নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
[ ২রা জুন’ ২০২২ তারিখে সহব্লগার “ জুলভার্ণের” পোস্ট “জীব দেহের প্রায় পুরোটাই নন-হিউম্যান প্যারাসাইটিক....”য়ে জীব দেহের প্রায় পুরোটাই নন-হিউম্যান প্যারাসাইটিক.... মন্তব্য করতে গিয়ে মনে হলো মন্তব্যের বক্তব্য পোস্ট আকারে দেয়াই যুক্তিযুক্ত কারন মন্তব্যটাই যে বৃহদাকার। তাই এই পোস্ট আকারেই এটা দিলুম!
জুলভার্ন হিউম্যান সাইন্স ম্যাগাজিনের 'হিউম্যান প্যারাইট' অংশ থেকে নিয়ে লিখেছেন। ঠিক আছে এবং তার নিজের ভাষান্তরেও কোন প্রমাদ নেই।
তবে শিরোনামের বাক্যটি এবং বিষয়বস্তু নিয়ে সাধারণ মানুষেরা (ব্লগারেরা) বিভ্রান্তিতে পড়বেন বলে মনে হয় । সাধারণ মানুষেরা ভাবতেই পারেন , বলে কি আমরা “মানুষ” নই প্যারাসাইটিক জীব ?
হিউম্যান সাইন্স ম্যাগাজিন মানুষের শরীরের কোষ নিয়ে যে ভাবে বিষয়টি উপস্থাপনা করেছে সেটাই গন্ডোগোলের। তারা মানুষের কোষ আর নন-হিউম্যান কোষের সংখ্যার ব্যাপারটিকে অতিসরলীকৃত “কোয়ান্টিটেটিভ” দৃষ্টিতে বিবেচনা করে এই যে বলেছে - “জীব দেহের প্রায় পুরোটাই নন-হিউম্যান প্যারাসাইটিক....” এটা আসলেই বিভ্রান্তিকর।
কেন বিভ্রান্তিকর বলি -- যেমন ধরুন, একটি ইটের একপাশে আপনি সিমেন্ট বালুর একটি হালকা আস্তর দিলেন। এখানে ইট মাত্র একটি কিন্তু বালুকণা লক্ষ লক্ষ। এখন আস্তর সহ ইটটাকে বালু-সিমেন্টের ঢেলা বললে ঠিক হবেনা, বিভ্রান্তকরই হবে। আমরাও নিশ্চয়ই সেটাকে ইট-ই বলবো।
আরও সোজা করে উদাহরণ দিই - একটি দালান বানাতে আপনার লাগলো হাযার বিশেক ইট। আর বালি লাগলো দশ বস্তা। দশ বস্তা বালিতে বালুকণার সংখ্যা কোটি কোটি। যেহেতু বালুকনার সংখ্যা বেশী তাই এটাকে “বালিরঘর’ বলাটা ঠিক হবে কি ? নাকি “ ইটেরঘর” বলবো আমরা?
মানুষের শরীরে জীবানু বা মাইক্রোবসের সংখ্যাধিক্য থাকলেও, “জীব দেহের প্রায় পুরোটাই নন-হিউম্যান প্যারাসাইটিক” বলাটাও তেমনি বিভ্রান্তিকর।
খেয়াল করুন- -“জীবদেহের” শব্দটি শুনলেই সাধারণ মানুষেরা একটি মানুষের সামগ্রিক আকৃতির কথা ভেবে নেন। এখন যদি বলা হয় -“জীব দেহের প্রায় পুরোটাই নন-হিউম্যান প্যারাসাইটিক....” তবে সাধারণ মানুষেরা আৎকেই উঠবেন। তাদের এতোদিনের জানা - “মানবদেহ লক্ষ লক্ষ হিউম্যান কোষ দ্বারা গঠিত”, এই কথাটি কি ভুল !!!!!! তার হাত-পা-মাংশপেশী- হৃদয় সবটাই কি পরজীবী কোষ দিয়ে গঠিত!!!!!! তার সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কি আসলেই কিছু নয়, ভুল জিনিষে ভরা !!!!!!
আসল ব্যাপারটি কি তা নিয়ে আলোচনা করা যাক -
এই যে উল্লিখিত পোস্টে বলা হলো - একজন মানুষের শরীরে ১০০ ট্রিলিয়ান কোষ থাকে। এর মধ্যে ৯০ ট্রিলিয়ান কোষ আপনার নয়........মানে, রোজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে যে তারিফ করেন, ও তারিফের মাত্র ১০% আপনার প্রাপ্য। সেভাবে দেখলে এই শরীর আপনার নয়, এ শরীরের আসল মালিক জীবাণুরা, আপনাকে তারা থাকতে দিয়েছে দয়া করে! তা কিন্তু মানুষের দেহ গঠনের ক্ষেত্রে সঠিক কথা নয়। বরং মানুষের দেহের গঠন নিয়ে অন্যভাবে দেখলে ( যা বিজ্ঞান সম্মত) বলতে হবে, মানুষ তার দেহে বসবাস করা বা লেগে থাকা জীবানুদের থাকতে দিয়েছে দয়া করে। যদিও সত্যিকার অর্থে এটা দয়া নয়, মানুষের প্রয়োজনেই জীবানুদের বসবাস। এটা এক ধরনের “সিমবা্য়োসিস” প্রক্রিয়া। সে প্রসঙ্গ ভিন্ন।
আশ্বস্ত থাকুন, আপনার আকৃতিটি কেবল “হিউম্যান সেল” দিয়েই রচিত। আপনার হাত-পা -নাক-কান-পেট বুক সবই “ মানব কোষ” । জীবানু কোষ দিয়ে আপনার হাত-পা, আকৃতি তৈরী হয়নি। তাহলে ৯০ ট্রিলিয়ন জীবানু কোষ গেল কই ? সে কথায় পরে আসছি।
উল্লিখিত পোস্টে নন-হিউম্যান কোষ নিয়ে উদৃত হিউম্যান সাইন্স ম্যাগাজিনের মতো কথাবার্তা আপনি পাবেন বিভিন্ন সায়েন্টিফিক পেপার- ম্যাগাজিনের প্রবন্ধ, নিবন্ধে এমনকি জনপ্রিয় সায়েণ্টিফিক বইতেও। পাবেন বিভিন্ন ব্লগেও। কিন্তু এসবের বেশীর ভাগটাই সত্যিকার অর্থে সত্য নয়। এই সমস্ত ফ্যাক্টয়েডগুলোকে বা সত্যের অনুরূপ সত্যগুলোকে প্রমানের কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই। মানব “মাইক্রোবায়োম” নিয়ে বিগত চল্লিশ বছর ধরে চলা গবেষনাগুলো পর্যালোচনার পরেই মাত্র ২০১৬ সালে এমন কথাটি বলা হয়েছে।
তাহলে হিউম্যান সাইন্স ম্যাগাজিনের মতো ম্যাগাজিনগুলো এমন অর্ধসত্য বা সত্য নয় এমন লেখা ছাপায় কেন ?
