নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

“The world is running out of antibiotics...” এন্টিবায়োটিকের কথা।

০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:২৭

“The world is running out of antibiotics...” এন্টিবায়োটিকের কথা।


এইতো মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনার চেয়েও এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স আগামীতে আরও ধ্বংসাত্মক হবে।
ব্লগের প্রথম পাতাতে দেখলুম আমি সাজিদ এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন আজকে। এটা দেখে তার পোস্টে মন্তব্য করতে যেয়ে মনে হলো , আরে! আমার নিজেরই তো একটা লেখা আছে পর্ব করে এই ব্লগে। আমি সাজিদ এর পোস্টের সম্পুরক হবে ভেবে সে লেখাটাই এখানে রি-পোস্ট করলুম সবাই যেন বিষয়টির গভীরতা অনুভব করতে পারেন।
সব লিংক -
এন্টিবায়োটিকের কথা। প্রথম পর্ব

এন্টিবায়োটিকের কথা। দ্বিতীয় পর্ব

এন্টিবায়োটিকের কথা। শেষ পর্ব

[ শুরুর পর্ব ]
২০১৯ সালের কোনও একসময় বাংলাদেশ হাইকোর্ট রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা করতে বলেছেন, কেন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয় বেআইনি বা অবৈধ ঘোষনা করা হবেনা।
কঠিন কঠিন রোগের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে এ নিষেধাজ্ঞাটি অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। হাইকোর্টকে এ জন্যে ধন্যবাদ দেয়া যেতেই পারে। কারন বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান “এন্টিবায়োটিক রেসিষ্ট্যান্স” বা এন্টিবায়োটিক নামের ঔষধগুলির অকেজো হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশান থেকে শুরু করে ইউনিসেফ পর্যন্ত আতঙ্ক প্রকাশ করে সাবধানবাণী দিয়েছেন এই বলে, “The world is running out of antibiotics...”। তারা বলছেন, অনুজীব ধংসকারী( এন্টিমাইক্রোবিয়ালস) ঔষধের যথেচ্ছ আর অপব্যবহারের কারনে যক্ষা, নিউমোনিয়া সহ মূত্রতন্ত্রের রোগ, খাদ্যের বিষক্রিয়া, যৌনরোগ, পানি ও খাদ্যবাহিত রোগ, হাসপাতাল থেকে সংক্রমিত রোগ ইত্যাদি জীবন সংহারী রোগগুলোর বিরূদ্ধে মানুষের হাতের অস্ত্র মানে এন্টিমাইক্রোবিয়ালসগুলো দিনে দিনে ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। যে হারে অনুজীবগুলি বিশেষ করে ব্যাকটেরীয়া মানুষের তৈরী অস্ত্রগুলোর বিরূদ্ধে প্রতিরোধ ( রেসিষ্ট্যান্স) গড়ে তুলতে লেগেছে তাতে অচিরেই মানুষের অস্ত্রভান্ডারে টান ধরবে। টান ধরবে না-ই বা কেন? নতুন নতুন ঔষধ আবিষ্কারে গবেষণার কাজে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচের কথা না হয় বাদই দিলুম কিন্তু এক একটি নতুন এন্টিমাইক্রোবিয়াল তথা এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারে যে বছরের পর বছর লেগে যাচ্ছে, তা অতিক্রম করবে মানুষ কিভাবে ?
“বাঁচতে হলে লড়তে হবে” এই সূত্র ধরে ক্ষুদে ক্ষুদে অনুজীবগুলোই এখন মানুষকে প্রতি নিয়ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। মানুষ পড়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য হুমকির মুখে। যে হারে অনুজীবগুলো তাদের বিরূদ্ধে ব্যবহৃত ঔষধগুলোর প্রতি রেসিষ্ট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে ততো দ্রুত কিন্তু মানুষ নতুন নতুন ঔষধ নামক অস্ত্র সরবরাহ করতে ব্যর্থ। অনুজীবগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষ “সময়” নামের ফ্যাক্টরটিকে কব্জা করতে পারছেনা কিছুতেই। তাই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশান, ইউনিসেফ চিকিৎসক সমাজের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তারা যেন অযথা ও যথেচ্ছভাবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করেন এবং সর্বশেষ আবিষ্কৃত এন্টিবায়োটিকগুলির প্রয়োগে সতর্ক থাকেন। কারন যথেচ্ছ ব্যবহারে হাতের এই পাঁচও যদি অকেজো হয়ে যায় তবে আগামী দিনগুলোতে কঠিন কঠিন রোগগুলো থেকে মানুষকে আর বাঁচিয়ে আনা সম্ভব হবেনা। চিকিৎসা খরচ বৃদ্ধি সহ বাড়বে হাসপাতালে শুয়ে শুয়ে ভালো হওয়ার অপেক্ষায় গোনা দিন, বাড়বে মৃত্যুহার।
মানুষ, পশু আর কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকগুলো প্রাকৃতিক ভাবেই রেসিষ্ট্যান্ট হয়ে ওঠে বটে কিন্তু এন্টিবায়োটিকগুলোর যত্রতত্র -অযথা -অপর্যাপ্ত -অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এই রেসিষ্ট্যান্ট হয়ে ওঠার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে শতগুন।
এর প্রমান তো আমরা পেয়েছি অতি সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদে যে, দেশের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলিতে (আই-সি-ইউ) ৮০% মৃত্যই হয়ে থাকে ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকগুলো অতিমাত্রায় রেসিষ্ট্যান্ট হয়ে যাওয়ার কারনে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির (BSMMU) ফার্মাকোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন এই তথ্যটি।
যে দেশের এক তৃতীয়াংশ রোগীই যেখানে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এন্টিবায়োটিক খেয়ে থাকেন. যে দেশের মানুষ শারীরিক কিছু অস্বস্তি বোধ করলেই নিজে নিজেই এন্টিবায়োটিক কিনে এনে ব্যবহার করেন, সে দেশে এমনটি যে হবে তা জানা কথা-ই! তাই হাইকোর্ট সচেতন হয়েই প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। সাধু!
কিন্তু দেশীয় প্রেক্ষাপটে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কতোটা যৌক্তিক? এর দ্বারা কতোটুকু বা অর্জন করা সম্ভব হবে? এখনও এদেশে ১৮৪৭ জনের জন্যে রয়েছেন মাত্র ১জন চিকিৎসক (বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক রেজিষ্ট্রিকৃত)। আর সরকারী চিকিৎসক রয়েছেন ৬৫৭৯ জনের জন্যে সর্বসাকুল্যে ১জন। হিসেবটি ২০১৮সালের।এখন হয়তো এই অবস্থার কিছু উন্নতি হয়েছে যেহেতু বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যখাতে প্রচন্ড মনযোগী, আমরা দেখতে পাচ্ছি। সরকারী চিকিৎসা যারা নিচ্ছেন তারা হয়তো নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর হলে এন্টিবায়োটিকের অযথা বা যথেচ্ছ ব্যবহার থেকে রেহাই পাবেন কিন্তু বিপুল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা সরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে যান না, কিম্বা এড়িয়ে চলেন তারা তো নির্ভর করে থাকেন গ্রাম্য হাতুড়ে চিকিৎসকদের অথবা নিজেরাই নিজেদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, তাদের কি হবে? এদেরও তো কোনও কোনও সময় একটি এন্টিবায়োটিক জীবন বাঁচাতে জরুরী হয়ে পড়তে পারে! আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফার্মেসীগুলোতেও প্রায় সব এন্টিবায়োটিকই সহজলভ্য। এর ব্যবহার ঠেকানোই বা যাবে কি করে? দু’পয়সা রোজগারের আশায় বসে থাকা ঐ সব হাতুড়ে চিকিৎসক বা ঔষধ বিক্রয়কারী মানুষগুলো কি এই সব হিতোপদেশ শুনবেন? অর্থের সাথে সম্পর্কিত এই বিষয়টি তাই মনে হয় বেশ নাজুক অবস্থায় ফেলে দেবে আমাদেরকে।
আমার তো মনে হয়, সরকার মোটিভেশান প্রোগ্রাম ও প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে এন্টিবায়োটিকের বেহুদা ও যথেচ্ছ ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি- মরনঘাতী প্রতিক্রিয়া-চিকিৎসা বিভ্রাট-চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি সহ অন্যান্য কুফল সম্পর্কে সচেতন করতে পারলেই এন্টিবায়োটিকের অহেতুক ব্যবহার অনেকটা কমে আসতে পারে। সরকারের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোই এ জাতীয় প্রচার চালাতে পারেন।

