
যাদের মন্তব্য খুব ভালো লেগেছে: বিদ্রোহী ভৃগু, নজসু, মুক্তা নীল, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, করুণাধারা, গিয়াস উদ্দিন লিটন, ঠাকুরমাহমুদ, মৃন্ময়ী শবনম।
কবিতা হয়েছে সুচিত্রা সেন আর উত্তম কুমারের সাদাকালো সিনেমার মতো। কবিতা সাদাকালো হলেও বাস্তবতার রঙ কোথাও কম নেই।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানাজোহা,
বলেছেন - "আপনার যাওয়ার জায়গা আছে। আমারও যাওয়ার জায়গা আছে। কিন্তু যাদের কোনো আবাসন নেই, নেই কোনো বসতি, স্থায়ী বা অস্থায়ী ঠিকানা! - তারা কোথায় যাবেন একবার ভেবে দেখবেন প্লিজ!"
এই ভাবাভাবির জন্যেই তো এই কবিতার জন্ম।
তুলে ধরেছি এক অনাকাঙ্খিত ছবি। এই করোনাকালে কি নিদারূন কাটছে মানুষের দিন! সে খবরই তো আমরা দেখছি নিত্যদিন। দেখছি স্কুল বন্ধ থাকাতে শিক্ষকেরা স্কুলের সামনে আম বিক্রি করছেন, কেউ করছেন গ্লাভস-মাস্ক বিক্রি। দেখছি টিভির সংবাদে, পিক-আপে লটবহর উঠিয়ে অসহায় মানুষদের অনিশ্চয়তার পথে ছুটে চলার ছবি। ঘর ভাড়া দিতে না পারা অক্ষম মানুষের মুখ, দেখছি তাও।
ব্লগের শিলাপটে সে চিত্রই এঁকে গেছি এই ভরষায় যে, একদিন ফিরে আসা সেই আগের পৃথিবীতেই বসে স্মৃতির পাতা উল্টে উল্টে দেখা যায়.................
সাদাকালো এই মন্তব্যে দেখছি অনেক রংয়ের খেলা। মন্তব্য- লাইকড......
ভালো থাকুন , থাকুন নিরাপদে।
৩০| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে কবিতাটি পাঠ করলাম ।
অমিত্রাক্ষর ছন্দের আবহে অভিনবরূপে সমিল মুক্তক ছন্দ বা অন্ত্যানুপ্রাসযুক্ত মুক্তবন্ধ ছন্দ কিংবা
পাশ্চাত্য সাহিত্যে বহুল ব্যবহূত free verse বা verse-libre এর প্রতিরূপটিও ধরা পড়ে কবিতাটিতে ।
এরকম একটি কবিতা লেখা খুব একটা সহজ কর্ম নয় , এই করোনা কালীন সময়ে আপনি তা লিখে দেখালেন।
এ কবিতার ভাষা সহজ , তবে ভাবে দীপ্ত, শাণিত ও উজ্জ্বল। এর সমিল মুক্তক ছন্দের গতিময়তা ও
ভাষার সংহতি মিলিয়ে করোনাকালীন দুর্বিসহ সময়ের যাতনাময় বক্তব্যকে কাব্যিক রূপ দেওয়ার কারণে
এর আঙ্গিক একটি বিশিষ্টরূপ লাভ করেছে বলেই মনে হল । কবিতাটির শৈল্পিক আঙ্গিকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য
হলো এই দু:সময়ে নাগরিক জীবনের অভাব মিশ্রিত গ্লানিময় সময়ের বক্তব্যকে সার্বজনিনতায়
মানবিক মুল্যবোধে তীক্ষ্ণ করে তোলা হয়েছে । যথা:-
কতো দিন ভেবেছি কি করি , কি করি……
শেষে,সবজী নিয়ে পথে পথে ঠেলাগাড়ি
ঠেলে কেটেছে ক’দিন,ক’দিন মাস্ক হাতে
এখানে ওখানে, আমার চলেছে দিন কোনমতে।
বাড়িতে আমার কারা কেমন আছে জানিনা ,চলছে দিন কি করে
তাদের,সব দানাপানি বাড়ন্ত যে ঘরে!
