নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবেকুব জাতক কথন - নয়।

০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:১৬


সিন্ডিকেটেড মহোৎসব.....

প্রতিদিন, ঘন্টায় ঘন্টায় বেসামাল হচ্ছে ভোগ্যপণ্যের বাজার। চাল, ডাল, আটা-ময়দা, সব ধরনের সবজি ও ভোজ্য তেলসহ ভোক্তার প্রয়োজনীয় সব পণ্য অসহনীয় দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় চলছে চরমভাবে বিশৃঙ্খলা ।
এহেন পরিস্থিতিতে বানিজ্যমন্ত্রীর আজকের (০২.০৩.২০২২) বলা কথা শুনে বেআক্কেলের মতো গালে হাত দিয়ে ভাবতে বসলুম, এ কি বললেন তিনি! নির্ধারিত মূল্যের বাইরে নাকি পন্য বিক্রি করা যাবেনা! শাস্তি পেতেও হবে নাকি! কাউকেই নাকি ছেড়ে দেয়া হবেনা।
এমন কথা শুনে আপনিও কি এই বেকুবের মতো গালে হাত দিয়ে ভাবতে বসেছেন ? ভাবনার কথাই বটে! কারন বাজারে গিয়ে আপনাকেই (ভোক্তা সকলকে) তো বোকা হতে হচ্ছে প্রতিদিন। নির্ধারিত মূল্যের অনেকগুন বেশী দিয়েই তো প্রতিদিনই আপনাকে নিত্যপণ্য কিনতে হচ্ছে! নাকি হচ্ছে না ? এমন চিত্রনাট্যের মঞ্চায়ন কিন্তু চলছে বছরের পর বছর৷

মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন, নির্ধারিত মূল্যের বাইরে পন্য বিক্রি করা যাবেনা! শাস্তি পেতে হবে ।
মন্ত্রী মহোদয় মানুষকে আশ্বাসের বাণী শোনাতেই পারেন! মন্ত্রী এও বলেছেন, বাজার মনিটরিং করা হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের জন্যে এ সম্পর্কিত সকল সংস্থাগুলো প্রয়োজনে একই জায়গাতে একযোগে কাজ করবে। এমনকি ডিজিএফআই ও এর সাথে সম্পৃক্ত থাকবে। স্বস্তির কথা বটে!

কিন্তু এই মহাবেকুব ভেবে পায়না কোথায় মনিটরিং করা হবে ! খোলা বাজারে মনিটরিং ?
মূল্য বৃদ্ধি করতে খোলা বাজারের তো উসিলার শেষ নেই। খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে দাম কেন বেড়েছে প্রশ্ন করলেই আপনাকে শুনতে হবে গুচ্ছের উসিলা। সরবরাহ কম, আমদানী আয় বেড়েছে, বিশ্বে বেড়েছে পণ্যের দাম, তেলের দাম বাড়ায় পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়েছে, বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট, রোদ্দুরের কারনে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদন কম, পাইকারেরা দাম বাড়িয়েছে, পরিবহন খরচ বেড়েছে , বেড়েছে পথে পথে চাঁদার হার ইত্যাদি হাযারো উসিলা।একই বাজারে একজন বিক্রেতার সাথে অন্য আর একজন খুচরা বিক্রেতার এমন উসিলার মিল খুঁজে পাবেন না। আপনার আক্কেল গুড়ুমই হবে শুধু। বাঙালী উদ্ভাবক জাতি। দ্রব্যমূল্যের এমন অযাচিত বৃদ্ধির স্বপক্ষে সময় বুঝে তাদের এসব উদ্ভাবনী শক্তির প্রশংসা করতেই হয়। খুচরা বিক্রেতাদের চেয়ে পাইকারী বিক্রেতারা এককাঠি সরেস। তাদের আছে বিশ্ববাজারের অস্থিরতা, পণ্যের টেরিফমূল্য, ভ্যাট-ট্যাক্স ইত্যাদি হাযারো অজুহাত।
এই যেমন ইউক্রনের যুদ্ধের উসিলা দিয়ে ৩ মাস আগে আমদানী করা ছোলা-বুট-ডাল- পেয়াজ- ভোজ্যতেল-চিনি- মসলা সহ সকল পণ্য চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা শুরু হয়েছে অথচ ইউক্রেন থেকে আমরা শুধু গমই আমদানী করি!

এমনটা হলেই আপনার আমার মাথায় যেটা ঘোরে সেটা হলো- “সিন্ডিকেট” নামের ব্যাখ্যাতীত এক ভুত! আম-পাবলিকের কাছে ব্যবসা-বাণিজ্যে “সিন্ডিকেট” নেতিবাচক আর আতঙ্কের একটি শব্দ ৷ এই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ শুধু বাজারে পণ্যের দামের কারসাজিতেই সীমাবদ্ধ নয়৷ এই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি যেন সরকারও৷দফায় দফায় ব্যবসায়ীদের সাথে সরকারের আলাপ আলোচনার বহর থেকেই তা পরিষ্কার।
অথচ “ সিন্ডিকেট” ব্যাপারটি কিন্তু আদপেই খারাপ নয়। অর্থনীতি আর ব্যবসা-বাণিজ্যে আলাদা একটি গুরুত্ব আছে “সিন্ডিকেট” এর। একটি প্রতিষ্ঠানের একার পক্ষে যখন কোনো উদ্যোগ, বিনিয়োগ বা লেনদেন সম্ভব হয় না, তখন একই ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান মিলে সেটি করলে তাকে “সিন্ডিকেট” হিসেবে অভিহিত করা হয় ৷ আর্থিক খাতে বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতেও সিন্ডিকেট বেশ গুরুত্ব রাখে। বড় আকারের কোনো ঋণের ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাংক মিলে যখন তার জোগান দেয়, তখন তা “সিন্ডিকেটেড লোন” হিসেবে বিবেচিত হয়৷

