নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
খুব জানতে ইচ্ছে করে..............
(যা "খুব জানতে ইচ্ছে করে...." তা শুধু আমার একারই নয়, মনে হয় সবারই তেমন ইচ্ছে করে।)
মৃত্যু এক অমোঘ নিয়তি । সে আসবে হয় অতি লঘু পা'য়ে নয়তো হামলে পড়বে দস্যির মতো! লুটেপুটে নিয়ে যাবে এতোদিনের যত্নে-অযত্নে গড়ে তোলা মহার্ঘ্য জীবনখানাকে ।
করোনার দিন থেকে এযাবৎ চারিদিকে চেনা-পরিচিতদের হঠাৎ বেশী রকমের মৃত্যু দেখে কেন যেন নিজের চলে যাওয়ার পরের কথাগুলো নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে করে !
একদিন হঠাৎ করেই চোখের সামনে থেকে যখন হারিয়ে যাবে প্রতিদিনকার ওঠা সূর্য্য, ফুৎকারে নিভে যাবে সান্ধ্যপ্রদীপ তখন আমার কথা আর কেইবা মনে রাখবে!
যখন ফুরিয়ে যাবে এই লেখালিখি, মুছে যাবে দেখা - অদেখা ব্লগারদের স্মৃতি, ধারে কাছের মানুষদের মুখের আদল তখন আমার পায়ের চিহ্ন খুঁজবে কি কেউ!
খুউব জানতে ইচ্ছে করে!
যখন ব্লগের সুন্দর-অসুন্দর লেখাগুলো আর দেখা হবেনা, করা হবেনা কোনও মন্তব্য, বসে থাকা হবেনা কোন প্রতিমন্তব্যের আশায়, তখন আমায় না দেখে কেউ কি একবারও শুধাবেন - "দেখছি না যে!!!"
আমিই বা কি করে বলবো- "এতোদিন কোথায় ছিলেন ?"
“যখন পড়বেনা মোর পায়ের চিহ্ণ এই বাটে ………”
তখন আর কি শোনা হবে ইটপাথরের মাঝে জেগে থাকা জীবনের যতো গান, পথের কোলাহল, রিক্সার ঠুংঠাং, রাস্তায় অবর্ণনীয় জ্যামের হা-হুতাশ ! দেখা হবে কি গার্মেন্টস'য়ের হাড় জিরজিরে মেয়েদের দলবেঁধে চলা, টোকাইদের খুনসুটি, ঘেমে নেয়ে ওঠা শ্রান্ত বাসযাত্রীদের ঠেলাঠেলি? তখন এই পথের পাঁচালীতে আমি নেই দেখে কারো কি একটু দীর্ঘশ্বাস পড়বে !!!!
যখন আর কোনদিন মোড়ের টংঘরের রানাকে বলা হবেনা- "ওই রানা, এট্টু কাঁচাপাত্তি মাইররা এককাপ চা দে.....।"
যখন কাছের বন্ধুটিকে ফোন করে বলা হবেনা - " কিরে তোর আইতে কতোক্ষুন ? রানার দোকানে আয়....." তখন তারা কি আমায় না দেখে উতলা হবে !!!!!
খু….উ….ব জানতে ইচ্ছে করে!
জানি, জীবনের পাতায় পাতায় যতোই হিসেব-নিকেষ লিখে রাখিনে কেন, রইবে না কিছুই । সেদিন, কোনখানে আমি নেই এটা জেনে আমারও কি কিশোরকুমারের গানের মতো ভাবতেই ব্যথায় ব্যথায় মন ভরে যাবে.....? আমি নিজেই বা সে ব্যথার কথা জানবো কেমন করে ?
আমার যে খুউব জানতে ইচ্ছে করে, সেদিন কি আমার জন্যে ব্লগের পাতায় শোকগাঁথা লিখবেন কেউ! যদি লেখেনও তবে আমিইবা তা জানবো কি করে? তা জানতে আমায় কি আবার ফিরে আসতে হবে শঙ্খচিল-শালিকের বেশে না কি ভোরের কাক হয়ে ?
তাই, নতুন পুরোনো সব লেখা পুতে রেখে যাই ব্লগে যদি কোনদিন সেখান থেকে কিছু সতেজ দূর্বাঘাস মাথা তোলে! তবে সে-ই হবে আমার এপিটাফ।
ছবির কৃতজ্ঞতা - ইন্টারনেট
উৎসর্গ-
সহ ব্লগার “জুল ভার্ন”কে যিনি অতি সম্প্রতি তার এই পোস্টে……তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে.....
জীবনের করুণ অধ্যায়খানির অনুরণন করে গেছেন।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
ইয়েস; লাইফ ইজ বিউটিফুল"!
সেই বিউটিনেসটা যখন মাটির অন্ধকারে ঢেকে যাবে তখনও কি তার আবেশটা লেগে থাকবে চোখে ?
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২০
ঢাবিয়ান বলেছেন: জীবন এক সুন্দর মিত্থ্যা আর মৃত্যূ বড় কঠিন সত্য। মহান আল্লহর কাছে একটাই প্রার্থনা যেন মান সম্মান এবং ইমান নিয়ে মরতে পারি।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
জীবন এক সুন্দর মিথ্যে কিনা জানিনে তবে জীবনটা যে অপরূপ সুন্দর সেটা জানি! তাইতো কেউ-ই চিরতরে হারিয়ে যেতে চায়না এখান থেকে।
মহান আল্লাহতায়ালা যেন আপনার প্রার্থনা মঞ্জুর করেন।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার দৈনিক কাজকর্ম কি কমে যাচ্ছে, কিংবা আগামীদিনের জন্য কোন পরিকল্পনা নেই?
