নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবেকুব জাতক কথন – এগারো ।। বলির পাঠা.......

১৯ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ঝুলে থাকা মৃত্যু ?
ছবি - কৃতজ্ঞতা ও সৌজন্যতায় “প্রথম আলো”


বেকুব হয়ে যা্ওয়ার মতোই কথা বটে! উত্তরা দুর্ঘটনায় হত্যাকান্ড নিয়ে সড়ক মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র কেউ একজন বলেছেন - ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে মন্ত্রনালয় নাকি জিম্মি। কেমনে কি !!!!!!!! মহাবেকুব বলেই হয়তো বুঝিনে, সরকারের সাথে করা আন্তর্জাতিক একটা চুক্তিতে ঠিকাদার কি করে দায়ভার ছাড়াই আপারহ্যান্ডে থাকে! কেউ বুঝিয়ে দেবেন ?
ওদিকে আবার সড়ক সচিব বলেছেন - নিয়মানুযায়ী কাজ করতে হলে আগের দিন তারা একটি ওয়ার্ক প্ল্যান দেবে, তাদের কতজন লোক থাকবে, কতগুলো ক্রেন লাগানো হবে, পুলিশকে জানাবে। গতকাল ঠিকাদার এগুলো না করেই কাজটা করেছে। কোনো অবস্থাতেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে এ ধরনের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি তো বলেই খালাস।
বাস্তবে মহাবেকুব তাহলে শুধু এয়ারপোর্ট থেকে আবদুল্লাহপুর পর্য্যন্ত ( বাকী কিলোমিটারের পর কিলোমিটারের কথা না হয় বাদই দিলুম) গত দশ বছর ধরে কি দেখছে চর্মচক্ষে ? কোন শুক্রবার কিম্বা ছুটির দিনগুলোতে কি কাজ কখনও বন্ধ ছিলো ? ছিলো কি তেমন কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ? আপনারাও কি ওসবের কোনো আলামত দেখেছেন ?

কোথায় পথ, চলাচলের রাস্তা ? নিরাপত্তাই বা কোথায় ?
ছবি - কৃতজ্ঞতা ও সৌজন্যতায় “প্রথম আলো”


মহাবেকুব বলেই হয়তো অতোশত হিসেব রাখতে পারিনি! হিসেব রাখার কথা তো কাজের তদারকিতে নিয়োজিত সরকারী বেতনভূক কর্মচারীদের! কিন্তু তারা নিজেরাই এখন একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত। বিআরটি কর্তৃপক্ষ এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রশি টানাটানি করছেন দুর্ঘটনার জন্য দায় কার তা নিয়ে । দায়ী করছেন পরস্পরকে ।

এদিকে আবার সড়ক পরিবহন ও মহা সড়ক বিভাগের সচিব তদন্ত করে ৪ টি কারন পেয়েছেন। দুর্ঘটনার জন্যে ১০০ ভাগ দায়ী নাকি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিকে নাকি ব্লাক লিষ্টেড করা হবে, শাস্তিও দেয়া হবে। এখন বেকুবী যে ভাবনাটা মাথায় আসে সেটা হলো – তবে সেই প্রতিষ্ঠানকে কাজের অনুমতি দেয়া সরকারকেও তাহলে কালো তালিকায় ফেলতে হয় , শাস্তি দিতে হয়! কারন সরকার তো এখানে হুকুমের আসামী! এইসব তুঘলকি কান্ড দেখে এমন বেকুবী ভাবনা হয়তো আপনারও হবে । শুধু বলেন না এই ভয়ে যে, তাতে আপনার গায়ে উন্নয়ন বিরোধী ট্যাগ মারা হবে।

এক টক-শো’তে দেখলুম, হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ এর সভাপতি এ্যাডভোকেট মনজিল মোর্শেদ এমন কথাই বলেছেন।
অবাক করা ব্যাপারটা হলো, এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বলেছেন - কোনো ভাবেই নাকি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটিকে কথা শোনানো যায়নি। লাইনে আনা যায়নি। তাই কাজটি যাতে তাড়াতাড়ি শেষ হয় সে জন্যে তিনি নাকি গা-ছাড়া দিয়েছেন, কিছু বলেন নি, বলছেনও না।
ভালো ....... ভালো ! মহাবেকুব গালে হাত দিয়ে ভাবতেই পারে, এই না হলে পরিচালক! তিনি তো বেকুবীতে এই মহাবেকুব জাতককেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন!!!!