অথচ “সিন্ডিকেট” শব্দটি এখন আম-আদমীদের কাছে নেতিবাচক আর আতঙ্কের একটি নাম। এই মহাবেকুবের মতো আপনিও হয়তো ভাববেন - তাইতো! “সিন্ডিকেট” এর উদ্দেশ্য যদি ভালোই হবে তাহলে কেমনে কি!!!! আসলে এই দেশে আপনি অর্থনীতির কোনও সংঙ্গাকেই আগেও যেমন মেলাতে পারেন নি আজও পাবেন না! যেমন, উৎসব ঘিরে সারা বিশ্বেই নিত্যব্যবহার্য পণ্যমূল্য কম থাকে। রমজানে সব মুসলিম প্রধান দেশই নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে রাখে। অথচ এর উল্টো আচরণ দেখা যায় বাংলাদেশের বাজারে। রকেট গতিতে বাড়তে থাকে পণ্যের দাম। উছিলা একটাই, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। কিন্তু রোজা-ঈদ -পার্বনে আপনি বাজারে কি পণ্যের সরবরাহ কম দেখেছেন কখনও ?
অর্থনীতিতে “সিন্ডিকেট” এর সংঙ্গা যা-ই থাক, এদেশে সিন্ডিকেটবাজরা সম্মিলিতভাবে ভোক্তাদের ঠকানোর যাবতীয় আয়োজন যাতে করতে পারেন তার একটা শক্তিশালী মেকানিজম তৈরী করে ফেলেছেন পাকাপোক্ত ভাবেই। তাইতো যৌক্তিক- অযৌক্তিক নানা উসিলায় দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর জন্যে তাদের কে দেখা যায় সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বাড়ানোর পাঁয়তারা করে সরকারকে নাজেহাল তো তারাই করেন! এ ক্ষেত্রে ভোজ্য তেল সয়াবিন নিয়ে অতি সাম্প্রতিক তেলেসমাতির কথা আপনি স্মরণ করতে পারেন।
এতোক্ষন তো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সিন্ডিকেটের কথা বললুম। কিন্তু সিন্ডিকেট নেই কোথায় ? দেশের প্রতিটি পেশাতেই এখন সিন্ডিকেটের দৌরাত্নে আম-আদমীদের জান হাসফাঁস। এদের ভেতরে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও ক্ষমতাধর হলো, পরিবহণ সংগঠনের সিন্ডিকেট যার ভুক্তভোগী আমরা সবাই। শহর এলাকায় সিন্ডিকেটেড “সিটিং সার্ভিস” এর চিটিংয়ে ত্যাক্ত-বিরক্ত হননি এমন মানুষ আছে কি ? হাসপাতালগুলোতে আছে আ্যাম্বুলেন্স মালিকদের সিন্ডিকেট। তারা এতো জঘণ্য যে লাশ বহনের বেলাতেও কোনও ছাড় দেন না।
ছাত্র সমাজ হাড়ে হাড়ে টের পান শিক্ষক সংগঠনগুলোর সিন্ডিকেশনের কারনে যখন তাদের শিক্ষা কার্যক্রম অনেক সময়েই ব্যহত হয়, পেছিয়ে যায় পরীক্ষা। কেবল অপারেটরদের সিন্ডিকেটের কারনে ভোগান্তিতে পড়েননি এমন আম - আদমী খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। মোবাইল ফোনের সংযোগ প্রদানকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর সিন্ডিকেশনের কারসাজিতে পকেটের পয়সা মিনিটে হাপিস হয়ে যাওয়াই বা বাদ যাবে কেন ? ভিক্ষুক সিন্ডিকেটের কথাও আপনাদের অজানা নয়!
আবার ঋণখেলাপিদের সিন্ডিকেটটি এতটাই শক্তিশালী যে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া তো দূরে থাক উল্টো অর্থ ফেরত দিতে নানা ছাড় দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে ৷বছর বছর জনগণের কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যায় ৷ সেই টাকা উদ্ধার করতে পারছে না বা পারে না সরকার৷ খেলাপি ঋণের টাকা আদায় করা যাচ্ছে না, অথচ বছর বছর বাজেট থেকে জনগণের করের টাকায় ব্যাংকের তারল্য সংকট মেটানো হচ্ছে ৷

শুধু সিন্ডিকেট নেই ম্যাংগো পিপলের!

উপরে প্রদত্ত বানিজ্য মন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্যের যে প্রসঙ্গ টেনেছি তার পরিনতিতে বাজারে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন কমিটির লোকজন। ৩রা ফেব্রুয়ারীর টিভির সংবাদে দেখলুম, কারওয়ান বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত খুচরা ও পাইকারী উভয় কিসিমের বেশ ক’জন বিক্রেতাদের তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারনে ও তেল নেই বলে ক্রেতাকে ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনায় আর্থিক জরিমানা ও দোকান সীলগালা করার দৃশ্য। অথচ বাজারে তেলের কোনও ঘাটতি নেই। বিক্রেতারাও বলছেন, বাজারে কোনও পণ্যের ঘাটতি নেই, নেই তেলেরও।
অথচ বলা হচ্ছে বাজারে সয়াবিন উধাও।এই দৃশ্য এবং বিক্রেতাদের কথাবার্তা শুনে এই মহাবেকুবের মাথায় একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে যে - ব্যবহার্য্য জিনিষপত্রের দাম বাড়ানোর জন্য খুচরা-পাইকারি ব্যবসায়ীরাই কি শুধু দায়ী?
মহাবেকুবের বেকুবী ধারনা - সব ধরনের পণ্যে ক’দিন পরপরই মূল্যবৃদ্ধির লাগামহীন ঘোড়াগুলোকে দাবড়ানি দিয়ে বেড়ান বড় বড় আমদানিকারক ও শিল্প গ্রুপ যারা তেল, চিনি,চাল-গমের মতো খাদ্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন কিম্বা মিলার্স যারা তেল পরিশোধন বা ধান ছাটাই করেন বা গম পেষেন তারা-ই। এরা দেশের বৃহৎ সব শিল্পগোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযানের খবর কি শুনেছেন আপনি কখনো?
বেকুব হলেও এটা তো বুঝি যে সোজা হিসেবে একটাই, কত টাকায় আমদানি করে কত টাকায় তারা পণ্য বাজারে ছাড়ছে, কীভাবে সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে বাজারে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা। সেটা দেখলেই তো হয়! তাহলেই দুধ কা দুধ পানি কা পানির হিসেব মেলে। মূল্যবৃদ্ধির ঘোড়াগুলো দৌঁড়ে কদ্দুর গেলো, কেনই বা গেল, থামছেনা কেন এসব দেখার প্রয়োজন কি মনে করছে না সরকার? তাহলে এই বেকুবের চেয়েও সরকার কি মহা বেকুব ? নিশ্চয়ই নয়! তা’হলে ??
মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এর কথাতেই বলতে হয়, “রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের পকেটে চলে গেছে।” কথাটি বললুম এ কারনে যে , স্বাধীনতার পর জাতীয় সংসদে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সাড়ে ১৭ ভাগ ছিলেন ব্যবসায়ী আর একাদশ জাতীয় নির্বাচনে শপথ নেওয়া সংসদ সদস্যদের ১৮২ জনই পেশায় ব্যবসায়ী অর্থাৎ মোট সংসদ সদস্যের ৬২ ভাগ ৷ব্যবসায়ীরা এখন শুধু আড়ালেই থাকছেন না, সরাসরি রাজনীতির মাঠেই নেমে পড়েছেন৷ তারাই আইন প্রণয়ন করছেন,রাষ্ট্রীয় নীতি ঠিক করছেন,সরকার চালাচ্ছেন৷বিশ্ব বাজারের দোহাই আর ছুতানাতা দিয়ে ম্যাংগো পিপলদের লুন্ঠনের রাস্তা তৈরী করছেন!

