নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-কূটনীতিতে ‘কাজের বুয়া’ যোগ হয়েছে ‘তৃতীয় শ্রেণী’!-

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

বাংলাদেশে কূটনীতিক বা রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্ব নিয়ে আসেন। এ দেশে তারা প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে প্রতিটি শহর-বন্দর-গ্রাম সফর করেন এবং এদেশের মানুষের কর্মস্পৃহা ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে সম্ভাবনার দেশ হিসেবে নিজ দেশে উপস্থাপন করেন। যেমন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা আগে আমাদের গার্মেন্ট সেক্টরের মেয়েদের কর্মস্পৃহা সম্পর্কে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। যাওয়ার বেলায় তিনি বাংলাদেশে প্রতিটি জেলা সফর শেষ করেছেন। গত ৬ই ডিসেম্বর তিনি সাভারে নতুন চামড়া শিল্প পার্ক ও বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশকে ভবিষ্যৎ এই শিল্পের সম্ভাবনার দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অথচ বাংলাদেশের মানুষের এত আতিথেয়তা পাওয়ার পরও যাওয়ার বেলায় কিছু দিন আগে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ ড্যান মজিনাকে কাজের বুয়ার সাথে তুলনা করে বক্তৃতা দিতে কুন্ঠাবোধ করেন নি। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিসা দেশাইকে দুই আনার মন্ত্রী বলে উপহাস করলেন। সেখানেই শেষ নয়, গতকালকে আবার সেই একইধাচে সুর মিলিয়ে সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে সাবলীল ভঙ্গিতে বললেন- যারা রাষ্ট্রদূত আছেন, খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেন, তারা কি পরিমাণ আলোচনা করেন বা হয়; এটা আমরা জানি। আপনারা জানেন না! তাদের সাথে এমন কিছু আলোচনা হয় না যে, নির্বাচনের তারিখ বা সময় দেয়ার বিষয়। তারা খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। তারা বলেছেন, সহিংসতা বন্ধ করতে। তিনি আরো বলেন, এখানে ‘তৃতীয় শ্রেণী’র কর্মচারীরা আসে, যারা নিজ দেশে কোনো মূল্য পায় না! আর আপনারা ৫০টি টিভি চ্যানেলে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন; মনে হয়, তারা আপনাদের ত্রাণকর্তা। অথচ তিনি না বলতে চাইলেও যে সেইসকল রাষ্ট্রদূতরা সবাই জানেন, একটা প্রতিবেশী দেশের সাথে বর্তমান সরকারের সম্পর্ক খুবই ভালো বলে যেমন খুশি তেমন বলো নীতিতে বলেই চলেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, দূরের দেশ আমেরিকার সাথে ইচ্ছা করে ফ্যাঁসাদে জড়ানো বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা কি ঠিক হচ্ছে?

বাংলাদেশের মানুষ সহজাতভাবে অতিথিপরায়ণ ও বন্ধুবৎসল। আমেরিকায় প্রচুর বাংলাদেশীর বসবাস এবং দিন দিন সেখানে ইমিগ্র্যান্টের সংখ্যা বেড়েই চলছে। জাতিসঙ্ঘে আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিমিশনে কাজ করে সুনাম বয়ে আনছেন। আমেরিকা, ইউরোপ, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, চীন ও আসিয়ান প্রতিটি দেশেই আমাদের বন্ধু। এশিয়ার উদীয়মান শক্তি চীনও আমেরিকায় বিনিয়োগ করছে। কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কোনো কথা বলা উচিত নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমেরিকার সাথে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য আগামী মাসে আমেরিকায় সফর করার কথা। অথচ নিজ মন্ত্রণালয়ের বাইরে এমন জঘন্য মন্তব্য তাকে দিকে কে করালো, তা গোয়েন্দা বিভাগের দায় দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে তদন্ত করানো উচিত। আমেরিকার চিরপ্রতিদ্বন্দী ছিল রাশিয়া। তারাও কোনো দিন আমেরিকার কোনো কূটনীতিককে এমন জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করেনি; যদিও রাশিয়া আজ আর আগের অবস্থানে নেই। আনা, কড়ি, পাইয়ের আজ বাংলাদেশে কোনো দাম নেই। আর আমেরিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যে সাহায্য করেছে, তার হিসাব লাখ লাখ বা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।