এইসব ম্যাগাজিন গুলো কিন্তু গবেষনা করেনা, পরীক্ষা -নিরীক্ষা ছাড়াই তারা গবেষনার নিবন্ধগুলো শুধু ছাপিয়ে দিয়েই খালাস। আর এসব নিয়ে বাহাসের লেখাগুলোও তারা ছাপিয়ে থাকে।
তারা এসব ছাপায় সম্ভবত একারনে যে, এসব অপরিশোধিত ও সত্যের কাছাকাছি অনুমানগুলো যারা যারা পড়ে বা শোনে তা যেন টিকে থাকে আর যাতে ম্যাগাজিনগুলোর ব্যবহারিক উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়। যেমন, মানুষ নাকি তার মগজের ১০ শতাংশই মাত্র ব্যবহার করতে পারে এই “মিথ’টি স্নায়ুবিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষের কৌতূহলটিকেই জাগিয়ে রাখে বা অনুপ্রানিত করে। এতে এ জাতীয় স্নায়ু সম্পর্কিত লেখাগুলো সে যেখানেই পাবে, পড়বে।
এখন আসা যাক - মানুষের শরীরের ১০ ট্রিলিয়ন কোষ আর ৯০ ট্রিলিয়ন নন-হিউম্যান কোষ বিষয়টিতে ।
মানুষের কোষ গননা মোটেও সহজ একটি কাজ নয় এখন পর্যন্ত। কোভিড-১৯ প্যানডেমিকের রিপোর্ট করে পুলিৎজার পুরষ্কার পাওয়া ‘দ্য আটলান্টিক’ পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার “ এড ইয়ং” সে কথাই বলেছেন, মানব কোষ গননা করা আদপেই অসম্ভব।
তবুও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনিষ্টিটিউট অব হেলথ, বেথেসদা’র মলিকিয়্যুলার বায়োলোজিষ্ট ও জেনেসিষ্ট “জুডাহ রোজনার” বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে যে গননা তাতে মানব শরীরের কোষ সংখ্যা ১০ ট্রিলিয়নের ধারে কাছেও নেই। তার মতে, এ সংখ্যাটি ১৫ থেকে ৭২৪ ট্রিলিয়নের মধ্যে । আর নন-হিউম্যান কোষ ( মাইক্রোবস) এর সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০০ ট্রিলিয়নের মধ্যে।
জীবানু বা মাইক্রোবসের সংখ্যা গননা করতে গিয়ে “ওয়াইজম্যান ইন্সটিটিউট অব সাইন্স” এর বায়োলোজিষ্ট “ রন মিলো” এবং তার দলবল মানুষের শরীরে বসবাসরত মাইক্রোবস সম্পর্কে এ যাবৎ প্রাপ্ত সকল লিটারেচার ঘেটে দেখেছেন। দেখতে গিয়ে তারা দেখেছেন - ২০ থেকে ৩০ বছর বয়েসী যার ওজন ৭০ কেজির কাছাকাছি এবং উচ্চতা ১৭০ সেন্টিমিটার; এমন মানুষ ( রেফারেন্স ম্যান)এর দেহ তৈরী হয়েছে আনুমানিক ৩০ ট্রিলিয়ন কোষ দিয়ে। আর মানুষের দেহে জায়গা করে নিয়েছে ৩৯ ট্রিলিয়ন মাইক্রোবস ( নন-হিউম্যান কোষ)। এতে হিউম্যান আর নন-হিউম্যান কোষের অনুপাতটি দাঁড়ায় ১ : ১.৩ অর্থাৎ প্রায় সমান সমান।
তা হলে হিউম্যান আর নন-হিউম্যান কোষের অনুপাত ১ : ১০ এলো কোত্থেকে?
মজার ব্যাপারটি এখানেই!
এখানে একটি তৈরী করা অংককে (numerator)আর একটি তৈরী করা “হর” (denominator) এর উপরে চাপিয়ে একটি সুন্দর ‘বাউন্সিং বেবী ফ্যাক্টয়েড” জন্ম দেয়া হয়েছে।
এই অংকের জন্ম কি ভাবে হলো ?
সন্ধান করে দেখা গেছে, ১৯৭০ সালে প্রকাশিত একটি “পেপার” বা লেখা এই অপরিশোধিত তথ্যের সূতিকাগার। আমেরিকান মাইক্রোবায়োলোজিষ্ট “থমাস ল্যাকি” এই পেপারটি লিখেছেন এবং সেখানে বলেছেন যে, মানুষের শরীরের অন্ত্রের একগ্রাম ( ১ গ্রাম) আন্ত্রিক রস (intestinal fluid) ও মলের (faeces.) মধ্যে ১০০ বিলিয়ন (100 billion) মাইক্রোবসের সন্ধান পেয়েছেন তিনি। এবং যেহেতু সাধারন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের শরীরে ১০০০ গ্রাম আন্ত্রিক রস ও মল থাকে তাই মানব শরীরে সর্বমোট ১০০ ট্রিলিয়ন (100 trillion) মাইক্রোবস বসবাস করে। মজার ব্যাপার হলো, তার এই তথ্যের স্বপক্ষে এ পর্যন্ত কিন্তু কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই।
“দ্য আটলান্টিক” পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার “এড ইয়ং”ও তাই বলেছেন - “নিঃসন্দেহে মাইক্রোবায়োম সম্পর্কিত এ তথ্যটি একটি প্রখ্যাত “ষ্টাটিসটিকস” এবং সম্ভবত ভুল। এটা যেন খামের পেছনে পেন্সিলে কষে কষে গননা করা একটি পরিসংখ্যান।”
এই ঘটনার সাত বছর পরেই গিট্টুটা লাগিয়েছেন বিখ্যাত মাইক্রোবায়োলোজিষ্ট “ডোয়াইন স্যাভেজ”। মানুষের শরীরে যে ১০ ট্রিলিয়ন কোষ আছে সেটা ধরে নিয়ে তিনি একটি অনুপাতের অংক কষে “বাউন্সিং বেবী ফ্যাক্টয়েড”টির জন্ম দিয়েছেন এই বলে যে, হিউম্যান আর নন-হিউম্যান কোষের অনুপাত ১ : ১০। একদম সরলীকৃত একটি অংক যেখানে কাওরান বাজারে বাজার করতে আসা মানুষের সংখ্যার সাথে বাজারে ওঠা মাছের সংখ্যার অনুপাত করা হয়েছে, এমন কিছু।
এতে মনে হবে যে, আপনার শরীরের ১০ ভাগের ৯ ভাগই আপনার নয়। যেমনটা বলা হয়েছে জুলভার্ণের পোস্টটিতে উল্লেখিত ম্যাগাজিনে।
আসলে আপনার হাত-পা-নাক-কান যা আছে তার শতভাগ আপনারই। আর যে মাইক্রোবস নিয়ে এই গিট্টুটা লেগেছে তাদের বেশীর ভাগই থাকে আপনার অন্ত্রে মানে ইন্টেষ্টাইনে। বলাই তো হয়েছে যে, ১ গ্রাম মলের মধ্যে থাকে ১০০ বিলিয়ন (100 billion) মাইক্রোবস। এরা আপনার হাতে পায়ে বসে থাকেনা। এর বাইরে যা থাকে তা থাকে মূলত আপনার চামড়ার উপরিভাগে, নাক ও কানের নালীপথের উপরি ভাগে "ইপিথেলিয়াল লেয়ার"য়ে। মানব কোষের তুলনায় এই মাইক্রোবসগুলি এতোই ক্ষুদ্র যে আপনার চামড়ায় প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে থাকতে পারে এক ( ১ ) বিলিয়ন মাইক্রোবস । অর্থাৎ আপনি সারা শরীরের উপরিভাগে প্রায় ১.৮ ট্রিলিয়ন মাইক্রোবসকে বসতে দিয়েছেন যেমন আমাদের ফুটপাথে হকারদের আমরা বসতে দিই! এতে উভয়পক্ষেরই লাভ।
আপনার শরীরের কিছুই যে আপনার নয় একথায় ঘাবড়ে যাবেন না । আপনাকে হতবাক করে দেয়া ১ : ১০ এর এই অনুপাতটি আপনি নিজেই পাল্টে দিতে পারেন। এ জন্যে আপনাকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখা বাদ দিয়ে বেশী করে “মলত্যাগ” করতে হবে। প্রতিদিন ১০০০ গ্রাম বা ১ কেজি মলত্যাগ করতে পারলেই আপনি ১০০ ট্রিলিয়ন (100 trillion) মাইক্রোবসকে বের করে দিতে পারবেন ( উপরে দেয়া হিসেব মতে) আপনার শরীরের মধ্য থেকে। তখন হিউম্যান আর নন-হিউম্যান কোষের অনুপাত ১ : ১০ থেকে হবে ১ : ০।
লাগ ভেলকি লাগ.........