মহাবেকুব জাতক ভেবে পায়না -কেন সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে এতটা নতজানু! ছুতানাতায় পণ্যের দামবৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে সরকারের সাথে বাহাস করার সাহস তারা কোথায় পায়? ব্যবসায়ীদের সব উঁচু পর্যায়ের সিন্ডিকেটের অর্থের জোর বেশি বলে, ক্ষমতাও বেশি বলে ?
নাকি, সরকার আর লুণ্ঠনকারী ব্যবসায়ী-পুঁজিপতি মিশে একাকার হয়ে গেছে? নইলে পুঁজিপতিদের অনুকূলে ইনডেমনিটি দিয়ে কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের আইন প্রনয়নের মতো আইন তৈরিসহ অন্যায় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয় কেন জনগণের স্বার্থকে পুরোপুরি বিসর্জন দিয়ে? তবে কি রাষ্ট্রযন্ত্রও লুণ্ঠনের অংশ হয়ে পড়েছে? তবে এইমাত্র পাওয়া (৩রা ফেব্রুয়ারী রাতে) স্বস্তির কথা হলো, লুন্ঠনকারী ব্যবসায়ীদের সয়াবিনের আবারও মূল্যবৃদ্ধির মামুবাড়ীর আবদারটি বানিজ্যমন্ত্রী নাকচ করে দিয়েছেন। রোজার আগে সয়াবিনের দাম বাড়ানো হবেনা বলেছেন তিনি কিন্তু রোজার পরে কি ?
প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনে দেখলুম, দেশে বিরাজমান এমন অবস্থাকে তারা বলেছেন - “ক্লিপটোক্র্যাসি বা তস্করের শাসনব্যবস্থা।“
সবটা মিলিয়ে এ যেন এক অত্যাচারের সিন্ডিকেটেড মহোৎসব৷

এই জাতক মহাবেকুব হলেও এই সত্যটুকু বোঝার মতো মাথার ঘিলু তার নিশ্চয়ই আছে!
আছে আপনাদেরও........................


সূত্র - দৈনিক বণিক বার্তা, দৈনিক প্রথম আলো, ডয়েচে ভেল, দৈনিক যুগান্তর।

ছবির কৃতজ্ঞতা অন্তর্জালের কাছে।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪০

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: রিজার্ভ বাড়ে , আয় বাড়ে ,দ্রব্যমূল্য বাড়ে
টাকার অবমূল্যায়নে দেশ উন্নত
মানুষ কেন বুঝেনা ,টাকার দাম নেই দেশে
কৃষক ন্যায্য মূল্য পায় না , অথচ সিন্ডিকেট রা পশ্চিমে সম্পদ বাড়ায়
কোথাও মন্তব্য করলেই কেউ বলে সরকারের দালাল বা সরকারের বিপক্ষের দালাল

০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রতিদিন বাংলা,



প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
"কোথাও মন্তব্য করলেই কেউ বলে সরকারের দালাল বা সরকারের বিপক্ষের দালাল"
ঐ যে বললুম - শুধু সিন্ডিকেট নেই ম্যাংগো পিপলের !!!!!!!

২| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: করোনার কারনে সারা বিশ্ব জুরেই রিসেশন তৈরী হয়েছে। উন্নত দেশগুলোও এই মহামারী সামাল দিতে ভালই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তবে উন্নত দেশে সরকারের নির্ধারিত দামের বাইরে কোন পন্য বিক্রি করার কোন উপায় নাই। অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামাল দিতে গিয়ে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে ঠিকই কিন্ত বাড়লেও কয়েক সেন্ট করে বেড়েছে যেটা ক্রেতা মোটেই টের পায় না আবার সরকারও ঠিকই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছে। এটা অনেকটা এক কেজি চালের দাম যদি ৫০ টাকা হয় , তাগলে ২ টাকা দাম বেড়ে হয়েছে ৫২ টাকা।আমাদের দেশে সরকার চাইলেই টিসিবি যে মূল্যে দরিদ্রদের কাছে পন্য বিক্রি করছে , তা খোলা বাজারেই সবার জন্য নিশ্চিত করতে পারে। কিন্ত কেন করবে? সবার জন্য চিন্তা করলে তাদের ব্যক্তিগত কোষাগারে। টাকা জমা হবে কিভাবে?

০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,



সরকার চাইলেই অনেক কিছু পারে। আমদানীকারক, উৎপাদক ইত্যাদিদের কাছ থেকে সঠিক আমদানী মূল্য, উৎপাদন খরচ জেনে নেয়ার জন্যে উদ্যোগ নিতে পারে, বিশেষ সংস্থা গঠন করতে পারে এবং সেমত সকল পন্যের দাম বেঁধে দিতে পারে। এটাই মনে হয় বাজার নিয়ন্ত্রনের একমাত্র উপায় ।
আপনার কথাতেই বলি - কেন করবে ?????????
খুচরো বাজারে তল্লাশি চালিয়ে কোনও লাভ নেই, বেহুদা সময় নষ্ট। ইলিশের স্বাদ যদি পেতে হয় তবে বড় ইলিশই ধরতে হয়, জাটকা নয়! :)

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

সিন্ডিকেট বিদ্যায় নেতিবাচক দিকে বাঙালী জাতি এক নম্বরে থাকবে?

