নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবেকুব জাতক কথন - বারো ।। এই –ই কি শেষ !!!!!!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫১

পুরোনো ফাইল ছবি।

হাত থেকে বারেবারে ফসকে যাওয়া সোনার হরিনটি অবশেষে ধরা পড়লো বাংলাদেশের হাতে। খোলা বাসে সাফ ট্রফি জয়ী নারী ফুটবল দল উন্মাদনা ছড়িয়ে বিমান বন্দর থেকে বাফুফে ভবনে এলেন । পথের স্বতঃস্ফুর্ত উন্মাদনায় মেতে ক্রিকেটের কাছে হেরে যাওয়া একসময়ের জনপ্রিয় খেলা ফুটবল যেন তার হারানো মুখখানি একবার নতুন করে দেখিয়ে গেলো।

লেখাটি শুরু করেছিলুম সাফ ট্রফি বগলদাবার দিনটি থেকে। সে দিনটিতে মহাবেকুবেরই আহাম্মক হবার বেশ কিছু ঘটনা ঘটে গেছে
বলেই কী-বোর্ড আঙুল রেখেছিলুম। লিখেছিলুম -
পেপারে দেখলুম, টিভিতে শুনলুম; বাফুফে এমন কি দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন সাফের সভাপতি হয়েও কাজী সালাউদ্দিন সাহেব নাকি ফাইনাল দেখতে নেপাল যাননি! বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর খুশিতে মুর্ছা গেছেন বলে তিনি কারও ফোনই নাকি ধরেননি। এমন করে আহাম্মক বানালে, আহাম্মক না হয়ে উপায় কি ?
এমন কি, বাংলাদেশ ক্রিকেট কট্রোল বোর্ড (বিসিসিবি) বাংলাদেশের মেয়েদের বিজয়ের পরপরই তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে মেয়েদের একটা ছবি পোস্ট করে, যেখানে তারা লিখেছে “ইতিহাস গড়ার জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভেচ্ছা। বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল এখন দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন” সেখানে বাফুফে সাফ জয়ী সোনার মেয়েদের বিজয়ের পোস্ট দিয়েছে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা দেরিতে। তাতে না ছিল বিজয়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা, না কিছু! ছবির সাথে একটি সংক্ষিপ্ত ম্যাচ রিপোর্ট তুলে ধরে বাফুফে দায় সেরেছে কিন্তু কর্তাদের খুশি রাখতে শুধু তাদেরকেই আস্তরিক অভিনন্দন জানাতে ভুল করেনি!
ছবি- ৭১ টিভির “একাত্তর জার্নাল” থেকে।

লজ্জিত হয়ে ভাবছিলুম, হায়রে অভাগা মেয়েরা!!!! নাকি পুরো বাংলাদেশ ?

কাজী সালাউদ্দিন সাহেব অভিজাত পরিবারের সন্তান জানি। তাই কি তিনি পেটে খিদে নিয়ে দিন গুজরান করা, অজ পাড়া-গা থেকে উঠে আসা অন্ত্যজ কিন্তু “আন-বিটেন”এই ফুটবলারদের তাচ্ছিল্য করেছেন, নিজের ফুটবল আভিজ্যাত্যে একদল অন্ত্যজ আর ব্রাত্যরা ভাগ বসিয়েছে বলে ?
মহাবেকুব বলে এমন বেকুবী ভাবনাতে পেয়ে বসলে দোষ দেবো কাকে ? বিধাতাকে ?