এন্টিবায়োটিকের কার্যাবলী, অনুজীব তথা ব্যাকটেরীয়াদের কর্ম-বৃত্তান্ত, তাদের রেসিষ্ট্যান্ট হয়ে ওঠার প্রনালী ইত্যাদি সম্পর্কে কিছু সাধারন জ্ঞান থাকলেই আমরাও বুঝতে পারবো কেন কোনও এন্টিবায়োটিকের সাহায্য ছাড়াই আপনা আপনি বেশীর ভাগ রোগই ভালো হয়ে যায়। তা হলেই কেন - কখন - কিভাবে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার করতে হবে বুঝতে পারবো তা-ও! বুঝতে পারবো আমি নিজে সুরক্ষিত কিনা, দেশের বৃহত্তর জনমানুষের সুরক্ষায় আমি কোনও অবদান রাখতে পেরেছি কিনা!

শেষক্রমণিকা -
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২১ টায় ব্লগার “সত্যপথিক শাইয়্যান” এর পোস্ট “প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার/বিক্রি করা যাবে না - হাই কোর্ট” য়ে শেষ লাইন দু’টির প্রেক্ষিতে আমার এই লেখা।
হাই কোর্টের এই রায়টি নিয়ে ব্লগে তেমন আলোচনা দেখিনি। মনে হয় আমরা এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে সম্ভবত চিন্তিত নই কারন এ সব বিষয়ে আমাদের জানার আগ্রহ বা পরিধি হয়তো কম। কিন্তু এটাই আগামীতে এক ভয়াবহ দূর্যোগ ডেকে আনতে পারে।
তাই এখানেই শেষ নয়- আসছি এন্টিবায়োটিকের কথা নিয়ে।

সুত্র : Click This Link
https://www.who.int/en/news-room/fact-sheets/detail/antibiotic-resistance
bdnews24.com
https://thefinancialexpress.com.bd/health/bangladesh-has-one-doctor-for-every-1847-people-1519053209

ছবির কৃতজ্ঞতা : “ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ” এর কাছে।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হাট বাজারে ঔষধের দোকানে গিয়ে লোকজন মাথা ব্যথা, পেটের ব্যথা বলে আর এমনি এক গাধা ঔষধ দিয়ে দেয় দোকানি। গরিব লোক ৫০০/১০০০টাকা ভিজিট দিয়ে শহরে বড় ডাক্তার দেখাতে গেলে ডাক্তার দিয়ে দেয় এক গাধা টেষ্ট এখন রোগী ঔষধ কিনবে না টেষ্ট করাবে না পরিবারের খাবার কিনবে। আবার বড় ডাক্তারের ভিতর বহু আছে প্রতারক । উন্নত রাষ্ট্রে এইসব নাই কারণ আইন আছে আইন মানে।

০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,




সমগ্র সমস্যাটি যেমন অর্থনৈতিক আপারগতার কারনে ঘটে তেমনি অশিক্ষা আর অজ্ঞতার কারনে প্রান্তিক এমনকি শহরতলীর মানুষগুলোকেও ঔষধের দোকানদারেরা খুব সহজেই টাকা কামানোর হাতিয়ার করে নিতে পারে।
উন্নত রাষ্ট্রে একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থাকে যার স্বাস্থ্যটিকেও নিয়মিত সুস্থ্য রাখা হয়।

২| ০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: যথারীতি সাবলীলভাবে বিষয়টি উঠে এসেছে লেখায়। স্যার, গ্রামের বা শহরের বাইরের জায়গাগুলোতে ফার্মা কোম্পানীগুলো নিজেদের স্বার্থেই চিকিৎসাপত্র ব্যতীত এন্টিবায়োটিক এর বহুল ব্যবহার উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। এদের নিয়ন্ত্রনও সরকারের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে নাকি বা রাখলে কিভাবে রাখতে পারে?