০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্য সারমর্ম,




সিন্ডিকেট বিদ্যায় বাঙালী জাতি সম্ভবত "পাইওনিয়র"! একমাত্র আম আদমীদের বাদে সিন্ডিকেট নেই কোথায় ?

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:




সিন্ডিকেট ইজ নাথিং রং ইফ পারপাস ইজ গুড এন্ড সার্ভ ওয়েল ।
কিন্তু বাস্তবে এটা হচ্ছে না ।

শুধু সিন্ডিকেট নেই ম্যাংগো পিপলের !!!!!!!

এটাতো একটা ধ্রুব সত্যি কথা, আমদের মধ্যে এটার অনেক অভাব ।

দেশে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন যাপন যে কি কষ্ট, অথচ তাদের সংখ্যাই বেশী । খুব মায়া লাগে ।
যেভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ে বিশেষ করে খাবারের, এরকম চলতে থাকলে ওদের কি হবে ওটা ভাবলেই অবাক লাগে !



০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,



"সিন্ডিকেট ইজ নাথিং রং ইফ পারপাস ইজ গুড এন্ড সার্ভ ওয়েল ।"
সে কথাই তো বলেছি এই লেখায় -
“ সিন্ডিকেট” ব্যাপারটি কিন্তু আদপেই খারাপ নয়। অর্থনীতি আর ব্যবসা-বাণিজ্যে আলাদা একটি গুরুত্ব আছে “সিন্ডিকেট” এর। একটি প্রতিষ্ঠানের একার পক্ষে যখন কোনো উদ্যোগ, বিনিয়োগ বা লেনদেন সম্ভব হয় না, তখন একই ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান মিলে সেটি করলে তাকে “সিন্ডিকেট” হিসেবে অভিহিত করা হয় ৷ আর্থিক খাতে বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতেও সিন্ডিকেট বেশ গুরুত্ব রাখে। বড় আকারের কোনো ঋণের ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাংক মিলে যখন তার জোগান দেয়, তখন তা “সিন্ডিকেটেড লোন” হিসেবে বিবেচিত হয়৷

ম্যাংগো পিপলের কোনও সিন্ডিকেট নেই বলেই সব বোঝা অনায়াসে তাদের মাথায় চাপিয়ে দিলেও টুঁ-শব্দটিও করতে পারেনা কেউ।
তা নেই বলেই আজকে এই মন্তব্যের শেষ দু' লাইনে আপনাকে আপনার কষ্টের কথা বলতে হয়েছে।
শুভেচ্ছান্তে।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ভালো লাগেনি, সঠিক এনালাইসিস বলে মনে হচ্ছে না।

০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,



মহাশয়! পুরো লেখাতে কোনও বিষয়ের এনালাইসিস-ই করা হয়নি যে আপনার কাছে সঠিক লাগবে। যা বলা হয়েছে তা নির্জলা "ফ্যাক্ট"।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কি হচ্ছে, কেনো হচ্ছে, কি করে হচ্ছে, কে করছে, কেনো করছে, কি করে করছে মন্ত্রীরা এই সব খতিয়ে দেখতে দেখতে জনগনের অবস্থা চেপ্টা হয়ে যাচ্ছে।

০৬ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,



দেখা নয়, ঐ সব কি ও কেনোর জবাব না খুঁজলে আম-পাবলিক কি করে সামাল দেবে জীবনযাত্রা ? আম-পাবলিক কি সুখে আছে ? দেশের কথা না হয় বাদই দিলুম কিন্তু ঢাকা শহরেই এখন বস্তিবাসীর সংখ্যা নাকি সাত লাখ। এদের জীবনে সারা বছরই তো চৈত্র মাসের খরা। সেই খরার উপরে যদি আবার আগুন জ্বালানো হয় তবে এরা সহ তামাম আম-পাবলিকের অবস্থা আপনার বলা মতো চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাবারই কথা।
শুভেচ্ছান্তে।

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২৯

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: উনারা কথায় কথায় ছাড় দেয়া হবেনা বলেন , সিন্ডিকেটের কাছে অনেক আন্তরিক আর আম জনতার কাছে ভুয়া লাগে । জয় বাঙলা বাদ দিয়ে '' বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না '' '' জিরো টলারেন্স '' কে জাতীয় স্লোগান করলে মধুর হতো ।

০৬ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: তানীম আব্দুল্লাহ্ ,




হা.....হা.....হা....... জব্বর কথা বলেছেন। অনেক আগেই ঐগুলোই জাতীয় স্লোগান হওয়া উচিৎ ছিলো .............. :#)

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:

হুম আই নো, পড়ে সহমত হয়েই ওটা লিখেছি ।
থ্যাংক ইউ জী এস ।

০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,



আপনাকেও আবার ধন্যবাদ এখানে আর একবার ফিরে আসার জন্যে ।
ভালো থাকুন মি'ডল।

৯| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৩১

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: সিন্ডিকেট মিন্দিকেট বলে কিছু নাই ... এরা মিলেমিশে ডাকাতি শুরু করেছে ।

০৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: তানীম আব্দুল্লাহ্,



সিন্ডিকেটেড ডাকাতি ? :||

১০| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এই বাজার সিন্ডিকেটের কথা শুনে তো চিন্তায় পড়লাম।

হাই টি ও যেমন এক যুগ আগে জীবনে প্রথম শুনেছিলাম। সিন্ডিকেটও তেমনই সামু সিন্ডিকেট শুনেছিলাম ..... তারপর জানলাম আসল সিন্ডিকেট থাকে বাজারে চাল ডাল আলু পটলে। :(

০৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,



সিন্ডিকেট নিয়ে চিন্তা করলে মাথার চুল একটাও থাকিবেক না। তখন আপনাকে সাজুগুজুর পার্লারে গিয়ে "টাক মাথার সমাধান" খুঁজিতে হইবেক। :P
লিখেছেন - সামু সিন্ডিকেটের কথা নাকি শুনেছিলেন! তাহলেই বুঝুন সিন্ডিকেট কোনখানে নেই ? :|

আসলে এসব সিন্ডিকেটের কারনেই মানুষ অসহায়। চাল ডাল আলু পটলেই কেবল সিন্ডিকেট নেই, তেল-গ্যাস-ভোজ্যতেল-চিনি-গম-সোনা-রূপা মায় প্রসাধন সামগ্রীরও( :) ) সিন্ডিকেট আছে। সরকার এদের না দমিয়ে বরং চুনোপুটিদের মাথায় ডান্ডা ঘোরায়। যেখানে হাত দিলে বাজার নিয়ন্ত্রন সম্ভব সেখানে সরকারের হাত পৌঁছে না। কেন ? জানিনে। জানিনে বলেই আপনাদের চিন্তায় ফেলে দিতে এটা লেখা।
শুভেচ্ছান্তে।

১১| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: মনে মনে আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় ছিলাম।
এত কম পোষ্ট দেন কেন? ব্যস্ততা?