আমি তাই চলে যাব সব ফেলে পিছে
এই আতঙ্কগ্রস্থ –স্থবির লোকালয়ে আর পড়ে থাকা মিছে।
কবিতাটি পাঠে মনে হলো এটা যেন করোনাক্রান্ত পৃথিবীর শোষিত-নিপীড়িত
মানবের পক্ষাবলম্বনকারী মানবিক চেতনার সম্মিলনে একটি
বিশিষ্ট কাব্যরূপ লাভ করেছে।
কবিতায় আতঙ্কগ্রস্থ–স্থবির লোকালয়ে আর পড়ে থাকা মিছে মনে করে
একবুক কষ্ট বুকে নিয়ে কবিতার শেষ চড়নে দেখা যায় হয়েছে বলা
আমি তাই চলে যাচ্ছি ছেড়ে তোদের নষ্ট এ নীড়.....
তবে এ কষ্টের মাঝেও চলে যাওয়ার সময় দেখা যায়
বুকে আঁকা রয়েছে এক রাশ আশার স্বপ্ন কথা যথা-
কবে ফিরে পাব সেই চেনা শহর,ফিরে পাব সেই মানুষের ভির ।
আমরাও আশায় আছি সেই দিন টার ।
এখানে উল্লেখ্য মুক্তিযুদ্ধের সেই বিভিশিকাময় দিনগুলিসহ এই মহামারী করোনার কালে
লোকজন শহর ছেড়ে গ্রামমুখী হয় দলে দলে । তাইতো নাগরিক জীবনে কিছু মানুষের কষ্ট
আর অনাকাংখীত আশংকার কথা বিবেচনায় নিয়ে অনেকের সাথে সুর মিলিয়ে আমিও
বলেছিলাম শহর ছেড়ে গ্রামেই চল যাই ফিরে , প্রয়োজনে সেখানেই গড়ে তুলি বহুতল ভবন।
জীবনের প্রয়োজনীয় খাত গুলি বিকেন্দ্রিকরণ করে গ্রামীণ পরিবেশে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড করি সৃজন ।
গ্রামীণ জীবনে অভাব অনটন গোচানো গেলে গ্রামে চল, গ্রামে চল বলে
কবিতা আর গানে সুর উঠত সবখানে । মনে সর্বদাই বাজে একটি কথা,
গ্রামীন জীবনে সানন্দ চিত্তে ফিরে যাওয়ার তরে সকলে মিলে একটি
সুন্দর আকর্ষনীয় পরিবেশ ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গড়ে তুলি সেখানে ।
করোনাকালীন দুর্বিসহ জীবনগাথা সমৃদ্ধ কবিতায় মুগ্ধ ।
যাওয়ার বেলায় প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
স্বীকার করতে দোষ নেই, আমি কবিতা লেখার ব্যকরণ জানিনে মোটেও। এই যে আমার এই কবিতাটিকে "সমিল মুক্তক ছন্দ বা অন্ত্যানুপ্রাসযুক্ত মুক্তবন্ধ ছন্দ'" বললেন , আমি কিন্তু সচেতন ভাবে কোনও ঢং অনুসারে লিখিনি। প্রথমে লিখেছিলুম অন্যভাবে , দেখি যে মিল হয়ে যাচ্ছে শব্দ জুড়তে গিয়ে এবং সেটা তেমন শ্রুতিমধুর না হলেও চলনসই। তাই ভাবলুম, এভাবেই লাইনে লাইনেই মিল রেখে যাই , দেখি কি হয়!
ব্যাপারটা একেবারেই কাকতালীয়।
এমন লেখা যে আপনাদের প্রশংসা ধন্য হবে ভাবতেই পারিনি।
"কবিতাটির শৈল্পিক আঙ্গিকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এই দু:সময়ে নাগরিক জীবনের অভাব মিশ্রিত গ্লানিময় সময়ের বক্তব্যকে সার্বজনিনতায় মানবিক মুল্যবোধে তীক্ষ্ণ করে তোলা হয়েছে ।" আপনার মন্তব্যের এই লাইনটিতে বলতেই হয় - আসলেই এই ক্রান্তিকালীন সময়ের একটা স্বাক্ষী রাখার মানসেই কবিতাটি লেখা।
কবিতার পর্যালোচনার পাশাপাশি শান্তির নীড় গ্রামে ফিরে যাবার নিঃশব্দ আহ্বানও কিন্তু দারুন মুন্সিয়ানায় জানিয়ে গেছেন এখানে। আপনার এমন অভিলাষে শ্রদ্ধা জানাতেই হয় । কানে বেজে যেতে দিতেই হয় সেই অবিস্মরণীয় গান-- গ্রামছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ...........
