নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ নাকি মিউচুয়াল সেক্স !

০১ লা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

ক্ষ্যাপা মেয়েটিকে দেখে টিএসসিতে। তারপর দেখে চারুকলায়। তারপর থিকা ক্ষ্যাপার মাথায় ঘুরতাছে এর লগে ক্যামনে কথা কন যায়! মেয়েটির শরীর ক্ষ্যাপারে ভাবায়। ক্ষ্যাপা শরীর প্রেমিক। মেয়েটির শরীর ক্ষ্যাপারে টানে। কিন্তু ক্ষ্যাপা জানে এইটা খুবই সেনসেটিভ ইস্যু । যেকোন মেয়েকে দেখে কামভাব মনের ভিতরে আইতে পারে যে কারো মধ্যেই । কিন্তু হুট করে বিছানায় আনার প্রস্তাব দেওয়া অনৈতিক না হইলেও বিতিকিচ্ছিরি ! ক্ষ্যাপা ওয়ে খুঁজতে থাকে মেয়েটির লগে হাই-হ্যালো করার ! কিন্তু ক্ষ্যাপা মেয়েটির নাম পর্যন্ত জানে না । তার এক্টিভিটিস সম্পর্কেও জানে না ।
ম্যালাদিন চলে যায় । ক্ষ্যাপার মাথা থিকা মেয়েটাও নেমে যায় । ক্ষ্যাপা একদিন শিল্পকলায় যায় নাটক দেখতে । নাটক দেখে বের হওয়ার পর মেয়েটিকে আবারো দেখতে পায় বন্ধুবান্ধবদের লগে চাবড়ি (চা+বিড়ি) খাইতে । ক্ষ্যাপার মনে আশার সঞ্চার হয় । মেয়েটির যাতায়াত আড্ডা ফাড্ডা ক্ষ্যাপার এরিয়াতেই । মানে টিএসসি চারুকলা আর শিল্পকলা । ঐদিনই ক্ষ্যাপা মেয়েটির নাম জেনে নিয়ে ফেইসবুকে সার্চ করে । প্রোফাইল পিক দেখে এবং মেয়ের প্রোফাইল পড়ে নিশ্চিত হয় এই সেই মেয়ে । যাকে ক্ষ্যাপা ঠাপাতে চায় ।
ক্ষ্যাপা ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে একটা টেক্সট করে । টেক্সটে লিখে , হেই আমি ক্ষ্যাপা । তোমাকে প্রথম যেদিন টিএসসি দেখি সেইদিন থিকাই তোমার শরীর আমায় টানছে । কিন্তু হুট করেতো আর বলা যায় না আমি তোমার সাথে দেহতাত্ত্বিক প্রেম করতে চাই ! তোমার সম্পর্কে কোন কিছুই জানি না তাই তোমাকে খুঁজে পেতে আমার ম্যালা দেরি হয়ে গেছে । টিএসসির পর তোমাকে চারুকলায় তারপর শিল্পকলায় দেখি । তোমার নাম জেনে ফেইসবুকে সার্চ করে তোমাকে নক করা । আমি একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করি । থাকি উত্তরায় । লিখি ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই । তোমার সাথে আমি একটা দেহতাত্ত্বিক রিলেশনে যেতে চাই । দেহতাত্ত্বিক রিলেশনের পরে সেটা মনস্তাত্ত্বিক রিলেশনে গেলেও আমার কোন সমস্যা নাই ।
দিন যায় সাপ্তাহ যায় রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট হয় না টেক্সটের রিপ্লাইও আসে না । ক্ষ্যাপা ধইরা নেয় এই মেয়ের আশা ছাইড়া দিতে হবে । কিন্তু একদিন রিপ্লে আসে ! হোয়াট দ্যা ফাঁক ! হাউ ডিয়ার ইউ ! এতো বড় সাহস আপনার ! ক্ষ্যাপা রিপ্লাই দেয়, যে ইচ্ছা মনের ভেতর থিকা উঁকি দেয় সেটা জানানো দোষের কিছু হইতে পারে না বইলা আমার ধারণা ! বাই দ্যা ওয়ে যদি কখনো কোন কিছুর প্রয়োজন হয় তাইলে ফিল ফ্রি আমাকে ইনবক্স কইরো । আই উইল হ্যাপি টু হেল্প ইউ । ধন্যবাদ ।
মেয়েটি কোন রিপ্লাই না দিয়ে একটা লাভ রিয়েক্ট দেয় । আর ক্ষ্যাপা বুঝে যায় শি নীড মানি ! আর ক্ষ্যাপাতো টাকা নিয়ে বসেই আছে শরীর কেনার জন্য !
