নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।
আমি ২০০৯ থেকে আজ অবধি চাইনিজদের সাথে। আমার উঠা বসা খাওয়া কাজ করা বলতে গেলে সবই চাইনিজদের সাথে। এমনকি কথা বলিও চাইনিজে। বেশ কিছুদিন আমি চায়নাতেও ছিলাম। কাজ করেছি ওয়ার্কার লেবেলের লোকজনের সাথে।
আমি এই এগারো বছরে প্রচুর চাইনিজদের সাথে কাজ করেছি। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করার কারণে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন লোকদের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ হয়েছে।
তাই আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, চাইনিজরা অন্যান্য জাতির চাইতে অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। শিক্ষিত হোক আর অশিক্ষিতই হোক হ্যালথ ইস্যুতে ভেরি কনসাস।
এই কথাগুলো এই জন্যেই বলছি, বলা হচ্ছে করোনা ভাইরাসটা চীনের "বায়োলজিক্যাল ওয়েপন"। চীন তাদের ল্যাবে করোনা তৈরি করে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে। যাতে তারা দুনিয়ার বুকে রাজত্ব কায়েম করতে পারে। নইলে দুনিয়া যেখানে হিমশিম খাচ্ছে করোনা দমাইতে সেখানে চীন কীভাবে এতো দ্রুত করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলো! কীভাবে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফেরত আসলো! করোনার উৎপত্তি যে উহান শহরে সেই শহরেও এখন জন-জীবন স্বাভাবিক।- বিশ্বাস করানোর জন্য এই কথাগুলোই যথেষ্ট করোনা ভাইরাস চীনের বায়োলজিক্যাল ওয়েপন। জৈব রাসায়নিক অস্ত্র।
কিন্তু তারপরেও আমার বিশ্বাস হয় না। আমিও বিশ্বাস করতে চায় করোনা ভাইরাস চীনের বায়োলজিক্যাল ওয়েপন। কিন্তু আমার বিশ্বাস হয় না। বিশ্বাস করতে মন চায় না। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনারে দমাইতে যে স্বাস্থ্য বিধি দিয়েছে তা খুবই সিম্পল। কিন্তু এইসব অভ্যাসজনিত বিষয়। বারবার হাত ধোয়ার কথা থাকলেও আমরা হাত ধুচ্ছিনা। বাইরে বের না হয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও থাকছিনা। এক মিটার দূরত্বের কথা থাকলেও মানছিনা। কারণ আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠি নাই এখনো এইসবে।
কিন্তু চাইনিজদের কাছে সেটাই যেটা তাদের সরকার বলেছে। তারা শুধু সেটাই ফলো করবে যেটা তাদেরকে করতে বলা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় বারবার চাইনিজদের এতো দ্রুত করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার পিছনে রয়েছে চাইনিজদের সচেতনতা। স্বাস্থ্য সচেতনতার ক্ষেত্রে চাইনিজদের চাইতে বেশি কনসাস আর কোন জাতি?
একটা ছোট উদাহরণ দিই, বাঙলাদেশে প্রচুর চাইনিজ আছে। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত একজন চাইনিজও সনাক্ত হয় নাই। অথচ চাইনিজদের কাছ থেকেই এই করোনা ভাইরাস গোটা দুনিয়ায় ছড়াইছে। চাইনিজরা "সেইফটি ফাস্ট"-কে বাইবেল হিশেবেই মানে।
করোনাকে রুখতে যে নিয়মগুলা ছিলো আমার মনে হয় চাইনিজরা সেই নিয়ম কানুন গুলা খুব ভালোভাবে মানছে যেটা অন্যান্য দেশের অন্যান্য জাতিরা চাইনিজদের মতন করে মানছেনা। যার ফলে চায়নাতে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এই ভাইরাসতো এমন নয় যে কামান দিয়ে মারতে হয়। এইটা রুখে দিতে হয় কিছু নিয়ম কানুনের মাধ্যমে। যে নিয়ম গুলা সরকার নয় মানুষ মানবে। মানে যার যার সুরক্ষা তাকেই নিশ্চিত করতে হবে। আমার মনে হয় চাইনিজরা তাদের সুরক্ষা তারা দুনিয়ার অন্যান্য জাতির চাইতে বেশি নিশ্চিত করেছে। আজ যেটাকে বিশ্ব মিডিয়া সন্দেহের চোখে দেখছে। অথচ এটা হতে পারতো চাইনিজদের এক অসাধারণ সাফল্যের গল্প! এতো অল্প সময়ে এতো বেশি মানুষের এক দেশে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসকে রুখে দিতে পেরেছে। মাত্র সাড়ে তিনহাজারের প্রাণের বিনিময়ে। যেখানে দুনিয়া জুড়ে মৃত্যুর মিছিল আরো অনেক বড়।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমার চায়নীজদের মিথ্যাবাদী বলে মনে হয় না।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চীনে কত লোক প্রকৃত পক্ষে মারা গেছে?
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪২
বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: চিন্তার বিষয়
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
সাইন বোর্ড বলেছেন: তাদের মৃত্যুর সংখ্যাটা বিশ্বাসযোগ্য না, বাকী ভাবনার সাথে একমত হওয়া যায় ।