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,
আমার দৈনিক কাজকর্ম যেমন, খাওয়া-শোয়া ইত্যাদি আগের মতোই আছে কিন্তু বাকী সব কাজকাম শুধু কমেই যায়নি প্রায় থেমেই গেছে। ও...হ...হো ব্লগে সময় দেয়ার কাজটি কিন্তু কমেনি।
আগামীদিনের জন্য পরিকল্পনা হলো, দেশেই থাকবো নাকি বাইরে চলে যাবো ছেলেমেয়ে-বৌয়ের কাছে!
আর এর মধ্যেই যদি দম ফুরিয়ে ঠুসসসস হয়ে যাই তবে আপনাদের সবার কথা আমার কি একটুও মনে পড়বেনা মরনের ওপার থেকে? তা যেন না হয়.......
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩০
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া
সবাই এমন করে লিখলে তো যারা আমরা তোমাদেরকে ভালোবাসি তাদের মন আরও খারাপ হয়ে যাবে।
মৃত্যু তো এক অমোঘ সত্য।
কিন্তু তাই নিয়ে এত ভাবলে তো সবার মনই খারাপ করে দেওয়া হবে।
এই চারিদিকের এত সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে এই ভাবনাটার চাইতেও কষ্টের আমাদের প্রিয়জন ছেড়ে চলে যেতে হবে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্সরা,
মৃত্যু তো এক অমোঘ সত্য। এ সত্যটা জেনে্ও মানুষ কিন্তু জীবনের গল্পটাই বলে যেতে চায় যে, একদিন আমি্ও ছিলাম !
আমরা্ও না হয় জীবনের গল্প বলতে বলতে ঘুমিয়ে গেলুম একদিন..........
গালিব্ ও বলে গেছেন তেমনটাই।
বড়া শওক ছে শুন্ রহা থা জমানা
কহ্ ই শো গ্যায়ে হম্ দাস্তা কহ্তে কহ্তে ।
খুব মন দিয়ে পৃথিবী আমার কাহিনী শুনছিলো
কিন্তু আমিই যে ঘুমিয়ে পড়লুম কাহিনী বলতে বলতে .....
৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মৃত্যু এক অনিবার্য সত্যি।
পিছুটান শুধু কাছের মানুষ , প্রিয়জন রা।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
জীবনের সত্যটাকে রবীন্দ্রনাথের কথা দিয়েই বলি ---
কে আছে কোথায়, কে আসে কে যায়,
নিমিষে প্রকাশে, নিমিষে মিলায়..।
৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভাইজান। আপনার "জানতে ইচ্ছে করে" প্রসঙ্গে গালিবের একটা শের উল্লেখ করে আমার মনোভাব ব্যক্ত করতে চাই-
"মনের অর্গলে তৃপ্তির ভাজ, যাকে সাজাও তুমি
সবটুকু উষ্ণতা দিয়ে
হল্লা শেষে, নেফারতিতি যদি আসে
ধরা দেয় আফ্রোদিতির সৌন্দর্য নিয়ে-
কি হবে, তবে?
মাসুদ, হ্রদয় তোমার, চৌহদ্দিজুড়ে গেছে ছিঁড়ে
ও মনের সেলাই করবে কিভাবে,
সুই-সুতো যেথায় গেছে হারিয়ে!
গালিব বলে, নিমগ্ন প্রতিভূ হয়ে দিও না ঝাপটা
ওহে কামুক প্রেমিক,
প্রকৃত প্রেমিক তব, মুখ লুকাবে কিসে।"
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
গালিবের উদ্ধৃতি দিয়ে সুন্দর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
গালিবের এই শেরটিতে যে আক্ষেপ ফুটে উঠেছে সেটা মনে হয় তিনি পুষিয়ে দিয়েছেন এই শেরটিতে---
"কুচ ইছ তারা ম্যায়নে জিন্দেগীকো আসান কারলিয়া
কিসিসে মাফি মাঙ্গ লি কিসিকো মাফ কর দিয়া……."
কিছুটা এভাবেই আমি জীবনকে সরল করে নিয়েছি
কারোকাছে ক্ষমা চেয়েছি, কাউকে ক্ষমা করে দিয়েছি।।
৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৯
আখেনাটেন বলেছেন: জীবনের অমোঘ নিয়ম.....কেউ মনে রাখবে কেউ ভুলে যাবে.....তবে অবশ্যই কিছু কিছু স্মৃতির পালক পেঁজা তুলার মতো স্মৃতির আকাশে ঘুরে বেড়াবে আমরা যারা একে অপরের সাথে কিছুটা হলেও ইন্টারেকশন ছিল তাদের....
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,
জীবনের এই অমোঘ নিয়ম খন্ডায় সাধ্যি কার? তবুও মানুষ আশা করে, মরনের ওপার থেকে সে যেন দেখতে পারে, পৃথিবীর মাটি ও জলে তারই পদচিহ্ণ আর ছায়া পড়ে আছে এখনও ! এ এক কুহেলি মায়া.............