আসলে একটা কথা আছে, মানুষ নিজের ওজনে অন্যকে মাপে। যদি তাই হয় তবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী কখেনো নিজেকে ভেবে দেখেছেন কি? তিনিই বা আমেরিকার কিংবা বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতকে কী মূল্য দিবেন! আজ তাঁরই বেফাঁস মন্তব্যের কারণে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে কি না, তাই জাতি অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে। একটা কথা সকলের জেনে রাখা ভালো, আমাদের নবীজি মুহম্মদ (সা.) তাঁর উম্মতদের জন্য একটি কথা বলে গেছেন আর তা হলো; যারা দুটি জিনিসকে হেফাজত করতে পারবে, তাদের জন্য স্বয়ং নবীজি মুহম্মদ (সা.) জান্নাতের সুপারিশ করবেন। ০১. জিহ্বা এবং ০২. লজ্জাস্থান। ভেবে দেখুন মানুষের প্রথম শত্রু তার নিজের জিহ্বা, যে জিহ্বাকে সংযত করতে পারবে কাল বিচারদিবসে তাঁর জন্য নবীজি মুহম্মদ (সা.) জান্নাতের সুপারিশ করবেন। অথচ আমরা কখনো এমন ধারণা নিজের মনে বিন্দুমাত্রও ধারণ করি না। পক্ষান্তরে আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি সাধন করে চলেছি প্রতিনিয়তই। কর্তাব্যক্তিদের জানা দরকার যে, বাহরাইনেও আমেরিকার ঘাঁটি বসে গেছে। কথায় বলে-একে দোষ করে দুইয়ে কষ্ট পায়! সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত যে, অদূরভবিষ্যতে প্রভাবশালীরা সেন্টমার্টিনে এসে বাসা বাঁধে কি না। যেকোনো রাষ্ট্রদূত আমাদের মেহমান। ড্যান মজিনা এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি হয়তো। মনে হয়, তিনি হতাবক হয়ে গেছেন। আল্লাহ দেশের মঙ্গল করুন। কারণ, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তো কোনো দোষ করেন নি। আপনারা কেনো মিছেমিছি দেশের জণগণের দুর্ভোগ সৃষ্টির কারণগুলো নজরে নিয়ে আসতেছেন। দয়া করে এই নিরীহ জাতীর ব্যাপারে একটু ভেবেচিন্তে নিজের অভিমত প্রকাশ করবেন। মহান আল্লাহ আপনার আমার সকলের প্রতি তাঁর অশেষ দয়া ও রহমত প্রেরণ করুন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

তিক্তভাষী বলেছেন: ৫ জানুয়ারীর পর আওয়ামীদের ভোট শব্দটিতে অ্যালার্জি তৈরী হয়েছে। নিরপেক্ষ ভোট, জনগনের ম্যান্ডেট, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বা এসবের কাছাকাছি কোনো শব্দ শুনলে তাদের শরীরে যেনো বিছুটি লেগে যায়। গলগল করে গালাগালি বেরিয়ে আসে তাদের নেতানেত্রীদের মুখ থেকে। সেটা জানার পরেও বারবার ভোটের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন এসব কুটনীতিকরা। সুতরাং কটুকথা শোনার জন্য তাঁরা নিজেরাই দায়ী।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

রুপম হাছান বলেছেন: সত্যি বলতে যারা কূটনৈকিত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং করতেছেন মূলত তারা কি চাচ্ছেন তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তা না হলে, এই দেশের সমস্যা সমাধানে সকল রাজনৈতিকদের এক করা কি খুব একটা কঠিন কাজ! হয়তো তাঁরাই চাইছেনা সমস্যা সমাধান হোক। যার জন্য এতো কিছু শোনার পরেও কোনো প্রতিক্রিয়া নাই। হা হা হা।

আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই। আপনার মূল্যবান অভিমতের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

হোসেন মালিক বলেছেন: তিক্তভাষী বলেছেন: ৫ জানুয়ারীর পর আওয়ামীদের ভোট শব্দটিতে অ্যালার্জি তৈরী হয়েছে। নিরপেক্ষ ভোট, জনগনের ম্যান্ডেট, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বা এসবের কাছাকাছি কোনো শব্দ শুনলে তাদের শরীরে যেনো বিছুটি লেগে যায়। গলগল করে গালাগালি বেরিয়ে আসে তাদের নেতানেত্রীদের মুখ থেকে। সেটা জানার পরেও বারবার ভোটের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন এসব কুটনীতিকরা। সুতরাং কটুকথা শোনার জন্য তাঁরা নিজেরাই দায়ী।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

