নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবেকুব জাতক কথন - দশ। বেকুবীয় ভাবনা.....

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২৪



গেল বৃহষ্পতিবার বেরিয়েছিলুম ব্যক্তিগত কাজে দিলকুশার দিকে।
আমার মতো বেকুব যদি কেউ না থাকেন তবে এই শহরে এখন তিনি আর নিজে ড্রাইভ করে গাড়ী চালাবেন না। ঢাকার যানজটের যে অবস্থা তাতে নিজের গাড়ী নিজে চালিয়ে কোথাও যেতে হলে বেকুব হতেই হবে! মাথার ঠিক থাকবেনা, মেজাজের চৌরাশি অবস্থা হবেই। এসি না থাকলে দরদর করে ঘামতে হবে। থাকলে ঘন্টার পর ঘন্টা এক ফুটও না পেরিয়ে বসে থাকলে গাড়ীর জ্বালানি খরচ সহ সব খরচ বাড়বে শনৈঃ শনৈঃ। দাঁত কিরমির, মাথার চুল ছিড়তে করতে ইচ্ছা করবে তখন। ১ কিলোমিটার যেতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লাগবে বেশিও লাগতে পারে। বেকুব না হলে কেউ এমন আহাম্মকী কাজটি করবেন না। আর কারো যদি ড্রাইভার থাকে তবে আলাদা কথা। কমপক্ষে চড়নদারের মাথাটা ঠান্ডা থাকলেও থাকতে পারে। যতো ঝামেলা ড্রাইভারের উপর দিয়েই যাবে! আপনি গা এলিয়ে চোখ মুদে সীটে বসে থাকবেন আর তেলের পয়সা গুনতে থাকবেন। কর্মঘন্টা ক্ষতির কথা না হয় বাদই দিলুম।
চাই কি গাড়ীতে বসে বসে ব্লগে দু’একটা পোস্টও লিখে ফেলতে পারেন । যেমনটা লিখে ফেলেছেন সহব্লগার - জুল ভার্ন “ সুবচন নির্বাসনে….” নামে। ।

আর গাড়ীবিহীন যারা রাস্তায় বের হন জীবিকার তাগিদে, তাদের অসহায়ত্বের জন্যে সমবেদনার সীমা-পরিসীমা থাকার কথা নয় কোনও সুস্থ মানুষের। এ হলো ঢাকা শহরের চলমান চিত্র যাতে জমকালো রংয়ের পোঁচ লাগছে প্রতিদিনই। প্রতিদিনই এ নিয়ে খবর বেরুচ্ছে, নানান মতামত দেয়া হচ্ছে। যানজটের ডজন ডজন কারন খুঁজে বের করা হচ্ছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেই ফেলেছেন, রাজধানীর যানজট এবং জনজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণের কোন বিকল্প নেই।
এই মহা বেকুব ভেবে পায়না, তা-ই যদি হয় তবে এই যে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে, একযুগের বেশি সময় ধরে ঢাকাবাসীকে চরম ভোগান্তিতে নাস্তানাবুদ করে রেখে মেট্রোরেল কিম্বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মান করা হচ্ছে কেন ? তার দরকারটা কি ছিলো ?
আরও অবাক কান্ড, কেউ কেউ বিজ্ঞজনের মতো সুপারিশ করছেন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-অফিসের সময়সূচি পরিবর্তনের। ডিএনসিসির মেয়র তো আবার জোড়-বিজোড় সংখ্যার গাড়ী চলাচলের ফতোয়া দিয়েছেন।কেউ কেউ নদনদী–খাল দখলমুক্ত করে ওয়াটারওয়েজ চালুর কথা বলছেন । যানজটের জন্যে আবার কেউ কেউ দোষ দিচ্ছেন পুলিশের হস্তচালিত সিগন্যালিং ব্যবস্থার। কেউ বলছেন - গণপরিবহনে সমন্বিত ব্যবস্থার অভাবই যানজটের মূল কারন। আবার একদল বলছেন- রাস্তা-ঘাটের সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির কথা। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে ট্রাকস্ট্যান্ড ও আন্তজেলা বাস টার্মিনালও যুক্ত এই ভয়াবহ যানজটে। চারদিক থেকে বানের লাহান মানুষের ছুটে আসাকেও দুষছেন কেউ কেউ।
এসব দুর করলেই নাকি ঢাকা যানজট মুক্ত হয়ে সাফ-সুতেরো নগরী হয়ে উঠবে।

এইসব “কথা-কান্ড” শুনে শুনে মহা বেকুব জাতক অনেক মাথা খাটিয়ে রবি ঠাকুরের “ জুতা আবিষ্কার” কবিতার সারমর্ম হৃদয়ঙ্গম করে ফেললো। তাইতো, পৃথিবীর ধূলো যাতে পায়ে না লাগে সেজন্যে পৃথিবীকে চর্মময় করা কেন ? শুধু পদযুগলকে চর্মবন্দি করলেই তো কেল্লা ফতে।
তাই একটি শহরের/নগরের জনসংখ্যা, রাস্তার পরিমান আনুপাতিক কতোটুকু থাকা উচিৎ, ফুটপাথ আছে কি নেই, সেখানে হকারদের দখলদারীতে কতো অংশ, কতোটুকু খাল-বিল দখলমুক্ত করলে কি হতে পারতো, যানজটে দৈনিক কতো টাকার ক্ষতি, কতো পার্সেন্ট ক্ষতি জিডিপিতে, কর্মঘন্টা কতোখানি নষ্ট এসব পরিসংখ্যান কপচিয়ে কোনও লাভ নেই। এই বেকুবের চেয়ে এসব পরিসংখ্যান অনেক বেশিই জানেন আপনার সবাই-ই!
মহা বেকুব শুধু জানে এবং বোঝে - ঢাকাকে ডি-সেন্ট্রালাইজড করতে পারলেই কেল্লা ফতে।
সকল সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ঢাকা থেকে সরিয়ে দিন অন্য শহরগুলোতে। সচিবালয় সহ একেকটা মন্ত্রনালয় সরিয়ে দিন বিভাগীয় শহরগুলোতে।
ব্যাস…… আর কিছু করতে হবেনা, যানজট কমে যাবে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ।

মহা-বেকুবীয় ভাবনা কি ???????


ছবির কৃতজ্ঞতা - অন্তর্জাল । বাংলানিউজ২৪ডটকম ।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি মহা বেকুব হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক কথা যে বলে ফেলেছেন এটা কি খেয়াল করেছেন। :)

সাবওয়েই যদি লাগে তাহলে এখন আবার মেট্রোরেল খাওয়াচ্ছ কেন। খাওয়াচ্ছে কারণ ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টকে ৫০ হাজার কোটি টাকায় টেনে নেয়া যাবে নিজেদের আখের গোছানোর জন্য ( এটা প্রকৃত উপাত্ত না। বোঝানোর জন্য উদাহরণ হিসাবে বললাম) ।

আসল কথা হোল ঢাকার সমস্যা মাত্রা ছাড়া হয়ে গেছে।

আরেকটা বেকুবি কথাও ভালো বলেছেন; ঢাকাকে ডি সেন্টরালাইজ করা। কিন্তু বেকুবের কথা কে শোনে। :)

রাজধানী স্থানান্তরের কথাও চিন্তা করা যেতে পারে। কথাটা যদিও কিছুটা বেকুবের মত বলে ফেললাম। :)

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,



বেকুব তো, কখন কি যে বলে ফেলি তার কি কোনও ঠিক আছে!!!!!! :((
দ্বিতীয় প্যারার বক্তব্যটিই মনে হয় সব খিচুড়ী মার্কা মেগাপ্রকল্পের জনক। শুনেছি, ঢাকা - গাজীপুর এক্সপ্রেসওয়ের নকশা ও পরিকল্পনাতে নাকি ভুল হয়েছে ! মানে আরও দীর্ঘসূত্রিতা এবং আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা প্রজেক্ট ব্যয় বেড়ে যাওয়া। এবং তাতে..............