আপনাদের এমন মন্তব্য আর সে মন্তব্যে কবিতা - গানের পশরা দেখে মনে হয় শুরুতে ঠিকই লিখেছি -
যা "খুব জানতে ইচ্ছে করে...." তা শুধু আমার একারই নয়, মনে হয় সবারই তেমন ইচ্ছে করে।
৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১১
আরইউ বলেছেন:
খুব প্রিয় একটা গান শেয়ার করিঃ Angel — Sarah McLachlan
You spend all your time waiting
For that second chance
For a break that would make it okay
There's always some reason
To feel not good enough
And it's hard at the end of the day
I need some distraction
Oh, beautiful release
Memories seep from my veins
Let me be empty
Oh, and weightless
And maybe I'll find some peace tonight
In the arms of the angel
Fly away from here
From this dark, cold hotel room
And the endlessness that you feel
You are pulled from the wreckage
Of your silent reverie
You're in the arms of the angel
May you find some comfort here
So tired of the straight lines
And everywhere you turn
There's vultures and thieves at your back
The storm keeps on twisting
Keeps on building the lies
That you make up for all that you lack
It don't make no difference
Escape one last time
It's easier to believe in this sweet madness
Oh, this glorious sadness
That brings me to my knees
In the arms of the angel
Fly away from here
From this dark, cold hotel room
And the endlessness that you feel
You are pulled from the wreckage
Of your silent reverie
You're in the arms of the angel
May you find some comfort here
You're in the arms of your angel
May you find some comfort here
ভালো থাকুন, আহমেদ জী এস, সবসময়!
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরইউ,
লিংকের গানটিতে কথার সাথে মিলিয়ে সুরের উত্থান-পতন আর গায়কী ঢং চমৎকার। ধন্যবাদ গানটির জন্যে।
এ্মন গানটির বিপরীতে একটি বাংলা গানের লিংক দিচ্ছি। জানিনে বাংলা গান আপনার পছন্দ কিনা! কিন্তু আমার কাছে পুরোনো বাংলা গান অনেক পছন্দের বলেই দিলুম-----
এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে
৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আহমদে জী এস ভাই, আপনাকে আমাকে মনে রাখার মতো যদি মাত্র একজনও থাকে তাহলে মনে রাখার জন্য সেই একজনই যথেষ্ট। আর মনে রাখার জন্য যদি করিমন নসিমন খুশীমন দুঃখীমন সহ অসংখ্য হয় তাহলে কেউ কাউকে মনে রাখবে না। এদেরকে আমাদের প্রয়োজন নেই।
লেখা ভালো হয়েছে। +++
এপিটাফ
আবার আসিবো ফিরে
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
হা....হা....হা.. যা বলেছেন!
লেখা ভালো লেগেছে জেনে এবং প্লাস দেয়াতে ভালো লাগলো ।
১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে আপনার কি বক্তব্য?
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,
জটিল প্রশ্ন।
মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। জানলে সেখান থেকে নিয়ে দু'চার কথা বলতে পারতুম।
তাছাড়া মৃত্যুর পরের জীবন কেমন, তা নিয়ে কোন মৃত ব্যক্তিই জীবিত হয়ে এসে যেহেতু কাউকে কিছু বলে যায়নি বা বই লিখতে কবর থেকে উঠে আসেনি তাই "মৃত্যুর পরের জীবন" কেমন হবে সেটা নিয়ে আমার কোন জ্ঞান অর্জিত হয়নি তাই
এ সম্পর্কে কোন বক্তব্য আপনাকে জানানো সম্ভব হচ্ছেনা বলে দুঃখিত ।
তবে আমি মরে গিয়ে আবার ফিরে এসে আপনাকে বাস্তব বর্ণনা দিতে পারব বলে আশা রাখি ..........
১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি "আগামীদিনের পরিকল্পনা" নিয়ে দ্বিধায় ভুগছেন, সেজন্য অনেক কিছু এলোমেলো লাগছে?
১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,
জ্বী এটা ঠিক বলেছেন। আগামীদিনের পরিকল্পনা নিয়ে দ্বিধায় ভুগলে্ও অনেক কিছু নয়, হঠাৎ হঠাৎ এলোমেলো লাগছে!
১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
একদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।
একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে ধীরে
মাটিতে উর্বরতা বাড়াবে
মিশে যাবে জাম গাছের শিকড়ে- প্রশাখায়
নরম মাটি ভেদ করে শেষ রস টুকু শুষে নেবে
শুকনো তৃষিত পুকুর।
একদিন হঠাৎ করেই ফুরোবে না দিন
সময় আটকাবে না নিয়মের ফাঁদে
বিকেলের সোনালী রোদ দীর্ঘক্ষণ
ঝুলে থাকবে পশ্চিম আকাশের কোনায়।
একদিন সেই জাম গাছের শাখায় শাখায়
উচ্ছল প্রাণচঞ্চলতা দেখা দেবে পাতাদের
ভরা পুকুরের শীতল পানিতে
প্রতিফলিত হবে সুবিশাল
সবুজের ছায়া।
আমি কি তবে ধরে নেব
মানুষের মরা নিথর দেহ বিফলে যায়না
পৃথিবীর বিকাশতায় নিজেকে উজাড় করে
মাটি থেকে মাটিতে।
দিনের এই শেষ বেলায় কমতে থাকে
বিকেলের সোনালী রোদ
শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান লিখতে লিখতে
মানুষ অবশেষে খুঁজে পায়
অসীমের ঠিকানা।
আমার কবিতাটা মন্তব্য হিসেবে প্রকাশ করতে ইচ্ছা হলো। ভালো একটা লেখা পেলাম। এই পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া সহ্য করা যায় না।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ,
স্বপ্নিল কবিতা।
কবিতা মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য সম্পৃক্ত কবিতা দিয়েই করি ----
বিকশিত হব আমি ভুবনে ভুবনে
নব নব পুষ্পদলে। ............