তিন চারদিনের মতন ক্ষ্যাপা আর নক করে নাই । ক্ষ্যাপার অভিজ্ঞতা বলে ডেফিনেটলি মেয়েটি নক করবে । মেয়েটি আপাতত পার্সোনালিটি শো করছে । ক্ষ্যাপার অপেক্ষা করা ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন উপায় নাই !
ক্ষ্যাপা সেদিন নদীতে ভাইবেরাদারদের লগে মদবিনিময় সভা করছে নৌকাতে । ঐসময় মেয়েটি ক্ষ্যাপাকে টেক্সট করে , হেই- বইলা । ক্ষ্যাপা তড়িৎ গতিতে রিপ্লাই করে , হেই- বইলা । মেয়েটি লিখে, ক্যান ইউ হেল্প মি ? ক্ষ্যাপা লিখে , আই উইল বি হ্যাপি টু হেল্প ইউ । মেয়েটি লিখে, আপনি কী উদ্যানে আসতে পারবেন ? ক্ষ্যাপা লিখে , নাউ কান্ট বিকজ আই এম এনজয়িং টাইম উইথ মাই ভাইবেরাদার ইন বোট । মেয়েটি জিগায় , ফ্রি হয়ে নক দিয়েন । ক্ষ্যাপা লিখে , অফকোর্স ! ক্ষ্যাপা বুঝতে পারে কাঙ্ক্ষিত শরীরটা পেতে যাচ্ছে !
ক্ষ্যাপা বাসায় এসে টেক্সট করে , হেই- বইলা । মেয়েটি লিখে, কই ? ক্ষ্যাপা লিখে, বাসায় । মেয়েটি লিখে, আপনি কী আমাকে কিছু টাকা ধার দিতে পারেন? হাতে টাকা আসলে দিয়ে দিবো। ক্ষ্যাপা লিখে, আমি তোমার জন্য টাকা নিয়ে বসে আছি সাহায্য করার জন্য। ফেরত দিতে হবে না। কতো টাকা? মেয়েটি বললো, পাঁচ হাজার। ক্ষ্যাপা লিখলো, নো প্রবলেম। কাল টিএসসি এসো সন্ধ্যায়। মেয়েটি লিখলো, এখন দেওয়া যায় না? ক্ষ্যাপা লিখলো, না। কারণ আমি বিকাশ ইউজ করি না। মেয়েটি লিখলো, ওহ! ক্ষ্যাপা লিখলো, ক্যান আই কল ইউ ইন মেসেঞ্জার? মেয়েটি রিপ্লাই দিলো, অফকোর্স।
ক্ষ্যাপা- হেই। কাংখিত মেয়েটির সাথে কথা হচ্ছে আমি উচ্ছ্বসিত।
মেয়েটি- তাই না!
হুম। আমি তোমার শরীরের প্রেমে পরেছি। তোমার শরীর আমায় ভীষণ টানে।
- কী এমন আছে যে আমার শরীর আপনারে টানে!
মাদকতা।- ক্ষ্যাপা বললো ।
- তাই না! আচ্ছা আপনার কী একবারও মনে হয় নাই এইভাবে কোন মেয়েকে প্রপোজ করা ঠিক না?
বেঠিক হবে ক্যান? আমি তোমার শরীরের প্রেমে পরেছি আর এটা তোমাকে বলতে ক্যান অপরাধ হবে?
- না আপরাধ না! কেমন না ব্যাপারটা! আমাকে এই যাবত আপনার মতন করে কেউ বলে নাই!
কে কিভাবে মনের কথা বলে আমি জানি না আমি আমার মনের কথা স্ট্রেইট এবং ফিল ফ্রি বলি!
- হুম সেটাই ভালো। আচ্ছা বাসায় আপনার কে কে থাকে?
আমি একাই। তিন রুমের ফ্ল্যাট অফিস থিকা দিছে। রান্না-বান্না নিজেই করি। বউ বাচ্চা মা বোন অন্য শহরে। আমার একজন পার্টনার দরকার যে আমাকে সেক্স্যুয়াল এবং মেন্টাল সেটিসফেকশন দিবে। বিনিময়ে আমি তারে অর্থনৈতিক মুক্তি দিবো।
- আপনি কী লিভ ইন করতে চান?
হুম।
-লিভ ইন করতে আমার আপত্তি নাই। কিন্তু আমাকে প্রয়োজনীয় ফিনেন্সিয়াল সাপোর্ট করতে হবে।
ডোন্ট অরি বেবি! পারমান্থ তোমার কতো টাকা প্রয়োজন?
- তেমন বেশি না! আমার একাডেমিক খরচ হাজার তিনেক মতন আর হাত খরচ আর শপিং বাবদ তুমি যা দিবা তাতেই আমি খুশি হয়ে যাবো!
নো প্রবলেম। হেই তুমি সাকিং করো?- ক্ষ্যাপা জানতে চাইলো ।
- ইয়েস। আই লাইক সাকিং বেটার দ্যান ফাঁকিং!
উইথআউট সাকিং আই নেভার ফাঁক!- ক্ষ্যাপা বললো।
