![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঈমানদারদের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘ঈমানদারেরা কর্তব্য, ওয়াদা, আমানত ও দায়িত্ব পালন করে এবং তারা সফল (সূরা মুমেনুন)’। ভোট মানুষের কাছে মহান আল্লাহর দেয়া একটি বড় আমানত। ভোট দেয়া মানে রায় দেয়া। মত দেয়া। স্বাক্ষী দেয়া। কে ভালো, আর কে মন্দ, কে উপযুক্ত আর কে অযোগ্য, কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ, কে অপরাধী আর কে নির্দোষ-এসব বিষয়ে নিজের সুচিন্তিত স্পষ্ট মত দেয়ার নামই হলো ভোট দেয়া, বা রায় দেয়া বা স্বাক্ষী দেয়া। তবে প্রচলিত অর্থে নির্বাচনী যুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা কে উপযুক্ত, অযোগ্য, কার দ্বারা দেশ, ধর্ম ও মানুষের লাভ হবে, কে ক্ষতি করবে-ভোট দিয়ে এ কথা প্রকাশ ও প্রমাণ করে দেয়ার নাম হলো ভোট দেয়া। এ ভোট যারা দেয়, তারা হলো স্বাক্ষী। এদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যমপন্থী উম্মত বা দল হিসেবে সৃষ্টি করেছি। যেন মানুষের ব্যাপারে সত্য স্বাক্ষীটা দিতে পারো। অর্থাৎ কে দেশ, ধর্ম ও মানুষের উপকার করবে, কে ক্ষতি করবে-এ কথা যেন নিরপেক্ষ ও নিঃস্বার্থভাবে বলতে পারো’-(আল কুরআন)।
যারা উপযুক্ত, যোগ্য, সৎ, আমানতদার, দেশপ্রেমিক ও ঈমানদার ব্যক্তিকে ভোট না দিয়ে পক্ষপাতমূলকভাবে অন্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেশ, ধর্ম ও মানুষের ক্ষতি করবে; এর সব পাপ ও ক্ষতির দায়িত্ব ভোটারদের নিতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত স্বাক্ষী গোপন করবে, ঠিকভাবে স্বাক্ষী দেবে না, তাদের চেয়ে বড় জালেম আর কে’ (আল কুরআন)? তাই ভোটারদের দায়িত্ব হচ্ছে নিজের দল আর আত্মীয় হিসাব না করে আমানতদারির সাথে ভোট দেয়া। যাকে ভোট দিলে দেশ, ধর্ম ও মানুষের উপকার হবে তেমন ব্যক্তি ও দলকে ভোট দেয়া। যারা মোনাফেক, কাফের, নাস্তিক, যাদেরকে ভোট দিলে ইসলামের, মানুষের এবং দেশের ক্ষতি হবে তাদের ভোট দেয়া হারাম করা হয়েছে! সেই মর্মে...
গত ২৮ই এপ্রিল ২০১৫ইং। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি মেয়র নির্বাচনের আগে ও পরে :
আমি যখন বুঝতে শিখেছি তখন সবার মুখে শুনতাম; রাজনীতি করা হলো শিক্ষিত, মার্জিত ও ভদ্র লোকের কাজ। একমাত্র তারাই রাজনীতিতে আসতে পারেন, যাদের মধ্যে এসব গুনাবলী বিদ্যমান থাকে। কালের বিবর্তনে এসব পরিবর্তীত হয়ে এখন যেনো তার উল্টোটা আমাদের সমাজে, দেশে তথা পুরো বিশ্ব রাজনীতিতে গেড়ে বসেছে। এ ব্যাপারে একজন সাহাবা হযরত আলী (রা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, (পাঠকবৃন্দ, আমি এমুহুর্তে পুরো হাদিসটি মনে করতে পারছিনা, যদি কেউ পুরো হাদিসটি জানা থাকে তবে মন্তব্য করতে ভুলবেন না। নিশ্চয় আমি তা কলামে প্রতিস্থাপন করে দিবো। ধন্যবাদ) আমরা কখন বুঝতে পারবো যে আমরা অপরাজনীতি কিংবা মুর্খলোক দ্বারা পরিচালিত সমাজে পতিত হচ্ছি? উত্তরে তিনি বললেন, (এই রকম) যখন সমাজের বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী লোকেরা সমাজে অন্যায় অবিচার দেখেও চুপ থাকবে, কোনো প্রতিবাদ করবেনা। তারা সবকিছু থেকে মুক্তি চাইবে কিংবা পালাইতে চাইবে কিন্তু পালাইতে পারবেনা। সেখানে