নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি অযাচিত নিবেদন !!!!!!!!

২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭





নূর মোহাম্মদ নুরুর মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে সহব্লগার “শায়মা”র লেখা পোস্টে
নূর মোহাম্মদ নূরু ভাইয়া আর কখনও ফিরবেনা আমাদের মাঝে " সহব্লগার ঢাবিয়ানের মন্তব্যের সূত্র ধরে একটা নিবেদন করছি সকল ব্লগারদের উদ্দেশ্যে---

নিকট অতীতে সহ ব্লগার নয়ন, আবু হেনা এবং সম্প্রতি নূর মোহাম্মদ নুরুর তিরোধান আমাদের অনেকটা অজান্তেই ঘটে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সবাই ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্য । সহব্লগার খায়রুল আহসানের একটি মন্তব্যে জানলুম প্রিয় ছড়াকার প্রামানিক্ও নাকি অসুস্থ্য হয়ে এ মূহুর্তে হাসপাতালে। এসব আমাদের অনেকেরই জানা ছিলোনা, জেনেছি তাদের মৃত্যুর পরে। এবং তাদের জন্যে আফসোস করেছি। অবাক করার বিষয় হ’ল, অসুস্থ্যতা আর আর্থিক কষ্টের মাঝে্ও তারা ব্লগে সময় দিয়ে গেছেন। কেন ?

“কেন”টি মনে হয় এই যে, তারা শত অসুস্থ্যতা আর আর্থিক কষ্টের মাঝে্ও একটুখানি প্রানের ছোঁয়া পেতে, শত অপ্রাপ্তির-অতৃপ্তির মাঝে্ও একটুখানি তৃপ্তির খোঁজে ব্লগে আসতেন । লেখা আর মন্তব্যের আদান প্রদানের ভেতর দিয়ে তারা হয়তো নিজেদের দুঃখ কষ্ট ভুলে থাকতে চাইতেন। ব্লগটাকে ভাবতেন নিজের একটুখানি উঠোন, পার্থিব জীবনের অপূর্ণতা নিয়ে্ও যেখানে নিজেদের মেলে ধরা যায়! নিভু নিভু আয়ুস্কাল জেনে্ও বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় একটুখানি বাতাসের খোঁজে তারা হয়তো ব্লগে আসতেন। নইলে তারা রোগশয্যায় শুয়ে থেকে এখানে আসতেন না।
ব্লগটাকে ভালোবেসে, আপন মনে করেই আসেন। আসার অন্য আর কোন কারন নেই।


মনে হয় আমাদের সকল বয়সের ব্লগাররাই এমন ইচ্ছে নিয়ে আসেন। আসেন তাদের সীমিততাকে অতিক্রম করে হলে্ও নিজেকে প্রকাশ করার অদম্য আকাঙ্খা নিয়ে। উড়তে চান ব্লগের একটুখানি খোলা আকাশে। ডানা মেলে উড়ে চলা পাখিদের ভীড়ে মিশিয়ে দিতে চান নিজেকে্ও!
কিন্তু মাঝেমাঝে কেউ কেউ ঝড়ের মুখে পড়ে যান। তাদের সীমাবদ্ধতাকে, অক্ষমতাকে, অজ্ঞানতাকে কটাক্ষ করে আমরাই কেউ কেউ তাদের সমূলে উৎপাটনে লিপ্ত হয়ে যাই। একবারের জন্যে্ও ভাবিনে, এইটুকু আকাশ কেড়ে নিলে তারা উড়বেন কোথায় !
যেমনটা ঢাবিয়ান লিখেছেন –
“কিছু কথা না লিখে পারছি না কারন ব্লগার নুরু ভাইয়ের শেষ সময়ের ব্লগিংটা উনার জন্য আনন্দদায়ক ছিল না কোন অবস্থাতেই। খুব খারাপ লাগছে যে উনার শেষ সময়ে ব্লগে উনাকে অনেক অপদস্ত হতে হয়েছে কপি পেস্ট ইস্যূ্তে। টুকলিফাই সাংবাদিক, কপি পেস্ট সাংবাদিক , লেখা চোর ইত্যাদি ট্যাগ করে উনাকে যত্রতত্র অপমান করার চেষ্টা হয়েছিল। এগুলো কোন অবস্থাতেই কাম্য ছিল না।“

একবার ভাবুন, নিজেদের সীমাবদ্ধতা, অক্ষমতা, অজ্ঞানতা নিয়ে্ও যারা এখানে আসেন তাদের অপদস্ত করা কি আমাদের প্রাজ্ঞতার পরিচয় ? আমাদের সহনশীলতার পরিচয় ? আমাদের বিবেকবোধের পরিচয় ?

শায়মার এই পোস্টেই মন্তব্য করতে গিয়ে “কাল্পনিক_ভালোবাসা” বলেছেন –“ব্লগ একটি বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনার স্থান, এখানে যে কোন ভুলের ব্যাপারে আলোচনা সমালোচনা হবেই।“ অবশ্যই একটি সুবিবেচনা প্রসূত বক্তব্য। কিন্তু উনি বলেন নি, আলোচনা সমালোচনার মানে এই নয় যে, নোংরামী করতে হবে।
কিন্তু কাল্পনিক_ভালোবাসার কথা মতো আমরা কি বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা করি ? আমরা কি কখন্ও শালীনতায় থেকে আলোচনা সমালোচনা করি ? কেউ কেউ আছেন, তেড়ে আসেন অশোভনীয় শব্দ সহযোগে অপদস্ত করে আনন্দ পেতে। কেউ আসেন দলবলে।

একই পোস্টে “জুন” লিখেছেন –
“অযাচিত আক্রমণ, ছোট করা, চুড়ান্ত রকম অপমান করা যেন ব্লগে স্বাভাবিক একটা ব্যাপারে দাঁড়িয়েছে যা আমি অনেক মন্তব্যে বলেছি। এই সব কারনে ব্লগে আসতে আমার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা করে না, অবশ্য আমার আসা না আসায় কারো কিছু যায় আসে না এটা আমি জানি।“
একই কারনে জুনের মতো অনেকেই এখন ব্লগে আসেন না বা আসতে ইচ্ছে করেন না। ফেসবুকের দোহাই দিয়ে আমরা তাদের এই না আসাটাকে জায়েজ করে আত্মতৃপ্তি খুঁজি অহেতুক।
এটা কিছুতেই শুভ কোন্ও লক্ষন নয়। ব্লগের ভাটার টানটির কারন খুঁজুন। কারনটি বুঝতে পারলেই ব্লগ আবার জোয়ারে ভরে যাবে।

আর কতোদিন ব্লগে বিচরণ করতে পারবো, আমরা কেউই তা কিন্তু জানিনে। আমার মতো যারা বয়স্ক ব্লগার আছেন তারা এই আছেন তো এই নেই! নবীনরা্ও যে হঠাৎ রোগেশোকে ধরাশায়ী হবেন না এমন নিশ্চয়তা নেই। প্রয়াত “নয়ন” তার জলন্ত উদাহরণ।
নশ্বর এই পৃথিবীতে আমরা সবাই ক্ষনিকের অতিথি মাত্র! তাহলে কেন আমরা নিজেদের অহেতুক বিবাদে জড়িয়ে বেঁচে থাকাটাকে অসুন্দর করে তুলছি ? পৃথিবীর পথে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত আমরা ক’জন খানিকটা জিরোনোর জন্যে “রিসোর্ট” এর মতো একটি জায়গা খুঁজে পেয়েছি যার নাম – ব্লগ। “রিসোর্ট”এ আগমনকারীরা কেউ কি একে অন্যের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়, না কি সৌজন্যতার-বন্ধুত্বের এক একটা মায়াজাল বুনে যে যার পথে চলে যায় ?

আর একটি কথা্ও এর সাথে বলতে চাই সহ ব্লগার খায়রুল আহসান এর একটি মন্তব্যের সূত্রে। খায়রুল আহসান বলেছেন -
“উনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে প্রায় এক মাস আগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে গেলেন, অথচ আমরা এতজন ব্লগার ঢাকায় বাস করেও অবহিত না হবার কারণে তার অসুস্থতায় কোন সাহায্যেই আসতে পারলাম না, এটা বড়ই আফসোসের বিষয়!”
অবশ্য খায়রুল আহসান একাই নন, অনেকেই এই আক্ষেপটি করেছেন।
এব্যাপারটি নিয়ে ব্লগ কর্তৃপক্ষের ভাবার কিছু রয়েছে অবশ্যই।

শিরোনামে আমি “ অযাচিত” শব্দটি যোগ করেছি। হয়তো অনেকের কাছেই এটা অযাচিত মনে হতে পারে। হোক, ক্ষতি নেই! কিন্তু আমি অপদস্তদের পক্ষে উপযাচক হয়ে এই যে এতো কথা বললুম, তা একবার আপনার শুদ্ধ হৃদয়ে অনুভব করুন । উত্তরটা পেয়ে যাবেন।

আমার নিবেদনটা এটাই – আর নয়, এখানেই থেমে যাই আমরা। বেশ ক’টি মৃত্যু কি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে সেটাই দেখিয়ে যাচ্ছেনা ?

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নুরু ভাইয়ের মেয়ে যেমন লিখেছে, আব্বুর জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সফল হতে পারি নাই। সেটুকু ও কিন্তু সান্ত্বনা, কারন দিনশেষে এই ব্যাপারগুলো আমাদের হাতে নেই, কিন্তু কিছু করার চেষ্টা ছাড়াই কাছের একজন সহব্লগার চলে গেলেন এই বেদনা কেমন করে নিজেকে সান্ত্বনা দেই !!!
ব্লগিয় এই আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া এখন সময়ের দাবী।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,




ঠিক বলেছেন - ব্লগীয় এই আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া এখন সময়ের দাবী।
প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সমালোচনা বলতে অনেকেই বোঝে যে আক্রমণ করা , মাঝে মাঝে এটি বিরক্তির পর্যায়ে চলে যায় । আমি নিজেও এক পর্যায়ে অভদ্র হতে বাধ্য হয়েছি । আমি সমালোচনার পক্ষে , আমার সমালোচনা এবং আমার অযৌক্তিকতাকে নগ্নভাবে তুলে ধরা মানে আমাকে পরবর্তীতে শক্তিশালি করে তোলা । এটা আমি মানি , কিন্তু যখন অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা তুলে এবং ভুলভাল বক্তব্য দিয়ে কেউ কেউ নিজেকে জাহির করে অন্যকে দমন করতে চায় এটা আমি মানতে পারি না ।


ব্লগে অনেকে আবার বিরোধী মত মানতে পারেন না । দ্বিমত থাকাটা অস্বাভাবিক না , এর জবাব আমি মনে করি যৌক্তিক ও ভব্যতার সাথে করা উচিত ! একটা সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ !

