নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-আই অ্যাম একদম টেনশিত-

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

শিরোনাম দেখে টাস্কিত কিংবা বিস্মিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এজাতীয় রাবিশ-গোবাশ ভাষা প্রায়ই আমাদের ওপর মহল থেকে আমদানি হয়। চার দিকে এখন বাংলিশের জোয়ার। বাংলার ফাঁকে কেউ ইংলিশ মারতে না পারলে তাকে ধরা হয় ইহজগতের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষেত অ্যান্ড এনালগ পারসন হিসেবে। ডিজিটাল সাজতে হলে কথার ফাঁকে একটু-আধটু ইংলিশ মারাই লাগে। তবে বাংলিশের এ ব্যাপারটা নিয়ে আই অ্যাম একদম ফেডাপ অ্যান্ড হতাশ। ঘটনা হরতাল এবং অবরোধ নিয়ে। অবরোধ কোনো নতুন ঘটনা নয়। তবে এমন ঘটনার মধ্যে একটা কাহিনী ঘটেছে আমার বন্ধুকে নিয়ে। খুব কাছের এক বন্ধুর বিয়েশাদির কথা চলছে। চলমান অবরোধ শুরু হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে মেয়েপক্ষ ছেলে দেখতে এলে ছেলেকে কিছু দেয়ার তেমন একটা রেওয়াজ না থাকলেও তারা বন্ধুর হাতে হাজার টাকার একখান কচকচে নোট ধরিয়ে দেয়। বন্ধু তো মহাখুশি। সাথে দেখে আমিও। তাই দেখে, নিজেকে সামলাতে আর না পেরে; বন্ধুকে বিভিন্ন কিসিমের হুমকি-ধমকি দিয়ে হাজার টাকার সেই কচকচে নোটটার কিছু অংশ (খুচরা করে) তখনই আমার দখলে নিয়ে নিই। হুমকির মধ্যে ছিল-হবু ভাবীর সকল আত্মীয়-স্বজনকে তোর সবকিছু বলে দেবো, (আগে পাছে যা কিছু তুই করছিস, দুর্বলতা বলতে যা বুঝায় ঠিক তেমন কিছু) ইত্যাদি ইত্যাদি। আর যাই কই, বন্ধু তা শোনে হেব্বি ডরান ডরাইছে। তড়িঘটি করে আমাকে দ্রুত হাজার টাকার কচকচে নোটটার ভাগ দিয়ে দিয়েছে; যখন টাকাটা খুচরা করা হচ্ছে তখন বন্ধুর সেই মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে আমারও মায়া হচ্ছিল। কিন্তু কি আর করার, না পেলে যে, আমারও খারাপ লাগবে! যাই হোক, এরপরেও সব ঠিকঠাকই চলছিলো। আমরা মেয়ে দেখতে যাওয়ার সব আয়োজন যখন সম্পন্ন ঠিক সেই মুহুর্তেই অবরোধ নামক সন্ত্রাসটা বন্ধুর জীবনে এসে হানা দেয়।



সেই থেকে আজ পর্যন্ত বন্ধুর বিয়ের কোনো নামগন্ধও নেই। গত কয়েক দিন আগে বিয়ে এবং অবরোধ নিয়ে বন্ধুর অনুভূতি জানতে চাইলাম। বন্ধুর অনুভূতি শুনে আমার চোখ রীতিমতো কপালে ওঠার জোগাড়! তার সোজাসাপটা উত্তর, বিয়ার গোষ্ঠী কিলাই! টানা অবরোধ চলতে থাকুক! এসব বিয়াটিয়ার দরকার নাই! হঠাৎ কী হলো কে জানে। আমি ১৮০ডিগ্রি বিস্ময় নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম-কি রে দোস্ত! তুই বিএনপিতে যোগ দিয়েছিস কবে!? বন্ধু উত্তরে বলল, ‘ফাইজলামি করিস না তো’! আমি রাজনীতি করতে যাব কেন? তুই আমার বন্ধু হয়ে শুধু শুধু খোঁচা দিয়ে ঝগড়া করার উপায় খুঁজিস কেনো? একেতো অবরোধ, মহাচিন্তাই পড়েছি বৈকি; না জানি সেই মেয়ে এর চেয়েও ভয়ংকর হয় কি না! তাহলেও তো জীবন টা তেজপাতা হয়ে যাবে। আর যদি ভালো হয় তারও বা গ্যারান্টি কি? মেয়ে মানুষ এনে আজীবন অবরোধের আওতায় পড়ার চেয়ে বিএনপির ক্ষণিকের অবরোধই ভালো! অন্তত আজীবন অবরোধটা তো বিলম্বিত হচ্ছে! বন্ধুর দীর্ঘ লেকচার শুনে আমি চোখ বড় বড় করে কয়েক বার ঢোক গিললাম। চিন্তার বিষয় হলো, এই রকম একটা অবরোধের চিপায় পড়ে পুরো জীবনের অবস্থা সংকটাপন্ন করে ফেলা নিয়ে। এমতাবস্থায় তার দুরাবস্থার কথা চিন্তা করতে করতে আমারও ঘুম হারাম হতে বসেছে, না জানি ঐ টাকার অংশটা ফেরত দিতে হয়! তাই বলতে ইচ্ছে করছে, আই অ্যাম একদম টেনশিত!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.