![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
একজন প্রধান পরীক্ষক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতায় 19 শিক্ষার্থীকে 74 নম্বর করে দিয়েছেন। এর পরে তাকে তার উপরস্থ কর্মকর্তা তলব করেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন তিনি 19 ছাত্রছাত্রীকে 80 নম্বর করে দিলেন না!? পরীক্ষক বিনয়ের সাথে জানিয়েছেন, 74 নম্বর দেয়া হয়েছে খুব কষ্ট করে। আসলে তারা 74 পাওয়ারই উপযুক্ত ছিল না। তাই আর নম্বর বাড়ানো গেলনা। কিন্তু তার পরও তাকে 80 নম্বর দেয়ার জন্য চাপ দেয়ায় এর পর থেকে ওই পরীক্ষক খাতা দেখা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন!
আরেকজন প্রধান পরীক্ষক বললেন, বছর তিনেক আগে উচ্চমাধ্যমিকে খাতা বিতরণের আগে তাদেরকে ডেকে বৈঠক করা হয় বোর্ড অফিসে। বৈঠকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তারা তাদের সবাইকে একটি করে খাতা দিয়ে তাতে নম্বর দিতে বলেন। পরীক্ষকেরা খাতা মূল্যায়ন করে যার যার মতো করে নম্বর দিয়েছেন। যারা খাতায় কম নম্বর দিয়েছেন, তাদেরকে তীব্র ভাষায় তিরষ্কার করে একজন কর্মকর্তা বলেন, নম্বর কি আপনার বাপের!? নম্বর দিতে এতো কষ্ট হয় কেন!? হাতখুলে নম্বর দিতে হবে। নম্বর বেশি দিতে না পারলে খাতা দেখবেন না!!?
এক সময় এক পরীক্ষক বলে বসলেন, স্যার শিক্ষার্থীরা না লিখলে আমরা কিভাবে নম্বর দিবো খাতায়। আমগাছ লিখতে বলায় যদি সে বটগাছ লিখে, তাহলে নম্বর দেই কী করে?
তখন কর্মকর্তারা তাদের ধমক দিয়ে বলেন, গাছই তো লিখেছে! দেখতে হবে গাছ সম্পর্কে ঐ শিক্ষার্থীর ধারণা আছে কিনা!!? মূল কথা এটা একটা গাছ তা বুঝতে পেরেছে কিনা!? আমগাছ না বটগাছ সেটা কোনো বিষয় না। গাছ ছিনলেই হলো!!!
শিক্ষকেরা আফসোস করে বলেন, আগের দিনে খাতায় বেশি নম্বর দিলে প্রধান পরীক্ষক ডেকে জিজ্ঞাসা করতেন, এত নম্বর পেলো কিভাবে? আর এখন নম্বর কম দিলে ডেকে পাঠানো হয় কম কেনো দেয়া হলো!?
এই যদি হয় বর্তমান শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর কর্মকর্তাদের শিক্ষা বিষয়ক নিয়ম কানুন তাহলে একশত ভাগ পাস হবে ঠিকই কিন্তু তার মধ্যে একভাগ কর্মক্ষেত্রে তার পেশাদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৬
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ ইমতিয়াজ ভাই। আপনার সহমত প্রকাশ করার জন্য।
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
আহলান বলেছেন: হ্যা ...ঘটনা সত্য ... সবখানেই রাজনীতি ...কাদের স্বার্থে ...কিসের স্বার্থে ....
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
রুপম হাছান বলেছেন: শুধুমাত্র নিজের স্বার্থে কারণ নিজের পরিবারেও যে ছেলে মেয়ে আছে। তাদের কে তো আর অশিক্ষিত করে রাখা যায় না কিংবা শিক্ষিত হয়েও বেকার থাকাও যুক্তি সংগত নয়। তাই।
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: এ সংক্রান্ত আমার একটা পোস্ট আছে-29999190
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
ইমরুল_কায়েস বলেছেন: "তখন কর্মকর্তারা তাদের ধমক দিয়ে বলেন, গাছই তো লিখেছে! দেখতে হবে গাছ সম্পর্কে ঐ শিক্ষার্থীর ধারণা আছে কিনা!!? মূল কথা এটা একটা গাছ তা বুঝতে পেরেছে কিনা!? আমগাছ না বটগাছ সেটা কোনো বিষয় না। গাছ ছিনলেই হলো!!!"
