নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবেকুব জাতক কথন - তিন

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০৯


ডেভিলস অল্টারনেটিভ

আমি মহাবেকুব, ডাষ্টবিনে টোকাইদের ঘাঁটা ঘাঁটি করার মতোই বেহুদা ঘেঁটেঘুঁটে একটি চটকদার খবর পেয়েছি, খবরটি হলো এই-
সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে বিশ্বব্যাপী একটি ভার্চুয়াল সন্মেলন হয়ে গেছে। উদ্দেশ্য মিয়ানমারের ভেতরে এবং বাইরে বসবাস করা সব বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে সহায়তা করার জন্য তহবিল সংগ্রহ । আয়োজক জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এর দোসররা ছিলেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।২০২০ সালের জন্য ১০০ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্য ধরা হলেও, তার অর্ধেক অর্থও না পাওয়ায় নাকি এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মাত্র ৬০ কোটি ডলারের তহবিল জোগাড় করা গেছে কষ্টেসৃষ্টে । টাকা নিয়েই মূলত এতো এতো আলোচনা হয়েছে কিন্তু সে টাকার কতো ভাগ বাংলাদেশের কপালে জুটবে সে কথা পরে। অথচ রোহিঙ্গাদের মূল যে মানবাধিকার - “নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন” সে কথাই তেমন করে আলোচিত হয়নি।।শুধু ভার্চুয়াল সন্মেলনে যোগ দেয়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহোদয় বলেছেন, রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরতে ইচ্ছুক হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত আন্তরিকভাবে তাদের প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরিতে কাজ করা।
এটুকুই, জোরালো গলার কিছু নয়, নমনীয়। এতে কেমন সাড়া মিলেছে জানতে পারিনি। তবে যৌথ সমাপনী ঘোষণায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সহায়তা বজায় রাখার বিষয়ে দাতা সম্মেলনের সহ-আয়োজকরা দায়সাড়া ভাবে জানিয়েছেন ‘রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের জন্য মিয়ানমার সরকারকে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুততার মূল কারণগুলো খুঁজে বের করে তা মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবশে তৈরি করতে হবে।’
ভাবখানা এমন যে, এতোদিনেও সে কারনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি! কেন যে রোহিঙ্গারা নিজ ভিটেমাটি ছেড়ে বাংলাদেশে নাফ নদীর বানের লাহান ভেসে এসেছে সেটা যেন তাদের আদৌ জানা নেই! খেয়াল করুন , আবার তাদেরকে “স্বেচ্ছায়” ফিরে যেতেও মামু বাড়ীর আবদার করা হয়েছে।
ঐদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, “এই অর্থ সহায়তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মানবিক সংকটে সাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে জোরালো অবস্থানের প্রতিফলন ঘটিয়েছে৷”
সন্মেলনের আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, “রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ভয়াবহ বর্বরতার শিকার হয়েছে, অকল্পনীয় বাজে পরিস্থিতির মধ্যে তারা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।”
অথচ এই সন্মেলনেও কেউই বলেনি, “যে অকল্পনীয় বাজে পরিস্থিতির মধ্যে তারা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে তাদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টির ক্ষেত্রেও জোরালো অবস্থানের প্রতিফলন ঘটাতে চাই।
বাংলাদেশের মাথার উপরের এই অমানবিক বোঝা নামাও।“


মহাবেকুবের মাথা চুলকানি হচ্ছে এই দেখে যে, এই হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মানবিক সংকটে সাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে জোরালো অবস্থানের নমুনা। টাকার মুলোটা নাকের সামনে ঝুলিয়ে দিয়ে, মানবিক সংকটে সাড়া দেয়ার কথাটাই জোরেসোরে বলে ল্যাঠা চুকিয়ে তারা আসল বোঝাটা বাংলাদেশের কাধে নয়, মাথায় উপরেই রেখে গেছে। মানবিক ভাবে অর্থ সাহায্য নিয়ে অনেক সন্মেলন হয়েছে কিন্তু কেউই মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্যে এ পর্যন্ত কোনও সন্মেলন ডাকেনি। অন্তত এই মহাবেকুবের কাছে এমন খবর নেই।
মানবিক সংকটের কথা বলে শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্যের জন্যে তো আন্তর্জাতিক গোষ্ঠির এমন জোরালো অবস্থানের দরকার নেই বাংলাদেশের। বাংলাদেশের দরকার, রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরিয়ে নিতে মায়ানমার সরকারের উপর সর্বাত্মক চাপ সৃষ্টির জন্যে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠির জোরালো অবস্থান।

এ সংবাদটি ছাড়াও পত্রপত্রিকায় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এযাবত যেসব নিবন্ধ বা খবর প্রকাশিত হয়েছে তাতে উদ্বেগ বাড়ে বই কমেনা। যে কেউ অনলাইনে সার্চ দিলেই ভয়াবহ আশংকার ইঙ্গিত নিয়ে অসংখ্য খবর/প্রবন্ধ/নিবদ্ধ এসবের দেখা পাবেন।
আমি মহাবেকুব, ডাষ্টবিনে টোকাইদের ঘাঁটা ঘাঁটি করার মতোই ঘেঁটেঘুঁটে এসব কুড়াই।
সবকিছু দেখে এটাই মনে হয়েছে, মানবতার ঠিকাদারী কি আমরা বাংলাদেশীরা একারাই নিয়েছি ? পৃথিবীর আর কারো যেন মানবতার দায় নেই। সে দায় যেন একলা আমাদেরই! কেন ?
এই ঠিকাদারীর কাজটা আমাদেরই আহাম্মকীর অর্জন। কারন -রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যে চুক্তি করেছে, তার মধ্যেই রয়েছে দুর্বলতা । এই চুক্তিতে কোনো সময়সীমা নেই । আন্তর্জাতিক কোনো পক্ষের সংশ্লিষ্টতা নেই ৷ কাকে ফেরত নেবে, কাকে নেবেনা সেই সিদ্ধান্ত মিয়ানমারই এককভাবে গ্রহণ করবে। তৃতীয় পক্ষের কথা বলার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি এই চুক্তিতে ৷
চুক্তির এই দুর্বলতার সুযোগ এখন মিয়ানমার তো নেবেই পুরো মাত্রায় ৷সোজা কথায়, এই চুক্তিতে মিয়ানমারের ওপর “চাপ” প্রয়োগ করার কোনো কৌশলও অবলম্বন করা হয়নি।
না কি যায়নি ?
ভাবতেই আনন্দ হচ্ছে , আমাদের পররাষ্ট্র বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের মধ্যে আমার মতো বেকুবও তাহলে আছে !!!!