তুলে ধরেছিলুম, নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে শেষ যুদ্ধটির আগে সানজিদার নিজের ফেসবুকের একটি পোস্ট ।
বুকের গভীরে টনটনে ব্যথার ঝংকার তুলে দেয়ার মতো করে সানজিদা সেখানে লিখেছেন –“ পাহাড়ের কাছাকাছি স্থানে বাড়ি আমার। পাহাড়ি ভাইবোনদের লড়াকু মানসিকতা, গ্রাম বাংলার দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষদের হার না মানা জীবনের প্রতি পরত খুব কাছাকাছি থেকে দেখা আমার। ফাইনালে আমরা একজন ফুটবলারের চরিত্রে মাঠে লড়ব এমন নয়, এগারোজনের যোদ্ধাদল মাঠে থাকবে, যে দলের অনেকে এই পর্যন্ত এসেছে বাবাকে হারিয়ে, মায়ের শেষ সম্বল নিয়ে, বোনের অলংকার বিক্রি করে, অনেকে পরিবারের একমাত্র আয়ের অবলম্বন হয়ে। আমরা জীবনযুদ্ধেই লড়ে অভ্যস্ত। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়ে যাব। জয় – পরাজয় আল্লাহর হাতে। তবে বিশ্বাস রাখুন, আমরা আমাদের চেষ্ঠায় কোনো ত্রুটি রাখবো না ইনশাআল্লাহ। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।”

এমন লেখা যেন ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার অজ- অখ্যাত পাড়া-গাঁ কলসিন্দুর দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা সানজিদা, আঁখি খাতুন, কৃষ্ণা রানি, মারিয়া মান্ডা; রাঙামাটির রুপনা আর ঋতুপর্ণা, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার সোহাগী কিসকু আর স্বপ্না রানী এমন অনেক নারীর বুকের গহন থেকে উঠে আসা এক একটি নতুন গল্প, যে গল্প পূর্ণতা পেয়েছে কাঠমান্ডুর দশরথে।

গতকালকে এটুকুও লিখে রেখেছিলুম –
এই অপরাজিত সাফল্যে দেশ কতখানি আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে জানিনা তবে এই সাফল্যের মূল্যায়ণ যে করতে পারে নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তা পানির মতো পরিষ্কার। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বাফুফে আগাগোড়াই সাফ এর এই টুর্ণামেন্টটাকে একপ্রকার অবজ্ঞা করেই এসেছে। এখন মেতেছে এই অবজ্ঞার সাফাই গাইতে। সাফ ফাইনালে কেন যান নি, কেনই বা বিমানবন্দরেও যাবেন না বাফুফে সভাপতি তা নিয়ে পাবলিককে আহাম্মক বানিয়ে একটা ফতোয়াও দিয়েছেন।

শুনেছি, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মহোদয় বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বলকারী সাফ মহিলা ফুটবল জয়ী মেয়েদের দলকে ছাদ খোলা বাসে চড়িয়ে বিমান বন্দর থেকে বাফুফে ভবন পর্য্যন্ত নিয়ে যাবেন জাঁক জমকের সাথে সম্বর্ধনার অংশ হিসেবে। শুধু এইটুকুই কি তাদের প্রাপ্য ? আমাদের কি মনে নেই, সেই কয়েক বছর আগে ( সম্ভবত ২০১৫তে) যখন এমন একদল মেয়েরাই দেশের বাইরে থেকে বিজয়ী বীরের বেশে দেশে ফিরেছিলেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করে, সেদিন তাদের কে ভিখিরির মতো নিজ নিজ গ্রামের বাসে উঠিয়ে দেয়া হয়েছিল ? পথে পথে যেদিন তারা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন পুরুষের কাছে ?? এবার সেই ভুলের মাশুল পরিশোধ করতেই কি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ছাদ খোলা বাস খুঁজতে হচ্ছে ? খুঁজতে হবে কেন ? মহাবেকুব জাতক যদ্দুর মনে করতে পারে, এই রকম ছাদ খোলা বাস তো পর্যটন করপোরেশনের কাছেই থাকার কথা যেটা দিয়ে তারা পর্যটকদের ঢাকা শহর ঘুরিয়ে দেখায়। নাকি এরই মধ্যে সেগুলিকেও লাটে ওঠানো হয়েছে ?

