![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
আজ সেই ২৬শে মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নানাভাবে নিপীড়িত হতে থাকে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর হাতে। দেশ বিভাগের পরপরই বঞ্চনার নতুন অধ্যায়ের মুখোমুখি হতে লাগল পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ। তারই প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ ঘোষণা করেন। সেই দিনের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে জাতি একটি স্বাধীন দেশ এবং একটি জাতীয় পতাকা নির্ধারণের জন্য পরবর্তী মুক্তিপাগল সচেতন জনগণ করণীয় সম্পর্কে ইঙ্গিত লাভ করেন। শুরু হয় পাকিস্তানের বঞ্চিত মানুষের নায্য দাবি আদায় এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা অর্পনের দাবিতে আন্দোলন। আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন ১৫ই মার্চ আলোচনার জন্য ঢাকা এলেন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ১৬ই মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনা শুরু করেন তিনি। মূলত আলোচনার নামে এটি ছিল প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের প্রতারণা এবং সময়ক্ষেপন মাত্র। এরই ভিতরে পশ্চিম পাকিস্তানি নেতৃবৃন্দ প্রতিদিন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে গোপনে অস্ত্র এবং সৈন্য আনতে শুরু করেন পূর্ব পাকিস্তানে। ২৪শে মার্চ উচ্চপদস্থ জেনারেলরা ঢাকা ত্যাগ করলেন আন্দোলন দমনে গণহত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করে। ২৫শে মার্চ রাতে গণহত্যার নির্দেশ দিয়ে রাতে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে করাচির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন ইয়াহিয়া খান। সেইরাতে ১১টায় তিনি করাচি পৌঁছার খবর ঢাকায় পাঠানোর পরপরই শুরু হয় গণহত্যা অভিযান। সেই ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক নেতৃত্বে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের মুক্তিকামী নিরস্ত্র জনতার ওপর যে নৃশংস হত্যাকান্ড পরিচালনা করেছিলো তারই ফলশ্রুতিতে চূড়ান্ত হয়ে যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথচলা।
সেইদিনের সেই বীরত্বগাথা জীবনাবসনে যারা সামনের সারিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন, দিয়েছিলেন বুকে তাজা রক্ত, হারিয়েছেন প্রাণ-এদেশের তথা একটি জাতীর স্বাধীন চিন্তা-চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে, যার ফলশ্রুতিতে এই জাতী পেয়েছে একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র এবং একটি স্বাধীন পতাকা। আজ তাঁদেরকে বিনয় ও শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ জাল্লেহ জালালুহ, আল্লাহ জাল্লেহ শাহনু তাঁদের সেই আত্মাকে পরম শান্তিতে রাখুন। আমিন।
©somewhere in net ltd.