আমার মাথাটা ঘুরে যাচ্ছে, তাহলে শেষতক হবেটা কি ভেবে ভেবে। সারা জীবনটা কি এদের গলায় ঝুলিয়েই বাংলাদেশীদের কাটবে ? মহাবেকুবের মতোই ভাবি, এটা কি বুদ্ধিমান বাংলাদেশিরা বুঝতেও পারছেননা কি অনিশ্চিত বিপদ ঝুলে আছে সামনে, না কি অলৌকিক কিছুর ভরসায় বসে আছেন তারা? কেনই বা আমরা সরকারের এতো এতো মানবদরদী সাজার প্রতিবাদ করছিনা সোচ্চার গলায় ?
অথচ পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ খাসিরা “মেঘালয়ের সব বাঙালিদের বাংলাদেশি” বলে প্রচার চালিয়ে উৎখাতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে এই অতিসম্প্রতি। ভারতের এই মেঘালয়ের বাঙালিদের বিরুদ্ধেও পুলিশ, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন, ছাত্র সংগঠন, জঙ্গি-সকলেই একজোট হয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে জাতীয় নাগরিক তালিকার চূড়ান্ত খসড়া থেকে ৪০ লক্ষ লোকের নাম বাদ দেয়ার পেছনের আসল উদ্দ্যেশ কি, তা এতোদিনে আপনাদের সবারই জানা। নতুন নাগরিক তালিকার (এনআরসি) নামে আসামের “বাঙালি তাড়াও” তালিকার পর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোও “বাঙাল তাড়াও” দাবিতে যে সোচ্চার হয়েছিলো তাও আপনাদের অজানা নয়। এমনকি সেসময় এনআরসি তৈরির দাবিতে সরব হতে আহ্বান জানিয়েছিলো সেখানকার গদিনশীন সরকারী দল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায়, মাঠে-ঘাটে অতন্দ্রপ্রহরীর ভূমিকা নিতেও বলা হয়েছে।
আমরাও একযোগে “রোহিঙ্গা খেদাও” কোনও আন্দোলনে নামতে পারছিনা কেন ?
বিজেপির এক বিধায়ক রাজ সিং তো আরো একধাপ এগিয়ে বলতে পেরেছিলেন- “অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা ‌যদি সম্মানের সঙ্গে ফিরে ‌যেতে না চায় তাহলে এদের গুলি করা মারা উচিত। একমাত্র এভাবেই দেশ নিরাপদে থাকবে।”
এনিয়ে প্রতিবাদে মুখরও হয়েছেন আপনারা জোরেশোরেই। অথচ এই রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আপনারা নিশ্চুপ কেন ? ভারতের সরকারী দল বিজেপির মতো আমাদের সরকারী দল আওয়ামী লীগ এই অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে কঠোর হতেও বা পারছেননা কেন ? আমাদের দেশটাকে নিরাপদ রাখতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরাই বা কেন তেজস্বী কন্ঠে তেমন কিছু বলে বিশ্বের টনক নড়াতে চাইছেন না ?
এটাকে কি বলা যাবে ? দেশপ্রেম না দলপ্রেম? নাকি নির্বুদ্ধিতা ?
অথচ এই নিস্পৃহতা কতো ভয়ঙ্কর অবস্থায় ফেলে দেবে আমাদের, তা আমরা কেউই ভেবে দেখছি কি ? সামাজিক অস্থিরতার কথা না হয় বাদই দিলাম, অর্থনৈতিক দিকটা একটু দেখি - রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য গত ৩ বছরে বাংলাদেশের অর্থের চাহিদা ছিল ২৩০ কোটি ডলার৷ কিন্তু দাতারা দিয়েছে ৭০ শতাংশ, যার পরিমান মাত্র ১৬০ কোটি ডলার ৷ ফলে রোহিঙ্গাদের পেছনে বাংলাদেশ সরকারকে নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করতে হয়েছে দুই হাজার ৩০৮ কোটি টাকা ৷ওদিকে ভাসানচরে আবাসন প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে বাড়তি তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা৷ আবার দাতারা যে অর্থ দেন শতকরা ৩৩ ভাগ পরিচালন ব্যয়েই চলে যাচ্ছে৷
মহাবেকুবের ভয়টা এখানেই-এখন এই মেহমানদের পেছনেই যদি এতো এতো টাকা ফালতু জামাই আদরে খরচ হয়েই যায় যা প্রতি বছর বাড়তেই থাকবে তবে দেশের কোষাগারে অবশ্যই টান পড়ার কথা। সেই টানটা ভরা হবে কোত্থেকে এটা কি কেউ ভেবে দেখেছেন ? এই ঘাটতি পোষাতে আপনার আমার পকেটে হাত দেবেই সরকার। নানা উছিলায় ট্যাক্সের পরিধি বাড়াবে, না হয় বিদ্যমান ট্যাক্সের পরিমান বাড়িয়ে দেবে। তখন আঙুল চোষা ছাড়া আর করার কিছুই থাকবেনা।
‘‘রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার জন্যে সেখানে কয়েক হাযার কোটি টাকা খরচ করে যে “ফাইভ ষ্টার গ্রাম” বানানো হয়েছে, সে টাকা কার পকেটের ? সেই টাকা দিয়ে বেকার পড়ে থাকা হতদরিদ্র-ছিন্নমূল বাংলাদেশীদের জন্যে কি কর্মসংস্থানের কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেয়া যেতোনা ? এতে তো সরকারের ভোটব্যাংকও ফুলে ফেপে উঠতে পারতো। রোহিঙ্গাদের দিয়ে তো সে কম্মটি হবেনা। এমন টোটকা বুদ্ধির যোগানদাতা কি সরকারী দলে নেই ? এই বুদ্ধির যোগান না হয় থাক কিন্তু এটুকু বোঝার বুদ্ধিটুকুও কি তাদের ঘটে নেই যে , ভাসানচর যেভাবে বা যে কায়দায় তৈরী করা হয়েছে এবং সরকার যেখানে বারবার উচ্চস্বরে বলছে "স্থায়ী নিবাস" বা আশ্রয়স্থল,তখন মায়ানমারতো গলা তুলে বলতেই পারে -“ রোহিঙ্গারা সব বাংলাদেশেরই নাগরিক নাহলে সে দেশের সরকার তাদের স্থায়ী নিবাস সহ কর্মসংস্থানের সকল সুযোগ কেন করে দিচ্ছে ? শরনার্থীদের জন্যে এমন মমতা কে দেখায় ?”
এখানেও ভুল। এসব নিয়ে দেশের ভেতরে তেমন একটা আলোচনা-বিতর্ক হয়েছে কি ? আমাদের মহাজ্ঞানী সমাজ কি বলেন ?
আমি মহাবেকুবী বুদ্ধিতেও তো এটুকু বুঝি যে, এটা তো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে আরো ঝুলিয়ে দেবে । কারন এতে মায়ানমার চমৎকার একটা সুবিধা পেয়ে যাবে। বিশ্ব দরবারে বলতে পারবে , রোহিঙ্গারা বাংলাদেশেরই নাগরিক। কারন অতিথির জন্য স্থায়ী ঘরবাড়ি বানিয়ে চাষবাসের ব্যবস্থা আমরা কখনোই করি না। কোনো রাষ্ট্রও তা করে না। ভাসানচরে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জন্য যেসব স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে এবং হচ্ছে, তার ফলে মায়ানমার সহ বিশ্ব মোড়লদের এমন ধারণা তৈরি হতেই পারে, টেকসই আবাসনের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করে নিয়েছে। (নেটে দেখে নিতে পারেন কি কি নাই ভাসানচরে)


ফাইভ ষ্টার গ্রাম- ভাসানচর।

মহাবেকুব জাতকের বুদ্ধিতে কুলোয় না -ক্যাম্প বাদ দিয়ে কি কারনে তাদের জন্যে এমন স্থায়ী আবাসন তৈরী করেছে সরকার ? এটা কি আমাদের কূটনীতির ব্যর্থতার খেসারত নাকি কোনও পুরষ্কার পাওয়ার আশায় দেশকে বর্গা রাখা ? এই শরনার্থীদের আর কখনোই ফেরত পাঠানো যাবেনা এটা জেনেই কি সরকারের এই পথে পা বাড়ানো ? আর যদি রোহিঙ্গাদের সেখানের স্থায়ী আবাসনে নেয়াই হয় তবে বিশ্ব মোড়লেরাও তো রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনের জন্যে আর মাথাই ঘামাবেনা। এমন ধারণা তৈরি হলে ও স্থায়িত্ব পেলে উদ্বাস্তু সমস্যাটি আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাথা ঘামানোর বিষয় থাকবে না। এমনিতেই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মানবিক সহায়তার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্লান্তি বা একঘেয়েমি বেশ পরিষ্কার। সাহায্য ও কূটনৈতিক অগ্রাধিকারও কমছে দিনে দিনে। এই ভাসানচর সেটাকে আরো উসকে দেবে।

তাই বেকুবের মতোই বলি -একটা "ডেভিলস অল্টারনেটিভ" খুঁজে বের করা ছাড়া এই সমস্যার হাত থেকে আমাদের রেহাই নেই।
তেমন একটা "ডেভিলস অল্টারনেটিভ"র দেখা পেয়েছি মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ব্রাড শেরম্যান এর কথায়। ২০১৯ এর জুনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চমকে যাওয়ার মতো একটা সমাধানসূত্র দিয়েছেন শেরম্যান। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারের মানচিত্রটাই বদলে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে দেশটি থেকে আলাদা করে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করার সম্ভাবনার কথা বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্র দফতরের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। ১৩ জুন, ২০১৯এ অনুষ্ঠিত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়ার বাজেট বিষয়ক এক শুনানিতে সূচনা বক্তব্যে ব্রাড শেরম্যান বলেন, সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানকে আলাদা করে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে যুক্তরাষ্ট্র যদি সমর্থন করতে পারে,তবে এটাও সমর্থন করা উচিৎ।
এখন কি শেরম্যানকে “ সাবাস” বলবো ?
সাথে বিকল্প এমন আর একটি রাস্তায় হাটা যেতে পারে -
আমরা “রোহিঙ্গা” , “রোহিঙ্গা” করে চেচাচ্ছি কেন ? এরা তো মায়ানমারের নাগরিক ! তাদের “মায়ানমারের নাগরিক” না বলে তাদের আলাদা জাতিগোষ্ঠির নামে ডাকছি কেন ? এতে তো তাদের মায়ানমারী নাগরিকত্বকে হালকা করে দেয়া হচ্ছে। তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে ভুল মেসেজ চলে যাচ্ছে বহির্বিশ্বের কাছে। এখন থেকে এইসব বহিরাগতদের বেলায় “রোহিঙ্গা” শব্দটি বাদ দিয়ে “মায়ানমারের নাগরিক” বলে সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সকল মিডিয়াতে প্রচার করা যায়না ?
(মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় এবং ডকুমেন্টে কোথাও রোহিঙ্গা শব্দটি কিন্তু নেই।)

আমাদের সবজান্তা জনগণের এইসব নিস্পৃহতা আর সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের আহাম্মকীর কারনেই মায়ানমারের এইসব নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক মূল্যবোধের কোনো মূল্যায়ন হবে না কোনো পক্ষের কাছে এমনকি তা কোনও সফলতার মুখও দেখবে কিনা সন্দেহ।
এনিয়ে মহাবেকুবীয় ভাবনাটা বলি - জনগণ যদি শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর এই মানবিকতার জয়গান না গেয়ে এদের বিতাড়নের জন্যে সোচ্চার হতেন সর্বস্তরে, প্রতিদিন মিছিল মিটিং করতেন এবং কূটনীতিকরা যদি “মায়ানমারের নাগরিক খেদাও এখনি ”, এমনতরো কূটনীতির প্যাঁচ কষতে পারতেন তবে শান্তিতে প্রধানমন্ত্রীর নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনাটি ফস্কে যেতোনা। তখন বিশ্বে এটিই বিবেচিত হতো - দেশের জনগণের সর্বাত্মক চাপের মুখেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মানবিকতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন নি। মানবতার পক্ষেই তিনি ছিলেন অবিচল ।

