নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
খেসারত
৭১ টেলিভিষণে টক’শোতে “একাত্তর জার্নাল” দেখছিলাম ৬ই অক্টোবর’২০ তারিখ রাতে। দেশজুড়ে নারী নির্যাতনের মহমারী, বিচার না পেয়ে ধর্ষিতা বাংলাদেশের খবরের মাঝে দর্শক-শ্রোতাদের ফেসবুকে পাঠানো অনেকগুলো মন্তব্যের বক্তব্য ছিল মোটামুটি এমন -“সামনে আরো অন্ধকার, রোহিঙ্গারা শাসন করবে কক্সবাজার”। আমন্ত্রিত বক্তা ও সঞ্চালিকাও নিজেদের মাঝে স্বগোতোক্তি করছিলেন এই বলে - একদিন এরাই হয়তো বাঙলাদেশও শাসন করবে। আতঙ্কের কথা জানাচ্ছিলেন তারা।
এই টক’শোটি দেখে এবং টিভিতে গত কয়েকদিনের সংবাদ শুনে, পত্রিকায় এমন সব সংবাদ পড়ে আমি মহাবেকুব জাতক, সেই থেকেই ভেবে মরছি, মানবতা দেখিয়ে আমরা নিজেদের লেজ এমন করে পোড়ালাম কেন ! আগুনে লেজ পোড়ানোর শুরু তো সেই ২০১৭ সাল থেকেই। এখন দেখছি যে, নিজের ঘরেই লাগতে যাচ্ছে সেই আগুন।
খবরগুলো আর কিছুই নয় , কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে গত ৪ঠা অক্টোবর. ২০২০ রাতভর নাকি গোলাগুলি চলেছে, মরেছে ২জন , আহত অনেক। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপের এমন মরন মরন খেলা।
৬ই অক্টোবর’২০ তারিখের সংবাদ - দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর সংঘর্ষে আবারও ৪ জন নিহত হয়েছেন।গত শনিবার থেকে একনাগাড়ে চলছে এই সংঘর্ষ।
এসব নতুন কিছু নয়, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে এসব নিত্যদিনের ব্যাপার।
বিশ্বের সবচাইতে বড় শরণার্থী শিবির এখন উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প।
মহাবেকুব বলে পুরোনো বস্তাপঁচা আরও একটি খবর এই ফাঁকে মাথার মধ্যে চট করে পাঁক খেয়ে গেলো -
বেশ কিছুদিন আগে মামুবাড়ীর আবদারের মতো সৌদি আরব সরকার বলেছে, তাদের দেশে অবস্থানকারী ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিতে হবে। বাংলাদেশ যদি এটি না করে তাহলে সৌদিতে কর্মরত ২০ লাখ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এই মহাবেকুবের মনে হয়েছে, এর চেয়ে একটা মিজাইল ছুঁড়লেও এতো ভয়ের কিছু ছিলোনা। কারন-৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ পাসপোর্ট দিলে বড় একটি তুরুপের তাস হাতে পেয়ে যাবে মিয়ানমার। এতদিন ধরে তারা যে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে এই বলে যে, রোহিঙ্গারা আসলে বাংলাদেশের নাগরিক, সেটা সত্যে পরিণত হবে। তারা আরও জোরালোভাবে বলতে পারবে রোহিঙ্গা আসলেই বাংলাদেশের নাগরিক। তাহলে রোহিঙ্গাদের আর কোনো দিন মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই আসবেনা।
বেকুব বলে, রোহিঙ্গাদের যতো অপকর্ম আর তাদের ঔদ্ধত্য আর বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুলো দেখানো নিয়ে এরকম ঘটনাগুলো কোনসূত্রে যে গাঁথা তা বুঝে উঠতে পারিনে। আপনারা পারেন কিনা তাও বোঝা যাচ্ছেনা!
কথায় আছে সময়ের ১ ফোঁড় অসময়ের ১০ ফোঁড়ের সমান। আমরা কোন ফোঁড়ের মধ্যে যে আছি বুঝে উঠতে পারছিনে তাও।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমস্যায় প্রথম ফোঁড়টি আমরা দিতে পারিনি সময় মতো। আমরা আহাম্মক দেশবাসী তখন মানবতার নিশান উড়িয়ে সাদরে তাদের জামাই আদরে পালঙ্কে বসতে দিয়েছি। এখন তারা শুতে চাইছে , চাইছে তাদের পিঠটাকে যেন আমরা চুলকেও দেই। সেই সময় থেকে এ সংকটের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতার ব্যাপক বিস্তার ঘটলেও এ সংকটে আমরা জড়িয়ে পড়েছিলাম আরও আগে,১৯৭৮ সাল থেকে।
সমস্যাটি আজকে যে রূপ নিয়েছে, বাংলাদেশের সব সরকারই তা সময়মতো অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। অসময়ের শুরু তখন থেকেই। দীর্ঘদিন যাবৎ বিশাল সংখ্যক হিসাবহীন রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে কক্সবাজারে অবস্থান করতে দিয়ে যে ফোঁড়াটি আমাদের শরীরে লালন করেছি তা এখন বিষফোঁড়ার মতো হয়ে উঠেছে।
শুরুটা হয় ১৯৭৭-৭৮ সালে প্রথমবার এবং ১৯৯০-৯১ সালে দ্বিতীয়বার। ঐ সময় আরাকান থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সে সময়ে বাংলাদেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সামরিক সরকার তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারনে এবং পরিস্থিতির দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় স্থায়ীভাবে এ সমস্যার সঙ্গে বাংলাদেশ জড়িয়ে পড়ে আষ্টেপৃষ্টে। তখন সমস্যাটিকে ধর্মীয়করণ এবং ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করায় বাংলাদেশের জন্য সেটি হিতে বিপরীত হয়ে ওঠে। “মুসলমান , মুসলমান ভাই ভাই” এই অকার্যকর ও অদূরদর্শী একটি আওয়াজের কারনে রোহিঙ্গা শরনার্থীরা ভেবেই নিয়েছে যে, বাংলাদেশ তাদের জন্য সহজ আশ্রয়স্থল। এখানে বসতে চাইলে শুতেও পারা যাবে। এমনকি সময়মতো পিঠ চুলকে দিতেও বলা যাবে!
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর বাংলাদেশে উগ্র ইসলামিস্ট সাম্প্রদায়িক শক্তির যে উত্থান ঘটে, তাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার আওতায় প্রতিবেশী ভারত ও বার্মায় উগ্রবাদের বিস্তার ঘটানোর চেষ্টা চলে। ইসলামিস্ট উগ্রবাদী শক্তি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্রমশ শক্তিশালী হওয়ায় নির্যাতিত-নিপীড়িত রোহিঙ্গারা মুসলিম পরিচয় সূত্রে বাংলাদেশের ইসলামিস্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠীর আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং সাহায্য-সহযোগিতা পেতে থাকে। গড়ে ওঠে বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ।
সকল সরকারের দূরদৃষ্টির অভাব, আষাঢ়ে মেঘ চিনতে না পারার অক্ষমতার ফাঁকেই নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা অবৈধভাবে কক্সবাজারে এসে বসতি গড়ে তোলে। পার্শ্ববর্তী দেশের এত বিপুল সংখ্যক নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং বসতি স্থাপন কতদিক থেকে কতভাবে যে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে তা বোধহয় কেউ ভেবে দেখেননি বা কারও বুদ্ধিতেও কুলোয়নি তখন। জানিনা, তারা এটা নিয়ে অন্য কোনও হিসেব নিকেষে ব্যস্ত ছিলেন কিনা !
কারা আসছে, যাচ্ছে, থাকছে তার কোনো গণনা, নিবন্ধন এবং নিয়ন্ত্রণ কোনো কিছুই করা হয়নি। ফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ও তার পরবর্তী এক মাসের মধ্যে পাঁচ লাখ এবং পরে আরও দুই লাখ, মোট সাত লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাতে আগের সহ মোট ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ এবং ঘাটি গেড়ে বসেছে । সবার ওপরে মানবতা। বাংলাদেশ তা প্রমাণ করেছে এবং নিজের মৃত্যুঘন্টাও বাজিয়ে দিয়েছে।
এ হলো “মেঘনায় কতো জল” প্রমান করার মতো । ছোটবেলায় পাঠ্যবইতে এমন একটি গল্প পড়েছিলাম। মেঘনার জল মাপতে গিয়ে বালক নায়কের সলিল সমাধি ঘটার কাহিনী। মানবতার প্রমান দিতে গিয়ে আমাদের অবস্থা এখন ডুবে মরারই মতো।
বছর খানেক আগে সময় টিভির সাথে এক স্বাক্ষাতকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, “মিয়ানমারের রাষ্ট্রনায়ককে আমরা বলে আসছি, তারা যদি মীমাংসা না করে তাহলে রোহিঙ্গারা যে কোন চ্যালেঞ্জ নিতে পারে। তখন তাদের থামানো আমাদের জন্য কষ্টকর হবে। মিয়ানমার দ্রুত ফিরিয়ে না নিলে, রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্রীড়নক হতে পারে। যে সন্ত্রাস শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বের জন্য হুমকি।“
আমি মহাবেকুব তাই খামোখাই হিসেব করি, এই যে ১১ লাখ রোহিঙ্গা এদের মধ্যে অর্ধেকই তো শিশু-কিশোর। তার উপরে ২৫শে আগষ্টে আসা রোহিঙ্গা নারীদের ১০ হাযারই নাকি ছিলো গর্ভবতী। এখন এই তিন বছরে গর্ভবতীর এই সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। এই গর্ভের সবাই তো ভুমিষ্ঠ হবে, বড় হবে। আর ৪/৫ লাখ শিশু কিশোর তো রয়েছেই। নিজ দেশে নির্মমতার শিকার হয়ে ভিটে-মাটি ছাড়া এই সব শিশু-কিশোরদের ক্ষোভ, হতাশা, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা লালন করাই তো স্বাভাবিক। এদের একটা স্বল্প সংখ্যাও যদি সন্ত্রাস এবং বিদ্রোহের পথ বেছে নেয় তাহলে পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ?