লিখে ছিলুম এটুকুও-----
গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের ফুটবলে একমাত্র মেয়েদের সাফল্য ছাড়া বাফুফে আর কি সাফল্য দেখিয়েছে ? পুরুষ ফুটবল দলকে নিয়ে বাফুফের যে নাচানাচি তা বৃথাই গেছে সব সময়। এই নাচানাচিটা অবহেলিত মেয়ে ফুটবল দলকে ( প্রশিক্ষন নিতে থাকা অনুর্ধ ১৪, ১৫, ১৬ ইত্যাদি দল) নিয়ে করলে একদিন তারাই বিশ্ব কাপ জিতে এনে দিতে পারতো ।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এই জয়ে কেবল খুশি হয়েছেন কোন্ও পুরস্কার ঘোষনা করেন নি। মহাবেকুব জাতকের ভাবনা, কেন ? ক্রিকেটে কিছু একটা সাফল্য ঘটলেই প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার দেয়ার হাতটা যেখানে দরাজ হয়ে যায় সেখানে তার হাত আজ গোটানো কেন ? অথচ শিরোপা জেতার খবরে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের খাগড়াছড়ির তিন ফুটবলার ও এক কোচের জন্য চার লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক । কি আশ্চর্যজনক ব্যতিক্রম !!!!!!!

আজ ২১ শে সেপ্টেম্বর আবহাওয়ায় অন্য এক আমেজ। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিআরটিসির সহযোগিতায় শেষ পর্য্যন্ত ছাদ খোলা বাসের ব্যবস্থা করছেন। তাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। কিন্তু এটা কি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর জয় নাকি সানজিদার ?
বাফুফের দীর্ঘদিনের অযোগ্যতা আর অকর্মন্যতাকে মনে রেখে এবং প্রকারন্তরে তা তুলে ধরতে সানজিদা আকাঙ্খা করেছিলেন, স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি ছাদ খোলা বাসের। সানজিদার সে স্বপ্ন পুরন হয়েছে। কিন্তু একটি দৃশ্য পরিষ্কার হয়েছে। বাফুফে সভাপতি তার ফতোয়ায় যে বলেছিলেন, তিনি বিমান বন্দরে গেলে নাকি মিডিয়ার সব আলো তার উপরেই থাকবে, বিজয়ী দল অন্ধকারে ঢেকে যাবে। তাই তিনি সেখানে যাবেন না। হায়রে নার্সিসিষ্ট! অথচ আজ বিমান বন্দর থেকে শুরু করে বাফুফে ভবনের ভেতর পর্য্যন্ত মানুষের আর মিডিয়ার স্বতঃস্ফুর্ত উন্মাদনার যে ছবি দেখলুম তাতে মনে হয়েছে, মহা-মহিম বাফুফে সভাপতি ছিটকে পড়তেন রাস্তার একপাশে। মানুষের উল্লাসের কাছে তিনি পাত্তাই পেতেন না এতোটুকু।
মহাবেকুবের মতো এরকম একটা বেকুবী ভাবনা আপনারও হয়তো হয়েছে।

ধরে নেবেন না, মহাবেকুব জাতক “বাফুফে”কে খাটো করতে চাইছে! মহাবেকুব অতোখানি বেকুব এখনও হয়নি। মহাবেকুবের ভাবনা অন্যত্র।
অজ- অখ্যাত পাড়া-গাঁ আর দারিদ্রতা থেকে উঠে আসা সানজিদা, মারিয়া মান্ডা, কৃষ্ণাদের মতো রয়েছে আরো আরো কৃষ্ণারা। পেটে ক্ষুধা নিয়ে দেশের আনাচে কানাচে এমন অনেক মারিয়া মান্ডা, সানজিদারা শীর্ণ পায়ে লড়ছে ফুটবলের সাথে। ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ততার দৃশ্য ধারন করতে আসা সব মিডিয়ার ধারাভাষ্যে এমন গল্পগুলোর কথাটিই উঠে এসেছে বারেবারে, খানিক পরে পরেই।
কাকে ছেড়ে কার কথা লিখবো?
গোপালপুর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের কৃষ্ণা । বাবা অসুস্থ্য আর মা বাড়ী বাড়ী কাজ করেন। কলসিন্দুরের মেয়ে মান্দ্রা। বাবা গত হয়েছেন। সহায়-সম্বলহীন মা এনাতো মান্দ্রা। বাড়ী বাড়ী গিয়ে গৃহপরিচারিকার কাজ করে তার মুখে ভাত তুলে দিয়েছেন। পয়সার অভাবে ২০১১ সালে বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টে যাকে খালি পায়ে ফুটবলের মাঠে নামতে হয়েছে।
বঞ্চনার চিত্রটা এমনই। পুরুষের পথে এই মেয়েরা যেন বড় বাঁধা। পুরুষ খেলোয়ারদের নিয়ে বাফুফে থেকে শুরু করে বিসিসিবি আর অন্যেরা যেভাবে মাতম করেন তার সিকি ভাগও যদি মেয়েদের নিয়ে করতেন তবে বিশ্ব না হোক এশিয়া ক্রীড়ায় আমাদের স্থানটি হতে পারতো শীর্ষ ১ নম্বরে। বঞ্চনার নীচের চিত্রটা দেখে এই বেকুবেরও আরো বেকুব হবার পালা ---

