![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
গত কয়েকদিন আগে একটি পোষ্টে লিখেছিলাম “সম্ভাবনার বাংলাদেশ ও কিছু দুর্ভাবনা। সত্যি বলতে সেদিন যা লিখেছিলাম তা বাস্তব ও সত্যের নিরীখে হলেও আজকের বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে যে উপকরণগুলো লক্ষ্য করি মূলত সেসব উপকরণগুলো গত হয়ে যাওয়া জগৎ বিখ্যাত মনিষীদের মাঝেই লক্ষ্য করা যেত। আপনাদের বিশ্বাস হচ্ছে না কথাগুলো ...!?
গত কয়েক বছর ধরে দেখে আসতেছি, সেসব বিশ্বখ্যাত, নন্দিত ব্যক্তিদের সদৃশ কাজকর্ম, কথাবার্তা এবং নিত্ত-নতুন আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে অতিক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি দিন! বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী “নিউটন” এর আবিষ্কৃত সূত্রের কথা নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের? ঠিক সেই সূত্রের আদলে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় একজন ব্যক্তি আবিষ্কার করলেন “বিষফোঁড়” নামক সূত্র! অর্থাৎ যে কারণে গাছের ফল উপরে না গিয়ে নিচে পড়ে ঠিক একই কিংবা তার বিপরীত কারণে “বিষফোঁড়” এর অবতারণা করা হয়েছে।
অতঃপর বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী “আর্কিমিডিস” এর “হিট রে” আবিষ্কারের কথা মনে আছে আপনাদের ঠিক একই কিংবা তার বিপরীত কার্যভেদে প্রবাবিত আবিষ্কারের নাম “অর্বাচিন”! এর আবিষ্কারের মালিক আমাদের গর্ব করার মত দেশ বাংলাদেশ। মূলত এই সূত্রের মাধ্যমে যে কাউকে আপনি ছোট করে দিতে পারবেন খুব সহজেই! বলা যায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাউকে মাপার একমাত্র সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে “অর্বাচিন”!
“বিদ্যু ” আবিষ্কারের জনক “মাইকেল ফ্যারাডে” এর কথা নিশ্চয় আপনাদের সকলের মনে আছে? তিনি যদিও বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেই তার কাজ শেষ করেছেন কিন্তু এই বিদ্যুৎ কিভাবে উন্নত থেকে আরো বেশি উন্নত পন্থায় ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তার যথাযথ প্রয়োগ তিনি আবিষ্কার করেন নি!! তাতে কি হয়েছে, পরবর্তী সময়ে চোখ ধাঁধাঁনো এবং আশ্চর্য হওয়ার মত আরো বেশি উন্নত থেকে উন্নতর প্রযুক্তি আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশেরই অন্য দুই সহদর (দলীয়ভাবে সম্পর্কিত) “ফ.খা এবং ইমাম” সাহেব। তাদের আবিষ্কৃত এই প্রযুক্তির নাম দেয়া হয়েছে “কুইক রেন্টাল”! যদিও এই নামটি ডিজিটাল শব্দের সাথে মিল রেখে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে! এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের পকেট ফুটা করা যায় খুব সহজেই বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির গর্বিত মালিকও আমাদের বাংলাদেশ।
এরই ধারাবাহিকতায় আমরা পেলাম নতুন আরেকটি মাইলফলক সূত্র “ধাক্কা তত্ত্ব”! আর এই অসাধারণ তত্ত্বটি আবিষ্কার করেন আমাদেরই দেশের আরেক গুণী ব্যক্তিত্ত্ব “মখা” সাহেব। তাঁর এই অসাধারণ তত্ত্বটির প্রয়োগ যথাযথ ভাবে করতে পারলে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে কিছুটা হলেও মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে! আমাদের দেশ সাধারণত নদী-মাতৃক হওয়ায় “ধাক্কা তত্ত্ব” এর প্রয়োগ যথাযথ করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। জল তুমি যতই চাপা-চাপি করো, কনো লাভ নাই; আমাদের আছে তোমার চেয়ে শক্তিশালী “ধাক্কা তত্ত্ব”! আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, অচিরেই আগামী প্রজম্ম এই “ধাক্কা তত্ত্ব” এর সুফল ভোগ করবে।
