নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

অল্প কথার রাত্তির.....

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১০



[ প্রোলগ – নিলীমাকে নিয়ে আমার লেখা হয়ে ওঠেনি অনেকদিন। অথচ হররোজ সে যেন আমাকেই অতলজলের আহ্বানে টেনে নিয়ে যায়। প্রজ্জ্বল ক্লেদের গন্ধ মাখা বাতাসে নিলীমার আদল তাই এলোমেলো হয়ে ভাসে!
নিলীমার বুদ্ধির ভাড়ার ঘরে অস্তরাগে লীয়মান আলোর অঞ্চল এতোদিনে সীমিত হয়ে গেল কিনা জানিনে! জানিনে পৌরানিক নির্বুদ্ধিতার বিষ মাখানো অজ্ঞানতার কুলীন চাদরখানা টেনে নিলীমা আজো ঘুমায় কিনা। ]
পৃথিবী যে সুন্দরের জন্যে অপেক্ষা করে তেমন সুন্দর কাউকে নয় , বরং নিলীমার পৃথিবীকে যে সুন্দরতায় ভরে দিতে পারে তাকেই চা্ওয়া উচিৎ নিলীমার ।

দোষটা আমার নয়। আজ জোনাকির রাত, সপ্তর্ষির রাত......দোষটা এই রাতের!
সেই রাতে সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে, ভাঙাচোরা মনের খিড়কি খুলে, নিলীমার মনের রুমালের মতো একটুখানি উঠোনে এমন কথাদের যখন বিছিয়ে দিলুম; নিলীমা তখন ঐসব আয়ুষ্মতী শব্দরাজি এ কান দিয়ে ঢুকিয়ে ও কান দিয়ে বের করে দিলে। তখনই বুঝলুম, চোখ না থাকলেই কেউ অন্ধ হয়না, অন্ধ হয় যখন দৃষ্টিতে কিছু ধরা পড়েনা! ঘিরিঙি বাতাসের মতো নিজ বুকের বাতাসেরা পাঁক খেয়ে খেয়ে নেশাখোরের মতো এলোমেলো হয়ে আসে তাতে। ডাঙর রোদ মাখা মনের আকাশ জুড়ে চ্যাংড়া মেঘদলের মতো দাঁপিয়ে বেড়ায় ।

