নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

???? নিজের সম্পর্কে কিছু বলা বা লিখা পৃথিবীর সব কঠিন কাজগুলোর একটি।

গাজী বুরহান

যাচ্ছ কোথায়? মামু বাড়ি যাচ্ছি। সঙ্গে নিবে আমায়? তোমায় সঙ্গে নিলে আমার রোমান্টিসিজমের বারোটা বাজবে। আমায় কি করতে হবে? হাতে হাত ধরবে? তোমায় পেতে হাত কেনো অগ্নেয়গিরিতে ঝাঁপ মারতে আমি রাজি। তবে চল...

গাজী বুরহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাগলের প্রলাপ

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

নর্দমা কিংবা পুস্কুরি কিংবা কোন খালে (যেথায় হাটু পর্যন্ত ডুবে) দাঁড়িয়ে আমি বৃষ্টি ছুঁব। বৃষ্টিতে ভিজে দাঁড়কাকের মত জবুতবু হব। কোন এক জোতস্নায় একাকী গভীর রাত্রে বাড়ি থেকে বের হয়ে কোন এক বট-বৃক্ষের মগডালে ওঠে জোতস্নায় ডুব দিব। জীন-পরীরা দেখলে পরে এক তাপ্পড়ে মগ-ডাল থেকে মাঠিতে ফেলে দিবে। তবে কোন এক অদ্ভুত কারণে আমি বেচে যাব। তারপর নিজেকে অবাক করে দিয়ে জীনদের সাথে সখ্য গড়ে তুলব। ধীরেধীরে মনুষ্যশক্তি হারিয়ে মানুষের বিরুদ্ধে অপরাজিত হব। আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেবে গ্রামের মুড়লেরা। বিচার বসবে, আমাকে বলা হবে তুমি চলে যাও জনপদ থেকে দূরে নির্জন কোন জংগলে। আমার না বাচক ইশারাতে হুজুর ডাকা হবে। বলে দেয়া হবে ওকে শিশায় পুরে পুতে ফেল মাঠিতে। আমি তাদের ভাব-সাব দেখে লম্বা একটা সালাম দিয়ে বের হব কোন অজানা গন্তব্যে। সেখানেও ঠাই নেই
আমার। আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে শহরের কোন এক হসপিটালে। ডাক্তারকে বলা হবে 'ওর ব্রেইন স্কেন করুন'। ডাক্তার সাহেব আমাকে পিঠ-মুড় করে বেধে বড় এক যন্ত্রের ভিতর ডুকিয়ে দেবে।পরে রিপোর্ট দেখে ডাক্তারবাবু চমকে উঠবেন। আমায় কাছে টেনে নিয়ে বলবেন, তুমি কি হাসতে
পারো? আমার ডাগরডাগর চোখ দুটি দেখে ডাক্তারবাবু ধরে নিবেন 'হাসি' শব্দটা মনে হয় আমি নতুন শুনেছি। ডাক্তারবাবু
সন্দেহযুক্ত হয়ে অপরাপর আমাকে বলবেন, তুমি কাঁদতে জানো? ভালোবাসার অনুভূতি কি তোমার মাঝে আছে?
উত্তর না পেয়ে আমার অসারল্য চেহারাখানি দেখে বলবেন, চা খাবে? চা দেই? এই বলে তিনি চলে যাবেন আমাকে যে লোকটি এখানে নিয়ে এসেছেন, তার কাছে। আমার কাগজপত্র নাড়াচাড়া করবেন আর ভিড়ভিড় করে বলবেন কি অদ্ভুত!! কি অদ্ভুত!!! পরেরদিন মেডিক্যাল টিম বসে আমার পেপার নিয়ে রিসার্চ করে শেষে জানিয়ে দিবে এই লোকটি পাগল!! তারা
আরো জানিয়ে দিবে যে, এর মস্তিষ্কের মৃত কোষ হঠাত জীবিত হয়ে অন্য জীবিত কোষদের সাথে যুদ্ধ করে সবাই ধ্বংস হয়ে
গেছে।এখন তার মস্তিষ্কের জায়গা জুড়ে বিরাজ করতেছে চালের গুঁড়োর মত কিছু একটা। যাহা বৃষ্টিতে ভিজলে পরে ব্রেইনের মত করে কিছু কাজ করে, তবে তাহাঁ ক্ষণস্থায়ী।
নতুন বাসস্থান তৈরী করব কোন এক বট-বৃক্ষের ছায়ায়। বন্ধুরা সব এই রাস্তা ধরে যাবে তাদের কর্মক্ষেত্রে। পথিমধ্যে আমাকে দেখে পাশে বসে বলবে, কিছু খাবি? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অদ্ভুত এক নৈঃশব্দ্য বিরাজ করবে, তারাও বোঝে নিবে আমার ক্ষিদে পেয়েছে। একজন বলে উঠবে "ঠিক আছে তোমাকে আমরা খানি দিব কিন্তু তার আগে তোমাকে বলতে হবে, কাজী নজরূল ইসলাম কে কেন কারাগারে বন্ধি রাখা হল? ইত্যাদি ইত্যাদি....প্রশ্নউত্তর পর্বের শেষে খানি নিয়ে আসবে। আমি খাব, তারা মজা নিয়ে চলে যাবে। এভাবে দিনাবসান শেষে আমিও ডুব দিব রাতের গভীরতায়। নিস্তব্ধ রজনী পার করে শুরু করব সেই নিয়মে সকাল, দূপুর। শেষ করব সন্ধা। তারপর কোন এক সকালে হারিয়ে যাবো অজানায়। হয়ত আমি থাকব কিন্তু কোন লোক থাকবেনা আমাকে "আখেরি বিদায় স্টোর" এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে। আমি এখন পূনর্জন্মে বিশ্বাস করি।বিশ্বাস করি জীববিবর্তনে। পূনর্জন্মে আমি কাক-তাড়ুয়া হয়ে জন্ম নিব সুরমা-কুশিয়ারার চর জুড়ে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.