#গরু চিনিলেই যেমন লাইসেন্স#
"শিক্ষকেরা আফসোস করে বলেন, আগের দিনে খাতায় বেশি নম্বর দিলে প্রধান পরীক্ষক ডেকে জিজ্ঞাসা করতেন, এত নম্বর পেলো কিভাবে? আর এখন নম্বর কম দিলে ডেকে পাঠানো হয় কম কেনো দেয়া হলো!?"
# আগে কম দিছেন এখন বেশি দিয়া পোষায়া দেন। শোধ বোধ#
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ ইমরুল ভাই। সত্যি মজার কান্ডই হইতেছে বর্তমানে। হা হা হা।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
মোগল সম্রাট বলেছেন: এই জন্যই তো এখন স্কুলের চেয়ার টেবিল ও পাশ করে তাও আরার জিপিএ-৫ পাইয়া....
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪০
রুপম হাছান বলেছেন: হানড্রেড পারসেন্ট পাস বাট হানড্রেড পারসেন্ট ফাঁস। হা হা হা।
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
অপ্রতীয়মান বলেছেন: ধরে ধরে মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে, আর নিরুপায় অভিভাবক তাতেই সায় জানিয়ে যাচ্ছে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব। মেরুদন্ড সোজা রাখার দায়িত্ব যে জনপ্রতিনিধির। তাই ভেঙ্গে যাওয়াই সাভাবিক। তবে পরিত্রাণ চাই। হা হা হা।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
সুমন কর বলেছেন: চরম সত্য কথা বলেছেন। সহমত।
শিক্ষকেরা আফসোস করে বলেন, আগের দিনে খাতায় বেশি নম্বর দিলে প্রধান পরীক্ষক ডেকে জিজ্ঞাসা করতেন, এত নম্বর পেলো কিভাবে? আর এখন নম্বর কম দিলে ডেকে পাঠানো হয় কম কেনো দেয়া হলো!?
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই। প্রতিটি মানুষের রয়েছে তার একটি জাগ্রত বিবেক ও একটি ঘুমন্ত বিবেক।
কিছুক্ষেত্রে আমরা বেশির ভাগই ঘুমন্ত বিবেকের কর্মগুলিই বেশি চর্চা করে থাকি। যা চলছে এখন। তবে জাগ্রত বিবেকের গতি বাড়াতে হবে। তাহলে হয়তো পূর্বের ন্যায় ফিরে যাওয়া যাবে।
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৭২ এর পাশ বা ৭২ এর ব্যাচ বলে একটা কথা চালূ ছিল সে সময়!!!
এবারও জয়বাংলারা পাসের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে!!!
আফসোস ভাল ছাত্ররাও সেই জয়বাংলা পাসের ট্যাগিংয়ে পড়ে যাবে!!!!
শিক্ষা ব্যবস্থার বারটা বাজানো শূধূ তাৎক্ষনিক ক্ষতি নয়- পুরা বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে মেধাশূন্য করার সদূরপ্রসারী চক্রান্ত!
যা বাস্তবায়ন করছে শিক্ষামন্ত্রী আর বর্তমান অনির্বাচিত সরকার!!! আফসোস!!
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব। তবে এর পাশাপাশি নিজেদেরকেও স্বোচ্চার হতে হবে। কারণ ভালো খারাপের তফাৎ যদি বুঝতে সক্ষম হই আমরা তাহলেই কেবল খারাপটাকে বাদ দিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব। আমরা আশাবাদী। আগামী দিন অবশ্যই ভালো কিছু করবে আমাদের প্রজম্ম।
৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দুঃখজনক ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব। সত্যিই দুঃখজনক।
১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: পুরা সিস্টেমে এখন ভয়াবহ অবস্থা। শিক্ষা এখন আর শিক্ষা নেই, পুরোটাই বাণিজ্য।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ রাতুল ভাই। এইসব কুকর্ম থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় তা উল্লেখ করেন। হা হা হা।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: সহমত