রুপম হাছান বলেছেন: ভাই হোসেন মালিকে বুঝতে পারলাম তিনি, ভাই তিক্তভাষী’র সাথে সহমত প্রকাশ করেছেন বৈকি।

সত্যিকার অর্থে হয়তো তাই। ধন্যবাদ ভাই হোসেন মালিক।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কোনো কথা বলা উচিত নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমেরিকার সাথে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য আগামী মাসে আমেরিকায় সফর করার কথা। অথচ নিজ মন্ত্রণালয়ের বাইরে এমন জঘন্য মন্তব্য তাকে দিকে কে করালো, তা গোয়েন্দা বিভাগের দায় দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে তদন্ত করানো উচিত। আমেরিকার চিরপ্রতিদ্বন্দী ছিল রাশিয়া। তারাও কোনো দিন আমেরিকার কোনো কূটনীতিককে এমন জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করেনি; যদিও রাশিয়া আজ আর আগের অবস্থানে নেই। আনা, কড়ি, পাইয়ের আজ বাংলাদেশে কোনো দাম নেই। আর আমেরিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যে সাহায্য করেছে, তার হিসাব লাখ লাখ বা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।

আসলে একটা কথা আছে, মানুষ নিজের ওজনে অন্যকে মাপে। যদি তাই হয় তবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী কখেনো নিজেকে ভেবে দেখেছেন কি? তিনিই বা আমেরিকার কিংবা বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতকে কী মূল্য দিবেন! আজ তাঁরই বেফাঁস মন্তব্যের কারণে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে কি না, তাই জাতি অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে।

দারুন বলেছেন!

নিজেদের পরিচয়টা জাতীয় ভাবেতো প্রকাশীতই এখন আন্তর্জাতিক ভাবে নিজেদের সাথে সাথে দেশকে পঁচানোর আয়োজন চূড়ান্ত!!!

হিরক রাজারও হুশ ছিল তাদের তাও নেই!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

রুপম হাছান বলেছেন: ভাই বিদ্রোহী আপনি হয়তো ঠিকই বলেছেন, তাদের তাও নেই। তাঁরা হয়তোবা তাই করছেন, কিন্তু তাঁদের তো অন্য সবার থেকে একটু বেশি জানা দরকার। কারণ তাঁরা অন্য সবার জনপ্রতিনিধি। বুঝতে হবে, বাতাস যখন বইতে শুরু করে-তখন তা ইদুরের গর্তেও পৌঁছায়, তা যতই সরু হোক না কেনো!

তাঁরা সেই গর্তের মুখে কিছু দিয়েছেন কিনা জানি না, তবে এটাতো ঠিক যে, বাকিদের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।

ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালো লিখছেন।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

রুপম হাছান বলেছেন: ভাই নদী, ভালো লিখতে পেরেছি কিনা জানি না। তবে যখন আমার কিংবা আপনার চারপাশে কিছু ভিন্ন রকম দৃশ্য অবলোকিত হয় ঠিক তখনই মনের দরজা খুলে ভিতরের যে আবেগটা বাহিরে চলে আসে হয়তো লিখনির মাঝেই তা প্রকাশ পায়। আর সেটা হয়তো কেউ সাজিয়ে লেখে কেউ বা এলোমেলো। কিন্তু সারমর্মটা একই হয়।

ভালোমন্দ নিয়ে কখনো ভাবিনা বলেই হয়তো ক্রোধীয় আবেগটা বেশি প্রকাশ পায়। আর তার জন্য দায়ী আমাদের প্রতিনিধিরা। তাঁরা সেখানেও পেরেক মেরে দিয়েছেন। এখন আর চাইলেও সেই আবেগ মনের মতো করে প্রকাশ করার তেমন কোনো সুযোগ নেই।

তারপরেও লিখছি এবং লিখে যাবো। যদিও আমি সমর্থনকারী তথাপি আমি অন্ধ কিংবা দলকানা সমর্থনকারী নই। অন্যায়ের প্রতিবাদ হোক প্রতিটি মানুষের আরকটি মৌলিক অধিকার।

