নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোধের গহীন জলে।

প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ: ১। আমার সন্তান যেন থাকে দুধ ভাতে (২০১২)। ২। চারিদিকে জীবনে সমুদ্র সফেন (২০১২)। ৩। ভালোবাসার পদাবলী (২০১২)। ৪। বোধের গহীন জলে (২০১২)।

গেন্দু মিয়া

প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ: ১। আমার সন্তান যেন থাকে দুধ ভাতে (২০১২)। ২। চারিদিকে জীবনে সমুদ্র সফেন (২০১২)। ৩। ভালোবাসার পদাবলী (২০১২)। ৪। বোধের গহীন জলে (২০১২)। ৫। রাজনৈতিক কবিতা (২০১২)। ৬। জেসিকা (২০১২)। ৭। জেসিকার ভালোবাসা ও মধ্যবিত্তের ম্বরূপ (২০১২)।

গেন্দু মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর পৃষ্ট পুরো হলো // শাফিক আফতাব //

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০১

নমিতা সমতল ধানখেত নিয়ে কত উদ্বিগ্ন কাটাতো রাত

বর্ষার প্লাবনে ডুবে যাবে তার খেত

ফলত ধানের ডগাগুলো সে প্রতিদিন পরিচর্যা করতো

যদি অঙ্কুর ফোটে ।



বাইশটি বছর কেটে যায়

তবু নমিতার খেতে ধান নেই, নমিতা ভাবে এই তামাদি জমিতে আর

ধান জন্মিবে না।



পঁচিশ বছর পর দেখা একদিন নমিতার

দেখি, সোনালী আর পরিপুষ্ট ধানে তার ভরপুর বুক

তার কাছে কোন দেবতা হলো অবতার

তার শুকে যাওয়া ধানক্ষেতে আবার নতুন ধানে ভরপুর হলো।



গুচ্ছ গুচ্ছ ধানের গোছায় নমিতার মুখে হাসি

ধানের পুষ্টিতে নমিতার মনে ভরে থাকে প্রতিদিন

ধানের দেহ ছুঁয়ে নামে প্রেমের আবেশ

নমিতা মেলে দেয় দীর্ঘ সুঘ্রাণ কেশ

আমি নমিতার ধানক্ষেতে জলসেচন করি।



২৩.০১.২০১৪

নমিতা সমতল ধানখেত নিয়ে কত উদ্বিগ্ন কাটাতো রাত

বর্ষার প্লাবনে ডুবে যাবে তার খেত

ফলত ধানের ডগাগুলো সে প্রতিদিন পরিচর্যা করতো

যদি অঙ্কুর ফোটে ।



বাইশটি বছর কেটে যায়

তবু নমিতার খেতে ধান নেই, নমিতা ভাবে এই তামাদি জমিতে আর

ধান জন্মিবে না।



পঁচিশ বছর পর দেখা একদিন নমিতার

দেখি, সোনালী আর পরিপুষ্ট ধানে তার ভরপুর বুক

তার কাছে কোন দেবতা হলো অবতার

তার শুকে যাওয়া ধানক্ষেতে আবার নতুন ধানে ভরপুর হলো।



গুচ্ছ গুচ্ছ ধানের গোছায় নমিতার মুখে হাসি

ধানের পুষ্টিতে নমিতার মনে ভরে থাকে প্রতিদিন

ধানের দেহ ছুঁয়ে নামে প্রেমের আবেশ

নমিতা মেলে দেয় দীর্ঘ সুঘ্রাণ কেশ

আমি নমিতার ধানক্ষেতে জলসেচন করি।



২৩.০১.২০১৪









পৃথিবীর পৃষ্ট পুরো হলো

শাফিক আফতাব ....



কত কিছু বদলে গেলো, পৃথিবীর পৃষ্ট সমদ্রপৃষ্ট থেকে কয়েক ইঞ্চি পুরো হলো,

মানুষের মল, লতাপাতা, কঙ্কাল, গাছের ডাল, পুরনো ইট, বিষ্টা, অবৈধ গর্ভপাত

কনডমের খোসা, খড় কুটো, খড়ি, নারীর ব্রা, অন্তর্গত এলাকার আচ্ছাদন__সব পচে গলে

উর্বব মৃত্তিকা হলো, নদীরা মরে গেলো, নারীরা বেগানা হলো, তুমি হলে কেমন বেপরোয়া,

যে তুমি ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানতে না, সেই তুমি কী চপ চপ করে মাছের কাঁটা কুড়কুড়

করে সাবার করো, যে তুমি কত নিরীহ হাঁটতে, পথের ধূলোগুলো টের পেতোনা তোমার পদশব্দ,

অথচ তুমি এখন কেমন কাঁপিয়ে যাও রাজপথ,

তোামর দাপটে সন্ত্রস্ত থাকে চারপাশ, ওভার ব্রীজ কিংবা উড়ন্ত সেতুগুলো।



কতকিছু বদলে গেলো, যে ছেলেটি কয়েকটি দিন আগে ছিলো চতুর চোর, সাহেবের বেয়াড়া,

কিংবা জমির দালাল, কিংসা সরকারি অফিসের পিওন, যে ছিলো ক্ষুদে রাজনৈতিক নেতা,

যে ছিলো অবিকল ভোন্দল মার্কা ছাত্র__ সেই কত তুখোর মেধাবী আর অঢেল টাকার মালিক হলো,

এই যেমন, তুমি কত ভালোবাসতে আমাকে, একদিন বিহনে দহনে পুড়ে দিতে কলিজার টুকরো,

আজ তুমি কেমন সাহেবান, কত দাপটে কপাট লাগাও , কত শক্তশব্দের বাক্য গঠন করে

ছুড়েঁ মারো আমাকে। শাসাও, কাশাও। তর্জনী নির্দেশ করো, __



২৩.০১.২০১৪



তোমার গহীনে ডুবে দেখি আরও আছে অনুভবের তল

শাফিক আফতাব....



পুরোটুকু প্রবেশ করে দেখি, আরও আছে গভীরতা অনুভবের

আরও শান্তির দ্বীপ, আর আছে পুলকের পুল, আরও আছে ছন্দের তাল

সবটুকু ভালোবেসে দেখি পাঠ্যভুক্ত ভালোবাসার সিলেবাসের

এখনো এতটুুকু শেষ হয় নি। অবাধ পড়ে আছে আরও ভালোবাসার কাল।



তোমাকে সবটুকু দিয়ে দেখি, কিছু্ই দেয়নি তোমায়,

তোমার সৌন্দর্য দেখে দেখি, এখনো ঘুরিনি তোমার নিসর্গের চারপাশ

তোমার নিবিড় কাছে থেকে দেখি, এখনো যাইনি আতপ অমায়

এখনো পাইনি তোমার ভালোবাসার সবটুকু শ্বাস।



তোমার সুন্দরের নান্দনিক গঠন দেখে মনে হলো এ এক আজবসৃষ্টি

দেখতে দেখতে চোখ ঝাপছা হয়ে এলো, তবু অপলক দৃষ্টি

তবু চোখের সবটুকু ক্ষুধা দিয়ে দেখে মেটাই যত সাধ

তবু দেখে দেখে ক্রমাগত বাড়ে আমার পুলকের আস্বাদ।



তোমার গহীনে ডুবে দেখি, এটাই পৃথিবীর আশ্চর্য বিস্ময়

কেমন চৌম্বক আবেশ ! তারহীন, তোমার সাথে তবু কত অন্বয়।

২৩.০১.২০১৪

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:০২

এহসান সাবির বলেছেন: বেশ......!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.