- ইন সেক্স আই এম টু গুড। আই ক্যান টেল ইউ, ইন সেক্স আই উইল ডেফিনেটলি সেটিসফাই ইউ! ইউ উইল বি হ্যাপি হোয়েন ইউ ফাঁক মি!
ফিংগারিং করতে দাও?
- অফকোর্স বাট মেইক শিউর নক যেনো না থাকে। আমার ভ্যাজাইনা খুবই সেনসেটিভ। এদিক সেদিক হলেই ফুলে যায়। শিস করার সময় ভীষণ জ্বলে!
আর ইউ এক্টিভ ইন এনাল?
- নো। বাট ইফ ইউ ওয়ান্ট ইউ ক্যান ট্রাই আই নেভার মাইন্ড।
ক্যান উই মেইক সেক্স ইন ক্যাম? - ক্ষ্যাপা জানতে চাইলো।
মেয়েটি বললো, ক্যামে সেক্স করতে আমার সমস্যা নাই কিন্তু তোমাকে আমি কিভাবে বিশ্বাস করি যে তুমি আমার প্রাইভেসি ধ্বংস করে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করবেনা? তুমি আমাকে যদি বিশ্বাস করাইতে পারো যে তোমার সাথে ক্যামে সেক্স করলে আমার কোন ক্ষতি হবে না তাইলে আমি ক্যামেই তোমাকে বেটার সেক্স্যুয়াল ফ্যান্টাসি দিয়ে সীমেন্স আউট করাইতে পারবো।
ক্ষ্যাপা বললো, দেখো আমার কাজ সেক্স্যুয়াল ফ্যান্টাসি আর মেন্টাল সেটিসফেকশন নেওয়া। ব্ল্যাকমেইল করা না। আর আমি ব্ল্যাকমেইল ক্যান করবো? তোমার কী অঢেল টাকা যে তোমার ন্যুড পাবলিক্যালি করার হুমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিবো! তোমার যদি অঢেল টাকা থাকতো তাইলে কী তুমি সম্পূর্ণ অপরিচিত আমার সেক্স পার্টনার হইতে চাইতা?- নিশ্চয় না। আমার কাছে শুধু তুমি না দুনিয়ার সকল নারী-ই নিরাপদ। টাকার অভাব আমার নাই। আমার অভাব সেক্স্যুয়াল ফেন্টাসি দেওয়ার মতন মেয়ের। আর আমি যদি তোমাকে অশান্তিতে রাখি তুমি কখনোই আমাকে সেক্স্যুয়াল শান্তি দিবে না। তাই আমার ফিলোসোফি বলে, আগে নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করো পার্টনারের তারপর তার কাছ থিকা ফ্যান্টাসি নাও। আমি আমার ফিলোসোফির বাইরে এককদমও যাই না।
মেয়েটি বললো, আমি তোমার কথা বিশ্বাস করলাম। তুমি ভিডিও কল দাও।
ক্ষ্যাপা সেদিন ক্যামে সেক্স করার পর মেয়েটিকে বলে , তুমি কাল সন্ধ্যায় টিএসসি এসো । দেখা হবে কথা হবে এবং আমাদের আগামী সুন্দর এবং আনন্দের হবে ।
ক্ষ্যাপা অফিস থিকা একটু আগেই বের হয়ে টিএসসিতে অপেক্ষা করছে মেয়েটির জন্য । মেয়েটি টেক্সট করে বলেছে , সে অন দ্যা ওয়ে । ক্ষ্যাপা টাইম পাসের জন্যে চাবড়ি খাচ্ছে । দশ মিনিট পর রিকশা থিকা জিন্স আর টি-শার্ট পরা মেয়েটি নামলো । ক্ষ্যাপা এগিয়ে গিয়ে বললো, হাই । মেয়েটি বললো, হ্যালো । ক্ষ্যাপা জিগাইলো রিকশাওয়ালারে কতো ভাড়া ? রিকশাওয়ালা বললো, পঞ্চাশ । ক্ষ্যাপা পঞ্চাশ টাকা ভাড়া মিটিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে উদ্দ্যানের দিকে হাঁটা দিলো ।
ক্ষ্যাপা এই অঞ্চলে বেশ পরিচিত মুখ । এর আগেও এই অঞ্চলের বহু মেয়ের সাথে তার সেক্স্যুয়ল ডিল হয়েছে । তাই চায় না তাদের মধ্যে কারো নজরে সে পরুক । সে একটা নির্জন জায়গা খুঁজছে যেখানে তারা দুইজন একটু শান্তি মতন কিছু সময় কথা বলতে পারে । ডানদিক দিয়ে একটু ভেতরে গেলে লোকজনের চাপ একটু কম থাকে । তাই তারা ওদিকে গিয়েই বসলো ।