আপনি কি ভেবেছেন, চিত্রটি কতো ভয়ঙ্কর?
দিনে দিনে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের বড় একটি অংশ। মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে তাদের অপরাধ। এর ধারাবাহিকতাতেই শুরুর ঘটনাগুলোর মতো ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। রোহিঙ্গাদের এমন মারমুখী আক্রমণ থেকে রেহাই মিলছে না কারোরই। শুধু নিজ গোত্রের গণ্ডিতে এখন আর সীমাবদ্ধ নেই তাদের অপরাধ কার্যক্রম। ইতিমধ্যে তাদের রোষানলে পড়ে একাধিকবার লাঞ্ছিত হয়েছেন দেশি-বিদেশি সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, বিদেশি পরিদর্শক দলের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। থানা লুট করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার মতো দুঃসাহসও দেখিয়েছে তারা।
অন্যদিকে ইয়াবা পাচারের সাথে বলতে গেলে এখন প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারই জড়িয়ে পড়েছে । বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তের মধ্যে অন্তত ৫৪ কিলোমিটার কাঁটাতারবিহীন খোলা, অরক্ষিত পথে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে রোহিঙ্গা নারী, কিশোর ও পুরুষরা। পাশাপাশি নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে এই ব্যবসায়। ইয়াবার পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে গোপনে অবৈধ অস্ত্র এনে সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করছে।
ডাকাতি, লুটপাটসহ নানাবিধ অভিযোগও রয়েছে এই সব রোহিঙ্গাদের বিরূদ্ধে ।
একে-৪৭ রাইফেলসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রও নাকি রয়েছে তাদের ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন রোহিঙ্গা অপরাধীরা।
অন্যদিকে এই অরাজকতার সাথে পাল্লা দিয়ে দিন দিন দেহব্যবসার সাথে অধিকহারে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরীরা।
পত্রিকান্তরে জেনেছি, বছর কয়েক আগে থেকেই এ পেশায় জড়িত ছিল প্রায় পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী। এখন নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে থেকে ১০ হাজারের মতো নারী ও কিশোরী দালালের মাধ্যমে এ পেশায় ঢুকে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। তবে এর মধ্যে হয়তো তারা এই ব্যবসায় ঢুকেও গেছে। তবে কতজন যুবতী বা নারী ও কিশোরী এ ব্যবসায় এ পর্যন্ত জড়িয়ে পড়েছে সে হিসাব নেই জাতিসংঘের কোনো এজেন্সির কাছে।
বেকুব বলেই এই প্রশ্নটা মাথায় আসে - শুধু অভাবের তাড়নায়, না কি তাদের চরিত্রগত অসাধুতার কারনেই ঐসব যাবতীয় অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে তারা ?
সমাজবিদ আর মনোসমীক্ষকরাই এর জবাব দিতে পারবেন। আমার মতো বেকুবের কর্ম নয় এটা। তবে এসবের কারনে সমাজে যে অনাচার - আতঙ্ক তৈরী হচ্ছে তা বুঝতে বুদ্ধিমান হওয়ার দরকার নেই।
এসবের ফাঁকে একটা বিষয় অনেকেরই চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। তা হলো রোহিঙ্গাদের হাতে হাতে থাকা দেশীয় অপারেটরদের মোবাইল ফোন। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের কাছে অন্তত পাঁচ লক্ষ মোবাইল রয়েছে। তাদের সমস্ত অপরাধে সহায়ক হচ্ছে এই মোবাইল ফোন।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গুরুত্ব বিবেচনা, আইন-শৃংখলা রক্ষা ও জনসুরক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের আর মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ না দেয়ার জন্য নাকি অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে ।
মহাবেকুব ভেবে পায়না, মোবাইল অপারেটরদের এতো সাহস হলো কি করে যে, সরকারী নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই লক্ষ লক্ষ মোবাইল সিম তারা রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দিয়েছে, এবং এখনও দিচ্ছে ? সাথে রয়েছে আমাদের আহাম্মক জণগনের সুবিধাবাদী ও ধান্ধাবাজ একটি অংশ যারা রোহিঙ্গাদের এসব সিম জোগাড় করে দিচ্ছেন দু’টো পয়সা কামানোর আশায়। ভেবে পাইনা, দেশের নিরাপত্তার চেয়েও তাদের কাছে ব্যবসাটাই বড় হয় কি করে ?
মহাবেকুবী ভাবনা থেকেই এই জাতক জানতে চায় -বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমের নিবন্ধন হলে এই সব মোবাইল সিম এই পাঁচ লক্ষ রোহিঙ্গাদের হাতে গেলো কি করে ?
এসব চিহ্ণিত করে কি বন্ধ করে দেয়া যায়না ?
এটা কি খুবই কষ্টসাধ্য কিছু ? সরকার কি কঠোর হতে পারবেন এখানে, নাকি বেনিয়াগোষ্ঠির কাছে হেরে যাবেন ? নেটওয়র্ক বন্ধ করা হয়েছিলো বটে কিন্তু মানবদরদী গোষ্ঠিগুলোর চিল্লাচিল্লিতে তা আর এখন কার্যকর নেই। হেরে গেছেন সরকার।
সব থেকে চরম বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয়রা। এই ৮-৯ লাখ অবাঞ্ছিত ও দূর্বিনীত মানুষের চাপের প্রভাব স্থানীয়ভাবে এখনই দেখা যাচ্ছে৷ কক্সবাজার এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে ৷ তাদের থাকার জন্য বন এবং পাহাড় কাটা হচ্ছে ৷ স্থানীয় অধিবাসীদের চেয়ে এখন রোহিঙ্গা সেখানে বেশি ৷ রোহিঙ্গা জনসংখ্যা সামনে জ্যামিতিক হারে আরো বাড়বে ৷
এতে বাড়বে নিরাপত্তা ঝুঁকি. বাড়বে সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরের কোনোটি ঘিরেই সম্ভবত নেই যথেষ্ট পরিমানের কাঁটাতারের বেড়া। অবশ্য কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে একটি জায়গাতে আটকে রাখা সম্ভবও নয়। শিবিরের আয়তন প্রায় ১০ হাজার একর। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২৫ আগস্ট ২০১৭-র পর ৭ লাখ ৪১ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আগের প্রায় ৩ লাখের অধিক রোহিঙ্গার সঙ্গে তাদের ঠাঁই হয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে।
কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত একটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের দৃশ্য। ছবি: এএফপি ফাইল ফটো ।
কক্সবাজারের উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সড়কের দু'পাশে পলিথিন দিয়ে বানানো হয়েছে শত শত ঝুপড়িঘর৷ যতদূর চোখ যায় একই চিত্র৷ পাহাড়-বনাঞ্চল এখন আর কিছুই চোখে পড়ে না৷ পাহাড়গুলো কেটে বানানো হয়েছে এই ঝুপড়িঘরগুলো ৷ বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, সাড়ে চার হাজার একর পাহাড় কেটে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য বসতি করা হয়েছে৷ এই ঝুপড়িঘরগুলো রোহিঙ্গারা নিজেরাই তৈরি করেছে৷ ফলে ওই এলাকায় ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷
পরিবেশ এবং বনভূমির কথা চিন্তা করলে রোহিঙ্গাদের জন্য বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ৷ সবাইকে রান্না করে খেতে হচ্ছে ৷ এক লক্ষ চুলা যদি থাকে, সেই এক লক্ষ চুলার জন্য প্রতিদিন যদি ন্যূনতম পাঁচ কেজি জ্বালানি ধরা হয়, তাহলে প্রতিদিন পাঁচ লক্ষ কেজি কাঠ পুড়ছে ৷ এগুলো কোনো না কোনোভাবে আমাদের উখিয়া টেকনাফের জঙ্গল থেকেই যাচ্ছে ৷ এই অবস্থা অব্যহত থাকলে বনভূমি উজার হয়ে যাবে ৷ বাড়বে পাহাড় ধ্বস, উষ্ণায়নের কবলে পড়বে দেশ।
এই পাহাড়গুলো ১৫-২০ মিলিয়ন বছরের (দেড় থেকে দু'কোটি বছর) পুরনো৷ এর একটা প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক মূল্য আছে।
স্থানীয় পরিবেশবাদীদের হিসাব অনুসারে, এই সব পাহাড় সহ পাহাড়ের আশেপাশের জায়গা ধরলে রোহিঙ্গাদের বস্তির জায়গার পরিমাণ সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার একর ৷
১১/১২ লাখ বা তারও বেশী মানুষের জন্যে এতোবড় পাহাড়ি এলাকাও কিন্তু যথেষ্ট নয়। এইসব ক্যাম্পগুলো এক একটা ঠাসা বস্তির চেয়েও অস্বাস্থ্যকরভাবে ও অস্বাভাবিক পরিবেশ নিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে দিনে দিনে। সেখানে এখন নিত্য দিন চলছে হানাহানি সহ যতো ধরনের অপরাধ আছে তার সব।
হবে না-ই বা কেন ?