অবস্থাদৃষ্টে বেকুব তো আমরা আমজনতাই!!
শুধু মাত্র রাজধানী স্থানান্তর এই কঠিন যানজট সহ নাগরিক সুবিধার যতো জট আছে তা কমাতে পারবে হয়তো ৫০ শতাংশ। মানুষকে যাতে কোনও কাজের জন্যে কোনও ধরনের রাজধানীতে আসতে না হয় তেমন টেকসই প্রকল্প হাতে নিতে হবে । আমার মনে হয় সে ক্ষেত্রে ঢাকাকে ডি-সেন্ট্রালাইজ করা যক্তিযুক্ত ও টেকসই। অর্থনৈতিক ও একাডেমিক রাজধানী ঢাকা থেকে সরিয়ে নিতেই হবে এবং সম্ভব মতো প্রশাসনিক রাজধানীকেও সরাতে হবে। মালয়েশিয়ার পূত্রজায়ার মতো আলাদা একটা রাজধানী করার দরকার নেই , জায়গাও নেই।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৪৯

সাজিদ! বলেছেন: ঢাকার বিশাল বড় বড় বিল্ডিং, ভাঙ্গা রাস্তা আর মাঠ ঘাট পার্ক ছাড়া অবস্থা দেখলে আমার খুব খারাপ লাগে। আমার জন্য লম্বা সময় থাকা কষ্টের হবে। অযথা এই প্রজেক্ট সেই প্রজেক্টে যেখানে সেখানে আর খরচ না করে প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ অবশ্যই সবচেয়ে বড় সমাধান বলে মনে হয়। আর একটা শক্তিশালী গনপরিবহন ব্যবস্থা লাগবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাজিদ!




শুধু আপনার কেন প্রতিটি মানুষেরই ঢাকাতে লম্বা সময় থাকা কষ্টের। যানজট, জনজট সহ নাগরিক সুবিধা যেমন গ্যাস-পানির সংকট এই কষ্টের জন্যে দায়ী।

সঠিক বলেছেন- যেখানে সেখানে আর খরচ না করে প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ অবশ্যই সবচেয়ে বড় সমাধান বলে মনে হয়।

এছাড়া এই এতোটুকু ঢাকাকে রক্ষা করা যাবেনা কিছুতেই।
২০২১ সালে বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরগুলোর যে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ), তাতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান নিচের দিক থেকে চার নম্বরে।
অবস্থা বুঝুন!

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:



ঢাকায় কোন এক পিক-আওয়ারে যেই পরিমাণ গাড়ী চলে, সেগুলোর মিলিত দৈর্ঘ কত, সব গাড়ী চলাচলের রাস্তার মিলিত দৈর্ঘ কত?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,




পোস্টের বক্তব্য সংক্রান্ত মন্তব্য না হলেও জবাব দিতে চেষ্টা করছি!
শুধুমাত্র ঢাকায় নিবন্ধিত সকল ধরনের গাড়ীর সংখ্যা বিআরটিএর হিসেবে ১৮ লাখ ১১ হাজার। সেতু ও সড়ক মন্ত্রীর ভাষ্য মতে ঢাকা মহানগরীতে ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৩০৪টি যানবাহন চলাচল করে প্রতিদিন। এর মধ্যে, ২১ হাজার ৬১৬টি বাস, মিনিবাস ৯ হাজার ৯শ' ৪টি, প্রাইভেটকার ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৩টি, মোটরসাইকেল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৭শ' ৪৬টি। এছাড়াও অন্যান্য যানবাহন রয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৫টি। এখন একটি পিক-আওয়ারে এই সব গাড়ীই রাস্তায় থাকে। দুএকটা কুমিল্লা-নোয়াখালি- বগুড়া- রংপুর গেলেও সেখান থেকেও দু'চারটা গাড়ী ঢাকায় ঢোকে! এখন একটি গাড়ীর দৈর্ঘ্য যদি গড়ে ধরি ১০ ফুট তবে ৮৫৩৩০৪X১০ফুট= ৮৫৩৩০৪০ ফুট = ২৬০০৮৭০মিটার = ২৬০০ কিলোমিটার প্রায়।
এবারে আপনিই বের করে নিন এই ২৬০০ কিলোমিটার গাড়ীর লাইনকে ধরাতে হলে কতো দৈর্ঘ্যের রাস্তার প্রয়োজন। :(

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৬

মিরোরডডল বলেছেন:




ঢাকাকে ডি-সেন্ট্রালাইজড করতে পারলেই কেল্লা ফতে।

দিজ ইজ দ্যা ওয়ান এন্ড অনলি ওয়ে ।
অনেক আগে আলী ভাইয়ের পোষ্টে বলেছিলাম ।
ডি-সেন্ট্রালাইজড না করা পর্যন্ত এর সলিউশন নেই ।
স্বপ্ন দেখি একদিন হবে কিন্তু সেটা কবে !!!!



১১ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,



ইয়েস, দিজ ইজ দ্যা ওয়ান এন্ড অনলি ওয়ে ।
খরচ ও সময় হবে হয়তো অনেক কিন্তু এর চেয়ে স্থায়ী অন্য আর কোনও উপায় নেই ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তোলার।
এর স্বপ্নই দেখতে হবে শুধু কারন পিয়ন থেকে শুরু করে একজন সরকারী পাবলিকও এই ব্যবস্থার পক্ষে থাকবেন না। এর বিরূদ্ধে হরতাল আর "বন্‌ধ"য়ে নেমে পড়বেন!

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:




জী এস, কিছুদিন আগে যে ঢাকা ঘুরে আসলাম, ইমারজেন্সি না হলে আমি দিনে বার হয়নি ।
আমি সবসময় রাতে বের হয়েছি , তাও লেইট করে শুধু ট্র্যাফিক এভয়েড করার জন্য ।
একজন ডক্টর দেখাতে হলেও আমি রাতের শেষ এপয়েন্টমেন্টটা নিতাম ।
মনে পড়ে রাতে দশটার পর যাই , কাজ শেষে মিড নাইটে ফিরি ।
আর আমার মা টেনশানে অস্থির হয়ে থাকে আমার জন্য ।
আহারে মাকে কতো জ্বালিয়ে আসছি, এখন খারাপ লাগছে :(




১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,



একবার দিনের বেলা ঢাকা ঘুরে আসলে পারতেন। তখন মনে হতো, ছেড়ে দে মা; কেঁদে বাঁচি!