২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিবর্হণ নির্ঘোষ,




ব্লগে অনেকে আবার বিরোধী মত মানতে পারেন না । দ্বিমত থাকাটা অস্বাভাবিক না , এর জবাব আমি মনে করি যৌক্তিক ও ভব্যতার সাথে করা উচিত !
এমন কথাই আমার বেশ কয়েকটি লেখা ও অনেকের লেখার মন্তব্যে বলেছি আমি আগে।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

জুন বলেছেন: শিরোনামটি যথাযথ হয়েছে আহমেদ জী এস। আপনার আকুলতা ভরা নিবেদনটি হয়তো অযাচিত হয়েই থাকবে। সত্যি নুরু ভাই এর এই বেদনাদায়ক অবহেলা ভরা মৃত্যুটা মানতে বড় কষ্ট হচ্ছে। মৃত্যুর আগে অনেক অপমানিত হয়ে গেলেন আমার এক সময়ের প্রিয় এই ব্লগ থেকে। আমাকে বোন বলে সম্বোধন করতেন। উনার মন্তব্যগুলো দেখলে মনে হতো বড় সহজ সরল একজন মানুষ ছিলেন।
লেখায় প্লাস আর উনার জন্য অনেক দোয়া রইলো।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,



আসলেই এটা অযাচিত একটি লেখা হয়েছে।
অনেকেই শুধুমাত্র নোংরামী এড়াতে কিম্বা বাড়াতে কোন কোন ব্লগারদের সম্পর্কে বিষোদগার কিম্বা অপদস্ততার বিষয়গুলি স্বজ্ঞানে এড়িয়ে চলেন। তার মানে এই নয় যে,তারা সচেতন নন এবং যারা এসব করে বেড়ান তাদের পক্ষের কেউ।
যারা এসব বুঝে্ও বুঝতে চান না তাদের কাছে এ লেখাটি অযাচিতই মনে হবে!

সত্যিই আপনার মতোই নুর মোহম্মদ নুরুর এমন বেদনাদায়ক অবহেলা ভরা মৃত্যুটা মানতে বড় কষ্ট হচ্ছে।

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:




ঢাবিয়ান ব্লগে ছিলেন, দেখেছেন কি ঘটেছে, সেটাই তিনি লিখেছেন; আপনি ব্লগে ছিলেন, কিছুই দেখেননি, আজকে ঢাবিয়ানের কথাকে কোট করেছেন, পোষ্ট লিখে ফেলেছেন; কিন্তু ঢাবিয়ানের মতো অনুধাবন করেননি।

নুরু সাহেবকে দিনের পর দিন যখন অপদস্ত করা হচ্ছিল, কাল্পনিক_ভালোবাসা সেটা উপভোগ করেছে, থামায়নি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,




আমার সম্পর্কে আপনার অনেক ভুল ধারনা আছে। যেমন এখানটাতেই। বলেছেন, ঢাবিয়ানের মতো অনুধাবন করেননি।
ঢাবিয়ানের মতো অনুধাবন যদি না-ই করতুম তাহলে এই লেখাটি লিখেছি কেন ? আরও বলেছেন - আমি ঢাবিয়ানের কথাকে কোট করে এই পোষ্টটি লিখে ফেলেছি। আপনার যদি তেমন বোধশক্তি থাকতো তা হলে বুঝতেন, কোন কথা বা বিষয়ই ঝট করে আকাশ থেকে বেহুদা পড়েনা, পড়ে কিছুর সূত্র ধরে। যেমন মেঘ না থাকলে বৃষ্টি পড়েনা। বুঝতে পারলেন কি কিছু ?

আমার প্রতি আপনার খেদটি কোথায় তা আমি জানি! কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না বা বুঝতে চান না যে, অনেকেই শুধুমাত্র নোংরামী এড়াতে কিম্বা না বাড়াতে কোন কোন ব্লগারদের সম্পর্কে বিষোদগার কিম্বা অপদস্ততার বিষয়গুলি স্বজ্ঞানে এড়িয়ে চলেন। এটা তাদের ময়লা ঘেটে দূর্গন্ধ আর না বাড়ানোর একটা চেষ্টা। তার মানে এই নয় যে,তারা সচেতন নন এবং যারা এসব করে বেড়ান তাদের পক্ষের কেউ। তারা যথাসময়ে, যথাস্থানে, যথাযথ ভাবেই সকল নোংরামীর বিপক্ষে কথা বলেন। কথায় কথায় সবখানেই ঝাঁপিয়ে পড়েন না।
এসব আপনার বোঝার কথা নয়। বুঝলে আপনাকে অনেকবার বলা (আপনার লেখাতে) আমার অনেক কথাই আপনি মেনে চলতেন । তা করেন নি। মনে পড়ে ?
যাই হোক, এই লেখাটিতে আপনার জন্যে্ও একটি মেসেজ আছে। বোঝার মানসিকতা থাকলে বুঝতে পারবেন।

শুভেচ্ছান্তে। হ্যাপী ব্লগিং...............

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




এটি অযাচিত নয় বরং কাঙ্ক্ষিত নিবেদন।
আর কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য পোষ্টটি
হতে পরিস্ফুটিত মূল বিষয়াবলী যথা
সকলের পারশ্পরিক সম্পৃতি ,ভালবাসা ও
শ্রদ্ধামুলক সংস্কৃতি চর্চার সাথে সহমত
পোষন করি । আপনার নিবেদন সুফল
বয়ে আনুক এ কামনাই করি ।

শুভেচ্ছা র্‌ইল

২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,



আপনাকে দেখে স্বস্তি পেলুম। ইনশাআল্লাহ, আপনি সুস্থ্য আছেন নিশ্চয়ই।
ব্লগের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য সকলের পারস্পারিক শ্রদ্ধা ,ভালবাসা আর শালীন সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প কিছু নেই।

শুভেচ্ছান্তে।

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২১

শাহ আজিজ বলেছেন: আর পারছি না বুকের মধ্যে বেধে রাখা কথাগুলো , বলেই ফেলি , ব্লগে ঠোলাগিরি ( নিচুমানের পুলিশিং) বন্ধ করতে হবে । । নকল লেখা অপসারনের দায়িত্ব মডারেটরের , সবার নয় । শুধু অভিযোগ করলেই হবে । ঠোলাগিরির পোস্ট জব্দ করতে হবে ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহ আজিজ,




সঠিক কথাগুলিই বলেছেন।
অভিযোগ করাটাই সমুচিত। অভিযোগ না জানিয়ে তার আগেই অভিযোগটি জাষ্টিফাই করার জন্যে আলাদা করে পোস্ট দেয়ার প্রয়োজন নেই। অনুচ্চারিত ভাবে আমি এমন কথাই বলেছি পোস্টটিতে।
আর মডারেটর সাথে সাথে বা তার সুবিধাজনক সময়ে অভিযোগের প্রতিকার করলেই আর নোংরামী ছড়ানোর সুযোগ থাকেনা।

ধন্যবাদ, বুকের মধ্যে বেঁধে রাখা কথাগুলো বলার জন্যে।

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনার সাথে সহ মত।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,




ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন:

স্যার,

আপনি আমার পোস্ট পড়ে বুঝবেন আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তাই ভুল হলে মাফ করবেন। এই প্রথম বারের মতো এই ব্লগে আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন একজন ব্লগার 'চাঁদগাজীর' মন্তব্যের সুত্র ধরে বলছিঃ

আমরা সকলেই একদিন মারা যাবো। হয়তো আমি কাল থাকবোনা। আমি নুরু ভাইকে খুব ভালোবাসতাম আপনি দেখেছেন, কিন্তু তার মৃত্যুর আগে তিনি কিছু কপি-পেস্ট করা সহ নীতিমালা ভঙ্গ করেছেন। তাই জন্য মডারেটর যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে আর যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তিনি পৃথিবী থেকে চীরবিদায় নিলে যে বা যারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তাদের কথা শোনানো কি উচিত? মনে করুন আপনার কোম্পানির আপনার কোন জুনিয়র কলিগ অফিসে আনইথিকাল কর্মকান্ড করার ফলে আপনি ফায়ার করেছেন কোম্পানি রুলসকে সম্মান করে। এখন যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তিনি যদি কাল পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এবং সে কারণে অফিসের অন্যান্যরা যদি আপনাকে কথা শোনায় তবে কি সেটা উচিত হবে?