ছবির কৃতজ্ঞতা - ৭১ টিভির “একাত্তর জার্নাল”।

শুধু নারী আর পুরুষ খেলোয়ারদের বৈষম্যই নয় আছে দেশীয় কোচদের প্রতিও উন্নাসিকতা। নারী দলের কোচ হিসেবে থাকা গোলাম রব্বানীর খেদ থেকেই বোঝা যায় এর সত্যতা। সাফের ট্রফি জয়ের পর রব্বানী বলেছেন,শুরুতে সবাই তাকে তাচ্ছিল্য করতেন। দেখা হলে উপহাস করতেন। তার বন্ধুরা বলতেন- ওই যে মহিলা কোচ যাচ্ছে।
সেই রব্বানীকেই এখন সমাদর করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে – বাফুফেতে অন্য কোচ আসলেও রব্বানী থাকবেন তার জায়গাতেই।
একথা সাফের ট্রফি জয়ের পর কেন ? আগে বলা যেতনা ?
পুরুষকে পিছে ফেলে নারীদের এই সাফল্যটুকুও মনে রাখুন- নারী ফুটবল দলের পর এবার জয় পেয়েছে নারী ক্রিকেট দল। নারী টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। স্কটল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা। খেলার মাঠে এই মেয়েদেরই জয়জয়কার।
এই অদম্য মেয়েদের কোন কারনে পেছনের সারিতে রাখবো আমরা ? কেন তাদের প্রতি আমাদের সব সামর্থ্য আর সদিচ্ছা নিয়ে হাত বাড়িয়ে দেবোনা ? না দিলে তা যে হবে আমাদেরই আত্মহনন!

মহাবেকুবের বেকুবীয় ভাবনা - এই –ই কি শেষ ? নাকি বিজয়ের শুরু ????????


সূত্র – ৭১ টিভির একুশে জার্নাল , দৈনিক কালের কন্ঠ, দৈনিক প্রথম আলো ।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অভিনন্দন সাফ জয়ী সোনার মেয়েদের
................................................................
সেজন্য আপনার লেখাটি ও চমৎকার হয়েছে ।
তবে বা ফু ফে র উর্ধ্তন কর্তাদের এবার বিদায় জানানো উচিৎ ।
একসময় তাদের ষ্টেমিনা থাকলে ও এখন আর নাই ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নের শঙ্খচিল,




আগের প্রতিটি জয়ের পরে্ও মেয়েদের জয়টাকে যে ভাবে তাচ্ছিল্য করা হয়েছিল সেটা মনে করেই মনের ক্ষোভ থেকে এই লেখা।
এই ক্ষোভটাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে সবাইকে অনুরোধ করি। আপনি তেমন করে দেখেছেন বলে কৃতজ্ঞ।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কাজী সালাউদ্দীন স্যার,

কাজী সালাউদ্দীন কে দিয়ে কিছু হবেনা। আজ জিতেছে বলে হৈচৈ করসে। অথচ দিনের পর দিন বছরের পর বছর অবহেলিত হয়েছে শত শত প্রতিভা। দুইজন পাহাড়ি মেয়ে দেখলাম। একজন অসাধারণ গোল রক্ষক। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি পাহাড়ে শুধু এই দুই মেয়ে নয় আরও অনেক মেয়ে আছে। দুজন হয়তো সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু গ্রামে গঞ্জে পাহাড়ে শহরে এমন সোনার মেয়ে শত শত। তাদের খোঁজে বের করার উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে বাফুফে পোস্টের মতই নিজেদের অদক্ষতার পরিচয় রেখেছে।