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২০

শার্দূল ২২ বলেছেন: পুরো পোষ্ট পড়িনি তবে বিষয় বস্তু বুঝতে পেরেছি আর এই বিষয়ে আমার একটা ভাবনা ছিলো শেয়ার করেও তেমন লাভ নেই,তার পরও বলা। প্রথমত ঢাকা শহরে প্রয়জনের অতিরিক্ত মানুষ। এখন আমাদের উচিৎ অফিস বিদ্যালয় এবং সরকারি বেসরকারি সব কিছুর সময় পরিবর্তণ করা।স্কুল সময় আর কোনো অফিস আদালত খোলা সময় হতে পারবেনা, আর সরকারি অফিস খোলার সময়ে কোনো বেসরকারি অফিস খুলতে পারবেনা। আমার মনে রাস্তাঘাট সম্পুর্ন ঠিক হয়ে যাওয়া পর্যন্ত কিছুটা পরিবর্তন আনার উচিৎ। হোক ব্যতিক্রম কিছু।

আজব বিষয় হলো দেশে বেগুনের দাম বাড়লে সংসদে আলোচনা উঠে ,সহজ হিসেব সারা বছর এই পরিমান বেগুন খাওয়া হয়না যা রমজানে হয়,বেগুন পচনশীল তাই ধানের মত একে সংগ্রহ করা সম্ভব না।দাম বাড়লে ওটা বাদ দিয়ে অন্যটা খান। সারাদিন খালি পেটে ইফতারে ভাজা পোড়া খাওয়া মানে যে কতটা অস্বাস্থ্যকর যারা এইটুকু বুঝেনা তাদের উপদেশ দিয়ে কি লাভ। এই দেশে এই ফন্দিবাজ রাজনৈতিক নেতা আর সমর্থকদের কোন নিয়মেই আনা সম্ভব নয়।

ভাগ্য ভালো খেজুরের দাম বাড়েনা ,এই জিনিশের দাম বাড়লে বাংলাদেশ কারবালার ময়দান হয়ে যাবে, আমরা এই দেশে বসে খবর শুনবো নতুন দলের নাম- হেফাজতে খেজুর।

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শার্দূল ২২,




আমার ব্লগে স্বাগতম! মনে হলো, পুরো পোস্টটি ঠিকমতো পড়েন নি!

ঢাকা শহরের অতিরিক্ত মানুষ , অফিস - আদালত - স্কুল - কলেজ চলার একই সময় ইত্যাদি কখনই ঢাকাকে ধীরে ধীরে গলা টিপে মারার মূল কারন নয়। এর পেছনে আছে হাযারো কারন। সব কারন মিলিয়ে যেটা হচ্ছে তার মোদ্দা ফল হলো, কোনও একটি ছোটখাটো কাজের জন্যেও মানুষকে ঢাকায় ছুটে আসতে বাধ্য করা, সকল ধরনের জীবিকার প্রয়োজনে বস্তিতে হলেও মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেয়া, সংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল নাগরিক সেবা সমূহের ক্রাইসিস বাড়িয়ে তোলা ইত্যাদি। যার যোগফল আজকের ঢাকা ।
আর এসব অরাজকতা থেকে যে ফায়দা লোটা যায় তার জন্যে এই দেশে ফন্দিবাজ রাজনৈতিক নেতা আর সমর্থকদের কোন নিয়মেই আনা সম্ভব হবেনা। ।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কয়দিন পর কইবো বিল্ডিং এর উপর দিয়া নৌপথ বানাইতে হইবো, আমি কিন্তু আশ্চর্য হমু না।
আসল কথা হইলো রোগী যদি সুস্থ হইয়া যায় তাহলে কিন্তু সম্যসা আছে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেঁয়ো ভূত,




অসম্ভব কিছু নয়! মুখে বলতে তো ট্যাক্স লাগেনা ! আর মহারথীরা তো একটা চাইলে দুইটা থিওরী ফ্রি দেয়!!!!!! :P

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: গাড়ি নিয়ে কেবল ছুটির দিনে বের হবেন । আর বের হলে বিপদে পড়বেন । নিজে তো গাড়ি চালানোই যাবে না । সাথে সব সময় ড্রাইভার নিয়ে বের হতে হবে । ড্রাইভার না থাকলে আজই নিয়োগ দিন । সেই নিয়োগের জন্য সামুতে একটা বিজ্ঞাপনও দিয়ে দিতে পারেন ।

ঢাকা বর্তমানে একটা ফেইলড সিটি । যারা এখানে থাকে প্রতিদিন তারা এটা টের পায় হাড়ে হাড়ে । অসভ্য বিশেষ বসে অনেকেই ঢাকাকে সিঙ্গাপুর সুইজারল্যান্ড ভেবে ভুল করে বসে !

আরেকটা কাজ চালানোর মত বুদ্ধি চচ্ছে একটা মোটরসাইকেল কিংবা সাইকেল কিনে নিন । ঢাকার রাস্তায় চলাচলের জন্য আপাতত এর থেকে ভাল পথ আর নেই । তবে দিন দিন যেভাবে মানুষ আর গারির সংখ্যা বাড়ছে তাতে কদিন পরে সাইকেল নিয়েও বের হওয়ার উপায় থাকবে না !

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু তানভীর,



হা...হা...হা... সুন্দর সুন্দর গল্প শুধু লিখলেই হবেনা। সাথে জীবনের বাস্তবতাও থাকতে হবে। যেমন একজন রিটায়ার্ড লোক ব্যাংক লোন আর বউয়ের সোনার অলঙ্কার বিক্রি করে একসময় একটা গাড়ী কিনেছিলো। এখন তার আয় নেই। অথচ বিভিন্ন সামাজিক ও জীবনধারনের ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই তাকে পরিবারের দিকে চেয়ে গাড়ীখানা পালতেই হচ্ছে। এখন যদি ঢাকার সহস্র প্যাঁচে পড়ে যাওয়া যানজটের কারনে আবার একজন ড্রাইভার রাখতে হয় তবে এই সংসারের গল্পটি কেমন হবে ? এমন গল্পের লোকটিকে ড্রাইভারের জন্যে বিজ্ঞাপনের পয়সাটাই বা যুগিয়ে দেবে কে ? এটা নিয়েও একটা রম্য বা বিষাদময় গোছের গল্প হতে পারে, না কি ? ;)

আগামী দিনে কোনও ধরনের যানবাহনেই কাজ হবেনা। এক মিটারও সামনে এগুতে পারবেন না। শেষ ও একমাত্র ভরসা "11" নম্বর বাস। মানে নিজের দু'খানা পা। ঈশ্বর প্রদত্ত। খরচই নেই, কোনও যানজটই তাকে আটকে রাখতে পারবেনা! B-))
এখন থেকেই পায়ে আমরা তেল মেখে রাখতে শুরু করি, সামনের দিনে লাগবে.................... :((

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ঢাকার অবস্থা বিপদজনক হারে আরোও বড় ধরনের বিপদ ও হুমকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম দেশে এসে সঙ্গত কারণে সেন্ট্রাল ঢাকায় যেতে হয়েছে প্রায় প্রতিদিন। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন আমিও আপনার মতো ভূক্তভোগী।

কিছু করার নেই। তবে পুরো রাজধানী ঢাকাকে এভাবে বস্তি বানানোর সুফল/কুফল সমগ্র দেশবাসী পাবেন।


১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,



ভুক্তভোগী শুধু আমি আপনিই নন, ভুক্তভোগী ঢাকার সব পাবলিক!
এ যন্ত্রনা দিন দিন বাড়ছেই। মহারথীরা তো ভিআইপি প্রোটেকশান নিয়ে, মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রাস্তায় চলেন। তারা দেখেন যে তেলের মতো গাড়ী যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে, এমনকি উল্টো পথেও। তাদের আর কি!!!!! ভুগুক আম জনতা।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি এখন গাড়ি বাসে পারত পক্ষে উঠি না। হাতে সময় নিয়ে বের হই। হাঁটতে থাকি। হাটতেই থাকি। জ্যামে বসে থাকার চেয়ে চলমান থাকা ভালো।

