![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ: ১। আমার সন্তান যেন থাকে দুধ ভাতে (২০১২)। ২। চারিদিকে জীবনে সমুদ্র সফেন (২০১২)। ৩। ভালোবাসার পদাবলী (২০১২)। ৪। বোধের গহীন জলে (২০১২)। ৫। রাজনৈতিক কবিতা (২০১২)। ৬। জেসিকা (২০১২)। ৭। জেসিকার ভালোবাসা ও মধ্যবিত্তের ম্বরূপ (২০১২)।
সেইসব পুরুষের, মানবীর ভালোবাসা//
...নুড়ি, খড়, খোলস পড়ে আছে পথে, স্মৃতির ব্যঞ্জনার রেণুগুলো থরথর কাঁপে শীতের প্রকোপে,
তোমাকে মনে হয় আজ, সেই সরষে ক্ষেতের আল, আলের ঘাস, ঘাসফুল, শিশির, ইঁদুরের নীড়
তোমার আমার ভালোবাসার ভীড়, ভীরুতা, আর প্রথম স্পর্শের অনুভব,
দিনগুলো চলে গেছে, হৃদয়ে জমে আছে চেতনা, দ্যেতনা আর বেদনার ভাড়,
তুমি এসে জানি আর ভালোবাসিবে না__যে সময় চলে গেছে, তা আর ফিরে না, ফিরে না আর
সেই অনুভব আর স্পর্শ নিয়ে, আমি শহরের মধ্যকলোনীতে হাওয়ার ঘুড়ি বানিয়ে নিত্য ওড়াই,
যদি পাই ভালোবাসার দুফোটা শিশির, কোথায় সে ভালোবাসা, ভালোবাাসর
ফুল, আমি তবু ভুল করে তোমার হাতে রাখি হাত, হাতদুটো শূন্যে মেলে ।
হাত নেই, হাতের স্পর্শ নেই, সেই ফুলের ঘ্রাণ, সময়ের সেই উর্বর অনুভব গুলো নেই, কেমন
নিস্তরঙ্গ পড়ে থাকি, শীতসকালের আলো এসে চুমো দিতে যায় আমার মুখ, কপোলো টোলটা
সেই আলোর অনুভব পেয়ে আস্বাদে ভরাতে চায় মন, পেলবপাখা মেলে
আবার শূন্যে উড়ে হাওয়ায় হাওয়ায় পৃথিবীর প্রান্তর পাড়ি দিতে চায়,
অথচ সে সময় গেছে, তা আর ফিরে না কভূ, তবু আমরা চেতনায় ধারণ করি সেই সময় ;
সেইসব পুরুষের, মানবীর ভালোবাাসা__ রক্ত, ঘ্রাণ, সংগ্রাম বোধের ভিতর লালন করি, ঋদ্ধ ...
০১.০১.২০১
অরণ্যের নির্জন পথে, //
// শাফিক আফতাব //
...মাটির ফলা থেকে ক্রমাগত বের হচ্ছে ধ্বনির ব্যঞ্জনা, সুঘ্রাণ, আর সংগ্রামের বলিষ্ট হাতের তালি,
আমি নিশীথে, অরণ্য পথে যেতে যেতে শুনি তার তাল, ধানের চাতালে কৃষাণী এক ধান নেড়ে দিয়েছে, ওদিকে
ঘড়ঘড় হুঁকো টানছে গেঁয়ো কৃষক, মালকোচায় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আদিম লাঙরের ছাপ ;
আমি কান পেতে ধরি হাওয়ার কানে, অবিকল পুরুষগণ, মহিলাগণ মাঠে, চাতালে খাঁটছে,...
এইসব পুরুষ তো কবেই মরে ভূত হয়েছিলো, কবেই জীবনের সব দায় চুকে বিদায় নিয়েছে হৃদয়ের খেলা শেষে
তবে পুনর্বার আচমকা জাগে, অরণ্যের ক্রন্দনে, বর্ষার বর্ষণে, রাত নিশিতে কেনো এরা ঘুরেফিরে আবার ফিরে
আসে আমাদের চেতনায়, কেনো ঘড়ঘড় হুঁকো, টানে, কৃষাণী চাতাল শুকোয় ধান, কেনো তাদের সংগ্রামে
হাত গুলি আমাদের পথ চলতে বলে রাত্রির কড়া রোদে।..
আমি অরণ্যপথে এগুতে থাকি, অজস্র মানুষের মিছিল আমাকে ঘিরে ধরে, অজস্র মানুষ আমাকে দেশের কথা বলে,
আমি কী থেকে কী বলি, মুখে কোনো কথা সরে না আমার। অজস্র জিজ্ঞাসু মানুষের প্রশ্নগুলো দুবোর্ধ্য মনে হয় আমার,
তারা তেভাগা আন্দোলনের কথা বলে, ইলামিত্র আর প্রীতিলতার কথা, তিতুমীর আর সূর্যসেনের কথা বলে,
তারা মনে করে দেয়, হাজার বছর তারা সংগ্রামে আর ঘামে যে দেশ আর ভাষা গড়ে গেলো, তা কি বহাল তবিয়তে
অাছে ? আমাদের রাজা উজির নাজির কী ঠিক ঠিক চলছেন, আমাদের মৌলিক আর বাক স্বাধীনতা কি ক্ষুণ্ন হয়েছে ?
আমার মুখে কোনো উত্তর এলোনা, আমি শত শত মানুষের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকলাম, ঘটাং শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো.....
০১.০১.২০১
পিতাদের পাঁজর //
// শাফিক আফতাব........