আমি তো এক মাস ধরে 'জেনারেল' হয়ে বসে আছি। যদিও আমি লেখা অব্যহত রেখেছি। আজই লিখলাম বাজারের অবস্থা নিয়ে।
জিনিসপত্রের এত দাম, অথচ বাজারে গেলে মানুষের ভিড়ে হাঁটা যায় না।

০৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,



ব্যস্ততা তো মানুষের থাকেই। কম লেখার কারন সেটা নয়। কারনটা বলা হয়েছে এই পোস্টের ঠিক আগে করা আমার পোস্টটিতে।

জিনিসপত্রের এত দাম, অথচ বাজারে গেলে মানুষের ভিড়ে হাঁটা যায় না।
তলিয়ে না দেখলে আপনার এই কথাটি চোখের সত্য। কিন্তু ভেতরের সত্য ব্যাপারটিকে এভাবে দেখুন ---- "মানুষ বাড়ছে নাফ নদীর বানের লাহান" তাই পথ-ঘাট, বাস-লঞ্চ সহ বাজারও মানুষের ভিড়ে ভিড়াকার। কিন্তু এরা কি আগের মতো পরিমানে কিনছে ? মোটেও না। তাদের কেনার পরিমান কমেছে। যারা আগে একপাল্লা পেয়াজ কিনতেন তারা এখন কিনছেন এক কেজি বা আধা কেজি। ভোজ্য তেল যারা পাঁচ লিটারের নীচে কিনতেনই না তারাও এখন এক কেজির বোতলে সন্তুষ্ট। টিভিতে বাজারের হালচাল দেখলে এই সত্য বুঝতে পারবেন।

"জেনারেল" থেকে আপনার পদাবনতি ঘটুক " সাধারণ"য়ে সে কামনা রইলো।
শুভেচ্ছান্তে।

১২| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ২:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



ছাত্র ইউনিয়নের লোকজন এসব পোশাকী শিরোনাম দিয়ে লিখে কাগজ ভরায়ে ফেলতো।

০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,



একদিন ছিলো যখন ছাত্র ইউনিয়ন লিখে লিখে শুধু কাগজই ভরে ফেলতো না, আন্দোলনের ডাকও দিতো। তাতে মানুষের সায়ও থাকতো। একসময় বড় বড় ছাত্র আন্দোলন এই ছাত্র ইউনিয়নের ডাকেই হয়েছে।

সেদিন আর এখন নেই, এখন ইউনিয়ন করতে হয় একা একা- ব্যক্তিগত ইউনিয়ন! একাই লড়াইটা করতে হয়। আমিও তাই করছি, ব্যক্তিগত ইউনিয়ন বানিয়ে। আপনিও করছেন, শিক্ষা বিস্তারের লড়াই। সে লড়াইয়ে আপনার কোনও সিন্ডিকেট আছে কি ? নেই, এটা আপনি নিজেও ভালো জানেন। পেছনে কেউ নেই জেনেও আপনি কিন্তু থেমে নেই, শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নয়ন নেই সে কথা লিখেই যাচ্ছেন। আমিও আপনার মতো না হয় থামলুম না, লিখে লিখে ব্লগ পাতা "মহাবেকুব জাতক" এর কথনে ভরে রাখতে থাকি।

১৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৪:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মন্ত্রীরা কথার চেয়ে কাজ করে কম। কাজ করতে গেলে আরো অকাজ করে বেশি।

০৭ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর আলম হিরণ,



তারা যে কখন কি বলেন তা নিজেরাও জানেন না! জনগনের সাথে তাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই বলেই অকাজের সব কথা তারা বলতেই পারেন অনায়াসেই।

১৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের ক্রয় ক্ষমতা যে হারে বেড়েছে দ্রব্যমুল্য সে হারে বাড়েনি- তথ্যমন্ত্রী সম্ভবত এমন একটা ঐতিহাসিক ডায়লগ দিয়েছেন।।

এরপরে আর কি এইসব বলে লাভ কি!

* মাঝারী-ছোট ব্যাবসায়ী ও উৎপাদকরা ভ্যাট, ট্যাক্স আর বিভিন্ন লাইসেন্স ফি দ্বারা কিভাবে ভয়ঙ্কর কঠিন চাপের মুখে আছে সেই নিয়ে কিছু লিখবেন কি?

০৭ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন ,




ওরকম ডায়লগ ঐতিহাসিক ডায়লগই বটে!
এইসব বলে লাভ হয়তো কোনও লাভ নেই কিন্তু টিসিবির পণ্য কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়া মানুষদের মুখগুলো দেখে কষ্ট হয়। সেই কষ্ট থেকেই লেখা।
আমি কোনও অর্থনীতিবিদ নই, এমনকি বাজারে মূল্যের ঢেউ কখন যে কোন পণ্যকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে সে সম্পর্কেও আগেভাগে ধারণা করতে পারিনে। বাজারে যাই আসি পর্যন্তই দৌঁড় আমার। তাই আমার পক্ষে মাঝারী-ছোট ব্যাবসায়ী ও উৎপাদকগন ভ্যাট, ট্যাক্স আর বিভিন্ন লাইসেন্স ফি দ্বারা কিভাবে ভয়ঙ্কর কঠিন চাপের মুখে আছেন তা বলা সম্ভব কি ?

শুধু আশা করি, দ্রব্যমূল্যে আম-জনতার বেড়ে যাওয়া শ্বাসকষ্ট উপশমের চিকিৎসাটা সরকার আদৌ দেবেন কি !

১৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সিন্ডিকেট মহোৎসব ভালই চলছে কিন্তু এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার লোক কই ?

০৭ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,




লোক পাবেন কই ? যারা ব্যবস্থা নেয়ার তারাই তো .............. :((

১৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার আগে দরকার একটা স্ফুলিঙ্গের।

০৭ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,



খাঁটি কথা! কিন্তু স্ফুলিঙ্গটা জ্বালাবে কে ?

তবুও থাকতে হয় এমন আশায় আশায়..........
তোমাকে বধিবে যে,
গোকূলে বাড়িছে সে।

১৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দেশের সাধারন মানুষই যদি ভাল না থাকতে পারে তবে এত উন্নয়ন ধুয়ে কি মানুষ পানি খাবে।

০৯ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল,



উন্নয়ন ধুয়ে মানুষকে যে পানি খেতেই হবে! এই উন্নয়ন ছেড়ে যাবেনই বা কোথায়।
একটা চুটকি বলি ----
ভিক্ষুক রাস্তার পাশে বসে ভিক্ষা চাইছে। এক পথচারী ভিক্ষুককে বললো- " কি হে চাচা! মাথাপিছু আয় তো আপনার ২৫০০ ডলার। ভিক্ষা করছেন কেন ? সে টাকা কই?
ভিক্ষুকটির উত্তর - "হেই ট্যাহা তো চুইছ ব্যাংক আর বেগম পাড়ায় গ্যাছে!!" :P

১৮| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: নির্মম সত্য তুলে ধরেছেন।

০৯ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রত্যাবর্তন@ ,




সত্যগুলো প্রায় সময়ই নির্মম হয়!

১৯| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের সব কিছুই বাড়তি -
মাথাপিছু আয়
মাথাপিছু ঋণ
উন্নয়ন তো সুপার বাড়ন্ত
টিসিবি র ট্রাকের পিছনে লাইন .........।

০৯ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,




যে দেশে ঘুম থেকে উঠে সকালেই যদি দেখা যায় সবাই "ধনী" হয়ে গেছে সেদেশে টিসিবি র ট্রাকের পিছনে লাইন পড়ার কথা নয়!
আপনি ঠিক দেখেছেন তো !!!!!!! :(

২০| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনরা উদ্দেশ্যহীনভাবে ছাত্র ইউনিয়ন করেছিলেন, আজকেও উদ্দেশ্যহীন কথাবার্তা বলছে,

১০ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,



"আপনারা" শব্দটির মধ্যে "আমি" ব্যক্তিটিও থাকে। তাই "আমি"র আমাকে বলতেই হচ্ছে, "জ্বী জনাব! আমি ছাত্র ইউনিয়ন তো দূর, কোনও রাজনীতির সাথেই জড়িত ছিলুম না কোনওকালে!"
আজকেও উদ্দেশ্যহীন কথাবার্তা বলছে, এই লাইনটি যদি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন তবে সবিনয়ে বলি- "মানুষ কিছু বলে বা করে কোনও কিছু একটা উদ্দেশ্য নিয়েই! এই পোস্টের কোনও কথাই উদ্দেশ্যহীন নয়। "যাহাদের জন্যে প্রযোজ্য" তাহাদের উদ্দেশ্য করেই বলা হয়েছে। বলতে পারেন, এই উদ্দেশ্যের ফল জিরো! ফল শূণ্য হলেও উদ্দেশ্য উদ্দেশ্যই, হীন নয়। মানুষ উদ্দেশ্য নিয়েই সব কাজ করে কিন্তু সব উদ্দেশ্যই হয়তো সফল হয়না। এই সফল না হওয়াটাকে উদ্দেশ্যহীন বলেনা।
যেমন আপনার নিকে এই কথাটি লেখা আছে - শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ। একটা কিছু উদ্দেশ্যেই এটা লিখে রেখেছেন। উদ্দেশ্যটা মনে হয় , শিক্ষা সচেতনতা জাগাতে চেয়েছেন। নাকি এটা একটা উদ্দেশ্যহীন কথা লিখেছেন ? আপনার এই বাক্যটি সফলতা না পেলে এটাকে কি আমরা উদ্দেশ্যহীন লেখা বলবো ?
কি সব কথা যে বলেন আপনি !!!!!!!!!

২১| ০৭ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৩:২৩

সোহানী বলেছেন: ঢাবিয়ানের সুরেই বলি। উন্নত বিশ্বে এক টাকা বাড়লে তার দায় বহন করে সরকার, সাধারন মানুষ না।

যেমন, কানাডায় কিছু বেসিক নিড এর দাম সম্পূর্ণ নির্ধারিত থাকে। কোনভাবেই বাড়াবে না।

আমি কানাডার সাথে তুলনা করার মতো দূ:সাহস দেখাচ্ছি না, শুধু আপনার সুরেই বলি!! মন্ত্রী মহোদয় খুচরাদেরকে দাবড়ানীই দিতে পারি এর বাইরে মনে হয় এক পাও বাড়াতে পারবে না। কারন এর উত্তর স্বয়ং প্রেসিডেন্ট মহোদয়ই দিয়েছেন।

আমি দশ কোটিতে সির্বাচনে জিতেছি, বিশ কোটি যদি ঘরে না আসে তাহলে আমার লাভ কি হলো!!!

১০ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,



তুলনা কেন করবেন না ? সরকারী লোকজন যদি দেশটাকে সিঙ্গাপুর, প্যারিস, মালয়েশিয়ার সাথে তুলনা করে বগল বাজাতে পারেন তবে আমরা ম্যাংগো পিপলরা দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি নিয়ে অন্য দেশের তুলনা কেন করতে পারবোনা ? :|

শুনে মাথায় হাত দেবেন, আজকেই বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন সংস্থা বলেছে, তেলের মূল্য অস্বাভাবিক বাড়িয়ে গত ১৫ দিনে তেল ব্যবসায়ীরা জনগনের পকেট থেকে এক হাযার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে। জিডিপিতে এই টাকা যোগ করে যারা বলার তারা বলবেন - দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এক সকালেই ২৫৬০ ডলার থেকে বেড়ে ৩০০০ ডলার হয়েছে। হাত তালি ................ :((