নিলীমার জরাতুরা উচাটন মনখানার যে শরীর, তাতে বিছানো চাদরখানা সরিয়ে ফেললে মলিন অর্ন্তবাসের মতো জীবনের কিছু কিছু সত্য বেরিয়ে আসে । দেখা যায়, রাত্রির মতো অপর্যাপ্ত নিবিড় কৃষ্ণ কেশভার নিয়ে নিলীমা তার অনিন্দ্য আঁচলে গুটিয়ে রেখেছে ঘৃনা। নিলীমা জানেনা, যখন একটি দ্বার রূদ্ধ হয়ে যায় তখন অবারিত হয় আরেকটি। কিন্তু সেই রূদ্ধ দ্বারের দিকে চেয়ে চেয়েই সময় পার করে দেয় নিলীমা, অবারিত আরেকটি দ্বারের দিকে তার চোখ পরেনা কখনও ! হয়তো সিঁথির মতো পথ ভেঙ্গে আসা গাছের গায়ের গন্ধ পায়নি নিলীমা কখনও কিম্বা বৃষ্টির। শুনতে পায়নি পাহাড়ী ঝর্ণার কম্পমান সঙ্গীত কিম্বা বাউরী বাতাসে ভেসে আসা বেভূল পাখির ডানা ঝাঁপটানো গান। শোনেনি পাথরের কান্না নয়তো জলের অতলে ঘূর্ণির কথা কওয়া।
নিলীমা বোঝেনা, সন্তানের বীজ বপনের জন্য উচ্চারিত ডাক – নিলীমার শরীর নিঙরিয়ে শুধু ছিবড়ে রেখে যাবে! তবুও ঘোর কাটেনা তার। নিলীমার দিনগুলো শুধু মূর্ছা যায় মৃগী রোগীর মতো। নিলীমা বোঝেনা, নবীন কবির মতো বিনীত হয়ে আমি যক্ষের মতো হা-হুতাশ নিয়ে বসে থাকি তারই জন্যে ভাঙা দেউলের দেবতা হয়ে । সে দেবতার মন্ত্রে এমন ক্ষমতা নেই যে, নিলীমার জন্যে মেঘদল পাঠাতে পারে ! তাই এভাবে নিঃষ্ফল শব্দের মেঘই শুধু সাজাই। তাতেও নিলীমার ভাঙা জমিনে পরাগায়ণ হয়ে ওঠেনা। সে জমিন পড়ে থাকে একা এবং একাকী অনাবাদি। জলের ভেতর যেমন জলের ঘূর্ণি একা একা কথা কয়, তেমনই আমার নিষন্ন মনের গহনে জেগে ওঠা জলের ঘূর্ণি আফিমখোরের মতো একাকী তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে আসে।
যখন রাত্রি হয় তখন তৃতীয় আকাশ থেকে স্বচ্ছ, শান্ত মায়াবী অন্ধকার নেমে আসে মিহিন বাতাসের মতো । তখন শুধু জেগে থাকে আমার ভালোবাসার সঙ্গীতগুলো ।
রাত্রির মতো, নগরের ছাল ওঠা প্রাচীর ঘেসে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা উঁচু তালগাছটির মাথা ছুঁয়ে , গুটি গুটি পায়ে পাড়ার রহস্যময় গলিপথ বেয়ে , সিঁড়ির ধাপ ভেঙে ভেঙে নিলীমার মনের নরক কুঠরীতে ঢুকে দেখি - যে নারী চুম্বনযোগ্য তার চোখ অশ্রুতে মলিন। সে চোখের নোনা গাঙে ডুব দিলে, নিলীমা মন্দ্র-মন্থর ঢংয়ে এক যোজনব্যাপী দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আড়মোড়া ভাঙ্গে। তার গতরের ভারে পুঞ্জিভূত আড়ালী মেঘের ফাঁকে কাঠ আগুনের আরণ্যক আলো ঝলকায়। আর তাতেই আমার মনের ভেতরে ব্রীড়ানত হতে থাকে যাবতীয় ক্ষরন। এ এক নিঠুর দরদির প্রেম অপ্রেমের বৌ-ছি খেলা জীবন ভর! না পারলুম আমি তাকে চিনতে , না সে আমাকে।
সংরাগে ষ্ফুরিত অধরের ঝাঁপি খুলে আমার কন্ঠলগ্ন অল্পকথার রাত্তিরের শব্দেরা মিছিল করে বেরিয়ে আসে নদীর দীর্ঘায়িত ক্রন্দন হয়ে ------
নিলীমা! একদিন তুমি আমাকে ভালোবাসবে যেমন বেসেছি আমি । একদিন তুমি ভাববে আমার কথা যেমন করে ভেবেছি আমি । একদিন তুমি কাঁদবে আমার জন্যে যেমন করে কেঁদেছি আমি তোমার জন্যে । জানি, একদিন তুমি চাইবে আমায় কিন্তু সেদিন.................

উৎসর্গ
ব্লগে আমার পোস্ট “কপাল পোড়া পুরুষ ........ নপুংসক ? view this link” এ - ব্লগার অপ্সরার করা বেশ কিছু মন্তব্যের প্রেক্ষিতে লেখাটি অপ্সরাকেই উৎসর্গ করা হলো।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



জানি, একদিন তুমি চাইবে আমায় কিন্তু সেদিন.................

সেদিন বলতে কি বুঝে নিবো? “সেদিন আমিই হয়তো থাকবো না” - এমন কিছু কি? যেই রাজ্যে রাণী নেই! সেই রাজ্যের রাজা হয়ে কি লাভ? অথবা রাজাই যদি না থাকেন তাহলে সেই রাজ্যের রাণী নিয়ে রাজার চিন্তা করার কোনো কারণ আছে কি?