এসব কেচ্ছা কাহিনী নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে দেখছি গত ক’দিন ধরে লাগাতার প্রশ্ন আর অবাক হওয়ার মতো কথাবার্তা বলাবলি হচ্ছে। এই লেখার শুরু থেকে ব্লগে পোস্ট দেয়ার সময়ের মধ্যে হয়তো কথাবার্তার জল আরও অনেক দূর গড়াবে। যুদ্ধ যা এখানেই। ওদিকে খালি মাঠে যারা গোল দেয়ার তারা তা দিয়ে যাচ্ছে কোনো যুদ্ধ ছাড়াই। মহাবেকুবীয় শাস্ত্রে এটাই বাস্তবের অসহায় সংস্কৃতি।

একটি টক-শো’তে দেখলুম তদন্ত রিপোর্টের ব্যাপারে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট এর সভাপতি, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন তার পর্য্যবেক্ষনে অনেকটা এমন বলেছেন –
সরকারী আমলাদের চরিত্র প্রকাশিত হয়ে যাবার ভয় আছে বলেই কখনও তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়না। প্রতি নিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে আর “তদন্ত” শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারলেও ক্ষতিপূরণ আদায়ের বদলে সময় আর অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা কি বরাদ্দ বৃদ্ধি করার জন্যেই সময় বাড়িয়ে দেয়ার খেলা ? চুক্তিবদ্ধ কাজের সময়সীমা পেরিয়ে গেলে যেখানে ঠিকাদারের উপর ক্ষতিপূরণ ধার্য্য হয়, সবাইকে তাজ্জব করে সেখানে তাকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে দ্বিগুন বরাদ্দ দিয়ে। এই বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্যে ঠিকাদার নিয়মিত চাঁদা দিয়েছে , ঘুষ দিয়েছে। চাঁদা বা ঘুষ প্রদানকারীদের জাবদা খাতায় হয়তো দিন তারিখ, পরিমান সহ সব হিসেবই আছে। আছে বলেই সবার চেহারাটা ধরা পড়ার ভয়েই তদন্ত রিপোর্টগুলো কখনই আলোর মুখ দেখেনা।
কথাগুলো একেবারেই ফেলনা কি ?

যা-ই হোক, সচিব মহোদয় তদন্ত করে যে ৪ টি কারন পেয়েছেন তাতে সুরক্ষা আর নজরদারীতে যারা ছিলেন তাদেরও দায়ী করেছেন। বিআরটিএর পিডি তো পাবলিকলি বলেছেন, তারা এর দায় এড়াতে পারেন না । দায় মেনে নিলে তাদের গ্রেফতার করা হলোনা কেন ? কেন নজরদারীর দায়িত্বে থাকা রাঘব বোয়ালদের ছেড়ে নেহাৎ চুনোপুটিদের কোরবানী করা হলো ? কেনো বানানো হলো বলির পাঠা ? তাদের রাজনৈতিক প্রটেকশন নেই বলে ? টাকা এবং পেশীর জোর নেই বলে ? না কি হতভাগ্যরা নেহাৎ গরীব বলে ?
এব্যাপারে এই মহাবেকুবকে কেউ একটু জ্ঞান দান করবেন কি ?


