নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাথরে ফুটে থাকা কবিতারা.....

১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৪৯



১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের এক রবিবার। দক্ষিন ফ্রান্সের আর্দেশ (Ardèche) নদীর বাম তীরের লাইমষ্টোন পাহাড়ের খাড়াই ধরে ধরে জীন মেরি শ্যোভে যখন দুই বন্ধুকে নিয়ে কিছু একটা পাবার আশায় খোঁজাখুজি করছিলেন তখন একটি ফাটল থেকে বেরিয়ে আসা মৃদুমন্দ হাওয়া তাদের প্রান জুড়িয়ে দিয়ে গেলো। অনুসরণ করা হলো হাওয়ার পথ, হাতুরী -ছেনী দিয়ে স্টালাকাইট পাথর কেটে কেটে। যদি একটা গুহা মতোন কিছু খুঁজে পাওয়া যায়, যে জন্যে তাদের এখানে আসা। পাওয়াও গেলো, সময় যেখানে থেমে গেছে তেমন একটা গুহা।
বহু শাখা-প্রশাখা বেরিয়েছে গুহাটি থেকে। প্রথমে গুহার পথ ধরে যেতে যেতে দেয়ালে লাল গেরুয়া রংয়ের দু’একটা ছোপছাপ দেখে যতোটা না অবাক হলেন তারও চেয়ে বেশি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন ভেতরে ঢুকে। সামনের দেয়ালে গেরুয়া রংয়ে আঁকা একটা প্রাগৈতিহাসিক ম্যামথ যেন পথ আগলে দাঁড়িয়েছে তাদের। বৈচিত্রময় শত শত চিত্র আর খোদাই রয়েছে গুহাটির সারা দেয়াল জুড়ে। পরে জানা গেলো, ওসব চিত্র আর খোদাই সবই হাযার হাযার বছর আগের - প্রাগৈতিহাসিক ।

জীন মেরি শ্যোভের নামটিও সেই সাথে খোদিত হয়ে গেলো গুহাটির সাথে।

চিত্র - ১) মূল শ্যোভে গুহার পাশেই শ্যোভের রেপ্লিকা কমপ্লেক্স - কেভার্ন ডু পন্ট ডি'আর্ক। বছরের পর বছর হাযার হাযার দর্শনার্থীদের পদচারনা আর শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে পেলিওলিথিক যুগের গুহাচিত্রগুলিকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অবিকল ভাবে তৈরী করা হয়েছে এটাকে। এমনকি শিল্পী আর প্রকৌশলীরা বিশ্বস্ততার সাথে শুধুমাত্র এর চকচকে নান্দনিক শিল্পকর্মই নয়, বরং মূল গুহার তাপমাত্রা, স্যাঁতস্যাঁতে ভাব এবং গুহার প্রাগৈতিহাসিক গন্ধও পুনরায় সৃজন করেছেন এখানে।

তাহলে শ্যোভে গুহার ঐসব চিত্র কি গুহামানবের প্রথম আঁকা ছবি!

ইতিহাস বলে, না! খ্রিষ্টপূর্ব ২ লক্ষ বছর আগে যখন সভ্য মানুষের উদয় হয়েছিলে আফ্রিকার সাব-সাহারান (sub-Saharan) এলাকায় তারও ১ লক্ষ ৩০ হাযার বছর পরে অর্থাৎ খ্রিষ্টপূর্ব ৭০ হাযার বছর আগেই দক্ষিন আফ্রিকার কেপটাউনের ৩০০ কিলোমিটার পূবের বর্তমানের “ব্লমবোস( Blombos ) প্রাইভেট নেচার রিজার্ভ” এলাকার গুহায় আদিম সভ্য মানুষ রেখে গেছে তার প্রথম শিল্পী মনের স্বাক্ষর, যখন “অক্ষর” কি জানতোনা সে, জানতোনা লিখতে হয় কি করে!

চিত্র - ২) ব্লমবোস গুহায় মধ্য পেলিওলিথিক যুগে (৭০,০০০বছর) পাথরে খোদিত জ্যামিতিক বিমূর্ত চিহ্ণ। জাফরির কারূকাজ?

চিত্র - ৩) ব্লমবোস গুহায় সামুদ্রিক শামুকের খোল কেটে কেটে বানানো গুটিকা। কার জন্যে মালা গাঁথার আয়োজন চলছিলো সেদিন খ্রীষ্টপূর্ব ৭৫,০০০ সালে ?

আসলে আর্কিওলোজিষ্ট আর পেলিওএ্যানথ্রোপলোজিষ্টদেরও জানা নেই ঠিক কোথায়, কখন আধুনিক মানুষেরা শিল্প সৃষ্টির প্রথম সূচনাটি করেছিলেন! কেনই বা করেছিলেন!
এই সব শিল্পকর্মগুলি মূলত জন্তু-জানোয়ারদের নিয়েই চিত্রিত হলেও মাঝে মাঝেই সেখানে মানুষের আকৃতিও দেখা গেছে। দেখা গেছে মানুষের হাতের ছাপ, অর্থবিহীন বিভিন্ন ধরনের প্রতীক কিম্বা কোন কিছুর খোদাই। এসবের অর্থ আর্কিওলোজিষ্ট আর পেলিওএ্যানথ্রোপলোজিষ্টদের কাছে অধরাই থেকে গেছে। এই শিল্পকর্মগুলি তাদের কাছে কম বোধগম্য হলেও প্রাগৈতিহাসিক এইসব গুহাচিত্রকেই পৃথিবীর প্রথম সৃষ্ট চিত্র বলেই তারা ধরে নিয়েছেন।