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,



গুড জব!
হাটা স্বাস্থ্যের জন্যেও ভালো।

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫১

শার্দূল ২২ বলেছেন: জি এস ভাই আপনার পুরো পোষ্ট পড়লাম,আপনি দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান নিয়ে বলেছেন । আমি সেটা পড়িনি আমিও সবার মত সাময়িক সমাধান নিয়েই উপরে মন্তব্য করেছি।

দীর্ঘ মেয়াদি হলে যা বলছেন শুধু তা নয়। ঢাকা শহরকে আরো অনেক গুলো বিষয় কুসকে ফেলেছে, তার মধ্যে একটা হলো ক্যন্টনম্যান্ট। যা মানুষের বুকের মধ্যে খানে বসে আছে।পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ হলো আজব দেশ যেখানে সামরিক বাহীনি বাস করে জনমানুষের মধ্যখানে। ভাবটা যেন এমন আমরা সাধারণ মানুষ সেনাদের পাহাড়া দিচ্ছি ওদের জান মাল রক্ষার্থে। এমন অনেক বিড়াল আছেন যাদের গলায় আপনি আমি সরকার হাসিনা খালেদা ফখরুলের পক্ষে ঘন্টা বাঁধতে পারবেনা, কারন ভোট ক্ষমতা।

আমরা শিক্ষিত না, আমরা এমক্সসিলিন বুঝিনা আমরা ওমোপ্রাজল বুঝিনা, আমরা পানি পড়া দিয়ে বেঁছে থাকি, এই পানি পড়া আসে একটা বিশেষ যায়গা থেকে।

আরো টপিক নিয়ে বলবো কাদের কে ঢাকা থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করলেই সমস্যা সমাধান। তবে এখন বাঁচতে হবে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শার্দূল ২২,



ব্লগের প্রথম পাতার অধিকাংশ পোস্টগুলোর বিষয়বস্তু দেখে আর ব্লগে ঢুকতে ইচ্ছে করেনা বলে এই মন্তব্যটির জবাব দিতে দেরী হলো।দুঃখিত।
দ্বিতীয়বার আসার জন্যে ধন্যবাদ। এমন কথাটি ঠিকই বলেছেন যে, পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ হলো আজব দেশ যেখানে সামরিক বাহিনী বাস করে জনমানুষের মধ্যখানে। শহরে স্থান সংকুলান এবং সম্প্রসারন না হওয়ার এটাও একটা কারন।
ঢাকা-ই শুধু নয় অনেক বড় বড় শহরের অবস্থাও একই রকম, যানজট আর জনজট! এমন আরো বিষয় নিয়ে বলুন যা যানজটের কারন, তাতে একটা সমাধান বেরিয়ে এলেও আসতে পারে।
আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত।

শুভেচ্ছা নববর্ষের।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি বেকার মানুষ বাইরে কোথাও খুব একটা যাওয়ার প্রয়োজন পরে না। পরলেও চেষ্টা করি সেটা অন্যের ঘারে চাপিয়ে দিতে। কারণ ঐ একটাই।

সুপারিশ করছেন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-অফিসের সময়সূচি পরিবর্তনের। ডিএনসিসির মেয়র তো আবার জোড়-বিজোড় সংখ্যার গাড়ী চলাচলের ফতোয়া দিয়েছেন।কেউ কেউ নদনদী–খাল দখলমুক্ত করে ওয়াটারওয়েজ চালুর কথা বলছেন
এরা সম্ভবতো নিয়ম করে কিছু জিনিস সেবন করে। নইলো এই সব যুগান্তকারি আইডিয়া পয়দা হয় কেমনে?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,




আপনি তো ঘুরে বেড়ানোর মানুষ। এই ঘুরতে গিয়ে একবারের জন্যেও মনে কি হয়নি -" কি বিচ্ছিরি! যাত্রাপথে এই হযবরল অবস্থা জানলে বেরুতো কোন শা.....য়!" ? তখনও কি সেটা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেন ? মনে হয়, না! আপনিও যানজট আর জনজটকে মনে মনে হলেও গালাগাল করতেন আর ভাবতেন কোনকালে এমন আজাব থেকে মুক্তি পাবেন!!!!!!
এরা সম্ভবতো নিয়ম করে কিছু জিনিস সেবন করে। নইলো এই সব যুগান্তকারি আইডিয়া পয়দা হয় কেমনে? ঠিক .......ঠিক ! এরাই হয়তো ঐ জিনিষেরও সাপ্লায়ার। নইলে হঠাৎ করেই তাদের পকেটে ফুটো পয়সা থেকে কোটি টাকা আসে কোত্থেকে ?

নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ওয়ার্ক ফ্রম রোড করা অতীব জরুরী হয়ে পড়ছে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,




ওয়ার্ক ফ্রম রোড না হয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম হলে আরও ভালো হয়!!
অফিস আদালতে যেতে যানজট নেই, নেই জনজট! তাইরে নাইরে না..........;)

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৫২

গরল বলেছেন: অফিস আদালত সরিয়ে দেওয়ায় কোন লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি সহ সব ধরেণের কল কারখানা আগে সরাতে হবে। তারপর ধরুন আপনি যদি কুমিল্লা থেকে, টাঙ্গাইল থেকে, মাণিকগঞ্জ থেকে ৪০ মিনিট বা ১ ঘন্টায় ট্রেনে করে এসে অফিস করতে পারেন তাহলে আপনার বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় থাকার কোন দরকার নাই। ডিসেন্ট্রালাইজেশন এর জন্যও দরকার উন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থা। আর উন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থা থাকলে সেন্ট্রাল আর ডিসেন্ট্রাল কোনো ব্যাপার না। গত বিশ বছরে ট্রেন যোগাযোগের কোন উন্নতিতো হয়ই নাই বড়ংচ আরো ধ্বংস হয়েছে। আর ট্রেন যোগাযোগ ভালো থাকলে ইপিজেড গুলো কুমিল্লা, টাঙ্গাইল বা মাণিকগঞ্জ হলেও কোন সমস্যা হত না। শহর নগর মানেই অফিস আদালট, ওগুলো যেখানে সরাবেন মানুষ আবার সেখানেই যাবে যদি যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো না হয়।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: গড়ল,



ভালো মন্তব্য।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা সবকালের, সবউন্নয়নের জন্যেই দরকার। কিন্তু ১৮ কোটি মানুষের সমস্ত কর্মকান্ড একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঘটতে দিলে যতো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাই করুন না কেন তা ফেল হতে বাধ্য। সব কাজের জন্যেই কোনও না কোনও কারনে ঘুরে ফিরে এই ১৮ কোটি মানুষের ১০ কোটিকেই হয়তো ঢাকাতে আসতে হয়। তাই এতোটুকু ঢাকার উপরে সে চাপটা কেমন পড়ে তা বলাই বাহুল্য। তাই ১৮ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সকল কাজের জন্যে কমপক্ষে আলাদা ১৮টি স্থান নির্ধারন করে এইসব চাপ কমানো ছাড়া গত্যন্তর নেই। অর্থাৎ ঢাকাকে ডিসেন্ট্রালাইজ করা ছাড়া উপায় নেই।