যথেচ্ছ এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা ছাড়া যে অধিকাংশ রোগ ভালো হয় তা নিয়ে সরকারি খরচে সব জায়গায় প্রচার অবশ্যই চমৎকার ভূমিকা পালন করবে। নতুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সরকারের এমন জনসচেতনতা ও প্রচারের মাধ্যম যেন সর্বজনীন হয় সে কামনা করছি। তবে এখানে একটা প্রশ্ন - ট্রান্সকম গ্রুপেরই বোধকরি এসকেএফ ফার্মা কোম্পানীটি, বা ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিটি বেক্সিমকোর। এমনভাবে সর্ষের মধ্যেই তো ভূত আছে। নিজের খরচে প্রথম আলো এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ে বিজ্ঞাপন করছে বা বেক্সিমকো টিভিতে দেখাচ্ছে, এমন পরিবর্তনগুলো যেদিন হবে সেদিন আশাবাদী হয়ে উঠাটা সার্থক হবে।

০৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি সাজিদ,




ধন্যবাদ লেখাটিতে সাড়া দেয়ার জন্যে। আসলে আজকে আপনার পোস্টখানা দেখেই তবে এই লেখাটি রিপোস্ট করার তাগাদা অনুভব করেছিলুম । আপনাকে ধন্যবাদ সেজন্যেও।
ফার্মা কোম্পানীগুলো তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে " চিকিৎসাপত্র ব্যতীত এন্টিবায়োটিক এর বহুল ব্যবহার উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে" এমনটা বোধহয় ঠিক নয়। ঐসব লাইসেন্সবিহীন হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা ঔষধের দোকানদারেরা দুটো পয়সা কামানোর ধান্ধাতেই ডাক্তার সেজে বসতে চাইছে আর তাতেই তাদের প্রয়োজন হচ্ছে এন্টিবায়োটিকের। ফার্মা কোম্পানীগুলো এটাকেই পুঁজি করে যাচ্ছে মাত্র। চাহিদা আর যোগানের সূত্র ধরেই কিন্তু প্রেসক্রিপশানবিহীন ঔষধের ব্যবসা রমরমা। এটাকে ভাঙবে কে এবং কিভাবে?
আসলে একটা শক্তিশালী নির্দেশনা, আইনের প্রয়োগ আর তা তদারকীর ফাঁকফোকড়হীন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা না গেলে এ অবস্থার অবসান ঘটবেনা কিছুতেই। সাথে সাথে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকেও সচেতন করার বিকল্প নেই।

নিরাপদে থাকুন। শুভেচ্ছান্তে।

৩| ০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:১৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমি কখনোই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাই না।বাড়ির কাওকে খেতে দিই না। জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি, ফোঁড়া, মাথাব্যাথা সবকিছুতেই অ্যান্টিবায়োটিক ধরিয়ে দেয় ফার্মেসীর লোকেরা। আর নিম্নবিত্ত লোকেরা ফার্মেসীর এই লোকেদের ডাক্তারদের চাইতেও বড় ডাক্তার মনে করে। যার ফলে কোনো সন্দেহ ছাড়াই তাদের দেয়া ঔষধ খেয়ে নেয়। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এই যথেচ্ছ ব্যবহার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয়।

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল,





একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এই যথেচ্ছ ব্যবহার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয়।
সঠিক। কিন্তু তা কি করে হবে ? তৃণমূলের মানুষজন যে অর্থনৈতিক ভাবে অস্বচ্ছল এবং নিতান্তই অজ্ঞ। কোন বশীকরণ মন্ত্রে তারা বশ হবে। ? এই করোনা কালের মৃত্যুপুরীতে বাস করেও তাদের কি মাস্ক পড়ানো গেছে ? জটলা পাকানো রোধ করা গেছে ?

৪| ০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি গত ১৫ বছর ডাক্তারের কাছে যাই নি। (দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়েছি। দাঁত ফেলেছি।)

আমার শরীরে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবু আমি ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি না।

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




যদি নীরোগ হন তবে ডাক্তারের কাছে যাবার প্রয়োজন কি ?
ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন না, এটা ঠিক নয়। যেহেতু আপনার শরীরে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিলে ভালো । ডাক্তারের কাছে যান না বলে আবার গুগলের সাহায্য নিতে যাবেননা যেন!

৫| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৩৪

আমি সাজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার প্রতিউত্তরের জন্য। আশা করি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ আমাদের সরকার নিবেন।

০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি সাজিদ,




বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ সরকার কয়টা নিতে পেরেছে এ পর্যন্ত ? অতি উৎসাহীদের নিজস্ব হিসেব নিকেশের কারনেই অনেক পদক্ষেপই ভেস্তে যায়।

৬| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৯:২৯

সোহানী বলেছেন: অ্যান্টিবায়োটিক ইউজের পিছনে অনেক অনেক কারন আছে, যেমন;

১) রোগী চায় স্পট রোগমুক্তি। ধৈর্য্য ধরার মতো দৈর্য্য নেই কোনভাবেই।
২) ডাক্তারও চায় প্রসার। দ্রুত রোগমুক্তি মানে ভালো ডাক্তারের খেতাব।
৩) গরীব রোগীরা ডাক্তারের কাছে না যেয়ে ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ নেয়। আর অশিক্ষিত দোকানদার লাভ বলুন আর যাই বলুন ডাক্তারী ফলাতে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়।
৪) ধনী রোগীরাও একইভাবে নিজেরা ডাক্তারী করার চেস্টা করে যায়, নিজেও খায় অন্যকেও সাজেশান দেয়।
৫) অ্যান্টিবায়োটিক এর খারাপ দিকগুলো নিয়ে তেমন কোন প্রচারনা নেই। যার কারনে এ নিয়ে কারো মাথাব্যাথাও নেই।
৬) সর্বত্র এ ওষুধ এর ছড়াছড়ি। উন্নত দেশে অ্যান্টিবায়োটিক কিনতে হলে প্রেসক্রিপশান ছাড়া কোনভাবেই কেনা যায় না।

তবে, ২০ কোটি লোকের দেশে এ ধরনের নিয়ন্ত্রন খুবই কঠিন বলেই মনে করি।

০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




সময় নেই অসময় নেই, কারনে অকারনে যখন তখন এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারের পেছনের কারনগুলো যথার্থই তুলে ধরেছেন। প্রথম ৩টি কারনের কারনেই ২০ কোটি লোকের দেশে কোনও ধরনের নিয়ন্ত্রন আসলে খুবই কঠিন। বাকী কারনগুলো যে কোনও নিয়ন্ত্রনকেই অকার্য্যকর করে তোলে।