চিত্র-৪) ফ্রান্সের শ্যোভে গুহায় ৩৬,০০০বছর আগের আঁকা চিত্রকর্ম।

কেন এসব শিল্পকর্মের অর্থ বা উদ্দেশ্য আর্কিওলোজিষ্ট এবং শিল্প ইতিহাসবিদদের কাছে অধরা বা তারা কেন এসব ঠিকঠাক বুঝতে পারছেন না ?
প্রাগৈতিহাসিক,কালের এইসব নিরক্ষর সমাজের লিখিত কোনও দলিল না থাকা, সে সময়কালের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ অজানা থাকা , তুলনা করার মতো অন্যান্য শিল্প নিদর্শনের অপ্রতুলতা বা দুষ্প্রাপ্যতাই এমন না বোঝার কারন হয়ে থাকবে।
তবুও ধরে নেয়া যায়, যেহেতু আদিম মানুষকে হিংস্র প্রানীদের হাত থেকে নিজেকে যেমন রক্ষা করতে হতো তেমনি আবার বল-বীর্য্যের পরিচয় দিয়ে সেইসব পশু শিকার করে বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করতেও হতো। এবং প্রয়োজনের খাতিরে বা কষ্টসাধ্য শিকার করার মতো সময়-সুযোগ-শিকার প্রাপ্যতা ও যোগ্যতা ততোটা না থা্কার কারনে একসময় পশু পালন তাদের জন্যে অপরিহার্য্য হয়েও উঠে ছিলো। যখন তাদের অন্য কোনও সামাজিক -ধর্মীয় আচার-আচরনের তথ্য আমাদের কাছে নেই তাই অনুমান করতে অসুবিধে হয়না যে, জীবন ধারনের জন্য পশু সংক্রান্ত সবকিছু আদিম মানুষের চিন্তা চেতনার সবটা জুড়েই ছিলো এবং থাকাটাই স্বাভাবিক । হয়তো নিজেদের জীবনযুদ্ধের এসব চালচিত্র তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে আবাসস্থলের দেয়ালে দেয়ালে এসবের স্বাক্ষর রেখে যেতে।

চিত্র - ৫) স্পেনের এল-ক্যাস্টিলোর পাথুরে দেয়ালে ৩৯,০০০ বছর আগে ষ্টেনসিল করে রেখে যাওয়া হাতের ছাপ আর গেরুয়া রংয়ের চক্রগুলি।

আবেগ প্রকাশের জন্মগত চরিত্রের কারনেই মানুষের অভিজ্ঞতার এমন ঐতিহাসিক উপাদানটি থেকেই হয়তো প্রথম শিল্পের সৃষ্টি। এবং এই অনুশীলন এবং বিশ্বাস কালক্রমে আদিম মানুষের সামাজিক বা ধর্মীয় আচার-আচরন হিসেবেই প্রজন্মের পর প্রজন্মে ধাবিত হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে মানুষ তার এই শিল্প সৃষ্টিকে নতুন নতুন আঙ্গিকে উদ্ভাবন করেছে। ইতিহাস জুড়ে তার ধারাবাহিকতাই যেন আমরা দেখতে পাই।

এইসব শিল্পকর্মের সবটাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন মহাদেশের বিভিন্ন গুহাগুলিতে। কেবলমাত্র ফ্রান্স এবং ইতালিতেই আছে ৪০০টির মতো গুহা। এশিয়া মহাদেশে আছে ৩০০টির উপরে। এদের সবগুলোতেই যে গুহাচিত্র রয়েছে এমনটা নয়।
আর আমিও যে, শিল্প কোথা থেকে এসেছে এসবের তথ্য-তালাশ দিতে বসেছি তা কিন্তু নয়! নিজের ভালো লাগা থেকে হাযারো গুহাচিত্রের থেকে কিছু কিছু তুলে ধরা ও বলার বাসনা নিয়েই এই ছবি ব্লগটি তৈরীতে বসেছি।

চিত্র -৬) শ্যোভে গুহার কাঠকয়লায় আঁকা হাযার খানেক চিত্রকর্মের একটি। খ্রীষ্টপূর্ব ৩০,০০০ থেকে ২৮,০০০ বছর আগের প্রানীরা।

চিত্র - ৭) শ্যোভে গুহার গেরুয়া মাটিতে আঁকা হায়েনারা।.

চিত্র - ৮) উত্তর পূর্ব ব্রাজিলের সেরা দা ক্যাপিভারা (Serra da Capivara) ন্যাশনাল পার্কের অগনিত গুহার একটিতে ২৫,০০০ বছর আগে পশু শিকারের চিত্র।

চিত্র - ৯) ) ইন্দোনেশীয়ার বোর্নিও দ্বীপের লুবাং জেরিজি লাইমষ্টোন গুহায় ৪০,০০০ বছর আগের আঁকা একটা ষাঁড়ের ফিগারেটিভ চিত্র। প্রথম ফিগারেটিভ চিত্রের নমূনা ?

চিত্র - ১০) উত্তর স্পেনের আলতামিরা গুহায় কাঠকয়লা আর গৈরিক মাটি দিয়ে আঁকা বাইসনের চিত্র।

বাইসনের এই ছবিটি এতো নিখুঁত যে ১৯শতকের বিদগ্ধ সমাজ এই গুহার আবিষ্কারক ও নিরীক্ষক “মার্সেলিনো স্যানজ ডি সাউতুওলা”কে জালিয়াত বলতেও দ্বিধা করেন নি। মানুষ বিশ্বাসই করতে চাইতোনা যে, প্রাগৈতিহাসিক মানুষের এমন বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা থাকার কথা নয় যে, তারা এমন একটি ছবি আঁকতে পারে! বিংশ শতকের প্রথম দিকে এসে আর্কিওলোজিষ্টরা জানালেন - এসব আসলেই ৩৬,০০০ বছর আগের আদিম মানুষের আঁকা গুহাচিত্র।