পরিশীলিত মন্তব্য, কবিতায় মুগ্ধতা, প্রিয়তে নেয়া সব মিলিয়ে কৃতজ্ঞতায় আটকে ফেললেন।
শুভকামনা আপনার জন্যেও। ভালো থাকুন , থাকুন নিরাপদে...................
৩১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নিদারুণ কঠোর এক বাস্তব !
সত্যি ই জানি না আবার কবে পৃথিবী নিঃশ্বাস নেবে!
ভালোলাগা ++
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
নিদারুণ কঠোর এক বাস্তবতার জন্যেই তো এই কবিতার জন্ম।
তুলে ধরেছি এক অনাকাঙ্খিত ছবি। এই করোনাকালে কি নিদারূন কাটছে মানুষের দিন! সে খবরই তো আমরা দেখছি, শুনছি নিত্যদিন। দেখছি স্কুল বন্ধ থাকাতে শিক্ষকেরা স্কুলের সামনে আম বিক্রি করছেন, কেউ করছেন গ্লাভস-মাস্ক বিক্রি। দেখছি টিভির সংবাদে, পিক-আপে লটবহর উঠিয়ে অসহায় মানুষদের অনিশ্চয়তার পথে ছুটে চলার ছবি। ঘর ভাড়া দিতে না পারা অক্ষম মানুষের মুখ, দেখছি তাও।
ব্লগের শিলাপটে সে চিত্রই এঁকে গেছি এই ভরষায় যে, একদিন ফিরে আসা সেই আগের পৃথিবীতেই বসে স্মৃতির পাতা উল্টে পাল্টে যেন দেখা যায়.........."একদিন ছিলো যে করোনার দিন।"
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছান্তে।
৩২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: ++++++++++++++++++++++। মধ্যবিত্ত শ্রেনী মনে হচ্ছে হারিয়ে যাবে।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
মধ্যবিত্ত শ্রেনী মনে হয় অর্থ-বিত্তের লিষ্ট থেকে হারিয়ে যাবেনা। দুই ধাঁপ পিছিয়ে হত দরিদ্র হবে।
মন্তব্যে এতো প্লাস দেখে শিহরিত।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৮
লরুজন বলেছেন: অল্প কথায় মনের ভাব প্রকাশের নাম যদি কবিতা হয় তাহলে আপনি সার্থক।
গরীর আরও গরীব হবে।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: লরুজন,
অল্প কথা কই দেখলেন !! কত্তো কত্তো কথা দিয়ে লম্বা করে লিখলুম, তারপরেও বললেন অল্প কথা !!!!!!!
কবিতা অনেক রকম । শুধু কবিতাই নয়, কবিতার পাঠক ও অনেক রকম । কবিতা হলো স্প্রীংয়ের খাটের মতো , বসলেই দোলা দিয়ে যাবে । অল্প কথার এই লেখা যে আপনাকেও দোলা দিয়ে গেছে বুঝতে বাকী নেই ! তাই এটা কবিতা হয়েছে হয়তো !
এই যেমন আপনার নামটি "নজরুল" থেকে উল্টো করে লিখলেন "লরুজন" এও তো কবিতার মতো ধ্বনিময়। চারটি মাত্র অক্ষর- "লরুজন' কে উল্টো করে পড়লে চারশো'র মতো কবিতা লেখা এক কবির নাম-ই তো চলে আসে, তাইনা ?
সম্ভবত আমার ব্লগে প্রথম এলেন। স্বাগত জানাই।
শুভেচ্ছান্তে।
৩৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: লকডাউন
ভরপেট ঘরগুলোয়
আধাপেট মানুষের পায়চারি...