২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,




স্বীকার করতে অসুবিধে নেই, আমি ব্লগের ক্যাঁচাল সম্পর্কিত ক্যাঁচাল সম্পর্কে সম্যক অবহিত নই কারন আমি অমন কিছু সবসময়ই এড়িয়ে চলি। কোথা থেকে কি হচ্ছে বা কারা কারা এসবে জড়িয়েছেন তার খবর আমি রাখিনে, ইচ্ছে্ও করেনা। শুধু প্রথম পাতা দেখে বুঝতে পারি ব্লগে ক্যাঁচাল চলছে। এসব নিয়ে তাই আমার জ্ঞান সীমিত। হয়তো আমি আপনাদের মতো ব্লগার হয়ে উঠতে পারিনি ব্লগটাকে ভালোবাসা ছাড়া।

তাই আপনার এই মন্তব্যটি বুঝে উঠতে পারছিনে ঠিকঠাক। কে বা কারা কাকে কি বলেছে, কোন পরিপ্রেক্ষিতে বলেছে তা আমার জানা নেই তাই কোনটি উচিৎ বা কোনটি উচিৎ নয় তা বলতে পারছিনে। দুঃখিত।
তবে এটা বুঝি, ব্লগ একটি পরিশীলিত মানুষজনের সমাবেশ যেখানে সবাই একটি ভদ্রোচিত সীমার ভেতরে থাকবেন।

৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিষয়টি অযাচিত নয়। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও কিছু মানুষ ব্লগিং করে যাচ্ছেন। ব্লগের মধ্যে থেকেও যখন বিরূপ সমালোচনা আসে তখন কষ্ট হয় দ্বিগুণ। আপনাকে ধন্যবাদ দারুন একটি বিষয় উত্থাপন করার জন্য। সহব্লগার নুরু ভাই নিয়ে অনেক পোস্ট হবে লেখা হবে আলোচনা হবে সেই কামনা থাকলো।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,



ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্যে।
আপনার পর্যবেক্ষন সঠিক - অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও কিছু মানুষ ব্লগিং করে যাচ্ছেন। ব্লগের মধ্যে থেকেও যখন বিরূপ সমালোচনা আসে তখন কষ্ট হয় দ্বিগুণ।

১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: বলা ঠিক হবে না। এখন অনেকেই যারা কুম্ভির অশ্রু ফেলেছেন তাদের কে আমি দেখেছি নুরু ভাই কে বিভিন্ন বিশিষনে বিশেষায়িত করতে। বিশেষন গুলো মোটেও আনন্দদায়ক ছিলো না।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রানার ব্লগ,




যে কারনই থাকনা কেন, কাউকে হেনস্থা করা কোন বিবেকবান ব্লগারের উচিৎ নয় মোটে্ও।

১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি লিখেছেন, "...যাই হোক, এই লেখাটিতে আপনার জন্যে্ও একটি মেসেজ আছে। বোঝার মানসিকতা থাকলে বুঝতে পারবেন। "

-আপনার সব লেখায় সব সময় পরিস্কার ১টা মেসেজ থাকে, সেটা হলো, "সুবিধাবাদী"।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,



সুবিধাবাদী কে না ? পৃথিবীর সবাই-ই কম বেশী সুবিধাবাদী। আপনি্ও এর ব্যতিক্রম নন।
বুঝতে পারছি, ক্যাঁচাল পোস্টগুলিতে অংশ গ্রহন করে আপনার/আপনাদের পক্ষ নেইনি বলেই আমাকে অমন একটি তকমা দিয়েছেন। আপনাদের পক্ষ নিলে আমাকে "ব্রাভো" বলে পিঠ চাপড়ে দিতেন অবশ্যই সেটা জানি। অথবা হতে পারে আপনার কিছু পোস্টে বা অন্য মন্তব্যে আপনাকে বেশ কয়েকবার "সংশোধিত" হতে বলেছিলুম বলে রাগ আপনার যায়নি। সেটা ঝাড়লেন এখানে। কিন্তু আপনি বুঝতেই পারেন নি যে, তা বলেছিলুম আপনাকে ভালোবেসে এবং আপনার মঙ্গলার্থে। কিন্তু যে বুঝতে না চায় তাকে বোঝায় কার সাধ্যি!!!!!

আপনার আগের মন্তব্যের ঘরে আমার প্রতিমন্তব্যে লিখেছিলুম -
অনেকেই শুধুমাত্র নোংরামী এড়াতে কিম্বা না বাড়াতে কোন কোন ব্লগারদের সম্পর্কে বিষোদগার কিম্বা অপদস্ততার বিষয়গুলি স্বজ্ঞানে এড়িয়ে চলেন। এটা তাদের ময়লা ঘেটে দূর্গন্ধ আর না বাড়ানোর একটা চেষ্টা। তার মানে এই নয় যে,তারা সচেতন নন এবং যারা এসব করে বেড়ান তাদের পক্ষের কেউ। তারা যথাসময়ে, যথাস্থানে, যথাযথ ভাবেই সকল নোংরামীর বিপক্ষে কথা বলেন। কথায় কথায় সবখানেই ঝাঁপিয়ে পড়েন না।

আপনার কথা মতো আমার "সুবিধাবাদী" চরিত্রের ঐ যে কারন উল্লেখ করেছি তা মনে হয় আপনার সীমিত বুদ্ধিতে ধরাই পড়েনি। আগে্ও পড়েনি এখানে্ও নয়। ঐ প্রতিমন্তব্য পড়ে তা বুঝতে পারলে এখানে আর আসতেন না।
এতে আপনার বোধ-বুদ্ধি, বিবেচনা, শালীনতাবোধ, শিক্ষা, জ্ঞান এবং সর্বপরি প্রজ্ঞার প্রতি অনেক প্রশ্ন দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন নিজেই।
মনে হয়, এই প্রতিমন্তব্যে ব্যবহৃত শব্দ ও বাক্যের অর্থ বুঝতেও আপনার কষ্ট হবে।

১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আল্লাহ নুরু ভাইকে বেহেশ্তের সর্বোচ্চ স্থানে আসীন করুন, এই দোয়া করি।

পোস্টের মেসেজটা খুবই মহৎ। আমি ঠিক এ ধরনের একটা পোস্ট লেখার কথা ভাবছিলাম। এ কমেন্টেই হয়ত আমার বক্তব্য বলা হয়ে যাবে।

কটূ কথা বা ব্যক্তি-আক্রমণ সংক্রান্ত আলোচনার ব্যাপারে আমি প্রায়শই একটা কথা বলে থাকি - আমরা যদি কখনো মুখোমুখী হই কোনো ব্লগ-দিবসে, কিংবা অন্য কোনো স্থানে, আমরা তখন পরস্পরকে মুখ দেখাবো কীভাবে? আমাদের চোখে কি একটুও লজ্জা লাগবে না? নাকি আমরা মানুষ নই?

ব্লগের প্রথম কয়েক বছর এরকম গালাগালি, ব্যক্তি-আক্রমণ অনেক হতো। তখন এটা হওয়ার কারণও ছিল। আমরা একে অপরকে চিনতাম না। ব্লগীয় বয়স ছিল কম। কিন্তু এখন আমাদের অনেকেরই ব্লগীয় বয়স ১০-এর উপরে। লেখালেখির মাধ্যমে একটা সম্পর্কও সৃষ্টি হয়ে গেছে আমাদের মধ্যে। এ অবস্থায় যখন-তখন যে কাউকে হুটহাট একটা কটূ কথা বলে ফেলা কখনোই প্রত্যাশিত নয়। বন্ধু না হতে পারি, আমরা তো কেউ একে অপরের শত্রু না। তাহলে এরকম যুদ্ধংদেহী মনোভাব থাকবে কেন?

এই কটু কথার ভয়েই আমি অন্যদের পোস্টে কমেন্ট করা কমিয়ে দিয়েছি। আমার নিজের পোস্টে হলে সেটা আমি কন্ট্রোল করতে পারবো, অন্যের পোস্ট যাবে আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অনেকে নিজের পোস্টের বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন না, আবার বিতর্ক সৃষ্টি হলে সেটা হ্যান্ডেল করতেও ব্যর্থ হোন। দেখা গেল, আমার একটা কমেন্টের উপর অপর ব্লগার কটু কথা বলে যাচ্ছেন, আর পোস্টদাতার নিজেরই এ বিষয়ে জ্ঞান নাই, আমার কমেন্টে দিচ্ছেন কনফিউজিং রিপ্লাই, আক্রমণদাতাকে আবার কোনোমতে সামাল দেয়ারও চেষ্টা করছেন না। তখন পরিস্থিতি হয়ে পড়ে ঘোলাটে।

আমরা আমাদের লেখালেখির উপর কারো সমালোচনা সহ্য করতে পারি না, এটা ঠিক। কিন্তু সমালোচনা ও ব্যক্তি আক্রমণ যে দুটো দু-জিনিস, এটা তো মনে হয় কাউকে এ বয়সে বোঝানোর কিছু বাকি নাই। আপনি বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখলেন। ওখানে কোনো ভুল থাকলে সেটা আইডেন্টিফাই করা, এবং সঠিক তথ্যটা যোগ এবং সেই সাথে আমার মতামত দেয়ার নাম হলো সমালোচনা। কিন্তু পোস্ট পড়ে ব্যক্তি-আপনাকে নিয়ে যদি কিছু বলি, যেমন, আপনার মাথায় কুকুরের ক্রোমোজোম, আপনার মাথায় গোবর, আপনার ব্রেইন নাই, এগুলো হলো ব্যক্তি-আক্রমণ।

যখন ইম্প্রেশনটা এমন হয়ে যায়, অমুক ব্লগার কোনোদিন সুস্থ স্বাভাবিক কমেন্ট করবেন না, তখন মনের ভেতর একটা ভয়ের সঞ্চার হয়। তিনি যেখানে কমেন্ট করছেন, মনে সায় দিতে চায় না, আমিও সেখানে কমেন্ট করি। কেউ কেউ হয়ত দিনভর গালি দিতে অভ্যস্ত, দিনভর গালি খেতেও অভ্যস্ত। তার বেড়ে ওঠাটাই হয়ত এরকম। কিন্তু আমি কাউকে গালি দিব না, একটা কটু কথাও কোনোদিন শুনতে চাই না। একজন ব্লগার, ব্যক্তি, আপাত যত ট্যালেন্টেডই হোন না কেন, যিনি কোনোদিন বেয়াদবি করেছেন, আমি তার দিকে আর কোনোদিনই ফিরে তাকাই নি। ও আর কত ট্যালেন্টেড হবে, আমার কাছে এক পয়সার দাম নাই। ওসব আমি পকেটে গুঁজে রাখি।

এরকম বন্ধুভাবাপন্ন, সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ অবশ্যই কাম্য। ব্লগ একটা কমিউনিটি। ধরে নিন, একটা ক্লাব ঘরের মতো। এখানে এসে আমরা আনন্দ করবো, আলোচনা করবো। সেই আলোচনা জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হতে পারে, সস্তা বিনোদনও হতে পারে। সবার বুদ্ধিমত্তার লেভেল একরকম না।