চিত্র - ১১) স্পেনের আলতামিরা গুহায় ৩৬,০০০ বছর আগের গুহাচিত্রে হায়েনা।

এইসব গুহাচিত্রে আপনি চমৎকার ভাবে স্টেনসিল করা অসংখ্য সব হাতের ছবিও দেখতে পাবেন । কেন হাতের ছবি, নিজেদের মুখের ছবি নয় কেন ? এসবের একটা সম্ভাব্য উত্তর দিয়েছেন পেলিওএ্যানথ্রোপলোজিষ্টরা। বলেছেন - যারা যারা এঁকেছেন, সেটা যে তাদেরই আঁকা ; এমন একটা পরিচিতি স্বাক্ষর তারা হাতের স্টেনসিল করেই দিয়েছেন অক্ষর জ্ঞান না থাকার কারনে। যেমন এখানটায় -

চিত্র - ১২) ফ্রান্সের পীচ মার্লে গুহায় ২৫,০০০বছর আগের আঁকা ডোরাকাটা ঘোড়ার সাথে ষ্টেনসিলড হাতের চিত্র। শিল্পীর স্বাক্ষর ?

অথবা হতে পারে , গুহার দেয়ালে হাতের স্পর্শ মেখে তারা একটি আত্মিক যোগাযোগের অনুভূতি পেতে চেষ্টা করতেন। কিম্বা হতে পারে এসব কোনও সামাজিক আচার-আচরণ, দিক্ষা গ্রহন বা ধর্মীয় আচারের উদ্দেশ্যে আঁকা । যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন গুহাতে ৪০,০০০বছর আগের আঁকা এইসব হাতের ছবির ব্যাখ্যা ও উদ্দেশ্য ভিন্ন ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক।

চিত্র - ১৩) দক্ষিন আর্জেন্টিনার কেভ ডি লা ম্যানোসে ১৩ থেকে ১০ হাযার বছর আগের
ষ্টেনসিলড হাতের শিল্পকর্ম। সবগুলিই যেহেতু বাম হাতের ছবি তাই শিল্প ঐতিহাসিকদের ধারনা বাম হাত গুহার দেয়ালে রেখে, ডান হাতে কোন বিশেষ ধরনের পাইপ দিয়ে স্প্রে করে এগুলো আঁকা হয়েছে। এটা কি কোনও সামাজিক আচার-আচরণের ছবি ?

চিত্র - ১৪) ইন্দোনেশীয়ার বোর্নিও দ্বীপের গুহায় স্টেনসিলড হাত।

চিত্র - ১৫) ক্যাসেরেস, স্পেনের মালট্রাভিসো গুহায় ৬৫,০০০ বছর আগের ষ্টেনসিলড হাতের চিত্র।

চিত্র - ১৬) স্পেনের শ্যোভে গুহায় গৈরিক রং ছড়িয়ে ষ্টেনসিল করা বাম হাত।

চিত্র - ১৭) ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি এলাকার “ম্যারোস প্যাংকেপ ক্রাস্ট” গুহায় কিন্তু রয়েছে ৪০, ০০০ বছর আগের আঁকা ডান হাতের ছাপ।

এতোক্ষন তো গেলো অনুর্ধ ৭০,০০০ বছর আগের গুহাচিত্রের কাহিনী যার বেশীর ভাগটার শিল্পীরাই হচ্ছেন সম্ভবত “নিয়ানডার্থাল” মানুষেরা। আগেই তো বলে রেখেছি, শিল্প কোথা থেকে এসেছে এসবের তথ্য-তালাশ দিতে এ লেখা নয়। লেখাটি এটাই বোঝাতে যে, সভ্য মানুষেরাই (হোমো সেপিয়েন্স) শুধু শিল্পের প্রবক্তা নন। ৪০,০০০ বছর আগেও “নিয়ান্ডার্থাল” মানুষেরা হোমো সেপিয়েন্সদের পাশাপাশিই ছিলো। আবেগ প্রকাশের জন্মগত চরিত্র শুধু আধুনিক মানুষদেরই ছিলোনা, ছিলো তাদেরও!

শেষমেশ বলি -
শিল্পানুভূতির প্রকাশক কিছুকেও যদি শিল্প বলে ধরে নেয়া হয় তবে ভারতের মধ্য প্রদেশের “ভীমবেতকা” গুহার “পেট্রোগ্লিফস” (petroglyph) কে সবচেয়ে পুরোনো শিল্পকর্মের তকমাটি দিতেই হবে।
“পেট্রোগ্লিফস” যদিও পাথর খুঁচে খুঁচে, আঁচড় কেটে, খোদাই করে, ছেঁচে ছেঁচে তোলা কোন আকৃতি/চিত্রকে বোঝায় তবে গুহা-শিল্পবোদ্ধারা ভীমবেতকার এসব ছবিকে পেট্রোগ্লিফস বলতে নারাজ। তারা এটাকে বলতে চান “পিকটোগ্রাফ” (Pictographs) কারন এখানের শিল্পকর্মগুলো প্রতীক বা চিহ্ণের ধারক, সে অর্থে ছবি বা চিত্র নয়। পেট্রোগ্লিফস হোক বা পিকটোগ্রাফই হোক সম্ভবত ভীমবেতকা শিল্পকর্মগুলো এ পর্য্যন্ত প্রাপ্ত সবচেয়ে প্রাচীন যা খোদাই করা হয়েছে খ্রীষ্টপূর্ব ৭ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৯০ হাযার বছর আগের সময়কালের ভেতরে।