আপনি অনেক কঠিন লেখা লিখেছেন। তাই আমি প্রশ্নও করেছি কঠিন। প্রশ্ন কিন্তু সহজ নয়। আমরা প্রায় সমসাময়িক মানুষ। - আর তাই উত্তরটিও কঠিন চাই।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
এটা একটি মুক্ত গদ্য তাই কঠিন মনে হতেই পারে।
জানি, একদিন তুমি চাইবে আমায় কিন্তু সেদিন................. এর পরেরটুকু কি হবে ? কঠিন কিছু নয়, সহজ উত্তর হলো- সেদিন আমি চাইবো না তোমায়!
এমনটা হবে নিষ্ফল প্রেমের যন্ত্রনাবিদ্ধ প্রেমিকের গভীর অভিমানী এক সংরাগ।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




যেই রাজ্যে রাণী নেই সেই রাজ্যের রাজা হয়ে আসলেই কি লাভ? :((

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৩

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া,
যাক শেষ পর্যন্ত চিঠিখানি সামু পোস্ট অফিসে পোস্ট করিলে। কিন্তু এই চিঠির ভাষা পড়িতে গিয়া আমার একটু নিদ্রা আসিয়াছিলো উহা ছুটিয়া গিয়াছে। এই চিঠির মূল ভাষ্য অনুধাবন করিতে আমি বঙ্কিমচন্দ্রের ডিকশনারীখানি খুলিয়া বসিলাম। ভালো করিয়া অনুধাবন করিয়া এই পত্রের নিমিত্তে জবাব লইয়া আসিতেছি।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা,




বঙ্কিমচন্দ্রের ডিকশনারীখানি খুলিয়া বসিয়াছেন শুনিয়াই আমারও এই অল্প রাত্তির সাড়ে এগারোটায় ঘুম চক্ষু হইতে ছিটকাইয়া পড়িল। বিছানায় ছটফট করা ছাড়া আর উপায় রাখিলেন না! :(

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: একবার মনে হচ্ছিল কবিতা পড়ছি- কিন্তু ভাল করে চোখ রগড়ে দেখলাম নাহ এতো গদ্য সাহিত্য কাব্যিক ঢঙে!!!
জটিল আলোচনা আর ভাষার মারপ্যাঁচে আমার মত বাঙলা ভাষার 'ভ' এর মধ্যে ঘোরাফেরা করা অতি কষ্টে হাচরে পাচরে জাতে ওঠার চেষ্টা-রত দুই আনার সাহিত্যিকের দফা-রফা!
দেখি ভাল করে ফের দু'বার পড়ি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




তেমন একখানা সাহিত্যিক মন থাকলে এই মুক্তগদ্যের মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন হ্ওয়ার কথা নয়। আপনার তো তেমন একখানা মন আছে জানতুম!
মোদ্দা কথা হলো, নিলীমা নামের কাউকে কিছুতেই লেখক তার প্রেম ভালোবাসা বোঝাতে পারছেনা। নিলীমা কেবলই তার জরাগ্রস্থ মনের ধারনায় অটল থাকার কারনে লেখকের আবেগগুলোকে বুঝতে্ও চাইছেনা। তাই লেখককে্ও আপনার মতো হাচরে পাচরে নিলীমার জাতে ওঠার চেষ্টা করতে এতো এতো শব্দের মালা গাঁথতে হয়। আপনার মতো এতেই লেখকেরও দফা-রফা হয়ে যাচ্ছে। :#)

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



রাজা সাহেব, আমি জানি আপনি ভালো ব্যাটসম্যান, কিন্তু আমিও খারাপ বোলার নই! পোস্টে প্লাস, মন্তব্যের প্রতিউত্তরেও প্লাস। +++

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,



তাহলে আমরা দু'জনে মিলে একটি ক্রিকেট টীম বানিয়ে ফেলিনা কেন ???????? :P

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২০

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া,
"অল্প কথার রাত্তির"
সম্পূর্ণ কাব্যপত্রখানি মনঃযোগ দিয়ে পড়বার পর একটা কবিতার শেষ লাইনটাই মাথায় এসে গেলো। :)

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে— সব নদী— ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।


এই অল্প কথার রাত্তিরে পৃথিবীর সব রং মুছে গিয়ে নিকশ কালো অন্ধকারে জোনাকীর মিটিমিটি আলোর মত জ্বলে ওঠে হৃদয়াকাশে ঝিকিমিকি অল্প স্বল্প কথার অনেক অনেক ভাবালুতা। আর তাই নিয়ে নীলিমাকে লিখতে গিয়ে ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলা চিল হয়ে ওঠে ভাঙ্গা দেউলের দেবতা ।

সেই দেবতা মন্ত্রহীন শব্দের মেঘ দিয়ে বৃষ্টি ঝরায় নিজের চোখেই....


