নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-প্রতিবাদের রকমফের-

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

যুগে যুগে মানুষ তার নায্য দাবী আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের অভিনব কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। কখনো বা করেছে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আবার কখনোইবা করেছে নীরব প্রতিবাদ। হয়তো সেই সংগ্রাম কিংবা প্রতিবাদ ছিলো ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা জাতিগত আবার কখনোই বা রাষ্ট্রীয়। কখনোইবা আবার সেই প্রতিবাদ আলোর মুখ দেখেছে আবার হয়তোবা দেখেনি। কিন্তু তাতে কি, সময়ের সাথে সাথে মানুষ তার প্রতিবাদের ভাষা কিংবা কৌশলেও এনেছে ভিন্নতা।

আমরা দেখেছি, মানুষ যখন তার কিংবা তাদের মৌলিক চাওয়া-পাওয়াগুলো খুব সহজে হাতের নাগালে পায় না অথবা তার কিংবা তাদের সেই চাওয়া-পাওয়াগুলো কোনে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রযন্ত্র বন্ধ করে দেয়, ঠিক তখনই মানুষ তার নায্য প্রাপ্য ফিরে পেতে সোচ্ছার হয়ে উঠে। আর সেইসব প্রতিবাদের মধ্যে রয়েছে যেমন-সরাসরি সংগ্রাম (রক্তক্ষয়ী), কখনো রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন, কখনো যে যেখানে আছে নির্ধারিত সময়ে ঠিক নির্ধারিত সময়ের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া, কখনো খোলা মাঠে বসে পড়া, কখনো রাস্তায় শুয়ে, কখনো ফুটপাতে বসে, কখনো না খেয়ে কোথাও অবস্থান গ্রহণ করা, কখনো বিরতিহীনভাবে লোকালয়ে গানবাজনা করা, আবার কখনোবা শরীরে বিভিন্ন অংশে চিত্রাংকন বা কিছু লিখে নির্ধারিত যায়গায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানায়, ঘটে যাওয়া বা ঘটতেছে এমন সব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে।

গত 3রা মার্চ 2015ইং তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে দেখলাম এবং খবরে বেশ ভালোভাবে ফলাও করে বললো, দেশের চলমান সমস্যাগুলি থেকে উত্তোরণের জন্য ভিন্নতর এক প্রতিবাদীর কৌশল সম্পর্কে। জালাল উদ্দিন মজুমদার নামে ষাটোর্ধ্ব এক বয়স্ক ব্যক্তি গাছে উঠে বর্তমান দেশের সংকট নিরসনে গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য 24ঘন্টার এক কর্মচূসী পালন করেন। যেখানে লিখা ছিল 16কোটি মানুষ এই মাটিতে দাঁড়িয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। ভোটের অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ তার নিজের জীবন বাঁচিয়ে রাখার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। অন্যায় অবরোধ-হরতাল দিয়ে মানুষের জীবনে সংকীর্ণ করে ফেলেছে। ক্রসফায়ার এবং পেট্রোলবোমার আঘাতে মানুষ তার বেঁচে থাকার স্বাভাবিক নিশ্চয়তাও হারিয়ে ফেলেছে। আর এসব হয়েছে কেবলমাত্র দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত বলে। যদিও লোকটি নিজেকে একজন দার্শনিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলো।

লোকটি একটি হ্যান্ডমাইক নিয়ে গাছে উঠেই নিজেকে একটি ডালের সাথে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে তালা লাগিয়ে চাবি অন্য একটি লোককে দিয়ে দেন। যাতে করে লোকটি নিজ ইচ্ছায় গাছ থেকে নিচে নামতে চাইলেও যেনো না নামতে পারেন। অন্যদিকে তিনি আরো বলেন, গাছে থাকাবস্থায় কেউ বাঁধা দিলে জনগণের সামনেই দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের গুলিকে ভয় করেন না, পুলিশ চাইলে তাকে গ্রেফতার করতে পারে কিন্তু গুলি করলে জনগণের সামনে মারতে হবে। গুলি করে হত্যা করা হলে তা গাছের সাথে ঝুলে থাকবে কারণ চাবি তো অন্যলোককে দিয়ে দিয়েছে। যা দেশের 16কোটি জনগণ দেখবে।

বিশেষ মন্তব্য : ইতিহাসে কৌতুকের কিংবা প্রতিবাদের সর্বপ্রথম আবিষ্কারক কে, কোন জাতি কিংবা কোথাকার লোক সেই ব্যাখ্যা আমার জানা নাই। তবুও মনে হচ্ছে ঐসকল কৌতুক বা হাস্যরস কিংবা প্রতিবাদ যেখান থেকে শুরু হোক না কেন এর ভিন্নতা এই দেশের মানুষ তথা বাঙ্গালী জাতিই এনেছে বলে বিশ্বাস করি। চিন্তা হয় এই জাতির জন্য- মহান বিধাতা এই দেশের মানুষকে কোন যায়গার মাটি দিয়ে তৈরি করেছেন!, যারা একাধারে বিদ্রোহী আবার সেই বিদ্রোহের অভিনব প্রতিবাদকারীও বটে। (অবশেষে প্রতিবাদকারী আটক)!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৩৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার অজ্ঞাত একটি ভিন্নধর্মী অথচ গুরুত্ববহ তথ্য শেয়ার করার জন্য।

শুভকামনা জানবেন।

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব মবীন ভাই। আপনি সব সময় আমার পোষ্টটি কষ্ট করে পড়ে একটি মন্তব্য উপহার হিসেবে দিতে ভুলে যান না।

আপনাকে ও শুভকামনা জানাই পরবর্তী পোষ্ট পর্যবেক্ষণ করার জন্য।

পুণরায় ধন্যবাদ। লাইকস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.