![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
এ বছর বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক কর্মী নেবে কাতার। ইতিমধ্যে ৫০ হাজার কর্মীর ভিসার অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। এর চেয়েও বড় সুখবর বাংলাদেশ থেকে কর্মী যেতে খরচও কমে আসবে। থাকবে না কোনো মধ্যস্বত্বভোগী। কেবল সাধারণ শ্রমিক নন; দক্ষ প্রকৌশলি, ব্যাংকার ও ইমামদেরও কাতারে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আগে কাতারে শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিক দেশ ছিলো নেপাল, ভারত ও ফিলিপাইন। কিন্তু কাতারে শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশকে। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, বাংরাদেশ থেকে গত কয়েক বছরে কাতারে বাংলাদেশীদের যাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৩ সালে বাংরাদেশ থেকে যত লোক বিদেশে গেছে, তার মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষে ছিল কাতার। ওই বছর ৫৭ হাজার ৫৮৪ জন কর্মী কাতার যান। আর ২০১৪ সালে যান ৮৭ হাজার ৫৭৫ জন। এ বছরের জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী এই দুই মাসে ১৪ হাজার ৬২২ জন কর্মী কাতারে গেছেন।
কর্মী পাঠানো : কাতার এখন থেকে সরাসরি বাংলাদেশ দূতাবাসে তাদের চাহিদাপত্র দেবে। এরপর দূতাবাস সেই চাহিদাপত্র ঢাকায় পাঠাবে। এরপর বিএমইটি রিক্রুয়িটিং এজেন্সিগুলোকে ডেটাবেইস থেকে কর্মী দেবে। ৫০০ জনের চাহিদার বিপরীতে বিএমইটি এক হাজার ৫০০ জন কর্মীর নাম দেবে। সেখান থেকে জনশক্তি রফতানিকারকেরা কর্মী ঠিক করবে।
যাওয়ার খরচ : ভিসা ট্রেডিং বন্ধ করতে সরকারের প্রস্তাবে কাতার সরকার রাজি হওয়ায় কর্মীদের যাওয়ার খরচ কমে যাবে। কর্মীর খরচসহ সবকিছু নিয়োগকর্তা বহন করবে। কাজেই শ্রমিকের কাতার যেতে সেভাবে খরচ করা লাগবে না। তবে পাসপোর্ট ও অন্যান্য বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হতে পারে।
ডেটাবেইস তৈরি : নতুন যে বৈদেশিক কর্মসংস্থান আেইন হয়েছে, তাতে সরকারিভাবে নিবণ্দণ করা ছাড়া এখন আর কোরো বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। কাজেই বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আপনাকে শুরুতেই ঢাকার জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) কিংবা আপনার জেলার জনশক্তি কার্যালয়ে গিয়ে নাম নিবন্ধন করতে হবে। ২০০ টাকা খরচ করে বিএমইটির ডেটাবেইসে নাম নিবন্ধন করা যাবে। নাম নিবন্ধের পর আপনি দালাল এড়িয়ে বৈধ যেকোনো রিক্রুয়েটিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রায় এক হাজার রিক্রুয়েটিং এজেন্সি আছে দেশে, যাদের প্রত্যেকের একটি করে লাইসেন্স নম্বর রয়েছে। এই ঠিকানায় গিয়ে http://www.baira.org.bd ঐসকল নম্বরধারী এজেন্সির ব্যাপারে জানা যাবে। এ ছাড়া সরকার অনুমোদিত বৈধ এজেন্সির তালিকা পাওয়া যাবে বিএমইটির ওয়েবসাইটে- Click This Link
দক্ষ কর্মীদের চাহিদা : কেবল সাধারণ শ্রমিক নয়, দক্ষ প্রকৌশলী, ব্যাংকারসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ থেকে লোক নিচ্ছে কাতার। কাতার ফার্টিলাইজারে কয়েক’শ প্রকৌশলী রয়েছেন। এছাড়া কাতারের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনেক বাংলাদেশী কাজ করছেন। এসব ক্ষেত্রে দক্ষ লোকদেরও চাহিদা রয়েছে কাতারে। এছাড়া কাতারে এক হাজারেরও বেশি ইমাম-মুয়াজ্জিন বর্তমানে কতর্মরত আছেন। নতুন করেও অনেক ইমাম-মুয়াজ্জিন নিতে চায় কাতার। এ ক্ষেত্রে ইসলামি ও আরবি বিষয়ে যাদের যোগ্যতা আছে, তাদের বিশাল সুযোগ রয়েছে কাতারে।
ভাষা শিখুন : কাতার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। এখানে ইসলামি শরিয়া আইন প্রচলিত। কাজেই দেশটিতে যাওয়ার আগেই সেখানকার আইন-কানুন জেনে যান। তবে আরবি ভাষা শিখে যেতে পারলে সবচেয়ে ভালো। সেটি সম্ভব না হলে আরবি ভাষার জরুরি কিছু শব্দ ও বাক্য শিখে যেতে পারেন। আর বিদেশে যাওয়ার আগে স্ব স্ব পেশায় দক্ষতা অর্জন খুব জরুরি। বিএমইটির অধীনে দেশে ৩৮টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। সেখানে গিয়ে যেকোনো পেশায় দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিস্তারিত ও সঠিক তথ্য পেতে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন-
