![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক কথায় রাশিয়া।
বর্তমান বিশ্বে সামরিক যুদ্ধ থেকেও বড় যুদ্ধ অর্থনৈতিক যুদ্ধ। যদি এ দিক থেকে হিসেব করি তাহলে রাশিয়ার অবস্থা হলো - "নিজে মরলে সবগুলোকে নিয়ে মরবো" এই টাইপের।একটা বিষয় খেয়াল করুন। রাশিয়া বনাম ইউক্রেন সংকট চললেও বাস্তবতা হলো রাশিয়া বনাম ন্যাটো ওরফে আমেরিকা।ভূরাজনৈতিক খেলা যদি খেলতে হয়, সেক্ষেত্রে খেলার ম্যারাডোনা হলেন ভ্লাদিমি পুতিন। কথা কম কাজে বিশ্বাসী তিনি। যার প্রমাণ এখন দিয়ে যাচ্ছেন।আমেরিকা ধরেই নিয়েছিলো ন্যাটো আর রাশিয়ার সাথে বড় ধরণের সামরিক সংঘর্ষ হবে। সব ধরণের আয়োজন ও করে ফেলেছিলো তারা। কিন্তু পুতিনের একের পর এক কৌশলগত ভেল্কির পর আমেরিকা কি করে তা দেখার বিষয়
১. জার্মানি
ন্যাটোর পক্ষে জার্মানির অনাগ্রহ। ইউরোপের ৪০ শতাংশ গ্যাসের সাপ্লাই যায় রাশিয়া থেকে৷ আমেরিকা যদি রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বড় ধরণের সংকটে পড়বে জার্মানি৷ রাশিয়া থেকে আগত গ্যাস লাইন জার্মানির অর্থনীতির ধমনী স্বরুপ। তাই জার্মানি চাইছে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধান করতে। অর্থাৎ ন্যাটো শিবিরে জার্মানির খেলা অনিশ্চিত।
২.ফ্রান্স
ইমানুয়েল মাখোঁ র সামনে নির্বাচন। তিনি এখন চাইবেন নিজেকে শান্তিপ্রিয় নেতা হিসেবে মেলে ধরতে। জনপ্রিয়তা বাড়াতে। যার প্রমাণ মাঁখো পুতিন ফোনালাপ। অর্থাৎ ফ্রান্স ও ছিটকে গেলো ন্যাটো শিবির থেকে।
৩.তুরস্ক
এটা পুতিনের নতুন চমক। তিনি হলেন এরদোয়ান। অলরাউন্ডার! ইনি ন্যাটোতে আছেন, ইউরেশিয়া প্রকল্পে আছেন, চীনের সাথেও আছেন৷ এখন এসে গেছেন শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে৷ অর্থাৎ তুরস্ক কে পাশে পাচ্ছে রাশিয়া।
ইরানকেও অবহেলা করার কারণ নেই৷ কথায় বলে "শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু "। অর্থাৎ রাশিয়ার পক্ষ নিতে ইরানের বিন্দুমাত্র ভাবার প্রয়োজন নাই।আর চীন সে তো রাশিয়ার আপন ভাই বলা চলে৷তো ফ্রান্স , জার্মানি ছাড়া ন্যাটোকে ঢাল তরবারি ছাড়া নিধিরাম সর্দার বলাই যায়!! শুধুমাত্র বৃটেন একা কি করবে আমেরিকার সাথে??তাই আমার মনে হয় সামরিক, ভূরাজনৈতিক কৌশলের দিক থেকে পুতিন অনেক অনেক এগিয়ে৷ যদিও যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।
©somewhere in net ltd.