টক-শোগুলো থেকে যা জানতে পেরেছি -
ইন্টারন্যাশনাল বিডিং বা কন্ট্রাক্টগুলো কঠিন হয়। সকল বিষয়ে বিশেষ করে নিরাপত্তার বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ লেখা থাকে।
আলোচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে করা এগ্রিমেন্টের – আর্টিকেল ২৭ এ বলা আছে – সেফটি সিকিউরিটি এ্যান্ড প্রটেকশন অব এনভায়রনমেন্ট ক্লজ অনুযায়ী ঠিকাদার ফার্ম কর্মে নিযুক্ত সকলের এবং কাজটির সাথে সংশ্লিষ্টদের এবং কর্মক্ষেত্র এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। এবং তা নিজের খরচে। গার্ড, ফেনন্সিং, ওয়ার্নিং লাইট সহ নিরাপত্তার সকল ধরনের ব্যবস্থা করবেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকতে হবে কাজের এলাকা জুড়ে। এজন্যে কনসালট্যান্ট নিয়োগও করা হয়। সেফটি মেজার নেয়ার কম্পনেন্টের ভেতরই এসবের মূল্য নির্দ্ধারণ করে কোটেশন দিয়েই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছেন। এক্ষেত্রে উদার হয়ে সরকারও নাকি নিরাপত্তা খাতে প্রতি কিলোমিটারের জন্যে ১ লাখ করে টাকা দিয়েছেন।
কেন ??
সে নিরাপত্তা কারা হযম করেছেন ? বেকুব কেবল এই জাতকই নন, হযমকারীরা সব আম-পাবলিককেই দৃশ্যত বেকুব বানিয়েছেন!

এই হলো নিরাপত্তা ব্যবস্থার হাল !!!!
ছবি - কৃতজ্ঞতা ও সৌজন্যতায় দৈনিক “ইনকিলাব”


এরকম এগ্রিমেন্ট যদি না থাকে তবে মহাবেকুবের এমন ভাবনা কি অপরাধ হবে যে, সরকার নিজেই সকল দুর্ঘটনার জন্যে দায়ী? কারন সে ঠিকাদারকে এমন একটি কাজ দিয়েছে যেখানে ঠিকাদারের কোন দায়িত্ব নেই। সরকার অর্থ দেয় সব কিছু দেখভাল করার জন্যে্। কাজের মান, চুক্তি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা দেখার জন্য হাইলি এক্সপার্টদের নিয়োগ দেয়া আছে । চব্বিশ ঘন্টা যানবাহন আর মানুষের ভীড়ে জমজমাট একটা মহা সড়কে এরকম একটি হুলুস্থুলু কাজের পরিদর্শন কি তারা নিয়ম মাফিক করেছেন ? চুক্তির টার্মস এ্যান্ড কন্ডিশনগুলো প্রতিদিন মেনে চলা হচ্ছে কিনা সেসব তদারক করেছেন ?
করেননি বলেই বেশ কয়েকটি দূর্ঘটনা ( ? ) ঘটে গেছে প্রকল্প এলাকায়। একমাস আগেও গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় উড়ালসড়কের লঞ্চিং গার্ডার পড়ে এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন । আর কর্তৃপক্ষ প্রতিবারই চর্বিত চর্বন করে বলে গেছেন- “ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে আমরা তেমন ব্যবস্থা নেব।”

মহাবেকুব ভেবে পায়না, চার বছরে শেষ হবার চুক্তি থাকলেও কেন বছরের পর বছর ধরে বাস র্যা পিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পটির কাজ চলছে ! বিভিন্ন অজুজাতে প্রকল্পের ডিপিপি এ পর্যন্ত চার দফা সংশোধন করা হলেও কাজ এখনও চলছে । শুধু সময় আর ব্যয় বাড়ছেই দিন দিন। ভোগান্তিও শেষ হচ্ছে না বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত চলাচলকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষের। চার বছর সময়ের জায়গায় সময় বেড়ে দশ বছর হয়েছে তবু শেষের দেখা নেই।
কেন?
কারন ২০১২ সালে ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়ার পরে তা সময় মতো শেষ হয়ে গেলে দফায় দফায় সময় আর প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৪হাজার ২৬৮কোটি টাকায় আর কিভাবে নিয়ে যাওয়া যেত? প্রকল্পের লোকজন চতুর আর বুদ্ধিমান বটে!