অন্তরিন সময়ের তিন লাইন, আপনার এখানে বলতে পারলাম।
ভালোবাসা জানবেন সুপ্রিয় আহমেদ জী এস ভাই।
২৭ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ ,
অন্তরীন সময়ের তিন তিনটি লাইন,
এইতো বলে গেলেন, ফাইন!!
ভরপেট ঘরগুলোয়
আধাপেট মানুষের পায়চারি...
চমৎকার রূপকল্প।
অনেকদিন পরে এলেন। দেহখানি না হয় অন্তরীন থাকুক , মনখানি যেন ব্লগেই থাকে।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
৩৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: করোনার করুণ চিত্র সুনিপুণ হাতে এঁকেছেন। দুঃসময়ের দলিল হিসেবে টিকে থাকবে এ কবিতা!
কবিতায় ভাল লাগা + +।
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
কবিতায় ভালো লাগা ও প্লাস দিয়ে এই দুঃসময়ের দলিলে একজন প্রজ্ঞাবান ব্লগারের স্বাক্ষর রেখে গেলেন।
শুভেচ্ছান্তে।
৩৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ৩, ১০, ২৪, ২৬, ২৯ ও ৩২ নং প্রতিমন্তব্যে চমৎকার কথা বলেছেন! +
মুক্তা নীল, নিঃশব্দ অভিযাত্রী, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, করুণাধারা, রাফা, নান্দনিক নন্দিনী এবং ডঃ এম এ আলী এর মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে। +
"কাব্যের একটা লাইনে ফুল তোলা রুমালের কথা আসায় অনেক স্মৃতি মনে পড়ল" - গিয়াস উদ্দিন লিটন এর এ মন্তব্যের আলোকে আপনার সাথে আমিও একটা স্মৃতিকথার গল্পের জোর দাবী জানাচ্ছি!
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
হা....হা...হা...... স্মৃতিকথার গল্পের জোর দাবী তো জানালেন কিন্তু গল্পটা লিখবে কে ? এই অধম না কি গিয়াস উদ্দিন লিটন !
গিয়াস উদ্দিন লিটন এর তো অনেক স্মৃতি নাকি মনে পড়ে গেছে!
দ্বিতীয় মন্তব্য করাতে আপনাকে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।
৩৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০
নাসরিন ইসলাম বলেছেন: করোনার ছোবলে অতিষ্ট জনদের বেদনায় আমরা সমব্যথী।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নাসরিন ইসলাম,
এই করোনার নিদান কালেও এখানে আসার জন্যে স্বাগতম।
করোনার ছোবলে অতিষ্ট জনদের বেদনায় আমরা যেমন সমব্যথী তেমনি সে বেদনা কালের কথা ব্লগের শিলাপটে এঁকে গেছি এই ভরষায় যে, একদিন ফিরে আসা সেই আগের পৃথিবীতে বসে সেই বেদনার স্মৃতির পাতা উল্টে পাল্টে যেন দেখা যায়.........."একদিন ছিলো যে করোনার দিন।"
৩৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: চমৎকার একটি কবিতা পড়ে গেলাম।
করোনাকালের নিঃস্ব অনুভূতি।
আপনার আঁকা ছবিটা দারুণ হয়েছে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢুকিচেপা,
সময়মতো এটা নজরে পড়েনি বলেই প্রতিমন্তব্য দিতে অনিচ্ছাকৃত দেরী হয়ে গেল - দুঃখিত ।
কোনদিকেই যেখানে যাওয়ার পথ রূদ্ধ হয়ে আছে এমন একটি কঠিন সময়কালকে ধরে রাখতে চেয়েছি শুধু । ছবিটাও তারই প্রতীক।
ভালো লেগেছে জেনে কৃতজ্ঞ ।
৩৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৬
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: বাহ!!
চমৎকার কবিতা লিখেন আপনি । ছবিটাও দারুন । আপনার লেখা পড়ে আনন্দিত হলাম।
ভালো থাকবেন।
শুভকামনায়
- দেয়ালিকা বিপাশা
৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: দেয়ালিকা বিপাশা,
ভালো লাগলো এখানে আপনাকে দেখে।
এই কবিতাখানি আপনাকে আনন্দ দিয়েছে ? এটা তো করোনার করুণ চিত্রে চিত্রিত। নিরানন্দ হবার কথা, তাইনা ?