শায়েস্ত খানের আমল আর নেই, চালের মূল্য উর্ধ্বগতি : বাড়ির ঝোঁপঝাঁড় কেটে
চাষযোগ্য ভূমি বানাতে কোদাল ধরেছি হাতে, কেটে চলেছি, ,কোদাল, লাঙলের ফলায় আসে,
ইটসুরকি, মার্বেল,পুরোনো কুঁটো, তেনা, আর কাঁচামাটির সোঁদাগন্ধ, সাথে হাড়, বক্ষের ঝাকলা,
ভয়ে পেয়ে কোদাল থামাই,__কোদালের হাতল ছাড়তেই এক বিকল চিৎকারে কানে তালা
লাগে, আহা, আমি হাড় থেকে উত্তাপ পাই __ গরম ভাঁপ বেরিয়ে আসে, আমি কম্পিত হই,
ভাবি এই সমাধীগুলোা খুঁড়ে আমার ধান চাষাবাদের কাজ নেই। পিতাদের পাঁজর খুঁড়ে চাষাবাদ !
অসম্মান হবেনা না-কি তাঁরা, সেই সব পিতাদের শুশ্রূষায় আমরা বাড়িনি কি ফুলের মতোন ?
বাড়ি ফিরে মাকে বলি, আমি পারবোনা মা, এই কবরস্থান গুলো খুঁড়ে চাষযোগ্য ভূমি বানাতে,
আমাদের ধান চাষের কাজ নেই, আমরা না খেয়ে থাকবো, অন্য কাজ করবো,
মা বলেন : দুর বোকা, একটি কবরের উপর সত্তরটি কবর হবে, তবেই তো পৃথিবী ধ্বংস হবে,
সে কথা ভাবলে মানুষ কি বাঁচবে ? সেই হাড়, পাঁজর, নাভি, ভূড়ি, সব গলে পচেই
তো মাটি উর্বর হয়, আমি মাকে বলি, তাহলে মানুষের বোধ চেতনা, জ্ঞান, শিল্প __ সেগুলো
মাটির সাথে গলেনা ? মেশেনা ? তিনি বলেন, পিতৃপুরুষের শ্বাস প্রশ্বাস, জ্ঞান, বোধ, সবে পচে
মাটি আরও উর্বর হয়, আর মানুষরা সেই মাটির ফসল খেয়ে হয় মেধাবী, জ্ঞানী ধ্যানি...
০১.০১.২০১
সময়ের ঘাত
___ শাফিক আফতাব
....এক সময় তুমি এমনিতেই মনে হতে, অনিবার্য তুমি ছিলে,
অপরিহার্য নিত্যদিনের বাজার, তোমার ভাবনায় প্রতিদিন ভোর হতো,
তোমার ভাবনায় ঘুম হতো, চাঁদের বুড়ির গল্প না হলে
সেদিন ঘুম হতোনা, রক্তের ভাঁজে ভাঁজে তোমার স্পন্দন, হৃদয়ের দেরাজে তোমার কম্পন,
সবর্দা তুমি ছিলে নিত্য দিনের পাঠ, অথচ
আজ কেমন সয়ে গেছে, তোমাকে ইচ্ছে করে ভুলে থাকি,
তোমার ভাবনা আজ বোনাসের অর্থের মতোন মনে হয়,
তোমার ভাবনা আজ মনে হয় একটা অতিরিক্ত ঝঞ্ঝাট, বাজে এক অনুষঙ্গ,
একদিন সময় তোমাকে নিবিড় করে দিয়েছিলো, ভালোবাসার খই ফুটতো আঙিনায়,
শিশিরভেজা গোলাপ বৃত্তি মেলতো তোমার ভালোবাসার স্পর্শে, তোমার অন্তর্গত সৌন্দর্য
সুবাসের জলে টগবগ করে উঠতো, তুমি অনুগামী হতে, আর অমনি ধমনি, শিরায়
অন্তগুঢ় স্রোতে বইতো প্রেমের বহতা নদী,
এখন তোমাকে মনে থাকেনা, জীবিকার জন্য যন্ত্র হয়েছি নিজে,
কী হয় শিশিরস্নাত গোলাপের জলে ভিজে ?....
০১.০১.২০১৪
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
গেন্দু মিয়া বলেছেন: মামুন রশিদ আপনাকেও হ্যাপি নিউ ইয়ার । ভালো থাকবেন।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভ নববর্ষ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
গেন্দু মিয়া বলেছেন: শুভ নববর্ষ। দোয়া করবেন, কান ধরে যে তওবা করেছি, তা যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে পারি।
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: হ্যাপি নিউ ইয়ার কবিসাব।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
গেন্দু মিয়া বলেছেন: কবিরা সাব হয়, জানতাম না, তারা ব্যর্থ প্রেমিক, পাগল, ধন্যবাদ
আপনাকেও শুভ ইংরেজি নববর্ষ।
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪২
এহসান সাবির বলেছেন: আরে......
চমৎকার পোস্ট।
আর ১ম কবিতা পড়ে মনে হলো জীবন বাবু কোথা থেকে এলো.....!! ভালোলাগা রইলো।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
গেন্দু মিয়া বলেছেন: ব্লগার বন্ধুদের দাবির মুখে এই কাজ করেছি
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অসাধারণ পোস্ট।
প্রতিটি কবিতাই অনন্য সুন্দর।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
গেন্দু মিয়া বলেছেন: শু ভ কাম না করি
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: আপনি আছেন কি করে কবি, কবিতা না লেখে?
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫
গেন্দু মিয়া বলেছেন: বহুত কষ্টে আছি
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাপি নিউ ইয়ার কবি