৭| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের দেশ আপনার শিরোনামের উল্টা দিকে রান করছে। তবে আশার কথা এই যে ক' বছর থেকে এ নিয়ে লেখালিখি হচ্ছে এবারে তো প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিয়ে এলেন ব্যাপার টা সামনে। আশা করছি কিছুটা হলেও ইতিবাচক সারা মিলবে।

০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,





রোগ যখন আছে , অজ্ঞ ও মূর্খ রোগীও যখন আছে, আছে যখন হাতুরে ডাক্তারের দল তখন উল্টো পথে হাটা থামাবেন কি করে ?
প্রধানমন্ত্রী নিজেই যখন ব্যাপারটা নিয়ে এলেন সামনে তখন দেখা যাক কি হয়!

৮| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: সর্দি, জ্বর, মাথা ব্যথা টাইপের সমস্যায় আল্লাহর রহমতে আমি একেবারেই ঔষধ খাই না।
আমার আশেপাশের লোকজন তো অসুখের নাম শুনলে ঝরঝর করে ঔষধের নাম বলে দেয়।

যাইহোক, একটা বিষয় জানতে চাচ্ছি, গবাদি পশু ফার্ম থেকে বিক্রির আগে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়ে আনে, এটা আমাদের স্বাস্থের জন্য কেমন ক্ষতিকর।

০৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢুকিচেপা,




মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
গবাদি পশু ফার্ম থেকে বিক্রির আগে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়ে আনেই না শুধু, দেশের পোল্ট্রি ফিডেও এন্টিবায়োটিক থাকে ।
এই সব গবাদি পশুর মাংশই আমার খাচ্ছি। এন্টিবায়োটিক রেজিষ্ট্যান্স হয়ে যাবার সম্ভাবনা থেকেই যায় । তাই স্বাস্থের জন্যে ক্ষতিকর তো বটেই ।

৯| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি এন্টিবায়োটিক কেনো প্যারাসিটামল খেতেও রাজী নই।

০৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,




অহেতুক কারণে ঔষধ যতো কম খাওয়া যায় ততোই ভালো। কারণ ঔষধ একটি " ফরেন বডি" শরীরের কাছে। তাই বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতেই পারে।

১০| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যদি নীরোগ হন তবে ডাক্তারের কাছে যাবার প্রয়োজন কি ?
ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন না, এটা ঠিক নয়। যেহেতু আপনার শরীরে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিলে ভালো । ডাক্তারের কাছে যান না বলে আবার গুগলের সাহায্য নিতে যাবেননা যেন!

গুগলের কাছ থেকে প্রাথমিক ধারনা নিই।
আমার মা গত ত্রিশ বছর ধরে ওষুধ খেয়েই চলেছেন। মা প্রতিমাসে তিন বার ডাক্তারের কাছে যায়। ঘন ঘন ডাক্তার বদলায়।

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




আবারো এসে কিছু মন্তব্য করে যাওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

১১| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। এন্টিবায়োটিক সেবনে লাগাম টেনে না ধরলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমি কোন ঔষধের নাম জানি না। শুধু নাপা, প্যারাসিটাম আর হিস্টাসিন ব্যথিত। কারণ, আমি ডাক্তারের কাছে যাই না। এজন্য ঔষধের নামও জানি না। এ বিষয়টি নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা হওয়া উচিৎ। সুপারবাগ নিয়ে গত বছর ব্লগে এই পোস্ট লিখেছিলাম।

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,




ধন্যবাদ এখানে এসেও মন্তব্য করার জন্যে কারণ, এটা তো রিপোস্ট এবং মূল পোস্টে আপনি মন্তব্যও করেছিলেন।
আপনার দেয়া লিংকের পোস্টটি আমি পড়েছি এবং সেখানে মন্তব্যও করে এসেছি যথা সময়ে।

বিষয়টি নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা হওয়া উচিৎ ই শুধু নয় সোচ্চারও হওয়া উচিৎ।

১২| ০৬ ই মে, ২০২১ ভোর ৬:১৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অধ্যাপক সায়েদুর রহমান স্যারের কথাটি বাস্তব। যা ঘটছে তাই বলছেন তিনি। আমরা আমাদের সমাজকে নিজেদের থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি। সাময়িক সুস্থতার জন্য ডেকে আনছি স্থায়ী পঙ্গুত্ব।


এমন অনেক রোগীকে দেখেছি যারা সুস্থতার দ্রুততাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। আর এই দ্রুততাকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে ডাক্তারকে পেসার দিচ্ছেন, ডাক্তার মশাইও রোগী ধরে রাখার জন্য বস্তাভর্তি করে এন্টিবায়োটিকের খোলসে ঢাকা বিষ দিচ্ছেন।
এই বিষয়ে লেখা আপনার পূর্বের পোস্টগুলো আগে পড়া হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ছিল সেগুলো। যা সবসময়ই আমাদের সবার চোখের সামনে থাকা উচিত, যদি হেদায়েত ঘটে!

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম,




এমন অনেক রোগীকে দেখেছি যারা সুস্থতার দ্রুততাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। আর এই দ্রুততাকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে ডাক্তারকে প্রেসার দিচ্ছেন, ডাক্তার মশাইও রোগী ধরে রাখার জন্য বস্তাভর্তি করে এন্টিবায়োটিকের খোলসে ঢাকা বিষ দিচ্ছেন।
সঠিক পর্য্যবেক্ষন।

কারো হেদায়েত ঘটবে কি ?