চিত্র - ১৮) ভীমবেতকা গুহায় পাথরের বোল্ডারের উপরে গর্ত বা PIT বা Cupule এবং নালা পথের( meander) খোদিত চিত্র। সময়কাল খ্রীষ্টপূর্ব ৭০০,০০০ থেকে ২৯০,০০০ বছর।

চিত্র - ১৯) উপরের ছবিটির আড়াই লক্ষ বছর পরে ভীমবেতকা গুহায় অংকিত প্রস্থরচিত্র (Rock Art)

চিত্র - ২০) প্রাগৈতিহাসিক জীবনযুদ্ধ। ভীমবেতকা গুহায় চিত্রিত অতিকায় কোন প্রানীর
( বাইসন ?) তাড়া খাওয়া অসহায় মানুষ নামের প্রানী।


সূত্র ও কৃতজ্ঞতা-

MAIN A-Z INDEX - A-Z of PREHISTORIC ART

https://headstuff.org/culture/history/origin-worlds-art-prehistoric-cave-painting/

https://www.ancient.eu/Chauvet_Cave/

http://www.visual-arts-cork.com/prehistoric/hand-stencils-rock-art.htm

Click This Link

https://www.heritagedaily.com/2020/03/10-prehistoric-cave-paintings/126971

https://www.bradshawfoundation.com/news/cave_art_paintings.php?id=The-Secrets-of-Prehistoric-Hand-Paintings

https://en.wikipedia.org/wiki/Cave_of_Altamira

https://mymodernmet.com/altamira-cave-paintings/

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা।
গুহাচিত্র মানেই আলাদা অন্য একটি জগৎ!

২০ শে মে, ২০২২ সকাল ৭:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,



শুভ সকাল।
প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

গুহাচিত্র মানেই আলাদা অন্য একটি জগৎ! সত্যই তাই! তাও আবার হাযার হাযার বছর আগেকার অসভ্য ( বর্তমানের তুলনায়) মানুষদের আঁকা।
ভারতের অজন্তা ইলোরা গুহার খোদাই চিত্রের কথা একবার ভাবুন......

২| ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:২৩

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: অসাধারণ পোষ্টটি ভালো লাগলো।

২০ শে মে, ২০২২ সকাল ৭:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভার্চুয়াল তাসনিম,




কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো মন্তব্য!

৩| ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৩০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


এখন মানুষকে গুহায় থাকতে দিলে কি আকঁবে?

২০ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্য সারমর্ম,





এখন মানুষকে গুহায় থাকতে দিলে কিছুই আঁকবেনা। নিরালায় বসে ঠ্যাংয়ের উপর ঠ্যাং তুলে ফেসবুকিং আর টিকটকিং করবে :P

৪| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ পরিশ্রম করেছেন। আপনার পরিশ্রম সার্থক। পোষ্ট আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

২০ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




এ জাতীয় পোস্ট লিখতে গেলে প্রচুর পড়তে হয়, তাই পরিশ্রমও সমানুপাতিক হয়, কখনও বেশী!
তথ্য-উপাত্ত যোগার করে নিজের মতো করে সাজিয়ে-গুছিয়ে লিখতে হয় বলে হ্যাপাও বেশী।

৫| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: অনেক দিন পরে সামুতে চমৎকার একটা পোস্ট পড়লাম । পোস্টের জন্য ধন্যবাদ !

এতো আগেও মানুষের মাঝে এই শিল্পী সত্ত্বা দেখে আমরা বরাবরই বিস্ময় জাগে । আর এতো এতো বছর পরেও সেগুলো কি চমৎকার ভাবে টিকে আছে !

আচ্ছা আমাদের নিজ দেশে কি এমন গুহা চিত্র টাইপের কোন কিছু পাওয়া গেছে বলে আপনার জানা আছে ?

২০ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু তানভীর,



না, জানা নেই, আমাদের নিজ দেশে কি এমন গুহা চিত্র টাইপের কোন কিছু আছে কিনা! যেটুকু জানি, আমাদের এখানে তো পাহাড়ী গুহা নেই আছে মাটি খুঁড়ে বের করে আনা প্রত্নতত্ত্ব এর নিদর্শন। সেখানে হাতে গড়া আসবাবপত্র, মাটির শিলালিপি আর খোদাইকৃত কিছু পাওয়া গেছে। আঁকা কোনও ছবি তাতে নেই।

পোস্টটিকে "চমৎকার" বলার জন্যে ধন্যবাদ।
আঁকা ছবির প্রতি আমার একটা আলাদা টান বা মোহ আছে। সে থেকেই পোস্ট করেছি নীচে দেয়া লিংকের লেখা। দেখতে পারেন সময় করে। এমন আরও আছে!
পৃথিবী বিখ্যাত ছবিরা

৬| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: শ্যোভে কেভের ব্যাপারটা আরও ভাল করে দেখার জন্য ইউটিউবে সার্চ দিলাম । কয়েকটা ভিডিও দেখলাম । বিবিসির একটা ভিডিও দেখে চমৎকৃত হলাম ।
ব্যাপারটা একবার ভেবে দেখুন ! কী চমৎভার ভাবে ওরা অতীত কে সংরক্ষণ করেছে আবার বর্তমানের কাছে সেটাকে উপস্থাপনও করেছে । আমাদের দেশে কি এমন কিছু কল্পনা করা যায় কখনও?
Video হয়তো আপনি আগেই দেখেছেন তবুও দেখতে পারেন ।

আবারও চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ !

২০ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু তানভীর,




"কী চমৎভার ভাবে ওরা অতীত কে সংরক্ষণ করেছে আবার বর্তমানের কাছে সেটাকে উপস্থাপনও করেছে । আমাদের দেশে কি এমন কিছু কল্পনা করা যায় কখনও?"
আপনি কোন দেশে আছেন ? যেখানে পুরোনো স্থাপত্য নিদর্শন সহ প্রকৃতিকে নিত্য জবাই করা হয় সেখানে আপনি এসব লালনের কথা বলছেন ? আমাদের দেশে বেড়া-ই তো শাক খেয়ে ফেলে!