ক্ষ্যাপা বললো, তোমাকে এতো সহজে পাওয়া যাবে ভাবি নাই । মেয়েটি বললো, সহজ আর কঠিন বুঝি না । আমি শুধু এটুকু বুঝেছি তুমি আমার ফিনেন্সিয়াল প্রয়োজন মিটাইতে পারবে এবং আমি তোমার কাছে সিকিউর । এই রকম প্রস্তাব যে আমি আগে পাই নাই ব্যাপারটা এমন না । কিন্তু আমি তাদের উপর আস্থা এবং ভরসা কোনটাই রাখতে পারি নাই বলে আমি এতোদিন কারো সাথে লিভ ইন করি নাই । তোমাকে মনে হয়েছে তুমি আমাকে ভালো এবং নিরাপদ রাখতে পারবে ।
ক্ষ্যাপা মানিব্যাগ খুলে একটা খাম বের করে মেয়েটির দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো, এখানে তোমার চাহিদা অনুযায়ী টাকা আছে গুনে দেখতে পারো । মেয়েটি হেসে দিয়ে বললো, আরে না ! গুনতে হবে না- বলেই খাম ভ্যানিটি ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেললো । ক্ষ্যাপা বললো, এইখানে মশার কামড় না খেয়ে বরঞ্চ চলো আমরা রিকশায় কিছুক্ষণ ঘুরি তারপর বাসায় চলে যাবো কারণ আমার অফিস আছে কাল । মেয়েটি বললো, ঠিকাছে । কিন্তু আমি আজ তোমার সাথে রাতে থাকতে পারবো কি না জানি না । তবে আমার তোমার বাসায় যেতে আপত্তি নাই । ক্ষ্যাপা বললো, যদি রাতে থাকতে না চাও সমস্যা নাই আমি তোমাকে বাসায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দিবো । আর যদি মন চায় তাইলে থেকেও যেতো পারো ।
রিকশা নিয়ে তারা আজিজে গেলো । ক্ষ্যাপা আজিজের টি-শার্ট খুবই পছন্দ করে । দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো খুব ভালো টি-শার্ট করে আর দামও খুব কম । পরতে আরামও বেশ । ক্ষ্যাপা বেশ কয়েকটা টি-শার্ট কিনলো । মেয়েটি বললো, এই তুমি কী আমাকে দুইটা জামা কিনে দিতে পারবে ? ক্ষ্যাপা বললো, তুমি পছন্দ করো আমি পে করছি । মেয়েটি দুইটা কিনে নাই কিনেছে তিনটা । ক্ষ্যাপার এইসব ছোট খাটো বিষয়ে তেমন বিকার নাই !
ক্ষ্যাপার অফিসের উত্তরার এগারো তলার পুরা বিল্ডিংটাতে চাইনিজরা থাকে । ক্ষ্যাপা ওয়ার্ল্ডের লার্জেষ্ট একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিশেবে চাকরি করে । বাঙলাদেশের ওয়ার্কার এবং প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্টটা ক্ষ্যাপা-ই দেখে । সেই সুবাধে তাকে কোম্পানি থিকা একটা ফ্ল্যাট দেওয়া হইছে প্রয়োজনীয় সব ফ্যাসিলিটি দিয়ে ।
হাইলি সিকিউর বিল্ডিংটার নিরাপত্তার কয়েকধাপ পার করে বাসায় যখন মেয়েটি ঢুকলো মেয়েটি তখন বললো, এতো বড় ফ্ল্যাটে তুমি একা থাকো ? ক্ষ্যাপা বললো, হুম । আমারতো এইখানে বউ বাচ্চা মা বোন কেউ নাই । এখন থেকে একা না থাকার জন্য তোমাকে পোষা । মেয়েটি ফ্ল্যাটের প্রত্যেকটা রুম ঘুরে ঘুরে দেখছে । মেয়েটি বললো, এতো ধুলাবালি ক্যান ? বুয়া-টুয়া নাই ? ক্ষ্যাপা বললো, আমি নিজেই মাসের মধ্যে সাপ্তাহ খানেক থাকি আবার বুয়া ! আমি নিজেই থাকি না ! মেয়েটি বললো পরিস্কার করতেই তো আমার দুইদিন লাগবে ! ক্ষ্যাপা বললো, লাগাও ! এখন থিকা এই ফ্ল্যাট তোমার ! মাঝেমধ্যে আমাকে থাকতে দিলেই হবে ! মেয়েটি বললো, ফাইজলামি করো না ! মেয়েটি সেই দিন আর ফিরে নাই । থেকে গেলো ।