এর পাশাপাশি জুলভার্ণের বলা -“ছাত্রাবস্থায় পড়েছিলাম infection and disease are not the same, সংক্রমণ মানেই রোগ নয়। সংক্রমণের চিকিৎসা লাগে না, রোগের লাগে।" কথাটিতে কিছু না বললেও নয়। কারন তিনি পোস্টের শেষে লিখেছেন - “বিজ্ঞান ব্যক্তিগত বিশ্বাস দিয়ে চলে না, যুক্তি ও প্রমাণ দিয়ে চলে। বিজ্ঞান জানুন, সুস্থ থাকুন”। তাই এর পরিপ্রেক্ষিতে “The world is running out of antibiotics... Why? এন্টিবায়োটিকের কথা।“ সিরিজের একটি লিংক দিচ্ছি যাতে সত্যটি কি বুঝতে পারা যায় -The world is running out of antibiotics... Why? এন্টিবায়োটিকের কথা। প্রথম পর্ব
সূত্র --
Here's How Many Cells in Your Body Aren't Actually Human
BEC CREW Click This Link
. You’re Probably Not Mostly Microbes Click This Link
ছবির কৃতজ্ঞতা---
Dreamstime.com
এবং
DCEG - National Cancer Institute
০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ মশিউর রহমান,
সুন্দর বলেছেন, ইটের ঘরকে বালির ঘর বলা যাবেনা, বালির দানার সংখ্যা বেশি হলেও।
আরও বলেছেন, এখন থেকে কাজ হিউম্যান আর নন-হিউম্যানের অনুপাত ১:১০ থেকে ১:০ করার চেষ্টা থাকবে নিরন্তর তবে তো আপনাকে ঘটি প্যারেড করতে হবে রোজ...
২| ০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০০
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি ঠিক মতো উদাহরণ দিয়েছেন, জুল ভার্ণ ভাইরাস কোষ, ভেকটেরিয়া কোষ, ও হিউম্যান কোষ সম্পর্কে কিছু না জেনে, সায়েন্টিফিক বিয়ষের উপর লিখেছেন।
উনার সব পোষ্ট ভুলে ভরা থাকে সব সময়।
০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,
অনুগ্রহ করে জেনে রাখুন , জুলভার্ণ কোনও ভুল তথ্য দেননি। তিনি শুধু একটা জার্ণাল থেকে তথ্য নিয়ে ভাবানুবাদ করেছেন। ভুল যদি হয়েই থাকে তবে তার দোষ ঐ জার্ণালের। তবে তাদেরও যে খুব একটা দোষ আছে তা বলা যাবেনা। শুধু তাদের উপস্থাপনাটা বিভ্রান্তিকর। যেটা এই পোস্টে আমি পরিষ্কার করেছি। দেখে নেবেন। এবং এও লিখেছি -
জুলভার্ন হিউম্যান সাইন্স ম্যাগাজিনের 'হিউম্যান প্যারাইট' অংশ থেকে নিয়ে লিখেছেন। ঠিক আছে এবং তার নিজের ভাষান্তরেও কোন প্রমাদ নেই।
আশা করি, আপনার ভ্রান্তিও কেটে যাবে এখন।
৩| ০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
মানবকোষ গণণা সম্ভব নয়,তাই যে যেভাবে পেরেছে আনুমানিক ধরে নিয়ে যুক্তি দেখিয়েছে,ম্যাথ করেছে,ছাপিয়েছে ;সাধারণ মানুষের নাগালের জন্য এত সরলীকরণ করেছে যা মোটেও তেমন নয়। সায়েন্সের সূক্ষ্মতার ভিতরেই রহস্য।
০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্য সারমর্ম ,
মানবকোষ গণণা সম্ভব নয় বলেই একদম সরলীকৃত একটি অংক কষা হয়েছে। যেমন, কাওরান বাজারে বাজার করতে আসা মানুষের সংখ্যার সাথে বাজারে ওঠা তরী-তরকারীর সংখ্যা, মাছের সংখ্যার (ধুরা চিংড়ি সহ) অনুপাত করা হলে দেখবেন মানুষ আর মাছ-তরকারীর অনুপাত ১ : ১০০। তার মানে কি কাওরান বাজারে কোনও মানুষ নেই সবই মাছ তরকারী ????????
৪| ০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১০
আরইউ বলেছেন:
চমৎকার লিখেছেন। এসকল পরিসংখ্যানে শুভংকরের ফাঁকি থাকে আর টেকনিকাল জানাশোনা না থাকলে তা ধরা সম্ভব নয়।
ঐ পোস্টের বিপরীতে এক ব্লগার মাস্তানি-গুন্ডামি মার্কা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। তার এই পোস্ট পড়ে শিক্ষা নেয়া উচিত কিভাবে ভদ্র সমাজে যুক্তি উপস্থাপন করতে হয়।
১০০ ট্রিয়লন কোষের বিষয়টা এক্সেপ্ট বা রিজেক্ট করা বর্তমান বাস্তবতায় অসম্ভব। সমস্যা হচ্ছে মানবদেহের কোষ গননা করা আমাদের হাতে থাকা টেকনোলজি দিয়ে সম্ভব নয়। তারপর আছে কীভাবে “মানবদেহ” কে সংগায়িত করা হবে; মানবদেহে বসবাসকারী অন্যান্য নন-হিউম্যান সেলগুলোর কী হবে? তা কি গননায় যুক্ত হবে না বাদ যাবে?
