নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n-আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রঙ্গ ভরা অঙ্গনে মোর- ৫

০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:১৪


জিপিএ ৫ পাওনি ? কিংবা ফেল ? / অন্যরা যাই বলুক , তুমিই সেরা !!



ছাত্রদের আমরা একটা কথা প্রায়ই জিজ্ঞেস করি , তোমার রোল কত ?
যখন শুনি ১/২ বা ৩ , আমার মনটা খারাপ হয়ে যায় । চোখের সামনে ভেসে উঠে এক লাইভ রোবটের ছবি ।
যারা ভোরে উঠে নাকে মুখে নাস্তা গুঁজে বইয়ের বিশাল বোঝা নিয়ে ছুট লাগায় প্রাইভেট পড়তে , এর পরেই স্কুলের ক্লাশ , স্কুল থেকে ফিরে খেয়ে দেয়ে ফ্রেশ হতে না হতেই প্রাইভেট পড়াতে চলে আসছে ধর্মীয় টিচার , কারো নাচের , গানের টিচার । সন্ধ্যার পরেই অংক ইংরেজির প্রাইভেট টিচার । ঘুমানোর আগ পর্যন্ত পরের দিনের স্কুল,প্রাইভেট ,কোচিঙের পড়া রেডি করতে চলে বই খাতা নিয়ে ফাইট !
কোথায় এদের খেলাধুলা, কোথায় বিনোদন , আর কোথায় বিশ্রাম । অদুরদর্শী শিক্ষা পদ্বতি আর অভিভাবকদের গোঁয়ার্তুমি কেড়ে নিচ্ছে তাদের আনন্দময় শৈশব ।

ক্লাশে ১৫০ জন ছাত্র , সবার রোল ১ হওয়া সম্ভব নয় । একথা অভিভাবকরা বুঝতে চান না । যে সব অভিভাবক একাডেমীক জীবনে পরীক্ষার খাতায় বেশির ভাগই গোল্লা পেয়েছেন , বা পেয়েছেন টেনে টুনে ৩৩ ।
তথাকথিত ভাল ছাত্র হতে না পারার লজ্জা তাঁদের কুরে কুরে খায় । তারা নিজেরা যা হতে পারেন নি সেই ব্যর্থতা পুষিয়ে নিতে চান তাদের ছেলে মেয়ের জীবনে । এঁরা রোল ১ আর জিপিএ ৫ ছাড়া অন্য কিছু বুঝেন না, এঁদের বিলাসী চাহিদার নিচে চাপা পড়ে পিষ্ট হচ্ছে শিশুদের জীবন ।

আমি আসলে ''শিবের গীত''এর দিকে চলে যাচ্ছি ! আমি লিখতে চাইছিলাম আজ যারা জিপিএ ৫ পাবেনা তাদের নিয়ে ।
আজ এস,এস,সি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে । আমি দিব্য দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি তোমাদের উপর আজ কটু বাক্যবান বয়ে যাচ্ছে , কারো পিঠে পড়ছে দুদ্দাড় কিল । কোন বাড়ী থেকে ভেসে আসছে অষ্টম শ্রেণীতে ৩ বার ফেল করা মায়ের মরা কান্না ''হায় হায় রে ! কি অপদার্থ পোলা/মাইয়া পেটে ধরেছিলামরে , !!!!''

এই সবে তোমরা একটুও মন খারাপ করবেনা । আমাদের দেশের অমিত নামের একজনকে টেস্টে ফেল করায় পরিক্ষাই দিতে দিচ্ছিলনা শিক্ষকরা , আজ তিনি ক্যানাডা ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ভিসি । এডিসনকে পর পর তিন বার একই ক্লাসে ফেল করায় স্কুল থেকে বের করে দিয়েছিলেন শিক্ষকরা , এরকম নজীর ভুরি ভুরি ।

মহাজ্ঞানী মহাজন বা সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়ার কাজে যারা আমাদের কাছে প্রাতঃস্মরণীয় তাঁরা কেউ জীবনে ভাল ছাত্র ছিলেন না ।
পৃথিবীতে সফল মানুষের ইতিহাস এক কথায় ''ফেল্লা''দের ইতিহাস ।
যারা ভাল ছাত্র তাদের কোন ভাবেই আমি ছোট করছিনা । সমস্যা হচ্ছে ভাল ছাত্রদের জীবন নির্দিষ্ট চকে বন্দী হয়ে যায় ভাল রেজাল্টের কারনে ।

