![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
এর আগে একটি পোষ্টে বলেছিলাম, চাল নিয়ে চালবাজি’র কথা। যেখানে চাল রাফতানির রেকর্ড গড়তে শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশে চাল রাফতানির যে হিড়িক পড়েছিলো, তার অল্প কিছু দিনের মধ্যে জাতী দেখতে পেলো আরো নতুন এক তাকলাগানো চমক! {(আমার মহল্লার সরকার সমর্থক বেশিরভাগ ব্যক্তিরাই অনেকের নাম ধরেই বলে যেতে পারি কিন্তু না...এই চাল রাফতানি নিয়ে কতই না গর্ব করে বলেছেন, এই সরকার ছাড়া এটা অন্য কোনো সরকারের পক্ষে কখনোই সম্ভব হতো না! তারমধ্যে একজন তো প্রায়ই বলতেন, এই সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন দেশেরও মঙ্গল-তারও মঙ্গল! আমি একদিন ওনাকে প্রশ্ন করলাম, আচ্ছা-সরকার আপনার (আওয়ামীলীগ সমর্থনকারীদের) জন্য দৈনন্দিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম কি কমিয়ে দিয়েছে!? নাকি সবাই যেভাবে কিনতে হয়, কিংবা পরিশোধ করতে হয়, আপনি ঠিক সেইভাবে করেন!? কোনো উত্তর নেই কিন্তু তাও আওয়ামীলীগ তাঁর জন্য সব সময় মঙ্গল বয়ে এনেছে এইদেশে!)} অথচো এখন প্রায়ই খবরে দেখতে পাই, প্রতিনিয়তিই চাল আমদানী করে খাদ্যে যোগান দেয়ার কথা। খাদ্যে নাকি স্বয়ংসম্পূর্ণতা পেয়েছে বাংলাদেশ, এতোদিন পর্যন্ত এসব খবর প্রকাশ করে আসছিলো সরকারসহ তৎমহলগুলো। এখন বলছি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দাবি কতটা যৌক্তিক, কতটা রাজনৈতিক, সেটা মূল্যায়নের সময় এসেছে বলে মনে করি। একদিকে চাল রফতানির খবর শোনানো হচ্ছে আপামোর জনসাধারণকে, অন্যদিকে খাদ্যে যোগান দেওয়ার জন্য আমদানিও করা হচ্ছে ঢালাওভাবে! এখানে জনগণ ও কৃষকদের আড়ালে রেখে পরিকল্পিতভাবে দেশে ঢোকানো হচ্ছে ভারতীয় চাল! এতে দেশী চাল বিক্রি করতে পারছেন না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এমন অবাধ আমদানির প্রভাবে এবার বোরোর উৎপাদন কমে যাবে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। এবার আমনের দামও তেমন পাননি কৃষকরা। বোরোর দামও যদি না পান তাহলে কৃষকেরা বিপন্ন হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ফলে স্বাভাবিকভাবে দেশে খাদ্যনিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে, এমন আশংঙ্খাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। ইতিমধ্যে শুল্কারোপের মাধ্যমে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে উৎপাদন বাড়ানোর দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
দেশের বেশির ভাগ কৃষকই পাইকারদের কাছ থেকে বিনাসুদে ঋণ নিয়ে ধান আবাদ করেন। শর্ত থাকে, ধান উঠলে বাজারদামে ওই পাইকারের কাছে ধান বিক্রি করবে। পাইকাররা এই ধান দেয় নিদিষ্ট চালকলে। এসব চালকল থেকে টাকা নিয়েই পাইকাররা কৃষকদের দেয়। তবে এবার ব্যাপক হারে আমদানির কারণে চালের দাম কৃষকদের অনুকূলে নেই। এজন্য মিল মালিকেরা চাল বিক্রি করতে পারছেন না। চাল বিক্রি করতে না পারায় মিল মালিকেরা টাকা দিতে পারছে না। কৃষকেরা বাধ”্য হয়ে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে যাচ্ছেন। তারা মহাজনের জালে আটকা পড়ে যাচ্ছেন। সময় মতো টাকা না পাওয়ায় অনেকেই ঠিক মতো সার ও সেচ দিতে পারেননি। বাংলাদেশের বাজারে ডার্ম্পিং করে ভারতীয় চাল ঢোকানো হচ্ছে, এমন অভিযোগ ধানকল মালিকদেরও। বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে সংশ্লিষ্টরাও মনে করেন। এখন চরম খারা অবস্থা মিল মালিকদের। বাজার দখলে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। কম দামে ভারত থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। ইমোর্ট ডাম্পিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আমদানিকারকেরাও।