...............................
...............................
নব নব জীবনের গন্ধ যাব রেখে,
নব নব বিকাশের বর্ণ যাব এঁকে।
কে চাহে সংকীর্ণ অন্ধ অমরতা কূপে
এক ধরাতল -মাঝে এক রূপে
বাঁচিয়া থাকিতে! ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )
১৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
জুন বলেছেন: এ যেন আমার প্রানের কথা আহমেদ জী এস,
আমারও প্রায়ই এই কথাগুলো মনে হয়। মনে হয় ব্লগের কেউ জানবেই না আমি নেই। অনেক ভালোলাগা জানাচ্ছি।
+
১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
শুধু আপনার একার প্রানের কথা হবে কেন ? কেউ বুকে হাত দিয়ে বলুক, এটা তার মনের কথা নয়!
আমি নেই হয়ে গেলে কি হবে তা বলতে গিয়ে নীচে সোহানী তার মন্তব্যে বলেছেন - "সোহানী কিংবা জুন একটা স্মৃতিময় পোস্ট লিখবে এবং সেটা স্টিকি হবে।"
তেমনি, আপনি নাই হয়ে গেলে (বালাই সাঁট!) আমিই না হয় আপনাকে নিয়ে স্মৃতিময় একটা পোস্ট লিখবো! ভাইস ভার্সা! (এটুকু দুষ্টুমি করলুম)
আসলে আপনার মতো আমারও প্রায়ই এই কথাগুলো মনে হয়। এটা মনে হলেই নীচের গানের কলিগুলি মনে পড়ে, কি কষ্টকর!
যদি সব কিছু ছেড়ে দিতে হবে
তবু এই আকাশ, এই বাতাস
পিছু ডাকে কেন তবে !
এ ভুবনে দু'দিনেরই তরে শুধু
কেন আসা , মিছে ভালোবাসা
ওগো নিঠুর জীবন তুমি
মোরে বলোনা বিদায়...... (শ্যামল মিত্র)
১৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আসার পরে প্রকৃতির নিয়মে একদিন চলে যেতেই হবে। খুব ভালো কিছু করে মানুষের মনে অমর হয়ে থাকার ভাগ্য সকলের হয় না। আমরা অতি ক্ষুদ্র মানুষ, ক্ষুদ্রতা আমাদের ছাড়ে না। কিন্তু বড় বড় মানুষেরা যখন ক্ষু্র হয়ে যায় নিজের কাজের দায়ে তখন নিজের ক্ষুদ্রতা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,
"আমরা অতি ক্ষুদ্র মানুষ, ক্ষুদ্রতা আমাদের ছাড়ে না।"
ঠিকই বলেছেন। অমরত্ব লাভের মতো আমাদের কোন কর্মই নেই!
ঠিক রবি ঠাকুর যেমন বলে গেছেন ----
"সংসারে সবাই যবে সারাক্ষন শত কর্মে রত,
তুই শুধু ছিন্নবাধা পলাতক বালকের মতো
মধ্যাহ্ণে মাঠের মাঝে একাকী বিষন্ন তরুচ্ছায়ে
দূরবনগন্ধবহ মন্দগতি ক্লান্ত তপ্ত বায়ে
সারাদিন বাজাইলি বাঁশি।"
১৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৮
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এ এক অমোঘ নিয়ম, সবাইকে চলে যেতেই হয়, তাইতো জীবন এত মোহময় ! যদি বার্ধক্য জরা-ব্যাধি-রোগ-শোক নিয়ে বাঁচতে হতো অনন্ত কাল তাহলেও কি আমরা জীবনে বাঁচতে চাইতাম? মনে হয় চাইতাম না। মানুষ তার কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকে। নিশ্চয়ই আমরা সবাই আমাদের কর্মের মাঝেই বেঁচে রবো। অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা আপনার প্রতি।
"আর কত দূরে নিয়ে যাবে মোরে
হে সুন্দরি?
বল কোন্ পার ভিড়িবে তোমার
সোনার তরী?
যখনি শুধাই, ওগো বিদেশিনী,
তুমি হাস শুধু মধুরহাসিনী,
বুঝিতে না পারি, কি জানি কি আছে
তোমার মনে?
নীরবে দেখাও অঙ্গুলি তুলি’
অকুল সিন্ধু উঠিছে আকুলি’,
দূরে পশ্চিমে ডুবিছে তপন
গগন-কোণে।
কি আছে হোথায়—চলেছি কিসের
অন্বেষণে?
বল দেখি মোরে শুধাই তোমায়,
অপরিচিতা,—
ওই যেথা জ্বলে সন্ধ্যার কূলে
দিনের চিতা,
ঝলিতেছে জল তরল অনল,
গলিয়া পড়িছে অম্বরতল,
দিক্বধু যেন ছলছল আঁখি
অশ্রুজলে,
হোথায় কি আছে আলয় তোমার
উর্ম্মিমুখর সাগরের পার,
মেঘচুম্বিত অন্তগিরির
চরণতলে?