ক্ষ্যাপা খুব সকালে অফিসে চলে যায় ফিরে সন্ধ্যার পরে । ফ্রেশ হয়ে বোতল আর গাঁজা নিয়ে বসে প্রজেক্টরে সিনেমা দেখে । তারপর ওখানেই ঘুমিয়ে পরে । ওয়ার্কিং ডে'তে ক্ষ্যাপার এই-ই রুটিন । অফডে'তে ক্ষ্যাপা তার বিভাগীয় শহরে চলে আসে বউ বাচ্চা মা বোনের সাথে সময় কাটাতে । মেয়েটি তখন ওখানেই থাকে । যদি কখনো না যায় তখন মেয়েটিকে নিয়েই সময় কাটায় কখনো সিনেমা হলে সিনেমা দেখে কখনো ঢাকার বাইরে ঘুরতে যায় কখনো রিকশায় ঢাকা শহর ঘুরে নয়তো বুড়িগঙ্গায় নৌকা নিয়ে ।
মেয়েটির এতোদিনের অভাবের অনটনের জীবন মূহুর্তেই বিলাসবহুলতায় বদলে যায় । মেয়েটি নোটিস করে ক্ষ্যাপা কখনোই তার মোবাইল ফোন চেক করে না । তার একান্ত ব্যক্তিগত জীবন যাপন নিয়ে মাথা ঘামায় না । ক্ষ্যাপার অবর্তমানে মেয়েটি বাসায় কিংবা বাইরে কি করে তার খোঁজ খবর নেয় না মানে মেয়েটির স্বাধীন জীবন যাপনে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে না । এই কয়দিনে একবারও ফোর্স সেক্স করে নাই । গায়ে হাত তোলার প্রশ্নই আসে না !
মেয়েটি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্ষ্যাপার সাথে লিভ-ইন করছে এই ছয় মাসে মেয়েটির একবারও মনে হয় নাই ক্ষ্যাপার মধ্যে পুরুষতান্ত্রিকতার কোন বিষয় আশায় আছে । ক্ষ্যাপা বাসায় থাকলে রান্না করে নয়তো লিখে নয়তো বই পড়ে নয়তো সিনেমা দেখে । মেয়েটি বুঝে যায় একমাত্র শরীর ছাড়া ক্ষ্যাপাকে আর দ্বিতীয় কোন বিষয় নাই যে তার কাছে আটকে রাখার । তাই মেয়েটি যৌনতায় অনন্য হয়ে উঠার জন্য শরীর এবং মন দিয়ে ক্ষ্যাপাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্রমাগত চেষ্টা করে যায় । কিন্তু ক্ষ্যাপা যখন তার বউ বাচ্চার সাথে কাটানো সময়ের ছবি ফেইসবুকে পোষ্ট করে তখন মেয়েটির বুকে হাহাকার সৃষ্টি হয় । বুঝতে পারে ক্ষ্যাপা তার একক নয় । হতাশায় ভুগে ! নিয়ন্ত্রণ হারায় ! এলোমেলো হয়ে যায় ! কারণ মেয়েটি জানে এবং বুঝে ক্ষ্যাপা যদি তার একক না হয় তাইলে তার এই বিলাসবহুল যাপিত জীবন মূহুর্তেই আগের সেই অভাব অনটনের জীবনে ফেরত যাবে । যেটা যাপন করা খুবই কষ্টের এবং অসহায়ত্বের !
এইসব বিষয় নিয়ে মেয়েটি দু-একবার কৌশলে ক্ষ্যাপার সাথে কথা বলেছে । ক্ষ্যাপা পরিস্কার ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছে তার মূল জীবনে যদি সে কখনো ডিষ্টার্ব তৈরি করে কিংবা করতে চায় তাহলে সে দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে না যে মেয়েটিকে ছাড়ার । এবং সে দুই বিয়ে কখনোই করবে না । তাকে পুষতেছে সে তার মূল জীবনে ডিষ্টার্ব করার জন্য নয় ; স্রেফ বিনোদনের জন্য । যদি সে কখনো বিনোদনের পরিবর্তে ঝামেলা দেয় তাইলে সম্পর্ক ওখানেই খতম ।
কিন্তু মেয়েটির সাথে ক্ষ্যাপার সম্পর্ক যতো দীর্ঘ হচ্ছে মেয়েটির মধ্যে অনিশ্চয়তার প্রভাব ততোই বাড়তেছে । মেয়েটির চোখের সামনে ভাসতাছে আন-সাসটেইনেবল ভবিষ্যত । মেয়েটি সম্পর্কটাকে সাসটেইনেবল করতে চায় কিন্তু ইথিক্যালি ক্ষ্যাপা নড়বে না তারে টলানোও যাবে না- এই ব্যাপারে মেয়েটি পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যায় ।
