নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো হওয়ার দলে চলো চালাই রদ-বদল

গাজী সুবন

গাজী সুবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারমানবিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

সস্তায় প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আজকাল বহু দেশেই পারমানবিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ কারন মাত্র 100 গ্রাম ইউরেনিয়াম থেকে প্রায় 27 লক্ষ কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায় ৷ অন্যদিকে এর সমপরিমাণ বিদ্যুৎ কয়লা থেকে উৎপাদন করতে হলে প্রায় 1350 মেট্রিক টন কয়লা লাগে ৷ কয়লা বা খনিজ তেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে এমনিতে কোন অসুবিধা নেই,তবে মুশকিল হলো যে, সারা পৃথিবী জুড়ে কয়লা ও খনিজ তেলের ভান্ডার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে ৷ 1972 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের "The Club of Rome"নামের একটি গবেষনা সংস্থার পক্ষ থেকে বিজ্ঞানী D.H. Meadows দেখিয়েছেন যে,সারা পৃথিবীতে বর্তমানে যে হারে কয়লা খরচ করা হচ্ছে তাতে আগামী 2300 সালের মধ্যে সব কয়লা শেষ হয়ে যাবে ৷ পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ,বাড়ছে কয়লার ব্যবহার ৷ সেক্ষেত্রে হিসাব করলে, পৃথিবীতে কয়লার আয়ু আর 150 বছরের মতো ৷ খনিজ তেলের অবস্থাতো আরও ভয়াবহ ৷ মেডোসের হিসাব মতে পেট্রোলিয়ামের আয়ু আর মাত্র 50 বছর ৷ কিন্তু মানুষতো আর কিছুদিনের মধ্যে উধাও হওয়ার সম্ভাবনা নেই ৷ তাহলে পেট্রোলিয়াম ছাড়া মানুষের কি অবস্থা হবে,বিদ্যুৎ ছাড়া মানুষ কিভাবে বাচবে? না ঘাবড়াবেন না, মানুষতো ইতিমধ্যেই বাতাস,সৌরশক্তি কাজে লাগাচ্ছে পরিমানটা আরও বাড়াতে হবে ৷ তবে পারমানবিক শক্তি থেকে যে বিপুল বিদ্যুৎ পাওয়া যায়,তেমনটি আর কোন উৎস থেকে পাওয়া যায় না ৷ এই কারনে পৃথিবীর অনেক দেশই পারমানবিক চুল্লি বসাচ্ছে এবং বসিয়েছে ৷ তবে বিপদ কিন্তু পিছু ছাড়ছে না, আমরা চের্নোবিল এবং সর্বশেষ ফুকোশিমার দিকে তাকালে তা আচ করতে পারি ৷ বাংলাদেশের রুপপুরে,ছোটখাটো একটা পারমানবিক চুল্লি আছে যেখানে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ তৈরি করা হয়, এটা মুলত পারমানবিক গবেষনা চুল্লি ৷

সর্বোপরি দেশের বিদ্যুৎ ক্ষেত্র স্বয়ংসম্পুর্ন হতে হলে পারমানবিক চুল্লি অত্যাবশ্যকিয়

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০০

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: যেসব কারনে আমাদের এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করা উচিতঃ

১. ‪#‎পারমাণবিক‬ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে তা লোকালয় থেকে অনেক দূরে হতে হবে। কিন্তু রূপপুর একটি জনবসতিপূর্ণ এলাকা। ভবিষ্যতে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে রূপপুরসহ যে পাবনায় জেলায় বসবাসকারী প্রায় ২২ লক্ষ লোকের জীবন ক্ষতির সম্মুখিন হবে সেটা সহজেই অনুমেয়।

২. ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের ফুকুশিমা-দাইচি পারমাণবিক কেন্দ্রে পরমাণু বিপর্যয়ের জন্য প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প ও সুনামিকে দায়ী করা হতো; কিন্তু ২০১২ সালের ৫ জুলাই দেশটির পার্লামেন্টারি প্যানেল এক প্রতিবেদনে জানায় যে এ বিপর্যয় মনুষ্যসৃষ্ট। এতে বলা হয় বিপর্যয়ের খবর আগে থেকেই জানা এবং এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল। দেশটির পার্লামেন্টারি প্যানেলের জন্য দেশটির তৎকালীন সরকার এবং প্রকল্প কর্মীদের অবহেলাকেই দায়ী করেছেন।
বাংলাদেশের দুর্নীতির ইতিহাস মোতাবেক, রূপপুর প্রকল্পের কাজেও ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতি হবে। যার কারনে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র যে শুরু হবার কয়েক বছরের মধ্যেই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হবে - আশা করি সে বিষয়ে যেকোন বুদ্ধিমান লোক একমত পোষণ করবেন।

৩. জাপানের ফুকুশিমা-দাইচি পারমাণবিক কেন্দ্রে বিপর্যয়ের পর ২০১১ সালের ২৯ মে জার্মানির সরকার দেশটির পরমাণু-যুগের অবসানের ঘোষণা দিয়েছে। জাপানের দুর্ঘটনার আগে জার্মানির পরিকল্পনা ছিল পরমাণু জ্বালানি নির্ভরতা বাড়ানো। কিন্তু জাপানের দুর্ঘটনার পরপরই তারা ৮টি পারমাণবিক চুল্লি বন্ধ করে দেয় এবং বাকি ৯টি ২০২২ সালের মধ্যে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।

৪. সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনবিলে ১৯৮৬ সালের ২৬ শে এপ্রিল আধুনিক কালের সবথেকে বড় আলোড়ন সৃষ্টিকারী দূর্ঘটনাটি (পারমাণবিক দুর্ঘটনা) ঘটে। এর মূল্য শুধুই টাকায় মাপা অসম্ভব। চেরনবিলের এই দূর্ঘটনায় শুধু মাত্র ক্যান্সার থেকেই প্রাণ হারান প্রায় ১২৫,০০০ মানুষ। টাকার হিসেবে এই দূর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ছিল ২০০ বিলিয়ন ডলার।

৫. পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সব সময়ই সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্য থাকে। যার কারনে উন্নত দেশগুলো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহন করে। বাংলাদেশ সরকার কি জামাত-শিবির কিংবা হিজবুত তাহরির মত জঙ্গি সংগঠনগুলোর হাত থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষা করার মত নিশ্চয়তা দিতে পারবে?

৬. বাংলাদেশ এখনো ঘূর্ণিঝড়ের মত বলে-কয়ে আসা দুর্যোগ শতভাগ সফলতার সাথে মোকাবিলা করতে পারে না। প্রতিটা দুর্যোগেই বড় অংকের মানুষ প্রান হারায়। সেখানে সরকার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হঠাৎ করে দুর্ঘটনা ঘটলে কিভাবে তার ভয়াবহ তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করবে?

৭. সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, আমরা কি বিদ্যুতের জন্য কমপক্ষে ২২ লক্ষ মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিতে রাজি আছি?? ( collected)

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২২

গাজী সুবন বলেছেন: সহমত...একটা পারমানবিক প্লান্ট একটা পারমানবিক বোমার চেয়েও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে ৷ তবে অদুর ভবিষ্যতে পেট্রোলিয়াম শেষ হয়ে গেলে এর ব্যবহার ছাড়া উপায় থাকবে না ৷ আর বাংলাদেশে তো প্রকল্পের আগেই দুর্নিতি হয়, ,তাছাড়া ছোট্ট এই দেশে পারমানবিক শক্তি বাদেই সুন্দর চলে যাওয়ার কথা অভাব দেশপ্রেম আর সততা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.