![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
মনে ভীষণ কষ্ট নিয়ে লিখছি। গত দুই দিন হলো আমার একটেল নম্বরটি থেকে কল আউটগোয়িং হচ্ছে না। মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দিলো মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে তাই, অথচ আমার একাউন্টে এখনো ৬ টাকা আছে। আমার প্রয়োজন হয় নাই বলে হয়তো বাকী টাকা ব্যবহার করার পূর্বেই আউটগোয়িং এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তাতে আমার কোনো কষ্ট নেই কারণ অপারেটরসের পক্ষ থেকে বেঁধে দেয়া মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে আমি আর আউটগোয়িং সুবিধা পাচ্ছি না। কিন্তু রাগ লাগে তখন, যখন এই সামান্য সময়ও কেটে নিতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠে। আমরা জানি, নতুন কোনো প্রস্তাব বা নির্দেশ তখনিই আসে, যখন বিদ্যমান পদ্ধতিতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এত বছর অপারেটরগুলি তাদের মর্জি মোতাবেক কোম্পানির সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসলেও হঠাৎ কী প্রয়োজনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সব মোবাইল অপারেটরদের নিয়ে সিমের মালিকানা বাতিল, ব্যালেন্সের মেয়াদ নিয়ে নিদিষ্ট সময়সীমা দিয়ে দিলো? গ্রাহকদের কষ্ট ও ভোগান্তির মধ্যে ফেলে অতিরিক্ত ট্যাক্স আদায় করার জন্যই যেনো এ নতুন নিয়ম চালু করেছে বিটিআরসি। সাধারণ গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে কি এসব করা হয়েছে!?
মানুষ যোগাযোগের প্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তাদের বেশির ভাগই মোবাইল ফোনে একটা সিম ব্যবহার করলেও কেউ কেউ বন্ধুবান্ধবদের সাথে মিলিয়ে একই অপারেটরের সিম ব্যবহার করেন। যাতে কম খরচে কথা বলা যায়, আবার কোনো অসুবিধা বা উটকো ঝামেলা এড়াতেও কেউ কেউ ভিন্ন সিম ব্যবহার করেন। সিম একটা হোক আর অধিক হোক, ফোন করলেই যেখানে সরকার প্রতি কল বাবদ ট্যাক্স পাচ্ছে, সেখানে দুই বছর বন্ধ থাকুক বা ৯০দিন-মালিকানা হারানো কিংবা সিম নিষ্ক্রিয় করার কথা আসবে কেনো!?
নির্দেশনার মধ্যে একটা বিষয় ভালো যে, ‘সেরা’ ‘সর্বোচ্চ’ কিংবা ‘সবচেয়ে ভালো’-এমন লোভনীয় কথা অপারেটররা যাতে না ব্যবহার করে। কিন্তু কী বিবেচনায় রিচার্জ করা টাকার মেয়াদ নির্ধারণ করা হলো!? পৃথিবীর সব মানুষ সমানভাবে কথা বলে না; কেউ ধীরে কথা বলে, তো কেউ দ্রুত, কেউ অল্প বলে তো কেউ বা আবার বেশি। কারো ৫০ টাকায় এক মাস যায়, কারো বা পাঁচ দিন। তেমনি হিসাব-১০, ২০, ৩০ এভাবে ১০০ কিংবা ১০০০-এর ক্ষেত্রেও। সুতারাং, এটা একেক জনের ব্যক্তিসচেতনতা। অনেকেই আয় বুঝে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কিন্তু নির্দেশমালায় একেবারে উল্লেখ করে, ১০ থেকে ৩০ টাকা ১০ দিনের মধ্যে, ৩১ থেকে ৫০ টাকা ১৫ দিনের মধ্যে, ৫১ থেকে ১০০ টাকা এক মাসের মধ্যে- এভাবে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর অর্থ ১০ দিনে ৩০ টাকার কথা না বললে টাকা কাটা পড়বে। সুতরাং, এবার তাহলে কথা না থাকলেও কথা বের করতে হবে, কারণ কেউ তো চাইবে না নিজের টাকা অহেতুক কাটা যাক। তাহলে প্রশাসন কি আমাদের