৭| ২০ শে মে, ২০২২ ভোর ৫:০০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: গুহা চিত্র এখনো আছে। এই ধরেন খসরু+ ময়না! =p~
মজা করলাম।


অনেকদিন পর এমন একটা পোষ্ট পেয়ে ভালো লাগলো। এইধরনের পোষ্ট প্রায় বিলুপ্তির পথে। শেষের দিকে ব্লগার শের শায়রী লিখতেন। উনার পরে আর পরে আর কারো লেখা তেমন চোখে পড়েনি। উনিও হারিয়ে গেলেন।
চমৎকার লেখাশৈলী , বিশ্লেষণ আর ছবিতে ভরপুর অসাধারণ পোষ্ট। প্রিয়তে রেখে দিলাম।

হাতের ছাপ কিংবা স্বাক্ষর কেন জানি বুকে ধাক্কা দিচ্ছে।

২০ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ,




হা..হা..... "খসরু+ ময়না", "আরিফ + লুনা" ওগুলো গুহাচিত্র নয়, দেয়াল চিত্র। মনের দেয়ালটা বাইরে এনে শিলালিপি লেখা হয়েছে। বৃক্ষলিপিও আছে। বাসের সীট লীপিও আছে এন্তার! :P

প্রথমে ভয় ছিলো, আমার এমন পোস্ট এই সময়ের হালকা চালের ব্লগে কেউ পড়বেন কিনা! আপনারা পড়েছেন এবং এমন পোস্টে ভালোলাগাও জানিয়ে গেছেন। বোঝা গেলো ব্লগটা এখনও ফুরিয়ে যায়নি!

হাযার হাযার বছর আগের ঐসব হাতের ছাপ দেখে আমারও মনে হয়েছিলো বলি - ওহে গুহামানব! তুমি কি পথ হারাইয়াছো !!!!!

এরকম পোস্ট এখানেও দেখতে পারেন -

চড়া দামে কেনা পৃথিবীর সব ছবিরা মানি হ্যাজ নাথিং টু ডু উইথ আর্ট .... ১ম পর্ব

চড়া দামে কেনা পৃথিবীর সব ছবিরা --- মানি হ্যাজ নাথিং টু ডু উইথ আর্ট !

৮| ২০ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর লিখেছেন প্রিয় জিএস ভাই।

২০ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,




"অসাধারণ সুন্দর " বলার জন্যে ধন্যবাদ।
উপরের প্রতিমন্তব্যে দেয়া লিংকগুলোতেও যেতে পারেন, যেতে ইচ্ছে হলে।

৯| ২০ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:২১

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন পোষ্ট- পড়ে যেমন জানলাম অনেক কিছু, তেমন মুগ্ধ হলাম প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্রগুলো দেখে।
আচ্ছে আপনার কি ধারনা ৪০/৫০ বছরে বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের হাতের আকার আকৃতির কোন পরিবর্তন হয়েছে?

২০ শে মে, ২০২২ রাত ৮:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন ,




ধন্যবাদ এমন নিরস ও বিশাল লেখাটি পড়ার জন্যে।

হ্যা! মানুষের হাতের আকার আকৃতির পরিবর্তন হয়েছে। এটা আমার ধারনা হলে চলবেনা। নৃতত্ত্ববিদদের ধারনা -
মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগে মানুষের পূর্ব-পুরুষ যখন চার হাত পায়ে চলাফেরা থেকে দু'পায়ে মাটিতে দাঁড়াতে শিখলো তখন শুধু চলাফেরার জন্যে তাদের আর হাতের দরকার রইলোনা। তখন তা ব্যবহার হতে থাকলো দু'হাতের অঞ্জলিতে পানি তোলা, খাবার টেনে নেয়া, বাচ্চাদের ধরে রাখা, পর্যায়ক্রমে হাতিয়ার তৈরী ইত্যাদি হাযারো কাজে। ফলে তার বুড়ো আঙ্গুলটিকে অন্য আঙুলের চেয়ে অপেক্ষাকৃত মোটা আর লম্বায় বড় হতে হলো। ভারী পাথরের হাতিয়ার তোলার জন্যে এমনটা তার প্রয়োজন ছিলো। কালক্রমে ভারী ভারী হাতিয়ার তোলার প্রয়োজন কমে এলে বুড়ো আঙুলের লম্বা হওয়ার দরকার হলোনা।
সেটি আস্তে আস্তে ছোট হয়ে বর্তমান আকৃতিতে এসে দাঁড়িয়েছে।

১০| ২০ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৪৯

জুন বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো সাথে অনেক কিছু দেখাও হলো। আবার আসবো ভালো করে জানতে আহমেদ জী এস।
+

২০ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




আবার আসবেন ভালো করে জানতে ? কেন, এবার কি ভালো করে পড়েন নি ? আর যদি পড়েই থাকেন তবে আপনাকে ভালো করে জানাতে তো আবার আমাকে পৃথিবীকে ছেনে তুলতে হবে ! :(( তবেই না আপনাকে ভালো করে জানাতে পারবো!!!!!!! :D

তো সেই সকালের পরে আর তো জানতে এলেন না....................

১১| ২০ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অনেকদিন পর সামু যেন এরকম একটি পোস্ট পেয়ে ঝলমল করছে।

২১ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,




এমন ঝলমলে মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
পোস্ট করার সময় ভয় ছিলো, আমার এমন পোস্ট এই সময়ের হালকা চালের ব্লগে কেউ পড়বেন তো!
আপনারা পড়েছেন এবং এমন পোস্টে ভালোলাগাও জানিয়ে গেছেন। বোঝা গেলো ব্লগটা এখনও ফুরিয়ে যায়নি!