এখন প্রশ্ন হলো ; ক্রেনের ক্ষমতা কতো, ক্রেন কে চালাচ্ছিল, কার লাইসেন্স আছে কি নেই, কয়জনের কাজ করার কথা আর করেছেই বা কয়জনে এসব বকাওয়াস কপচানো হচ্ছে কেন ? ঠিকাদার তো চাইবেই ফাঁকি আর গোঁজামিল দিয়ে তার পকেট বোঝাই করতে। মর্মান্তিক ঘটনাটা ঘটার অনেক আগেইতো এসবের তদারকি করার কথা ছিলো ।

তা হলে এই নেগলিজেন্স কিলিং এর দায়ভার কার ?

মহাবেকুব বলেই বলতে হয় – এর দায়ভার হুকুমের আসামী সকলের। প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সড়ক পরিবহন ও জনপথ অধিদপ্তরের, , বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের, বিআরটি কর্তৃপক্ষের, ঠিকাদারের আর সর্বোপরি সরকারেরও।

সরকার তাহলে কি নিজের বিচার করবেন ? না। সরকার যা পারেন তা হলো, নিরিহ, খেটে খাওয়া মানুষগুলিকে বলির পাঠা না বানিয়ে দায়ী সকল রাঘব বোয়ালদের অবহেলা বা গাফিলতির কারণে মৃত্যুর বিচারের আওতায় এনে আইন অনুযায়ী কোরবানী দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সে কথাই বলেছেন সম্প্রতি।
আশায় আছি, দীর্ঘসূত্রিতা না করে এবার তিনি যেন তা তড়িৎ করে উঠতে পারেন!



ছবির কৃতজ্ঞতা ও সূত্র – প্রথম আলো, দৈনিক ইনকিলাব, ৭১ টিভি, ডিবিসি টিভি,

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৬

পোড়া বেগুন বলেছেন:
সরকার ঠিকাদার, তেল ব্যবসায়ী, পরিবহন এমনকি
মুরগী ব্যপারীর কাছে জিম্মি তখন আমজনতার কি
অবস্থা তা সহজেই অনুমান করা যায়।

১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: পোরা বেগুন ,



পোড় খা্ওয়া অভিজ্ঞতার মন্তব্য।
প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ এবং আমার ঘরে স্বাগতম।।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৪

ককচক বলেছেন: সরকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বন্দী হয় ক্যামনে? এমন বেকুবি কথাবার্তা একমাত্র বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে বলা সম্ভব।

আসলে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য অনেককেই সুযোগ সুবিধা দিতে হচ্ছে, দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সুযোগ নিচ্ছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ককচক ,





সরকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বন্দী হয় ক্যামনে?
মহাবেকুব বলে সেটা বুঝতে না পারার জন্যেই আপনাদেরকে বলেছি বুঝিয়ে দিতে.... :(

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যাদের ক্ষতি হয়েছে বা যার মারা গেছেন, তাদের ক্ষতি কোনোদিন পূরণ হবার নয়। কোনো আইন আদালত দিয়েই তা হবে না।

এখন টক শো, প্রিন্ট মিডিয়া, প্রেস ব্রিফিঙে একের দোষ অন্যের উপর চাপানোর ক্রিয়া চলবে বেশ কিছুদিন, যদ্দিন অন্য ইস্যু সামনে না আসে। তারপর এসব ঢাকা পড়ে যাবে অন্য ইস্যুর মতোই।

তবে, তিনি সত্য কথাই বলেছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে সবাই জিম্মি। এর কারণ খুঁজতে গেলেই বিষয়টা ক্লিয়ার হবে ভালো করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কে?

১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,




............... তারপর এসব ঢাকা পড়ে যাবে অন্য ইস্যুর মতোই।

মহাবেকুবীয় শাস্ত্রে এটাই বাস্তবের অসহায় সংস্কৃতি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম - চায়না গেজহুবা গ্রুপ। তবে স্বত্বাধিকারী কে, জানা নেই।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে সবাই জিম্মি। এর কারণ খুঁজতে বেশীদূর যাবার দরকার নেই , শুধু "টু পাইস"এর ব্যাপার স্যাপার মনে রাখলেই চলবে!

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৩

কামাল৮০ বলেছেন: চুক্তিপত্র যারা তৈরি করে তারা টাকা খেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কিছু সুবিধা পাইয়ে দেয়।তারা ভাবে দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কামাল৮০,




সে কারনেই আমরা বরাবরই দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে থাকি..................