১৩| ০৬ ই মে, ২০২১ ভোর ৬:৪০

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। খুব ভালো পোস্ট।
ছোটবেলা থেকেই আমার প্রায় জ্বর হতো সেই সাথে ঠান্ডা কাশি লেগেই থাকতো। সে সময় থেকে আমি ডাক্তারের পরামর্শে প্রচুর এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ঔষধ খেতাম। বেশ ক' বছর আগে আমি কোন এক পত্রিকায় পড়েছিলাম এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার ও এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। তখন থেকে সহজে আর এন্টিবায়োটিক খাই না।

আর এখন তো সাধারণ জ্বর সর্দি কাশি হলে সময় নেই। একটু কষ্ট হয় তবে সেরে উঠি ঔষধ ছাড়াই। গত তিন চার বছর তেমন কোন ঔষধ ই খাই নি। আসলে আমরা নিজেরা অধৈর্য কিছু একটা হলেই অস্থির হয়ে পড়ি। শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধে নূন্যতম সময়টুকু দেই না।


প্রয়োজন ছাড়া এন্টিবায়োটিক অবশ্যই পরিত্যাজ্য। রেজিস্ট্রারর্ড ডাক্তার ছাড়া অন্য কারো বা হাতুড়ে ডাক্তারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক নেয়া বন্ধ করতে হবে। আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,




অভিজ্ঞতা লব্ধ মন্তব্য।
"আর এখন তো সাধারণ জ্বর সর্দি কাশি হলে সময় নেই। একটু কষ্ট হয় তবে সেরে উঠি ঔষধ ছাড়াই।"
পাঠকেরা এই লাইনটিতে আরো সচেতন হবেন বলে বিশ্বাস রাখি।

১৪| ০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিঃসন্দেহে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি সাজিদ-এর পোস্টেও গতকাল এর উপর আমার কিছু মন্তব্য রেখেছি। আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম, এ পোস্টের শেষের দিকে তার উপর কিছু হাইলাইটস আছে, আর সোহানী আপু ৬ নাম্বার পোস্টে একেবারে আমার কথাগুলো যেন লিখে দিয়েছেন।

ডাক্তারের সংখ্যা, সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বাড়াইতে হবে, যেখান থেকে মানুষ বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ পেতে পারে। ডিসপেন্সারি/ফার্মেসিগুলো সরকারের কোন সংস্থা কন্ট্রোল করে জানি না, সেই সংস্থার মাধ্যমে প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধের উপর কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাবলিক অ্যাওয়ারনেস যেমন দরকার আছে, তেমনি আমাদের ডাক্তার ভাইদেরও (আমার ডাক্তার কন্যাসহ) সেলফ-মোটিভেশনের দরকার আছে, তারা যেন কুইক নেইম এন্ড ফেইমের জন্য, কিংবা রোগীর চাহিদা মতো যখন তখন যেই সেই রোগের জন্য এন্টি বায়োটিক প্রেস্ক্রাইব না করেন।

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১১:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,




সমৃদ্ধ আলোচনার জন্যে ধন্যবাদ।
আপনার উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও আরো কিছু বিষয় আছে যেমন - লাইসেন্স বিহীন ঔষধের দোকান ( ফার্মেসী নয় । ফার্মেসীতে একজন ফার্মাসিষ্ট থাকতে হয় যা আমাদের দেশে কোনও ফার্মেসীতেই নেই।), আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ঔষধ বিক্রেতাদের কাছ থেকে বিনা ফি'তে রোগের চিকিৎসা গ্রহনের প্রতি ঝোঁক, অজ্ঞ - অশিক্ষিত এমনকি শিক্ষিত লোকজনদেরও নিমিষে রোগ থেকে মুক্ত হওয়ার বাসনা, বকলম ঔষধ বিক্রেতার ডাক্তার পরিচয়ে পরিচিত হয়ে টাকা কামানোর পথে চলার উদগ্র কামনা ইত্যাদি সব মিলিয়ে যে অবস্থার সৃষ্টি তা কারো পক্ষেই কোনও দাওয়াই দিয়েই নিরাময় করা সম্ভব নয়।

১৫| ০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:২৫

জুন বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটিতে ভালো লাগা রইলো।
+

০৯ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




খুব অল্প কথার মন্তব্য। অবশ্য এটা রিপোস্ট। মূল পোস্টে আপনার মন্তব্য বড় ছিলো।
ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।




১৬| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

ইনদোজ বলেছেন: আপনি কি মনে করেন না যে পৃথিবী মানুষের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এই পৃথিবীর অন্তত অর্ধেক মানুষের কমে যাওয়া উচিত। পৃথিবী ও তার ইকোসিস্টেমকে যদি একটা স্বতন্ত্র জীবন্ত সত্তা ধরি, তাহলে তার বেঁচে থাকার জন্য শরীরের জীবণুগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। মানুষ হচ্ছে পৃথিবী নামক প্রাণীর শরীরে ক্রমাগত বেড়ে ওঠা প্যারাসাইট। এরা নিজেদের প্রয়োজন পূরণের জন্য মাটি পানি সহ প্রাকৃতিক সমস্ত উপাদানগুলোকে কলুষিত করে ফেলছে।

এই প্যারাসাইট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পৃথিবী এখন এন্টিবায়োটিকের কোর্স করছে। প্রথম কোর্স ২০২০ সালে করেছে কিন্তু আশানুরূপ ফল না পাওয়াতে এ বছর পাওয়ার বাড়িয়েছে। এভাবে প্যারাসাইটের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সে পাওয়ার বাড়াতে থাকবে। মানুষ যতই টিকা আবিষ্কার করুক না কেন, প্রকৃতির এ্যাকশনের বিরুদ্ধে সে কোনভাবেই বিজয়ী হতে পারবেনা।

০৯ ই মে, ২০২১ রাত ৮:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইনদোজ,





ব্লগে স্বাগতম।
একাধারে সুন্দর মেটাফোরিক ও হিউমেরাস মন্তব্য।
জ্বী আমারও মনে হয়, পৃথিবীর ভার কমা উচিৎ, বড্ড বেশী বোঝা বইছে পৃথিবী!

তবে এই করোনার সাথে প্রকৃতিকে বিষিয়ে তোলার সম্পর্ক আছে কি ? সম্ভবত নেই। হ্যা যদি পৃথিবী জুড়ে ভূমিকম্প হতো কিম্বা জলোচ্ছাস অথবা তীব্র লু-হাওয়া কিস্বা প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহ হতো তবে না হয় মানা যেতো।
তবে এভাবে সে ভার লাঘব করবে, মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। আপনারও কি হচ্ছেনা ?

