নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।
আমি, Rajib Rahul, Nasreen Toslima এবং খুব সম্ভবত বিদ্যুৎ দে এবং Shibu Dutt - [ও লগে ছিলো কিন্তু এখন মনে করতে পারতেছিনা] একবার কর্ণফুলি নদীতে নৌকা নিয়ে আড্ডা মারতে গেছিলাম।
আমরা এই বিষয় সেই বিষয়, রাজননীতি, শিল্প সাহিত্য, সিনেমা নাটক, এইব্যক্তি ওইব্যক্তি নিয়ে কথাবার্তা বলতেছিলাম। আমাদের কথাবার্তার মধ্যে হঠাৎ করে আহমেদ ছফা ঢুকে পড়লো।
আমি মদের গেলাসে চুমুক দিয়া পেঁয়াজু আর কাঁকড়া চিবাইতে চিবাইতে কইলাম, ছফারে পইড়া আমার ভিতরে উগ্রদেশপ্রেম ঢুকছে। ছফা আমারে শিখাইছে এবং বুঝাইছে উগ্রদেশপ্রেম কি বিষয়। তবে ছফারে আমি সম্পূর্ণ গ্রহন করি নাই। কারণ ছফার রাজনৈতিক মতাদর্শ আর আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যে ভিন্নতা আছে। ছফা আওয়ামী এবং ভারত বিরোধী। সে বামরাজনীতি মতাদর্শের। চেতনার জায়গায় আমি আর ছফা এক হইলেও আদর্শের জায়গায় আমাদের ভিন্নতা আছে।
রাজীব রাহুল কইলো, আমরা ছফা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করতেছি। ছফার ব্যক্তিগত জীবন যাপন নিয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। ছফামৃত এবং আহমেদ ছফার সংসার বই দুইটা পড়লে ছফার পারিবারিক জীবনের বিশদ তথ্য পাওয়া যায়।
আমি কইলাম, ছফামৃত বইটা আমার পড়া আছে। ছফার সংসার বইটা পড়তেছি শেষ হয় নাই।[ কারণ বইটা সদ্য প্রকাশিত ছিলো।]
রাজীব রাহুল কইলো, ছফা যে হিজড়া ছিলো ব্যাপারটা কি আপনি জানেন? আমি কমপ্লিট বিলা খাইয়া স্তম্ভিত হয়ে পরলাম। পাল্টা জিগাইলাম, কি কওন এইসব আপনি! এইটাতো প্রোপাগান্ডা ছাড়া অন্য কিছুই নয়! ছফা যে হিজড়া ছিলোনা তার বহুত প্রমাণ আছে। যেমন তসলিমা নাসরিন ছফার বিরুদ্ধে চুদতে চাওয়ার অভিযোগ এনেছিলো। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে ছফা সাফাই দিছে দীর্ঘ লেখায়। আর সব চাইতে বড় ব্যাপার ছফার একটা জার্মান বান্ধবী ছিলো। হিজড়া হইলেতো চুদতে চাওয়ার আগ্রহ থাকার কথা না! হিজড়ারা চুদতে চায় না চুদাতে চায়!
রাজীব রাহুল কইলো, এই ব্যাপারে আপনে বিস্তারিত জানতে পারবেন কবি Ahmed Mansur - এর কাছে। আমি কইলাম, উনি বোধহয় ছফার বাড়ির আশেপাশের লোক। আর উনি আমার মতো ছফার মুরিদ। উনার কাছে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
রাজীব রাহুল কইলো, উনি ছফারে নিয়া দীর্ঘদিন গবেষণা করতেছিলো। আপনি তারে ফোন দেন কি কয় দেখেন! ব্যাপারটা তারা সামনে আনতে চায় না তবে আপনারে বলতে পারে। কারণ আপনি তার আপনা মানুষ বইলা জানি!