অভিনন্দন বাঘিনী দের। ♥️

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,



এই বাঘিনীরা সবাই উঠে এসেছেন অজ পাড়াগাঁ থেকে। এমন আছে হাযারো। এদের পরিচর্যা দরকার।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন:

পাহাড়ি দুই বাঘিনী।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,




প্রধানমন্ত্রী বলেছেন , তিনি দেশে ফিরে পুরস্কার দেবেন। দেখা যাক.....

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বাফুফে,সালাউ:,বৈষম্য বাদে ফুটবলারদের জীবনসংগ্রামের কাহিনী সবচেয়ে ভালো লেগেছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্য সারমর্ম ,




"বাফুফে,সালাউ:,বৈষম্য" বাদ দেবেন কেন ??????
এই "সালাউ" এবং বাকী "সালাউদের" কারনেই দেশের ফুটবল আজ ধ্বংশের পথে।
এর মাঝখান থেকে এই মেয়েরা যে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে সেটা "সালাউ"দের গালে একটা থাপ্পড়।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:০৭

সোহানী বলেছেন: এই সব সাল্লু/পাপ্পু দেরকে এইবার দয়া করে বিদেয় করার কি করা যায় বলেনতো দেখি। অনেকতো খাইলো এরা .. এবার অন্যদেরকে সুযোগ দেয়া উচিত নয় কি!!!

কি বলার উচিত তা বলতে গেলেই মুখের ভাষা খারাপ হয়। ইদানিং ধৈর্য্য কমে গেছে।

মেয়েদেরকে দেখলে এদের গায়ে চুলকানী রোগে ভোগে আর সাফল্যতে সারা দেশবাসী হৈহৈ করেছে বলে বাধ্য হচ্ছে ফুলের মালা গলায় পড়ে ছবি তুলতে বা খোলা বাসে ঘুরাতে। তার আগের বিজয়ী মেয়েদের দূর্ভোগের কথাতো বললেনই। ......... কোথাও কি কোন পুরস্কার এর ঘোষনা আছে??? না নেই...। এটি যদি ছেলেরা হতো তাহলে পুরস্কারের বণ্যা বয়ে যেতো।

আমি সত্যিই হতাশ প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে কোন ঘোষনা না আসায়। একজন মহিলা দেশ প্রধান থেকে যদি উৎসাহ না আসে তাহলে বাকিরা কি করবে!!

এই ক্লিপটা দেখুন খেলার। অসাধারন.........

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




অজ পাড়া গাঁ থেকে উঠে আসা এইসব মেয়েদের জীবন কাহিনী অনেক আগে থেকেই জানা। কিন্তু তাদেরই এনে দেয়া সাফল্যের পরেও সালাউদ্দিন গংদের তাচ্ছিল্য দেখে তাৎক্ষনিক ক্ষোভের কারনে এই লেখা।

ক্লিপটা তো আসলেই অসাধারণ!

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৪২

স্বদেশ১ বলেছেন: নারী পুরুষ ফুটবলারদের সমান সম্মানী, পারিশ্রমিক দেওয়া হোক।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বদেশ১ ,




কিন্তু দেবে কে ? নারী পুরুষ সমান সমান সম্মানী, পারিশ্রমিক পেলে যে পুরুষদের আঁতে ঘা লাগবে!!!!! :||

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


আমাদের ছেলেমেয়েরা সহজাত প্রবৃত্তিতেই অনেক ক্ষেত্রে ভালো করতে সক্ষম, যদিনা আমাদের মহান জগদ্দল পাথরগণ তাদের মাথার উপর বসে থাকেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেঁয়ো ভূত,



সঠিক কথাই বলেছেন ।
জগদ্দল পাথরের একটি নমুনা কাজী সালাউদ্দিন। এই সালাউদ্দিন গং দের কারনে আমাদের ছেলেমেয়েরা সহজাত প্রবৃত্তি অনেক ক্ষেত্রেই দেখাতে পারছে না । এর চে' বড় দুঃখ আর কষ্ট আমাদের নেই...........