বাচাল হওয়ার ট্রেনিং দিচ্ছে!? আরেকটি বিষয়ে প্রশাসনের সমালোচনা না করে পারছি না। প্রশাসন ওয়াকিবহাল যে, এখন প্রত্যেক রিচার্জে দোকানিরা এক টাকা বেশি নিচ্ছে। ১০ টাকা লোড নিতে হলে ১১ টাকা পে দিতে হয়, তেমনি ২০ বা ৩০ টাকা দিলে দোকানি লোড শোধ করেন ১৯ কিংবা ২৯ টাকা! এ দিকে ঈদকে সামনে রেখে তো প্রকাশ্যে তারা কিছু টাকা বেশি নেয়া শুরু করে। দোকানে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়-৫০ টাকা জন্য ৫ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে, কোথাও আবার ১০০ টাকা দিলে মোবাইলে আসে ৯৮ টাকা! জিজ্ঞাসা করতে গেলে শুনতে হয়-বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন এই নিয়ম জারি করেছে! তাদের অভিযোগ, প্রত্যেক রিচার্জপ্রতি মোবাইল অপারেটরগুলো তাদেরকে নায্য কমিশন দেয় না। েএতে দিন হাজারে ২৭ টাকা দিয়ে এলেও এতে তাদের পোষায় না। তাই তারা দাবি করছেন-হাজারে ১০০ টাকা কমিশন দিতে, যেটা অপাটেররা মানছেন না। এ ব্যাপারে একটি অনুষ্ঠানে দেখেছিলাম অপারেটর কোম্পানির একজন উধ্বর্তন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দোকানিরা আর কত চায়!? তারা তো প্রত্যেক নতুন অফার বাবদই কমিশন পান! সুতরাং বিবদমান দুই পক্ষে কোনো মীমাংসা না হওয়ায় এবার দোকানিরা অতিরিক্ত টাকা আদায় করে নিচ্ছেন অসহায় জনগণের কাছ থেকে! তাহলে অপারেটরদের নিয়ে অহেতুক কোনো নতুন নির্দেশ না দিয়ে প্রশাসনের কি উচিত ছিল না উপরোল্লিখিত অমীমাংসীত ইস্যুগুলোর জাঁতাকল থেকে জনগণকে মুক্ত করা?
সুতরাং, প্রস্তাবিত সব নির্দেশনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে জনগণকে স্বস্তি দেবেন বলে বিশ্বাস করি। আর দয়া করে রিচার্জকৃত টাকার মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল করে দেয়া, সিমকার্ড অনিদিষ্টকাল সক্রিয় রাখা অর্থাৎ মালিকানা পূর্ণবহাল রাখা এবং রিচার্জের সময় দোকানিরা যাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় না করতে পারে-এমন ব্যবস্থা ও নির্দেশনা জারি করা। আশা করছি এতে করে সার্বোজনীন মঙ্গল নিহীত রয়েছে। তা না হলে এক পক্ষ সব সময় ফায়দা লুটে যাবে অন্য পক্ষকে শোষণ করে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ আমাদের আকুল আবেদন স্বচিত্ত্বে-সানন্দে গ্রহণ করে সাধারণ জনগণের মৌলিক দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন।
২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪০
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ টি এম মাজাহর ভাই।
অনেক দিন হলো লেখাটিতে চোখ পড়েনি আর তাই দেখতে পাইনি যে আপনার একটি মূল্যবান মন্তব্য রয়েছে। যাই হোক অনেক সুন্দর একটি মতামত দিয়েছেন। তুলনা হয় না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
টি এম মাজাহর বলেছেন: মোবাইল কোম্পানীগুলো বাচালতা আর প্রেম দিওয়ানা বানায়া দিতে চায় পুরা জাতিকে। সেই ১ টাকার নতুন কনসেপ্ট চালু হয়েছে, এখন ৯ টাকার রিচার্জ কার্ডই বের করছে, স্বভাবতই ভাঙতির জন্য দশ টাকায়ই সবাইকে কিনতে হয়। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলো জাতি শোষনের হাতিয়ার। ধন্যবাদ।