৯০ ভাগ নন হিউম্যান সেলের বিষয়টাও মজারঃ আমার কাছে ধরুন ১,০০০ টাকার একটা নোট আছে আর আপনার কাছে এক টাকার ১,০০০ টা নোট আছে। মোট ১,০০১ টা নোটে ২,০০০ টাকা। বিষয়টা হচ্ছে এমন যে আমার আপনার নোট যোগ করে আপনার দাবী করা মোট টাকার (নোটের নয় কিন্তু) ৯৯.৯৯% আপনার!
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য। ভালো থাকুন, আহমেদ!
০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরইউ ,
যুক্তিযুক্ত চমৎকার একটি উদাহরণ দিয়ে করা মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি আগেই।
আসলেই হিউম্যান সাইন্স ম্যাগাজিননের লেখাটি শুভঙ্করের ফাঁকিটাকেই কাজে লাগিয়েছে। যেমন কাজে লাগিয়েছেন “ডোয়াইন স্যাভেজ”। যিনি ঐ ১ : ১০ অনুপাতের উদগাতা।
জানতে চেয়েছেন, মানবদেহে বসবাসকারী অন্যান্য নন-হিউম্যান সেলগুলোর কী হবে? তা কি গননায় যুক্ত হবে না বাদ যাবে?
মানব দেহ গঠনে এদের কোনও ভূমিকা নেই ( তাদের সিমবায়োটিক চরিত্র ছাড়া) তাই তাদের কে দেহ গঠনের গননায় ধরার কোনও সুযোগ নেই।
তাদেরকে গননায় তখনই ধারা যাবে যখন জানতে চাইবেন আপনার দেহ কতোখানি সুস্থ্য। তাদের উপস্থিতির কারনেই আমাদের বিভিন্ন রোগ-শোক হয়ে থাকে। পাশাপাশি এদের অধিকাংশই কিন্তু আমাদের উপকারী বন্ধু- "পেয়িং গেষ্ট" এর মতো। অনুগ্রহ করে পোস্টের শেষের লিংকটি দেখে নিলে আপনার জানতে চাওয়ার অনেক কিছুই পেয়ে যাবেন।
শুভেচ্ছান্তে।
৫| ০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৪
আরইউ বলেছেন:
এই রে গুন্ডাটা ভদ্রতা কী শিখবে এখনও অভদ্রের মত করে “সব পোস্ট ভুলে ভরা“ জাতীয় অতি সরলীকরণ করে যাচ্ছে। এই বস্তু মানুষ হবেনা!!
০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরইউ,
এই মন্তব্যটি পোস্ট সংক্রান্ত না হলেও একটা কথা বলি - দেখুন, যার সম্পর্কে বলেছেন তাকে কি এড়িয়ে যাওয়া যায়না ? তাকে তার মতো ব্লগিং করতে দিন। আমরা আমাদের মতো ব্লগিং করি। এটা ঠিক, তার অনেক মন্তব্যেই পোস্টদাতার মেজাজ ঠিক রাখা হয়তো সম্ভব নয় তাই বলে কি পোস্টদাতা সহ আমরাও তার মতো অবিবেচক হয়ে ভব্যতা বিসর্জন দিয়ে ফেলবো? এটা হলে তো তিনিই জিতে গেলেন।
তিনি হয়তো চাইছেন আমরা মেজাজ হারিয়ে ফেলি আর পরাস্ত হই। সেটাই যদি ঘটে তবে আসল হার-জিৎ কার সেটা ভেবে দেখতে বলি সকলকেই।
তার সকল অবিবেচনা প্রসুত কর্মকান্ডের পেছনে হৈ-চৈ করে আমাদের ব্লগিংয়ের আনন্দটাকে মাটি করছি কেন ? তিনি না হয় তার অমন ছেলেমানুষি কান্ডে খুশিই হচ্ছেন , তাই বলে তাকে খুশি হতে বাঁধা দিলেই তো তিনি আরও বেশি বেশি খুশির কান্ডে মেতে উঠবেন ছেলেমানুষেরা যেমন করে! আমরা তেমনটা করলে সেটা হবে " পাগলা সাক্কা লড়াইস না" র মতো!
তাকে মানুষ করার ঠিকাদারী তো আমাদের কারো নয়, তাইনা ?
বিবেচনা করি, সবাই ভেবে দেখবেন।
৬| ০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:২৪
সোনাগাজী বলেছেন:
@আরইউ,
আমার ২ লাইনের ১ মন্তব্যর বিপরিতে আপনাকে কমপক্ষে ৭/৮ লাইনের ১০/১২টি মন্তব্য করতে হবে; ইহাই আমার ব্লগিং'এর প্যটার্ণ।
০৬ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,
৭| ০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার 'ভুলে ভরা সব পোস্ট'বর্জন করার সুযোগ আছে।
০৬ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
কে কি বললো তাতে কি আসে যায় ?
ভুল যে আপনি করেন নি তা এই পোস্টের শুরুতে আর প্রতিমন্তব্যে আমি পরিষ্কার করেছি।
৮| ০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩১
আরইউ বলেছেন:
@সোনামনি,
ব্লগে কার এক কথা লিখতে ১০ টা মন্তব্য করতে হয় তা সবাই জানে। আপনার ব্লগিং প্যাটার্ন বস্তিবাসীর মত; তা নাহলে রেকর্ড সংখ্যক নিক হারাতে হতনা!!
@লেখক, দুঃখিত চমৎকার এই পোস্টের সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য। ব্লগগুন্ডাকে এই মন্তব্যের পর আর কোন মন্তব্যে এন্টারটেইন করা হবেনা।
০৬ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরইউ,
অনুগ্রহ করে ৫ নম্বর প্রতিমন্তব্যটি দেখুন .....
৯| ০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেশ, এবার বিষয়টি পরিষ্কার বুঝা গেলো।
+
০৬ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,
পাঠকেরা যাতে নিজেদের "নন-হিউম্যান" ভেবে কপাল চাপড়াতে না বসেন সেটা ঠেকাতেই বিষয়টি পরিষ্কার করতে হলো।
১০| ০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন......।
কিন্তু ভালো লিখেই তো লাগ ভেলকি লাগ তথা 'প্যানডোরার বাক্স' খুলে দিয়েছেন মনে হচ্ছে? এখন লে হালুয়া...?