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে এই প্রথম একটা বস্তুনিষ্ঠ লেখা পড়লাম। এই ধরনের রিপোর্টিং এর দ্বায়িত্বটা ছিল মিডিয়ার কিন্ত তারা সেটা করেনি বরং দুর্ঘটনায় মৃৃত একজনের আট স্ত্রীর কাহিনী অধিক হারে হাইলাইট করেছে । বেকুব জনগন এই আট স্ত্রীর কাহিনী নিয়েই ব্যস্ত ছিল।

২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,




মিডিয়া ব্যস্ত থাকে তাদের টিআরপি বাড়াতে, নিত্য নতুন আলতু ফালতু বিষয়গুলিকেও ফুলিয়ে ফাপিয়ে রগরগে করে তুলে ধরে।
আর পাবলিকও এসব খায় খুব। একটি খবরের অন্দর-বাহির- চারিপাশ নিয়ে ফলোআপ করার সংস্কৃতি আমাদের মিডিয়াগুলোর নেই। যা ঘটলো তা-ই লেখে। কেন ঘটলো, কিভাবে ঘটলো, ঘটনার অনুঘটকগুলো কি, এর সুদুর প্রসারী ফলই বা কি তা লেখার কথা তাদের মনেই পড়েনা!

মন্তব্য লাইকড।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমার নির্মানাধীন না আস্ত উড়াল সেতুর তলা দিয়ে যাবার সময়ও মনে হয় মাথায় এখুনি ভেঙ্গে পড়লো। এই সেতু এবং যারা বানায় তাদের আশে পাশে উপরে নীচে যারা থাকে তাদের কাউকেই আমার কোনোই বিশ্বাস নেই।

২০ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,




উড়াল সেতুর চেহারা আর পরিপার্শ্বের যা অবস্থা তাতে নীচ দিয়ে যাবার সময় অমন চিন্তা মাথায় আসা অমূলক নয়।

সব কিছুতেই "বিশ্বাসের মা"কে আগেই মেরে ফেলা হয়...... :|

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই বেহেশতে থাকতে চাইছিনা,একটা গন্ধম ফলের সন্ধান দেন!

২০ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন,



গন্ধম ফল এখন নিজেই ভেজালের চোটে "গান্ধা" হয়ে গেছে। কাজ হবেনা। ওটা খেলে পৃথিবীতে না, সরাসরি হাবিয়া দোযখে গিয়ে পড়বেন। তার চেয়ে এই বেহেশতেই থাকুন। সত্তরটা না হোক সাতটা হুরের সঙ্গ লাভ হলেও হতে পারে..... :-P

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভাইজান। যে সরকার জনগণের সরকার নয় সেই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়। এই সরকারের উৎস কি তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা এখন স্বীকার করলেন সেই কথাই আমরা ১৪ বছর যাবত বলে আসছি.....

২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,





"ভোট" নামক প্রথাটাকেই উঠিয়ে দেয়া উচিৎ। তার বদলে আদম শুমারির মত ঘরে ঘরে গিয়ে জনমত জরিপ করা যেতে পারে। :#)
তাহলে আর কোথা্ও কোন কারচুপির প্রশ্ন উঠবেনা।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:



একটা ঘটনা ঘটবে < আমরা ফেসবুক ঝর তুলবো < পত্রিকায় নিউজ হবে < টকশোতে তর্ক হবে < তদন্ত কমিটি গঠন হবে < গোপনে চিপায়-চাপায় লেনদেন সম্পন্ন হবে < কিছু দিন সময় পার হবে < নতুন কোনো ঘটনা ঘটবে < আমরা পুরনটা ভুলে নতিন ঘটনা নিয়ে আবার ফেসবুক ঝর তুলবো < আবার পত্রিকায় নিউজ হবে < আবার টকশোতে তর্ক হবে < আবার তদন্ত কমিটি গঠন হবে < আবার গোপনে চিপায়-চাপায় লেনদেন সম্পন্ন হবে < আবার কিছু দিন সময় পার হবে < আবার নতুন কোনো ঘটনা ঘটবে < আবার .....

