নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-বাংলাদেশ ও আমেরিকা - : অতঃপর ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত সবখানে-

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

দেশে-
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক প্রবাসী সিলেটিদের সমাবেশে নিউ ইয়র্ক-সিলেট সরাসরি বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট চালুর দাবি প্রসঙ্গে বলেছেন, সিভিল অ্যাভিয়েশন বিমানবাহিনীর লোকজন চালায়, তারা লাভ-লোকসান বোঝে না। তিনি এটা বলে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। বিমানবাহিনী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। তারা দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে ‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত’ এই স্লোগানে ব্রতী থেকে দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিদেশ থেকে এমডি আসার পরও এ প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করা যায়নি। এর কারণ, প্রভাবশালী ট্রেড ইউনিয়ন। অনেকে অফিসার না হয়ে, প্রমোশন না নিয়ে, ট্রেড ইউনিয়নে সম্পৃক্ত থাকেন দীর্ঘকাল। তাহলেই ‘লাভ’ বেশি। নিউ ইয়র্ক-সিলেট ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছিলো জিএসএ’র কাছে কোটি কোটি টাকা অনাদায়ী থাকার কারণে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে বিমানের ‘জিএসএ’র কাছে কত পড়ে রয়েছে, তার হিসাব কে নেবে? এভাবে পুরো জাতির ঘাড়ে এখন বিশাল বোঝা। নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক জাহাজ বিএনএস আলী ওসমানকে সোর্ড অব অনার দান করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই জাহাজ সারা বিশ্বে শান্তিমিশনে কাজ করে সুনাম বয়ে এনেছে। এ আমলে নামে-বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় ব্যাংক থেকে লোপাট করা হয়েছে। দেশ ও জনগণের টাকার এভাবেই শ্রাদ্ধ হয়। এই টাকাগুলো কি কোনো দিন ব্যাংগুলো ফিরে পাবে? গোয়েন্দা সংস্থা কি তাদের নিত্যদিনের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব বাদ দিয়ে এত দিন শুধু জি হুজুর, জি ম্যাডাম সব ঠিক আছে বলে তোষামোদের চাকরি করেছে? একদিন জাতির কাছে সব কিছুর জবাব দিতে হবে। মন্ত্রীদের বেফাঁস মন্তব্য, ধর্ম ও হজ নিয়ে অন্যায় মন্তব্য যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের সাথে আজ এ দেশের সম্পর্ক খারাপ। জনাবদের জানা উচিত, ফার্স্ট ক্লাস ফাস্ট হলেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে চালানো এবং শেয়ারবাজার গতিশীল করা সহজ হয় না।

অতঃপর বিদেশে-
বাংলাদেশের সুনাম ছিল মেহমানদারিতে। অথচ আমাদের মন্ত্রীরা এখন তাদের দিচ্ছেন গালি বেশুমার। কোনো মন্ত্রীর নিজের মন্ত্রণালয়ের বিষয়ের বাইরে গিয়ে কথা বলা উচিত নয় বলে মনে করি। বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য পররাষ্ট্রনীতি, তথা আমেরিকার মতো দেশের সাথে সুসম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ ও আমেরিকায় গিয়ে সফর করে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন দেশের মানুষকে, সে দেশে যাওয়ার ও ইমিগ্রেন্ট হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। সে দিক থেকে বাংলাদশের রয়েছে বিরাট সুযোগ। অথচ সেখানে আমাদের কর্তাব্যক্তিরা সেসুযোগ না নিয়ে তার পরিবর্তে ফাঁক পেলেই বেফাঁস কথাবার্তা বলা বা গালি দেওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন। এখানে তৃতীয় একটা দেশ পরোক্ষভাবে জড়িত বলে অনেকের সন্দেহ। কথিত আছে, একটি দেশকে কয়েক বছর আগে আমেরিকা নাকি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়াদি দেখার ভার দিয়েছিল। আমেরিকা পিস সাপোর্ট অপারেশরেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে কাজ করছে। এছাড়া এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আমেরিকার নৌবাহিনীর শক্তিশালী উপস্থিতিও রয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাকে ‘কাজের মেয়ে মর্জিনা বলা হয়েছে। আর নিশা দেসাইকে বলা হয়েছে ‘দুই আনার মন্ত্রী’। অথচ গার্মেন্টস এর লাখো নারীশ্রমিক যে আক্লান্ত পরিশ্রম করেন, তা-ও আমেরিকা ঠিকিই দেখে। গার্মেন্টেসের যে কোটাভিত্তিক জিএসপি সুবিধা, তাও আবার আমেরিকার খুশির উপর নির্ভরশীল। অথচ আমাদের সম্মানিত কর্তাব্যক্তিরা বুঝতেই চাইছেন না যে, দাতার সাথে খারাপ সম্পর্কের কারণে আমাদের জাতীয় অর্থনৈতিক অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে! তাই মহান আল্লাহ পাক এর দরবারে এই দেশের ষোলকোটি জনসাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যেনো তিনি গুটি কয়েক ব্যক্তির জন্য খেটে খাওয়া ষোলকোটি জনসাধারণ মানুষকে কষ্ট না দেন। আমিন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: এই সব মন্ত্রীরাই দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করে।

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২৯

রুপম হাছান বলেছেন: রাজ্য যখন শিয়ালের তখন মুরগী ভালো থাকার চিন্তা করে লাভ কি!?

ধন্যবাদ ভাই, ভালো কথা বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.