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:০৪

কালো যাদুকর বলেছেন: ডি সেন্ট্রালাইজেশন একটা অপসন। অন্য যে গুলো বলেছেন সে গুলোও লাগবে। সবই করতে হবে। তা না হলে মূল সমস্যার সমাধান হবে না।

ঢাকায় যেয়ে সবচে বেশী টাকা অপচয় হয় উবারে/কার রেন্টে। গ্রামের দিকে পরিবহন খরচ অনেক কম। এবং গ্রামের বায়ু দুষন অনেক কম। তবু মানুষ গ্রামে থাকতে চায় না। আমি সুযোগ পেলে গ্রামে পাকাপাকি ভাবে চলে যেতাম।


১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কালো যাদুকর,



ডি সেন্ট্রালাইজেশন শুধু "একটি" অপসন নয়, "প্রধান" অপসন!
১৮ কোটি মানুষের সমস্ত কর্মকান্ড একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঘটতে দিলে যা ঘটার তাই-ই ঘটছে। সব কাজের জন্যেই কোনও না কোনও কারনে ঘুরে ফিরে এই ১৮ কোটি মানুষের ১০ কোটিকেই হয়তো ঢাকাতে আসতে হয়। তাই এতোটুকু ঢাকার উপরে সে চাপটা কেমন পড়ে তা বলাই বাহুল্য। তাই ১৮ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সকল কাজের জন্যে কমপক্ষে আলাদা ১৮টি স্থান নির্ধারন করে এইসব চাপ কমানো ছাড়া গত্যন্তর নেই। অর্থাৎ ঢাকাকে ডিসেন্ট্রালাইজ করা ছাড়া উপায় নেই।

যতো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাই করুন না কেন, যতোই রাস্তাঘাট ঢেলে সাজান না কেন তা বিফল হতে বাধ্য।

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



যানবাহনের সংখ্যাসহ ঢাকা শহরের যানজট নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট ।
যানবাহনের সংখ্যার সাথে শহরের রাস্তার পরিমান সম্পর্কিত ।
যানজটের জন্য ‘খ্যাত’ রাজধানী শহর ঢাকায় রাস্তা কতো কিলোমিটার। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে
দুই সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে আংশিক উত্তর পাওয়া যায়। ডিএসসিসির
ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ওই করপোরেশন এলাকায় ৯৯৩ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার রাস্তা
রয়েছে। তবে ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে এমন কোনো তথ্য মেলেনি। ধারণা, সেখানেও
রাস্তার পরিমান কম/ বেশী প্রায় একই রকম হতে পারে ।

ঢাকা মহানগরীতে রাস্তার পরিমাণ যাই থাকুক, যানজট নিত্যসঙ্গী। রাস্তার পরিমাণ বা হার
বেশি থাকলে কি ঢাকার যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে– এমন প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়
রাস্তা বাড়ানো খুব বেশি জরুরি নয়। কারণ হংকং ও সিঙ্গাপুরে আমাদের সমান বা
আমাদের চেয়ে কম রাস্তা আছে। কিন্তু তাদের যানজট নেই।

তাই মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন রাস্তা তৈরী না করে বরং যে রাস্তা আছে,
সেটা দিয়েই কিভাবে চলবো আমরা সেই পরিকল্পনা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আর চাইলেও ঢাকা শহরে নতুন রাস্তা বাড়ানো যাবে না ,যেটা বাড়ানো যাবে সেটা
হলো পরিকল্পিত পরিবহন ব্যবস্থা এবং উন্নত মানের অপারেশন ও ম্যানেজমেন্ট । এদিকে
নজর দেয়া উচিত। ঢাকার যানজট নিয়ন্ত্রণে এই মুহূর্তে সরকারের যে নগর পরিবহন কর্তৃপক্ষ
আছে, সেটার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাদের তত্ত্বাবধানে সরকারি নিয়ন্ত্রণে উন্নত বাস পরিবহন
ব্যবস্থা চালু করতে হবে । এটা মোটামুটিভাবে অল্প সময়ে ও অল্প টাকায় সম্ভব। বিশৃঙ্খল ও
নিম্নমানের যে বাস সেবা আছে, এগুলোকে ফেলে দিয়ে সরকারি অর্থায়নে মানসম্মত পরিকল্পিত
বাস সেবা নিশ্চিত করতে পারে। এটা করলে ঢাকার যানজট কমবে। এটা অল্প টাকায় এক বছরের
মধ্যেই সরকার চাইলে বাস্তবায়ন করতে পারে বলে বিশ্বাস ।
ঢাকাকে ডি-সেন্ট্রালাইজড করতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়, তবে এই সম্ভাবনা খুবই প্রলম্বিত
হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী ।
মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,




মন্তব্যে যানজট নিরসনে সমাধানের কিছু গঠনমূলক প্রস্তাবনা দেয়ায় ধন্যবাদ। সমগ্র সিঙ্গাপুর দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ৬০ লাখের কাছাকাছি, হংকংয়ের ৭৫ লাখ। তাদের অবস্থা আর আমাদের অবস্থা এক রকম হবার কথা নয়।

আর ঢাকা শহরটিতেই থাকে দুই কোটির মতো লোক আর কাজের জন্যে বাইরে থেকে আসে রোজ প্রায় ৪০/৫০ লাখ । তাই মাত্র ৩০৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঢাকা শহরে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাস করে ২৩ হাজার লোক। এরা সবাই আসে কাজের খোঁজে, বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে, আদালতে। এতো অল্প পরিসরে দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় সমূহ, শিল্প-কারখানা, স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়, সামরিক বাহিনীর সকল সদর দপ্তর ইত্যাদি থাকার কারনে একটি জট সব সময়েই লেগে থাকা অবশ্যম্ভাবী। সকল জটের একটি বড় জট হলো - যানজট।
এই যানজটের কারণে ঢাকায় অপচয় ঘটছে দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টার , যার আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।
‘দ্য ফিউচার প্ল্যানিং অব আরবান ট্রান্সপোর্টেশন ইন ঢাকা’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে এমনটাই।

ঢাকার যান ও জনজট কমানোর একমাত্র উপায় - ডিসেন্ট্রালাইজেশান।
সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ঢাকা থেকে সরিয়ে প্রতিষ্ঠানভেদে বিভাগীয় শহরে ভাগ করে দেওয়া। সরিয়ে দেয়া মন্ত্রনালয়গুলোকেও। শিল্প- কারখানাগুলোর ধরন বুঝে ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে সরিয়ে নেয়া । এতে একদিকে যেমন ঢাকামুখী লোকের ঢল কমানো যাবে, অন্যদিকে এলাকা ভিত্তিক স্থানীয় লোকজনের ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। ঐ জায়গাগুলো আধুনিকও হয়ে উঠবে। সমস্ত দেশটাই হয়ে উঠবে কর্মচঞ্চল।

এখন বলবেন, এতো এতো টাকা লাগবে , লাগবে দীর্ঘ সময়। টাকা বাংলাদেশের জন্যে তেমন সমস্যা নয়। আমরা পদ্মাসেতু নিজেদের টাকায় করেছি না ? এখন খরচ করলে সেটাও উঠে আসবে যানজটের কারনে বছরে যে ৩৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হতো তার থেকে।
আর সময় ? রাস্তা-ঘাট- ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মানে ব্যয়িত বছরের পর বছরগুলোতে যখন ধৈর্য্য নিয়ে আমরা থাকতে পেরেছি এখনও না হয় আরও দশটা বছর থাকলুম। ক্ষতি কি!