কেবলমাত্র দেশের স্বার্থেই এর বাইরে আরও কোনও “অল্টারনেটিভ” আছে কিনা, ভেবে দেখতে বলি ।


সূত্র ও কৃতজ্ঞতাঃ ডয়েচে ভেল, প্রথম আলো, বাংলাদেশ প্রতিদিন, আলোকিত বাংলাদেশ, বিডি নিউজ ২৪ সহ বিভিন্ন পত্রিকা, ZEE ২৪ ঘন্টা অনলাইন পত্রিকা ও নেট।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:২৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: মুল ব্যপার আমাদের দেশের কুটনীতি এখন আরেক দেশের স্বার্থ রক্ষার কাজে নিয়োজিত। তাই এই অবস্থা।

আপনি যে কথাটা বলেছেন সেটা খুব জোড়ালো মেসেজ। রোহিঙ্গা না ডেকে এদের ''মিয়ানমারের নাগরিক'' সম্বোধন শুরু করা যায়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,




প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
" রোহিঙ্গা" বললে এদের নৃ-গোষ্টির পরিচয়টাকেই তুলে ধরা হয় কোন দেশের " নাগরিক" পরিচয়টাকে তুলে ধরা হয়না। তাই নাগরিক প্রত্যাবসনের বিষয়টি ঝুলে যাবার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



২য় প্যারাগ্রাফে, ৬০ কোটী "টাকা' হবে না, উহা ডলার হবে।

"রোহিংগা খেদাও" বলে কিছু করা যাবে না, বাংগালীরা বিজেপি'র কেহ নয়। সময়ের সাথে বিশ্ব কইছু একটা করবে, বাংলাদেশও ব্যবস্হা নিবে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,



কৃতজ্ঞ টাকা ও ডলারের ত্রুটিটা দেখিয়ে দেয়ার জন্যে । শুধরে দিয়েছি।
হুম... এটা ঠিক - বাংগালীরা বিজেপি'র মতো একাট্টা নয় , বহুধা বিভক্ত। তাই একদল "রোহিংগা খেদাও" বললে আরেক দল লাঠিসোটা নিয়ে আসবে। আরেক দল এসব দেখে জ্ঞানগর্ভ কথায় মিডিয়া ফাটিয়ে ফেলবেন। আরেক দল হাততালি দেবে।

"সময়ের সাথে বিশ্ব কইছু একটা করবে," । কিন্তু সেই সময় যে আমাদের হাতে নেই! এইতো যুক্তরাষ্ট্র অতি সম্প্রতি এনিয়ে কিছু কথা বলেছে এতোদিনে। জানিনে, এটা সেখানকার নির্বাচণের আগে আগে করা কোনও ষ্ট্যান্টবাজী কিনা।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "হুম... এটা ঠিক - বাংগালীরা বিজেপি'র মতো একাট্টা নয় , বহুধা বিভক্ত। "

-বিজেপি আসলে ভারতের ২২ কোটী মুসলমানদের জন্য হুমকি, তাদের মতো "একতা" মানবতার জন্য ভালো কিছু নয়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,



ধন্যবাদ আবারো ফিরে আসাতে।
তবে বিজিপির মতো আমাদেরই বা মায়ানমারের এই জনগোষ্ঠির জন্যে হুমকি হতে বাঁধা কোথায় ? বিজেপি মুসলমান খেদাতে চায় যারা তাদের দেশেরই নাগরিক। এই উদ্বাস্তুরা কিন্তু আমাদের দেশের নাগরিক নয় উপরন্তু গলার কাটা হয়ে উঠেছে। পার্থক্যটা এখানেই। আমরা না হয় আমাদেরই সার্বভৌমত্বের স্বার্থে এদের খেদাতে চাইলুম। মানবতার ঠিকাদারীতো আমাদের একার না, যা আমরা ভবিষ্যৎ না বুঝেই মাথায় তুলে নিয়েছি! তাইনা ?

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "বিজেপি মুসলমান খেদাতে চায় যারা তাদের দেশেরই নাগরিক। "

-বাংগালীদের বদনাম আছে, তারা বাংলাদেশের হিন্দু "নাগরিক" খেদায়েছে; রোহিংগারা "রিফিউজি"; তবে, এদের খেদাতে গেলে, কানাডা, আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স, জাপান অখুশী হবে; এসব দেশ বাংগালীদের ইমিগ্রেশন দিচ্ছে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,



পৃথিবীতে সেই আদিম কাল থেকেই এর ওকে খেদানো, ওর তাকে খেদানো চলেই আসছে। তেমন মানবতা যদি থাকতোই তবে আজ এই আধুনিক পৃথিবীতে বসেও আমরা দেশে দেশে এই মানুষ তাড়িয়ে বেড়ানোর খেলা খেলতুম না। ( মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তাকান, তাকান তুরস্কের দিকে )
এই উদ্বাস্তু সমস্যাটি আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, আইন-শৃঙ্খলা সাথে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্যে এখনই হুমকি হয়ে উঠেছে। এদেরকে তাড়ালে কে বেজার হলো আর কে খুশি হলো , তা কি আমাদের দেখার বিষয় ?
নিজে বাঁচলে বাপের নাম।

বাংগালীদের যারা ইমিগ্রেশন দিচ্ছে তারা তা দিচ্ছে মনে হয়, নিজেদের স্বার্থে। যথাযথ ম্যানপাওয়ার লাভের স্বার্থে। এটা যে আপনি বোঝেন না তা কিন্তু নয়।

তবুও এই মানবতা বোধের জন্যে আপনি অবশ্যই ধন্যবাদের যোগ্য।

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: যেসব মহাবেকুবি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, তার উত্তর তৈরী করতে গেলে যে ধরনের মেরুদণ্ডঅলা পররাষ্ট্রনীতি, দেশপ্রেম এবং সততা থাকা দরকার, সেটা আদৌও আছে কিনা আমাদের, সে প্রশ্নটাই সবার আগে আসে।

রোহিঙ্গা প্রশ্নে আমরা তাদের ফেরত পাঠানোর চেয়ে এই দুর্ঘটনা থেকে ফায়দা লোটার সুযোগ খুঁজেছি ব্যক্তিগত/প্রতিষ্ঠানগত/সমাজগত/দলগত/রাষ্ট্রীয়, সকলভাবে। এখন ইন দ্য লং রান, দেখা যাচ্ছে যে ওই সব ফায়দার চেয়ে রোহিঙ্গা সমস্যাটা ক্রমেই আমাদের গলার কাটা হয়ে আটকে যাচ্ছে। এখন অতীতে নেয়া অন্যায় ভুমিকার জন্য আমরা বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে শক্ত গলায় কিছু বলতেও পারছি না, রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে মুক্তিও পাচ্ছি না। অগত্যা বিশ্বমানবতার বিশ্ব উদাহরণ হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করছি।

এ ধরনের মহাবেকুবি আমরা করেই যাবো, আপনার মহাবেকুবি জাতক কথনও ৩ পর্ব থেকে শতপর্বে চলে যাবে 'ইনশাল্লাহ'!!

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,




মহাবেকুব বলেই প্রশ্ন করে পদ্ম পুকুর ঘোলা করে ফেলেছি কি? বুদ্ধিমান হলে কি আর এইসব আহাম্মকী প্রশ্ন করি যেখানে মানুষজন মানবতার আনন্দে বগল বাজাচ্ছে?
দারুন মন্তব্য। লাইকড ..................

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এরা দেশের ভিতর ক্ষতি করছে এমনকি সৌদিতে এবং মালেয়শিয়ায় এরা বাংলাদেশের পাসপোর্ট বহন করে নানা অপকর্ম করতেছে। এরা বার্মিজ ইয়াবা কারবারী । ভাসানচর নিয়ে একটা টিভি চ্যানাল তিন পর্বে নিউজ করেছে স্থানীয় লোক বলেছে তাদের জীবন যাত্রায় কোন সমস্যা হচ্ছে না তেমন

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,



এরা যদি সৌদি এবং মালেয়শিয়ার মতো কঠিন আইনের দেশে অপকর্ম করার সাহস দেখাতে পারে তবে বাংলাদেশ তো কোন ছাড়!!!!!
ভাসানচরে তাদের স্থায়ী নিবাস করে দেয়ার অর্থই হচ্ছে দেশের মূল জনস্রোতের সাথে তাদেরকে একাত্ম করে নেয়া। এটাকে যতোই মানবিক মনে হোক না কেন, এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত। ভবিষ্যতে এ কারনেই বিশ্ব সম্প্রদায় তাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে মাথাই ঘামাবেনা যে কথা এই পোস্টে সবিস্তারে লেখা আছে।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে নোবেল না পাওয়া পর্যন্ত আমরা রোহিংগাদের ভালোবেসে যাবো।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর ,




আমরাও চাই একটি নোবেল আমাদের ঘরে আসুক। কিন্তু আসবে কি করে ? নোবেল আনার তড়িকায় ভুল করে ফেলেছি যে!