আমরা অবশ্যই এরকম সুন্দর একটা পরিবেশ গড়ে তুলতে পারি। সহনশীলতা ও ধৈর্যশীলতা বাড়াতে পারি। খুব কঠিন কিছু না, নিজেকে একটু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কিছুদিনের জন্য, তারপর এটাই হয়ে যাবে আমাদের অভ্যাস। আপনার মেয়ে, ছেলে, ভাই, ভাতিজা একটা গল্প, কবিতা, আর্টিকেল লিখলে আপনি নিশ্চয়ই বলেন না, তোমার মাথায় কুকুরের ক্রোমোজোম। যেমন আগ্রহ আর স্নেহের দৃষ্টিতে তার লেখাটি পড়ে প্রয়োজনে কারেকশন দিবেন, মতামত দিবেন, ব্লগের লেখাগুলোর জন্যও এরকম করুন। এটা করতে শুরু করলে সবচাইতে বেশি ভালো লাগবে আপনারই। আমরাও সুখে, আনন্দে, মজায় ব্লগীয় দিনগুলো কাটাতে পারবো।

আমরা কে, কবে চলে যাই প্রিয় নুরু ভাইয়ের মতো, ঠিক নাই। কিন্তু আমাদের লেখাগুলো ব্লগে রয়ে যাবে। আমি আপনাকে গালি দিয়েছি, নাকি ভালোবাসা দিয়েছি, ব্লগের পাতায় তা লেখা থাকবে। আমার লেখাগুলোই সাক্ষ্য দেবে, আমার মনটা কেমন ছিল, ভালো, মানবিক, নাকি হিংসুক, নোংরামিতে ভরা।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। কনসেপ্টের সাথে একমত, সহমত।

ব্লগীয় বন্ধুত্ব চিরজীবী হোক।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,



"বন্ধু না হতে পারি, আমরা তো কেউ একে অপরের শত্রু না। তাহলে এরকম যুদ্ধংদেহী মনোভাব থাকবে কেন?"
চমৎকার বলেছেন।
প্রকারন্তরে আপনার মতোই আমি্ও এটাই বলেছি অন্যভাবে। আমি এটা সব সময়েই যেখানে প্রয়োজন সেখানেই বলে এসেছি।
ব্লগে বন্ধুভাবাপন্ন, সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ শুধু অবশ্যই কাম্য নয়, এটাকে নিশ্চিত্ও করতে হবে। আমরা হয়তো তা পারি যেমনটা আপনি বলেছেন কিন্তু কিছু না কিছু কারনে , কারো না কারো অবিমৃষ্যকারীতা বা অতি উৎসাহের ফলে আমাদের চেষ্টাটা মুখ থুবড়ে পড়ে প্রায়ই। এতে মাঝেমাঝে কেউ কেউ ঝড়ের মুখে পড়ে যান। তাদের সীমাবদ্ধতাকে, অক্ষমতাকে, অজ্ঞানতাকে কটাক্ষ করে আমরাই কেউ কেউ তাদের সমূলে উৎপাটনে লিপ্ত হয়ে যাই বুঝে না বুঝে।
মাঝেমাঝে অমন মন্দ কারো ভাবনার অসুস্থ্যতার কারনেই সামুতে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে বলে মনে হয় । সে তো বহমান নদীতে দু’চারটে দুর্গন্ধে ভরা কচুরীপানা ভেসে যাওয়ার মতো । সেই কচুরীপানাগুলিকে অযথা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলে তো দুর্গন্ধ বাড়তেই থাকবে , কমবেনা। আমাদের সবার উচিৎ হবে এসব এড়িয়ে চলা যাতে আমাদের দেয়া বাতাস লেগে দুর্গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যেতে না পারে।
আপনার মতো আমার বক্তব্য্ও এমনই।

ব্লগীয় বন্ধুত্ব চিরজীবী হোক।

১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি পোস্টের জন্য। নুরু ভাইয়ের মৃত্যুতে সকলেই দারুনভাবে আহত। আমরা সবাই কম বেশি ব্লগে সহনশীল আচরন পছন্দ করি, অন্যায়, অশ্লীল বা সমালোচনার নামে চুড়ান্ত নোংরামি কেউই পছন্দ করি না। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, আমাদের অনেক ব্লগার অদ্ভুত দ্বিচারিতায় ভুগেন। অনেকেই অযাচিত আক্রমণ, ব্লগারদেরকে ছোট করা, চুড়ান্ত রকম অপমান সহ ইত্যাদি ব্যাপারকে অপছন্দ করলেও ব্লগ কর্তৃপক্ষ যখন এই ধরনের অন্যায়ের কারনে কোন ব্লগারকে নীতিমালার আওতায় আনেন, তখন তারা সেই সকল ব্লগারের নিজের পাতায় প্রকাশিত কোন পোস্টে কমেন্ট করেন -
"আপনাকে মিস করছি, আপনি মুক্ত হবেন কবে? আপনাকে ছাড়া ব্লগ জমে না - " টাইপের মন্তব্য করেন।

এটা রীতিমত ব্লগের নীতিমালার প্রতি অবমাননা এবং একজন অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেয়া। পাশাপাশি, এটা ম্যাসেজ দেয় - এটা স্পষ্ট দ্বিচারিতা, হিপোক্রেসী। এটাও দুঃখজনক। ব্লগার নুরুর বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ ছিলো, সেই সকল অভিযোগ নিয়ে আমরা কোন আলোচনা বা কথা বলতে চাই না। কারন তিনি সকল সমালোচনার উর্দ্ধে। মানুষ হিসাবে আমাদের ভুল ত্রুটি থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক।

আমাদের অধিকাংশ ব্লগাররা অত্যন্ত আত্মমর্যাদা সম্পন্ন। খুব কম ব্লগার নিজেদের ভেতরের জড়তা কাটিয়ে আমাদেরকে তাদের সমস্যার ব্যাপারে জানান। আমরা চেষ্টা করি আমাদের সাধ্যমত সেই সাহায্য করতে। অধিকাংশ সময় আমি আমার পরিচিত ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। কিন্তু কেউ না জানালে - আসলে এটা সম্ভব নয়।

একজন সচেতন ব্লগার, সব সময় ব্লগ টিমকে সাহায্য করেন। ফলে কেউ কপি পেষ্ট পোস্টের বিরোধিতা করলে বা এই সংক্রান্ত ব্যাপারে ব্লগ টিমের দৃষ্টি আকর্ষন করলে তাতে দোষের কিছু নেই। আজকে আমরা ফিচার লেখার প্রতিযোগিতা করেছি। এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সাফল্য হচ্ছে অনেকেই নিজ গন্ডির বাইরে গিয়ে লেখার চেষ্টা করেছেন যেমন আলমগীর সরকার লিটন। কপি পেষ্ট মানুষের সৃজনশীলতাকে নষ্ট করে। কপি পেষ্ট দেখেও চুপ করে থাকার মধ্যে কোন ভালো কিছু নেই। আমাদের ব্লগাররা সেটাই করেছেন। যদি কখনও কেউ অন্যায় করে থাকেন, আমরা সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।

তবে, আমাদের একটি ব্যর্থতা আছে। সেই ব্যর্থতার দায় ব্লগারদেরও। আমরা কতিপয় ব্লগারকে নীতিমালার আওতায় এনেও সংশোধন করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা এই সংক্রান্ত বা এই ধরনের ব্লগারদেরকে নিয়ে বাড়তি কথা বলে কোন গুরুত্ব আরোপ করতে চাই না। আমরা ব্লগ টিম একটু গুছিয়ে নিচ্ছি। ব্লগের কিছু নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ হচ্ছে। খুব অচিরেই আমরা সকল প্রকার আবর্জনা ব্লগ থেকে বিদায় করব। অতঃপর সেখানে কোন ধরনের অনুপ্রবেশের সুযোগ থাকবে না।

একটি শোকের সময়ও যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে - তাঁরা নিকৃষ্ট, অপরাধী এবং বর্বর মানসিকতার মানুষ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,



সবার মতো আমি্ও ব্লগটাকে অনেক ভালোবাসি বলেই মাঝে মাঝে অযাচিত ভাবেই এমন পোস্ট দিয়ে ফেলি।

আপনি্ও বিস্তারিত লিখেছেন। বুঝতে পারি মডারেটর হিসেবে ব্লগের সবাইকে খুশি রাখতে পারাটা মোটে্ও সহজ বা সম্ভব নয়। তবু্ও আপনি আপনার জায়গা থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ব্লগের কিছু নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ হচ্ছে বলাটাই তেমনটা নির্দেশ করে।

ব্লগারদের সমস্যার ব্যাপারে আপনার সাহায্য করার বিষয়ে আন্তরিকতা নিয়ে বলা কথাগুলো ভাল লাগলো।

ব্লগাররা পরিশোধিত হোন, ব্লগ আবার তার সুদিন ফিরে পাক!!!!!!!
শুভেচ্ছান্তে।

১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভীষণ কষ্টে মুক হয়ে যাই তখন- যখন কিছু সাহিত্য-মনা তথাকথিত উদার মানসিকতার মানুষগুলো অতি ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে নোংরামি করে!
আমি আহত হয়ে মুষড়ে পড়ি তখন- যখন ব্লগারেরা কারো সামান্য দোষ ত্রুটিকে মার্জনা না করে চরম অপমানের পৈচাশিক উল্লাসে মেতে উঠে- তার প্রয়াণে কলসি কলসি চোখের জল ফেলেন!
আমি একজন ব্লগার হিসেবে নিজেকে ঘৃণা করি তখন -যখন দেখি মাত্র ত্রিশ-চল্লিশ জন মানুষ কখনোই জোটবদ্ধ হতে পারেনা- তারা মহান সাহিত্যকর্মের আলোচনার নিমিত্তে এক উঠোনে বসে কুৎসিত গালাগালি আর দলাদলিতে লিপ্ত হন।
নুরু মোহাম্মদ নুরু ভাই আর কোনদিন আসবেন না 'বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজে' কিছু মুক্তমনা সাহিত্যিকদের কুরুচিকর আলোচনা আর কাদা ছোড়াছুঁড়ি দেখতে!
(কথাগুলো সব ব্লগারের জন্য প্রযোজ্য নয়)
এসবের অনেক ঊর্ধ্বে চলে গেছেন আপনি -ওপারে ভাল থাকুন ব্লগার!