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন: ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র থেকে উঠে আসা মেয়েগুলোর একটাই পরিচয়; এরা সব্বাই বাংলাদেশী। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে উঠে আসা এই মেয়েরাই সামান্য সুযোগ সুবিধা আর পরিচর্জা পেয়ে আজ দেশের আপামর মানুষকে, বাংলাদেশকে যে সম্মান এনে দিয়েছে- তা সত্যিই আনন্দের, গর্বের। এই মেয়েদের জন্য রাস্ট্রের অনেক দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে।

শুভ কামনা আমাদের প্রিয় মেয়েরা।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,




রাষ্ট্রের তো অনেক দ্বায়িত্বই পালন করার কথা। করে কি ? কর্তাব্যক্তিরা নিজেদের পদ-পদবী আকড়ে থাকার চেষ্টা করবে না কি দ্বায়িত্ব পালন করবে ? :||

৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: তারা প্রাপ্য পারিশ্রমিক ও সম্মানী যথাসময়ে ও বেশি বেশি পান এটা চাই এবং এগিয়ে যাক সামনের পানে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,




আপনার আশা পূর্ণ হোক!

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩

অঙ্গনা বলেছেন: এমন একটা পোষ্ট দরকার ছিল খুব। আমি নিজেও রেডি করছিলাম। কিছু টুইটার স্ট্যাটাস স্ক্রিন শট নিউজ মিলিয়ে।
গার্লস দের খোলা ছাদ ভিডিও অসাম। টুপিখোলা অভিবাদন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অঙ্গনা,




ধন্যবাদ।
নিজে যদি এমন কিছু রেডি করে রেখেই ছিলেন তবে তা দিলেন না কেন ? উচিৎ ছিল দেয়া। ভালো হ'তো ।

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০

জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস ঠিক আপনার অন্যান্য লেখার মতই গভীর আর আমাদের মৃত চেতনায় চাবুক মেরে যাওয়া একটি লেখা । এই মেয়েগুলো আর কতদিন নিজেদের এই স্থান ধরে রাখবে সেটাই ক্ষনে ক্ষনে ভাবি । কতদিন ছোটন তাদের পথ দেখিয়ে নিতে পারবে ? আর কত দিন এই সহজ সরল মেয়েগুলো বাফুফে সভাপতির হাতে পরে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে ! আমার দুঃখ হয় কাল বিলবোর্ডের সাথে যেই মেয়েটির মাথা ফেটে তিনটি সেলাই পরলো ! আজ শুনলাম তাদের লাগেজ কেটে টাকা পয়সা চুরি হয়েছে ! বাফুফের কি দরকার ছিল এই সম্বর্ধনা দেয়ার যেখানে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার মত সামর্থ্যটুকু (সদিচ্ছা) নেই ।
মনের কথাগুলো একটানে উঠিয়ে এনেছেন যা আমি ভেবে চলেছি অনুক্ষন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
+

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,



বরাবরের মতোই সঠিক পর্য্যবেক্ষন।
বাফুফে আসলেই যে অকর্মণ্য, অযোগ্য আর মাথাভারী একটি চক্র ( প্রতিষ্ঠান বলা গেলনা! ) তা পদে পদে প্রমান করেছে। সেখানে আছে তৈল মর্দনকারী কিছু লোক যারা অন্যের সাফল্যের মালাগুলো ড্রিবলিং করে আসল লোক কাটিয়ে সভাপতির গলায় পড়িয়ে ফায়দা লুটতে ব্যস্ত সবসময়। সাফের ফলাফল নিয়ে বাফুফের ভেরিফায়েড পেইজই ( উপরে পোস্টের ছবি) তার প্রমান।

মন্তব্য লাইকড.....