শরনার্থী হিসেবে এদের নেই কর্মসংস্থানের বৈধ সুযোগ। আশ্রিত রোহিঙ্গা তরুণরা সপ্তাহে একদিন রেশন তুলবে আর বাকি দিনগুলো কি বসে থাকবে ? তাই দেশের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ার জন্যে এরা স্বাভাবিক ভাবেই মরিয়া হয়ে উঠবে। রোহিঙ্গা নারীরা নিরাপদ জীবনের আশায় দেশীয় পুরুষদের গলায় ঝুলে পড়তে চাইবে। হচ্ছেও তাই।
দেশীয় দালালদের সহায়তায় এরা ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করছে। মাত্র ১৪/১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের ন্যাশনাল আইডি (এনআইডি) পাচ্ছে এই সব রোহিঙ্গারা ৷ এই এনআইডি’র সুবাদে দালালদের হাত ঘুরে রোহিঙ্গা নারীরা পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের ভেতরে এবং বাইরে।
( সৌদি আরব সেকারনেই সুযোগ পেয়েছে বলতে যে, সৌদিতে থাকা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিতে হবে।)
এসবই কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। ঠেকাবে কে ?
উখিয়া ও টেকনাফের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় সূত্র মতে,রোহিঙ্গাদের নিয়ে গড়ে ওঠা সব ব্যবসায় অর্থায়নসহ পৃষ্ঠপোষকতা করেন এক ডজনেরও বেশি জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও ডিলার।
এসব ক্ষতির পাশাপাশি সরকারের ক্ষতিও কম নয় । বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুসারে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৬০২ মার্কিন ডলার ৷ সেই হিসাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই ৭ লাখ রোহিঙ্গার মাথাপিছু আয় হওয়ার কথা ১১২ কোটি ডলার বা ৮ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা৷ কিন্তু আশ্রিত হিসেবে রোহিঙ্গাদের আয়ের কোনো উৎস নেই৷ জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ব্যয় প্রায় ৭০০ ডলার৷ কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যয় থাকলেও বৈধপথে আয়ের কোনো উৎস নেই৷ সেই হিসাবে এই ৭ লাখ রোহিঙ্গার পেছনে সরকারের বছরে ব্যয় হবে প্রায় ৪৯ কোটি ডলার বা ৩ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা, যা অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে একটি বড় হুমকি ৷
রোহিঙ্গাদের কারণে এর মধ্যেই বাংলাদেশ বড় ধরনের আর্থিক চাপে পড়ে গেছে। তার উপরে রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পেছনে বাড়তি অনেক খরচ। সেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি সহ বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন নিয়োগ করতে হয়েছে ৷ এর ফলে রাষ্ট্রীয় ব্যয় বেড়েছে ৷ আর এই ব্যয়টা খরচ হচ্ছে বাজেট থেকে ৷ অথচ রোহিঙ্গা শরনার্থীরা না থাকলে এই টাকা অন্য জায়গায় ব্যয় করা যেত ৷ সেটা করা গেলে দেশের কিছু মানুষ তো অন্তত ভালো থাকতো।'
এদেরকে না বসিয়ে শ্রমের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্পের আওতায় এলাকার রাস্তাঘাট নির্মান, সংষ্কার, পাহাড় ও বনাঞ্চল সংরক্ষনের মতো কাজে লাগানো যেতে পারতো।
মানবতায় যারা উথলে ওঠেন ক্ষনে ক্ষনে, তাদের কেউ কেউ হয়তো বলবেন, শরনার্থীদের দিয়ে শ্রম করানোর নিয়ম আন্তর্জাতিক শরনার্থী আইনে নেই।
আমি মহাবেকুব অতো কিছু বুঝিনা।
সহজ সরল ভাবে এটা বুঝি যে, এই শরনার্থীদের আর ইহকালে নিজ দেশে ফেরৎ পাঠানো যাবেনা । এরা দেশী বিদেশী স্বার্থান্বেষী মহলের মদদে দেশটাকে বাপ-দাদার সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে এর মধ্যেই। নইলে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থী রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে সরকার যেখানে চেষ্টা করছে এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজেই যেখানে বলেছেন, পাহাড় কেটে নতুন করে আর রোহিঙ্গা ক্যাম্প করা যাবেনা, সেখানে “এনজিওগুলো“র উখিয়ায় পাহাড় কেটে নতুন করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প তৈরি করে দুঃসাহস দেখানোর কথা নয় ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে আরও রোহিঙ্গা নিয়ে আসার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে কিছু এনজিও এবং আইএনজিও লন্ডাখালীতে ক্যাম্প তৈরি করেছে।
কেন ?
রোহিঙ্গারা যদি এদেশে আসতে না পারে বা এদেশ থেকে তাদের চলে যেতে হয় তাহলে ঐসব প্রতিষ্ঠানগুলোর আর কোনো কাজ থাকবে না এবং পকেটে পয়সাও জুটবেনা , তাই?
আরো ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, ক্যাম্প এলাকায় এনজিওরা নতুন কী করছে তা স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টির বাইরেই থাকছে। ক্যাম্পের কার্যক্রম দেখভাল করেন ক্যাম্প ইনচার্জরা, সেখানে নাকি প্রশাসনের প্রবেশাধিকার নেই। এমনটাই বলেছেন স্থানীয় প্রশাসন।
গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মতো জুটেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশের বিরূদ্ধে সুগোপনে পরিচালিত কার্যক্রমের আওতায় জামাই আবদার তুলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা বলছে - বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে, তাদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। “লেট আস স্পিক ফর আওয়ার রাইটস” শীর্ষক এক ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অংশগ্রহণ না থাকার প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ না থাকায় তাদের মানবাধিকার চর্চা বিঘ্নিত হচ্ছে।
এখন তো মহাবেকুব জাতক গালে হাত দিয়ে ভাবতেই পারে - কেন ? যাদের কারণে কক্সবাজার ও সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে গত কয়েক বছর ধরে, পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে স্থানীয়দের সামাজিক-অর্থনৈতিক, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক নিরাপত্তার অধিকারসমূহ, তাদের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্যেই শুধু এই মায়া কান্না কেন ? তারা কথা বলবে মায়ানমার সরকারের সাথে। বাংলাদেশ সরকার তার নিজের নিরাপত্তা - অর্থনৈতিক সামর্থের দিকে নজর রেখে যা বলবেন এই অসংযত ও “লাই” পাওয়া শরণার্থীদের সেসব কথাই শুনতে হবে।
তারা কি তা শুনছে ?
মানবতার দিকে তাকিয়ে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের অন্ধকার থেকে টেনে ভাসানচরের আলোকিত অভয়ারণ্যে তুলতে চেয়েছিলেন। দেশের লাখ লাখ গৃহহীন ছন্নছাড়া মানুষদের অধিকার ছিন্ন করে এই যে জামাই আদর রোহিঙ্গাদের করা হয়েছে সেটা কি তারা মেনে নিয়েছে ? এর চেয়ে আর কতো জামাই আদর রোহিঙ্গারা পেতে চায় ?
বরং ভাসানচর সফরে যাওয়া শরণার্থীরা অ্যামনেস্টিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছে এই বলে , ৫০ বর্গফুটের একটি ঘরে দুই থেকে পাঁচজন মানুষের গাদাগাদি করে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব নয় ।
আমার মতো বেকুব যদি কেউ থাকেন তবে এমন প্রশ্ন রোহিঙ্গাদের দিকে ছুঁড়ে দিতেই পারেন -“আরে পেয়ারে ভাইজান! মায়ানমারে কোন ফাইভ ষ্টার হোটেলে ছিলেন এতোদিন আপনারা ? এখন কক্সবাজারেই বা কোন ষ্টার হোটেলে আপনাদের জায়গা হয়েছে ?”
উল্লেখিত টক’শোতে একজনের ফেসবুকীয় মন্তব্য ছিলো এরকমের - “ আমি মিয়ানমারে থাকা এক বন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলাম, তোমরা রোহিঙ্গাদের এতো নির্যাতন করে তাড়ালে কেন ? উত্তরে সে বললো - “ কেন ? এখন তোমরা বুঝবে রোহিঙ্গা কী জিনিষ !!!!”
আসলেই, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে; সুঁই হয়ে ঢুকে পড়ে ফাল হয়ে বেরুনো রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী নাগরিক তালিকায় আত্মীকরণ করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনও রাস্তা মনে হয় খোলা নেই। নইলে সমগ্র চট্টগ্রাম এলাকাটাকেই তারা বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে একসময় !
এখন বেকুবের মতো বলতেই হয় , সে প্রস্তুতি আমরা কেন করে রাখছিনা ?