যাই হোক...এই আলোচনার ফলে আমার মতো নাদানেরাও ফাঁকতালে কিছু জ্ঞান অর্জন করে নিলুম। আর এ জন্য আপনিসহ, ব্লগার জুলভার্ন, ব্লগার চাঁদ/সোনা/রূপা/তামা গাজী (পারডন)/ ব্লগার (কে তুমি...? )/ আরইউ প্রমুখদের অশেষ ধন্যবাদ। আমার নিজের নোংরা নাকটাও মনে হয় আলোচনার কোন অংশে অনিচ্ছাস্বত্তেও ঢুকিয়েছিলুম।
কথায় আছে না....দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তবে দাগই ভালো......?
০৬ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,
"দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তবে দাগই ভালো!"
এখানে একটা "যদি" আছে। দাগ থেকে ভালো হওয়ার কিছুই নেই। কবে শুনেছেন, যে দাগ থেকে ভালো কিছু হয় ? দাগ থেকে ভালো যা হবার তা হয় "সার্ফ এক্সেল" এর ব্যবসায়! আপনার আমার কপালে কালির দাগ লাগলে সে দাগ ভালো কিছু হবে কি করে ?
জ্ঞান অর্জন না করলে তো মূর্খই থেকে যাবেন তাই তো 'প্যানডোরার বাক্স' খুলতেই হলো।
নোংরা বা ধপধপে পরিষ্কার নাক কোথাও না ঢোকানোই বুদ্ধিমানের কাজ, নইলে নাকখানাই কাটা যেতে পারে......
১১| ০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: অবশেষে সেই আহমেদ জি এস ফ্লেভার পেলাম। মন্তব্য গুলোতে আগের মতো তৃপ্তি নেই।
০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভার্চুয়াল তাসনিম,
হা...হা.... আহমেদ জি এস ফ্লেভার !
মন্তব্য গুলোতে আগের মতো তৃপ্তি নেই। তাই কি ?
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
১২| ০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: ইংরেজিতে ''expertise'' বলে একটা কথা আছে। যার যে বিষয়ে পরিপুর্ন জ্ঞান আছে , একমাত্র তার পক্ষেই বলা সম্ভব সে বিষয়ে কোন তথ্য বিভ্রান্তিকর বা কোনটা সঠিক বা বেঠিক। ব্লগার জুলভার্নের পোস্টটি তাই আপনার পক্ষেই চুলচেরা বিশ্লেষন সম্ভব হয়েছে। দুঃখজনক যে এই ব্লগের জনৈক ব্লগারের কোন বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও সেই বিষয়ে আবোল তাবোল মন্তব্য করে ব্লগারদের চুরান্ত বিরক্ত করে ছাড়েন। এসব মন্তব্য পড়লে শুধু ছেলেবেলায় পড়া '' সবজান্তা শমশের'' এর কথা মনে পড়ে।
০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান ,
ধন্যবাদ সুবিবেচক এই মন্তব্যটির জন্যে। মন্তব্য লাইকড।
ব্লগ একটা বারোয়ারী মন্ডপ। এখানে যারা নৈবেদ্য দেয়ার তারা নৈবেদ্য দিয়ে যাবেনই। যারা দেখনেওয়ালা তারা দেখেই যাবেন। আর যারা হাঙ্গামা করনেওয়ালা তারা হাঙ্গামা করবেনই। এটাই বারোয়ারী মন্ডপের চরিত্র। এসব নিয়ে মাথা ঘামিয়ে নিজের শক্তি আর সময়কে ক্ষয় করার কোন মানে নেই!
১৩| ০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭
দ্বীপ ১৭৯২ বলেছেন: সুন্দর
০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: দ্বীপ ১৭৯২,
ধন্যবাদ ...............
১৪| ০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: যথাসময়ে পোষ্ট টি দিয়ে ভালো কাজ করেছেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
পোস্টটি দেয়ার প্রয়োজন ছিলো যাতে আমরা ঘাবড়ে না যাই।
ধন্যবাদ আপনাকেও মন্তব্যের জন্যে।
১৫| ০৬ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভেলকি তো পুরাই লাগায়ে দিছেন দেখা যায়!!!
০৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
ভেলকি আর লাগাতে পারলুম কই ? কিছু মন্তব্য দেখে আমিই তো ভলকিতে পড়ে গেছি....
১৬| ০৬ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫
রানার ব্লগ বলেছেন: পুরা বিষয়টা সম্পরকে এখনো লার্নার তাই কোন ঝামেলায় নাই ভুল না শুদ্ধ তাই বুঝি না !!!
০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: রানার ব্লগ,
লার্ণার হয়ে কিছু না কিছু তো লার্ণ করেছেন, তাই-ই সই............................
১৭| ০৬ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ। ব্যাপারটা ক্লিয়ার হলো। এ ব্যাপারে আপনার অগাধ জ্ঞান ও আগ্রহের কারণেই বিষয়টা এত প্রাঞ্জল বা বোধগম্য ভাষায় প্রকাশ করতে পেরেছেন।
প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই, একটা বিষয় জানার ছিল। মানুষের আচরণ বা অ্যাটিচ্যুডকে প্রভাবান্বিত করার জন্য কি এই প্যারাসাইটিকগুলোর কোনো ভূমিকা আছে? মানবদেহের কোন কোষ বা ক্রোমোজোম এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে? হয়ত এগুলো বেসিক প্রশ্ন, কিন্তু আমার জানা নেই বলেই আপনার কাছে জানতে চাওয়া।
অসাধারণ পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
মন্তব্যে আপ্লুত। একজন বিদগ্ধ ব্লগারের মন্তব্যই কোনও কোনও পোস্টের জৌলুস বাড়ায়।
"প্যারাসাইট" এর বদলে " মাইক্রোবস" এর ভূমিকা জানতে চেয়েছেন হয়তো।
মাইক্রোবায়োম ( আপনার শরীরের অনুজীবদের "জীন" ) নিয়ে গবেষণা এখন গরম একটি বিষয়। মুটিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দুঃশ্চিন্তা, ডায়াবেটিস, অটিজম সহ গুচ্ছের রোগ বালাইতে এই অনুজীবদের হাত আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আপনার "মুড" কে এরা প্রভাবিত করে। ভালো ঘুম হওয়ার সাথেও এদের একটা যোগসূত্র আছে। আপনার মস্তিষ্ক আর আচার-আচরণ অনেকটা এদের দ্বারাই চালিত হয় বলে ধারনা করছেন গবেষকরা।
অনুজীবদের ভালো দিকও আছে - যেমন, মায়ের বুকের দুধে যতো সুগার আছে তা কিন্তু বাচ্চাশিশুরা ভেঙে নিজেদের কাজে লাগাতে পারেনা। বাচ্চাশিশুদের অন্ত্রে (gut ) যে অনুজীবগুলো আছে তারা বাচ্চাদের জন্যে এই ভাঙনের কাজটি করে দেয়।
আপনার শরীরের ইমিউন সিষ্টেমকেও এই অনুজীবেরা প্রোগ্রামিং করে থাকে।
সাইকিয়াট্রিক অসুখগুলির উপরে চালানো মাইক্রোবায়োম গবেষণা তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। বেশির ভাগ ক্লিনিক্যাল রিসার্চগুলো মূলত বিশেষ কোন অনুজীব কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে উপরে পজিটিভ প্রভাব ফেলে তাতেই নিবদ্ধ।
এসব কি করে হচ্ছে, তা কিন্তু এখনও রিসার্চাররা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেন নি, আমি তো নস্যি! তাই বলতে পারবোনা মানবদেহের কোষ বা ক্রোমোজোম এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে কি করে না!