২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,



আপনার অমন করে ভীষণ কষ্টে মুক হয়ে যা্ওয়া, আহত হয়ে মুষড়ে পড়া, ব্লগার হিসেবে নিজেকে ঘৃণা করা; এসবের মতো আমার ভেতরেও তেমনটা ঘটে বলে অযাচিত এই পোস্টের অবতারণা।

আমাদের যাতে মুক হয়ে যেতে না হয়, মুষড়ে পড়তে না হয়, না হয় নিজেকে ঘৃনা করতে তাইতো সবার কাছেই নিবেদন করেছি - অনেক হয়েছে ! এখানেই থেমে যাই আমরা ..............

যে ভাবে আপনারা এই নিবেদনে সাড়া দিয়েছেন তাতে আশা জাগছে, ব্লগ আবার সুগন্ধ আর জৌলুসে ভরে উঠবে।

১৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৫

সোহানী বলেছেন: প্রিয় জী ভাই, আপনার লিখাটিই আমি মনে মনে ভাবছিলাম কিন্তু সময়ের অভাবে লিখা হয়ে উঠছিল না। আপনার প্রতিটি বিষয়ের সাথে আমি এক মত। আর ঢাবিয়ান খুব স্পষ্ট ভাষায়ই বলেছেন।

খুব সংক্ষেপে আপনার বিষয়গুলো নিয়ে আমার মতামত বলি;

কপি পেস্ট: কপি পেস্ট করা এবং সেটার সূত্র উল্লেখ না করা যে অপরাধ তা আমি ভালোভাবে অনুধাবন করতাম না যদি না দেশের বাইরে পড়তে আসতাম। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছি। কপি পেস্ট করেছি অনেকবার কিন্তু শিক্ষকরা তেমনভাবে জোর দিয়ে বলেননি যে কি ভয়ংকর অপরাধ করেছি। কিন্তু দেশের বাইরে এসে পই পই করে বুঝে গেলাম এটা কেমন অন্যায়। সোজা কথায় ভুলেও এ পথে পা দেইনি। এ বিষয়টা আমাদের হজম করতে বা অভ্যস্ত হতে হয়তো আরো কিছুদিন সময় লাগবে। রাতারাতি আমরা আমাদেরকে বদলাতে পারবো না।

তাই ব্লগ ডাইরেক্ট হার্ড এ্যাকশানে না যেয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আগানো দরকার ছিল।

অযাচিত আক্রমন: কপি পিস্ট ইস্যুতে এক পর্যায়ে দেখলাম অসংখ্য পোস্ট। ব্যাক্তিগত আক্রমন, নোংড়া ভাষায় আক্রমন, চোর খেতাব......... যা সত্যিই দৃস্টিকটু ছিল। অবশ্যই আমি অপরাধের পক্ষে সাফাই গাইছি না কিন্তু ব্যাক্তিগত আক্রমন গ্রহনযোগ্য নয়। কিন্তু এটা চলেছে দিনের পর দিন।

আক্রমন এর সীমা অতিক্রম করা: হাঁ, বেশ কিছু পোস্টে এর সীমা অতিক্রম করা হয়েছে। এবং অনেকেই এটিকে এনজয় করেছে যেটা সত্যিই পীড়াদায়ক। আমরা ব্লগে আসি নি:স্বার্থে। ব্লগে কিছু দিতে পারলে ভালো লাগে নিতে নয়। সেখানে এরকম আক্রমন কষ্টকর।

নুরু ভাইয়ের জন্য খারাপ লাগছে, হয়তো এমন কষ্ট পেয়েছেন বলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি। কিংবা জন্ম মৃত্যুর পোস্টগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

তবে একটা কথা না বললেই নয়, কপি পেস্ট হোক আর যাই হোক, উনার সে পোস্টগুলো পড়ে আমি অনেক কিছু জেনেছি।

অনেক অনেক খারাপ লাগছে। কিছু করতে না পারার দায়টা খুব পীড়া দিচ্ছে। নয়নের বেলায়ও আমি ফিল করেছিলাম। একটু যদি কিছু করতে পারতাম। কিছু না হোক, একটু শান্তনাতো দিতে পারতাম, এইতো আমরা আছি তোমাদের পাশে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




একটি ছোটখাটো অপারেশনের কারনে প্রতিমন্তব্য করতে দেরী হলো বলে দুঃখিত।

বলেছেন - ব্যক্তিগত আক্রমন গ্রহনযোগ্য নয়। কিন্তু এটা চলেছে দিনের পর দিন।
হ্যা, এমনটা ঘটার কারনেই ব্লগ তার সৌন্দর্য্য হারিয়েছে বারেবারে। এমনকি একটি মন্তব্যের রেশ ধরে পুরো একটি পোস্টও দিয়েছেন কেউ কেউ আক্রমনাত্মক ভাবে। সেসব পোস্টে আক্রমন - প্রতিআক্রমন হয়েছে আরো তীব্রতর হয়ে।
অথচ একটু বিবেচনা আর শালীনতাবোধ থাকলেই সেইসব এড়ানো যেত সহজেই। এটা আমাদেরই দৈন্যতা।

এটা্ও ঠিক বলেছেন- কপি পেষ্ট হোক আর যাই হোক, যে কোন লেখা থেকেই কিছু না কিছু জানার ও শেখার থাকেই।

১৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



@কাল্পনিক_ভালোবাসা ,
ব্লগের নীতিমালা নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ও লম্বা বক্তব্য রাখেন; কিন্তু আপনি বিবিধজনের বেলায়, সেগুলোকে বিবিধভাবে প্রয়োগ করেন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,



"কাল্পনিক_ভালোবাসা" এই মন্তব্য দেখেছেন এবং তার কথা বলে গেছেন।

১৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪২

অনল চৌধুরী বলেছেন: আইনের বাইরে গিয়ে কাউকে কিছু বললে সেটা দন্ডনীয় অপরাধ।
কোনো সভ্য সমাজে এটা গ্রহণযোগ্য না। কিন্ত ব্লগে দেখা যায় স্বল্প শিক্ষিত এবং বিন্দুমাত্র ভদ্রতাজ্ঞানহীন লোকজনও অবাধে বয়স এবং লেখালেখির বয়স-সবদিকে প্রবীণদের পাগল-ছাগল -মানসিক রোগী বলে আখ্যা দিয়ে বিকৃত আনন্দ পায়। এর বিরুদ্ধে আমি অনেক অভযোগ করেছি এবং লিখেছি। কিন্ত কোনো কাজ হয়নি।
এসব নোংরামি অবাধে চলে কারণ চলতে দেয়া হয় তাই।
আজ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হোক, কেউ লেখার প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে কাউকে সেই লেখায় বা অন্যের লেখায় গিয়ে মানহিনকর মন্তব্য করলেই তাকে আজীবনের জন্য ব্লগ থেকে বিতাড়িত করা হবে এবং তার নাম-ঠিকানা-ছবি দিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করা হবে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: অনল চৌধুরী,




শারীরিক অসুস্থ্যতার কারনে প্রতিমন্তব্য করতে দেরী হলো বলে দুঃখিত।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। ঠিক বলেছেন - আইনের বাইরে গিয়ে কাউকে কিছু বলা কোনো সভ্য সমাজেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আমরা কি নিজেদের তেমন সভ্য কিছু বলতে পারি ? আমরা তো স্বল্প শিক্ষিত, অজ্ঞ এবং ভদ্রতাজ্ঞানহীন বলেই বিকৃত আনন্দে অবাধে যাকে তাকে পাগল-ছাগল -মানসিক রোগী আখ্যা দিয়ে নিজেদের চরিত্র প্রকাশ করে ফেলি!

১৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই লেখার পক্ষে ও বিপক্ষে অনেকে বলবে। কিন্তু সহনশীল হওয়ার ক্ষমতা কেউ বাড়াবে না।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,




সঠিক পর্য্যবেক্ষন।

১৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৬

ঈশ্বরকণা বলেছেন: জাদিদ,

এই লেখায় আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি ।

দুটো জিনিষকে গুলোয় ফেলছে মনে হয় কিছু ব্লগার। ব্লগ আর ব্লগার দুটো বিষয়।ব্লগের গুণগতমান বজায় রাখতেই হবে। সেখানে কোনো ব্লগারকে ছাড় দেবার কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের মতো সাধাৰণ ব্লগারদের কাছে ব্লগ যে কোনো ব্লগারের থেকেই বড় একটা বিষয়। ব্লগে পোস্ট করার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য একটা নীতিমালা আছে আর সেটা প্রকাশ্য ভাবেই আছে।যেখানে সূত্র ছাড়া কপি পেস্ট নিষিদ্ধ করার কথা পরিষ্কার করেই বলা আছে।প্রকাশ্যে সেটা নিয়ে মডারেটর বলার পরও কিছু ব্লগার সে নির্দেশণাগুলোকে খুব সহজেই অমান্য করেছেন, সেই আইন বারবার কিছু ব্লগার ভেঙেছেন।তখনি সমস্যাগুলো হয়েছে।ব্লগের একজন স্টেকহোল্ডার হিসেবে আমি চাইবো না সূত্র/রেফারেন্স ছাড়া কপিপেস্ট হোক। সেটা একটা ব্লগ সম্পর্কে কোনো ভালো ইম্প্রেশন দেয় না। কিছু ব্লগার বারবার এই নিয়মগুলো ভাঙার পরেই অন্য ব্লগাররা কপিপেস্ট, নকল এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন ।আমি নিজেও কপিপেস্টের, নকল লেখার বিরুদ্ধে বলেছি। সেটা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবশ্যই না। সেটা ব্লগের গুনগত মানটা ঠিক রাখার জন্যই বলা। মডারেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কিছু ব্লগার ব্লগের নীতিগুলো মেনে ব্লগিং করলে, পুরোই কপিপেস্ট করা লেখায় সূত্র দিলে, তাদের ফিচার পোস্টগুলোতে নানান ইন্টারনেট সোর্স থেকে সূত্র ছাড়া কাটপেস্ট না করলে ওই অল্প কথাগুলোও আমাদের হয়তো বলতে হতো না। কিন্তু কিছু ব্লগার ব্লগের সেই নিয়ম নীতিগুলো মেনে চলার সাধাৰণ কাজটুকুও করেননি বরং একজোট হয়ে সেই কপিপেস্টগুলো যে অন্যায় না সেটার পক্ষেই স্লোগান দিয়েছেন। সেই ব্যাপারগুলো আজকে এই পোস্টেও সমর্থন করে কেউ কেউ বলছেন এই ব্যাপারটাতে সত্যিই আশ্চর্য না হয়ে পারা যাচ্ছে না ! যাহোক, আশ্বস্থ হয়েছি এটা জেনে যে ব্লগের আগাছাগুলো বিদায় করে দেবার একটা পরিকল্পনা ব্লগ কর্তৃপক্ষের আছে সেই ব্যাপারে একটা পরিষ্কার কথা শুনে।