বিশ্ব মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার বিভীষিকা দেখে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে এইসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন তিনি কি দেশের সার্বভৌমত্ব- রাজনৈতিক-ভৌগলিক- আর্থ সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে আর একবার ভেবে দেখবেন, এদের জামাই আদর করেই যাবেন, না কি তাদের কর্মকান্ড দেখে অপাত্রে মানবতা ঢালার কথা ভুলে যাবেন ....................?????
সূত্র -
বাংলাদেশ জার্নাল, আমাদের সময়, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডয়েচে ভেল, দ্য ডেইলী ষ্টার, কালের কন্ঠ, বিবিসি নিউজ বাংলা, ভোরের কাগজ, সমকাল, প্রথম আলো, নিউজ২৪ ইত্যাদি দৈনিক পত্রিকা-
এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেল।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি সাজিদ,
প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
মানবিক হোক আর অমানবিক হোক, বিষয়টিকে হাল্কা করে দেখে আমরাই আমাদের ঘর ইঁদুরে কাটার জন্যে উন্মুক্ত করে দিচ্ছি কিনা, ভাবতে হবে তা এখনই।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৪
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন। অভাবের তাড়নায় না ওদের স্বভাবেই খারাপ কাজ করে। আমার অবাক লাগছে এটা শুনে , একজন মানুষের কোন কাজ নেই তাই সে বাচ্চা পয়দা করছে। মনে হচ্ছে এর চেয়ে সহজ কিছু দুনিয়াতে নেই।
যত নষ্টের গোড়া এনজিও গুলো, ওরাইতো রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যেতে দিচ্ছে না, কারণ, কক্সবাজারের ফাইভ স্টার হোটেল তো ওখানে নেই, এনজিও গুলো না চাইলে এই সমস্যা কমবেনা, শুধু বাড়বেই।
চট্টগ্রাম শহরের অর্ধেক ভিক্ষুকই আমার মনে হয় রোহিঙ্গা।
যারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে সারাক্ষণ লিখে, "রোহিঙ্গা নিডস জাস্টিস " আমার মনে হয় এরা বুঝতেই পারেনা কি ভয়ানক কালসাপদের জন্য মানবতার ঝুড়ি খুলে বসে আছে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ,
মন্তব্যে রোহিঙ্গা বিষয়ে বেশ কিছু সত্য বলেছেন - তাদের জন্মগত অসৎ স্বভাব, নিখরচায় সন্তান উৎপাদন, এনজিওদের ব্যবসা সংক্রান্ত সত্য।
"রোহিঙ্গা নিডস জাস্টিস " যারা লেখেন তারাই এই সকল অপকর্মের মদদদাতা। নোহিঙ্গারা যদি কালোসাপ হয় তবে তারা হলেন - "জাতিসাপ"।
মন্তব্য লাইকড।
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কালকে দুই গ্রুপে মারামারি করে চারজন মরেছে । এরা একসময় সেখানের আদিবাসীকে উচ্ছেদ করবে। তারপর হয়তো আমাদেরকে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,
শুধু কালকেই নয় , এটা গত শনিবার রাত থেকে লাগাতার চলা ঘটনা। এদের "লাই" দিয়ে দিয়ে আমারই একসময় ঝাড়েবংশে নিপাত হয়ে যাবো এমন আলামত দিনদিনই প্রকট হচ্ছে।
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে মহাবেকুব জাতক, আপনার জানা নাই যে আমাদের শাসককুল কোন কালে, কোন সময়েই সুদূঢ় প্রসারী চিন্তা ভাবনা কিংবা পরিকল্পনা করেন না। সেই সময়ও এনাদের নাই। এনারা সব সময়েই আত্মরতিতে নিমগ্ন থাকেন। যখন অঙ্গের কোথাও কোনও ধরনের খাউজানির উপদ্রব হয়, তখন সাময়িক উপশমকারী মলমেই সন্তুষ্ট থাকেন। মলম ব্যবহার পূর্বক খাউজানি একটু কমলেই আবার সাবেক অবস্থায় পতিত হন। এমতবস্থায়, আপনি কি আশা করেন?
অবশ্য জানবেনই বা কিভাবে। আপনে যে মহাবেকুব জাতক। এদিকে আমিই বা কি **ছাল জানি। আমিও যে ভুয়া মফিজ!!!
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
শেয়ালের মতো বুদ্ধিমান ও ধূর্ত মানুষে ভরা এই সমাজে দু'একজন বেকুব না থাকলে চলবে কি করে ? না থাকলে শেয়ালদের
বুদ্ধিষ্মান কাজকামের জন্যে বেকুবী প্রশ্নগুলো করবে কে ?
আমি কিছুই আশা করিনে।
আত্মরতিতে নিমগ্ন খাউজানিওয়ালাদের এসব ব্যাপারে কোনও খাউজানি নাই দেখে নিজেই মহা বেকুবের মতো একটু খাউজাইয়া লইলাম, এই আর কি ! যদি কেউ মলম লৈয়া দৌড়াইয়া আহে এই আশায়।
মন্তব্যে +++++
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ৯১ সালে রোহিঙ্গাদের সেকেন্ড ওয়েভ লাগে যখন তখন বুঝতে শিখেছি রাষ্ট্র , উদ্বাস্তু , রাজনৈতিক সংকট , গৃহ যুদ্ধ , আশ্রিতদের একসময় শাসক হয়ে ওঠা । নিজেদের লোকেদের বলছিলাম লেবাননের কাহিনী । কিভাবে লেবানন একটি উদ্বাস্তু রাষ্ট্রে পরিনত হল । এখনকার কথা নাই টানলাম । বিহারিরা এখনো বাঙ্গালিদের পিছু ছাড়েনি । এসেছে বিহার প্রদেশ থেকে কিন্তু মন মানসিকতা পাঞ্জাবিদের মতই । রোহিঙ্গারা ঠিক তার চে ভয়ঙ্কর আচরন শুরু করেছে । ৯২/৯৩ সালেই সকল এন জিও দের বের করে দেয় রাবাত আলম আল ইসলাম । সেই তখন থেকেই ক্যাম্পে অস্ত্র মহড়া শুরু হয়েছে । সউদরা বিবিধ রাষ্ট্রে তেনা কিভাবে পেচিয়ে রাখতে হয় ভাল জানে । সিরিয়া , লিবিয়াতে পাঁচটি রাষ্ট্র মক ওয়ার করছে যার মধ্যে সউদ একটি । বিশ্ব শক্তি মায়ানমারে জায়গা চাইছে চীনকে পিছু নেবার জন্য । কক্সবাজার , আরাকান জুড়ে যে দাবানল জ্বলবে তা আমেরিকা আর ভারত জালাবে । এই রোহিঙ্গা গ্রুপের মধ্যে আরবিয়রা তাদের রক্ত খুজে পেয়েছে যেমন চট্টগ্রামের স্থানীয়রা এককালীন আরবদের জাহাজে আবিসিনিয় দাস হিসেবে কর্মরত ছিল । আপনার বা মন্তব্য করা পাঠকদের যুক্তি আছে যে কক্সবাজার একসময় রোহিঙ্গাদের দখলে যাবে । আমি বলি পুরো চট্টগ্রাম চলে যাবে । সাকার স্বপ্ন ছিল চট্টগ্রামকে আলাদা ল্যান্ড হিসাবে গঠন করার , সাথে পার্বত্য এলাকাতো বোনাস ।
প্রিয়তে নিলাম , পরে আরও লিখব বলে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহ আজিজ,
আপনার এই মন্তব্য এই লেখাটিকে আরো মজবুত করেছে, বাড়িয়েছে এর বক্তব্যের শক্তি । ইংরেজরাও তো একদিন এদেশে একটুখানি আশ্রয় চেয়েছিলো ব্যবসার জন্যে। এরা একসময় রাজদন্ডও হাতে তুলে নিয়েছে, করেছে শাসন, করেছে শোষন। তারা তবুতো খেটে খেয়েছে শুরুতে আর এই সব রোহিঙ্গা তো এখন পর্যন্ত সরকারী হোটেলে বিনে পয়সায় শুয়ে-বসে, খেয়ে দেয়ে শাসন-শোষনের হুমকি দিচ্ছে।
সামনে আরও অন্ধকার আছে!
প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ। আসুন, আরও কিছু নির্মম সত্য লিখে যান।
৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্থানীয় সাংবাদিক সুত্রে জানা গেছে গত দু বছরে মাঝে মাঝেই গোলাগুলি হয়েছে, এরপর নিরাপত্তার অভাবে কোন সাংবাদিক বা পুলিশ রহিংগা ক্যাম্পের ভেতরে ঢুকতে পারেনি' ওসি প্রদিপরা চলে যাওয়ার পর পুরো স্বাধীনতা পেয়ে গেছে রহিংগারা।
আসেপাসের পাহাড়ে অনেক অস্ত্র গুদাম ধরা পরেছে, এমনকি এনজিওদের অফিসিয়াল গুদামেও অস্ত্র লট পাওয়া গেছিল ২০১৯এ
আইওএম এর মত আন্তর্জাতিক সংস্থার গুদামেও IMO লেখা কার্টুনে বিপুল অস্ত্র পাওয়া গেছিল। তাহলে বুঝেন এদের হাত কত লম্বা।
প্রতিটিটি রহিঙ্গা যুবকের হাতে চকচকে নতুন স্মার্ট ফোন, পকেটে অফুরন্ত টাকা। এত টাকা কে দিচ্ছে?