১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ঢাকা নিশ্চই অভিশপ্ত হবার জন্য রেডি হচ্ছে, বাঙালী ছাড়াও বিশ্বের সেরা নগরবিদ আনলেও কাজ হবে কিনা সন্দেহ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্য সারমর্ম,




ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ), ২০২১ সালে বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরগুলোর যে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান নিচের দিক থেকে চার নম্বরে।
এর অর্থ, ঢাকা অভিশপ্ত হবার জন্য রেডি হচ্ছেনা ; অলরেডী অভিশপ্ত হয়ে আছে!

১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জুন বলেছেন: ঢাকার রাস্তাগুলো দেখলে মনে হয় সাত মাত্রার এক ভুমিকম্পে বিদ্ধস্ত অবস্থা। দুদিন আগে বিশ্ব রোড দিয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক হয়ে এমেরিকান এম্বেসীর সামনে দিয়ে শাহজাদপুর বলে এক জায়গায় গিয়েছিলাম। যেতে আসতেই ভরা ট্যাংকি খালি। উন্নয়ন এর জোয়ারে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেই। এই রাস্তা ঢালাই তো পাশেই রাস্তা খোড়ার মেশিন। ঢালাই কমপ্লিট হলেই তারা পুর্নদ্যমে আবার খোড়া শুরু করবে। আপনি বেকুব বলেই এসব নিয়ে ভাবেন। যারা সংশ্লিষ্ট তারা গর্বে গর্বিত হয়ে ভাবছে দেশ এখন সিংগাপুর।
বেকুব কথন ভালো লাগলো সাথে ভালোলাগাও রইলো।
+

১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




ঢাকার রাস্তাগুলো দেখলে মনে হয় সাত মাত্রার এক ভুমিকম্পে বিদ্ধস্ত অবস্থা।
আর আমার তো মনে হয় মঙ্গল গ্রহের মতো, "নাসা"র ছবিতে যেমনটা দেখা যায় তেমন!

এই রাস্তা ঢালাই তো পাশেই রাস্তা খোড়ার মেশিন।
এরকম না হলে আমাদের পরিকল্পনাবিদ আমলা- ইঞ্জিনিয়র- সুপারভাইজার- কন্ট্রাক্টর- চাঁদাবাজরা কি খেয়ে বাঁচবে? যন্তর-মন্তরের ঘটাং ঘটাং শব্দ না হলে জনগণও বা কিভাবে বুঝবে উন্নয়ন চলছে ? একই রাস্তা দশটি সেবা দানকারী ডিপার্টমেন্ট যদি দশবার খোঁড়াখুঁড়িই না করে তবে পকেটে বছর জুড়ে সবার টাকার জোগান আসবে কোত্থেকে ? আপনি দেবেন না আমি দেবো ? আর একটি ডিপার্টমেন্ট একারা-ই ফায়দা খাবে কেন ? সবাই মিলে খাওয়াই তো "সম-বন্ঠন" , মানে স্যোসালিজম কায়েম হওয়া।

আপনি বেকুব বলেই এসব নিয়ে ভাবেন। যারা সংশ্লিষ্ট তারা গর্বে গর্বিত হয়ে ভাবছে দেশ এখন সিংগাপুর।
বেকুব বলেই তো ভাবি! কখন দেশটার কেয়ামতের সিংগা কে না কে ফুঁকে দেয়! অ-বেকুব হলে তো বগল বাজাতাম.............

১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সময়োপযোগী, তথ্য সমৃদ্ধ এবং চিন্তাশীল পোস্ট । সাথে আলী ভাই, জুন আপা, গড়ল এবং অন্যদের মন্তব্য লেখাটাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত যে ডি-সেন্ট্রালাইজেশন ঢাকার জানজটের সবচেয়ে কার্যকরি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা। কিন্তু মুশকিল হলো ঢাকাকে ডি-সেন্ট্রালাইজেশন করার জন্য অন্য বিভাগীয় এবং জেলা শহর গুলোকে সেন্ট্রালাইজ কারার মত সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যেটা দীর্ঘ সময়ের অনেক মেধা আর পরিশ্রমের কাজ। আমাদের পক্ষে কি সম্ভব হবে প্রশাসনিক রাজধানীকে বানিজ্যিক বা অর্থনৈতিক রাজধানী থেকে ভিন্ন করার? আবার আদৌ কি ঢাকা থেকে ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। তো, আমার মনে হয় অনেক গুলো সম্ভবনা যাচাইয়ের ব্যাপার আছে এর সাথে জড়িয়ে।

আর, ঢাকাকে ডি-সেন্ট্রালাইজেশন করার মতো খুব দীর্ধমেয়াদের প্রকল্প বাস্তবায়নের সদিচ্ছা বা যোগ্যতা এই সরকারের আছে বলে আমার মনে হয়না। ফাপা বুলি আওড়ানো সহজ, কয়েক হাজার কোটি টাকা নষ্ট করে বিদেশী কোম্পানী দিয়ে মহাকাশে উপগ্রহ পাঠানোও কঠিন কিছু নয়, কিন্তু ঢাকাকে বসবাসযোগ্য করা বোধহয় একটু কঠিন কাজ ...।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শ্রাবণধারা,




একমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছাই ঢাকাকে ডি-সেন্ট্রালাইজড করতে পারে। টাকা আর সময়ের কথা বলে এটাকে উড়িয়ে দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা। আমরা পদ্মাসেতু নিজেদের টাকায় করেছি না? মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি না ? তবে এটা পারবোনা কেন ? সদিচ্ছা এবং দুরদৃষ্টি থাকলে এর বাস্তবায়নও কোনও কঠিন কিছু নয়।

২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:১৫

দোয়েল২ বলেছেন: আট দশ বছর আগে একখানা ব্যাবসায়িক আইডিয়া নিয়ে সচিবালয়ে কিছুদিন ঘোরাঘোরি করেছিলাম।

পেট্রোল পাম্প গুলোতে প্রায় সময়ই অনেক ভিড় লেগে থাকে। কোন কোন পাম্পে তেল নিতে ১০-১৫ মিনিটে লেগে যায়।
আবার রাস্তাতেও জ্যামে আটক থাকা লাগে।
সময়টা অযথা নষ্ট না করে প্রস্তাব করেছিলাম কিছু ভ্রাম্যমান তেলের গাড়ি থাকবে, রাস্তায় জাম লেগে গেলে ঐ সময়ে কেউ তেল কিনতে চাইলে পাম্পের বদলে ঐ ভ্রাম্যমান গারি থেকে কিনতে পারবে।