প্রিয় ব্লগার আহমেদ জিএস, সহ ব্লগারের জন্য আপনার সহমর্মিতা মাখা এই লেখায় অনিচ্ছা সত্ব্যেও এমন মন্তব্য করতে হলো দেখে খুবই লজ্জা লাগছে। কিন্তু কেউ আপনার ওপরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে দেখেই এই কথাগুলো বললাম ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঈশ্বরকণা,



ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
শুধু কপিপেষ্ট নিয়েই ক্যাঁচাল নয়, কারো মন্তব্য সংশ্লিষ্ট কেউ বা ব্লগ কর্তৃপক্ষ মুছে দিলে তা নিয়ে্ও ক্যাঁচালের শেষ নেই। অর্থাৎ চান্স পেলেই ছোটখাটো যে কোন বিষয় নিয়ে অনেকেই ক্যাঁচাল শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে আক্রমনাত্বক হয়ে মজা দেখেন। এদের এই স্বভাব যাবেনা মরলে্ও!

২০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @সোনাগাজী:
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমি শুধুমাত্র ব্লগার বা ব্লগ সংশ্লিষ্টদের যে কোন প্রশ্ন বা মন্তব্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারি। কিন্তু আপনি এবং আপনার মত যারা জেনে শুনেও ক্রমাগত ব্লগের নীতিমালা লঙ্ঘন করেন এবং সেটা নিয়ে নির্লজ্জভাবে গর্ব করেন, ব্লগ টিম এবং বিভিন্ন ব্লগারদের অপদস্ত করেন তাদেরকে আমি ব্লগার হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করি না। দুঃখিত। তবে ব্যক্তি সোনাগাজী বা এই নিকের পেছনে যিনিই থাকুক না কেন তাঁর প্রতি আমার কোন মন্তব্য বা অনুভুতি নেই।

ফলে, আমি আমাকে কেন্দ্র করে আপনার আপনার সকল সমালোচনা, পোস্ট বা মন্তব্যের ব্যাপারে কোন ধরনের পাল্টা জবাব বা ব্যাখ্যা প্রদানে আগ্রহী নই।

আমরা সদ্য একজন ব্লগারকে হারিয়েছি। ফলে আমাদের অপ্রয়োজনীয় কথা বার্তার কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয় না।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,




যা বলার তা বলেছেন। যারা বোঝার তারা বুঝলেই হয়!

২১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৭

অন্তরন্তর বলেছেন: এটা মোটেও অযাচিত আবেদন নয় প্রিয় জি এস ভাই, আমি মনে করি এমনটা হবার কথা ছিল অনেক অনেক আগেই। আপনার পোস্টের সমর্থনে হাত উঠালাম।
এমন একটা পোস্টে সেই আগেকার মত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি দেখে আবারও খুব লজ্জা পেলাম। একজন সহ ব্লগারের তিরোধানের সময়ে আমাদের এমন নিকৃষ্ট কথাবার্তা জানান দিচ্ছে ব্লগে কি ঘটছিল এতদিন ধরে। সময়ের প্রয়োজনে এখন আপনার পোস্ট থেকে আমাদের অনেককিছু ভাববার সময় এসেছে। অনেক ধন্যবাদ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্তরন্তর,



অনিবার্য্ কারনে দেরী করে ফেলাতে দুঃখিত।

ব্লগে আসলে এমনটাই চলেছে এবং চলছে । আমরাই আগুপিছু না ভেবেই সেই ময়লা ঘেটেছি যে যেমন করে পারি। কিন্তু কেউই এটা ভাবিনি যে, একদিন ব্লগটাই দুষিত হয়ে দম আটকে হাসফাস করবে।
এমন অযাচিত লেখা লেখার কারন শুধু এটা বলতে যে , এবার আমাদের থামা উচিৎ।

পোস্টের সমর্থনে হাত উঠানোর জন্যে কৃতজ্ঞ।

২২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃৃতজ্ঞতা জানাই এমন একটি পোস্ট লেখার জন্য । আসলে আপনাদের মত সিনিয়র ব্লগার যারা বহু বছর এই ব্লগে বিচরন করছেন, তাদের মাঝে মাঝে কিছু পদক্ষেপ নেয়া জরুরী ব্লগে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য্। আমরা কেউই ভুল ত্রুটির বাইরে নই। ভুল হলে যেন সবাই সংশোধনের সুযোগ পায় সেটাই সব সময়ে কাম্য।

সোহানী ও জুন আপুর কমেন্টের জন্যও অসংখ্য ধন্যবাাদ। আপুদের কমেন্টের প্রতিটা লাইনের সাথে একমত। কপি পেস্ট ইস্যূতেে ব্যক্তি আক্রমনের বিরুদ্ধে ব্লগার গরল সবচেয়ে আগে পোস্ট দেন। তিনি এখন ব্লগে অনিয়মিত কিন্তু আমি সে সময়ে উনার সকল পোস্টে সহমত জানিয়েছিলাম। যাই হোক বেশি কিছু আর বলতে চাই না, এই ইস্যূতে ব্যক্তি আক্রমনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আমার নিজেকেই ব্যক্তি আক্রমনের শিকার হতে হয়েছে যে আমি কপি পেস্টের পক্ষে সাফাই গাইছি, Plagiarism কি আমি জানি না ইত্যাাদি ইত্যাদি। অথচ ব্যক্তি আক্রমন এবং কপি পেস্ট নিয়ন্ত্রন সম্পুর্ন ভিন্ন দুই ইস্যূ।

আরেকটা বিষয়ের উল্ল্যেখ না করে পারছি না। সেটা হচ্ছে মাল্টিনিকে ডক্টর জেকিল এন্ড মিস্টার হাইড গেম। এই সিস্টেম যতদিন ব্লগে থাকবে সুস্থ পরিবেশ ব্লগে কখনও ফিরবে না।

পরিশেষে একটা কথাই শুধু বলতে চাই যে ব্লগ মডারেটর একজন মানুষ । উনার ব্যক্তিগত জীবন আছে, কাজেই দিনরাত ব্লগে পড়ে থেকে ব্লগের সমস্যা সমাধান করার মত অখন্ড অবসর উনার থাকার কথা নয়। আমরা ব্লগাররা যদি একটু দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে , ব্যক্তি আক্রমন এড়িয়ে রেড ফ্ল্যগ সিস্টেমকে দ্বায়িত্বশিলতার সাথে প্রয়োগ করি তাহলেই ব্লগের অর্ধেক সমস্যাার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা রাখি।

শুভকামনা রইল সকল ব্লগারদের জন্য।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,



প্রতিমন্তব্য দিতে দেরীর জন্যে আন্তরিক ভাবে লজ্জিত।
শুধু কপিপেষ্ট নিয়েই ক্যাঁচাল নয়, কারো মন্তব্য পছন্দ না হলে সংশ্লিষ্ট লেখক বা ব্লগ কর্তৃপক্ষ সেটা মুছে দিলে তা নিয়ে্ও ক্যাঁচালের শেষ নেই। আর অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য বা প্রতিমন্তব্য নিয়েও কম জল ঘোলা করা হয়না! অর্থাৎ চান্স পেলেই ছোটখাটো যে কোন বিষয় নিয়ে অনেকেই ক্যাঁচাল শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে আক্রমনাত্বক হয়ে মজা দেখেন। এদের এই স্বভাব যাবেনা মরলে্ও!

মাল্টিনিকে ডক্টর জেকিল এন্ড মিস্টার হাইড গেম।

একদম সঠিক বলেছেন। সব ময়লা ঘাটানোতে এদের জুড়ি নেই। অনেকেই বলেন ছদ্মনামে লিখলে অসুবিধে নেই। তা নেই, যদি লেখক যথার্থই বিবেচক লেখক হন । কিন্তু ছদ্মনামে যিনি লেখেন তিনি নিশ্চয়ই চার পাঁচটি ছদ্মনামে লেখেন না। তাদের একাধিক নামের আড়াল দরকারও পড়েনা। অথচ ব্লগে অনেকেই এই ছদ্মনাম বা নিকের ধারাতে বিশ্বাস করেন। একটু বুদ্ধি থাকলেই তো বোঝা যায়, একাধিক নামের আড়ালে এসব আসলে কিসের জন্যে।

ব্লগ মডারেটরের সম্পর্কে যা বলেছেন সেটা্ও অনেকাংশে সত্য। তিনিও তো মানুষ! ভুল-ত্রুটির একদম উর্দ্ধে থাকা তার পক্ষেও সব সময় সম্ভব হয়না। আমরা নিজেরাই যদি শুদ্ধ হই তবে কিছুরই দরকার পড়েনা।
অযাচিত ভাবে সে কথাই বলতে চেয়েছি এই লেখাতে।
মন্তব্যে প্লাস দিয়েছি অনেক আগেই।

২৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় জী এস ভাইজান, আমাদের কষ্টগুলো নুরু ভাইয়ের জন্য দোয়া- আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন তাকে বেহেশত নসীব করুন।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, নুরু ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকের পোষ্টেও কেউ কেউ নোংরা মন্তব্য করছে! এরা কোনো দিন মানুষ হবেনা। ওই শ্রেণীর ব্লগারদের ব্লগে রাখাই ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট! আশা করি ব্লগ কতৃপক্ষ বিষয়টা ভেবে দেখবেন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,




এই একটা মৃত্যুর পরে অনেক মন্তব্যে মরহুমের প্রতি যে, " ব্লগ থেকে ভালো ব্যবহার পাননি।": " ব্লগ থেকে তাকে অপমান করা হয়েছে" বা " ব্লগের উপর অভিমানে তিনি নিরবে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন" এমন সব উচ্চারিত কথা দেখে খু্বই খারাপ লেগেছে।
মনে হয়েছে, আমরা ব্লগার হিসেবে কিসের গর্ব করি ? শিক্ষার ? শালীনতার? জ্ঞানের ? বুদ্ধিমানের? সবজান্তার?
এমন গর্ব যদি একজন নবীন-অবুঝ- বেহুদা ব্লগার এমনকি " ক্যাচালিষ্ট" ব্লগারদেরও আত্মসম্মানের প্রতি হুমকি স্বরূপ হয় তবে ব্লগার না হওয়াই সঙ্গত এবং ভালো !