এসব অপকর্ম দেখে সরকার 4G 3G ইন্টাননেট বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু এদের যারা ব্যাকিং দিচ্ছে (বিডি সেনাবাহিনী+ এঞ্জিও নামধারি টার্কিশ-ইউকে ভিত্তিক মুসলিম চক্র ) এদের প্রবল চাপে ৬মাস পরেই 4G 3G দিয়ে দেয় + ইন্টাননেট নতুন টাওয়ারও করে দিতে বাধ্য হয়।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,
আপনার এমন মন্তব্য এই লেখায় আমার আশঙ্কাকে আরও জোরদার করেছে। ।
দেশের আকাশে যে মেঘ জমেছে তা এখন ঘনীভূত হয়ে কালবৈশাখীর রূপ নেবার অপেক্ষায়। যতো তাড়াতাড়ি আমরা এটা বুঝবো ততোই মঙ্গল। কিন্তু য২আদের আগে বোঝার কথা, তারা বুঝলে হয় ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,
দুঃখিত একটা টাইপো হয়েছে - "য২আদের" < যাদের হবে।
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর চমৎকার একটা পোস্ট দিয়েছেন।
অবশ্য আপনি যেরকম পোস্ট দেন সেটা তৈরি করতে অনেক পড়তে হয় তাই হয়তো সময় লাগে।
সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশের অবস্থা ভালো না। চারিদিকে সমস্যা। সরকার যেন তালসামলাতে পাছে না। ক্ষমতা হাতে পেয়ে গেলেই মানুষ গুলো অমানুষ হয়ে যায়।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
আসলেই আমাদের দেশের স্বার্বভৌমত্ব অনেক ঝুঁকির মুখে । আভ্যন্তরীন ভাবে রোহিঙ্গা, বাইরে মায়ানমার স্পষ্টতই ঝুঁকি । বাংলাদেশের স্ট্রাটেজিক অবস্থানের কারনে অনেকেরই শুকুন চোখ রয়েছে এদিকে।
সরকার তাল সামলাতে পারছেনা নয়, সামলাচ্ছে না।
৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
রামিসা রোজা বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার
জন্য । করোনাকালের আগে আমরা কক্সবাজার সপরিবারে গিয়েছিলাম ঘুরতে।রোহিঙ্গারা পুরো কক্সবাজারের আশেপাশে
এমন বুক ফুলিয়ে চলছে তাতে করে বুঝিয়ে দিচ্ছে আমরা ওদেরকে কতটা জামাই আদরে রেখেছি ।অনবরত নিম্নগামী
ক্ষতির দিকে ধাবিত হচ্ছে আমাদের দেশ এবং আগামী
প্রজন্ম।
এ জন্য কে দায়ী, আমরা নিজেরাই।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: রামিসা রোজা,
এটা গুরুত্বপূর্ণ কিনা জানিনে কারন কারোই মাথাব্যথা দেখছি নেই এ নিয়ে।
আপনার নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতাতেই তো বুঝতে পেরেছেন, দিন দিন কতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে এসব আশ্রিত লোকেরা। নিজ দেশে আমরা তখন পরবাসী হয়ে যাবো!
এ জন্য কে দায়ী ?
আমরা নিজেরাই।
৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
করুণাধারা বলেছেন: আমরা হুজুগে জাতি, ঝোঁকের মাথায় পরিণামের কথা না ভেবেই মেহমানদের ঠেকে এনেছি। এখন মেহমানরা যখন ডাকাতি করতে শুরু করল তখন আমরা অসহায় হয়ে তাকিয়ে দেখছি...
সৌদি আরবের আবদার পূরণ করতে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দেয়া হলে তা হবে নিজের পায়ে কুড়াল মারা, কারণ আপনি উল্লেখ করেছেন... এরপর তারা আরো রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিতে বাধ্য করবে আমাদের।
কিন্তু আমরা কেন এই অন্যায় অনুরোধ মানব? কারণ জাতীয় স্বার্থের উপর আমরা নিজের স্বার্থকে স্থান দেই, অল্প কিছু লাভের আশায়। এই আমাদের কারো সাহায্যেই ওরা ফোনের সিম জোগাড় করে, নাহলে এন আই ডি ছাড়া সিম তোলা তো সম্ভব না!!
চমৎকার, পরিশ্রমী এই পোস্টে প্লাস।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,
রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দেয়ার প্রসঙ্গে বলেছেন - কিন্তু আমরা কেন এই অন্যায় অনুরোধ মানব? কারণ জাতীয় স্বার্থের উপর আমরা নিজের স্বার্থকে স্থান দেই, অল্প কিছু লাভের আশায়।
লাভের আশায় দেশের বারোটা বাজিয়ে চলেছেন কারা কারা তার উত্তর মা.হাসান চমৎকার ভাবে দিয়েছেন নিচেই তার মন্তব্যে।
আমরা শুধু হুজুগেই নই, মহা আহাম্মক এবং একই সাথে ধুর্ত একটা জাতিও বটে। নিজের সামান্য স্বার্থের জন্যে আমরা দেশ তো ভালো, নিজেদের মা-বাবাকেও মনে হয় বেঁচে দিতে পারি! ৩০০ টাকাতেও পেয়াজ কিনেছি কদিন আগে এবং এখন সে পেয়াজও আর বন্ধু দেয়না অথচ হাযার টন দুষ্প্রাপ্য ইলিশ মাছ পাঠাই বন্ধুর বাড়ী আগ বাড়িয়ে। স্বার্থটা কোনখানে তা একজন বেকুবও বুঝতে পারে।
এমন চরিত্র নিয়ে সাধ করে কি আর এই আপদ কাঁধে তুলি ? এতে মানবতা দেখানোও হবে আবার তাদের নিয়ে ধান্ধা করে "টু-পাইস" নয় "থাউজ্যান্ড-পাইস" কামানোও যাবে।
পোস্টে প্লাস দেয়াতে কৃতজ্ঞ।
শুভেচ্ছান্তে।
১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৮
মা.হাসান বলেছেন: রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেবার জন্য সৌদিরা যে ন্যাক্কারজন দাবি করেছে তা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে হয়। নূরু ভাই এবং নকিব ভাই এই বিষয়ে পৃথক পোস্ট দিয়েছিলেন। তবে আপনার পোস্টটিতে এই সম্পর্কিত আরো সকল বিষয় যোগ করেছেন। হাসান কালবৈশাখী ভাই বা কলাবাগান ভাই সাধারণতঃ সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষেই যুক্তি দিয়ে থাকেন। তবে এই ক্ষেত্রে দুজনকেই অতীতে দেখেছি এই বিষয়ে অন্যদের সাথে একমত - ভবিষ্যতে রোহিঙ্গারা আরো বড় সমস্যা তৈরী করবে। ভালো ভাবে চিন্তা করলে বিষয়টা নিয়ে দ্বিমত করার অবকাশ কম।
এদের হাতের দামি ফোন, দামি অস্ত্র, বিয়ে বা এরকম অনুষ্ঠানের জাকজমক এসব দেখে অনুমান করা যায় যে এদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এভারেজ বাংলাদেশিদের চেয়ে ভালো আছে।
এরা কবে যাবে? মনে হয় না আদৌ কখনো যাবে। এদের মাধ্যমে এনজিও, আমলা- সকলেই অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। মোবাইল কোম্পানি গুলো লাভবান হচ্ছে। বিনে পয়সার সিম কার্ড দাম দিয়ে কিনে এরা ব্যবহার করছে। নির্বাচন কমিশনের কেউ কেউ লাভবান হচ্ছে। চড়া দাম দিয়ে এরা এনআইডি বানাচ্ছে। পাসপোর্ট অফিসের কেউ কেউ লাভবান হচ্ছে। পয়সা দিয়ে রোহিঙ্গারাও পাসপোর্ট পাচ্ছে। মাদকের কারবারের কারনে এদের পয়সার অভাব নেই।
এর স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করছে। কয় দিন আগে মিলাদ দিয়ে নিজেদের মধ্যের লোক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবার দোয়া করেছে। মাদকের টাকার প্রভাব এড়িয়ে ঐ এলাকায় জনপ্রতিনিধি হওয়া দুষ্কর। এরা এমনকি স্থানীয় বাংলাদেশিদের উপরেও চাদাবাজি করছে। কয় দিন আগে পত্রিকায় এই খবর বের এসেছিলো-- উখিয়ার কুতুপালংয়ে সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের চাঁদা দাবি, ভাংচুর-লুটপাট ।
এদের বসিয়ে খাওয়ানো ঠিক না। ব্লগার টারজান তার এক লেখায় বলেছিলেন যে গ্রামাঞ্চলে এখন কৃষি সেক্টরে লেবার পাওয়া যায় না, রোহিঙ্গাদের এই সেক্টরে লেবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়ে এরকম কিছু করা যায় কি না ভাবা দরকার।
তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি চিন-ভারত টেনশন বাংলাদেশকে দর কষাকষির একটা সুযোগ দিয়েছে। এটা ব্যবহার করতে পারলে রোহিংগা সমস্যা দূর করা যেতো।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,
দীর্ঘ মন্তব্যে মহাবেকুবের এমন বেকুবী ভাবনারা আরও জোরালো হলো। ষ্ট্রাটেজিক ভৌগলিক অবস্থানের কারনে বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল দড়ি টানাটানিতে আছে। এসব, মনে হয় তারই সুদূরপ্রসারী নকশার কিছু আলামত। সৌদির হুমকি, ভারত, চীন এমনকি বিশ্ব সম্প্রদায়ের বাংলাদেশের পাশ থেকে দূরে দূরে থাকার এই আলামত দেখে মহাবেকুব আর অন্য কিছু ভাবার সুযোগ আছে ? মুসলিম বিশ্বও কি তেমন কোনও আওয়াজ তুলেছে ? মনে হয়না তুলেছে।
বিশ্বের সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর কাজকামও ভালো ঠেকছে না। এই সংস্থাগুলের পোষ্যপূত্র এনজিওগুলো দীর্ঘ সময় ধরে সাহায্যের নামে টাকা তোলার একট খনি পেয়েছে। এরা সাহায্যের নামে টাকা না দিয়ে গলার স্বর উঁচু করতে পারেনা ? তেমন জোরেশোরে এরা কেন বলেনা- "মানবিকতার কারনে অত্যাচারিত রোহিঙ্গাদের নিজ মাটি ফিরিয়ে দাও, এটা তাদের অধিকার ?"