শান্তিতে নোবেল হাতছাড়া হওয়ার কারন উল্লেখ করেছি লেখায়। মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখুন সুযোগটি হাতছাড়া হয়েছে কেন। এটা পড়া থাকলে এমন মন্তব্য করতেন না।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
রোহিঙ্গা সমস্যাটি গলার কাঁটা হয়ে আছে এখন বাংলাদেশের জন্য।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,




গলার কাঁটার ক্ষত কখন যে ক্যান্সার হয়ে ওঠে সেটার অপেক্ষা ................

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

রামিসা রোজা বলেছেন:

মহাবেকুব জাতকের বুদ্ধিতে কুলোয় না -ক্যাম্প বাদ দিয়ে
কি কারনে তাদের জন্যে এমন স্থায়ী আবাসন তৈরী করেছে সরকার ? এটা কি আমাদের কূটনীতির ব্যর্থতার খেসারত?
যে
----এই সত্য তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আরো অনেক কথাই আপনি পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট বলেছেন যা
সবই গ্রহণযোগ্যতা দাবি রাখে ।
পথে পথে বৃদ্ধ ও দুস্থদের কোন পুনর্বাসন নেই , পথ শিশুদেরওকোন ভবিষ্যৎ নেই অথচ আমরা জামাই আদর
করছি ।‌
স্পষ্টভাষী লেখায় ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রামিসা রোজা,




মহাবেকুব বলেই হয়তো মুখ ফসকে বেফাঁস কিছু সত্য কথা বেরিয়ে যায়।
আসলে ছাই চাপা আগুনকে উপেক্ষা করলে তার পরিনতি কখনও ভালো হয়না ।

ভালোলাগা জানানোর জন্যে ধন্যবাদ।

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলছেন, "পৃথিবীতে সেই আদিম কাল থেকেই এর ওকে খেদানো, ওর তাকে খেদানো চলেই আসছে। "

-আজকের কানাডা, আজকের ইউরোপ, আজকের বাস্তবতায় মানুষকে তাড়ানোতে বিশ্বাস করছে না; আমাদের মনোভাব বদলানোর দরকার, সমাধান বের করার দরকার।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,



কানাডা, ইউরোপ, অষ্ট্রেলিয়া, নি্উজিল্যান্ড এদের কথা ভিন্ন হলেও ইতিহাসে কিন্তু ঐ তাড়ানোর হিসেবও রাখা আছে ।
একালেই আমেরিকাতে কিন্তু তাড়ানোর কিছু ঘটনা ঘটেছে। দেয়াল দেয়া হয়েছে মেক্সিকোর সীমানায়। শিশুদের আলাদা করা হয়েছে মা-বাবাদের কাছ থেকে।
আসলে যে যার স্বার্থের দিকে খেয়াল রেখেই কতোটুকু মানবিক হবে তার হিসেব কষে।
আমরা গরীব একটা দেশ। আপনিই তো রোজই বলেন , কোনও সরকারই দেশের মানুষদের জন্যে শিক্ষার কোনও আয়োজন রাখেনি, কর্মসংষ্থান নেই কোথাও, কামলা খাটতে দেশের মানুষ মরুভূমির দেশে যাচ্ছে। সেই আমরা কিভাবে, কি করে ১২/১৩ লাখ মেহমানদের বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবো ?
"সমাধান বের করার দরকার" বলেছেন। আপনার বারেবারে বলা মূল সমস্যার সমাধান এটাই - এই অতিরিক্ত বেহুদা মানুষগুলোর দায়ভার কাধ থেকে নামিয়ে দেয়া। মানবিকতা দেখানোর সামর্থ্য আমাদের এখনও হয়নি।
আর যদি "উন্নয়নের সড়কে দেশ" ভেবে আত্মতুষ্টি থেকে মানবিক হওয়ার কথা বলেন তবে কিছু বলার নেই!

১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "বাংগালীদের যারা ইমিগ্রেশন দিচ্ছে তারা তা দিচ্ছে মনে হয়, নিজেদের স্বার্থে। যথাযথ ম্যানপাওয়ার লাভের স্বার্থে। এটা যে আপনি বোঝেন না তা কিন্তু নয়। "

-ওদের মানুষের দরকার আছে, মানুষকে ইমিগ্রেন্ট করছে; কারণ, মানুষ সেসব জাতিকে সাহায্য করছেন, নিজেও উপকৃত হচ্ছেন; আমাদেরকে অনেক জাতির মানুষ সাহায্য করছেন, তাদেরকে আমরা ইমিগ্রেন্ট করতে পারবো না, আমাদের সেই সেই অবস্হা নেই।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,




ওদের মানুষের দরকার আছে, মানুষকে ইমিগ্রেন্ট করছে; কারণ, মানুষ সেসব জাতিকে সাহায্য করছেন, নিজেও উপকৃত হচ্ছেন;
আমাদের মানুষ দরকার নেই । নিজেদের মানুষকেই খেতে-পড়তে দিতে পারছিনে তার উপর জামাই পোষা। মায়ানমারের এই সব নাগরিক আমাদের কি কি সাহায্য করছে ????? এদের সাহায্য করলে কি কি উপকার হবে আমাদের ? এনজিওরা খয়রাতি পয়সায় মাস্তি করতে পারবেন, সরকার কিছু খয়রাতি সাহায্য পাবেন, এই যা! কিন্তু তাতে কি এই দেশের অসহায়-হত দরিদ্র- কর্মহীন মানুষের কোন উপকার হবে কি ????

আমাদেরকে অনেক জাতির মানুষ সাহায্য করছেন, তাদেরকে আমরা ইমিগ্রেন্ট করতে পারবো না, আমাদের সেই সেই অবস্হা নেই।
নিজেই বলেছেন - যারা আমাদের সাহায্য করেছেন তাদেরই আমরা সাহায্য করার অবস্থায় নেই । তাহলে এই যে বেসাহায্যকারীরা আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে তাদের সাহায্য করবো কোন যোগ্যতায় ???? আমাদের এলাকায় একটা কথা আছে - " খায় খয়রাত কইররা আর ***** ল্যাম (কুপিবাতি) জ্বালাইয়া"। ব্যাপারটা সেরকম হয়ে যাবে না ?

আমরা যে ঐসব অহেতুক ঝামেলা মাথার নেয়ার অবস্থায় নেই অনেক ভাবেই সেটা বোঝাতে চেষ্টা করেছি । এরপরে আর কিছু বলার থাকার কথা নয় । ধন্যবাদান্তে।

১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভয়ঙ্কর বিপদ সামনে।এর আগেও একদিন বলেছিলাম যে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা অমূলক নয়। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের গলায় ফাঁস আটকে যাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যুদ্ধকালীন সমাধান দরকার।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




ছাইচাপা আগুন কিন্তু ভয়ঙ্কর। কখন কোথায় দাবানলের সৃষ্টি করে, কারো জানা নেই। তার উপরে আছে এই আগুনকে উসকে দেয়ার প্রবনতা।
এই লেখাতে সেটারই সতর্কীকরণ করতে চেয়েছি। যদি কারো শুভবুদ্ধির উদয় হয়!
যুদ্ধ নয় , কূটনীতির ধারালো ছুরি দিয়ে এই জট কাটানোই সব থেকে মঙ্গল।

১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: এরা এখন রাজার হালে আছে, নানা রকম ব্যবসা করছে। তাহলে ফিরে যাওয়ার দরকার কি ? আর ভাসনচরে গেলে পায় কে........

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢুকিচেপা,




অবস্থাদৃষ্টে তেমনটার লক্ষনই প্রকট। এর সাথে আছে কোনও কোনও দেশের সুদূর প্রসারী চক্রান্ত।
নীচে সহব্লগার ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যটি পড়লেই এর কিছু আলামত পাবেন।

১৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, পড়েই মন্তব্য করেছি।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,



পড়েছেন কিন্তু সন্দেহ হয় বোঝেন নি ঐ লেখার প্রেক্ষাপট কি ! আবার সেটা তুলে দিচ্ছি রোহিঙ্গাদের ভালোবেসে কিকরে নোবেলটা হাত থেকে ফসকে গেছে তার কারন হিসেবে --"জনগণ যদি শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর এই মানবিকতার জয়গান না গেয়ে এদের বিতাড়নের জন্যে সোচ্চার হতেন সর্বস্তরে, প্রতিদিন মিছিল মিটিং করতেন এবং কূটনীতিকরা যদি “মায়ানমারের নাগরিক খেদাও এখনি ”, এমনতরো কূটনীতির প্যাঁচ কষতে পারতেন তবে শান্তিতে প্রধানমন্ত্রীর নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনাটি ফস্কে যেতোনা। তখন বিশ্বে এটিই বিবেচিত হতো - দেশের জনগণের সর্বাত্মক চাপের মুখেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মানবিকতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন নি। মানবতার পক্ষেই তিনি ছিলেন অবিচল । "

আপনাদের ভালোবাসার চোটে বহির্বিশ্ব ধরেই নিয়েছে বিনা বাঁধায় রোহিঙ্গাদের একটা জায়গা হলো। জানেন তো , না চাইতেই যা পাওয়া যায় তার কদর থাকেনা? আর সে কারনেই বিশ্বের কাছে আমাদের শান্তি চাওয়ার কদর হয়নি। আর যদি আপনারা সেই ভালোবাসায় গদগদ না হতেন তবে ঐ জায়গাটি দিতে জনতার মতের বিরূদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে লড়তে হতো। ( প্রধানমন্ত্রীর মতে মত তো দেয়াই আছে সেটা বিশ্বে প্রচার করার দরকার ছিলোনা । আমরা লোক দেখানো একটা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলতুম। ) আর সেই লড়াইয়ের কারনেই তাঁর নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তো।

এবার বুঝেছেন তো, রোহিঙ্গাদের আপনাকে ভালোবেসে যেতে হবে যতোদিন বাঁচবেন ততোদিন!!!!!!!!!!

১৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মুল্যবান কথা সমৃদ্ধ পোষ্টটি গভীরমনযোগ দিয়ে পাঠ করেছি ।
আপনার প্রতিটি প্রস্তাবের সহিত সহমত ।

ভাষান চরে কাদের প্ররোচনায়, কাদের উদ্যোগে, কাদের অর্থায়নে, কাদের ব্যবস্থাপনায়
ও তদারকীকে এই কর্যযজ্ঞ সম্পাদিত হয়েছে সে দিকে অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিলে
অনেক বিষয় আপনার কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে বলে মনে করি ।

আমার মনে পড়ে বিগত আগস্ট ২০১৭ সালে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর দ্বারা শুরু হওয়া গণহত্যা থেকে
পরিত্রাণ পেতে মায়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গারা যখন গোপনে কাটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে
ছিল তখন বাংলাদেশ সরকার সীমান্ত বন্ধ করে বাংলাদেশে রোহঙ্গাদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছিল । ঠিক সে সময়ে তুরস্কের
প্রেসিডেন্ট ঘোষনা দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে বলেছিল রোহিঙ্গাদেরকে মানবতার খাতিরে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য,
রোহিঙ্গাদের থাকা খাওয়ার খরচ তুরস্ক বহন করবে। সেই মহামানবতাবাদী প্রেসিডেন্টের ঘোষনা নিয়ে সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে প্রসংসার ফুলজঝুরী বইতে ছিল । এ নিয়ে এ সামু ব্লগেও এরদোগনের বিশাল বিশাল ছবি দিয়ে বেশ
কিছু পোষ্ট আসছিল । সে রকম একটি পোষ্টে কমেন্টের ঘরে এরদোগানের উদ্দেশে বলেছিলাম আপনার মানবিক
মুল্যবোধের জন্য অনেক ধন্যবাদ।সাথে এও বলেছিলাম , আমাদের দেশটি খুবই ছোট ও ঘনবসতির ভারে পুর্ণ, দারিদ্রতা
এ দেশের নিত্য সঙ্গী । আপনার তুরস্ক বিশাল বড় দেশ , অনেক উন্নত , অনেক জায়গা জমি পরে আছে পতিত।
সেখানে নিয়ে রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিন। আরো বলেছিলাম রোহিঙ্গাদেরকে জাহাজে করে তুরস্কে নিয়ে যওয়ার জন্য
কষ্টকরে হলেও জাহাজভাড়া আমরাই দিব, শুধু আপনি তাদেরকে নিয়ে যান , তাদের জন্য আমাদেরকে আপনার আর
কিছু করতে হবেনা। বাছ, আর যায় কোথায় সেই পোষ্টে মন্তব্যের ঘরে আমাকে অনেকেই তুলোধুনা করেছেন। দেশী
বিদেশী চাপের মুখে সরকার সীমান্ত উন্মোক্ত করে দিল । ফল টা কি হলো প্রায় ৬,৫৫,০০০ থেকে ৭,০০,০০০ রোহিঙ্গা
শরণার্থী দিন কয়েকের মধ্যেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তার পরের ঘটনা তো সুন্দর ভাবে আপনি তুলে ধরেছেন ।

সম্প্রতি সেপ্টেম্বর ২০২০ এ এরদোগান আরো একটি ঘোষনা দিয়েছেন, তা হল বাংলাদেশে তুরস্কের আর্থিক
সহযোগিতায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দের জন্য এরদোগান প্রস্তাব দেন।

এখন বুজুন, তারা কি সমস্যার সমাধান চায়, না শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় পাওয়া মায়ানমারের নাগরিকদেরকে
স্থায়ীত্বতা দিতে চায়। বিষয়টি দেশের সকলকে বুঝতে হবে । সকলকে একাট্টা হতে হবে আমাদের দেশের
আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মিয়ানমারের বিতারিত নাগরিকদেরকে মিয়ানমারে তাদের নীজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে ।
প্রয়োজনে মানবতাবাদী সকল বিশ্ববাসীর সাথে আমরা তাদেরকে সেখানে পুর্ণবাসনের জন্য সর্বাত্বক সহযোগীতা
করব।

সচেতনতা মুলক পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ । পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

















০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,




"মোনাফেক" বলতে একটা কথা আছে। তুরস্ক সেটা প্রমান করেছে। আমাদের বাকী জিগরী দোস্তেরাও তাই। আপনার এমন বিশ্লেষিত মন্তব্যের পরে শুধু একথাটুকু বলা ছাড়া আর কিছু বলার নেই।

অথচ এই বিষবৃক্ষের ফল আমাদের খেতেই হবে বারবার ভুলের খেসারত হিসেবে। এই আজও টিভিতে শুনলুম রোহিঙ্গা নামের সন্ত্রাসী মায়ানমারের নাগরিকেরা স্থানীয় এক যুবককে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে বের করে তিন তিনটা গুলি করে মেরে ফেলেছে। সার্বিক অবস্থা বুঝতে এই ঘটনাই যথেষ্ট।

পোস্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সামু ব্লগে এরদোগনের বিশাল বিশাল ছবি দিয়ে যে বেশ কিছু পোষ্ট এসেছিলো সে রকম একটি পোষ্টে কমেন্টের ঘরে এরদোগানের উদ্দেশে আপনার বলা - "রোহিঙ্গাদেরকে জাহাজে করে তুরস্কে নিয়ে যওয়ার জন্য কষ্টকরে হলেও জাহাজভাড়া আমরাই দিব, শুধু আপনি তাদেরকে নিয়ে যান , তাদের জন্য আমাদেরকে আপনার আরকিছু করতে হবেনা।" এই কথার জন্যে।

একাট্টা হবো কি করে ? আমরা নিজেরাই যে হাযারটা ভাগে ভাগ .............

১৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:২৬

সোহানী বলেছেন: হেহেহেহে..... মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গা আসবে, আসাম থেকে আসামীয় বাঙ্গালি আসবে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাঙ্গালি ঘটি আসবে, বোম্বে, দিল্লি, আগ্রা................ চারপাশ থেকে আসতেই থাকবে। ১৮ কোটির জায়গায় ৩০ কোটি হবে................ এর আর এমন কি!!!

তারপর যখন দেশের ভীতর সবার মাথা সবাই ভাঙ্গবে তখন আসল মাথাওয়ালারা চার দেয়ালের ভীতর থেকে দেশ চালাইবে। ভালোতো ভালো না.............................।

এসব বলিয়া কোন লাভ নাই। বেকুব নিজেই এসব ভাবিয়া মাথা গরম করিবে তারপর উহাতে বরফ ঢালিবে B-) B-)

০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




ব্লগের ঢিলেমীতে ইচ্ছে করেনা মন্তব্যের জবাব দিতে, এতোই স্লো । তাই এই বিলম্বের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।

ভালোই বলেছেন। মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গা আসবে, আসাম থেকে আসামীয় বাঙ্গালি আসবে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাঙ্গালি ঘটি আসবে, বোম্বে, দিল্লি, আগ্রা................ চারপাশ থেকে আসতেই থাকবে।
আমরাও এখন বাংলাদেশকে দোতলা তিনতালা বানিয়ে ফেলবো, দরকার হলে মাল্টিষ্টোরিড করে ফেলবো যাতে করে তামাম পৃথিবীর সব দেশের খেদানো পাবলিককে জামাই আদরে রাখতে পারি ........... :P :((

১৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বৈরাচারী সরিসৃপ
গিলে খায় ভিন্নমত, মানবাধিকার
সংবিধান, ভোটাধিকার, সবকিছু - - -

উন্নয়নের মহাসড়কে দলান্ধদের উপচে পড়া ভীর
প্রকল্পের ভারে নূজ্ব্য শহর
রাতারাতি কোটিপতি তালিকার শীর্ষে দেশ!

শুভংকরের ফাঁকি -সাত পাঁচে চৌদ্দ !
দু আনা ফিরিয়ে দেবার কু মানসংকে
জিডিপির কাগুজে সনদ! শুন্য জনতার শুন্যথলে;

বিতারিত মায়ানমার জনগোষ্ঠি
তহবিল তসরুপের তুরুপের তাস
কমিশনের শতকরা হারে ডুবছে সার্বভৗমত্ব!!!

মধ্যরাতের ভোটে বন্দী ভাগ্য
বানরের হাতে অগ্নিদন্ড
লংকার অপেক্ষায় বাংলার ফিনিক্স চেতনা!

পুড়ে ছাই হলে পরে, না’হয় জাগবে পুন:
আগে তো পুড়তে দাও!
আত্মঘাতি নিরবতায় স্ব-মেহনে বিরোধীদল!

কত রবি জ্বলেরে, কেবা আখি মেলেরে
চেতনায় সুশীল সমাজ
পশ্চাৎদেশ পোড়া গন্ধ ঢাকে ফরাসী চেতনা!