উদাহরণ স্বরূপ এইচ এস সিতে ভাল রেজাল্ট করা ছাত্রটি তখনি তার জীবনের লক্ষ্য স্থির করে ফেলছে , সে হবে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার । এর বাইরে সে কিছু ভাবছেনা । অথচ খারাপ রেজাল্ট করা ছাত্রটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য খোলা রয়েছে হাজার হাজার পথ যা ভাল ছাত্রটির নেই ।

হতাশ হওয়ার কিছুই নেই , তোমরাই এগিয়ে নেবে দেশকে , তোমাদের দিকে চেয়ে আছে বিশ্ব ।পরিশেষে অভিভাবকদের নিকট আবেদন, আপনাদের বুঝতে হবে পরীক্ষায় পাশ না করার ফলে সবচেয়ে বেশি যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকে তাহলে তা পাচ্ছে আপনার সন্তান।

আমি জানি “তুমি পারবে” বা “চেষ্টা করলেই তুমি পারো” এধরনের উৎসাহব্যঞ্জক কথা বলুন। - আপনার সন্তানকে বুঝাতে হবে যে আমরা সবাই মানুষ আর প্রত্যেকটা মানুষকেই অনেক চরাই-উৎরাই পার হয়ে সামনে বাড়তে হয়। খারাপ কিছু হলে তাই ভেঙে পরতে হয়না। - আপনার সন্তান কেন পরীক্ষা খারাপ করলো আগে সেটা বুঝার চেষ্টা করুন। - যেই কারনে পরীক্ষা খারাপ হয়েছে সে কারণগুলো যেনো পরবর্তীতে আবার না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। - কোন বিষয়ে দুর্বল থাকলে আপনার সন্তানকে সেই বিষয়ে আরও জোর দিতে সাহায্য করুন। হঠাৎ করেই প্রেশার দেয়া শুরু করবেন না, আপনার সন্তানকে আগে পড়ালেখার গুরুত্ব ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন তাহলে সে নিজেই আরও বেশি মনোযোগী হবে । - সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি আপনার সন্তানকে নিয়ে কয়েকদিন বাইরে কোথাও ঘুরে আসেন, তাকে আরেকটু বেশি সময় দেন। তাহলে তাঁর মন ফ্রেশ হবে আর আবার নতুন করে শুরু করার আগে রিফ্রেশমেন্টের দরকারও বটে।
(আজ এসএসসি'র রেজাল্ট দিয়েছে, সময়ের প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় রিপোস্ট। লিখাটি পুর্বে দৈনিক ডেস্টিনিতে প্রকাশিত)

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: যুগের সাথে তাল মিলাতে এমনটিই হচ্ছে

০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের সিস্টেমে ভুল আছে, এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা দরকার।

২| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন,




চমৎকার লিখেছেন এক উদ্বুদ্ধ করার মন্ত্র। প্রাসঙ্গিক।
আসলেই পৃথিবীর প্রায় সব সেরারাই কিন্তু স্কুল কলেজের জিপিএ ফাইভও না কিম্বা কারো রোল নম্বর ১ও ছিলোনা।

০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কিন্তু এডুকেশন সিস্টেম আর সমাজ আমাদের শিখাচ্ছে জিপিএ ফাইভও কিম্বা কারো রোল নম্বর ১ না হলে তার জীবন বৃথা!

৩| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই ।

৪| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৭

বলেছেন: অভিভাবকদের মতামত শিশুর উপর চাপিয়ে দেওয়া ভুল।

চমৎকার লিখেছেন ভাই।

০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন 'ল'।

৫| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জিপিএ ৫ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং এর অবস্থা তো দেখছিই। কাল্পনিক মোহের পেছনে ছোটা এক জাতি আমরা।

০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আসলে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্দতি মেধার পরিমাপক নয়, সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন আর্কিওপটেরিক্স।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:০৭

সুমন কর বলেছেন: সহমত। ভালো লিখেছেন।

০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন কবি সুমন কর।

৭| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: ডারউইনের 'সারভাইভাল অব দ্যা ফিটেস্ট' থিওরিকে প্রমাণ করতে চাচ্ছে পিতা-মাতারা সন্তানের উপর...।

০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গাধার মত খেটে বই মুখস্ত করা যোগ্যতার মাপকাঠি নয়।

৮| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লিটন ভাই,

ভীষণ ভালো কথা লিখেছেন। আপনার পোস্ট মানে জানতাম রম্য হবে। কিন্তু আজ নিরাশ হলাম। তবে যেটা পেলাম সেটি মাথায় করে রাখার মত। পোস্টটি লাইক ++.