শুধু ব্লগ কতৃপক্ষই নয় সকল ব্লগারদেরই বিষয়টা ভেবে দেখা উচিৎ।

২৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, আপনার নিবেদনটা সময়োচিত হয়েছে। অধিকাংশ ব্লগার মনে করে কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ, ছোট করা, ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করা একটা খারাপ কাজ। ব্লগে এগুলি বন্ধ না হলে ব্লগের ক্ষতি হবে।

নুরু ভাইয়ের সাথে আমরা অনেকেই শেষের দিকে ভালো আচরণ করিনি। বহু বছর ব্লগিং করার পর কয়েকশ পোস্ট দেয়ার পর উনি অনুভব করেন যে ব্লগে তিনি সম্মান পাচ্ছেন না।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,




অনিবার্য্ কারনে প্রতিমন্তব্য করতে দেরী হলো বলে দুঃখিত।

"নুরু ভাইয়ের সাথে আমরা অনেকেই শেষের দিকে ভালো আচরণ করিনি। বহু বছর ব্লগিং করার পর কয়েকশ পোস্ট দেয়ার পর উনি অনুভব করেন যে ব্লগে তিনি সম্মান পাচ্ছেন না।"
এই যে কথাটি বললেন, তা একজন ব্লগারের কাছে যে কতো নির্মম আর অপমানের তা কি আমরা বুঝতে শিখেছি , অনুভব করতে পেরেছি? একজন ব্লগার "ভালো - মন্দ - শিক্ষিত - অশিক্ষিত - বেয়াদপ - বাচাল - রূঢ়-" যা-ই হননা কেন তার আত্মসম্মানে আঘাত দেয়া আমার কাছে সব সময়ই অসহনীয় - অমর্যাদাকর আর অশালীন মনে হয়েছে বলেই লেখাটি লিখতে হয়েছে। যদি অমন একটি জায়গায় আমরা নিজেদের বসিয়ে ভাবতে পারতুম তবে ব্লগে এমন কাদা ছোঁড়াছুড়ি কখনও হতে পারতো না।

২৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: "সেই ছেলে কবে হবে আমাদের দেশে? কথায় না বড় কাজে বড় হবে।"

আমরা অনেকেই ভাল কথা বলি, আমাদেরকে কাজেও ভাল হতে হবে তবেই তো আমাদের কথার স্বার্থকতা। কিছু কিছু পোস্ট এবং কমেন্ট এমন হয় যে কোনো বাইরের কোনো লোক যদি হঠাৎ এসে এসব পড়েন তাহলে তিনি কি ধারণা পোষণ করবেন তা ভাবতেই খারাপ লাগে।

লেখার গঠনমূলক সমালোচনা নিশ্চয়ই ভাল, তাতে পরবর্তী লেখার মান বাড়াতে সহায়ক হয় সন্দেহাতীত ভাবেই। আমরা কি সমালোচনাকে একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি না? কেন পারিনা? ব্যাক্তিকে আক্রমন করা প্রায়ই কেন আমাদের উদ্দেশ্য হয়? আমরা কেন অন্য কোনো ব্লগারকে সহ্য করতে পারিনা??

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেঁয়ো ভূত,




সুন্দর সব কথা বলেছেন । একজন ভালো আর বিবেচক ব্লগার এমন ধারনাই পোষন করবেন নিঃসন্দেহে।

মন্তব্যে প্লাস দিয়ে রেখেছি আগেই।

২৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আচ্ছা আপনারা কি শুরু করলেন । একজন মানুষ আমরা হারিয়েছি। কাল আমিও থাকবো না । অপ্রয়োজনীয় পুরানা সব কথাবার্তা নিয়ে আলাপ করার সময় কি এটা ? কপি পেস্ট এই বিষয় নিয়ে অনেক পানি ঘোলা করা হয়েছে। এইবার থামুন । নুরু ভাই যখন জীবিত ছিলেন তখন আমার সাথে ও তার সামান্য খোঁচাখুঁচি হয়েছিলো আমি নিজ থেকে তার আত্মার প্রতি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । তার প্রতি কোনরূপ রাগ বা হিংসা থাকলে তা মিটিয়ে নিলাম। তিনি একজন ভালো ছড়াকার ছিলেন । তিনি ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি ভালো থাকুন এই কামনা করি । দয়া করে এইসব ফাও প্যাচাল পেরে নিজেদের কে আর ছোট করবেন না নুরু ভাইয়ের আত্মার কাছে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রানার ব্লগ,




এটা কিছু শুরু করা নয় বরং সমাপ্তি টানার পরিপত্র। দুঃখিত, মনে হয় লেখাটি আগাগোড়া পড়েন নি!

২৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মৃত্যু আমাদেরকে/মানুষকে অনেক কিছু ভূলিয়ে দিয়ে মানুষের সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলি চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। জীবিত থাকার সময় মতবিরোধ কিংবা স্বার্থের দ্বন্দ্বে অনেক সম্পর্কে যে শীতলতা চলে আসে মরণ আমাদেরকে সে অবস্থান থেকে বের করে নিয়ে আসে। তবে আফসোস তখন আর কিছু করার থাকেনা। জীবিত থাকাবস্থায়ই আমাদের সকলেরই মানুষে মানুষে জটিলতা-দ্বন্দ্ব পরিহার করে মানুষে মানুষে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত। নতুবা মরার পর শুধু আফসোসই করা যায় সম্পর্কের উন্নয়ন নয়।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহামমদ কামরুজজামান,



সুন্দর মন্তব্য।
জীবিত থাকাবস্থায়ই আমাদের সকলেরই মানুষে মানুষে জটিলতা-দ্বন্দ্ব পরিহার করে মানুষে মানুষে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত।
এটাই হওয়া উচিৎ ছিলো ব্লগের মতো শিক্ষিত, বিবেকবানদের মিলন মেলায়।
একজন ব্লগার "ভালো - মন্দ - শিক্ষিত - অশিক্ষিত - বেয়াদপ - বাচাল - রূঢ়-" যা-ই হননা কেন তার আত্মসম্মানে আঘাত দেয়া, তাকে নীচু করে দেখানো; শিক্ষিত- বিবেকবানদের কাছে সব সময়ই অসহনীয় - অমর্যাদাকর আর অশালীন বলে অনুভূত হওয়া উচিৎ ছিলো। তা কিন্তু হয়নি।
আমরা এইসব অশুভ ঘটনার সাথে বারবার জড়িয়েছি নিজেদেরকে। কোন একজন ব্লগার কি ব্যক্তিগত ভাবে আপনার - আমার শত্রু , না কি প্রতিদ্বন্ধী ? মনে হয় না! তাহলে মতবিরোধ কিংবা স্বার্থের দ্বন্দ্বে আমরা নিজেদেরকে জড়াচ্ছি কেন ?

২৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আসুন আজ থেকে আমরা প্রতিজ্ঞা করি কাউকে অযাচিত আক্রমন করবোনা এমনকি কাউকে চুড়ান্ত অপমান কেন সামান্য অপমানও করবোনা। এটাই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ মশিউর রহমান,



সে কথাই বলেছি এই লেখায় ।

অনিবার্য্ কারনে প্রতিমন্তব্য করতে দেরী হলো বলে দুঃখিত।

২৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে এলাম। পড়লাম। মন্তব্য গুলোও পড়লাম।

আমার ইচ্ছা হচ্ছে কিছু বলি। অনেক কথা বলার আছে আমার। কিন্তু বলার জন্য এখন সঠিক সময় না। নুরু সাহেব গত হয়েছেন। হৃদয়ভারকান্ত। তাই এখন চুপ থাকলাম। যথাসময়ে আমি মুখ খুলবো।

সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




মন্তব্য গুলো পড়ে কি মনে হোল ?
জ্বী, সবাই ভালো থাকুক। সুস্থ থাকুক।

৩০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ব্লগে এসেই এই দুঃসংবাদটা দেখে মনটা ব্যথিত হয়ে গেল।

পোষ্টের কিছু কিছু কথার সাথে একমত জী এস ভাই, কিছু কিছু কথা এতোটা স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড না। অনেক ব্যাখ্যা আর আলোচনার অবকাশ আছে। তবে এই শোকের সময়ে এসব আলোচনা না করাই ভালো। অন্য সময়ের জন্য তোলা থাক। সবচেয়ে আশ্চর্য হলাম, মন্তব্যের অংশে এই রকমের একটা শোকের সময়েও কারো কারো ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের প্রবণতা দেখে।

একটা শব্দই বলতে ইচ্ছা করছে...........ছিঃ!!!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,



প্রতিমন্তব্য দিতে দেরী হ্ওয়াতে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
কিছু কিছু কথা এতোটা স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড না
হয়তো! সোজাসাপ্টা বা নগ্ন ভাবে বললে তা আবার নতুন ক্যাঁচালের জন্ম দিতে পারতো। ব্লগারদের বোধবুদ্ধি-বিবেচনার উপর আস্থা থাকলে "স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড" কিছু বলার দরকার পড়েনা মনে হয়!

