নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘামা রশ্নি

ঘামা রশ্নি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোবাইলের ব্যবহার

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

মোবাইল ব্যবহার সম্পর্কে জিয়ার কালেক্ট কৃত কিছু তথ্য!!!

১) বিজ্ঞানীদের মতে, একটি পরমানবিক চুল্লির যে বিপদ তার থেকে মোটেও কম নয় এই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড এর ক্ষতি । যাদের করোটি যত পাতলা , তাদের মোবাইল এফেক্ট তত বেশি । ব্রেন টিউমার থেকে শুরু করে নার্ভাস সিস্টেম ব্রেকডাউন , হার্ট অ্যাটাক সব কিছুরই সম্ভবনা বেড়ে চলেছে।

২) মোবাইল ফোন ব্যবহার এর ফলে আমাদের মস্তিস্কের একটা অংশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে । তার ফলে মস্তিষ্কের টিস্যু গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয় । মগজেও থাকে তার প্রতিক্রিয়া ।

৩) ঝড়ের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সমূহ বিপদ দেখা যেতে পারে ।

৪) বুক পকেটে মোবাইল রাখলে হার্টের সমস্যা হবার সম্ভবনা বেশি থাকে ।

৫) ইয়ার ফোন ব্যবহার না করে, কানের গোড়ায় রেখে মোবাইল এ বেশি কথা বললে কানে কম শোনা এমনকি বধিরতার আশঙ্কা পর্যন্ত থাকতে পারে ।

৬) বন্ধ্যাত্ব বাড়ছে । অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে মুখে ক্যানসার বা মেলিগনানট টিউমার এর ঝুঁকি বাড়ে ।

৭) শিশুদের মস্তিস্কের কোষ নরম বলে তাদের মারত্মক ক্ষতি হচ্ছে । বিজ্ঞানী হাইল্যান্ড দেখিয়েছেন, তড়িৎ চুম্বকীয় দূষণের কারনেই শিশুরা এপিলেপসি ও অ্যাজমায় ভুগছে।

৮) লেফ সেলফড তথ্য- প্রমানের ভিত্তিতে সুদৃঢ় হয়ে যথেষ্ট জোরের সঙ্গে বলেছেন, সেলফোন এর প্রতিটা কল আমাদের মস্তিস্কের ক্ষতি করে । এমন কি প্যাসিভ স্মকারদের মত যে লোকটা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না কিন্তু মোবাইল ব্যবহারকারির কাছে রয়েছে সেও ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে । ফ্রান্সে সান্তিনি আর সুইডেন এ সানডস্তরম আর মাইলড এর সমীক্ষার ফলাফল লেফ সেলফড এর বক্তব্য কে আরও সুদৃঢ় করে তোলে । এঁদের সমীক্ষা অনুযায়ী, সেলফোন ব্যবহারকারি, ২৫% পর্যন্ত বিভিন্ন স্নায়বিক সমস্যায় ভুগছেন । । যেমন, মাথাঘোরা , ক্লান্তি , স্মৃতি শক্তি হ্রাস , মাথা ঝিম ঝিম করা, ক্লান্তি প্রভৃতি ।

(এই বিপদ্‌ থেকে রক্ষা পেতে জিয়ার নির্দেশিত নিম্মের কথা গুলা গুলা মেনে চলুন)

১) মোবাইল ফোন এর স্পিকার অন করে কথা বলার চেষ্টা করুন যাতে আপনার মাথা মোবাইল থেকে দূরে থাকে । যদিও এটাও ক্ষতিকর কিন্তু ঠিক ততটা নয় মাথার সামনে মোবাইল ধরলে যতটা ক্ষতি হবার সম্ভবনা থাকে তার থেকে অনেক কম ।

২) সম্ভব হলে earbuds ইউজ করুন । এগুলো মুলত আপনার মাথাকে মোবাইল থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে ।

৩) মোবাইলটাকে সারাদিন অন করে রেখে আপনার দেহের সাথে সংযুক্ত থাকতে দেবেন না । অথবা যদিও রাখেন তাহলে দেখবেন যেন মোবাইল এর অ্যান্টেনা কোনোভাবেই আপনার দিকে না থাকে ( সাধারনত মোবাইল এর পেছনে থাকে) ।

৪) গাড়ি, ট্রেন, অথবা প্লেন এ মোবাইল এর ব্যবহার যতটা সম্ভব কম রাখুন । মোবাইল ফোন লোহা নির্মিত জায়গায় বেশি পাওয়ার ইউজ করে আর অনেক বেশি radiation ও ছড়ায় । এছারা গাড়ি বা ট্রেন এ মোবাইল ব্যবহার করলে অ্যাকসিডেনট হবারও ভয় থাকে।

৫) যখন আপনি ঘরে থাকবেন তখন মোবাইল এর পরিবর্তে ল্যান্ডলাইন ব্যবহারের চেষ্টা করুন । মনে রাখবেন কর্ডলেস ল্যান্ড ফোন গুলি কিন্তু মোবাইল থেকে কম radiation ছড়ায় না । তাই কর্ড যুক্ত ল্যান্ড ফোন ব্যবহার করুন ।

৬) এমন একটা ফোন ব্যবহার করুন যেটা কম radiation ছড়ায় । বর্তমানে মোবাইল ফোন কোম্পানি গুলো স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হয়েছে, এবং তারা এমন ধরনের মোবাইল তৈরির চেষ্টা করছে যেগুলো কম radiation ছড়ায় । এখনো পর্যন্ত তৈরি মোবাইল গুলোর মধ্যে সবথেকে কম radiation ছড়ায় LG Quantum মোবাইলটা ।

৭) ভিটামিন C আর E সমৃদ্ধ খাবার খান যেগুলো আপনার দেহের কোষগুলোকে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে । লঙ্কা , পেয়ারা, পেঁপে, কমলা লেবু, Strawberries প্রভৃতি খান এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C আছে আর লাল লঙ্কা পাওডার, পাইন বাদাম, রান্না করা শাক প্রভৃতি খান এতে ভিটামিন E আছে ।

৮) রাত্রে যখন শোবেন তখন মোবাইল নিয়ে শোবেন না কারন রাত্রে মোবাইল আপনার দেহের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে সংযুক্ত থাকে বলে আপনার দেহে এর প্রভাব অনেক বেশী পরতে পারে ।

৯) মোবাইল এর সিগন্যাল লক্ষ্য করুন । যখন কম থাকে তখন মোবাইল আরও বেশী radiation ছড়ায় তাই আগে সিগন্যাল পুরো আসতে দিন তারপর নাহয় ফোন করবেন ।

১০) মোবাইল এ কথা বলার থেকে ম্যাসেজে কথা বলুন, এতে অন্তত মোবাইলটা আপনার মাথার কাছ থেকে দূরে থাকবে ফলে ক্ষতি হবার সম্ভবনা কিছুটা হলেও কমবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.