তুমি হাস শুধু মুখপানে চেয়ে
কথা না বলে’!
হুহু ক’রে বায়ু ফেলিছে সতত
দীর্ঘশ্বাস!
অন্ধ আবেগে করে গর্জ্জন
জলোচ্ছ্বাস!
সংশয়ময় ঘননীল নীর
কোন দিকে চেয়ে নাহি হেরি তীর,
অসীম রোদন জগৎ প্লাবিয়া
দুলিছে যেন;
তারি পরে ভাসে তরুণী হিরণ,
তারি পরে পড়ে সন্ধ্যা-কিরণ,
তারি মাঝে বসি এ নীরব হাসি
হাসিছ কেন?
আমি ত বুঝি না কি লাগি তোমার
বিলাস হেন?
যখন প্রথম ডেকেছিলে তুমি
“কে যাবে সাথে?
চাহি বারেক তোমার নয়নে
নবীন প্রাতে।
দেখালে সমুখে প্রসারি কর
পশ্চিম পানে অসীম সাগর,
চঞ্চল আনো আশার মতন
কাঁপিছে জলে।
তরীতে উঠিয়া শুধানু তখন
আছে কি হোথায় নবীন জীবন,
আশার স্বপন ফলে কি হোথায়
সোনার ফলে?
মুখপানে চেয়ে হাসিলে কেবল
কথা না বলে’!
তারপরে কভু উঠিয়াছে মেঘ,
কখনো রবি,
কখনো ক্ষুব্ধ সাগর, কখনো
শান্ত ছবি।
বেলা বহে’ যায়, পালে লাগে বায়,
সোনার তরণী কোথা চলে’ যায়,
পশ্চিমে হেরি নামিছে তপন
অস্তাচলে।"
১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: গেঁয়ো ভূত,
জীবন এত মোহময় বলেই নির্বিধায় বলা যায় -"আর কত দূরে নিয়ে যাবে মোরে হে সুন্দরি?"
সে জীবন সুন্দরীর ডাকে 'মান্না দে'র গলায় আমি্ও গলা মিলিয়ে বলি ---
কত দূরে আর নিয়ে যাবে বলো
কোথায় পথের প্রান্ত
ঠিকানা হারানো চরণের গতি
হয়নি কি তবু ক্লান্ত।
পিছনের পথে উঠিছে ধূলির ঝড়
সমুখে অন্ধকার .....
সুন্দর এবং প্রাসঙ্গিক কবিতাটির জন্যে ধন্যবাদ। ভালোবাসা আর শুভকামনা আপনার প্রতি্ও।
১৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: মৃত্যুচিন্তা মানুষকে একদম কাবু করে ফেলে।
আমার নিজের কথা বলি- মৃত্যু নিয়ে আমার কোনো চিন্তা ভাবনা বা ভয় নেই। কিন্তু ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম, আমার বয়সী অনেকে হুটহাট মরে যাচ্ছে। স্ট্রোক করেই বেশি মরছে মানুষ। চারপাশে এত এত মৃত্যু দেখে নিজের অবচেতন মনে আচমকা মৃত্যু চিন্তা চলে আসে। সত্য কথা বলি- এখন আমি মরতে চাই না। আমার কন্যা অনেক ছোট। আমি মরে গেলে ওরা বিরাট বড় হবে। আদর ভালোবাসা ছাড়া ওদের বড় হতে হবে। আমি আরো কমপক্ষে ২৫ বছর বেঁচে থাকতে চাই।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
"মৃত্যুচিন্তা মানুষকে একদম কাবু করে ফেলে।" কথাটা মনে হয় সর্বাংশে ঠিক নয়। মৃত্যুচিন্তা অনেক মানুষকেই আরো দায়িত্বশীল করে তোলে, নিজের অসমাপ্ত কাজগুলি দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেয়। সবটাই পরিবার -সংসারের প্রয়োজনে।
আপনার এখন্ও মৃত্যুচিন্তার সময় আসেনি। আপনি আরো দীর্ঘদিন বেঁচে থাকুন সেই কামনায়.......
১৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৩
জিকোব্লগ বলেছেন:
আপনি কী জানতে পারেন জন্মের আগের যে জগৎ থেকে বিদায় নিয়ে
এই পৃথিবীতে এসেছিলেন , সে জগতে আপনাকে নিয়ে কোনো শোকগাঁথা
লেখা হয়েছিল কী না! যদি না জানতে পারেন তাহলে এই পৃথিবী ছেড়ে
নতুন জগতে গেলে , সেই জগৎ থেকেও পৃথিবীর মানুষরা আপনাকে নিয়ে
শোকগাঁথা লিখেছে কী না তা জানতে পারবেন না।
তবে একটা বিষয় দেখেন আপনি একটা জগৎ থেকে অন্য জগতে গেলে ,
এক জগতে মৃত্যু কিন্তু অন্য একটি জগতে সেটি জন্ম। মানে একই বিষয়
একটি স্থানে দুঃখ , অন্য একটি স্থানে সেটি আনন্দ।
পৃথিবীর মানুষরা যখন আপনাকে নিয়ে শোকগাঁথা লিখবে, তখন আপনি
হয়তোবা নতুন একটি জগতে আনন্দের মাঝে থাকবেন, আর ভুলে যাবেন
পৃথিবীর মানুষদের কথা ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: জিকোব্লগ,
পূনর্জন্ম ?