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৪

অপ্‌সরা বলেছেন: এই মেয়েদের জন্য ভালোবাসা তবে শুধু ভালোবাসায় কাজ হবে না তারা যেন এই গৌরব ধরে রাখতে পারে সেই ব্যাপারে সকলেই সচেষ্ট হতে হবে। বিশেষ করে এই অসহায় মেয়েগুলো যেন সঠিক নিরাপত্তা ও সহযোগীতা পায়।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা,



এই মেয়েদের জন্য শুধু ভালোবাসাই নয় , উঠতে চা্‌ওয়া এমন সব হত দরিদ্র মেয়েদের জন্যে চাই ভালো "বাসা", ভালো "খাদ্য",
পরিবারের জন্যে ভালো " আর্থিক " নিরাপত্তা আর সহযোগিতা।

কিন্তু এমন ইচ্ছের সোনার হরিণ কেবল পালিয়েই যায়.....................

১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: গতরাত থেকে চোখ উঠেছে- ফুলে লাল হয়ে বিচ্ছিড়ি অবস্থা!!
অন স্ক্রিন লেখা পড়তে সমস্যা হচ্ছে। সুস্থ্য হয়ে ফিরে আসছ...

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,



এভাবে চোখ ওঠা করোনা পরবর্তী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিলম্বিত একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।
আশা করি আপনার চোখের অবস্থা এখন ভালো ! পুরোপুরি ভালো হয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি...............

১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:০৬

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটা

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নুরুন নাহার লিলিয়ান,




অনেকদিন পরে আপনার দেখা মিললো!

লেখাটি পড়া ও মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সালাহউদ্দিন সাহেবের কাজ কারবার দেখে আপনার মত নিজেকেও মহাবেকুব মনে হচ্ছে। ওনার ফুটবল আভিজাত্যে কোন আঘাত লাগলো কি এটা আমারও প্রশ্ন।

কোচ রব্বানি এখন সমাদৃত হচ্ছেন। আগে কি দোষ করেছিলেন এটাও আমার একটা বেকুবি প্রশ্ন। আমিও কি তবে আপনার মত মহাবেকুব হয়ে যাচ্ছি। :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,




সবুর করুন, দেশের সবখানে এমন আরো অনেক কিছু দেখে আমার মতো মহাবেকুব না হলে্ও "আস্ত একটা বেকুব" হয়ে যেতে সময় লাগবেনা! ;) :)
ওয়াসার এম,ডি তাকসিন সাহেব ছুটিতে থেকে্ও সরকারি খরচে সম্প্রতি জাপান গেছেন কি একা ট্রেইনিং এ অংশ নিতে!!!!!!! :((

১৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৬

অন্তরন্তর বলেছেন: সালাউদ্দিন সবসময়ই নাক উঁচু মানুষ ছিলেন, একসময় খুব ফুটবল খেলা দেখা আর ক্লাবগুলোতে যাবার ফলে ওনাদের সময়ের প্রায় সব ফুটবলারদের চিনতাম। এ মানুষটাকে বাফুতে বসানো ঠিক হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবলের সার্বিক উন্নতি করতে হলে তাকে ঢেলে সাজাতে হবে। সব চাটার দল দেশের সকল স্থানে বসে ঘুনে পোকার মতো খেয়ে শেষ করে ফেলেছে। এদের কাছ থেকে আর কিছু আশা করা বৃথা। শুভ কামনা জানবেন।

১৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩২

শার্দূল ২২ বলেছেন: @অন্তরন্তর - জিএস ভাইর আরেকটা পোষ্টে আপনার জন্য আমার একটা মন্তব্য ছিলো। দেখে আসবেন।

১৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ফুটবল তারকাদের নিয়ে আমার জরুরী একটি লেখা ড্রাফট করছি, আশা করছি আগামী সপ্তাহে পোস্ট দিবো। আপনার সহযোগিতা লাগবে।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