৩১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার এই পোস্টটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

আমরা কেউই এই পৃথিবীতে থাকবো না। সকলেই একে একে চলে যাব। সেই ধারাবাহিকতায় নূর মোহাম্মদ নূরু ভাইও চলে গেছেন। কিন্তু তার যাওয়াটা ছিল একেবারেই নিরবে ও নিভৃতে। যতটুকু জানি, তিনি অত্যন্ত আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। পারতপক্ষে সহসা কাউকে নিজের কষ্ট ব্যথা বুঝতে দিতেন না। তারপরেও এই ব্লগটি যেহেতু ছিল তার ধ্যান জ্ঞান বলতে সবকিছু, তিনি কেন এরকম চুপিসারে কাউকে কিছুই না জানিয়ে, এমনকি ব্লগে একটি পোস্টও না দিয়ে কিংবা ফোনেও ব্লগের কারও সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে কেন চলে গেলেন না ফেরার দেশে, এটা একটা প্রশ্ন। এই প্রশ্ন নিয়ে অনেক কথা বলার থাকলেও ব্যক্ত করতে পারছি না বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কারণ, এসব কথার পুনরাবৃত্তি করতে গেলে পুরনো অনেক বিষয়ের অবতারণা নতুন করে পুনরায় হয়তো হবে, যা তার মৃত্যু পরবর্তী শোকের এই সময়টিতে নিতান্তই অপ্রত্যাশিত। অবশ্য অন্য সময়েও সেসবের পুনরাবৃত্তি করার ইচ্ছে আমার আর নেই। আল্লাহ তাআ'লার কাছে আমি বরং নিজের জন্য এবং আমার শত্রু ও মিত্র সকলের জন্যই বিনীতভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। তিনি যেন আমাদের ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত সকল অপরাধ ক্ষমা করে দেন।

তবে সংক্ষেপে শুধুমাত্র আত্মসমালোচনা হিসেবে যে কথাটা না বললেই নয়, তার এইভাবে চলে যাওয়ার পেছনে আমাদের কিছু অতি বাড়াবাড়ি এবং ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমাদের কিছু অযাচিত কষ্ট তাকে হয়তো এতটাই ব্যথিত করেছিল যেসবের ফলে তিনি নিজের অসহায়ত্ব বা কষ্ট কোন কিছুই আর আমাদের সাথে অর্থাৎ ব্লগের কারো সাথে শেয়ার করার ইচ্ছে পোষন করতে উদ্যোগী হননি।

তিনি যেহেতু চলে গেছেন, তাকে নিয়ে সমালোচনা করা কারোরই উচিত নয়। তিনি এখন সকল সমালোচনার উর্ধ্বে। তাই তার জন্য আজ আমাদের দোআ কামনাই একমাত্র কাজ। একইসাথে তার এমন নিভৃত প্রস্থানের পুনরাবৃত্তি আমাদের কারও ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আর যেন না ঘটে সেই লক্ষ্যে নির্ধারিত হোক আমাদের সামনের দিনগুলোর পরিচ্ছন্ন পথচলা। আমরা যেন তার নিরব প্রস্থানকে শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করে নিতে পারি। মহান আল্লাহ তাআ'লা তাকে জান্নাতে দাখিল করুন। +

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,





একজন প্রকৃত বিবেকবানের মতোই খুব পরিশীলিত একটি মন্তব্য করেছেন।
এমন মন্তব্যের জবাব দিতে অনিবার্য্য কারনে আমি দেরী করে ফেলেছি বলে লজ্জিত।

বলেছেন - আমাদের কিছু অযাচিত কষ্ট তাকে হয়তো এতটাই ব্যথিত করেছিল যেসবের ফলে তিনি নিজের অসহায়ত্ব বা কষ্ট কোন কিছুই আর আমাদের সাথে অর্থাৎ ব্লগের কারো সাথে শেয়ার করার ইচ্ছে পোষন করতে উদ্যোগী হননি।
আমি এটা ভেবেই কষ্ট এবং লজ্জা থেকে এই "অযাচিত" লেখাটি লিখতে সচেষ্ট হয়েছি।

"তার এমন নিভৃত প্রস্থানের পুনরাবৃত্তি আমাদের কারও ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আর যেন না ঘটে সেই লক্ষ্যে নির্ধারিত হোক আমাদের সামনের দিনগুলোর পরিচ্ছন্ন পথচলা। আমরা যেন তার নিরব প্রস্থানকে শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করে নিতে পারি। "
আপনার এমন কথাগুলো আমাদেরও মনের কথা হোক.................

৩২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: নিবেদনটি মোটেই ‘অযাচিত’ নয়, বরং মনে হলো, It’s the voice of sanity!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




একজন বিবেকবানের মতোই সাড়া দিয়ে গেলেন।
মন্তব্যে প্লাস।

৩৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৭

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: অনেক দিন আপনার পোস্ট নাই,
আপনি ভালো আছেন তো?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা ক্থ্য,




ধন্যবাদ আমার কুশল জিজ্ঞাসায়।
জ্বী ভালো আছি । পোস্ট দিচ্ছি দু'এক দিনের মধ্যেই।
সাথে থাকার আমন্ত্রন।

৩৪| ১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:২৮

নীলসাধু বলেছেন: যাদের জন্য নিবেদন তারা বুঝলেই হয়।
আমি নিজে বদরাগী মানুষ কিন্তু ব্লগের সবার সাথে সুসম্পর্ক তবু এখানে এই ব্লগে অকারণে আমার বিরুদ্ধেও নানা মন্তব্য/পোষ্ট দেয়া হয়েছে। মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে। আবার ভাবি যে বা যারা এগুল করছে তারাতো আমাদের তুলনায় শিশু ব্লগার। অবুঝ। তাই সে সব নিয়ে গা করি না। ব্লগে একটা চোখ থাকেই।

১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলসাধু,




ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
ব্লগে নিজের অক্ষমতা , অপারগতা, অজ্ঞানতা ঢেকে নিজেকে বড় করে দেখাতে গিয়ে মূলত কেউ কেউ কারো কারো বিরূদ্ধে অকারণে বিরূপ মন্তব্য, অশালীন পোস্ট দিয়ে থাকেন।
এটা যাতে না হয় তাই ব্লগারদের কাছে আমার এই "অযাচিত নিবেদন"। এতে যে কাজ হবে তা কিন্তু নয়। বরং আপনার মতো এসব নিয়ে গা না করাই ভালো। পাল্টা অশালীন মন্তব্য বা পোস্ট না দেয়াই প্রাজ্ঞতার লক্ষন।

৩৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:২৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: অনেক অনেক দেরী করে এলাম এই পোষ্ট পড়তে।
সম্পূর্ণ পোষ্ট আর সমস্ত মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়ে কিছুক্ষণ থমকে আছি।

আমার প্রিয় মানুষজন কেউ কেউ নানাভাবে অসুস্থ, শারীরিক মানসিক সবভাবেই। তাই ইদাইং মৃত্যু চিন্তা আমায় খুব ভাবায়। কোনো কাব্যিক কথাবার্তা না, আসলেই সত্য ভাবায়।

আমরা সবাই নানাবিধ কাজে ব্যস্ত থাকি, তবুও ঐ যে বললেন আপনার পোষ্টে যে - আমরা তবুও নানা কারণে যাবতীয় দুঃখকে ভুলে থাকতেই ব্লগে আসি। সবার লেখা পড়ি, কিছু কিছু মন্তব্য করি।

আবার সোনাবীজ ভাইয়া যেমন বললেন, আমাদের সকলেরই ব্লগীয় বয়স অনেক এখন, (আমার অনেকটা কম, আপ্নারা সকলেই আমার শ্রদ্ধেয় প্রবীণ) ব্লগার। তবুও, অনুভব করি, আমাদের মধ্যে, ব্লগারদের মধ্যে এই ব্লগের পোষ্ট ধরেই, মন্তব্য ধরেই তৈরি হয়েছে সম্পর্ক। কেউ একজন কোনো গল্প, কবিতা, অথবা ফিচার পোষ্ট লিখলেও যেন সেসব লেখার কোনো না কোনো শব্দ ধরে ঠিক বুঝে নিতে পারি কোথায় এর ব্যথা।


আপনার এই পোষ্টের নিবেদন অযাচিত নয়। বরং তীব্র যাতনার।
সে যাতনা বুঝুক সবাই --

২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক,



তবুও ভালো যে, দেরী হলেও এখানে একেবারেই অনুপস্থিত থাকেন নি।
আসলে দিনশেষে মানুষ মাত্রেই একলা পথিক। সেই একাকীত্ব থেকে মুক্তি পেতেই মনে হয় মানুষ "মানষ চর্চার" বিবিধ কৌশল আবিষ্কার করেছে কালে কালে, যেটাকে আমরা মোটা দাগে "বিনোদন" বলি। যেমন বই পড়া, ছবি আঁকা, গান শোনা, সিনেমা দেখা, তাসের আড্ডায় বসে যাওয়া, ক্লাবে চায়ের কাপে ঝড় তোলা এমনকি লেখালিখিও। ব্লগও তেমন একটি কৌশলের জায়গা মাত্র। এখানে আমরা নিজেদের বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরি, নিজের ধারনাকে মেলে দিই। তাই কেউ ছবি ব্লগ , কেউবা গল্প-কবিতা , কেউ বা ফিচার/প্রবন্ধ ইত্যাকার অনেক বিষয় ভিত্তিক সুষমা নিয়ে হাজির হই। আর তাতেই গড়ে ওঠে একটা অলিখিত বন্ধন।
এই বন্ধনটা যাতে অল্প টোকাতেই ঝরে না যায়, তাতে তিক্ততা না মেশে, মনঃকষ্টের কারন না হয় সেটা বোঝাতেই এই লেখা ।
ধন্যবাদ অনিক এখানে আসার জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.