ধন্যবাদ ভাই নদী, আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: যারা দুটি জিনিসকে হেফাজত করতে পারবে, তাদের জন্য স্বয়ং নবীজি মুহম্মদ (সা.) জান্নাতের সুপারিশ করবেন। ০১. জিহ্বা এবং ০২. লজ্জাস্থান -দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে আমরা এ দুটো হেফাজত করতে প্রায়ই ব্যর্থ হই।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

রুপম হাছান বলেছেন: জাফরুল ভাই, এর জন্য কোনো দীর্ঘস্থায়ী ঔষুধের ব্যবস্থা করা যায় কি? হা হা হা। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা এমন যায়গায় গিয়ে ঠেকেছে, (তার জন্য আমাদের জনপ্রতিনিধিরাই দায়ী) যেখানে ইচ্ছা করলেও এই দুইটির একটিকে হয়তো আমি আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবো কিন্তু সমানতালে এই দুইটিকে একসাথে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

তারপরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো তা করাই বাঞ্ছনীয় কারণ তা দেশ ও জাতির মঙ্গলের স্বার্থে।

জাফরুল মবীন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য লাইকস।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: দুতাবাস যদি এখন ফাস করে দেয় যে এইসব বাচালদের সুপারিশে কয়টা ভিসা ইস্যু হয়েছে যারা আর ফিরে আসেনি।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

রুপম হাছান বলেছেন: ভাই শাহ আজিজ আপনি ঠিকই বলেছেন, তবে এটাও জেনে নিন; আমরা যতই লেখালেখি করি প্রকৃতপক্ষে ঐ দূতদের কিছুই যায় আসে না কারণ তাঁরা তা মন থেকে চায়ছেনা যে বাংলাদেশের প্রকৃত সমস্যাটার সমাধান হোক। একদিকে তাঁরা বলছে সমস্যা সমাধান করতে অন্যদিকে বলছে আমরা সরকারের সাথে সব সময় সহযোগিতা করে যাবো। বুঝতে পারলেন ভাই শাহ আজিজ। আর এজন্য আমরা তাঁদেরকে এমন ভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পাই।

ধন্যবাদ ভাই শাহ আজিজ, আপনি একটি সঠিক পয়েন্ট নির্ধারণ করে বলেছেন যা ব্যবহার করলে হয়তো সমস্যাটা একটু দ্রুত গতিতে সমাধান হয়ে যেতো। আমি ও তাই মনে করি।

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:




খুবই যুক্তিসঙ্গত কথা।


আমাদের দেশে বিদেশি কূটনৈতিকদের নিয়ে যত আলোচনা হয়, তা একটু বেশিই বলা যায়। এদেশে এলেই তারা যেন কূটনীতি ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে ঢুকে পড়ার সুযোগ পেয়ে যান। এভাবে কখন যে তারা পক্ষপাতিত্বের শিকার হন, নিজেরাই জানেন না। ফলে অতি রাজনীতির এদেশে যা হবার তাই হয়, অর্থাৎ যারা তাদের আচরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারা সুযোগ পেয়ে যায় বাড়াবাড়ি করারও। উভয়পক্ষের বাড়াবাড়িতেই পরিস্থিতিকে খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

রুপম হাছান বলেছেন: একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন ভাই মাঈনউদ্দিন মঈনুল। প্রভাবশালী দেশগুলো চাইলে সমস্যা সমাধান হবে না এই কথা ভাবতেই অবাক লাগে কারণ মাত্র একটি প্রভাবশালী দেশের ওপর ভর করে যদি আরেকটি দেশ অন্যান্য প্রভাবশালী দেশের সাথে এই ধরণের আনকোরা মনোভাব প্রকাশ করতে পারে তাহলে বেশির ভাগ প্রভাবশালী দেশের কথা গায়ে চেপে বসবে না তা কি করে বিশ্বাস করি।

প্রকৃত পক্ষে এরাই (দূত) একদিকে বলছে সমস্যা দ্রুত সমাধান করুন অন্যদিকে বলছে আমরা সরকারের সকল কাজে সহযোগিতা করে যাবো। তাহলে সমস্যা সমাধান হওয়ার বদলে বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনায় বেশি।

ধন্যবাদ আবারো ভাই মইনুল আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.