যদি তা ঘটেই যায় তবে আগের জনমের শোকগাঁথা খুঁজে পা্ওয়া কষ্টকর হবেনা। মরনের পরে আত্মারা নাকি ঘুরে ফিরে এই পৃথিবীতেই বিচরণ করে! সেটা হলে পথে ঘাটে নয়তো নিদেন পক্ষে এই এই ব্লগের হাটে কিছু শোকগাঁথার দেখা মিলতেই পারে যদি তেমন কিছু কেউ লিখে থাকেন!
১৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৭
মিরোরডডল বলেছেন:
জীবন যেমন একটা মায়া, মৃত্যুও একটা মায়া ।
যে চলে যায় সে কষ্ট পায়, সবাইকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে ।
যাদের রেখে যায় তারাও কষ্ট পায় তার চলে যাওয়া দেখে ।
Death is all about a feeling of missing each other.
But the fact is, this feeling is for a certain period of time.
মানুষ মানুষকে মনে রাখে তার কাজের মাঝে বা স্মৃতিতে।
কিন্তু একটা সময়ের পর জীবন তার আপন গতিতেই চলতে থাকে ।
হারানোর যে কষ্টবোধ, মনের গহীনে কোথাও জমে থাকলেও প্রতিনিয়ত জীবন থেকে ফিকে হয়ে যায় ।
চোখগুলো শুষ্ক হয়ে যায়, সেগুলো আর ভিজে উঠেনা আগের মতো ।
বুকের ভেতর আর ব্যথা হয়না আগের মতো ।
অনুভূতিশূন্য হয়ে যায় ।
জি এসের জন্য শুভকামনা ।
নো মোর মৃত্যুচিন্তা।
জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আনন্দে কাটুক ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,
যা বলেছেন তার সবটাই নির্জলা সত্য। তবু্ও কথা থাকে! কেউ কি বুকে হাত রেখে বলতে পারবে যে, মরনের পরে কেউ যেন তাকে মনে না রাখে বা একফোঁটা অশ্রু না ফেলে ? মানুষের তো সুপ্ত বাসনা থাকেই, সবাই যেন তাকে মনে রাখে যুগ যুগ ধরে!
হ্যা..... জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আনন্দে কাটুক ।
মিরোরডডলের জন্য্ও শুভকামনা ।
১৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমারও জানতে ইচ্ছে করে। কিন্তু জানার কোন উপায় নাই।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
না.........জানার কোন উপায় নেই। এক, যদি ভুত হয়ে ফিরে আসতে পারেন তবে হয়তো জানতে পারবেন।
অবশ্য মরনের পরে মানুষ পৃথিবীর কিছুই দেখতে এবং জানতে পারবেনা, এমন কথা এ পর্য্যন্ত কবর থেকে উঠে কেউই এসে বলে যায়নি!
২০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: প্রচণ্ড মন খারপ হলো পড়ে। মরিতে চাই না আমি সুন্দর এই ধরণী ছেড়ে। অনেক দিন চিকিৎসার পর এখন স্বাভাবিক হলাম একটু। দোয়া করবেন এবং আমি আপনার জন্য দোয়া করি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,
অসুস্থ্য ছিলেন জানতুম না। এখন স্বাভাবিক আছেন জানতে পেরে স্বস্তি পেলুম।
দোয়া তো অবশ্যই করছি, সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাকে সকল বালা-মুসিবত থেকে মুক্ত রাখেন। রাখেন, সুস্থ্য আর সবল।
শুভেচ্ছান্তে।
২১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৭
সোহানী বলেছেন: হুম ধরুন আপনার মৃত্যর খবর আমরা যথারীতিই পেলাম। তারপর কি হবে?
১) আপনার একটা ফটুক ঝুলবে ব্লগ পাতার সাইডে।
২) সোহানী কিংবা জুন একটা স্মুতিময় পোস্ট লিখবে এবং সেটা স্টিকি হবে। তারপর সেখানে সবাই আপনার গুনগান গাইবে।
৩) বছর খানেক আপনাকে কেউ কেউ মনে রাখবে ও মন্তব্যে আপনার কথা আসবে।
৪) তারপর সবাই ভুলে যাবে ও অনেক বছর পার হবে।
৫) হঠাৎই ৩/৪ বছর পর অপু তানভির বা অন্য কেউ স্মরণে আহমেদ জী এস নামে একটা স্মৃতিচারণ পোস্ট লিখে আপনার কিছু লিখা এড করবে। তারপরও অপুও ভুলে যাবে।
৬) আবারো ১০/১২ বছর পর কেউ একজন আহমেদ জী এস নামে একটা স্মৃতিচারণ পোস্ট লিখে আপনার কিছু লিখা এড করবে। তারপরও সবাই ভুলে যাবে।
৭) ৫ ও ৬ এর পূণরোবৃত্তি .................
ভাইরে তাইতো দেখে আসলাম এ ১৫ বছরে। সে কারনেইতো কইলাম বই বাহির করেন...................।
ওও বাই দা ওয়ে, আপনার জন্য রাখা দু'খানা বই কি সংগ্রহে আনতে পেরেছিলেন?
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
আহা..... অমনটা যদি হতো! তবে মরনে্ও সুখ....
বই বের করলেই কি কেউ চিরকাল মনে রাখবে ? বই তো কাটবে হয় উঁইপোকায় নয় তেলাপোকারা ধ্রুপদী নৃত্যের ছাপ এঁকে যাবে মলাটের গায়!