১৭| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:১৩

মা.হাসান বলেছেন: এদেশে ১৮৪৭ জনের জন্যে রয়েছেন মাত্র ১জন চিকিৎসক (বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক রেজিষ্ট্রিকৃত)। আর সরকারী চিকিৎসক রয়েছেন ৬৫৭৯ জনের জন্যে সর্বসাকুল্যে ১জন। হিসেবটি ২০১৮সালের।এখন হয়তো এই অবস্থার কিছু উন্নতি হয়েছে যেহেতু বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যখাতে প্রচন্ড মনযোগী, আমরা দেখতে পাচ্ছি।

=p~ =p~

সাধারণত সবাই শেষে দেয়, আপনি পাঞ্চ লাইনটা মাঝখানে দিয়ে দিয়েছেন।

২০১৮র পরে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। দেশের সাধারণ একজন নাগরিক অসুস্থ হবার পর তার জন্য দশ জনের বোর্ড গঠন হয়েছে- তার মধ্যে আছেন- অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক এজেডেএম জাহিদ হোসেন , ডা. মোহাম্মদ আল মামুন প্রমুখ ।

ঐ অসুস্থ ব্যক্তির চেয়ে কিছুটা সম্মানিত একজন দার্শনিক-চিন্তাবিদ-হার্টথ্রব নেতা কিছু দিন আগে অসুস্থ হলে যখন চিকিৎসার জন্য ওনাকে বাইরে নেয়া সম্ভব হচ্ছিলো না, তখন চিকিৎসককে বাইর থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিলো।

ভিআইপিরা কেউ অসুস্থ হলে কি হবে তা চিন্তা করতে গেলে হলিউডের স্ক্রিনপ্লে রাইটার লাগবে, আমার পক্ষে ভাবা সম্ভব না।

খবরে প্রকাশ - স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে বাজারে বড় সাইজের গেঞ্জি বিক্রি বেড়ে গেছে। আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধার বুকের সিনা নাকি ফুলেই চলেছে।

(মাছ - মুরগির ডিম/মাংস-গরুর দুধ এসবের মধ্যে দিয়েও না চাইলেও শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ঢুকছে)

আমরা খালি ভেজালের দোষ ধরি। একটু ভেবে দেখেন তো- বাজারে ভেজাল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না হলে, যতো লোকে অ্যান্টিবায়োটিক খাইতো, সবাই খাটি অ্যান্টিবায়োটিক খাইলে অবস্থা কিন্তু আবো খারাপ হতে পারতো। সরকারকে অনেক ধন্যবাদ গনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ওষুধে ভেজাল রোধ না করার জন্য।

০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,




দারুন স্যাটায়ার করলেন।
........বাজারে ভেজাল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না হলে, যতো লোকে অ্যান্টিবায়োটিক খাইতো, সবাই খাটি অ্যান্টিবায়োটিক খাইলে অবস্থা হা........হা.............হা =p~ =p~ :-P
ঠিক কৈছেন। ভেজালের ভেজাল দোষ ধরা ঠিক না। ভেজাল এন্টিবায়োটিক আমি আপনি খাইছি বইল্লাইতো আমাগো অবস্থা এখনও ঠিকাছে, খারাপ হয় নাইক্কা। ;)

বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যখাতে প্রচন্ড মনযোগী এটা দেখে হাসলেন ?
আগের থেকে, যেখানে নম্বর যদি একশো'তে ৩ ধরা হয় সেখানে বর্তমানে নম্বর হয়েছে ৯। মনোযোগ তো অবশ্যই যদিও ঐ নম্বরে পাশ হয়না। :(

১৮| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ জনসচেতনতামুলক পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ । রেজিষ্টারড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া
এন্টিবায়োটিক বিক্রয় ও সেবন যে ভয়াবহ বিপদ ঢেকে আনে তা আপনার এই লেখাটিসহ লিংকে থাকা অন্য
লেখাগুলিতেও আপনি তুলে ধরেছেন। যাদের তরে এ রেখা তাদের মনে কি ধরে। আমার মনে পড়ে বেশ
আগে ঢাকার যে এলাকায় আমার বসবাস ছিল যেখানে মদন নামে একজন ভুয়া পদকধারী ডাক্তার ছিল ।
সে এলাকায় খুবই পশার জমিয়েছিল । নামমাত্র ফিতে কিংবা এমনিতেই সে রোগী দেখত । বসত ব্যস্ততম
এক ফার্সেসির পিছনে তার তরে সাজানো চেম্বারে । রোগ যাই হোক প্রতি রোগির প্রেসক্রিকসনে এমন
সব ঔষধের নাম সে লিখে দিত যা ঐ ফার্মেসির সেলসম্যান ছাড়া কারো পড়া সাধ্য ছিলনা। ফার্মেসির ঐ
সেলসম্যানের কাছে প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দিলে হাতে পেত একগাদা এন্টিবায়োটিক সাথে গ্যাসট্রিকের বড়ি
বা কেপসুল আর প্যারাসিটামল। এই তিন পদের ঔষধ তার প্রেসক্রিপশনে থাকতই। এগুলি খেলে যে কোন
রুগীই দিন কতেকের মধ্যে আপাতত সুস্থ হয়ে যেতো । কিছুদিন পরে কিছু মানুষের রোগ বেড়ে গেলে তারা
হাসপাতালে যেতো । তবে সেই ডাক্তারের পশার তাতে মোটেই কমতনা । এলাকায় সে খুবই নামী ডাক্তার।
তার ঠেলায় এলাকার পাশকরা নতুন এমবিবিএস ডাক্তারগন টিকতে পারতনা। সারা সন্বধা সে থেকে রোগী
মিলতনা । যেখানে বিনা ফিতে মদন ডাক্তারের কাছে একগাদা ঔষধ পাওয়া যায় আর রোগও সেরে যায়
সেখানে ৫০ টাকা ফি দিয়ে অনেক সময় কোন ঔষধ প্রেসক্রিপশন না করে রোগটি নিরাময়ের জন্য শুধু
পরামর্শ দিয়ে কিংবা মামুলি ধরনের প্রয়োজনীয় দু একট ওষধ লিখে রোগী বিদায় করে দেয় সেখানে ঐ সমস্ত
পাশকরা ডাক্তারের কাছে রোগি যেতে ইচ্ছুক হতোনা বলাবলির করতো নতুন পাশকরা ডাক্তার কিছুই জানেনা।