মহা বেকুব ভায়ার যেকি হয় কালে ভদ্রে
দেয় ছুটিয়ে শীতনিদ্রা!কি জ্বালা!
দাও দিকিনি দু ছিলিম- বুদ হই আমিও চেতনায়!

অন্যথায় এসো মুক্তির যুদ্ধে
সার্বভৌমত্বের রক্ষায়, মৌলিক মানবাধিকার
ভোটাধিকার আর আত্মমর্যাদায় নতুন যুদ্ধে।

দেকো দিকি কি কান্ড! কতি গেলাম কি? হয়ে গেলো কি ;)
যাক, যার লেখা পাঠান্তে এর জন্ম, সেই প্রিয় ভায়ার পোষ্টেই থাকুক প্রথম প্রকাশ হয়ে :)

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,



কতি গেলেন কি আর কয়ে গেলেন কি!!
শুভংকরের ফাঁকি -সাত পাঁচে চৌদ্দ এমন কথাই তো কয়ে গেলেন বুক টান টান করে।

( ব্লগের ধীরুতার কারনে যুৎ পাইনে তেমন, ব্লগ চষে বেড়াতে। )

১৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১২

মা.হাসান বলেছেন: বোলার বা ক্যাপ্টেনের নাম এখন আর মনে নেই, তবে এটা সত্য ঘটনা। একজন বোলার ক্রিকেট ম্যাচে খুব খারাপ বল করছিলো। ক্যাপ্টেন তাকে ডেকে বললেন- তুমিতো ব্যাটসম্যনকে রীতিমতো দ্বিধায় ফেলে দিয়েছো, চালিয়ে যাও।
অপ্রস্তুত বোলারের জিজ্ঞাসা- কি রকম?
-না, ব্যাটসম্যান বুঝে উঠতে পারছে না চার মারবে নাকি ছয় মারবে।

বাংলাদেশের হাউকাউ দেখে মিয়ানমারও বিভ্রান্তিতে ভোগে, কি করতে হবে বুঝে উঠতে পারে না।

এর আগে তেল-গ্যাস কূপের জন্য সমুদ্রসীমার আন্তর্জাতিক মামলার রায় হবার পর বাংলাদেশে যে উল্লাস করা হলো এতে নাকি মিয়ানমার তিন-চার বার করে রায়ের কপি জোগাড় করে কয়কবার করে অনুবাদ করে দেখেছে তাদের দেখার ভুল হচ্ছে নাকি কোথাও। মিয়ানমার যা যা চেয়েছে, একটা বা দুটা বাদে সব কূপ পেয়ে গেছে। সব হারিয়ে বাংলাদেশ উল্লাস করেছে- জিতে গেছি (শুনেছি ঐ মামলায় নাকি এক প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গিতজ্ঞ স্বামী অনেক সহায়তা করেছেন, কতটা গুজব কতটা সত্য যাচাই করা মুশকিল)। একই ভাবে মিয়ানমারের সাথে এই রিফিউজিদের প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত স্পষ্ট চুক্তি না করেই অনেকেই বগল বাজাচ্ছেন। ( নকিব ভাই ওনার এক পোস্টে বলেছেন- যাদের হাত নেই তারাও নাকি এখন বগল বাজায়।) মিয়ানমার আসলেই কনফিউশনে আছে। আরো কিছু রোহিঙ্গা নিজ দেশেই মারবে না বাংলাদেশে পাঠাবে বুঝে উঠতে পারছে না।

প্রতিবেশির সাথে শালা-দুলাভাই বা জামাই-বউ সম্পর্ক না করে প্রতিবেশি সুলভ সম্পর্ক করাই ভালো।

এর আগের এক বলদ সরকার আসামের উলফা, মনিপুরের পিএলএ এসব বিদ্রোহিদের সাহায্য করতো। এসব বলদামি না করে রোহিঙ্গাদের হাতে কিছু অস্ত্র দিলে কাজে দিতো।

শেরম্যান যা বলছে তা আমেরিকার স্বার্থের দিকে তাকিয়েই বলেছে বলে মনে হয়। এই অঞ্চলে গন্ডগোল হলে আম্রিকার দালালি করার সুবিধা হয়। তবে হ্যা, কূটনৈতিক ভাবে চাপ দিয়ে বিনা যুদ্ধে ঐ রাখাইন রাজ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে এই সব রিফিউজি ফেরত পাঠালে তা ঠিক হবে। সেই কূটনৈতিক দরকষাকষির অবস্থা আমাদের নাই, এটা বাস্তবতা।

সামরিক অপশনের কথা বাংলাদেশ সরকার নব্বই এর দশক থেকেই ভেবেছে। ঐ সময়ে বার্মিজ আর্মির শক্তি অনেক কম ছিলো। আমাদের সামরিক শক্তি যা ছিলো তাতে এক সপ্তাহের কম সময়ে রাখাইন রাজ্য দখলে আনা সম্ভব ছিলো (ঐ অঞ্চলে ভূ-প্রকৃতি এমন, মূল ভূখন্ড থেকে রিইনফোর্সমেন্ট আনা সময় সাপেক্ষ ছিলো)। তবে চীন বরাবর বাধা দিয়ে এসেছে। ঐ সময়ে চীনের বক্তব্য ছিলো রোহিঙ্গাদের ভারতে ঢোকানো হবে (সমারিক বাহিনীতে কর্মরত পরিচিত একাধিক ব্যক্তির কাছে এই গল্প শুনেছি)। খাম্বা সরকার এটা বিশ্বাস করেছিলো।

এখন অবস্থা আগের মতো নেই। বার্মিজ আর্মি এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। মেরুদন্ডহীন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে এই ইস্যুতে বাংলাদেশ চিন বা ভারত কারো কাছ থেকে কোনো সুবিধা আদায় করতে পারে নি। ভবিষ্যতে এরকম হবে বলে মনে করি না।

এখন যা অবস্থা, তাতে আপনার পোস্টের শেষ প্যারার সাজেশন অনুসারে সরকারি লোকেরা নিজেরা নিজেরা শাহবাগ মুভমেন্ট টাইপ খেলা খেলে দেখতে পারে, আম গেছে যাক, নোবেলের ছালা যদি পাওয়া যায়।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,




চমৎকার মন্তব্যে এই শরনার্থী সমস্যা নিয়ে বাস্তব কথাগুলোই বলে গেছেন।

নোবেলের ছালাটা যে আঃলীগ নিজেদের বগল বাজাতে গিয়ে ছিড়েই ফেলেছে সেটা তারা এখনও বুঝে উঠতে পারেনি বলেই সন্দেহ করছি।

শেরম্যান এর কথার প্রসঙ্গে সুদানের ভাগ হয়ে যাওয়া নিয়ে বলতে হয় - সুদানের দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধের পর ২০০৫ সালে "কমপ্রিহেনসিভ পিস এগ্রিমেন্ট" (সার্বিক শান্তি চুক্তি) সাক্ষরিত হয়। ওই বছরের শেষ দিকে গঠিত হয় "অটোনমাস গভর্নমেন্ট অফ সাউদার্ন সুদান" (সুদান দক্ষিণাঞ্চলীয় স্বশাসিত সরকার)। ২০১১ সালে একটি গণভোটে দক্ষিণ সুদানের ৯৮.৮৩% মানুষ স্বাধীন দক্ষিণ সুদানের পক্ষে মত দেন। এরপর ওই বছর ৯ জুলাই দক্ষিণ সুদান আলাদা হয়ে যায় । যদিও সুদানের ৩০ বছরের শাসক ওমর বশিরের সবসময়েই লক্ষ্য ছিল একটি একীভূত সুদান রক্ষা করা, কিন্তু শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে দক্ষিণ সুদানের বিষয়ে একটি গণভোট আয়োজন করতে বাধ্য হতে হয় তাকে।


মায়ানমার থেকে বিতাড়িত নাগরিকদের জন্যেও সুদানের মতো একটি গণভোটের আয়োজন করা যায় কিনা , সম্ভবত সেটারই ইঙ্গিত দিয়েছেন শেরম্যান তার বক্তব্যে। বাংলাদেশ এরকম একটা গণভোটের আয়োজনের কথাও বলতে পারতো আন্তর্জাতিক ফোরামে। এখন অবশ্য সেটাও হাত থেকে ফসকে গেছে।

( ব্লগ খুব স্লো এখনও)

১৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
১৭ এবং ১৮ মন্তব্য খুব ভালো করে পড়লাম।
রোহিঙ্গাদের আর মায়ানমারে স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ ফিরত পাঠাতে পারবে না। কিছু জিনিস একটা দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বোঝার ক্ষমতা থাকতে হয়। এই রোহিঙ্গাদের যখন বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছিল তখন বুঝে যাচ্ছিল এদের ঠেকানোর সাহস বাংলাদেশের নেই। এখন অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। আবাল লোকজন এখন সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর সৈন্যদের ধরে রাস্তা ঘাটে মাইর দেয়। এরা এখন আর যুদ্ধ করার উপযুক্ত নয়। জাতিসংঘের কাড়ি কাড়ি টাকা পয়সা খেয়ে মেদ ভূড়ি অনেক বড় হয়ে গেছে।
নোবেলের যে ধান্দা একজন করেছিল তার আর নোবেল পাওয়া হবে না। ভারতের পা ধরে বসে থাকলে ভারতনট্যম পেতে পারে তবে নোবেল না। ভাসানচরের কাজে বিরাট লুটপাট হইয়েছে। কে কত করেছে ছবি দেখলেই আশা করছি বুঝতে পারছেন কত উপরে এই লুটপাট চলেছে।
বাংলাদেশে এখন রাস্তা একটাই, প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র সহ রোহিঙ্গাদের মাঠে নামিয়ে দেয়া উচিত। অনেকদিন বেকুবের মতো বল নিজের কোর্টে নিয়ে খেলেছে। খেলা এখন আরেকজনের কোর্টে খেলতে হবে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,