মেয়েটি সিদ্ধান্ত নেয় তার সাথে থাকা ক্ষ্যাপার কাপল ছবি পাবলিক্যালি প্রকাশ করার । মেয়েটির মনে হয় এইসব ছবি হইতে পারে ক্ষ্যাপাকে বাধ্য করতে তাকে বিয়ে করার জন্য । এর জন্য মেয়েটি একসাপ্তাহ ধরে ক্ষ্যাপার ফ্রেন্ডলিষ্টের এবং ক্ষ্যাপার বউয়ের ফ্রেন্ডলিষ্টের লোকজনদের ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে নিজের লিষ্টে এড করে নেয় । তারপর একদিন একটা কাপল ছবি ফেইসবুকে পোষ্ট করে । সেই ছবিতে দেখা যায় তারা এক বিছানায় চুমাচুমি করছে ! সাথে সাথে ছবিটি ক্ষ্যাপার বউয়ের ইনবক্সে চলে যায় ।
ক্ষ্যাপার মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায় । ক্ষ্যাপা এইসবের জন্যে মোটেও প্রস্তুত ছিলো না ! ক্ষ্যাপা মনে করেছিলো চুদবে চোদাবে মিলবে মিলাবে হিশাব হবে ফর্সা ফকফকা । কিন্তু ব্যাপারটা আর সেই আরমদায়ক পর্যায়ে রইলো না । ক্ষ্যাপা বাসায় আইসা নিজের রাগ এবং ক্ষোভরে বহুত কষ্টে দমাইয়া মেয়েটিকে বললো, তুমি তোমার জিনিসপত্র গোছাইয়া এই মূহুর্ত থিকা আমার চোখের সামনে থিকা বিদায় হবা । তোমারে সময় দিলাম ত্রিশ মিনিট । যদি বিদায় না হও তাইলে একত্রিশ মিনিটের মধ্যে সিকিউরিটি এসে তোমাকে গলা ধাক্কা দিয়া বিদায় করে দিবে । নাউ ফয়সালা তোমার ।
মেয়েটি ক্ষ্যাপাকে বলে আমি সুইসাইড করবো । ক্ষ্যাপা বলে শুধু সুইসাইড না আরো যা যা করার আছে তার সবটুকুই তুমি করতে পারো কিন্তু আমি আর তোমার লগে নাই । তুমি চুক্তি ভঙ্গ করেছো । আমি তোমাকে পুষেছিলাম স্রেফ আরামে থাকার জন্য কিন্তু তুমি আমার আরামদায়ক জীবনটারেই বিষিয়ে তুলেছো । আমার বউরে ডিষ্টার্ব দিয়া আমি তোমারে আরামে রাখবো- এমন বোকাচোদা আমি নিশ্চয় নই! তুমি শুধু শুধু তোমার এবং আমার সময় নষ্ট করতাছো । যতোতাড়াতাড়ি বিদায় হবা ততোতাড়াতাড়ি আমি একটু শান্তি পাবো । নাউ গেট লস্ট !
মেয়েটি কান্না করতে করতে ব্যাগ প্যাক করতে থাকে আর ক্ষ্যাপা স্টিক বানাইতে ব্যস্ত হয়ে পরে । মেয়েটি যাওয়ার সময় বলে যায় আমি তোমার নামে মামলা করবো বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে তুমি আড়াই বছর ধইরা ধর্ষণ করেছো । ক্ষ্যাপা কইলো, জেল জুলুম মামলা হামলা এইসব আমি ফেইস করছি বহু আগ থিকাই তুমি নিশ্চয় সেইসব জানো । মেয়েটি বললো, বহু এভিডেন্স আমার কাছে আছে যেগুলো দিয়ে আমি প্রমাণ করতে পারবো তুমি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ক্রমাগত ধর্ষণ করেছো । ক্ষ্যাপা বলে, যা ইচ্ছা তুমি তাই করো কিন্তু এখন আমার চোখের সামনে থিকা বিদায় হও আমি আরামচে নেশা করবো । আমাকে উপায় বের করতে হবে আমার বউকে কিভাবে ম্যানেজ করে হ্যান্ডেল করা যায় । তোমার জন্য আমার অতি আদরের বউ বেহাত হয়ে যাওয়ার দশা হইছে ! প্লিজ তুমি বিদায় হও । আমি যদি অন্য পুরুষদের মতন হইতাম তাইলে তোমার এই কাজের জন্য তোমাকে পিডাইয়া হান্ডি পাউডার কইরা ফেলতাম কিন্তু আমি মাইয়া মানুষ পিডায় না মাইয়াদের টাকা পয়সা দিয়ে পুষে আদর করে দীর্ঘমেয়াদে খাই । মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যায় । আর ক্ষ্যাপা ইন্টারকমে ফোন করে সিকিউরিটিকে বলে , মেয়েটিকে একটা উবার ডেকে দিয়ে সে যেখানে যেতে চায় সেখানে যেনো পাঠিয়ে দেয় ।