মনে পড়ে যাওয়া কবিতাটা আবার পড়ালাম।

বনলতা সেন

হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে— সব নদী— ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।


১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা,



চমৎকার এবং চমৎকার এবং চমৎকার মন্তব্য। অল্পকথার রাত্তিরের ধোঁয়াশার মতো মিহিন আলো ছড়ানো!
শুরুতে বলেছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্রের ডিকশনারীখানি খুলে বসবেন। কিন্তু এ যে দেখছি, জীবনান্দকে নিয়ে পড়লেন! এই লেখা পড়ে রাত্রে ঘুম হয়নি বলে মাথাটা "আউলা ঝাউলা" হয়ে গেছিলো কি ?

পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন....
আসলে নিলীমার নির্লিপ্ততাতেই জোনাকির রঙে ঝিলমিল এমন পাণ্ডুলিপির আয়োজন করতে হয়েছে লেখককে। তবু্ও কি রেহাই মিলেছে লেখকের ?
মুখোমুখি বসিবার নিলীমা সেন তো নিজের অন্ধকারে বসে থেকে তার মনের ডানা থেকে লেখকের প্রেমের গন্ধ মুছে ফেলেছে বেমালুম!
লেখকের তো হাল ভাঙা নাবিকের মতো দিশেহারা অবস্থা !

এই "অল্প কথার রাত্তির" এর রং নিভে গিয়ে বনলতার জীবনানন্দের কবিতার সাথে মিশে গেছে নিলীমার গল্পখানি্ও......
মন্তব্যে ++++++++

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুক্ত গদ্যে ফানুস উড়িয়েছেন। নীলিমা নয় সে কোনো সাধারণ নারী; বড় জটিল রহস্যময়ী বটে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী,




নিলীমা রহস্যময়ীই বটে নইলে তাকে ভালোবাসা বোঝাতে এতো কথার পশরা সাজাতে হয়!!!!!!!!!!

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:



আমার কাছে উৎসর্গটুকু ভালো লেগেছে!

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,



আপনার মন্তব্য দেখে ভালো লাগলো।
উৎসর্গের কারনটুকু্ও বলা আছে লেখার শেষে।

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কি অসাধারণ ভাষা! লেখনির কি অভিনবত্ব! মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ। দুইবার পড়লাম স্যার। জাস্ট ওয়াও। উৎসর্গে ++।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,




মুগ্ধতা জানানোর জন্যে ধন্যবাদ।
সব সময় সাথে থাকার জন্যে কৃতজ্ঞ।

৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

আমি যক্ষের মতো হা-হুতাশ নিয়ে বসে থাকি তারই জন্যে ভাঙা দেউলের দেবতা হয়ে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্য সারমর্ম,




এ দুঃখ কোথা যে রাখি !!!!!!!!

১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১০

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া যাদের শুধু উৎসর্গে ভালো লেগেছে বলছে তারা কিন্তু কেউ লেখা পড়ছে না ভাষার কাঠিন্যে আর কি.....

মানে মধ্যরাত্রীর নিদ্রা ছুটাইতে কেহ আগ্রহী নহে। হা হা :P

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা,



ভাষার কাঠিন্য মনেহয় তেমন নেই যা আছে তা রূপকল্প।
ক'জনেই বা ব্লগের সব লেখা পড়ে ? যা পড়ে তা চুটকি টাইপের বা বিনোদন মূলক লেখা, ফেসবুকীয় ষ্টাইলের। :(

১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শায়মা আপু @ আমি কিন্তু ২ বার পড়ছি সিরিয়াসলি। স্যার জানেন আমি মিথ্যা কথা বলিনা।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,




ধন্যবাদ দুইবার পড়ার জন্যে। তবে আপনার "শায়মা আপু"র মনে কি আছে কে জানে!!! ;)

১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- চমৎকার লিখনি, শব্দের গাথুনী অসাধারণ হয়েছে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,



মুক্ত গদ্য তো, তাই কবিতাকে আর তার ভাষাকে গদ্য বানিয়েছি। ;)

ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে।

১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:০৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: কোন কোন লেখা মাঝরাতে পড়লে পাঠকের মনে অদ্ভুত অনুভূতির সৃষ্টি হয়। তেমন একটা লেখা পড়লাম। কী সুন্দর ভাষার প্রয়োগ!