আশা করি, আপনার জানতে চাওয়া বিষয়ে খানিকটা আলো ফেলতে পেরেছি!
১৮| ০৬ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:২৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাল লিখেছেন
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাখাওয়াত হোসেন বাবন,
ধন্যবাদ।
১৯| ০৬ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪১
সোনাগাজী বলেছেন:
ব্লগার জুল ভার্ণের পোষ্টে আপনার জোক দেখলাম, স্কলারলী জোক।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,
থ্যাংকিউ..................
২০| ০৬ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @সোনাগাজীঃ অহেতুক অন্যের পিছে লাগার বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
অন্যকে সম্মান না করলে, নিজেরা সম্মান পাবেন না।
যদি কেউ ভুল বলে থাকেন, তাহলে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও যুক্তি দিয়ে প্রমান করুন বা ব্যাখ্য করুন। গণহারে বা মন চাইলে ওমুক ভুল তমুকের মাথায় কিছু নেই - এই জাতীয় বক্তব্য আমরা আর দেখতে চাই না।
সমস্যা হচ্ছে, আপনি সুস্থ হতে চাইলেও আপনার কতিপয় 'মগজ বিহীন' (আপনার ভাষায়) শিষ্যের প্রভাবে আপনার পক্ষে সুস্থ হওয়া অসম্ভব। আপনি অন্যকে গাছে উঠিয়ে নাচাতে গিয়ে এতটাই অন্ধ হয়েছেন যে, অন্যরা যে আপনাকে গাছে উঠে নাচাচ্ছে - সেই বিষয়ে কোন ধারনাই নাই। আপনি নাচুন সমস্যা নেই - কিন্তু যে ডালে নাচছেন, সেই ডালটি খুবই পাতলা এবং শুকনো।
এই ধরনের ডালে বসে নাচলে - ভালো ও সৎ পরামর্শ শোনা যায় না, দেখা তো দুরের ব্যাপার।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,
আশা করি যার উদ্দেশ্যে মন্তব্য, তিনি এটা দেখে থাকবেন ইতিমধ্যেই।
২১| ০৬ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৫৯
জিকোব্লগ বলেছেন:
@কাল্পনিক_ভালোবাসা,
সোনাগাজী নেচে যাবে কারণ আপনারাই উহাকে নাচের মঞ্চ দিয়েছেন।
আর আপনার উচিৎ কথা সোনাগাজীর নাচে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
উহা জানে সোজা আঙুলে না হলে বাঁকা আঙুলে নাচের মঞ্চটা উহা
পাবেই। তাই নাচের মঞ্চে উহা যেমন খুশি তেমন নাচতেই পারে।
এটাই সত্য সোনাগাজী দীর্ঘদিন নিয়মত বিনা পয়সার নেচে যাচ্ছে।
কাজেই, সোনাগাজী নেচে মজা পাচ্ছে , অন্যদিকে নাচের মঞ্চের মালিক
সোনাগাজীকে নাচিয়ে মজা পাচ্ছেন এবং আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জিকোব্লগ,
"কাল্পনিক_ভালোবাসা" আপনার এই মন্তব্যটি দেখেছেন এবং আপনার উদ্দেশ্যে আর একটি মন্তব্য করেছেন।
২২| ০৬ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:০৮
সোনালি কাবিন বলেছেন: ১) চমৎকার পোস্ট।
২) সবজান্তা সমশের গাজীর মান-সম্মান নাকি এত উঁচু ডালে অবস্থিত যে সাধারণ মানুষ উহা সহজে মচকাতে পারে না। তাই সমশের গাজীর মান- সম্মানও সহজে ধুলোয় লুটায় না।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনালি কাবিন,
মন্তব্যের ১ নম্বরটির জন্যে ধন্যবাদ।
২৩| ০৬ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @জিকো ব্লগঃ
আপনি যা বলেছেন তা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন। প্রথমত বাস্তবতা সম্পর্কে আপনার ধারনা নেই। ব্লগ আমাদের জন্য একটি বিশাল লস প্রজেক্ট। বছরের পর বছর আমরা এই ব্লগটিকে টিকিয়ে রেখেছি আপনাদের মত প্রকাশের জন্য। কেউ মত প্রকাশের নামে হাস্যকর আচরন করে আবার কেউ মত প্রকাশের নামে উল্টো আমাদেরকে দোষারপ করে।
আমরা কাউকে নাচিয়ে মজা পাচ্ছি না। আমরা কাউকে নাচাই না। বরং অনেক ব্লগার তাঁকে ব্লগ থেকে সরাতে গিয়ে যে অপরাধ করেছেন সেই অপরাধের তুলনায় তাঁর এই ধরনের আচরন নস্যি। অনেক শিক্ষিত লোক এই আচরনের সাথে যুক্ত। ব্লগে এখনও কেউ ইতিবাচক সমালোচনা গ্রহন করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়। কেউ কারো সমালোচনা করলে আমরা এখনও অনেকের কাছ থেকে ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক অভিযোগ শুনি। যা হাস্যকর ও অপরিপক্ক মানসিকতারই প্রমান।
ব্লগার চাঁদগাজীকে কঠোর সমালোচনার জন্য ব্যান করা হয় নি, ব্যান করা হয়েছে কঠোর সমালোচনার নামে কুৎসিত ব্যক্তি আক্রমন, ব্লগ নীতিমালা প্রতি নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ না থাকা এবং ব্লগে কিছু মানুষের কাছে পীরবাবা হয়ে উঠার জন্য।
তিনি যদি ব্যক্তি আক্রমন বাদ দিয়ে সঠিক এবং স্বাভাবিক কঠোর সমালোচনার অভ্যস বজায় রাখতেন তাহলে হাজার অনুরোধেও তাঁকে ব্যান করা হতো না।
অনুগ্রহ করে বিষয়টি বুজুন! তাঁকে কেন ব্যান করা হয়েছে। আমরা যেহেতু বর্তমানে এই ধরনের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করছি এবং পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগে প্রশাসন থেকে বেশ নজরদারীতে আছে, তাই আমরা কোন ধরনের অশালীন, অন্যায় এবং নীতিমালা বহির্ভুত আচরনকে সমর্থন করব না।
আর সোনাগাজীর যে মঞ্চে নাচেন, সেই মঞ্চে আপনিও কথা বলেন এবং যে সুবিধার জন্য আমাদের ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অভাবনীয় স্যাক্রিফাইস করতে হচ্ছে - যার কোন মুল্যায়ন নেই এবং আমরা তা আশাও করি না।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,
পোস্ট বিষয়ক না হলেও বিশ্বাস করি, এই মন্তব্যে আপনি যা বলেছেন তাই-ই সঠিক।
"জিকো ব্লগ" নিশ্চয়ই আপনার বক্তব্যটি দেখে থাকবেন!