মেয়েটি চলে যাওয়ার ঘন্টাখানেক পরে ফেইসবুকে ঝড় বইতে শুরু করে । মানুষের টাইমলাইনে শুধু ঘুরতে থাকে ক্ষ্যাপা আর মেয়েটির অন্তরঙ্গ ছবি । আর ইনবক্সে ক্ষ্যাপার ন্যুড । এদিকে ক্ষ্যাপার বউ ক্ষ্যাপারে হুমকি দিয়া রাখছে সে যেনো আর তার কাছে না ফিরে । যদি যায় তাইলে সে তার নুনু কাটি দিবে ! ক্ষ্যাপা বুঝতে পারছে না অনলাইন আর বউ সে কিভাবে হ্যান্ডেল করবে ! ক্ষ্যাপা ননষ্টপ স্টিক টানে আর একের পর এক প্যাগ মারে ! ক্ষ্যাপার ধারণা স্টিক তার মগজকে দ্রুত সক্রিয় করে তুলবে আর সে একটা উপায় পাবে দুটাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তার !
মেয়েটি এর মধ্যে থানায় গিয়ে ক্ষ্যাপার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে 'বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের" । ব্যাপারটা আরো জটিল হয়ে যায় । ক্ষ্যাপা দ্রুত তার লয়ারকে ফোন করে । লয়ার বলে আপাতত গা ঢাকা দিতে । এইসব মামলার জামিন হাইকোর্ট থেকে পাওয়া যায় কিন্তু তার আগে তাকে যেনো কারাগারে যেতে না হয় সেই জন্য গা ঢাকা দেওয়া । ক্ষ্যাপার সংসার জীবন অফিস জীবন সবই এলোমেলো হয়ে যায় । ক্ষ্যাপা কখনো এর বাসায় কখনো ওর বাসায় আশ্রয় নেয় । কিন্তু ক্ষ্যাপা এটা চায় নাই । সে চাইছিলো উইন উইন সিচুয়েশনে সেক্স্যুয়াল একটা সম্পর্ক । কিন্তু সেটা ধর্ষণের মতন ভয়াবহ অভিযোগে রূপ নেয় ।
অনলাইনে ক্ষ্যাপার ভক্তমুরিদেরা ক্ষ্যাপারে গালাগালি করতে শুরু করলো ক্ষ্যাপার সামাজিক এবং অনলাইন ইজ্জত মূহুর্তের মধ্যে ধ্বংস হয়ে গেলো । ক্ষ্যাপা বুঝতে পারছে না তার এখন কি করা উচিত ! সে সিদ্ধান্ত নিলো একটা ভিডিও বক্তব্য দেওয়ার কিন্তু সেই বক্তব্য যে এবিউস হবে না তার নিশ্চয়তা পেলো না তাই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলো । তার এখন একটাই লক্ষ্য তার বউরে আগে ঠিক করার । কারণ ওঠাই তার মূল এবং আসল । বাদবাকি সবই ফ্যান্টাসির ! কিন্তু বউরে কি আর সহজে ম্যানেজ করা যাবে যেখানে নুনু কাটি দেওয়ার হুমকি আছে !
ক্ষ্যাপা রিয়েলাইজ করে , আইনের অপব্যবহার কীভাবে একটা সুন্দর গোছানো জীবনকে এলোমেলো করে দিবার পারে । তার মনে হয় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা নেওয়া মানে প্রকৃত ধর্ষিতার সাথে তামাশা ছাড়া অন্য কিছুই নয় । সেতো মেয়েটিকে ধর্ষণ করে নাই । মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেক্সতো দূরের কথা গায়েও হাত দেয় নাই ! সেখানে আজ সকলেই ক্ষ্যাপাকে একজন ধর্ষক বইলা জানছে আর মেয়েটিকে সবাই ধোয়া তুলসীপাতা বইলা মনে করছে । ক্ষ্যাপার ভীষণ আপসোস হইতে থাকে !
ক্ষ্যাপা তার ফেইসবুক ওয়ালে একটা স্ট্যাটাস দেয় , বেশ্যাদের নগরে আমি এক পেশাদার খদ্দর আর তোমরা সবই ফেরেস্তা কিংবা জুমা মসজিদের পেশ ঈমাম।