তার চেয়ে ভালো হতো কেউ যদি একটা আবক্ষ মূর্তি বানিয়ে গুলিস্থানের মোড়ে বসিয়ে দিত।
এখন বলতে পারেন, কিছুদিন পরে সেই মূর্তির মাথায় কাউয়াদের হাগু স্তুপাকার হতে পারে! বেদীটাকে কুত্তারা মুতে ভাসিয়ে দিতে পারে। মনুষ্য সন্তানেরা সেখানে.........
আরও ১৫ বচ্ছর আপনাকে তা দেখতে হতে পারে! সেই কারনেই তো আমিও কইতে চাই - যাহ মরমুই না....
শেষ লাইনের জবাবে বলি, আমি ফোন দিয়েছিলুম কিন্তু কোন রেসপন্স পাইনি। তাই উপহারের সে দু'টি বই আমার হাতে আসেনি। তারপরে্ও দোষটি আমারই, সংগ্রহ করা আমারই উচিৎ ছিলো । দুঃখিত খুব আন্তরিক ভাবেই।
২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২
আরইউ বলেছেন:
গানটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম, আহমেদ জী এস।
বাংলা গান শুনেই বড় হয়েছি আমি। আমার ছোট চাচার প্রিয় ছিল "ভারতীয় বাংলা" গান; ক্যাসেটে শুনতেন আবার নিজেও গাইতেন টুকটাক। শ্যামল মিত্রের গানটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। বহুদিন পর গানটা শুনলাম; মনটা ভরে গেল।
আপনার দেয়া গানটা শুনে মনে হচ্ছে মৃত্যু নিয়ে বাংলায় আর কী কী গান আছে। প্রথমেই যেটা মনে পরছে সেটা হলো "আমিও পথের মত হারিয়ে যাব"। ঠাকুর বাবুর গানটার কথাতো আপনি পোস্টেই উল্লেখ করেছেন। দেখি আর কোন কোন গানের কথা মনে পরে।
ভালো থাকুন। শুভরাত্রী।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরইউ,
আবার এখানে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো।
মরন বা মরনের কথা নিয়ে অনেক বাংলা গানই হয়তো পাবেন। কিশোর কুমারের " আমি নেই, ভাবতেই ব্যথায় ব্যথায় মন..."
গানটি্ও খারাপ নয়।
এই মূহুর্তে আর কোন গানের কথা মনে পড়ছেনা।
ভালো থাকুন আপনি্ও। শুভ সন্ধ্যা।
২৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: আপনার ভাবনার সাথে আমার ভাবনা মিলে গেল। আমারও ইদানীং খুব মনে হয় আমি চলে গেলে মনে রবে কি না রবে আমারে...
তখন আর কি শোনা হবে ইট পাথরের মাঝে জেগে থাকা জীবনের যত গান, পথের কোলাহল, রিক্সার ঠুংঠং, রাস্তায় অবর্ণনীয় জ্যামের হাহুতাস ! দেখা হবে কি গার্মেন্টসের হাড় জিরজিরে মেয়েদের দল বেঁধে চলা, টোকাইদের খুনসুটি, ঘেমে নেয়ে ওঠা শ্রান্ত বাস যাত্রীদের ঠেলাঠেলি? তখন এই পথের পাঁচালীতে আমি নেই দেখে কারো কি একটু দীর্ঘশ্বাস পড়বে!!!
অবশ্যই পড়বে, কিন্তু মন ভার করে কেউ কি বসে থাকবে!! যদি কারো মন ভার হয়, কে সেই জন??
ভাবনায় দোলা দেয়া চমৎকার পোস্ট। লাইক।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
সব মানুষের ভাবনাতেই মনে হয় এখানটাতে মিল আছে । মৃত্য অমোঘ বটে তবে তা নিয়ে মানুষের যতো না ভয় তারচেয়ে বেশী ভয় এটা নিয়ে - মনে রবে কি না রবে আমারে...
যদি কারো মন ভার হয়, কে সেই জন??
কঠিন প্রশ্ন। উত্তর জানিনে........
লেখায় লাইক দেয়াতে ধন্যবাদ । আর ভালো লাগলো আপনাকে এখানে দেখে।
শুভেচ্ছান্তে।
২৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সম্প্রতি বাবার মৃত্যু আমার জীবনটা পাল্টে দিলো। বাবা মারা গেলে সন্তানেরা এতিম হয়। এতিম জীবনও জীবনের নতুন এক অধ্যায়। বাবার কথা ভাবি সাথে অনেক চিন্তাও মাথায় ঘুরপাক খায়। এ কথা ও ভাবি বাবা যদি থাকতেন বেঁচে কতৈনা ভালো হতো। পৃথিবীতে কেউ বাঁচেনা চিরকাল। কিন্তু কিছু মৃত্যু নিজের মৃত্যুর চেয়ে কম নয় কিন্তু। এখন ভাবি আমার মৃত্যুর পর প্রিয়জনরা কি আমাকে মনে করে কষ্ট পাবে। প্রায় প্রতিদিনই বাবার কবরে যাই। আগে কিন্তু যেতাম না।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,
বাবা চিরকাল কারো থাকেন না। আমারও বাবা-মা দু'জনেই নেই। আপনার ব্যথায় সমব্যথী।
লিখেছেন - এখন ভাবি আমার মৃত্যুর পর প্রিয়জনরা কি আমাকে মনে করে কষ্ট পাবে।
একথাই তো জানতে চেয়েছি লেখাতে। এবং এটাই মনে হয় সবার অনুচ্চারিত জানতে চা্ওয়া।
ভালো থাকুন। আল্লাহ আপনার সহায় হোন।
২৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৬
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: মাঝে মাঝে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করি, ক্ষুদ্র জীবনে এমন কি করলাম যার কারনে পৃথিবী আমায় মনে রাখবে কিছুদিন। মনে হয় অযথাই পৃথিবীতে এলাম, খেলাম, পায়ূ নিশ্কাষনে পৃথিবী নোংরা করে অজানায় চলে গেলাম। আচ্ছা, বেঁচে থেকেই লাভ কি আর মরে গেলেই বা ক্ষতি কি!!!