আমি কবি আহমেদ মনসুরকে ফোন দিলাম। হাই হ্যালোর পরে কইলাম, কবি আপনার কাছে একটা ইনফরমেশন জানার জন্য ফোন দিছি। কবি কইলো, বলেন। আমি ডাইরেক্টলি জিগাইলাম, আহমেদ ছফা নাকি হিজড়া ছিলো। কবি কইলো, খুব সম্ভবত ছিলো। তবে এইটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমি বললাম, খুব সম্ভবত ক্যান? কবি বললো, উনার বন্ধুবান্ধবরা সেই রকমটাই জানে। আমি কইলাম, যদি একটু বলতেন বিস্তারিত ।
কবি কইলো, একবার তার পরিবার তার জন্য মেয়ে ঠিক করেছিলো বিয়ের জন্য। ছফা বিয়ে না করে পালিয়ে গিয়েছিলো। যাতে বিষয়টা কেবলই তার মধ্যে থাকে পাবলিকলি জানাজানি না হয়। আমি কইলাম, অনেকেইতো পারিবারিক ভাবে ঠিক করা মেয়ে বিয়ে না করার জন্য পালিয়ে যায়। ছফাও তাই করেছিলো। এইটা দিয়েতো বলা যায় না ছফা হিজড়া ছিলো। কবি কইলো, তার সেই সময়ের বন্ধুবান্ধবরা যখন বিষয়টা নিয়ে ফিসফিসাফিস করতেছিলো তখন ছফা তার জায়গা জমি বেঁচে দিয়ে একেবারেই এলাকা ছাড়া হয়ে যায়। আর কখনোই বাড়িঘরে ফিরে নাই।
রাজীব রাহুলরে কইলাম, এইটাতো জনসম্মুখে আনন দরকার। হিজড়াদের মধ্যে এতো বড়ো একটা দার্শনিক, প্রাবন্ধিক কিংবা বুদ্ধিজীবী কিসিমের লোকতো আগে তৈরি হয় নাই। এইটা জনসম্মুখে আনলে সমস্যা কি? রাজীব রাহুল কইলো, সমস্যা বলতো আপনার মতো ছফা মুরিদরা দঃখ পাইবে কিংবা মাইনা নিতে পারবেনা এই যা !
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: (
৭৩২ বার পঠিত!
কেউ একজন পোস্টটাকে ধর্ষন(রিলোড) করছে, আগামিকাল গর্ভপাত হবে(সর্বপঠিত হিসেবে আলোচিত পেজে আসবে) তাই কমেন্টটা করলাম। নয়তো এসব জাবরকাটা পোস্টে লেখার রুচি হয় না...)
মন্তব্যঃ
১. আহমদ ছফা কি ছিল উইকি দেখলেই বোঝা যাবে।
২. আপনার প্রায় লেখাই বিতর্কিত। হু. আযাদের মুরিদরা ব্রেন ওয়াশড, উগ্র; কিন্তু ছফার ভক্তরা নতুন করে ভাবতে জানে।
৩. আহমদ ছফা সারাজীবন অকৃতদার ছিলেন। তবে কয়েকজন নারীর সাথেতাঁর প্রণয়সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাঁদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেনশামীম শিকদারও সুরাইয়া খানম।[৬৬]এঁদের সাথে সম্পর্কের ভিত্তিতে ছফাঅর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী(১৯৯৬) আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস রচনা করেছিলেন।[৬৬](উইকি)
৪. কারো ব্যক্তিজীবন নিয়ে না বলে কাজ নিয়ে বলুন। "ছফা স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবী বলে বিবেচিত" মাইন্ড ইট।
৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ৯১৮ বার পঠিত!
ঘটনা ক্লিয়ার
পোস্টে মাইনাস
৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
মা.হাসান বলেছেন: বড়ই আফসোস, জাতি প্রতিভার মূল্যায়ন করে না, ছফার মতো হিজড়াদের জীবনচরিত যদি আপনাদের মতো প্রতিভাবান ইন্টেলেকচোয়ালদের বিশ্লেষন করতে হয় তবে তা ববববববববববববববজাতির জন্য হতাশা জনক। আপনি মোজো কাকুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, ওনারা আপনার প্রতিভার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন।
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
মা.হাসান বলেছেন: আপনার পোস্ট শুধু সর্বাধিক পঠিত না, সর্বাধিক মন্তব্য প্রাপ্ত এবং সর্বাধিক লাইক প্রাপ্ত ও হওয়া উচিত, এই জন্য আপনার মতো মহান লেখকের পোস্টে লাইক দিয়ে নিজে ধন্য হলাম, অন্যদেরও অনুরোধ করলাম মন্তব্য ও লাইক দেয়ার জন্য। আফসোস, একটাই লাইক দেয়া যায়। যেহেতু একাধিক মন্তব্য করা যায়, মাঝে মাঝে এসে মন্তব্য করে যাব।
৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২
বাকপ্রবাস বলেছেন: ছফা কী ছিল সেটা তার পরিবার নিশ্চয় জানে, তারা চাপাচাপি করবেনা যদি সে হিজড়া হয়ে থাকে, আর বিয়ে ঠেক করলে জিজড়ের সাথেই করার কথা
৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪
মা.হাসান বলেছেন: অতি চমৎকার লিখেছেন।
৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩
মা.হাসান বলেছেন: যতবার পড়ছি ততবার মুগ্ধ হচ্ছি।বব
৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
ল বলেছেন: তৃতীয় লিঙ্গ নিয়ে কাজ শুরু করেন!!