মানবাধিকার সংস্থাগুলোও সে পথের ধারে কাছে দিয়েও যাচ্ছেনা। এরা শুধু মানবাধিকারের নামে বাংলাদেশের ঘাড়ে এই বোঝা তুলে দিয়েছে ছলে-বলে - কৌশলে। এরা কেবল আমাদেরই অধিকার শেখাচ্ছে! আশ্চর্য্য!!!!!!!!
এরা এখন রাজনীতিতে জাকিয়ে বসতে চাইছে আর আমাদের ধূর্ত-শঠ- লুটেরা কিছু মানুষ নিজেদের ফায়দা লোটার কারনে এদেরকে রাজনীতিতে নামিয়ে পেশীশক্তি বাড়াতে চাইছে । আপনার দেয়া মিলাদের উদাহরণ তারই প্রমান। এমনকি অনেক আগে আসা বেশ কিছু রোহিঙ্গা ইতিমধ্যেই নাকি স্থানীয় সরকারে মেম্বর হিসেবে ঢুকে পড়েছে বলে জেনেছিলুম।
এদের বসিয়ে খাওয়ানো যে ঠিক না সে কথাও বলেছি আমার লেখাতে। ব্লগার টারজানও তেমনি একটি দিক দেখিয়েছেন।
চিন-ভারত টেনশন বাংলাদেশকে দর কষাকষির একটা সুযোগ দিয়েছে সত্য কিন্তু নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে যে হাটুভাঙা নিয়ে আমরা বসে আছি তা করোনার মতো আমাদের ছাড়ছেনা কিছুতেই , অথর্ব করে রেখেছে। শ্বাস কষ্ট হচ্ছে এখন। গলা তোলার অবস্থা নেই। তাই এ সুযোগও হাতছাড়া।
সুন্দর বিশ্লেষিত মন্তব্য।
১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১১
ঢুকিচেপা বলেছেন: এরা যখন আসা শুরু করে তার কিছুদিনের মধ্যে পত্রিকায় পড়লাম, দোকান বসানো নিয়ে মারপিট, তার একদিন পরেই অন্য নিউজ পুলিশ অফিসার খুন। এই যদি অবস্থা হয়, তাহলে যত দিন যাবে তারা কি পরিমাণ ভয়ংকর হতে পারে ?
আপনার প্রতিটা পয়েন্ট যৌক্তিক।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢুকিচেপা,
পরিনাম যে কি ভয়ঙ্কর হবে তা এসব আলামত দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এদের হাত ছাড়বেনা কিছুতেই, অস্ত্র ব্যবসায়ীরাও তাই। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। পাশাপাশি আছে দেহ ব্যবসা।
আমাদেরই একশ্রেনীর অমানুষেরা আবার তাদের এনআইডি, পাসপোর্ট পাইয়ে দিতে সংঘবদ্ধ। ইত্যাদি ধংসাত্ত্বক কাজের যোগফল মোটেও ভালো হবার কথা নয়।
বাংলার ভাগ্যাকাশে এখন দুর্যোগের ঘনঘটা ..................।
১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনে হয় সবার প্রথম এদের বংশ বৃদ্ধির হার সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। দ্বিতীয় হোল ব্রিটিশদের মত ডিভাইড এন্ড রুলের কোনও পদ্ধতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করতে হবে। এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে বাংলাদেশ এদের কখনও পুশ ব্যাক করতে পারবে না। তাই এদেরকে এক জায়গায় না রেখে দেশের কয়েকটা জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে। কাম্পে থাকলে ওখান থেকে শুধু অপরাধী ও পতিতা তৈরি হবে। তাই এদের কিছু অংশকে তাদের আচরণ বিচার করে সমাজে মিশে যাওয়ার সুযোগ দেয়া যেতে পারে। বিহারীরা এক সময় অনেক ভয়ঙ্কর ছিল। এখন সমাজে মিশে গেছে। আর আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহের হস্তক্ষেপ কমাতে হবে। ওরা শুধু রোহিঙ্গাদের পক্ষে বলে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
"এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে বাংলাদেশ এদের কখনও পুশ ব্যাক করতে পারবে না।"
মোটামুটি নিশ্চিত নয়, ১০০% নিশ্চিত যে বাংলাদেশ এদের কখনও পুশ ব্যাক করতে পারবে না। সীমান্তে মায়ানমার বাহিনী মোতায়েন , কেন ? আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থই বলতে হবে।
"তাই এদেরকে এক জায়গায় না রেখে দেশের কয়েকটা জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে।"
সেকারনেই ভাষানচর। তাও এনজিওদের চক্রান্তে ভেস্তে গেছে।
আর আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহের হস্তক্ষেপ কমাতে হবে।
কে বা কারা কমাবেন ? সে বুকের পাটা কি কারোও আছে ?
এখন যা করার সেটা আমজনতাকেই করতে হবে নয়তো এই ক্যান্সার নিয়েই কাটাতে হবে বাকী জীবন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের।
১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:২৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দিন দিন পরিসস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে, বিদেশী মোড়লদের পরামর্শ শুনলে লিবিয়া সুদানের পরিনতি হবে।
এভাবে চললে কদিন পর দেখবেন বোকোহারামের মত মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি করে পিকআপে হ্যাভি মেশিনগান ফিট করে মহড়া দিবে টেকনাফ-কক্সবাজার।
বাঁচার উপায় একটাই। এইমুহুর্তে বিপদজনক শ্রেনির রহিংগা নেতা ও বিপদজনক যুবক বয়েসের সকল রহিংগাদের মোবাইল ও অস্ত্র কেড়ে নিয়ে জোড় পুর্বক ভাশান চর ক্যাম্পে নিতে হবে। বা যেখানেই নেক এদেরকে আলাদা করতে হবে। এখুনি।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ,
আবারও এসে মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ।
ঠিক এবং ভবিষ্যত পরিনতির কথাই বলেছেন - দিন দিন পরিসস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে, বিদেশী মোড়লদের পরামর্শ শুনলে লিবিয়া সুদানের পরিনতি হবে।
টেকনাফ-কক্সবাজারে ইতিমধ্যেই অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে।
এই অবাধ্য জনগোষ্ঠিকে জোর করে ধরে ধরে ভাশান চর ক্যাম্পে বা যেখানেই হোক আলাদা করে রাখতে হবে। এখুনি। কক্সবাজারকে বিচ্ছিন্ন করার আগেই করতে হবে এটা।
রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সরকারকে কঠোর থেকে কঠোরতর হতেই হবে। এর বিকল্প নেই।
১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভয়ঙ্কর অবস্থা! মে মানবতাকে আশ্রয় করে রোহিঙ্গা ঠাঁই পেয়েছে সেই মানবতা আজ ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মুখে। যে কোন সময় একটা ভয়ঙ্কর বিপর্যয় দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে। এমনকি গৃহযুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কাও অমূলক নয়।
একজন সচেতন নাগরিকের রাতের ঘুম ছোটটা খুবই স্বাভাবিক।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
রাতের ঘুম ছোটটা খুবই স্বাভাবিক সাথে দিনের ঘুমটাও।
আসলে আমরা অনেকেই তলে তলে ঘনিয়ে ওঠা মেঘের হাবভাব ঠিক ঠিক বুঝতে পারছিনে। কখন যে ঘটনাগুলো কোনদিকে মোড় নেয়!!!!!!!ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায়না।
১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:১৯
সোহানী বলেছেন: ভাইরে যখন ওদেরকে জামাই আদর করছিল তখনই আতংকবোধ করছিলাম। নিজের দেশের হাজার সমস্যার মাঝে এরকম আরেকটা সমস্যা মাথায় নেয়া। কিন্তু তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যারা বুদ্ধি দিয়েছিল তাদেরকে এখন উচিত রোহিঙ্গাদের সাথে কিছুদিন বসবাস করানো। কি সমস্যা আমরা ঘাড়ে নিয়েছি তা অনুভব করার মতো তাদের মাথায় বুদ্ধি আছে কি না আমি আতংকিত।
আপনি যা বলেছেন তার প্রতিটি কথাই সত্য। এ এনজিও ওয়ালারা মাথা ঘামাচ্ছে তাদের রুটিরুজির ধান্দায়। তাদের লাই পেয়ে আর তাাদের কান্নাকাটিতে বিশ্বের বাকি দেশগুলো উদার হচ্ছে। কিন্তু স্বয়ং দেশের ভবিষ্যত নিয়ে কেউই ভাবেনি।
প্রচন্ড আতংকে নিয়ে ভাবছি কি হবে? এর সমাধান কি? হাঁ, আমার মতে একটাই সমাধান প্রয়োজনে কঠোর হওয়া। রোহিঙ্গা দিয়ে কোন পুরস্কার পাওয়া যাবে না এটা নিশ্চিত কারন আম্রিকা, চীন, ভারত এ নিয়ে কোন কথা বলবে না। তাই তাদেরকে পাস কাটিয়ে কোন পুরস্কার জেতাও সম্ভব নয়।
১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
সত্য কথাটিই বলেছেন - "এনজিও ওয়ালারা মাথা ঘামাচ্ছে তাদের রুটিরুজির ধান্দায়।"
এই "এনজিও ওয়ালারা"ই হচ্ছে মূল কালপ্রিট। রোহিঙ্গা সমস্যাটা মূলত তারাই জিইয়ে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাসানচর প্রকল্প তারাই ভেস্তে দিয়েছে।
আমার মতে একটাই সমাধান প্রয়োজনে কঠোর হওয়া।
কঠোর হওয়ার কোনও বিকল্প নেই । কেন যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কঠোর হচ্ছেন না, বোধগম্য নয় । রোহিঙ্গাদের ছোট ছোট অংশে ভাগ করে চর এলাকাগুলোতে সরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশই যথেষ্ট। আমরা সেটাই দেখতে চাই।
১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেনঃ "রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেখছেন৷ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর থেকে যতবার বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে তাদের সময় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রনীতি বলতে আদৌ কিছু ছিল কি? যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নিজেদের স্বার্থে রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে তাদের মুখে নীতির কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে ভিশনারি নীতি মেনে সুদক্ষভাবে ডাইনামিক নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।"
এত বড় সু্যোগ্য নেতৃত্ব দেশে থাকতে মহা জাতক কেন এত টেনশন করছে?