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ফুয়াদের বাপ,
হুম, আমাদের মতো অতি সাধারণ মানুষরা মরনের পরে কেউ মনে রাখবে, এমন কোন কাজ করার ক্ষমতাই রাখিনে!
আমরা একটা নম্বর মাত্র্। মুছে ফেললেই হ'ল।
২৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মৃত্যুর কথা ভাবলে তো তখন আর কিছুই ভাল লাগে না।সবার জীবনেই তো কিছু মানুষ থাকে।তারা হয়তো মরে যওয়ার পরেও খুব যতনে মনের মাঝে লুকিয়ে রাখবে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল,
হ্যা.... সবার জীবনেই কেউ না কেউ থাকে। সেই "কেউ" খুব যতনে মনের মাঝে কাউকে লুকিয়ে রাখবে কিনা সেটা সে জানবে কি করে ?।
২৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব আমারও "খুব জানতে ইচ্ছে করে...."। আমিও ভাবি (তবে এ নিয়ে চিন্তিত হই না) যে গতায়ু হবার পর আমার এ লেখালেখিগুলোর কী হবে? কেউ কি কখনো আমার ব্লগে এসে এগুলো পড়বে? পরক্ষণেই নিশ্চিন্ত হই, আমি যেহেতু ইমন জোবায়ের, রাজামশাই, আবুহেনা আশরাফুল ইসলাম, নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন, নূর মোহাম্মদ নূরু প্রমুখের লেখা ও মন্তব্য এখনও মাঝে মাঝে খুঁটিয়ে পড়ি, আমারগুলোও অন্ততঃ দু'চারটা দুই একজন হলেও পড়বে। অবশ্য তারা পড়লেও যেহেতু জানতে পারবো না, সেহেতু তারা পড়লেই বা কী, আর না পড়লেই বা কী!
কারো অন্তরের কোন এক কোণে একটুখানি ঠাঁই পাওয়া এ জগত সংসারের একটা বড় অর্জন। কেউ একটুখানি 'মিস' করুক, এটা অনেকেরই হয়তো লালিত বাসনা। যদিও, যে মিস করে তার জন্যে এটা হাহাকার হলেও, যাকে মিস করা হয়, বিশেষ করে তার অন্তিম যাত্রার পর, তার জন্য এটা নিছক একটা অপ্রেরিত/অপ্রাপ্ত বার্তা হিসেবেই এ ধরণিতে রয়ে যায়।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
"এসব আমারও "খুব জানতে ইচ্ছে করে...."।
তাইতো শুরুতেই লিখেছি - "যা "খুব জানতে ইচ্ছে করে...." তা শুধু আমার একারই নয়, মনে হয় সবারই তেমন ইচ্ছে করে।"
মুখে না বললেও সবারই অন্তরে সেই একই সুর নিভৃতে বাজে -" মনে রবে কিনা রবে আমারে...."
আপনার মতো পুরোনো পোস্টগুলি খুঁটিয়ে আর কেইবা পড়ে ? আপনি যে তা করছেন তার প্রতিদিন নিশ্চয়ই পাবেন।
শুভ কামনায়।
২৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সোহানী, মিরোরডডল এবং করুণাধারা'র মন্তব্যগুলো ভালো লাগল। +
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
নোটিফিকেশান আসেনি, যা ব্লগের স্বভাব হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ আবারও এসে কিছু বলে গেছেন দেখে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০২
শেরজা তপন বলেছেন: যখন ফুরিয়ে যাবে এই লেখালিখি, মুছে যাবে দেখা - অদেখা ব্লগারদের স্মৃতি, ধারে কাছের মানুষদের মুখের আদল তখন আমার পায়ের চিহ্ন খুঁজবে কি কেউ!
~আমি ভাবি মৃত্যু মানেই তো সে এক ভয়াবহ নির্মমতার সাথে সব শেষ। ফাইনাল ব্লাক আউট। তখন কে খুঁজলেই কি বা খুঁজলেই কি আমি কি আর জানব?
যখন আর কোনদিন মোড়ের টংঘরের রানাকে বলা হবেনা- "ওই রানা, এট্টু কাঁচাপাত্তি মাইররা এককাপ চা দে.....।"
প্রিতিদিন যখন একবার দু'বার ভাবি আমি নেই। তখন পৃথিবীর সব অসুন্দরগুলো সুন্দর হয়র ওঠে। প্রখর রৌদ্রে ঘামে ভিজে ছ্যাবড়া হয়েও ভাবি 'লাইফ ইস বিউটিফুল'
আহা কিশোরের ওই গানটা বড্ড বেশী মনে বাজে।