শুধু কি তাই মানুষজন নীজেই নীজের ডাক্তার বনে যেতো । সাধারণ জ্বর থেকে শুরু করে সর্দি কাশি বা পেটের
সমস্যা, হলে ফার্মেসিতে গিয়ে একগাদা অ্যান্টিবায়োটিকের কিনে নিত ।এটা ঠিক যে, সঠিক নিয়ম মেনে
অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ায় ভয়ের কিছু দেখছেন না চিকিৎসকরা। তবে চিন্তায় ফেলছে এই নিয়মের বাইরে গিয়ে
খাওয়ার বিষয়টাই।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া আমাদের দেশের অনেকের একটা অভ্যাসে
দাঁড়িয়ে গিয়েছে। পেটের গোলমাল হোক বা দিন কয়েকের জ্বর, ওষুধ তো জানাই আছে! নিজের জানা একটা
অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করলেই ঝামেলা মিটে গেল বলে ধরে নিই আমরা! এই অকারণ ও অত্যধিক
অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে শরীরে বেড়ে চলেছে মেদ। তার সঙ্গে শরীরে সুপারবাগসের উপস্থিতি মুশকিলে
ফেলছে রোগী ও চিকিৎসককে। অনেক সময় তো কোর্সও শেষ করেন না অনেকে। জানাশোনা অ্যান্টিবায়োটিক
প্রয়োগে রোগ একটু ভাল হলেই, ব্যস! ওষুধ খাওয়া শেষ! এই সব স্বভাবই ডেকে আনছে আগামী দিনের
জন্য গুরুতর বিপদ।

মুল্যবান পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

শুভেচ্ছা রইল ।


১০ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,




যে উদাহরণটি দিয়েছেন তা কম বেশী সব এলাকারই চিত্র। এমন মদন ডাক্তারেরা আছে সবখানেই । দ্রুত পসার লাভের জন্যে এরা হেন ঔষধ নেই যা দেন না। এক একটি উপসর্গের জন্যে আলাদা আলাদা ঔষধ। এতে রুগীর তৎক্ষনাৎ উপসর্গের উপশম ঘটে হয়তো কিন্তু আসল রোগটির সুচিকিৎসাটাই বাদ পরে যায়।
আর নিজে নিজে ডাক্তার তো আমরা সবাই। গোপাল ভাড় (সম্ভবত) এর গল্পেই আছে যে তার দেশে ডাক্তারের সংখ্যাই বেশী। প্রমান করেও দেখিয়েছিলেন যে, রাজ সভাসদের সবাই ডাক্তার।
বাস্তব সমৃদ্ধ মন্তব্য। ধন্যবাদ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞ।

১৯| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ২:৩৯

নতুন বলেছেন: জনগনকে সচেতন করতে হবে কিন্তু তাতে অনেক সময় লাগবে। তার আগে করতে হবে আইনের প্রয়োগ।

অল্প টাকায় রোগ মুক্তি।

ডাক্তার চায় প্রসার

ওষুধ বিক্রেতা চায় প্রসার

আমাদের দেশের মানুষ নিজেই ডাক্তার হয়ে যায় আস্তে আস্তে।

এমন সমস্যা সমাধানে সরকারের অনেক কাজ করতে হবে।

১০ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন,




* অল্প টাকায় রোগ মুক্তি।
* ডাক্তার চায় প্রসার
* ওষুধ বিক্রেতা চায় প্রসার
* আমাদের দেশের মানুষ নিজেই ডাক্তার হয়ে যায় আস্তে আস্তে।
মন্তব্যের কথাগুলোতেই তারকা চিহ্ণ দিয়ে দিলুম। এটাই বাস্তবতা।

এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের আসলে করার কিছু নেই। মাসের পর মাস প্রতি মিনিটে মিনিটে মিডিয়াতে করোনা থেকে সাবধান হবার কথা প্রচার করে , লকডাউন দিয়ে ও যেখানে মানুষকে আটকে রাখা যাচ্ছেনা সেখানে আইনের প্রয়োগ করে সফলতা পাবেন কি করে? অলিতে গলিতে গজিয়ে ওঠা ভূঁইফোঁড় লাখো ঔষধের কয়টা দোকানকে আইনের আওতায় আনা যাবে ? আইন প্রয়োগ করে , অর্থ জরিমানা করেও ভেজাল ও নকল থামানো গেছে কি ?

সবই সম্ভব যদি আপামর মানুষ সচেতন হয়। কিন্তু সেটা মুরগীর সোনার ডিম পাড়ার মতোই অসম্ভব কিছু!

২০| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার আলোচনা, তবে আলোচ্য বিষয়টি ভয়ঙ্কর!

এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার এখনই রোধ করা না হলে ভবিষ্যতে চরম স্বাস্থ্য বিপর্যয় আসন্ন, এ কথা বুঝতে পারছি। কিন্তু কে এমন বিপদ ঠেকাতে পরিস্থিতির হাল ধরবে, তা বুঝতে পারছি না। যে সরকারের কোন জবাবদিহিতার দায় নেই, তার কাছ থেকে নাগরিকগণ কতটুকুই বা আশা করতে পারেন?

১৩ ই মে, ২০২১ রাত ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




অনিচ্ছাকৃত দেরীতে প্রতিমন্তব্য করার জন্যে দুঃখিত।

ভয়ঙ্কর শুধু বিষয়টিই নয় , ভয়ঙ্কর এর হাল ধরাও। শাসক যেখানে শোষনের কাজটি করে সেখানে তার নাগরিকেরা চিরকালই অবজ্ঞার পাত্র।

১৩ ই মে, ২০২১ রাত ৯:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




ঈদের শুভেচ্ছা...................