এমনিতেই এই বছরের নোবেল পুরষ্কার মিস হয়ে যাওয়া হৃদয়ে সুতীব্র অন্তর্দহন নিয়ে সরকার দেশ চালাচ্ছে। আর মহাজাতক কি সব পোস্ট দিয়ে দেশের উন্নয়নের রথ যাত্রা ব্যাহত করতে চাইছে! নির্ঘাত এই মহা জাতক চিন্তাভাবনা জামাত শিবিরের কুচক্রী দ্বারা প্রভাবিত।
শুনুন,
আসলে ঘটনা হলো ওনারা পারছেন না, তারা ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু বিএনপি পেরেছিল। ইতিহাস সাক্ষী, দেশের জনগণ সাক্ষী, মিয়ানমার বারবার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু ৭৮ সালে সেটি শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের যারা খবর রাখেন, সেই সমস্ত ব্যক্তিরাও এই কথাগুলো উল্লেখ করছেন। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান সাহেবের সময় রোহিঙ্গারা এসেছিল। তখন তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে মিয়ানমারকে বুঝিয়ে তাদের ফেরত পাঠিয়েছিলেন। কেন পেরেছিলেন, সেই শক্তি এবং হ্যাডম জিয়াউর রহমানের ছিল। সেই সময় জিয়াউর রহমান কক্সবাজারে একটা ক্যান্টনমেন্ট তৈরি করে ফেলেছিলেন। মিয়ানমারকে বলেছিলেনঃ "আইদার ইউ গেট দেম ব্যাক, অর ইউ ফেস.."
খালেদা জিয়ার সময় ৯৪ সালে ২ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা এসেছিল। তখনও তিনি বলেছিলেন, ফেরত নেবে না অন্য ব্যবস্থা নেব। তারা ফিরিয়ে নিয়েছিল।’
আর এখন অবস্থা বুঝুন। মিয়ানমার এর ট্রাপে বাংলাদেশ পড়ে গেছে। আজকে এমন কূটনৈতিক অবস্থা যে একটা দেশও বাংলাদেশের পক্ষে নেই। চীন, ভারত, জাপান, রাশিয়া সবই মিয়ানমারের পক্ষে। এই সরকার ভারতীয় তবেদারী করতে করতে এতটাই নতজানূ অবস্থা চলে গিয়েছে বিশ্ব দরবারে এখন পাশে কেউ নেই। এমন কি ভারতও এখন মায়ানমারের পক্ষে।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সরকার অনতিক্রম্য দুর্বলতা ও ব্যর্থতার গ্লানি ঢাকতেই সরকারের সবাই আজগুবি কথা বলছে, উন্মাদ-অভিগ্রস্ত কথা বলে বেড়াচ্ছে। গণবিচ্ছিন্ন সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির সুযোগে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান আজ কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। সরকারের এই দুর্বল নীতি মিয়ানমার সরকারের কাছেও স্পষ্ট। এর পরিপূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করেই মূলত মিয়ানমার সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অযাচিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা সমাবেশ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে।
এখন বসে বসে আঙ্গুল চোষা ছাড়া আর কিছু করার নেই!
১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
আসলে আমাদের কোনও সরকারই শুরু থেকে মেরুদন্ড সোজা রেখে ঘাড় উঁচিয়ে চলা শেখেননি বা জানেন না । ক্ষমতা হারানোর ভয়ে থাকেন সব সময়। এটাই মূল কারন। সে কারনেই অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বিচ্ছিন্ন কূটনৈতিক বলয়ে। একজনের কাছে বাঁধা পড়লে দশজনের কাছে যাওয়ার মুখ থাকেনা।
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির সুযোগে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান আজ কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। সরকারের এই দুর্বল নীতি মিয়ানমার সরকারের কাছেও স্পষ্ট। এর পরিপূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করেই মূলত মিয়ানমার সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অযাচিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা সমাবেশ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে।
এটা সম্ভবত ঠিক বলেছেন।
সামনের দিনগুলো আসলেই ভয়ঙ্কর। এটা আমরা যতো তাড়াতাড়ি বুঝবো ততোই মঙ্গল আমাদের জন্যে।
১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যারা সৌদীতে আছে তারা ইতিমধ্যে পাক্কা ওহাবী হয়ে গেছে।তাদেরকে আইএস এর ট্রেনিং দিয়ে এদেশে পাঠানো কোন ব্যপার না।এদেশে আছে হজার হাজার ওহাবী ।উভয়ে মিলে সারা দেশই দখল করে নিবে সেদিন বেশি দুরে না।তার আলামত স্পষ্ট।
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪,
একটা অশনি সংকেত বাজছে কোথাও না কোথাও। তার আলামত স্পষ্ট। এর স্বরূপটাকে উদ্ঘাটন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সময়
কিন্তু বেশী নেই আমাদের হাতে ।
১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ওরা আরাকানে কিছু করতে পারেনা। এদেশে এশে খেয়ে দেয়ে জর্বি জমেছে েএখন অস্ত্রবাজী করছে।
কি অবাক কান্ড!!!!
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার ,
শুধু অবাক কান্ড নয়, দিন দিন রোহিঙ্গাদের কান্ডকারখানা ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হয়ে দেশের জন্যে দুঃশ্চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
১৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৪
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: এইতো কিছুদিন আগের মিডিয়ার খবর , পাকিস্তান হয়ে ভারতীয় মরু অঞ্চলে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপালের উপদ্রব দেখা দিয়েছে যা বাংলাদেশেও আসার সম্ভাবনা রয়েছে । অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, বাংলাদেশে পঙ্গপালের থেকেও ভয়ংকর রুপ নিচ্ছে এই রোহিঙ্গারা । এদের বংশবিস্তারের হার অনেক বেশী... এবং ধর্মীয় কুপমন্ডুকতা ও অশিক্ষার কারণে পরিকল্পিত পরিবারের চিন্তা তাদের মাথায় কোনও দিন ছিলনা, এখনও নেই । আপনার পোস্টটি বেশ সময়োপযোগী এবং পদক্ষেপ নেয়ার এখনই সময় । কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে... ? - এর উত্তর আমাদের কারো জানা নেই ....!!!
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: আহমেদ রুহুল আমিন,
বছর বছর সন্তান উৎপাদনে এরা আগেই মানে মিয়ানমারে থাকতেই দক্ষ ছিলো । তখন তো তাদের কাজ করে খেতে হলেও রাতের কাজটিতে ফাঁকি দেয়নি। এখন এদেশে এসে বিনাশ্রমে খেয়ে পড়ে দিন ও রাতে সেই আদিম কাজটি ছাড়া তাদের আর করার কিছুই নেই। সামনে এদের সংখ্যা দ্বিগুন হয়ে যাবে বছর তিন চারেকের মধ্যেই।
সঠিক পদক্ষেপটি নেয়ার সময় পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন দরকার - ডাইরেক্ট এ্যাকশন।
২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মহা বেকুব জাতের উন্নত মানের খাসা এক বেকুবের মাথায় আসিয়াছিল। যুদ্ধের চেয়ে শান্তি ভালো তাতে শান্তিতে নোবেল মিলে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা ,
আপনার মন্তব্যের প্রথম লাইনে কি কিছু শব্দ বাদ পড়েছে ?