চাইলে প্রথম থেকে আবার পড়তে শুরু করতে পারেন।

২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু ,




জ্বী............... থোড় বড়ি খাড়া <<<<<< খাড়া বড়ি থোড় <<<<<<<<<<< ;)

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমি সন্ধ্যা বেলায় একবার পড়েছি!
মহা বেকুব মানুষ আমি; মন্তব্য গোছাতে গিয়ে তাল-গোল পাকিয়ে লাইক দিয়ে ভেগেছি!
বাইরের এক পশলা বৃষ্টিতে মাথাটা একটু ঠান্ডা হয়েছে।
আপনি যা লিখেছেন -এর পরে আর কথা নাই :(

২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,



এই জাতকের চেয়ে বেকুব নিশ্চয়ই নন!
বৃষ্টিতে মাথাটা ঠান্ডা হয়ে যাবার কারনে আর কোন কথা নাই আপনার ? ঠান্ডাতে কি সর্দি লেগে গলা বসে গেছে ? :)

"বাবনিক" দ্বিতীয় পর্বে ঢুঁ মেরে এসেছি।

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১:০২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: স্যার,

আগে অনিয়ম ও দূর্নীতি দূর করতে হবে। একটি সরকার ব্যবস্থার আপাদমস্তক সকলে যখন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, তখন এমন ইনসিডেন্ট না হওয়াটাই অস্বাভাবিক মনে হয় আমার কাছে। ২০২১ সালে রামপুরা দুর্ঘটনার কথা মনে আছে কি? সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের হাস্যকর বক্তব্য সবাইকে অবাক করেছিল। নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় ৯ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালেই রাজধানীতে গাড়ি চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় জনাব ওবাইদুল কাদের বলেছিলেন, 'রামপুরায় দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্ন উঠেছে। দুর্ঘটনার ১০ থেকে ১২ মিনিট পর হাজার হাজার মানুষ কোথা থেকে এলো? এত রাতে দুর্ঘটনার খবর ১০ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যে কীভাবে ছড়ালো? '

একসময় ছাত্ররাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত থাকলেও ব্যবসা শুরু করার পর থেকে সকল রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী দের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ আমার হয়েছে। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি সমস্ত রাজনৈতিক দল একই। কিভাবে দূর্নীতি করে দেশের ১২ টা বাজাবে এটাই যেন প্রত্যেক দলের রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু সংসদের প্রথম সারীর মন্ত্রণালয়ের একমাত্র রাজনৈতিক এজেন্ডা।


বিস্তারিত লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।ভালো থাকুন।

২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,



সুন্দর বিশ্লেষায়িত মন্তব্য।

এটা ঠিকই বলেছেন - কিভাবে দূর্নীতি করে দেশের ১২ টা বাজাবে এটাই যেন প্রত্যেক দলের রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু সংসদের প্রথম সারির মন্ত্রণালয়ের একমাত্র রাজনৈতিক এজেন্ডা।

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বাঙালীর মত চোষক জাতি কোথায় পাবেন?

২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্য সারমর্ম,




এমন জাতি কোথায় খুঁজে পাবে না কো তুমি....................... :((

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪০

মিরোরডডল বলেছেন:




কিছু মানুষের অসততা, অবহেলা এবং দায়িত্বহীনতার জন্য কতোগুলো মানুষের এভাবে করুণ মৃত্যু :(
ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এরকম ঘটনার পুনারাবৃত্তি হওয়া অস্বাভাবিক না ।


২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,




অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়না বলে স্বাভাবিক ভাবেই এরকম ঘটনার পুনারাবৃত্তি হচ্ছে বারবার ।
আইনের শাষনের দূর্বলতাটাই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে আইনের শাসন।

১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪২

মিরোরডডল বলেছেন:




গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই বেহেশতে থাকতে চাইছিনা,একটা গন্ধম ফলের সন্ধান দেন!