১২| ২০ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:১২

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাস্কর্যের ছাত্র হিসাবে এসবের অনেকগুলো আমাদের পাঠ্য বইয়ে ছিল । প্রথম আলোচনাটি পাইনি তবে ৪২ বছর আগে আলতামিরা প্রাইম মডেল ছিল । ভাল লাগছে । লিঙ্কে যাব ছবি সংগ্রহে রাখার জন্য ।

ধন্যবাদ জি এস ।

২১ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহ আজিজ,




আপনি যে ভাস্কর্য্যের মানুষ তা মনেই ছিলোনা! মনে থাকলে আরও সাবধান হয়ে লিখতে চেষ্টা করতুম।
শিল্পবোদ্ধা একজনের যে এটা ভালো লেগেছে তাতে লেখাটি সার্থক মনে করছি। অথচ ভয় ছিলো সামুর চটুল পোস্টের মাঝে এমন বিষয়ের পোস্ট ব্লগাররা চেখে দেখবেন কিনা!

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ২০ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:


ইতালির গুহাসমুহে কিছু পাওয়া যায়নি?

২১ শে মে, ২০২২ রাত ১০:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,




হ্যা পাওয়া গেছে। ইতালীর উত্তর-পূর্বে ভেরোনায়, দক্ষিনের আপুলিয়ায়। কেন ? কিছু দরকার ছিলো ?

গুগুলে " কেভ আর্ট ইন ইতালী" লিখে সার্চ দিন । যা জানার তা জানতে পারবেন।

১৪| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৩৭

ইসিয়াক বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করবো।

২১ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,




আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ...............

১৫| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১০:০০

গরল বলেছেন: ডিসকভারি চ্যানেলে গুহাচিত্র নিয়ে অনেকগুলো প্রোগ্রাম দেখেছিলাম। চিত্র বা অঙ্কন হচ্ছে সার্বজনিন ভাষা। তখনকার যুগে ভাষা এত উন্নত ছিল না, বিশেষ করে লেখা বা বর্ণমালা, তাই তারা চিত্রের মাধ্যমে অনেক কিছু প্রকাশ করত বা লিখে যেত তথ্য হিসেবে। জীব বিজ্ঞানিরা গুহা চিত্র থেকে অনেক স্পেসিস এর সন্ধান পেয়েছেন বলে ওসব প্রোগ্রামে বলা হয়েছে। তবে বেশিরভাগই হল রিচুয়াল বিষয়ক। অনেকদিন পর এরকম একটা পোষ্ট আসল।

২৩ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: গরল,




গুহাচিত্র নিয়ে তাহলে আপনার জানাশোনা অনেকখানি। নতুন করে এখানে আপনাকে এখানে কিছু জানাতে পেরেছি কিনা, জানিনে!
আবেগ প্রকাশের জন্মগত চরিত্রের কারনেই হাযার হাযার বছর আগের গুহাবাসীরা "ভাষা" সম্পর্কে অজ্ঞ আর অক্ষরজ্ঞানহীন
হওয়া সত্বেও চিত্রাঙ্কনের আশ্রয় নিয়েছিলো হয়তো ।
হ্যা.... ওসব গুহাচিত্রের সময়কাল এবং প্রাপ্তিস্থান বিবেচনায় নিয়ে নৃতত্ত্ববিদরা মানুষের পূর্বপুরুষ এবং তাদের বংশলতিকা এবং
আফ্রিকা থেকে কোথায় কোথায় তারা ছড়িয়ে পড়েছিলো তার হদিশ খুঁজে বেড়ান।

১৬| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১০:০২

বলেছেন: পাথরে ফুটে থাকা কবিতারা....---জঠিল শিরোনামে , সরল কথার, গড়ল গুহাচিত্র

২৩ শে মে, ২০২২ রাত ৮:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,




জঠিল শিরোনামে , সরল কথার, গড়ল গুহাচিত্র
মহাকাব্যিক মন্তব্য ++++++++++ পাথরে জল গড়িয়ে পড়ার নিঃশব্দতা নিয়ে উচ্চকিত!

অঃটঃ
অনেকদিন আপনাকে দেখিনে, এখানে দেখতে পেয়ে স্বস্তি পেলুম। ভালো আছেন তো?

১৭| ২১ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নিমো বলেছেন: আপনার এই পোস্টটাতে আসলে কী মন্তব্য করব, অনেক মাথা চুলকেও পেলাম না। তাই গতানুগতিক কথাই বলি, বেশ লিখেছেন, ফরাসি ভাষার দুর্বোধ্য উচ্চারণগুলোও দারুণ ভাবে সামলেছেন। এ রকম পরিশ্রম সাধ্য পোস্ট আরও দিন। শিরোনামটা চমৎকার হয়েছে বলাই বাহুল্য।

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:এখন মানুষকে গুহায় থাকতে দিলে কি আকঁবে?
আমরা এখনও গুহায় বসেই কাছাকাছি কিছুই এঁকে চলেছি