শান্তি সবসময়ের জন্যেই ভালো। কিন্তু কখনও কখনও যুদ্ধ করেই সেই শান্তি নিয়ে আসতে হয়। নোবেল মিলবে কিনা জানিনে তবে দেশের শান্তি "নো-বেইল"য়ে পড়ে গেছে .....................
২১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৫
জাফরুল মবীন বলেছেন: রোহিঙ্গারা আদৌ কোন কালে বাংলাদেশ থেকে যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।আটকা পড়া বিহারীদের ৪৯ বছরেও ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি তারা ইচ্ছুক থাকার পরও।আর রোহিঙ্গারাতো যেতেই চায় না।তাছাড়া অনেক আন্তর্জাতিক শক্তির ভিন্ন হিসাব রয়েছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে।প্রিয়া সাহা যখন ট্রাম্পের সাথে দেখা করে বিষোদগার করছিলেন সেই দলে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি মহিবুল্লাহও ছিলেন।তিনি আউট পাস নিয়ে বাংলাদেশ থেকে হোয়াইট হাউসে গেছিলেন।এরা আমাদের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে।
মহাবেকুব জাতক মহা সত্য অনুধাবন ও প্রকাশ করেছে এটুকু নিশ্চিন্তে বলা যায়।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জাফরুল মবীন,
পররাষ্ট্র মন্ত্রীতো দেখলুম বলেছেনই - রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে না পাঠাতে বাইরের চাপ আছে।
ভাসানচরেই যেখানে পাঠানো যাচ্ছেনা বাইরের চাপে, সেখানে মিয়ানমারে ফেরৎ পাঠাবেন কিভাবে ?
"আন্তর্জাতিক শক্তির ভিন্ন হিসাব রয়েছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে।" এসব চাপ তারই অংশ মনে হয়। সেকারনেই তো বেকুবের মতো লিখতে হয়েছে -
"অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে; সুঁই হয়ে ঢুকে পড়ে ফাল হয়ে বেরুনো রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী নাগরিক তালিকায় আত্মীকরণ করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনও রাস্তা মনে হয় খোলা নেই। নইলে সমগ্র চট্টগ্রাম এলাকাটাকেই তারা বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে একসময় ! এখন বেকুবের মতো বলতেই হয় , সে প্রস্তুতি আমরা কেন করে রাখছিনা ?"
২২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া রোহিঙ্গারা কয়েক বছর পরে নিজেদেরকে আদিবাসী দাবী করে নাকি খাঁটি বাঙ্গালীই দাবি করে কে জানে!
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
আমার এই পোস্টের পরে আপনি যখন এই মন্তব্য করলেন তখন মেঘনায় অনেক জল গড়িয়ে গেছে। গত ক'দিন ধরে
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার জন্যে সরকারের আকুল আকুতি - মিনতি চলছে টিভিতে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো বলেই ফেলেছেন - রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে না পাঠাতে বাইরের চাপ আছে।
আমি মহাবেকুবের মতো পোস্টে শুধু জামাই আদরের কথা বলেছি। এখন দেখছি তারও চেয়ে বেশি কিছু, রাজ্যসহ - রাজকন্যাও! কি নেই ভাষানচরে ? তারপরেও জামাই বাবাদের মানভঞ্জন হচ্ছেনা।
বাকী তাদের নাগরিকত্ব প্রদান। সেটাও বোধহয় দিতে হবে, আজ অথবা কাল।
২৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৮
শায়মা বলেছেন: বললাম তো কদিন পরে তারা হয়েই বসবে আমাদের বোঝার উপর শাকের আঁটি ভাই।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
আমাদের বোঝার উপর শাকের আঁটি নয় বরং তারা আমাদের শাকের আটির উপরে বোঝা হয়ে উঠবে!!!!!!!
২৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুবই মুল্যবান কথা সমৃদ্ধ পোষ্ট। আপনার প্রতিটি কথাই যৌক্তিক,
এগুলি কোন মহাবেকুব নয় বরং মহাজ্ঞানীর বচন বলে গন্য ।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে গুরা থেকেই ভুল পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি দেশী , বিদেশী ও আন্তর্জাতিক মহলের চক্রান্তের
শিকারে পরিনত হয়েছে ।
দেশে আশ্রিত সকল রোহিঙ্গা শরনার্থীকে কক্সবাজার এলাকার শরনার্থী কেম্প হতে
অপসারন করে এই মহুর্তে ভাষান চরে পাঠিয়ে দেয়া প্রয়োজন । সেখান থেকে পরে
তাদেরকে নীজ দেশ মায়ানমারে পাঠানোর জন্য সর্বাত্বক কুট নৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত
রাখতে হবে । রোহিঙ্গাদেরকে অপকর্মে সহাযতাকারী সকলকে চিহ্নিত করে তাদের
বিরোদ্ধে কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে ।
রোহিঙ্গাদেরকে ভাষান চরে নির্মিত শরনার্থী শিবিরে প্রেরণের বিষয়ে দেশী বিদেশী
যে সকল মহল বিশেষ বিভিন্ন ছুতা তুলে সরকারকে বিরত রাখতে চাচ্ছে ও রোহিঙ্গাদেরকে
অপকর্মে নিয়োজিত করার জন্য প্রতক্ষ বা পরোক্ষ ইন্ধন দিচ্ছে কিংবা সহযোগীতার পরিবেশ তৈরী করছে
তা গনমাধ্যমে প্রকাশিত করে দেশের জনগনকে সচেতন করে জনমত তৈরী করা এখন সময়ের দাবী ।
যতদিন যাবে ততই সমস্যা আরো ঘনিভুত হবে । ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গা সমস্যা সৃজনকারী, লালনকারী
দেশী , বিদেশী ও আন্তর্জাতিক মহল বিশেষের নাম প্রচার মাধ্যমে উঠে আসতেছে । এদের মুখোস
আরো প্রকট ভাবে উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন দেশের স্বার্থে ।
সময়োপযোগী মুল্যবান গনসচেতনতা মুলক পোষ্টটির জন্য রইল অভিনন্দন ।
পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
সঠিক কথাটিই বলেছেন - রোহিঙ্গাদের বিষয়ে গোড়া থেকেই ভুল পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।"
ভাসানচর যেভাবে বা যে কায়দায় তৈরী করা হয়েছে এবং সরকার যেখানে বারবার উচ্চস্বরে বলছে "স্থায়ী নিবাস" বা আশ্রয়স্থল, তখন রোহিঙ্গাদের সেখানে পাঠানো ঠিক হবে কিনা ভেবে দেখার আছে। এখানেও ভুল। কারন এতে মায়ানমার চমৎকার একটা সুবিধা পেয়ে যাবে। বিশ্ব দরবারে বলতে পারবে , রোহিঙ্গারা বাংলাদেশেরই নাগরিক, নাহলে ক্যাম্প বাদ দিয়ে কেন তাদের জন্যে স্থায়ী আবাসন তৈরী করেছে সে দেশের সরকার ? আর যদি রোহিঙ্গাদের সেখানের স্থায়ী আবাসনে নেয়াই হয় তবে বিশ্ব মোড়লেরাও রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনের জন্যে আর মাথাই ঘামাবেনা।
সংকট আমাদের উভয় দিকেই। রোহিঙ্গাদেরকে অপকর্মে সহাযতাকারী সকলকে চিহ্নিত করে তাদের
বিরূদ্ধে কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহন করতে তো হবেই পাশাপশি একটা "ডেভিলস অল্টারনেটিভ" খুঁজে বের করা ছাড়া এই সমস্যার হাত থেকে আমাদের রেহাই নেই।
মন্তব্যে লাইক এবং প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন , সুস্থ্য থাকুন।
২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাসানচরেই যেখানে পাঠানো যাচ্ছেনা বাইরের চাপে, সেখানে মিয়ানমারে ফেরৎ পাঠাবেন কিভাবে? (২১ নং প্রতিমন্তভ্য) - না, তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো এখন আর সম্ভবপর নয়, যেমন সম্ভব হয়নি বিহারীদেরকে পাকিস্তান কিংবা বিহারে ফেরত পাঠানো। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে আগ্রাসী কূটনৈতিক তৎপরতার প্রয়োজন ছিল, তার ধারে কাছেও আমরা যেতে পারিনি।
এখন সমাজবিজ্ঞানী, দূরদর্শী, দেশপ্রেমী, বিজ্ঞ রাজনীতিক (এমন কাউকে খুঁজে পেতে কষ্ট হবে), নিরাপত্তা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, অভিজ্ঞ কূটনীতিক, ইত্যাদি শ্রেণীর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
কোনও টাস্ক ফোর্স দিয়েই মনে হয় এখন আর কাজ হবেনা। কারন কোনও বন্ধুরাই আমাদের পক্ষে নেই, তাদের স্বার্থ মিয়ানমারে। একতরফা বন্ধুত্বে যা হয় তাই ..................
মাঝে মধ্যে আমাদের তেমন বন্ধু নয় এমন কেউ কেউ খানিকটা নাড়াচাড়া দিয়ে ওঠেন বটে তবে তাতে আমরা গা ঝাড়া দিয়ে তাদের সাথে একই তালে দৌঁড়ুতে পারিনে দূর্বল পা'য়ের কারনে।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৭
আমি সাজিদ বলেছেন: মানবিক কারন? ওসব ব্যবসা আর নোবেল পাওয়ার মতো হাস্যকর চিন্তাভাবনা।