হা হা হা...... আসলেই :)

২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল ,




সিন্ডিকেটের কারনে গন্ধম ফল বাজার থেকে উধা্ও। যা পা্ওয়া যায় তাতে্ও ভেজাল। তাই "গিয়াস উদ্দিন লিটনকে" সহি বুদ্ধি বাৎলে দিয়েছি -----
গন্ধম ফল এখন নিজেই ভেজালের চোটে "গান্ধা" হয়ে গেছে। কাজ হবেনা। ওটা খেলে পৃথিবীতে না, সরাসরি হাবিয়া দোযখে গিয়ে পড়বেন। তার চেয়ে এই বেহেশতেই থাকুন। সত্তরটা না হোক সাতটা হুরের সঙ্গ লাভ হলেও হতে পারে..

১৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৪

জটিল ভাই বলেছেন:
আমারতো মনে হচ্ছে এখানেও বিরোধীদল জড়িত!!

২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জটিল ভাই,



:| #:-S :||

১৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জুন বলেছেন: এসব নিয়ে ভাবলে মন খারাপ হয়ে যায় আহমেদ জী এস । এত লোভ লালসা আমাদের ! কি হবে এত টাকা দিয়ে ! ন্যায় নীতি আদর্শ এসব যেন আজ যাদুঘরে। এই উন্নয়ন দেখলে বাসার বাইরে যাওয়ার কথা ভাবলে আতংকিত হয়ে পরি । শায়মার মত ভয় পাই উন্নয়নের নীচ দিয়ে চলাফেরা করতে । তারপরও আমাদের নেতা নেত্রীদের গলাবাজি শুনলে এখন আর রাগ হয় না, হয় ঘৃনা ।
+

২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,



শুধু আপনিই নন, আপনার মতো অনেকেরই এমন ঘৃনা হয়।
ন্যায় নীতি আদর্শ এসব আজ যাদুঘরে্ও নেই, নেই কারো ডিকশনারীতে্ও। লোভ লালসার বন্যার পানিতে ন্যায় নীতি আদর্শের ফসল ভেসে গেছে সব!!!!!!

১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৫

পুলক ঢালী বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, খুব সুন্দর রিপোর্টিং, কিছু বলা বাদ নেই। এখানে সবাই সব সিস্টেম জানে, ক্ষমতা নেই ভেঙ্গেচুরে পরিশুদ্ধ করার। ক্ষোভ প্রকাশেরও ভাষা থাকেনা। আপনার লেখায় সব প্রকাশিত হওয়ায় শুধু ক্ষোভ টুকুই কমেছে ফলাফল আশা করার মত ব্যাকুব নই !!! :D

মহাবেকুব জাতকের সাহসী কথন ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলক ঢালী,




সুন্দর মন্তব্য ++++

লেখায় সব প্রকাশিত হওয়ায় শুধু ক্ষোভ টুকুই কমেছে ফলাফল আশা করার মত ব্যাকুব নই !!!
তাহলে ফল পেতে ক্ষোভের আগুন দাউ দাউ করে জ্বেলে দিতে আর কি কি বেকুবী করতে হবে ? B-) :|

১৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মর্মান্তিক ঘটনা। খামখেয়ালি পনার চরমে। কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার ছিল।

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,




কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার
হওয়া তো দরকার কিন্তু কে দেবে সে শাস্তি ????????????

১৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মহাবেকুব বলেই এভাবে তিতা সত্যি নিয়ে লিখেছেন, যেসব প্রশ্ন করার কথা মিডিয়ার সেসব এখন আমাদের বলতে হচ্ছে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,



বেকুব না হলে এসব কথা কি করে বলি বলুন! বেকুবদের এটাই সুবিধে যে; আগুপিছু না ভেবে যখন-তখন, যেখানে-সেখানে মুখ ফসকে কথা বলে ফেলতে পারে।

মিডিয়া তো এখন "ভায়া মিডিয়া"র ভুমিকায়, আসল মিডিয়া হলো সামাজিক প্লাটফর্মগুলো।

২০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
এরকম দুর্ঘটনা আগেও ঘটেছিলো এর পরেও আমরা সতর্ক হই নাই । ভিআইপিরা পূর্ণাঙ্গ সিকিউরিটি নিয়ে চলাফেরা করেন অথচ আমরা সাধারণ পাবলিকদের কোন নিরাপত্তাই নাই ।
গত পরশু দেখলাম নিহত রুবেলের তৃতীয় স্ত্রী মামলা করেছেন এবং এতে গ্রেফতার হয়েছে কয়েকজন । ভাই , এই নিহত রুবেলের ৮ জন স্ত্রী দেখে আমি আরও বেকুব হয়ে গেলাম !