২৩ শে মে, ২০২২ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিমো,




মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ আগেই জানিয়ে রাখছি।

শূন্য সারমর্মর মন্তব্য "এখন মানুষকে গুহায় থাকতে দিলে কি আকঁবে?" তুলে একটি লিংক দিয়েছেন। সেখানে মনে হয় "শূন্য সারমর্ম" কে দেয়া আমার প্রতিমন্তব্যের কথাই ধ্বনিত হয়েছে।
গুহাজীবনের রূপকে প্লেটো বলেছেন - দেয়ালে মুখ ফেরানো মানুষেরা তাদের পেছনে থাকা জলন্ত আগুনের সামনে দিয়ে চলে যাওয়া কিছুর ছায়া দেয়ালে চলন্ত দেখছে যা বাস্তবের ছায়া নয়।
আমিও "শূন্য সারমর্ম"কে এমনটাই বলেছি যে এখন মানুষকে গুহায় থাকতে দিলে কিছুই আঁকবেনা। নিরালায় বসে ঠ্যাংয়ের উপর ঠ্যাং তুলে ফেসবুকিং আর টিকটকিং করবে মানে , দেয়ালে পড়া তাদের ছায়া নিয়ে ফেবুতে আপলোড দেবে বা নাচানাচি করে সেই ছায়াদের টিকটক ভিডিও বানাবে ....... :D :P

আর পরিশ্রমসাধ্য পোস্ট ?
৫ আর ৭ নম্বর প্রতিমন্তব্যের লিংকগুলো দেখে নেবেন অনুগ্রহ করে।
শুভেচ্ছান্তে।

১৮| ২৩ শে মে, ২০২২ রাত ৮:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

পরিশ্রম সাধ্য জ্ঞানগর্ভ পোস্ট । গুহাচিত্রগুলো শুধু অর্থবহ নয় কালের স্বাক্ষ্য বহন করছে । মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশ সম্পর্কে অবগত করছে বর্তমান সময়ের মানুষদের ।

২৬ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,




এ জাতীয় পোস্টের জন্যে একটু তো পরিশ্রম করতেই হয়! এবং তা যদি পাঠকের মনে ধরে তবে পোস্টটি উৎরে যায়।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের ইতিহাস জানতে এসবই নৃতত্ত্ববিদদের কাছে দিকনিদর্শন যন্ত্রের সমতুল্য।

১৯| ২৩ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একেবারে আলাদা এক জীবনের গল্প মনে হয়।
কী দারুণ ব্যাপার তাই না ! কতকত জীবনের সময়ের সাক্ষী হয়ে আছে গুহা চিত্র গুলো।
চমৎকার পোষ্ট।

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,




আলাদা সময়, আলাদা জীবনের গল্পই!
দারুন তো বটেই! কথা কি করে বলতে হয় জানতেন না্ তখন। অনুভূতি প্রকাশের কোনও আলাদা উপায়ও তখন ছিলোনা আপনার কাছে। ছিলো গুহার দেয়াল আর অনুভূতি প্রকাশের জন্মগত তাগাদা। তখন না ছিলো গল্প আর গল্পকার , না ছিলো কবি আর কবিতা।
দেয়ালের এই আঁকিবুঁকিই স্বাক্ষী হয়ে আছে আপনার জীবনের সেই না লেখা গল্প কিম্বা কবিতা হয়ে।

২০| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৫৬

ইসিয়াক বলেছেন: প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্র এখনও টিকে আছে স্বমহিমায় । এ যে মহা বিষ্ময়কর! আসলে চিত্র মানে গল্প। এভাবেই যে কোন চিত্র ধরে রাখে সময়কে অতীতকে নিয়ে আসে বর্তমানে। অসাধারণ পোস্ট।

শুভকামনা রইল প্রিয় ব্লগার।

২৮ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,




হাযার হাযার বছর আগের গুহাচিত্র বিষ্ময়কর তো বটেই !! এখনও যে আছে তা হলো, ঐসব দেশের সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান
গুলো এগুলি বাঁচিয়ে রাখার আপ্রান চেষ্টা করে যেমনটা শুরুর ১ নং চিত্রের ক্যাপশানে বলা হয়েছো। কেবল উল্টোটা আমাদের দেশে!!!!!!!!

শুভকামনা আপনার জন্যেও...............

২১| ২৮ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা নিয়ে দারুন একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম ইংরেজিতে, এবার বাংলায় পড়লাম!!

ওই সময়ে ব্লগ চালু থাকলে তারা হাতের ছাপ নিয়ে এতো সময় নষ্ট করতো না। হাত তো হাত, পুরা শরীর সমর্পণ করতো ব্লগে, কি বলেন!!! ;)

যাই হোক, প্রেমিক মনের ফরাসীদের পূর্বপুরুষদের হাতের ছাপ দেখাও মন্দ কি?

২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৮:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




আগে পড়েছিলেন ইংরেজীতে এবার পড়লেন বাংলায়! সেজন্যেই তো এই "সামহোয়্যারইন...ব্লগ বাঁধ ভাঙার আওয়াজ" মাতৃভাষাকে আপনাদের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় রত!

ওই সময়ে ব্লগ চালু থাকলে তারা হাতের ছাপ নিয়ে এতো সময় নষ্ট করতো না ঠিকই তবে একেক জন পুরো শরীরের ছাপ দিয়ে ছবি-ব্লগ পোস্ট দিয়ে প্রথম পাতা ভরে রাখতো! আপনার পোস্ট প্রথম পাতায় জীন্দেগীতেও আসতো না!!!!!! তাই আল্লাহ যা করেন তা ভালোর জন্যেই করেন ..... :P

ঐসব হাতের ছাপ ফরাসীদের পূর্বপুরুষদের নয় , আপনার প্রেমিক পূর্বপুরুষদের - হোমো ইরেক্টাস, হোমো হাইডেলবার্জেনসিস, হোমো নিয়ান্ডারথালেনসিস, হোমো হেবিলিসদের .................. :)

২২| ৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি অতি চমৎকার পোস্ট! + +

আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রাগৈতিহাসিক গুহামানবদের এমন অনুপম শিল্পী সত্ত্বার পরিচয় পেয়ে অভিভূত হ'লাম। উল্লেখিত মূল সূত্র থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে চমৎকারভাবে আপন শিল্পীসত্ত্বায় নিজের মত করে সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট পরিবেশন করেছেন, এজন্য এই পোস্টের আকর্ষণ ও মর্যাদা অনেকগুণ বেড়ে গেছে। আর কয়েকটা অনুবাদ কর্ম সম্পন্ন করতে গিয়ে আমার খুব ভালোভাবেই জানা আছে, আপনার এ কথাটি কতখানি সত্যঃ "তথ্য-উপাত্ত যোগার করে নিজের মতো করে সাজিয়ে-গুছিয়ে লিখতে হয় বলে হ্যাপাও বেশী"!