২২| ১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দ্রব্যমুল্য বৃদ্বির কারণ ও প্রতিকারের দর্শন নিয়ে মুল্যবান একটি পোষ্ট ।
সঠিক কথাই বলেছেন দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধির অনেক কারণের মধ্যে
হরেক পদের পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বাজীই মুখ্য ভুমিকা পালন করে ।
ব্যবসায়ী সংগঠনের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সরকারের জন্য খুবই কঠিন বিষয়
তাই তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থাতো নেয়া যা্ঐ না , আবার ব্যবস্থা নিলেও সরকার সংকটে পড়ে ।
অপরদিকে পেশাজীবী সিন্ডকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে
পেশাজীবী সংগঠনগুলো আন্দোলনে নামে ৷
পেশাজীবীদের নীতি-নৈতিকতা থাকা দরকার৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেক পেশাজীবী
নীতি-নৈতিকতার বাইরে গোষ্ঠীস্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে৷ এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়৷

সিন্ডিকেটের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক আছে এটা সকলেই বিশ্বাস করে ।
রাজনীতির ছত্রছায়ায় সাধারণত এসব হয়৷ সরকার যদি কঠোর হয়, তাহলে
এই ধরনের আচরণ ব্যাপকতা পায় না৷ কিন্তু সরকার যদি নমনীয় হয়, তাহলে
এই ধরনের কার্যক্রম বিস্তার লাভ করে৷সরকার নমনীয় না কঠোর তা
তা দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধির গতি বিধি দেখেই বুঝা যায় ।

যাহোক, মোদ্দাকথা হলো সিন্ডিকেটের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারলে
দীর্ঘমেয়াদে সুফল দিবে ।
কিন্তু সিন্ডিকেট ভাঙ্গার উপাই কি , কার আছে এই সিন্ডকেট ভাঙ্গার হিম্মত !!
সকলকেই ভাবতে হবে ও কার্যকরীভাবে প্রতিবাদী হতে হবে।

শুভ কামনা রইল

১৩ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,




সমৃদ্ধ মন্তব্য।

ঠিকই বলেছেন, রাজনীতির কারনেই সরকার আর লুণ্ঠনকারী ব্যবসায়ী-পুঁজিপতি মিশে একাকার হয়ে গেছে। কাউকেই ঠেকানো সম্ভব নয়!
এজন্যেই সম্ভবত দেশে বিরাজমান এমন অবস্থার আলোকে প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো - “ক্লিপটোক্র্যাসি বা তস্করের শাসনব্যবস্থা।“
সিন্ডিকেটের বিরূদ্ধে একমাত্র কার্যকর ব্যবস্থা হলো , জনগনের সিন্ডিকেট গড়ে তোলা। একসাথে এই সব অত্যাচারের বিরূদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া।

২৩| ১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অর্থনীতির কোন নিয়ম নীতি যেন এ দেশের জন্য অবশ্য পালনীয় কিংবা প্রযোজ্য নয়। যার যা করনীয় তা না করে, অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোটা আমাদের জাতীয় চরিত্রে পরিণত হয়েছে। তাই তো আজই রাতের খবরে দেশবাসী জানতে পারলো, বাজারে সব রকমের দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বিএনপি'র অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রয়েছে (এক রামছাগলের কথায়)।
১৬ নং মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য- দুটোই ভালো লেগেছে।

১৩ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




ঠিকই বলেছেন - অর্থনীতির কোন নিয়ম নীতি বাংলাদেশে খাটেনা। ব্লাকহোল এর ভেতরে পদার্থ বিজ্ঞানের কোনও সূত্রই যেমন কাজ করেনা, বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্লাকহোলে সকল অর্থনীতির নীতিগুলোও তেমনি কাজ করেনা।

এই তো সরকার কিছু কিছু ভোগ্যপণ্যের শুল্ক কমিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন । অথচ সরকারী প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ার আগেই আমদানীকারকরা দাম কমিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। কি বিচিত্র ! বুঝতেই হয়, এদেশের বাজারে অর্থনীতির কোনও ধরনই নেই । যখন তখন মর্জিমাফিক দাম বাড়ানো বা কমানো ( যদিও তা কম ক্ষেত্রেই ঘটে) যায়।
বাংলাদেশের বাজারে যখনই পণ্যের দাম বাড়ে তখন ব্যবসায়ী শ্রেনী যেমন আমদানীকারক, পাইকার, খুচরা বিক্রেতা ইত্যাদিরা ইনিয়ে বিনিয়ে যে যুক্তি দেখান তা হলো আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের দাম বৃদ্ধি। পাশাপাশি সরবরাহ অপ্রুলতা এবং দূর্যোগের কথা তো আছেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়,বিশ্বের আর কোন দেশ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে জিনিসপত্র কেনে না এবং কিনলেও ডলার দিয়ে কেনে না৷ বাংলাদেশে এখন ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৯০০ টাকা আর লন্ডনে দাম ৫০০-৬০০ টাকা৷

বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশের মুদি বাজারের একটি পরিসংখ্যান আপনাকে দেখাই -
ব্যক্তিগত লোন দেয়ার মার্কিন অনলাইন কোম্পানি ‘নেটক্রেডিট’ গতবছর ৯ নভেম্বর ২০২১ সালের গ্রোসারি সূচক প্রকাশ করে৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুপারমার্কেটের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়৷ প্রথমে, বাজারের একটি তালিকা তৈরি করে সেগুলোর দাম কোন দেশে কেমন, তা জানার চেষ্টা করা হয়৷
সূচক তৈরিতে যে ১০টি পণ্যের তথ্য নেয়া হয়েছে সেগুলো হলো সকালের নাস্তার জন্য সিরিয়াল, ১২টি ডিম, ৫০০ গ্রাম হাড় ছাড়া মুরগীর বুকের মাংস, ৫০০ গ্রাম মাখন, ১ লিটার বোতলজাত ভেজিটেবল তেল, ৫০০ গ্রাম সাদা পাউরুটি, ১ লিটার দুধ, ১ কেজি আলু, ১ কেজি টমেটো, ১ কেজি কলা, ১৪০ গ্রাম ক্যানড টুনা ও বোতলজাত দেড় লিটার পানি৷
যদিও এসব খাবারের বেশির ভাগটাই সাধারন জনগন চোখেও দেখেনা। তারপরেও সামর্থবানদের সামর্থ হিসেব করলেই আমরা কোথায় আছি বোঝা যাবে।
উপরের পণ্যগুলো কিনতে বাংলাদেশে ১৯৯০ টাকা খরচ হতো বলে জানিয়েছে নেটক্রেডিট৷ বিশ্বব্যাংকের তথ্য ব্যবহার করে নেটক্রেডিট দেখেছে, এই পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশের দৈনিক গড় বেতনের ৩৪০ শতাং । এখানে "লিষ্ট এ্যাফোর্ডেবল" দেশগুলোর ভেতরে বাংলাদেশের অবস্থান ৪ নম্বরে।