পেট্রলিয়াম দাহ্য বলে এটার অনুমতি পাইনি।

ভ্রাম্যমান গ্যারেজ করা যেতে পারে। জামের সময়ে গাড়ির হাওয়া দেওয়া, ফিল্টার বদলানো, ব্রেক অয়েল বদলানো এসব কাজ করা যায়। জুতা কালি, চুল দারি কাটা, মেনিকিওর পেডিকিওর এসব করা যায়।

https://www.youtube.com/watch?v=39QsjeUH6UY&t=725s

এটা ১৯৮০র ঘুড্ডি সিনেমার লিংক।
শুরুর সিন কাকরাইল জাজেস কমপ্লেক্সের পাশের টিপটপ লন্ড্রির ।
৮ মিনিটের দিকে শেরাটন হোটেল এলাকার দৃশ্য।
একটা দৃশ্যে আছে নায়িকা ঘড়ির দিকে তকিয়ে বলছে পোনে তিনটা বাজে- তিনটার মধ্যে শ্যামলি পৌছাতে হবে (কাকরাইল থেকে)
সবগুলানই এখন আজগুবি মনে হয়।

যাহক , দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে সিকার করতে হবে। লক্ষ লক্ষ লোকের এখন গাড়ি আছে।
হাজার হাজার কোটিপতি

সামনে আরো বারবে। ঢাকার বাইরে উপজেলাতেও উন্নয়ন হবে এবং যানযট বারবে।
========================================================================
বর্তমান মেয়াদ শেষে আওয়ামী লীগ আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে দেশের গ্রামের দিকেও গাড়ির লাইন পড়ে যাবে এবং উপজেলা পর্যায়েও যানজট হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
(সুত্র: https://www.banglanews24.com/national/news/bd/922873.details)
=========================================================================

উন্নয়নের সমালচনা করিতে চাই না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: দোয়েল২ ,



নতুন উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করার মানসিকতা কারো নেই। অবশ্য পেট্রলিয়াম দাহ্য বলে যে অনুমতি পাননি, তা ঠিক আছে। কিন্তু উক্ত বিভাগ থেকে অন্য কোনও বিকল্প পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়াই হতো উত্তম যা তাদের দায়িত্ব।

"দেশের গ্রামের দিকেও গাড়ির লাইন পড়ে যাবে এবং উপজেলা পর্যায়েও যানজট হবে"

এ প্রসঙ্গে বলি -
ঢাকাকে ডিসেন্ট্রালাইজড করতে পারলে এখন ঢাকার সমস্যার কারনগুলোকে দেশের সবখানে ছড়িয়ে দেয়া যেত অথচ সেখানে সমস্যাগুলো মোটেও সমস্যা বলে মনে হতোনা। যেমন, ঢাকার গার্মেন্টস গুলোকে ২০/৩০ টা শহরে সরিয়ে দেয়া হলো, তখন কি সেখানেও ঢাকার মতো অবস্থা হতো ? বরং ঐসব এলাকার লোকজনদের আরও একটা কর্মসংস্থান হতো। বেকাররা একট কাজ খুঁজে পেতো। এভাবেই যদি সব কিছু সরানো হতো তবে "একের বোঝা , দশের লাঠি" হয়ে উঠতে পারতো।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।

২১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৪৭

জটিল ভাই বলেছেন:
কার্যালয়ের ফাইলগুলো হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করা যায় না? =p~

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জটিল ভাই,




এটা তো জটিলতম কাজ। ফাইলগুলো হোম ডেলিভারি দিতে হলে কতো গাড়ী যে রাস্তায় নেমে পড়বে !
তার চেয়ে সহজ হলো, ঘরে বসে অনলাইনে অফিসের কাজ করা । এতে সকল অফিসগামীরা ডিজিটালাইজেশানের আওতায় আসবেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ হবে। :P

২২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:১০

এমজেডএফ বলেছেন:
"সকল সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ঢাকা থেকে সরিয়ে দিন অন্য শহরগুলোতে। সচিবালয় সহ একেকটা মন্ত্রনালয় সরিয়ে দিন বিভাগীয় শহরগুলোতে।"

সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের কথা বাদ দিলাম, শুধু একটি প্রতিষ্ঠানও যদি ঢাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকার নেয়, তবে সেই প্রতিষ্ঠানের বড় কর্তা থেকে শুরু করে দারোয়ান পর্যন্ত সবাই এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়বে। তখন দেখা যাবে ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চলা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিরা হলো দেশের মা-বাপ! ওরা ঢাকা শহরে থাকবে নাতো আমাদের মতো কামলারা থাকবে!

উল্লেখ্য, অতীতের কোনো এক সামরিক সরকারের সময় এ ধরনের কিছু উদ্যেগ নেওয়া হয়েছিল। সেই সামরিক সরকার যখন লেবাস পরিবর্তন করে বেসামরিক সরকারের রূপ গ্রহণ করলো, সাথে সাথে সব আবার আগের জায়গায় ফিরে গিয়েছিল।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: এমজেডএফ,




ঠিক বলেছেন - শুধু একটি প্রতিষ্ঠানও যদি ঢাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকার নেয়, তবে সেই প্রতিষ্ঠানের বড় কর্তা থেকে শুরু করে দারোয়ান পর্যন্ত সবাই এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়বে।

আপনার সেই সামরিক সরকার, যেটা ছিলো এরশাদের সময়কাল। হ্যা .... তার আমলে এ ধরনের বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। প্রথমে শুরু করা হয়েছিলো সম্ভবত বিচার বিভাগ নিয়ে। রংপুর, যশোর, কুমিল্লা, বরিশাল, সিলেট এবং চট্টগ্রামে ৬টি হাইকোর্টের বেঞ্চ বিকেন্দ্রীকরণ করার ঘোষনা দেন এরশাদ। উচ্চ আদালতের বিচারের জন্য যাতে সারা দেশের মানুষকে ঢাকায় আসতে না হয় সেজন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু আইনজীবীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি এরশাদ সরকার। সেখানেই ডিসেন্ট্রালাইজেশানের পটল তোলা! আর উর্দ্দি বা লেবাস পরিবর্তন করলে তো অমলাদের হাতে রাখতেই হয় গদি টিকিয়ে রাখতে। নয়তো গনেশ উল্টে দেবেই আমলারা।

এখনও এরকমটাই ঘটতে পারে। কেউই ঢাকা ছেড়ে যেতে চাইবেন না। তবে বিভাগীয় শহরগুলি এবং যেখানে যেখানে অর্থনৈতিক ও একাডেমিক রাজধানী সরানো হবে সেখানে ঢাকার মতো সব সুযোগ সৃষ্টি করে দিলে (সেসব অটোমেটিক্যালিই চলে আসবে ডিসেন্ট্রালাইজেশান এর পরবর্তী চাহিদা অনুযায়ী । ) মনে হয় ডিসেন্ট্রালাইজেশান অসম্ভব নয়।

২৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার 'বেকুবীয় ভাবনা'গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টরা ভাবুক এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, এমনটিই চাই। কিন্তু তা যে হবার নয়! মূল কথা হলো একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার চাই, যে সরকারকে ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হবে এবং জনগণের কাছে তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে। সরকার গঠনে জনগণের ম্যান্ডেটের যদি প্রয়োজন না থাকে, তবে ক্ষমতাসীনরা এ নিয়ে ভাববেনই বা কেন? ওনারা তো পুলিশ প্রটোকল নিয়ে দিব্যি আরামে চলাফেরা করতে পারেন, ওনাদেরটা ছাড়া বাকি পথগুলোকে আটকে রেখে। কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য আর কারও চলাচলের জন্য যেন রাস্তা বন্ধ না করা হয়, এমন বিধান প্রণয়ন করে অত্যন্ত কঠোরভাবে তা প্রয়োগ করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানের পরামর্শক নিয়োগ করে সমস্যাটির বাস্তবোপযোগী সমাধান বের করতে হবে, যার মধ্যে অনেকগুলোই হয়তো এই 'মহাবেকুব জাতক কথন-দশ' এ পাওয়া যাবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
যানজট ও জনজট সমস্যাটির বাস্তবোপযোগী সমাধানে 'মহাবেকুব জাতক কথন-দশ' এ অনেকগুলি নয় মাত্র একটিই সমাধান দেয়া আছে- ডিসেন্ট্রালাইজেশান.... ডিসেন্ট্রালাইজেশান.... এবং ডিসেন্ট্রালাইজেশান।