১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কল্পদ্রুম,




আপনার মন্তব্যে আমারও ভালো লাগার অনুভূতি হচ্ছে।

এমন মন্তব্য লেখককে আরো দায়বদ্ধতায় ফেলে দেয়।
মন্তব্য লাইকড...............

১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ছেলে বেলায় বাংলা ব্যকরণে পড়েছিলাম- যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তা/লেখকের মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয় তাকে বাক্য বলে বলে। পরস্পর অর্থ সম্বন্ধবিশিষ্ট যে পদগুলোর দ্বারা একটি সম্পূর্ণ ধারণা বা বক্তব্য বা ভাব প্রকাশ পায়, সে পদগুলোর সমষ্টিকে বাক্য বলে।

ভাষার বিচারে একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক। যথা- আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি এবং যোগ্যতা।
আকাঙ্ক্ষা: বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা, তা-ই আকাঙ্ক্ষা। যেমন: ‘চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে—’ বললে বাক্যটি সম্পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করে না, আরও কিছু শোনার ইচ্ছা হয়। বাক্যটি এভাবে পূর্ণাঙ্গ করা যায়— ‘চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে’। এখানে আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি হয়েছে বলে পূর্ণাঙ্গ বাক্য।

আসত্তি: বাক্যের অর্থসংগতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদ বিন্যাসই আসত্তি। মনোভাব প্রকাশের জন্য বাক্যে শব্দগুলো এমনভাবে পরপর সাজাতে হবে যাতে মনোভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়। যেমন: কাল বিতরণী হবে উৎসব কলেজে আমাদের পুরষ্কার অনুষ্ঠিত। এখানে পদগুলোর সঠিকভাবে সন্নিবেশ না হওয়ায় বাক্যের অন্তনির্হিত ভাবটি যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়নি। তাই এটিকে বাক্য বলা যায় না। এ ক্ষেত্রে পদগুলোকে নিচের যথাস্থানে সন্নিবিষ্ট করতে হবে। কাল আমাদের কলেজে পুরস্কার বিতরণী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি আসত্তি সম্পন্ন বাক্য।

যোগ্যতা: বাক্যস্থিত পদগুলোর অন্তর্গত এবং ভাবগত মিলনবন্ধনের যোগ্যতা। যেমন: বর্ষার বৃষ্টিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়। বাক্য: যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়, তাকে বাক্য বলে।

গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যথা- সরল বাক্য: যে বাক্যে একটি মাত্র কর্তা এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থকে। যথা: অপ্সরা বই পড়ে। এখনে অপ্সরা কর্তা এবং পড়ে সমাপিকা ক্রিয়া।

জটিল বাক্য: যে বাক্যে একটি মাত্র প্রধান খণ্ড বাক্য এবং তার ওপর এক বা একাধিক নির্ভরশীল বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহূত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলে। যেমন: যে পরিশ্রম করে সেই সুখ লাভ করে। এখানে ‘যে পরিশ্রম করে’ নির্ভরশীল বাক্য এবং ‘ সেই সুখ লাভ করে’ প্রধান খণ্ড বাক্য।

যৌগিক বাক্য: পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা জটিল বাক্য কোনো অব্যয় দ্বারা সংযুক্ত হয়ে একটি পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন: লোকটি ধনী কিন্তু অসুখী।

প্রিয় জী এস ভাইজান, শব্দ, বাক্য এবং ভাষা নিয়ে এই ভোর রাতে এতো এতো বিদ্যা খরচ করে বলতে চাইঃ-এতো কঠিন শব্দ প্রয়োগ করে যা প্রকাশ করেছেন তাতে আপনার সমৃদ্ধ শব্দ ভাণ্ডার এবং ভাষাজ্ঞান অত্যন্ত গভীরতা প্রকাশ পেলেও আমার মতো নাদান পাঠকের বুঝতে গলদঘর্ম হয়েছে।