ব্লগের ঢিলে চালের জন্যে ব্লগে যেমন একটা আসা হয়না আর এলেও ব্লগের ধীরগতির কারনে মন্তব্য করা এবং প্রতিমন্তব্য করার ইচ্ছে হয়না তেমন। তাই দীর্ঘ সময় জবাব বিহীন আপনার মন্তব্যখানি পড়ে থাকার জন্যে দুঃখিত।

কিছু জিনিস একটা দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বোঝার ক্ষমতা থাকতে হয়।
এটা ঠিক বলেছেন। যদি আখের গোছাতে তেলমর্দনের পিছেই তাদের সব সময় কেটে যায় তখন কিছু বোঝার সময় থাকে কই ? আর বুঝলেও সেখানে যদি লাভের বখরা না থাকে তবে তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। এই দেশটাকে দুঁইয়ে দুঁইয়ে খাওয়াতেই এরা ব্যস্ত। পারলে বেঁচেও দেয়।

অনেকদিন বেকুবের মতো বল নিজের কোর্টে নিয়ে খেলেছে। খেলা এখন আরেকজনের কোর্টে খেলতে হবে।
সেটাই। এছাড়া আর কোনও পথ তো দেখিনে।

২০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

জাফরুল মবীন বলেছেন: মানবিক কারণকে উপলক্ষ্য করে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী দেশের অনুরোধে রোহিঙ্গাদের যায়গা দিয়ে আমরা কত বড় বেকুবি করেছি তার ধারাবাহিক এপিসোড দেখছি এবং হয়ত দেখতে থাকব অনির্ষ্টিকাল পর‌্যন্ত।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাফরুল মবীন ,




দীর্ঘ সময় অনিচ্ছাকৃত ভাবে আপনার মন্তব্যখানি জবাব বিহীন পড়ে থাকার জন্যে দুঃখিত।
অনিচ্ছাকৃত এই কারনে যে, ব্লগের ঢিলে চালের জন্যে ব্লগে যেমন একটা আসা হয়না আর এলেও ব্লগের ধীরগতির কারনে মন্তব্য করা এবং প্রতিমন্তব্য করার ইচ্ছে হয়না তেমন।

মানবতা দেখানো হয়তো বেকুবী নয়, বেকুবী তখনই হয় যখন সেই মানবতা কোন পাত্রে ঢালা হচ্ছে এবং তার ফলাফল কি হতে পারে সে সম্পর্কে দূরদৃষ্টির অভাব হয়।
এই আপদ বিদায় হতে আরো কতো বছর যে আমাদের অপেক্ষা করতে হয় !!!!!!!!!

২১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

একাল-সেকাল বলেছেন:
বিতারিত প্রক্রিয়াকরণ নীতি দেশ কাল পাত্র ভেদে একই।
সরকারী বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মত আমাদের দেশে পরিবারকেন্দ্রিক এই নীতির চর্চাও ইদানিং দেখা যাচ্ছে।
বাহ্যিক সুবিধাবাদী এই নীতির চর্চা বাড়বে বৈ কমবে বলে মনে হয়না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: একাল-সেকাল,




মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ তবে সবটা বোধগম্য হয়নি। আমার অক্ষমতার কারনেই হয়তো বুঝতে পারিনি কি বলতে চেয়েছেন প্রথম আর দ্বিতীয় লাইনে।

দীর্ঘ সময় অনিচ্ছাকৃত ভাবে আপনার মন্তব্যখানি জবাব বিহীন পড়ে ছিলো বলে দুঃখিত।

২২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


@নীল আকাশ,
@ বলেছেন, "বাংলাদেশে এখন রাস্তা একটাই, প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র সহ রোহিঙ্গাদের মাঠে নামিয়ে দেয়া উচিত। অনেকদিন বেকুবের মতো বল নিজের কোর্টে নিয়ে খেলেছে। খেলা এখন আরেকজনের কোর্টে খেলতে হবে। "

-জ্বি জেনারেল সাহেব, আপনার বুদ্ধিই বাঁচার বড় উপায়; একা রাখাইন ভিক্ষুরা রোহিংগাদের রান্না করে খেয়ে ফেলবে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,



আপনার মন্তব্যখানি সহব্লগার নীল আকাশ দেখেচেন ও পাল্টা জবাবও দিয়েছেন ।

তবে তিনি এটা কিন্তু ঠিকই বলেছেন - অনেকদিন বেকুবের মতো বল নিজের কোর্টে নিয়ে খেলেছে। খেলা এখন আরেকজনের কোর্টে খেলতে হবে। "

২৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: @চাঁদগাজীঃ আপনার মাথা থেকে এরচেয়ে বেশি কিছু আসবে না সেটাই স্বাভাবিক। আমি যে প্রশিক্ষণ এর কথা বলেছি সেটা পড়েছেন? নাকি কুগনতন্ত্রের মানসকন্যার নোবেল না পাওয়া পর্যন্ত এদের নির্বোধের মতো পালবেন?

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,




সহব্লগার চাঁদগাজীকে করা আপনার এই মন্তব্য নিশ্চয়ই তিনি দেখে থাকবেন।

২৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৫

করুণাধারা বলেছেন: আমাদের পররাষ্ট্র বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের মধ্যে আমার মতো বেকুবও তাহলে আছে... পররাষ্ট্র বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের সাথে তুলনা করে বেকুবদের এত ছোট করবেন না।

পররাষ্ট্র বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের কাছে যেন দেশের জনগণের তথা আমাদের স্বার্থ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় সেটা আমরা চাই, কারণ আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ তাদের জন্য ব্যয়িত হয়। কিন্তু তারা আঙ্গুলে বিশাল পাথরের আংটি পরে সম্মেলনে যোগ দেন যেন পাথর জনগণের হয়ে কথা বলে। পাথর চুপ করে থাকে, অগত্যা তারা শূন্য হাতে ফিরে আসেন... মনে হয় মহাবেকুবকে সম্মেলনে পাঠালে এর চেয়ে ভালো ফল পাওয়া যেতো...

আমরাও একযোগে রোহিঙ্গা খেদাও কোন আন্দোলনে নামতে পারছিনা কেন?
কারণ ওরা আমাদের মুসলমান ভাই।

রোহিঙ্গাদের জামাই আদর, কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে বানানো ফাইভ স্টার গ্রাম বানানো হয়েছে। অথচ আজ খবর পড়লাম একজন মানুষ ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন, কারণ ঋণ করে বিদেশে গিয়ে প্রতারিত হয়ে ফিরে আত্মহত্যা করা ছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিল না। মহাবেকুবের সাথে আমিও প্রশ্ন করি,
সেই টাকা দিয়ে বেকার পড়ে থাকা হতদরিদ্র ছিন্নমূল বাংলাদেশীদের জন্য কি কর্মসংস্থানের কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেয়া যেতোনা?
আসলে এমন জামাই আদর যারা পাচ্ছে তারা কখনোই আগের কষ্টের জীবনে ফিরতে চাইবে না, আর মায়ানমার কখনোই এদের নেবে না। এই অবস্থায় মনে হচ্ছে শেরম্যানের দেখানো পথ ধরে আগানোই সবচেয়ে ভালো পন্থা। আপাতত এর বাইরে আর কোন অল্টারনেটিভ তো দেখছি না...

ক্ষমতাবানদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, এই গভীর সমস্যার সমাধান হোক- এটাই প্রার্থনা।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,




প্রজ্ঞাময় মন্তব্য। ++++++++

মন্তব্যের বোল্ডকৃত লাইনগুলো আসলেই এই মহাবেকুবের মাথায় দিনরাত ঘুরপাক খায়। হয়তো আমার মতো বেকুব যদি কেউ থাকেন তবে তাদের মাথাতেও এমন সব বেকুবী প্রশ্ন ঘোরারই কথা।

ভেবে দেখুন, এই জলে ফেলা সাড়ে তিনহাযার কোটি টাকা দিয়ে ছিন্নমূল, বেকার, হতদরিদ্র বাংলাদেশীদের জন্যে কতো কিছুই না করা যেত!!!! মন্তব্যে পরিষ্কার, আপনার হৃদয়বান মনেও সেই একই কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে।

[ দীর্ঘ সময় অনিচ্ছাকৃত ভাবে আপনার মন্তব্যখানি জবাব বিহীন পড়ে থাকার জন্যে দুঃখিত। অনিচ্ছাকৃত এই কারনে যে, ব্লগের ঢিলেমীর জন্যে ব্লগে কোনও একটা পোস্ট খুলতে এবং তাতে মন্তব্য করে তা প্রকাশ করতে এতো সময় খরচ হয়ে যায় যে তাতে বিরক্তি ধরে যায়। তাই এখানে তেমন একটা আসা হয়না আর এলেও ব্লগের ধীরগতির কারনে মন্তব্য করা এবং প্রতিমন্তব্য করার ইচ্ছে হয়না তেমন। জানিনে, এমন অসুবিধা আর কারো হয় কিনা!!!! ]

২৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশকে বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতা বুঝতে হবে। তারা সেটা কতোটুকু বুঝতে পারছে, সেটাই বুঝতে পারছি না। বিশ্বের তাবৎ তালেবর দেশগুলি এখন কোভিডসহ অন্যান্য ইস্যুতে নিজেদের লুঙ্গি সামলাইতে ব্যস্ত। বাংলাদেশের দিকে নজর দেওয়ার আর অর্থ সাহায্য করার কোন টাইম নাই তাদের এখন। বাংলাদেশ সরকারের উচিত ছিল রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য প্ল্যান বি, প্ল্যান সি তৈরী রাখা গোপনে। কেউ আগায়া না আসলে সেগুলির বাস্তবায়ন করা।

চীন-ভারত দ্বন্ধ কাজে লাগিয়েও একটা বড় ফায়দা লোটারও সুযোগ ছিল।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আকাশের দিকে তাকায়া থাকা ছাড়া সরকারের অন্য কোন পিলান এই মূহুর্তে নাই। একেকটা পদক্ষেপ নেয় তিন পা আগায়া সাত পা পিছানোর মতো। মানসিক দৃঢ়তা আর লক্ষ্য অর্জনে অবিচলতা না থাকলে আপনি কারো কাছ থেকে কন্সট্রাক্টিভ কিছু আশা করতে পারেন না।

আর কি কইতাম! দেশে প্রশাসনযন্ত্র চালানো মহাগাধাগুলির থিকা আমাগো মহবেকুব অনেক ইসমার্ট!!! :P

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




হেইরাম বেকুব হৈলে কইতাম -" হেইয়া হো....হেইয়া হো...কাছা খুলে দে এইবার..." ।
"ইসমার্ট" বইল্লাই তো ডেভিল'স অল্টারনেটিভের কতা কইছি। থার্ড অপশন , ফোর্থ অপশন থাকলে গোপনে গোপনে চালাইতে পারতো। লুঙ্গি খুইল্লা গেলে আবারও গিট্টু দিয়া লওন যাইতো। হেই অপশন আছে কিনা নাকি লুঙ্গিডাই দিয়া দিছি কাউরে হেডা আল্লায় জানে ! নইলে এক্কেরে ল্যাংডা হৈয়া পড়ছি ক্যাম্বায় ? কেউ যে একখান লুঙ্গি লইয়া লজ্জা ঢাকতে আইবে হেইরাম কাউরে
ধারে কাছে তো দেহিনা। :D :|
ঠিক কৈছেন - অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আকাশের দিকে তাকায়া থাকা ছাড়া সরকারের অন্য কোন পিলান এই মূহুর্তে নাই। হেরা আইসোলেসনে আছে।:((

২৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য হতে পারে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। না আমরা কখনো রোহিঙ্গাদের আপন করে নিবো, না রোহিঙ্গা কখনো বাংলাদেশেকে আপন করে নিবে। - এ সমস্যা কখনো শেষ হবার নয়।

১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,



হতে পারে নয়, অলরেডী সুপ্ত আগ্নেয়গিরি হয়ে গেছে। এরা এখন প্রকাশ্যে জনপদে এসে সন্ত্রাসে লিপ্ত। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখতে পাবেন কিছু না কিছু।
এদেশেই অনেকে আছে যারা মায়ানমারের খেদিয়ে দেয়া এই জনগোষ্ঠীকে ইতিমধ্যেই আপন করে নিয়েছে ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসা জমজমাট করে ফাঁদার জন্যে। সাথে রয়েছে রাজনৈতিক পেশী শক্তি প্রদর্শন ও বিভিন্ন ব্যবসার অংশীদারিত্ব দিয়ে অর্থনৈতিক ফায়দা লোটার জন্যে আপন করে নেয়ার তাগাদা। দেহ ব্যবসার কথা না হয় বাদই দিলুম।
আসলে আমরা একটা শাঁখের করাতের উপরে দাঁড়িয়ে আছি।

২৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: রোহিঙ্গা না ডেকে এদের ''মিয়ানমারের নাগরিক'' সম্বোধন শুরু করা যায় - এ কথার সাথে একমত এবং 'রোহিঙ্গা'র পরিবর্তে সকল মিডিয়ায় 'মিয়ানমারের নাগরিক' শব্দদুটো ব্যবহারের জোর দাবী জানাচ্ছি।
মূল সমস্যা দেশে সত্যিকারের জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার ও সংসদের অভাব, যারা ভালমন্দ সবকিছু বিবেচনা করে দেশের জন্য সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তাদের সে সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নে জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করতে পারবে। প্রতিবেশীদের সাথে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক না গড়ে সৎপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক গড়ে তুলবে। এতে জনগণের মনোবল উচ্চ হবে, কারণ জনগণ কোন প্রতিবেশীর শয্যাসঙ্গী হতে অনিচ্ছুক। জনগণের মনোবল উচ্চে থাকলে অনেক অসাধ্যই সাধন করা যায়।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



আপনার হয়তো মনে আছে, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার গৃহযুদ্ধের সময় বিশ্বের সকল মিডিয়াতে "বসনিয়ান মুসলিম" বলে সে যুদ্ধে লিপ্ত একাংশের খবর ছাপা হতো কিন্তু কখনই তারা আরেক অংশকে " বসনিয়ান খৃষ্টান" বলে সম্বোধন করতো না । সম্ভবত "মুসলিম"দের আলাদা করে চিহ্ণিত করতেই তারা এটা করতো। আমাদের আহাম্মক মিডিয়াও "বসনিয়ান মুসলিম" কথাটিই ব্যবহার করতো । তারা কখনই "বসনিয়ান খৃষ্টান"রা এই করেছে সেই করছে বলতোনা। বলতো, বসনিয়ানরা এই করেছে সেই করেছে। বিশ্ব মিডিয়ার সাথে গলা মেলাতো কিছু না বুঝেই । এখনও তাই করে যাচ্ছে " রোহিঙ্গা" সম্বোধন করে। এতে মিয়ানমারের যে সুবিধা হচ্ছে তা এদের মাথাতেই আসেনা।
এই হলো আমাদের জ্ঞানবুদ্ধির লেভেল!
সেখানে আমাদের নেতানেত্রীদের লেভেল আর কতোখানি ভালো হবে যে, তারা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক না গড়ে সৎপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক গড়ে তোলার মতো বুদ্ধির খেলা খেলবে ?

সহমত জানানোর জন্যে ধন্যবাদ।

২৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: চমতকার বিশ্লেষণধর্মী লেখা। ২০ সালে আমি ব্লগে খানিকটা ইন একটিভ ছিলাম তাই হয়তো আপনার পোস্টটা চোখে পড়েনি।

বিজেপির এক বিধায়ক রাজ সিং তো আরো একধাপ এগিয়ে বলতে পেরেছিলেন- “অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা ‌যদি সম্মানের সঙ্গে ফিরে ‌যেতে না চায় তাহলে এদের গুলি করা মারা উচিত। একমাত্র এভাবেই দেশ নিরাপদে থাকবে।” ~ তখন মানতাবাদীরা কই ছিল। বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলো মুখে কি ঢুকায়ে বসে ছিল? এখন আমাদের উচিৎ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে একাট্টা হয়ে এমন সুর তোলা।

ডেভিলস অল্টারনেটিভ"র দেখা পেয়েছি মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ব্রাড শেরম্যান এর কথায়।
~এইটা অবশ্যই একটা ভাল প্রস্তাব ছিল। আমাদের খোঁজা পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় কি করে কার খায় কোথাকার মোষ তাড়ায় এইটা আল্লা ছাড়া কেই জানেনা।

আমরা “রোহিঙ্গা” , “রোহিঙ্গা” করে চেচাচ্ছি কেন ? এরা তো মায়ানমারের নাগরিক ! তাদের “মায়ানমারের নাগরিক” না বলে তাদের আলাদা জাতিগোষ্ঠির নামে ডাকছি কেন ?[/জা~ ঠিক একদম ঠিক। এই ভুল্টা প্রায় সবাই করে, আমিও কর। ওরা শুধুই বার্মিজ।

“মায়ানমারের নাগরিক খেদাও এখনি ”, এমনতরো কূটনীতির প্যাঁচ কষতে পারতেন তবে শান্তিতে প্রধানমন্ত্রীর নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনাটি ফস্কে যেতোনা। ~ এইকথা যদি উনাদের বুঝে আসত তাহলেতো কথাই ছিল না। কি বিষকাটা আমাদের গলায় ঝুলিয়ে দিল অসীম সময়ের জন্য। জানিনা ভবিষ্যত প্রজন্মের ভাগ্যে কি আছে!

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




চোখে পড়েনি, এটা কোনও ব্যাপার না। এখন দেখলেন এবং ঠিক যে কথাগুলো ভেবে দেখা যেতো সেগুলোই নিজের বক্তব্য সহ তুলে ধরেছেন ।
আসলে সমস্যাটা ভুল নিয়তে কাঁধে তুলে নেয়া হয়েছে। এখন আর বেরুনোর রাস্তা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.