৯ মার্চ, ২০২২ সালে সার্বিয়ার ক্রাউড-সোর্সড ভিত্তিক বৈশ্বিক ডাটাবেজ কোম্পানি ‘নাম্বেও’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশে এক কেজি চালের (সাদা) দাম ৬০/ ৭০ টাকা৷ জাপানে দাম সবচেয়ে বেশি ৩৬৯ টাকা৷ এছাড়া যু্ক্তরাষ্ট্রে ৩৪০, সুইজারল্যান্ডে ২৫১, জার্মানিতে ১৮১, যুক্তরাজ্যে ১২৫, পাকিস্তানে ৭৬, ভারতে ৫৯, নেপালে ৬০ ও শ্রীলঙ্কায় ৫১ টাকা৷
বিশ্বের যে কেউ নাম্বেওর ডাটাবেজে তথ্য ঢোকাতে পারেন৷ তাই কেউ চাইলে ইচ্ছেমতো তথ্য দিতে পারেন৷ সে কারণে নাম্বেওর তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে ৷ পারে আপনারও। এরপরও নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, ইকোনমিস্ট, টাইম ম্যাগাজিনের মতো বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় নাম্বেওর তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে৷
নাম্বেও বলছে, গত ১২ মাসে ঢাকার বিভিন্ন জিনিসের দাম নিয়ে মোট ৩,১৩২ বার তথ্য যুক্ত করেছেন ২৭৪ জন নাম্বেও ব্যবহারকারী৷
এ থেকেই বুঝবেন আমাদের আম পাবলিকের অবস্থাটি কি !

সূত্রঃ ডয়েচে ভেল, নেট ক্রেডিট।

২৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:০৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আহমেদ জিএস ভাই,

কি বলবো আপনার এই লেখায় সেটাই বুঝতে পারছি না । আজকে বোনের সাথে কথা বলছিলাম ঢাকায় । জিজ্ঞেস করলাম ডিমের হালি কত ? বোন বলছে হালি না ফার্মের মুরগির ডজন ১২০ টাকা মানে হালি ৪০ টাকা ! চিকন নাজির শাল চালের কেজি ৭০ - ৭৫ টাকা । মুসুর ডাল ১২০ টাকা । গরুর গোশত ৬০০ টাকা ! ১৯৯৯ সালে আমি যখন দেশ ছেড়ে আসি তখন ডিম্ সম্ভবত ৩/৪ টাকা হালি । নাজির শাল চাল ১২ টাকার মতো । মুসুর ডাল ৮/১০ টাকা কেজি খুব সম্ভবত আর গরুর গোশত ৬০ টাকা কেজি । বুঝে গেলাম সেই ঢাকা মেইল নেইতো আর ! প্রতিদিনের খাবারের জিনিসগুলোর দাম যদি এই হয় তাহলে মানুষের অবস্থা বোঝার জন্যতো এডাম স্মিথ হতে হয় না যতই উন্নয়নের গীতবাদ্য বাজুক ।বোনের সাথে টেলিফোনালাপ শেষ করে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেলো জয় বাইডেন । আমার ইউনিভার্সিটি চাকুরীর বেতনে যে আমাকে একাহারি বা পুরো উপোস থাকতে হতো দেশে থাকলে সেই কথা মনে করে এই মাইনাস টেম্পারেচারের প্রায় আর্কটিক ল্যান্ডের অধিবাসী হয়েও বললাম, আলহামদুলিল্লাহ । জিএস ভাই আপনি ও পুরো দেশবাসী ভালো থাকুন সেই চাওয়া ।অনেস্ট ।

৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মলাসইলমুইনা,



অত্যন্ত লজ্জিত, আপনার এই মন্তব্যখানি দেখতে দেরী হওয়াতে।

উন্নয়নের গীতবাদ্য যে ডঙ্কা নিনাদে উচ্চকিত, তেমন শনৈঃ শনৈঃ উন্নতিতে উচ্চকিত দ্রব্যমূল্যও।
এই নিয়েই আমজনতার দিন কাটে, ভোর হয় শঙ্কা নিয়ে।

আপনার অনেস্ট চাওয়ার মতোই সবাই চায়, পুরো দেশবাসী ভালো থাকুক!
শুভেচ্ছান্তে।

২৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৪৪

জুন বলেছেন: আমাদের উচুতলা থেকে নীচ পর্যন্ত সিন্ডিকেট বানিজ্য বিদ্যমান। একে পাশ কাটিয়ে যেতে পারি না আমরা আম জনতা। মেনে নিতে হয়। আমাদের জীবন ওষ্ঠাগত করে দেয়া একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




দেরী করে এলেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। এর মধ্যে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। খাতুনগঞ্জের ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটবাজরা গোডাউনের দরজা বন্ধ করে পালিয়েছে ভোক্তা অধিকারের মোবাইল কোর্ট আসার কথা শুনেই। ইতিমধ্যেই রোজার পরে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে তেল ব্যবসায়ীরা।
আমাদের জীবন ওষ্ঠাগত করে দেয়া বিষয়ই বটে!

২৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার তথ্য উপাত্ত দিয়ে আমার মন্তবটির বিশ্লেষণাত্মক জবাব দিয়েছেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সবশেষে আসা জুন এর মন্তব্যটি ভালো লেগেছে।

০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ৮:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




প্রায় দুইমাস পরে আপনার মন্তব্যটি চোখে পড়লো। দোষটা ব্লগ নোটিফিকেশানের , আমার নয়! :(
আপনার মন্তব্যটি এমন বিশ্লেষণাত্মক জবাব "ডিজার্ভ" করছিলো বলেই জবাবটা অমন হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.