পহেলা মে , ২০২১
সময়ঃ ৪ঃ৩৬ মিনিট ।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent!

২| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ৮:৩৬

শাহ আজিজ বলেছেন: দারুন , জোশ হইছে :-B

৩| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ৮:৫৬

সোনালি কাবিন বলেছেন: :| :| #:-S

৪| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ৯:০৮

জগতারন বলেছেন:
সত্যি বলতে একেক মানুষ একেক ভাবে টাকার কুমির হয়ে থাকে।
এর মধ্যে সবাই নয়, কিছু প্রসাসনিক, কিছু রাজনৈতীক কর্মকর্তা,
কিছু মাদক ব্যবসায়ি এবং কিছু মাত্র ধর্ম ব্যবসায়ি।
এরা তখন বিবেক ও চিন্তাশীল মন হারায় এবং বিপথগামী হয়।
পরে যখন "ধর্মের কল বাতাসে নড়ে" তখন সকলে জানতে পারে।

৫| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ৯:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি একজন মেয়েকে নিয়ে খৈয়াছরা ঝর্ণা দেখতে গিয়েছিলেন, উনাকে বিয়ে করেছেন?

০১ লা মে, ২০২১ রাত ৯:৩৬

জিপসি রুদ্র বলেছেন: আমি অনেক মেয়েরেই নিয়ে গেছিলাম কিন্তু বিয়ে করেছি সেখান থিকা একটারে । সবাইরেতো আর বিয়ে করতে পারবো না ! যদিওবা চারটা বিয়ের সুযোগ আছে কিন্তু এই সুযোগ আমি নিতে চাই না ।

৬| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ৯:৩৯

শেহজাদী১৯ বলেছেন: যদিও অনেক অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তবুও এই লেখা অতি বাস্তব এবং অসাধারণ হয়েছে। আমি এই লেখাকে সর্বোচ্চ নাম্বার দিলাম।

এমনই হচ্ছে আমাদের চারপাশে আজকাল। নৈতিকতার অবক্ষয়। সমাজে বিশৃঙ্খলা। মানসিক সামাজিক অশান্তি। তবুও এটাই এখনকার বাস্তবতা।

৭| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসাধারণ !! মেয়েরা এমন কেন হয়?
আমার স্মৃতি যদি বিট্রে না করে
তা হলে নির্দিধায় বলতে পারি
এ গল্পটি আমি আগেও একবার
পড়েছি। সেটা কি আপনার লেখা
ছিলো?

৮| ০২ রা মে, ২০২১ রাত ১২:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেশে আইন আছে মনে হলো । ক্ষ্যাপা পাইসা যাইবো। প্রকৃত ধর্ষিতরা খেতা সেলাই করবো আর কী

৯| ০২ রা মে, ২০২১ রাত ১২:৩৮

বিড়ি বলেছেন: দুর্দান্ত

১০| ০২ রা মে, ২০২১ রাত ২:২২

শাহীন্ বলেছেন: বেশি অপ্রিয় সত্য

১১| ০২ রা মে, ২০২১ দুপুর ১২:০৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সত্যগুলো সুন্দর করে লিখেছেন যদিও অশ্লিলতা আছে লেখায়।

ঠিক বাস্তবতা এই

১২| ০২ রা মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

নতুন বলেছেন: দেশে বয় ফ্রন্ড গাল ফ্রেন্ড বলে দাবি করে।

কিন্তু ব্রেক আপের পরে ধর্ষন করেছে বলে মামলা করে। আর আমাদের দেশের আইনে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষন একটা জিনিস।

এই আইনের পরিবর্তন সময়ের দাবি।

১৩| ০২ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

সুমন জেবা বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন । সুন্দর লেখনীতে সমাজের বর্তমান চিত্রটা তুলে ধরেছেন।

১৪| ০২ রা মে, ২০২১ বিকাল ৫:০০

কল্পদ্রুম বলেছেন: গল্পের মেয়েটি যে অবস্থান থেকে সম্পর্ককে সাসটেইনেবল করতে চেয়েছে। সেক্ষেত্রে তাকে খুব একটা দোষ দেওয়া যায় না। শরীর প্রেমি,মদবিনিময়কারী,স্টিকখোর ক্ষ্যাপার স্ত্রী ভীতি দেখে ভালো লাগলো। লোকটা অন্তত সংসারী।

মেয়েটা যে পথে গেলো সেটা অন্যায়। তবে এই কারণে ক্ষ্যাপা যে সামাজিক ও অনলাইন মেড আপ ইজ্জত নিয়ে টিকে ছিলো। সেটা অন্তত আলগা হলো। দাগ থেকে দারুণ কিছু হলে দাগই ভালো। অন্তত ক্ষ্যাপার মতো পাব্লিকের জন্য এটা ঠিক আছে।

আইনের সঠিক প্রয়োগ জন্যেই "বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ" এই ধরণের আইনগুলোকে আরো স্পষ্ট করা উচিত।

গল্পে +

১৫| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েগুলি হয়ত বোকা, হয়ত লোভী, হয়ত উচ্চভিলাসী, হয়ত পরিস্থিতির স্বীকার কিংবা হয়ত অভাবের তাড়নায় এই অন্ধকার পথে পা বাড়ায়। কিন্ত সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সবাই মানুষ। বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার।

১৬| ১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


যতদূর জানি এই আইনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। সম্ভবত ১৮ বছরের উপরের কেউ যদি বিয়ের প্রলোভনে সেক্স করে তবে সেটা ধর্ষণ হবে না।

এখনও পুরোটা জানা হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.