![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে ভোট কেনা যায় এবং জালিয়াতি করা যায়। দরিদ্র লোকেরা নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে না, এবং কেবল ধনীরাই নির্বাচিত হন।বংশগত উত্তরসূরি দ্বারা গঠিত দলগুলি কোনও প্রকারের গণতন্ত্রের আওতায় পড়ে না। সংসদ সদস্যরা জনগণকে নয় বরং নিজ নিজ দলকে প্রতিনিধিত্ব করেন।
বঙ্গবন্ধু বলেন “,...আপনি চাকরি করেন, আপনার মায়না দেয় ওই গরিব কৃষক, আপনার মায়না দেয় ওই জমির শ্রমিক, আপনার সংসার চলে ওই টাকায়, আমি গাড়ি চলি ওই টাকায়....ওদের সম্মান করে কথা বলেন, ওদের ইজ্জত করে কথা বলেন। ওরাই মালিক।
ডেইলি ষ্টার জানিয়েছে, বাংলাদেশের ধনীর সংখ্যা বিশ্বে যে কোনও জায়গার চেয়ে দ্রুত বাড়ছে।দেশে এখন ১০ লাখ ৬৯ হাজার ২৬৪ জন ভূমিহীন এবং ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩৪ জন গৃহহীন মানুষ রয়েছে। এ তথ্য স্বয়ং ভূমিমন্ত্রী জানিয়েছেন ২০১৮ সালে। দেশের রংপুর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের কথা ভুলে যাবেন না। কুড়িগ্রাম দেশের জেলাগুলির মধ্যে দারিদ্র্যের তালিকায় সর্বোচ্চ স্থান অর্জন করেছে। সেখানে ৭০% মানুষ বছরের পর বছর দারিদ্র সীমার নিচে বাস করছে।
দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ কোটি ৫৫ লাখ মানুষ এখনও দরিদ্র। যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। এছাড়া মোট জনসংখ্যার ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ বা ৫ কোটি এক লাখ মানুষ মধ্যবিত্ত শ্রেণির। আর ৪৪ লাখ বা মোট জনসংখ্যার ২ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ ধনী। ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের ‘বাংলাদেশে কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কারের রাজনৈতিক অর্থনীতি’ শীর্ষক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে
ভাসানটেক বস্তিতে ধ্বংসস্তুপের উপর বসে আছেন এক নারী। জাতীয় আবাসন কর্তৃপক্ষ বুলডোজার দিয়ে ২০১৯ সালে এই বস্তি ধ্বংস করে।নিচে ছবি
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও জনসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্লটগুলো দেওয়ার কথা থাকলেও এ ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্য ও রাজনৈতিক বিবেচনাই প্রাধান্য পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ঢাকায় বাড়ি, প্লট ও ফ্ল্যাট আছে; এমন সাংসদও রয়েছেন যাঁরা বিশেষ কোটায় রাজউকের প্লট পেয়েছেন। রাজউকের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেবল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করেছেন।বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা পদক পাওয়া একজন সাঁতারু, একুশে পদক পাওয়া একজন কবি আছেন। যাঁরা এই কোটায় প্লট বরাদ্দ পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। কিন্তু অনিয়ম ভোগান্তির ভূরি ভূরি অভিযোগ যে রাজউকের নামে সেই সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান দুজন চেয়ারম্যানও প্লট নিয়েছেন জনসেবার মান বাড়ানোর কথা বলে। ডেপুটেশনে থাকা রাজউকের কর্মকর্তাও প্লট নিয়েছেন বিশেষ কোটায়।প্লট পাওয়া ২৮৫ জনের ২৪০ জনই প্লট পেয়েছেন ২০১৮ সালে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে। এর মধ্যে ওই বছরের ৫ম বোর্ড (৫/২০১৮) সভায় বরাদ্দ পেয়েছেন ৯৯ জন সাংসদ, তাঁদের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ আছেন ৩৬ জন। তাঁদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের সাংসদ। বাকিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় পার্টি (জেপি), ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও তরীকত ফেডারেশনের সাংসদ রয়েছেন। ২০১৪ সালে ঢাকা–১৭ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া বিএনএফের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদও প্লট পেয়েছেন।জাতীয় পার্টির রাজনীতিকদের মধ্যে ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনিও পূর্বাচলে সাড়ে ৭ কাঠার একটি প্লট নিয়েছেন। তাঁর নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, স্ত্রীর নামেই ২০টি ফ্ল্যাট আছে।পূর্বাচলে ক্ষতিগ্রস্ত বা মূল আদিবাসী শ্রেণিতে (এখনো যাঁরা বরাদ্দ পাননি) প্লটের জন্য মোট ৩ হাজার ৫৫৪টি আবেদন জমা পড়েছিল। যাচাই শেষে ১ হাজার ৪৫৩টি আবেদন যথাযথ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু বাস্তবে পূর্বাচলে এখন আর বরাদ্দ দেওয়ার মতো এত প্লট নেই।
এখন প্রশ্ন হলো সংসদ সদস্য ও সামরিক কর্মকর্তাদের সবাইকে ঢাকা শহরেে প্লট দিতে হবে কেন? এই বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা অবিলম্বে বাতিল করা হোক এই কথা গুলা কেন সাধারন মানুষ প্রতিবাদ করছে নাহ। এক সময় মাথা না উঠালে সব খেয়ে নিবে এই সব বর্বর কাঙ্গাল গুলা।সমাজ যে শোষিত ও শাসক শ্রেণিতে বিভক্ত হচ্ছে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।৭৫ সালে মহান নেতা কে হত্যা করা হলো এই মর্মে তার চেয়ে ভালো শাসক সহ শাসন পাব বলে। এটাই কি তার নমুনা ? একদিন একটা গান শুনতে পেলাম কোভিড এর আগে শিক্ষার আলো নাকি ঘরে ঘরে জ্বলবে কিন্তু আমাদের ঘর নাই সে কথা কে বলবে।
সংসদ সদস্য এমন কী জনহীনকর কাজ করেন যার কারনে ঢাকার মত জায়গায় তাদের একটা প্লট সম্প্রদান কারকে দান করতে হবে!! দুনিয়ার উন্নত কোন দেশে সংসদ সদস্যরা জনগনের ট্যাক্সের টাকায় উন্নয়ন করা জমি পান!!!
বাংলাদেশে সংসদ সদস্য হওয়া একটা "পেশা"। ফ্রি ট্যাক্সে গাড়ি, বাড়ি, জমি, ড্রাইভার, চাকর!! জনগনের সেবার নাম করে এই পেশায় একবার সুযোগ পেলেই আংগুল ফুলে কলা গাছ!!!! এটাই কি আমরা দেখতে চেয়েছিলাম।
বাংলাদেশে একটা চরম অসাধারন ব্যাপার হলো রক্ত দেয় সাধারনেরা আর সকল সুবিধা ভোগ করে এই ভদ্রতার খোলসে থাক অসভ্যরা।
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৪৬
গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য এর জন্য.............।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।