ভালো লাগলো জেনে যে, ফুটবল তারকাদের নিয়ে পোস্ট দেবেন।
সাথে থাকবো।

১৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মহাবেকুব জাতক কথন এর আগের সবগুলো পর্ব পরেই মনে উষ্মা জেগেছে, ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে এবং তা থেকে উদ্ভূত কিছু বেকুবীয় কথা আমিও মন্তব্যের ঘরে রেখে এসেছিলাম। কিন্তু এ পর্বটা পড়ে উষ্মা এবং ক্ষোভ ছাড়াও একটা গভীর বেদনাবোধ মনে জাগ্রত হলো। দেশের কপালে ইজ্জতের তাজ পড়িয়ে দেয়া এ ফাটাকপালী, অভাগা মেয়েগুলোর দুর্দশা ও বঞ্চনার যে তুলনামূলক চিত্র আপনি নানারকমের তথ্য উপাত্ত ঘেটে গভীর মমত্ববোধের সাথে এখানে পরিবেশন করেছেন, তা পড়ে চোখ জোড়া আর্দ্র হয়ে ওঠে। একজন ক্রীড়ানুরাগী ব্যক্তি হিসেবে এ লেখা আপনার যে পরিচয় এখানে তুলে ধরেছে, বঞ্চিত নারী ক্রীড়াবিদদের প্রতি একজন দরদী মুরুব্বী হিসেবে আপনার আরেকটি উজ্জ্বলতর পরিচয় সচেতন পাঠকমাত্রই এখানে পাবেন।
এ সুলিখিত, সুবিবেচিত 'কথন'টির জন্য অভিবাদন গ্রহণ করুন।

কাজী মোঃ সালাহউদ্দীন বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাসে একটি কলংকিত নাম হিসেবে বেশ কিছুকাল স্থায়ী হবে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




এমন অনবদ্য এবং সংবেদিত মন্তব্যের জবাব দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। তবে এই মন্তব্যটি পোস্ট প্রকাশের প্রথম দিকে এলে পাঠক মাত্রেই বুঝতে পারতেন, কতো যত্ন করে একজন ব্লগারের পোস্ট পড়তে হয় ও তার প্রতিক্রিয়া কিভাবে ব্যক্ত করতে হয় একজন "খায়রুল আহসান"ই তার জ্বলন্ত এক উদাহরণ!

মন্তব্যে ++++++++++++

২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই সব সাল্লু/পাপ্পু দেরকে এইবার দয়া করে বিদেয় করার কি করা যায় বলেনতো দেখি - সোহানী দেশের অগণিত ক্রীড়ামোদীদের মনের কথাটিই বলেছেন এ ছোট্ট প্রশ্নটির মাধ্যমে।
জুন এর প্রশ্নগুলোও আপনার পাঠকের বৃহদাংশের জিজ্ঞাসার প্রতিনিধিত্ব করে বলে মনে করি।

০২ রা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




কৃতজ্ঞ আবারও এসেছেন দেখে । ভাববেন না যে নোটিফিকেশান দেখে প্রতিমন্তব্য করতে এসেছি! ;) নোটিফিকেশান যথারীতি পাইনি।
আমার পোস্টগুলো আমি মাঝেমাঝেই ওয়ার্ড ফাইলে মন্তব্যসহ সেভ করে রাখি। সামুতে তো থাকেই তারপরেও রেডী রেফারেন্সের জন্যে একেবারে হাতের কাছেই রাখার চেষ্টা করি।সেভাবে আজ্ও এই পোস্টখানা সেভ করতে গিয়ে আপনার মন্তব্যখানি দেখলুম।

আপনি আমাকে বিপদে ফেলেন প্রায়ই, এভাবে পুরোনো লেখাতে মন্তব্য করে । নোটিফিকেশান পাইনে বলে দেখা হয়না এবং জবাব দেয়া্ও হয়না সময় মতো। যখন দেখি তখন অনেক দেরী হয়ে যায়। এমনকি "সাম্প্রতিক যারা ব্লগ দেখেছেন" অংশে্ও সবার নাম আসেনা। বিপদে পড়ি এই কারনে । আপনি ভেবে বসতে পারেন যে, আমি বোধহয় আপনাকে এড়িয়ে যাচ্ছি । আসলে কিন্তু তা নয়। এবারও দেরীর জন্যে দুঃখিত।

সোহানী এবং জুন শুধু পাঠকের নয়, জনগণের বৃহদাংশেরই প্রশ্ন আর জিজ্ঞাসার প্রতিনিধিত্ব করে গেছেন। ধন্যবাদ তাদেরকে।
শুভেচ্ছান্তে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.