১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
ইনাম আহমদ বলেছেন: ইহা অতি মনমুগ্ধকর অতিশয় রমনীয় চিত্তাকর্ষক রোমহর্ষক জ্ঞানগর্ভ পোস্ট।
ইহাকে ইহার লেখকসমেত হোমপেইজে চিরকালের জন্য ইস্টিকি করা হউক
১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আরও শক্ত প্রমাণ দরকার।
১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
মা.হাসান বলেছেন: আমি এখনো শিহরিত। ১০ নম্বর কমেন্টের সঙ্গে একমত। কিছুক্ষণ পরে আবার কমেন্টের জন্য আসবো।ব
১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৬
মোহাম্মাদ ফারহান খান বলেছেন: আপনি অনেক বড় গবেষণা করে ফেলেছেন!এই লেখা নিয়ে একটু সন্দেহ প্রকাশ করছি কারণ কেউ যদি হিজড়া হয় তবে তার পরিবার সবার আগেই জানবে বিষয়টা।আর কেউ না জানলে মা জানবেই।এখন যে পরিবার জানে তার সন্তান হিজড়া তারা কখনো বিয়ের জন্য কন্যা দেখবে না।আমাদের দেশের মানুষের একটি বদ অভ্যাস আছে তারা সহজে অন্যকে হিজড়া ট্যাগ মারে।কেউ বিয়ে করতে না চাইলে তাকে তাকে হিজড়া বলার যুক্তিকতা দেখি না।ছফার মত লেখক বদ লোকের অহেতুক ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য যদি নিজের এলাকা ছাড়েন তাহলে তিনি হিজড়া হয়ে যাবে!বাহ বাহ!
১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪০
ফাহিম মোন্তাসির বলেছেন: ১০ নম্বর কমেন্ট এর সাথে আমিও একমত। :3
১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৩
মা.হাসান বলেছেন: আবার আসলাম, সার আপনার অটোগ্রাফ পাওয়া যাবে কি ভাবে?
১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৯
মা.হাসান বলেছেন: সার, মাত্র সাড়ে ছয় হাজার ভিউ যথেষ্ট না, দেশের ১৬ কোটি লোকের পড়া দরকার, ভিউ ১৬ কোটি হবার আগে থামবেন না পিলিস। আমরা আপনার সাথে আছি। জাতির বড় দুরবস্থা , লাইকের সংখ্যা দেখে খারাপ লাগছে।
১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৫
মা.হাসান বলেছেন: ছফার লাশ উঠাইয়া আপনার দ্বারা পোস্ট মর্টেম করানোর দাবি জাতির কাছে উত্থাপন করিলাম।
১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একজন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে অযথা
কাল্পনিক কাহিনী বর্ণনা দোষণীয়
১৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:১৩
বিষন্ন পথিক বলেছেন: বিনোদিত, পোষ্টটিকে ঝুলাইয়া দেবার দাবী জানালাম, যত্তসব াবাল!
২০| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: পুনশ্চঃ
আমরা জানি, আহমদ ছফা মুক্তিকামী লেখক ছিলেন বলে কারো অন্ধ কীর্ত্তনীয়া হতে পারেননি। একজন মানুষকে, একজন লেখককে, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আঘাত কিংবা উপো করার একমাত্র কারণ যদি হয় কোনো দল বা ব্যক্তির আজ্ঞাবাহক না হওয়া, তবে তা লজ্জাজনক। আহমদ ছফা, ফররুখ আহমদ প্রমূখের মতো যারা শেকড়বাদী জাত লেখক তাদেরকে চাইলেই পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া যায় না। আহমদ ছফা লিখেছেন আজীবন সত্যের জন্য, তিনি ছিলেন নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ। আমাদের জাতীয় চিন্তা-চেতনাকে সর্বপ্রকার লাইগেশন মুক্ত করে আলোর পথে নিয়ে যেতে তিনি অক্লান্ত চেষ্টা করেছেন। আহমদ ছফার অমরত্বের জন্য কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। তিনি নিজেও এসবে আগ্রহী ছিলেন না। এমনকি রক্তমাংসের উত্তরসূরী সৃষ্টিতেও এগিয়ে যাননি তিনি। এক্ষেত্রে তিনি অনেকটা তাঁর ভাবগুরু জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে অনুসরণ করেছেন। আহমদ ছফা সমুদ্র সৈকতের ঝিনুক কুড়িয়েদের মতো, কণা কণা মুক্তা দিয়ে বাংলা সাহিত্যের শরীরে যে অলংকার দিযে গেছেন সেগুলোই তাকে অকৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখবে প্রজন্মপরাক্রমে। সাহিত্যের পাঠক-লেখকরা নিজেদের প্রয়োজনে তাকে খুঁজে বের করবেন তাঁর সৃষ্টির উপত্যকা থেকে।
২১| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ব্যক্তিগত জীবনেঃ
আহমদ ছফা সারাজীবন অকৃতদার ছিলেন। তবে কয়েকজন নারীর সাথে তাঁর প্রণয়সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাঁদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন শামীম শিকদার ও সুরাইয়া খানম। এঁদের সাথে সম্পর্কের ভিত্তিতে ছফা অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী (১৯৯৬) আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস রচনা করেছিলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: বড়ই চমকপদ।