২৪| ০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জী এস ভাই কয়েকদিন যাবত এই কোষ
নিয়ে গুরু গম্ভীর আলোচনায় আমি আমার
নিজের কোষের হিসাব মিলাতে হিমশিম
খাচ্ছি!
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু,
হিসেব মেলাবেন কি করে ? প্রতি বার মলত্যাগে আপনি কতো বিলিয়ন নন- হিউম্যান কোষ কমোডে বিসর্জন দিচ্ছেন তার হিসেব থাকলে আপনার নিজের কোষের হিসেব মেলানো সহজ ........
২৫| ০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
২৬| ০৭ ই জুন, ২০২২ ভোর ৪:৩৭
ল বলেছেন: লে হালুয়া!!!!
@ আর, ইউ এর সাথে একমত
বিষয়টি নিয়ে পরিস্কার বিজ্ঞান সম্মত আলোচনার জন্য।
দুটি পোস্ট পড়েছি একজনের উপস্থাপনা সাবলীল অন্যজন শুধু একাডেমিক প্রকাশনা থেকে লিখেছেন।
ধন্যবাদ রইলো।।
১০ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,
আমার মনে হয়, এবার অনেকের ভ্রম কাটবে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে তবে আমি দুঃখিত জবাব দিতে দেরী করে ফেলায়!
শুভেচ্ছান্তে।
২৭| ০৭ ই জুন, ২০২২ ভোর ৫:৩৭
সোনাগাজী বলেছেন:
হিউম্যান সেল নিয়ে লেখা ব্লগার জুল ভার্নের পোষ্টে যে, লজিক্যাল সমস্যা আছে, উহা আপনি নিজর থেকে টের পেয়েছিলেন, নাকি আমার পোষ্ট দেখে বুঝতে পেরেছিলেন?
১০ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,
দুঃখিত। জ্বি না! আপনার পোস্ট নজরে আসেনি ।
নিজের থেকে লেখা।
২৮| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ৭:৪৯
সোহানী বলেছেন: জ্ঞানীদের আলোচনায় মূর্খরা অংশ নেয়া ঠিক না ।
জুলভার্ন ভাই এর লিখাটা পড়ে আসলাম। তারপর আপনার লিখাটা পড়ে ব্যাখ্যা বোঝার চেস্টা করলাম। কান মাথা সব কিছুর উপর দিয়ে গেছে। তাই ও্টা নিয়ে আপাতত: কোল্ড স্টোরেজ এ রাখলাম। যখন অঢেল সময় হাতে পাবো তখন চিবিয়ে চিবিয়ে পড়ে বুঝে নিবো ।
কি খবর বলেন? কবে আবার আসবেন আম্রিকা? আপনার বাড়িতে কে থাকে এখন। এক সামারে আপনার বাড়িতে যেয়ে উঠবো কিন্তু
১০ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
মূর্খরা যদি জ্ঞানীদের আলোচনা না শোনে বা অংশগ্রহন না করে তবে মূর্খ থেকে জ্ঞানী হবেন কি করে ????
এত্তো সোজা আংকটাও যদি কান- মাথার ওপর দিয়ে যায় তবে কোল্ড স্টোরেজে জমা কেন, কানাডার রাস্তায় জমে থাকা বরফে রাখলেই তো চলে!!!! রাস্তায় যেতে যেতে বাদাম ছিলে খাওয়ার মতো সেখান থেকে খাবলা খাবলা জ্ঞান তুলে চিবানো সহজ হয়না ?
আমার বাড়ীতে ? এখন থাকেন আমার হোম মিনিষ্টার আর তার পি এস, আমার বড় নাতী।
এক সামারে কেন ? সব সামারেই আমার বাড়িতে যেয়ে উঠতে পারেন , নেমা প্রবলেমা। আহলান ওয়া সাহলান.....
২৯| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩০
নিমো বলেছেন: দুর্দান্ত বিশ্লেষণ করেছেন। বিজ্ঞান আর জনপ্রিয় বিজ্ঞান এক নয়। বিজ্ঞান হচ্ছে নানা গাণিতিক সমীকরণ সমৃঁদ্ধ তথ্যাবলী, অন্যদিকে জনপ্রিয় বিজ্ঞান হচ্ছে সাধারণ পাঠক বা দর্শকের উদ্দেশ্যে সহজবোধ্য ভাষায় বিজ্ঞানকে তুলে ধরা। এর উদ্দেশ্য হয়তো ভালোই ছিল, তবে যন্ত্রণা হয় যখন কিছু মূর্খ অমুক বইয়ের তমুক এনক্রিপ্টেড বাক্যের মধ্যে আস্ত গাণিতিক সমীকরণ সমৃঁদ্ধ তথ্যাবলী খুঁজে পাওয়া শুরু করেন।
১২ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নিমো,
বিশেষায়িত মন্তব্য করেছেন। তবে দেরীতে জবাব দেয়ার জন্যে দুঃখিত!
বিজ্ঞান সব সময়েই নানা গাণিতিক সমীকরণ , তার পরীক্ষন, তার পর্যবেক্ষন, তার নিরীক্ষন সমৃদ্ধ তথ্যাবলীর সংগঠন।
জীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক অধ্যায় এটাই যে, যতো দ্রুততার সাথে সমাজ বুদ্ধিবৃত্তি আয়ত্বে আনছে তারচেয়েও দ্রুততার সাথে বিজ্ঞান আহরণ করছে জ্ঞান। তাই বিজ্ঞানকে সহজবোধ্য করে না তুললে তা যতোই অধরা থেকে যাবে, সমাজ বুদ্ধিবৃত্তি আয়ত্বে আনতে ততোই ব্যর্থ হবে।
সে কারনেই অমন সহজবোধ্য করে লেখা।
৩০| ১০ ই জুন, ২০২২ রাত ১:২১
গরল বলেছেন: ইউএস সরকারের National Library of Medicine এর তথ্য মতে মানব দেহে ৩৭.২ ট্রিলিয়ন কোষ আছে, যেটা সম্পূর্ণ নিজের।
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/23829164
তবে এটা ঠিক, সংখ্যার বিচার না করে এখানে ভরের বিচার করাটা যুক্তিসঙ্গত। বিবিসি রিপোর্টে বলছে more than half of your body, সেটাও সংখ্যার বিবেচনায় (total cell count)। নিজের শরীরের কোষ ৪৩%।
https://www.bbc.com/news/health-43674270
ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত লেখার জন্য, না হলে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যেত।
১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: গরল,
"বিবিসি রিপোর্টে বলছে more than half of your body..."