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,




ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

বলেছেন -এরকম দুর্ঘটনা আগেও ঘটেছিলো। দুর্ঘটনা তো একবার বা দু'বার ঘটতে পারে, বারেবারে নয়। বারেবারে ঘটলে তা হলো দায়িত্বহীনতার ফসল, জবাবদিহিতা না থাকার কুফল। এইসব নেগলিজেন্ম কিলিং এর দায়ভার কার ? এ লেখার প্রতিপাদ্য এই দায়ভার নিয়েই।
দূর্ঘটনার ভিক্টিম কারো ব্যক্তিগত জীবন দিয়ে তো আর কর্তৃপক্ষের দায়ভারের রকমফের হবেনা, তাই না ?

এদেশে বেকুব হ্ওয়ার মতো হাযারো কারন খুঁজে পাবেন আপনি।

২১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:২১

সোহানী বলেছেন: দেশে এখন কুকুর লেজ নাড়ায় না, লেজই কুকুরকে নাড়ায়।

অতপর: কিছু বলিয়া নিজেই লজ্জা পাইবেন ও বাকিদের লজ্জা দিবেন ;) । কিন্তু যাহাদের লজ্জা পাইবার কথা তাহারা গন্ডারের চামড়া লাগায়ে ঘুরে.............................

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,



দেশের উন্নয়নের নামে যে হাল তাতে এখন কুকুরও লেজ নাড়ায় না, লেজও কুকুরকে নাড়ায় না। এখন দেশের সব জায়গার মাটি নড়ে আর তাতে আমরা সবাই কুকুরের মতই নড়ি। :#)

২২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২২

পুলক ঢালী বলেছেন: তাহলে ফল পেতে ক্ষোভের আগুন দাউ দাউ করে জ্বেলে দিতে আর কি কি বেকুবী করতে হবে ?
হা হা হা সোহানী তো বলেই দিয়েছেন সব গণ্ডারের চামড়া পরে আছে!!!! ;) এখন মিসাইল মেরে পারিষদদের পরিষদ উড়িয়ে দিন :D =p~ তবে তার আগে হোম মিনিস্টার ও পি,এস এর সাথে প্রাইম মিনিস্টারের একত্র হওয়া দরকার, না হলে রিকয়েলে খোদ প্রাইম মিনিস্টারই উড়ে যেতে পারেন !! =p~ =p~

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলক ঢালী,




দেখলেন না, দাউ দাউ করে জ্বলা আগুন কি ভাবে জল ঢেলে নিভিয়ে দেয়া হয়েছে!
গণ্ডারের চামড়া বলেই কারো সুড়সুড়ি লাগছে না। :((

২৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মহাবেকুব জাতক হয়তো এ সহজ সত্যটা বুঝতে পারেন নাই, ঠিকাদার আপারহ্যান্ডে থাকে লোয়ারহ্যান্ডের মাধ্যমে মুদ্রা বিনিময় করেই! (প্রথম অনুচ্ছেদের শেষ বাক্যটি প্রসঙ্গে :) )

তিনি তো বলেই খালাস - তেনাদের দায়মুক্তি আছে।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এর পর্যবেক্ষণগুলো প্রণিধানযোগ্য।

ঢাবিয়ান, গিয়াস উদ্দিন লিটন, মোহাম্মদ গোফরান, শূন্য সারমর্ম, পুলক ঢালী, মনিরা সুলতানা, সোহানী- প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে। প্রতিমন্তব্যগুলোও যথাযথ।

পোস্টে ১৯তম প্লাস। + +


২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




মহাবেকুব জাতক তো সত্যগুলি বুঝতে পারেনা বলেই এরকম বেকুবী কথা মাঝেমাঝে বলে ফেলে।
প্লাস দেয়াতে কৃতজ্ঞ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.