ঠিকানা : প্রবাসীকল্যাণ ভবন, ৭১-৭২, এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা। http://www.probashi.gov.bd
ঠিকানা : জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি), ৮৯/২, কাকরাইল, ঢাকা। ফোন : ৮৩১৭৫১১, ৮৩১৯৩২২। http://www.bmet.gov.bd
ঠিকানা : বোয়েসেল, ৭১-৭২, এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা। ফোন : ৯৩৬১৫১৫, ৯৩৩৬৫৫১। http://www.boesl.org.bd
ঠিকানা : বায়রা ভবন, ১৩০, নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা। ফোন : ৮৩৫৯৮৪২, ৯৩৪৫৫৮৭। http://www.baira.org.bd
প্রশিক্ষণ : দক্ষ শ্রমিক হিসেবে গড়ে তুলতে সারা দেশে ৩৮টি প্রশিক্ষণ সেন্টারের মাধ্যমে কর্মীদের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তালিকা, ঠিকানা ও ফোন নম্বর পাওয়া যাবে নিচের ওয়েবসাইট থেকে http://www.bmet.gov.bd/BMET/trainingHomeAction
পাসপোর্ট করা : পাসপোর্ট করার জন্য সরকারের পাসপোর্ট সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে-www.passport.gov.bd. পাসপোর্টের জন্য আবেদনের নির্দেশনা রয়েছে। আপনি চাইলে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করা ভালো। বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের তালিকা ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) আবেদন ফরম পাওয়া যাবে বর্হিগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের ওয়েবসাইটে http://www.dip.gov.bd.
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০১
রুপম হাছান বলেছেন: আমি যা লিখেছি তাও সরকারী হিসাবের কথা লিখেছি তবে একটি প্রবাদ আছে- গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।
আপনি যা বলেছেন হয়তো তাও সঠিক কারণ এমনটা আমরাও জানি। তবে বুদ্ধিমান শ্রমিকেরা হয়তো কিছুটা পরিত্রাণ পেতে পারেন।
ধন্যবাদ হাসানুর ভাই।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২২
সুখেন্দু বিশ্বাস বলেছেন: অনেকেরই কাজে আসবে লেখাটি। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা সতত
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুখেন্দু বিশ্বাস। ভাই বিশ্বাস, আমরা প্রতিনিয়তই কিছু না কিছু ভালো কাজ করছি ও করবো, সেই কাজ কারো না কারো উপকারে আসছে এবং আসবে। তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, মানুষের সেই ভালো দিকগুলো নিয়ে আলোচনা না হয়ে তার কোন খারাপ দিক থাকলে তা নিয়েই বেশি সমালোচনা হয়।
ধন্যবাদ ভাই সুখেন্দু বিশ্বাস আপনার মতামতের জন্য। লাইকস।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: কাজের পোস্ট।অনেকেরই উপকারে লাগবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও জাফরুল মবীন ভাই।
কারো কোনো সামান্য প্রচেষ্টা যদি একজন ব্যক্তিরও কাজে লাগে তবেই হয়তো অন্যান্য ক্ষুদ্র হলেও ভালো কাজগুলো করতে উৎসাহ যোগাবে অন্যকে।
এখান থেকে সামান্য তথ্য সংগ্রহ করে কেউ একজনও যদি উপকৃত হন তবেই আমার প্রচেষ্টা সফল হবে এবং তার জন্য অগ্রিম শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই আপনার মূল্যবান বিশ্বাস সহকারে মতামত প্রেরণ করার জন্য। তবে আপনাকে মিস করতেছি মনে হচ্ছে। লইকস।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
হাসানুর বলেছেন: কর্মীর খরচসহ সবকিছু নিয়োগকর্তা বহন করবে। কাজেই শ্রমিকের কাতার যেতে সেভাবে খরচ করা লাগবে না। তবে পাসপোর্ট ও অন্যান্য বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হতে পারে।
আসলে কি তাই?
শুনেছি আ' লীগের নেতারা জন প্রতি ২-৩ লক্ষ টাকা করেই নেয়?
আসলে সত্যটা কি?