এখানেও প্রমাদ আছে বলে মনে হয়। কারন , আপনার আকৃতিটি কেবল “হিউম্যান সেল” দিয়েই রচিত। আপনার হাত-পা -নাক-কান-পেট বুক সবই “ মানব কোষ” । জীবানু কোষ দিয়ে আপনার হাত-পা, আকৃতি তৈরী হয়নি। তাহলে "more than half of your body" হবে কেন ? এর মানে তো, আপনার শারীরিক আকৃতির অর্ধেকটাই "হিউম্যান সেল" নয়। বিজ্ঞান কিন্তু তা বলেনা।
লেখায় এ ব্যাপারে উদাহরণ দিয়েছি- ভুলটা কোথায়।
এটা বলাই যুক্তিযুক্ত হতো যে, মানুষের শরীরে বসবাসকারী অনুজীবের সংখ্যা মানুষের কোষ সংখ্যা থেকে বেশি।
৩১| ১০ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৪২
সাসুম বলেছেন: কি চমৎকার একটা পোস্ট! একটা পোস্ট এসেছিল ভুল ইন্টারপ্রিটেশান নিয়ে, একটা পালটা পোস্ট এসেছিল আগের পোস্টের ভুল বের করতে চেয়ে এবং সব গুলা জগাখিচুড়ি কে ফিল্টার করে একটা জটিল পোস্ট এটা।
হ্যাটস অফ জি এস ভাই
১২ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাসুম,
মন্তব্যে আপ্লুত। এবং লাইকড।
মানুষের কোষ আর নন-হিউম্যান কোষের সংখ্যার ব্যাপারটিকে উৎসাহী কেউ কেউ অতিসরলীকৃত “কোয়ান্টিটেটিভ” দৃষ্টিতে বিবেচনা করে আসলেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছেন। তারা একদম সরলীকৃত একটি অংক কষে ফেলেছেন যেখানে কাওরান বাজারে বাজার করতে আসা মানুষের সংখ্যার সাথে বাজারে ওঠা মাছের সংখ্যার অনুপাত করা হয়েছে। যাতে পাবলিককে বোঝানো যায়, কাওরান বাজারে মানুষ নেই আছে শুধু মাছ আর মাছ! এটাই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
সব ভ্রান্তিই চলে যেতো যদি কোষ সংক্রান্ত ব্যাপারটি নিয়ে বলা হতো - মানুষের শরীরে বসবাসকারী অনুজীবের সংখ্যা মানুষের কোষ সংখ্যা থেকে বেশি।
৩২| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৩০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার বায়োলজি রিলেটেড পোস্টগুলো আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়ি, অনেক কিছু জানা যায়। এভাবে সায়েন্টিফিক জার্নালে ভুল তথ্য ছাপাচ্ছে আর আমরাও তাই গিলছি!!!
১৪ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা,
আপনার আড়্রহের কথায় কৃতজ্ঞ!
সায়েন্টিফিক জার্নালে ভুল তথ্য ছাপাচ্ছে না, তারা তথ্য কে টুইষ্ট করে পাঠকের দৃষ্টি কাড়ছে যে কথা মুল পোস্টেও বলা আছে। আর সে সব টুইষ্ট দেখে, আমি তুমি আমরাও পুলকিত হচ্ছি, শিহরিত হচ্ছি।
৩৩| ০১ লা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২২
রোকসানা লেইস বলেছেন: কঠিন একটা যান্ত্রিক ব্যবস্থা এই শরীর জুড়ে। নিজেরাই জানি না কেমনে কিভাবে চলছে। অথচ তার উপর ভিত্তি করে বেশ চলছি।
শরীরে কি আসলে মন আছে বুকের বাম পাশে যা নিয়ে আমাদের সব চেয়ে বেশি ভাবনা?
খুব সুন্দর সহজ করে কঠিন কিছু বিষয় বুঝিয়ে দিলেন।
ভালোলাগল
০৩ রা জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস ,
এই শরীরটা আসলেই অদ্ভুত জটিল একটা যান্ত্রিক ব্যবস্থা!
প্রশ্ন রেখেছেন - শরীরে কি আসলে মন আছে বুকের বাম পাশে যা নিয়ে আমাদের সব চেয়ে বেশি ভাবনা?
বুকের বামপাশে যে জিনিষটি আছে তার নাম হৃদপিন্ড বা হার্ট। এটি রক্ত সঞ্চালন যন্ত্র। মন নয় কিছুতেই । মন একটি সম্পূর্ন আলাদা কিছু, একধরনের অনুভূতি। মন বলতে আমরা যা বুঝি তা নিয়ন্ত্রিত হয় আমাদের মস্তিষ্ক দ্বারা। মস্তিষ্কের বায়োকেমিক্যাল আর ইলেট্রিক্যাল কার্যকলাপের সমন্বয়ে শরীর অভ্যন্তরে যা ঘটে তা যদি জানা থাকে তবে মনটাকে বুঝতে পারা যাবে সহজেই।
আমার মনে হয় নীচের এই লিংকটিতে গেলে মন নিয়ে ভাবনার কিছু পাবেন-----
ঠিক দুক্কুর বেলা ভুতে মারে ঢিল....
৩৪| ১০ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ঈদ মুবারক শ্রদ্ধেয় ব্লগার।
১৩ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,
প্রিয় ব্লগার! আপনার পরিবারের সবাইকে সহ আপনাকেও ঈদের বিলম্বিত শুভেচ্ছা.......................
৩৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণসহ প্রাঞ্জল ভাষায় সুলিখিত একটি পোস্ট। এতটাই প্রাঞ্জল, যে এ পোস্ট পড়ে না বোঝার মত আমি কোন কিছু পাই নাই।
পোস্টে চতুর্দশতম প্লাস। + +
৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
আমরা সাধারণ ব্লগারেরা তো সব বিষয়েই সবজান্তা নই তাই এমন জটিল বিষয়গুলো প্রাঞ্জল ভাবে তুলে সবার বোধগম্য না করতে পারলে ব্লগ পোস্ট দিয়ে লাভ কি ? এ ভাবনা থেকেই সরল বাক্যে, রসালো করে লিখতে সচেষ্ট থাকতে হয়।
পোস্টে প্লাস দেয়াতে কৃতজ্ঞ। স্বাগতম দেশের মাটিতে..............
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তাই তো একটা ইটের ঘরে ইটের চেয়ে বালি সংখ্যা অনেক বেশি তাই বলে তাকে বালির ঘর বলা যায়না বা বলা হয়না তেমনি ভাবে জীবের দেহ পুরোটাই নন-হিউম্যান প্যারাসাইটিক নয় আপনার পোস্ট থেকে জেনে ভালো লাগলো ; এখন থেকে কাজ হিউম্যান আর নন-হিউম্যানের অনুপাত ১:১০ থেকে ১:০ করার চেষ্টা থাকবে নিরন্তর ।