ধন্যবাদ এবং প্লাস।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,




বাক্য নিয়ে এই যে এতো এতো কথা বললেন তাতে কি ধরে নেব, এই লেখাতে বাক্য গঠনের জন্যে প্রয়োজনীয় আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি এবং যোগ্যতা ইত্যাদি গুনের ঘাটতি আছে ? :(( আমি তো একজন হরলাল রায় কিম্বা ডঃ কাজী দীন মোহম্মদ নই যে আমার লেখাতে এসব ঘাটতি থাকবেনা! :(
আপনি গতানুগতিক নাদান পাঠক হলে এই সারগর্ভ ব্যাকরণ্ও জানার কথা নয়। ;) যখন জানেনই তখন ধরে নিতেই হয়, আপনি সমঝদার এক আদমী। এবং কঠিন রকমের এক পাঠক।
তবে, এই লেখার জটিল সব শব্দ এবং রূপকল্প বুঝতে গিয়ে আপনাকে গলদঘর্ম হতে হয়েছে , এটা মানা গেলনা। হতে পারে এটা পড়ার সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছিলো । আর যে গরম পড়েছে, সে কারনেই ঘেমেছেন কিনা স্মরণ করে দেখুন। :P

এমন ঋদ্ধ মন্তব্যে আগেই "প্লাস" দিয়ে রেখেছিলুম। এরপরে্ও বলি - চমৎকার একটি মন্তব্য।
বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং এর কারণে ব্লগে ঢুকতে অনিচ্ছার জন্যে প্রতিমন্তব্য দিতে বিলম্ব হ'ল বলে দুঃখিত।
শুভেচ্ছান্তে।

১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:৩২

ককচক বলেছেন: দারুণ। লেখাটি পড়েছি। লগইন না-থাকায় মন্তব্য করা হয়নি।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ককচক,




দারুন বলাতে ধন্যবাদ।

১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো। ভালো।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




ধন্যবাদ । ধন্যবাদ ।

১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: সোজা দৌঁড়ের উপরে আছি। অফিসে এখনো কাজ করছি। আপনি অনেক কঠিন লেখা লিখেছেন। একবার পড়ে আমি কিছুই বুঝিনি। মহাব্যস্ত এখন, ফ্রি হয়ে আবার ফিরবো ইনশা আল্লাহ।
শুভ কামনা।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,



দৌঁড় কি শেষ হয়েছে ??
শব্দগুলি কঠিন বটে তবে লেখা বোঝা কঠিন নয় কিন্তু।
মন্তব্য নিয়ে ফেরার অপেক্ষায়...............

১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই পোস্ট ভাবতে ও লিখতে কতোদিন সময় লেগেছে আনুমানিক?

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,




বিরাট প্রশ্ন! জেনে কি করবেন?
তবু্ও বলি - ভাবতে ভাবতেই লিখেছি। লিখতে লেগেছে দিন দুয়েক। একদিন লেগেছে সম্পাদনায় । সাকুল্যে তিন দিন।

১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আজন্ম আক্ষেপের নান্দনিক শৈল্পিক শব্দবুনন !!!!
নীলিমা ও একদিন চোখ ফেরাবে ক্ষয়ে যাওয়া ঝিনুকে যে ঝিনুক নীরবে সয়েসয়ে প্রেমিকার তরে প্রেমের নৈবদ্যের মুক্তা ফলিয়েছে !

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,



আপনার মন্তব্যের বুনোট্ও কিন্তু কম শৈল্পিক নয়!

নিলীমা কেমন করে ফেরাবে তার চোখ ! সে তো তাকিয়ে আছে তার শরীর নিংড়ে ছিবড়ে বানিয়ে ফেলতে উদ্যত এক রুদ্ধ দ্বারের দিকে। বুকে মুক্তা নিয়ে যে ঝিনুক খুলে রেখেছে তার দুয়ার, সেদিকে নিলীমার চোখই তো পড়ছেনা এখন্ও.................. :((

এমন নান্দনিক মন্তব্যে প্লাস ।

২০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩২

মুক্তা নীল বলেছেন:
চিরাচরিত একটি কথা আছে
তুমি তার কাছে যাও যে তোমাকে ভালবাসে , তুমি তার কাছে যেও না যাকে তুমি ভালোবাসো । বেঁচে থাকুক ভালোবাসা সুন্দর কিছু স্মৃতিতে , অপেক্ষায় আর না হয় আক্ষেপে ....