বেশিরভাগ গুহাচিত্রে শিল্পীর স্বাক্ষর হিসেবে বাঁ হাতের ছাপ স্টেন্সিল করে রেখে যাবার ভাবনাটা সেই প্রাগৈতিহাসিক আমলে নিশ্চয়ই খুব আধুনিক ছিল। আমার কাছে ব্যাপারটাকে খুবই চমকপ্রদ মনে হয়েছে এবং স্বপ্নবাজ সৌরভ এর মত "হাতের ছাপ কিংবা স্বাক্ষর কেন জানি বুকে ধাক্কা দিচ্ছে" এমন অনুভূতি আমারও হয়েছে।

"পাথরে ফুটে থাকা কবিতারা...." - এর চেয়ে আর ভালো কোন শিরোনাম এ পোস্টের হতে পারতো না! পোস্টের মতই শিরোনামটি কাব্যিক, শৈল্পিক এবং দৃষ্টি আকর্ষক।





০১ লা জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




এটাই সত্য- "তথ্য-উপাত্ত যোগার করে নিজের মতো করে সাজিয়ে-গুছিয়ে লিখতে হয় বলে হ্যাপাও বেশী"! কোনও একটা বিষয়ে লিখতে গেলে সব গুছিয়ে নিতে আমার মাসখানেকের মতো সময় লাগে। :((

বুকে ধাক্কা লাগার কারনেই আমিও হাতের ছাপ নিয়ে বেশী ছবি ও কথা বলেছি।

গুহাচিত্র গুলো আসলেই কবিতার মতো উদ্বেল, এটা যে কেউ মানবেন!!!!!!

সুন্দর মন্তব্যে ++++++

২৩| ০১ লা জুন, ২০২২ সকাল ৯:০৯

সোহানী বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট। জি ভাই স্টাইলের পোস্ট :P

আমার ছেলের আবার এসব নিয়ে দারুন আগ্রহ। যার কারনে টিভি দেখতে বসলেই এ ধরনের কোন টপিক্স দেখে। আর এখনতো ইউটিউবে দারুন সব চ্যানেল। সহজভাবে উপস্থাপন করা, কোন জটিলতা নেই।

শিল্পী মন সবসময়ই ছিল। ভালোবাসা, প্রেম, কষ্ট, দু:খ .... সে সব কিছুর প্রকাশ করতে হয়তো পাথরে ফুটিয়েছে সে সব কবিতা।

০৩ রা জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




মন্তব্যে "চমৎকার একটা পোস্ট" বলা ও লাইক দেয়ার জন্যে শুরুতেই ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি।

মানুষ নিজে এক অদৃশ্য শিল্পীর হাতে গড়া এক অনুপম শিল্পকর্ম । তাই মানুষের মাঝেও একটা শিল্পীমন সৃষ্টির শুরু থেকেই বিরাজমান।
তার আবেগ প্রকাশের সহজাত চরিত্রের কারনেই প্রেম-ভালোবাসা- বিরহ-কষ্ট- দুঃখ-সুখ সবটাই বিধৃত করে গেছে সে তার শিল্পী মনটাকে উজার করে, পাথরে আঁচড় কেটে বা শিলাপটে লিখে লিখে।

ভালো থাকুন।

২৪| ০২ রা জুন, ২০২২ রাত ১০:২৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
জানার ও দেখার যেনো শেষ নেই আপনার এই লেখাটি পড়ে তাই মনে হলো আমার । পাথরের উপর দুর্লভ শিল্প কার্য এই বলে দিচ্ছে মানুষ চাইলে কি না পারে । কষ্ট ও ধৈর্য্য সহকারে চমৎকার একটি পোষ্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

০৩ রা জুন, ২০২২ রাত ১০:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,




মুক্তোর মতো দামী একটি কথা বলেছেন মন্তব্যের প্রথম লাইটির প্রথম অংশে।

মানুষ চাইলে তো অনেক কিছুই পারে কিন্তু মানুষেরা যে ভালো কিছুই চায়না! :(

লাইক দেয়া আর মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞ।
শুভেচ্ছান্তে।

২৫| ০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সমাজে “গুহামনব” বলে ব্যাকড্যাটেড ব্যাকইয়ার্ড মানুষ বোঝানো হয়, হয়তো শ্ল্যাং করেই বলা হয়। কিন্তু গুহামনব আমাদের জন্য যা করে গিয়েছেন তা সত্যি সত্যি মহান উপহার বলতে হয়। তারা জানান দিয়ে গিয়েছেন তারা ছিলেন তারা আমাদের পূর্ব পুরুষ।

সেই সময়ে এই ধরনের চিত্রকর্ম করতে তাঁদের কতোটুকু কষ্ট করতে হয়েছে ভাবতেই মন ভার হয়ে আসে। পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি। আমি সময় করে গুহামানব নিয়ে লিখবো।

০৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




আমার পোস্টে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগলো প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে।
যারা একসময় ছিলেন অসভ্য, পশ্চাৎপদ মানুষ, তারাই কিন্তু আমাদের আদি পুরুষ! গুহামানব নিয়ে লিখলে ভালোই হবে। সময় বের করে এখনই লিখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.