ছবিটা দারুন, বলেছেন। খেয়াল করলে দেখবেন , আমার এমন সব পোষ্টে বেশীর ভাগ ছবিই আমার আঁকা।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৪০| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৩৪
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন:
আহমেদ জী এস,
আপনার কবিতা লেখার মুন্সিয়ানা চমৎকার। তাই পড়ে আনন্দিত হয়েছি।
কবিতার বিষয়বস্তুটি আনন্দিত হবার মতো না। ভালো থাকবেন।
শুভকামনা
- দেয়ালিকা বিপাশা
০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: দেয়ালিকা বিপাশা,
আবারও এখানে আসার জন্যে ধন্যবাদ।
আগের যে প্রতিমন্তব্যের জন্যে এখানে আপনার আসা সেটা নেহাৎই "জোক" করে বলা। ব্যথিত হলে ক্ষমাপ্রার্থী।
রাতের শুভেচ্ছা।
৪১| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৮
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আহমেদ জী এস
বাহ!! আপনি জোকও করতে পারেন !
আমি ভেবেছি আপনি সিরিয়াসলি বলেছেন সেজন্য প্রতিমন্তব্য করেছি কিন্তু ব্যথিত হই নি। জেনে খুশি হলাম।
শুভরাত্রি
- দেয়ালিকা বিপাশা
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: দেয়ালিকা বিপাশা,
জানেন নিশ্চয়ই, জোকস বা হাসির কিছু শরীর মনকে ঝরঝরে করে। হাসি একটা ভালো স্বাস্থ্য টনিক। কিন্তু জোর করে হাসলে হবেনা। হাসতে হবে প্রান খুলে তবেই তা প্রফুল্ল রাখবে শরীর ও মনকে।
আমি কেন জোক করতে পারবোনা ? কেন মনে হলো এমন ?
তাহলে আমিও যে জোক করতে পারি তার কিছু নমুনা দিচ্ছি -
“শরবতে শাহী” নয় “শরবতে ছহি”য়ের রেসিপি
পৃথিবী বিখ্যাত ব্যক্তিদের মা'য়েরা .............. এট্টুসখানি রম্য
এমনি আরো্ আছে।
শুভ সন্ধ্যা।
৪২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২২
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আমিও আপনার সঙ্গে জোক করেছি মন্তব্যের মাধ্যমে
আশা করি ভালো আছেন। আর লেখাগুলো সময় করে পড়ে নেব।
শুভ সন্ধ্যা
১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: দেয়ালিকা বিপাশা,
মন্তব্যের জবাব দিতে দেরী হওয়ার জন্যে দুঃখিত।
লিংক দেয়া লেখাগুলো পড়েছেন কি ?
শুভসন্ধ্যা আপনাকেও। আপনিও ভালো নিশ্চয়ই?
৪৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৫০
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আহমেদ জী এস,
আমিও দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনার দেয়া লিংক এর লেখাগুলো পড়ার কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। আপনি যদি প্রতি মন্তব্য করে মনে করিয়ে না দিতেন তাহলে হয়তো লেখাগুলো পড়াই হতো না। সেক্ষেত্রে হয়তো অসাধারণ কিছু লেখা মিস করে যেতাম। তাই ধন্যবাদ আপনাকে প্রতি মন্তব্যের জন্য।
শুভরাত্রি,
- দেয়ালিকা বিপাশা
২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: দেয়ালিকা বিপাশা,
নোটিফিকেশান আসেনি বলে মন্তব্যটি দেখতে পাইনি।
ভালো লাগলো আপনাকে আবারও এখানে দেখে।
শুভ সন্ধ্যা।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনুভবের গহন থেকে নিংড়ে আনা করোনা যাতনার চালচিত্র!
হাজারো লাখো উপন্যাসের চিত্রনাট্য লিখে গেছে করোনা করুনা না করেই!
দারুন কাব্য ভাল লাগা
+++