২১| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৩৯

শেহজাদী১৯ বলেছেন: আমাদের দেশের দরিদ্র ও অশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিত সমাজের কাছে এন্টি বায়োটিক বা অন্য যে কোনো ওষুধের প্রতিক্রিয়া পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কোনো ধারণা নেই। তাদের জন্য ওষুধ মানেই রোগের উপশম। এসব যে শরীরের জন্য কি মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে তা তাদের ধারনার বাইরে।

১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১০:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেহজাদী১৯,




দেরী করে জবাব দিচ্ছি বলে দুঃখিত।
শুধু ওষুধের প্রতিক্রিয়া পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেই ধারনা নেই নয়, আমাদের দেশের লোকেদের ধারনা নেই তার শরীরের কোনও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং তাদের কাজগুলো সম্পর্কেও। সুতরাং "ওষুধ মানেই রোগের উপশম" এমন ধারনার বাইরে তাদের আর কোনও ধারনাই থাকার কথা নয়।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
ঈদ শুভেচ্ছা।

২২| ১৪ ই মে, ২০২১ রাত ১:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,









২৩| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার ব্যক্তিগত ধারণা - আমাদের দেশে এন্টিবায়োটিক সহ সকল প্রকার ঔষধ যেভাবে সেবন করানো হচ্ছে এটিকে বলতে হবে “জোরপূর্বক ঔষধ খাওয়ানো হচ্ছে” খুব সম্ভব এর থেকে মুক্তি নেই।

আপনার লেখাটি সময়ের প্রয়োজনের লেখা।


২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,



আসলে ব্যাপারটা মনে হয় সে রকম নয়। আমাদের বেশীর ভাগ রোগীদেরই ধারনা ডাক্তার যদি চার-পাঁচটা ঔষধই না দেয় তবে সে কেমন ডাক্তার! ঔষধ না খেলে রোগ সারবে কিভাবে ?

চিকিৎসার এই চিত্রটি যে কেমন তা দেখতে হলে এই দু'টো লিংকে যান অনুগ্রহ করে ----

।।চিকিৎসক- রোগী: একটি জটিল মনঃস্তত্ব ১ম পর্ব

।।চিকিৎসক- রোগী: একটি জটিল মনঃস্তত্ব ।। ২য় পর্ব

২৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়তে গিয়ে নিজের একটা ব্যক্তিগত ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল।কয়েকবছর আগে একবার ফেসবুকে একটা ছবি ভাইরাল হয়েছিল। কয়েকদিন বয়সী একটি শিশুকে পরীক্ষা করে দেখা গেল সে প্রায় ১৯ বা ২০ রকম (প্রকৃত সংখ্যাটা মনে নেই-স্মৃতি থেকে লিখছি) এন্টিবায়োটিকের প্রতি রেসিস্টেন্স দেখাচ্ছে। কি ভয়াবহ বিপদের কথা।

পরিচিত এক ডাক্তারকে ছবিটা দেখিয়েছিলাম। উনি হেসে বলছেন, সমস্যা কি? তার নিজের কন্যাশিশুই নাকি প্রায় ১৭ বা ১৮ রকম এন্টিবায়োটিকের প্রতি রেসিস্টেন্ট!

বলেছিলাম, তাহলে একসময় আমরা সবাই ওষুধের অভাবে মারা পড়ব একসময়।

উনি জবাব দিলেন, সেই সময় একদিন ঠিকই আসবে।তবে তার আগেই হয়ত আমাদের জেনারেশনের সবাই মরে যাবে।

আপনার এই পোস্টটা পড়লাম, প্রিয়তে নিলাম। পোস্টে যোগ করা তিনটি পর্বই সময় করে পড়ব, ইন শা আল্লাহ।

ভাল থাকুন। শুভকামনা রইল। :)

১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা,




প্রতিমন্তব্য করাতে দেরী হওয়ার জন্যে দুঃখিত।
আপনার দেয়া উদাহরণের মতো হাযারো উদাহরণ আছে একাধিক এন্টিবায়োটিক রেসিষ্ট্যান্সের।
প্রিয়তে নেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞ।
ভালো থাকুন আপনিও। থাকুন নিরাপদে।

২৫| ১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

সাসুম বলেছেন: আমার বাচ্চার বয়স ১ বছরের সময় রোগে ভুগে ভাল হচ্ছিলনা।
অনেক টেস্ট এর পর কালচার টেস্ট করে পাওয়া গেল-

দেশে পাওয়া যাওয়া এন্টিবায়োটিক এর মধ্যে এমিকাইসিন, গেন্টামাইসিন আর মেনোপেনেম ছাড়া বাকি সব এভেইলেভেল কম দামী বেশি দামী দেশি বিদেশি এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট।

গত ১ বছরে এক্টা উন্নতি হচ্ছে অদ্ভুত ভাবে- এরিথ্রোমাইসিন কিভাবে যেন মাঝে মাঝে টেস্টে R আসে মাঝে মাঝে I আসে।

ডাক্তার এর আশা, কোন কারনে বডি এরিথ্রোমাইসিন কে এক্সেপ্ট করার মত ইউনিক কোনভাবে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং ইন ফিউচারে রেজিস্টেন্ট হওয়া এন্টিবায়োটিক হয়ত আবার কাজ শুরু করতে পারে।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাসুম,



মন্তব্যের জন্যেধন্যবাদ।
হ্যা... এটা ঠিক ফিউচারে রেজিস্টেন্ট হওয়া এন্টিবায়োটিক হয়ত আবার কাজ শুরু করতে পারে।
কারণ- অনুজীবগুলো নতুন নতুন এন্টিবায়োটিককে সামাল দিতে দিতে পুরোনো এন্টিবায়োটিকগুলির বিরুদ্ধে কিভাবে লড়াই করে জিতে গিয়েছিলো সে তরিকা ভুলে যেতে পারে। আর তাতেই সেই পুরোনো এন্টিবায়টিকগুলোর কাছে তারা পরাজিতও হতে পারে।
এরিথ্রোমাইসিন ম্যাক্রোলাইড গ্রুপের বেশ পুরোনো ঔষধ। এর পরে এজিথ্রোমাইসিন , ক্লারিথ্রোমাইসিন, রক্সিথ্রোমাইসিন ইত্যাদি
নতুন ম্যাক্রোলাইডস বাজারে এসেছে। এইসব নতুন এন্টিবায়োটিকের সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে বর্তমানের অনুজীবগুলোকে। তাই পুরোনো এরিথ্রোমাইসিনের সাথে যুদ্ধের কলাকৌশল তাদের বর্তমান সময়ে মনে না থাকারই কথা। তাদের ডিএনএ থেকে যুদ্ধের প্রক্রিয়া বিবর্তিত হওয়া বিচিত্র নয়। কোনও কোনও অনুজীব প্রজাতির মধ্যে তা মুছেও যেতে পারে। ফলে পরাজয়।

গল্পের ছলে বলা যাতে ব্যাপারটি যেন সহজেই সবাই বুঝতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.