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন

০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি কঠিন কিছু লিখলেও সকলে বলে রম্য।
একবার আমার এক গুরুগম্ভীর পোস্টে কে জানি মন্তব্য করেছিল 'রম্য ভাল হইছে"
পাঠোত্তোর লাইক ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জনাব পদাতিক চৌধুরি।

৯| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৫০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: পবিত্র মাহে রমজান এর শুভেচ্ছা...


পরে পড়ে মন্তব্য করছি.

০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনিও শুভেচ্ছা নিন আকতার আর হোসাইন।

১০| ০৭ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ক্লাশে ফাষ্ট হওয়ার মাঝে আনন্দ আছে!

ব্লগার হাবীর সাহেব ক্লাশে নাকি ফাষ্ট হয়েছিলেন; আমি ভেবেছিলাম যে, ক্লাশে ছাত্র ছিলো ১ জন; অবশ্য, উনি জানায়েছিলেন, একাধিক ছাত্র ছিল ক্লাশে!

০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ক্লাসে ফার্স্ট হওয়ার আনন্দটা প্রতি ক্লাসে একজনের জন্য বরাদ্ধ।
ক্লাসের সব ছাত্র ফার্স্ট হবেনা, এটা অভিভাবকদের বুঝা উচিত।

১১| ০৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জিপিএ-৫ তো এখন মুড়ি মুড়কি হয়ে গেছে। আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটাই গোঁজামিলে ভরপুর। তার ওপর শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের মূর্খের মতো আচরণ। ওহ!

০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটাই গোঁজামিলে ভরপুর। সঠিক বলেছেন।
যারা এই গোঁজামিল ধরতে পেরেছেন তারা নিজেরাও সিস্টেমের কারনে তাদের সন্তানদেরও এ থেকে বের করে আনতে পারছেন না।

১২| ০৭ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: রোল ১/২/৩ শুনলে আপনার সামনে লাইভ রোবটের ছবি ভেসে উঠে...
পুরো বাংলাদেশের বড়জোর ৩৫ টা স্কুলের টপারটা রোবট, বাকিরা সাধারণত স্মার্ট এবং বুদ্ধিমান ছেলে।

০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি আমার চেনা পরিমণ্ডল থেকে এটা লিখেছি, আমার পর্যবেক্ষণের সাথে আপনার পর্যবেক্ষণ নাও মিলতে পারে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন ব্লগার_প্রান্ত

১৩| ০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭

জুন বলেছেন: আমি এক মধ্য দুপুরে দেখেছিলাম কচি একটা বাচ্চা ছেলের পিঠে বিশাল বই এর বোঝা চাপিয়ে দিয়ে টেনে হিচড়ে নিয়ে চলছে মা কোচিং সেন্টারের উদ্দেশ্য। ছেলেটির পরনে স্কুল ড্রেস, মুখ শুকিয়ে আমসি, বোঝা গেলো স্কুল ছুটির পর বাসাতেও যায়নি বাছা, পরিবারের অপুর্ন স্বাধ পুরনের বলি এই বছর সাতেকের ছেলেটি। এই সব গার্জিয়ানদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এ ধরনের বাচ্চাদের করুন মুখ দেখলে পথচারীদেরও মায়া হয়, কিন্তু মা বাবার মায়া হয়না।
এই সব গার্জিয়ানদের শাস্তি হওয়া উচিত আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি।

১৪| ০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এই লেখাটি অতি উৎসাহী গার্ডিয়ানদের পড়া উচিৎ। শিক্ষাবিদ ও নীতিনির্ধারকদেরও এ বিষয়টি ভাবা উচিৎ। জিপিএ ফাইভ পাওয়া মানে মেধাবী হওয়া বুঝায় না। এ বিষয়ে কয়েক মাস আগে আমি এই লেখাটি ব্লগে দিয়েছিলাম।