অন্যদিকে দুই মন্ত্রণালয় আবার দু’ধরণের ধারণা পোষণ করেন। ফলে পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর খেসারত গুনছে ব্যবসায়ী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ। বিশেষত কৃষিপ্রধান দেশটিকে ভারতীয় চালের বাজারে রুপান্তর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি বয়ে আনা ছাড়া আর কিছুই উপহার দিবেনা। এ ব্যাপারে ভারসাম্য রক্ষা করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। আশা করছি, নীতিনির্ধারকরা এ ব্যাপারে জাতীয় স্বার্থের অনুকূলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন। অন্যথায়, দেশকে ধীরে ধীরে ১৯৭৫ সালকেই বরণ করে নিতে হবে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
রুপম হাছান বলেছেন: কপালের লিখন যায় না খন্ডন কথাটি সত্য তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ তার সেই ক্ষেত্রকে পরিবর্তন করতে পারে, যদি তারা সচেতন হোন।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত প্রদান করার জন্য। ভালো থাকবেন এবং দেশের তরে ভালো চিন্তাটুকু প্রয়োগ করবেন। তাহলে হয়তো পরিত্রাণ সম্ভব।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
উদাসীপথিক বলেছেন: এতে দোষের কিছু দেখছি না। বরং মনে করি আওয়ামী লীগ বিএনপির ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে... ৯৬ সালে হঠাৎ চালের দাম না সামলাতে পারাই বিএনপির জনসমর্থন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের কথাও নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের মনে আছে!!!!!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
রুপম হাছান বলেছেন: আপনি ঠিক কথাটিই বলেছেন বৈকি। তবে খারাপের মধ্যেও ন্যুনতম খারাপটা হয়তো বেছে নেওয়াই ভালো। তাছাড়া মুক্ত চিন্তার লোকেরা আজ কাল যা করে বেড়াচ্ছে, তাদের থেকে এর চেয়ে দেশের ভালো আশা করা সম্ভব বলে মনে হয় না।
কেউ অতীত খেয়াল রাখেনা বলেই হয়তো এই দেশের ভাগ্য পরিবর্তন সহসায় ভালো আশা করা যায় না। কারণ এই দেশে সিঙ্গাপুরের লী কুয়ান ও নাই আর চীনের মাও সেতুং ও নাই। আছে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুহার্তো’র মতো লোক! তাই যার যার ভালোর চিন্তা তার তার যায়গা থেকে করতে হবে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত প্রদান করার জন্য।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: টাকা বানাতে হলে যা করার দরকার আম্লীরা তাই করতাসে। পাবলিক জাহান্নামে যাক।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৮
রুপম হাছান বলেছেন: বর্তমান সরকারী দলের সাথে সম্পৃক্ত সবাই মনে হচ্ছে অর্থনীতি না হয় পরিসংখ্যানের ছাত্র। এরা জানে কিভাবে কোন খাত থেকে নয়-ছয় করে কয়েন বের করতে হয়!
একদিকে ভারত থেকে চাল আমদানী করে, সেখান থেকেও পারসেন্টেজ পায় আবার ভারতের সেই চাল ভারতেই রাফতানি করে, সেখান থেকেও পারসেন্টেজ পায়। মজার বিষয় হলো- এরা শুধুই আনা-নেয়ার কাজ করেই কোটিপতি বনে যাচ্ছে! ফাঁকে পড়ে ফতুর হচ্ছে ওনারা বাদে বাকী জনগণ।
ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী আপনার সুন্দর অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য। লাইকস।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
মাথা ঠান্ডা বলেছেন: জানিনা আমাদের কপালে কি আছে?