বিশ্ব ভূমন্ডলে আমরা “এরিস্টটল” “অটাম” “ফিলা” “পটেনশিয়াল এন্ড এক্সুয়ালিটি” এর অবদানের কথা ভূলতে পারবোনা এছাড়া তিনি বিশ্ব দরবারে তাঁর অবিশ্বরণীয় বানীর মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন হাজার বছর। এরই ধারাবাহিকতায় আমরাও ফিরে পেলাম আরেকজন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত “এরিস্টটল”। যিনি নিজেও “এরিস্টটল” এর আদলে একজন দার্শনিক হিসেবে বিবেচিত। এবং নতুন প্রজম্মের এই “এরিস্টটল” ও বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি আমাদের জন নন্দিত প্রিয় ব্যক্তিত্ব “ফাটা কেষ্ট এমএলএ”। আমরা উঁনাকে নিয়ে গর্ব করি।
বর্তমান পৃথিবীর সেরা পদার্থবিদ ও বিজ্ঞানী বলা হয়ে থাকে “জন হপকিনস” কে। তিনি যদিও বেঁচে আছেন বলে তাঁকে নিয়ে এতো বেশি মনোযোগী বিশ্ব নয়; তথাপি আমরা কিন্তু আমাদের “জন হপকিনস” কে নিয়ে বেশ চিন্তিত! ইদানিং তিনি পরিবেশ নিয়ে তার যোগপযোগী বাণী দিয়ে পুরো দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এমন কি খোদ অন্যান্য দেশ থেকে চিঠির মাধ্যমে সেই বাণীর সমালোচনা করা হয়েছে। অন্যরা কি বলে তাতে কি এসে যায়!? আমরা তাঁর এই পরিবেশ উপাযোগী (তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী) বাণী গ্রহন করে পৃথিবীর বৃহৎ ম্যানগ্রোভ খ্যাত সুন্দরবন ধ্বংসে এক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। আপনার এই মূল্যবান সময়োপযোগী বাণী জাতি চিরকাল মনে রাখবে। যদিও তিনি এর আগে আরেকটি সূত্র “গরু ও ছাগল” আবিষ্কার করে সারা দেশে ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। আমরা আপনার এই অমূল্য সব আবিষ্কারের কথা কখনো ভূলবোনা।
মনে রাখার মতো আরেকটি আবিষ্কার এর নাম “চুল উপড়ে যাবে” সংক্ষেপে “চুল তত্ত্ব”! আমরা কম বেশি জানি, অভিকর্ষ ও মহাকর্ষ শক্তির ব্যাপারে। ঠিক সেই সূত্রের আদলে প্রতিষ্ঠিত নতুন এই “চুল তত্ত্ব”। মহাকর্ষ শক্তি এবং অভিকর্ষ শক্তি যেমনি পরষ্পর বিপরীত এবং প্রত্যেকে তার নিজের কেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট করে প্রতিটি বস্তুকে। বলা হচ্ছে “চুল তত্ত্ব” একধাপ এগিয়ে উন্নতি সাধন করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে “চুল” যতই ডিজিটাল মেশিন লাগিয়ে টানা হচ্ছে তবুও একটি “চুল”ও তার কেন্দ্রচ্ছুত হচ্ছে না! বরং বিপাকে পড়ে যাচ্ছে “চুল” টানা ডিজিটাল মেশিনগুলো! হয়তো “চুল তত্ত্ব” নিয়ে আরো বেশি গবেষণা করে তারপর তা প্রকাশ করা বাস্তব সম্মত হতো বলে বিশিষ্টজন ও গুণীব্যক্তিরা কহেন! আমরা আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তা সম্ভব হবে কারণ বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় দেশ।
মূলত দেখা যাচ্ছে, এত সব গুণী ব্যক্তিদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াসগুলো কাজে লাগিয়ে, এখন দেশ কিংবা জাতি কি পেল; আর না পেল, তাতে কিছুই যায় আসেনা কিন্তু গোষ্ঠীরা ঠিকই লাভবান হচ্ছে!!! তাই এতসব আবিষ্কারের প্রতি, দেশের সকল স্তরের মানুষেরা শ্রদ্ধা ও সম্মান বাড়িয়ে দেয়া উচিত! উঁনাদের আবিষ্কৃত “তত্ত্ব”গুলির সঠিক পরিচর্যা করে এদেশের মানুষ আরো বেশি ডিজিটালীয় কায়দায় উন্নতি করবে বলে মনে করি! এবং উঁনারা যেনো পৃথিবীজুড়ে বিশ্বখ্যত সেসব ব্যক্তিদের মতো নিজেদের স্থান করে নিতে পারেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
©somewhere in net ltd.