এখন বলতে পারেন, এ জন্যে এতো এতো টাকা লাগবে , লাগবে দীর্ঘ সময়। টাকা বাংলাদেশের জন্যে তেমন সমস্যা নয়। আমরা পদ্মাসেতু নিজেদের টাকায় করেছি না ? মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি না ? এখন খরচ করলে সেটাও উঠে আসবে যানজটের কারনে বছরে যে ৩৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় তার থেকে।
আর সময় ? রাস্তা-ঘাট- ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মানে ব্যয়িত বছরের পর বছরগুলোতে যখন ধৈর্য্য নিয়ে আমরা থাকতে পেরেছি এখনও না হয় আরও দশটা বছর থাকলুম। ক্ষতি কি!

২৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১২

জ্যাকেল বলেছেন: বর্তমান মেয়াদ শেষে আওয়ামী লীগ আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে দেশের গ্রামের দিকেও গাড়ির লাইন পড়ে যাবে এবং উপজেলা পর্যায়েও যানজট হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

:-* ভয়ানক, সেদিন শ্রীমংগলে এক ঘন্টা জ্যাম লেগেছিল শুক্রবারে পর্যটকের ভিড়ে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জ্যাকেল,



মন্ত্রী মহোদয় যা বলেছেন তার ইঙ্গিত হলো, আরো ৫ বছরে যে উন্নয়নের জোয়ার বইবে তাতে গ্রামের লোকেরাও গাড়ীর মালিক হয়ে যাবেন তাতে গ্রামেও যানজট বাড়বে।
কিন্তু পেছনের আসল কারনটি বলেন নি যা এরকমের - ৫বছর ধরে চলা সেই জোয়ারের যন্ত্রনায় ঢাকা তো ডুববেই, ডুববে নারায়নগঞ্জ, টঙ্গী, সাভার সহ ঢাকার আশেপাশের এলাকাও। কিন্তু মানুষের কাজকাম তো আর বসে থাকবেনা। তাদের ঢাকাতে আসতেই হবে। কিন্তু তাদের গাড়ী-বাস-ট্রাক ঢুকবে কি করে ঢাকাতে ? তাই টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্য্যন্ত গাড়ীর লাইন তো পড়বেই পড়বে ... :( :(( :P

২৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:০০

সোহানী বলেছেন: ভাইরে বেকুব বলেই এতো কথা বলে যাই লিখে যাই। কিন্তু কে শোনে কার কথা।

ঢাকাকে ডি সেন্টরালাইজ করার কথা সে বাচ্চাকাল থেকে শুনে আসছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু কখনই হবে না। কারন এ জ্যামেতো শুধু আপনিই বসে থাকেন উনারা না। তাই উনাদের মাথা ব্যাথা নাই এ নিয়া.............

২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




বেকুবদের কথা কবে, কখন, কে শুনেছে ?
তবুও বেকুবের মতো কামানের লাইসেন্স চেয়ে দরখাস্ত দিয়ে রাখলুম, নিদেনপক্ষে একখানা পিস্তল যদি জোটে!!!!!!!!!!!!! :(

২৬| ০৩ রা মে, ২০২২ রাত ১০:৩৫

বিজন রয় বলেছেন: এই বেকুবের কথা মনে আছে কি?

ঈদ মোবারক।

০৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয়,




খুব দেরী করে ফেলেছি, অনেক দিন পরে হঠাৎ দেখা দেয়া এক সহ-ব্লগারের এই ছোট্ট মন্তব্যটির প্রতিউত্তর করতে! ক্ষমাপ্রার্থী।
দেশের জনগণই যখন সব আমার মতো বেকুব তখন আপনার মতো ডুব দেয়া একজন বেকুবের কথা মনে থাকবেনা কেন ?
তা এ্যাদ্দিন কোন বিজন ঘরে লুকিয়ে ছিলেন ?

নিয়মিত থাকুন এখানে। পুরোনো ব্লগারদের দেখলে ভালো লাগে।

২৭| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজ সরকারী বন্ধ।

বেশ আয়েশী ভঙ্গিতেই দেরী করে বের হলাম্। মিরপুর থেকে মতিঝিল।
বাসস্ট্যান্ডে আরো খানিক আয়েশ করে উঠলাম। একটু চোখ লেগেছে কি লাগেনি
দেখি চলে এসেছি! সাকুল্যে ১৮ মিনিট ! জ্বি, মাত্র আঠারো মিনিটে পৌছে গেছি গন্তব্যে!

কত্ত ছোট্ট ঢাকা। চারদিকেই বোধকরি ২০-৩০ মিনিটের বেশি ড্রাইভ দেবার মতো জায়গা নেই।
অথচ এটাই অচল হয়ে পড়বে কাল! একই পথ পারি দিতে লাগবে দেড় তেকে ২ ঘন্টা!

চার রাস্তার মোড় গুলোকে ৬৯ করে পাসওভার করে দিলেও গতি আসতো। এই বিষয়ে বেশ
আটঘাট বেঁধে গিয়েছিলাম উঁনার বাসা পর্যন্ত! খুবই স্বল্প ব্যায়ে মাত্র দুটো পিলার খরচ।
কেউ কারো জন্য থামতে হবে না। কিন্তু এগুলোতো কার্যকর প্রকল্প। কমিশনের জায়গা কম!
ফলে এগুলো দেখারও বুঝি সময় নাই!

মাথামোটা মেট্রোতে চর্বিযুক্ত কমিশন, আবার সাবওয়ের কথা বলছে- তাতেও তো খালি মাখন আর মাখন!
দেশের কি হলো? জনতার কি হবে? এসব ভাবার সময় কই।
একগাদা টাকা রেখে ঠুস করে মরে যাবে! এজমালি এতিম টাকা বেওয়ারিশ পড়ে থাকবে কোন ভল্টে!

হায়! ক্ষমতা! হায় নেতা!

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,




দেখে ভালো লাগছে।
আজ হয়তো ঢাকাবাসীরা আপনার মতোই ভাগ্যবান কিন্তু কাল যে রাস্তায় গিট্টু লাগবে তা ছাড়াতেই ২/৩ ঘন্টা লেগে যাবে।

"কমিশন" এর কথা বললেন! দেশটাকে খেয়েছে এই কমিশনেই।
রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই তবে এই গিট্টু ছাড়ানো মোটেই অসম্ভব নয়।
পত্রিকায় দেখলুম, তিন হাযার কোটি টাকার স্যাটেলাইট থেকে গত ৪ বছরের ৩ বছরেই নাকি কোনই আয় হয়নি। এরকম প্রকল্পের সদিচ্ছা থাকলে এই জটের শহরকে মুক্ত করা - দিল্লী হনুজ দূর অস্ত........

আয়েশ ছেড়ে কালকের জন্যে পথচলায় রেডী হয়ে যান! :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.