০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন জনাব কাওসার চৌধুরী।
আর লিঙ্কে প্রদত্ত আপনার লিখাটি আমার প্রায় মুখস্ত ! :D

১৫| ০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

নীল আকাশ বলেছেন: লিটন ভাই,
খুব দুঃখজনক হলেও এখন বাবা মা রা সন্তানদের রেজাল্ট নিয়ে যা করে বেড়ান সেটা জঘন্য একটা কাজ। এই পৃথিবীতে আল্লাহ সবাইকে সমান করে পাঠান না। ক্লাসে রোল নাম্বারও একটা। তারপরও এরা নিজেদের ছেলেমেয়েকে শাষনের স্টীম রোলার দিয়ে লেখাপড়ার প্রতি ঘৃনা ধরিয়ে দেন।

আমরা তো ছোট বেলায় মাত্র ৩ বা চার ঘন্টা পড়াশুনা করতাম। প্রাইভেট টিউটর কই, বড় ভাই পড়াত। স্কুলে থাকতে ক্লাসে ১ তো দুরের কথা ১৫ জনের মধ্যও ছিলাম না। তাতে কি হয়েছি? আমি তো ঠিকই বুয়েটে পড়েছি। বরং স্কুলের ১ থেকে ১৫ জনের কেউই বুয়েটে চান্স পায় নি।

আল্লাহ কার কপালে কি রেখেছ সেটা কে জানে? গাধা পিটিয়ে কেউ কি কোন দিন মানুষ বানাতে পেরেছে, বলুন?

বাস্তব একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে গেলাম, ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার স্মরিটি জাগানিয়া মন্তব্য পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়লো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনিও ধন্যবাদ নিন নীল আকাশ।

১৬| ০৭ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

জুন বলেছেন: রোল নম্বর সিস্টেমটা উঠিয়ে দেয়া উচিত। অনেক বাবা মা এর কারনে অনেক বাচ্চাদের ভেতরেও এ নিয়ে একটা কম্পলেক্স তৈরি হয়। রোল এক এর তো ভাবই আলাদা ;)

০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শুনেছি ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পরীক্ষা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে ঘোষণা এসেছে, কিন্তু সকল স্কুলে থ্রি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এক প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করায় জানালেন, আমাদের কাছে এ ব্যাপারে সরকারী কোন নির্দেশ আসেনি।
সরকার ঘোষণা যখন দিয়েছে তা বাস্তবায়নেও আন্তরিক হওয়া এবং পর্যায়ক্রমে স্কুল সমূহের সকল পরীক্ষা উঠিয়ে দেয়া দরকার।

১৭| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

সোহানী বলেছেন: পোলাপান না পোলাপানদের বাবা মায়েদেরকে আগে মেন্টাল ট্রিটমেন্ট দেয়া উচিত। আমার মেজাজই খারাপ হয় এ সব দেখে। কি অমানুষিক প্রেশার তাদেরকে দেয়া হয়।

০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোলাপান না পোলাপানদের বাবা মায়েদেরকে আগে মেন্টাল ট্রিটমেন্ট দেয়া উচিত। সহমত।
প্রয়োজনের এদের সাজা শাস্তির আওতায় আনা দরকার।

১৮| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সে পারছে, আমি কেন পারবো না ?
এই ভাবনা যদি ফেল্টুদের মাঝে জাগানো যায় তবেই সব ভালো কিছু হওয়া সম্ভব।

০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সে পারছে, আমি কেন পারবো না ? যার রোল ২ সে যদি এমন মনে করে তাহলে হয়তো সে ১ এ যেতে পারে, কিন্তু যার রোল ২৭২ সে আপ্রাণ চেষ্টা করলেও ১ এ যেতে পারবেনা ।

১৯| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: পরীক্ষায় ফেল করে আত্মহত্যার ঘটনা মনে হয় শুধু আমাদের দেশেই ঘটে। আমাদের সামাজিক অবস্থাও এজন্য দায়ী।

০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন , ধন্যবাদ নিন ঢাবিয়ান ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.