উৎসর্গে ভালোলাগা রইলো ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,




মন্তব্যে লাইক দিয়ে রেখেছিলুম আগেই কারণ জানতুম না কখন এই মন্তব্যের জবাব দিতে পারবো!

আপনার কথার মতো কথা তো আমি শুরুতেই বলেছি নিলীমাকে...
"পৃথিবী যে সুন্দরের জন্যে অপেক্ষা করে তেমন সুন্দর কাউকে নয় , বরং নিলীমার পৃথিবীকে যে সুন্দরতায় ভরে দিতে পারে তাকেই চা্ওয়া উচিৎ নিলীমার ।"

আপনার মন্তব্যে্ও ভালোলাগা!

২১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

মিরোরডডল বলেছেন:




নিলীমা! একদিন তুমি আমাকে ভালোবাসবে যেমন বেসেছি আমি । একদিন তুমি ভাববে আমার কথা যেমন করে ভেবেছি আমি । একদিন তুমি কাঁদবে আমার জন্যে যেমন করে কেঁদেছি আমি তোমার জন্যে । জানি, একদিন তুমি চাইবে আমায় কিন্তু সেদিন.................

সেদিন বড্ড দেরি হয়ে যাবে .....

যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে




২০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল ,




............অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে.........
না অনুভূতিটা সেরকম কোমল নয়। বরং আরো কঠিন কিছু ।

জানি, একদিন তুমি চাইবে আমায় কিন্তু সেদিন.................
"আমি তোমা্য় চাইবো না।"
এই অনুভূতিটা নিশ্চয়ই সন্ধ্যাতারার কাছে খবর "পুঁছ" করার মতো আবেগীয় নয় বরং দূরে ঠেলে দেয়ার বজ্র কঠোর উচ্চারণের মতো অনাবেগীয় এবং নির্মম একটা উচ্চারণ!

২২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি উৎকৃষ্ট মানের মুক্তগদ্য। পরিমিত কথায় চমৎকার কথন।
"জলের ভেতর যেমন জলের ঘূর্ণি একা একা কথা কয়, তেমনই..... একাকী তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে আসে" - কথাগুলো পাঠকের ভাবনায়ও নানা রকমের ঘূর্ণি এনে দেয়।
উৎসর্গটি যথাযথ; ভালো লেগেছে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




উৎকৃষ্ট মানের লেখা হয়েছে কিনা জানিনে তবে এটা জানি; জলের ভেতর যেমন জলের ঘূর্ণি একা একা কথা কয়, তেমনি আমি্ও মনে হয় নিজের সাথেই একা একা কথা কয়ে গেছি লিখতে লিখতে।
পড়তে পড়তে আপনার পাঠক মনে্ও তেমন একটা ভাবনার ঘূর্ণি হয়তো একা একা খেলা করে গেছে ! আপনার পাঠক মনটাকে করে গেছে তন্দ্রাচ্ছন্ন...................

২৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে। অসম্ভব সুন্দরভাবে একের ভালোবাসা যন্ত্রণা এবং অন্যের না বোঝার অজ্ঞতা ফুটিয়ে তুলেছেন। যেন জীবন্ত ছবি একেছেন।

শুভকামনা।

- দেয়ালিকা বিপাশা

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: দেয়ালিকা বিপাশা,




এই লেখাতে আসার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্যে্ও।

২৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩০

প্রামানিক বলেছেন: গুরু, দারুণ একখান লেখা

০২ রা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক,




ভালো লাগলো এখানে আপনাকে দেখে।
"দারুণ" বলে মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:১৯

সোহানী বলেছেন: যাক্ শায়মার বদৈালতে অনেকদিন পর নিলীমাকে মনে পড়লো।

শুনেন ভালো বুদ্ধি দেই বিনি পয়সায় শুনেনতো :P । বই বের করেন, আমরা পয়সা দিয়ে আপনার লিখা পড়ি। ;)

০২ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




অনেকদিন পরেই আপনারও দেখা মিললো!

বিনে পয়সায় বুদ্ধি দিয়ে আবার পয়সা দিয়ে সেই বুদ্ধিরই ফল খেতে চাচ্ছেন ? তাজ্জব কি বাৎ............... :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.