রাজত্ব কামেয় করবে একদল মুর্খ ও সমাজবিরোধী লোক। মূর্খ লোকেরা গদি শাসন করবে আর জ্ঞানীরা সেখানে বিচার চাইতে আসবে। ঠিক এমন একটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত বর্তমান সমাজের অবস্থা। বর্তমান প্রেক্ষাপট তাই নির্দেশ করে বলে মনে করি। আমরা মনে হয় সে দিনের দিকে ক্রমান্বয়ে ধাবিত হচ্ছি এবং কিছুটা এসেও গেছি। তা না হলে, কোনো রকম পড়াশুনা জানা লোকের মধ্যে যারা ধর্ষণকারী, অন্যর আমানত হরণকারী এবং এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, যাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ সাধারণ ভাবেও চলাফেরা করার সাহস পায় না; তারা কিভাবে রাজনীতিতে সম্পর্কিত হয়ে দলীয় পরিচয়ে নির্বাচনে এসে গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করার প্রয়াস পায়! এবং প্রহসনের নির্বাচনে প্রতিযোগী বিহীন প্রতিযোগিতায় এককভাবে রায় নিয়ে দাঁত কেলিয়ে ক্ষমতার দাঁপড় দেখিয়ে বিজয় উল্লাস করে মহল্লার বাতাস ভারী করে! ভোটের আগের দিনের সন্ধ্যাবেলায় বাসা থেকে আমরা কয়েকজন নিচে নেমে দাঁড়িয়েছি মাত্র। হঠাৎ দু’তিন টা ছেলে এবং সাথে গোটা দশেক চার-পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে লাঠি হাতে ধর ধর করে ধেয়ে আসল! আমরা রাস্তার দু’দিকে সরে গেলাম এবং আমাদের মাঝে থেকে একজন খুব রাগ করে তাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে ধরার চেষ্টা করলেন কারণ তিনি একজন মহল্লার ‘বাল’ লিডার। তিনি কাছে গিয়ে ঐসব ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা এমন করলে কেনো!? উত্তরে ওরা যা বললো-ওমুক মার্কার পোলাপানেরা নাকি এদিকে আসছে, তাই! অথচ ঐখানে আমরা বেশ কয়েকজন এবং সবাই সবার পরিচিত। সেখানে এমন কোনো লোক আসেওনি আবার সেখান থেকে কিছুক্ষণের জন্য যায়ও নি। তাহলে, এতে করে তারা কি জানান দিলেন? অথচ সামনেই দুই গাড়ি ভর্তি রিজার্ভ পুলিশ শুধুই তাকিয়েই ছিলো, কেউ কেন্দ্রে ভিতর ঢুকছে আবর কেউ বের হচ্ছে! একেবারের জন্যও তারা ওদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলো না যে, কেন্দ্রের আশে-পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কারণে তাদের গ্রেফতার করা হলো। যা দেখলাম তা হলো ঐসব কেন্দ্রের আশে-পাশে তো দূরের কথা ঐসব মহল্লাতেও বিরোধী কর্মী, সমর্থককেও দেখতে পেলাম না!
মূলত এখন রাজনীতি বলতে যা বুঝি তা হলো, ‘জোর যার মুল্লুক তার’! ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের দিন শেষ! এখন ভোটাররা ভোট দেয়ার আগে প্রার্থী নির্বাচিত হবে! ভোটের একটি আয়োজন হবে শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্য। আগে থেকে নির্ধারিত বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকেরা উৎসব করবেন। কিছু ভোটার অবশ্য ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। টেলিভিশন ক্যামেরায় রায় দেখানো হবে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হচ্ছে। রাতে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দেবে কত শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিএনপি’র অভিযোগ তিন সিটিতে পাঁচ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যায়নি। অথচ ইসি বলছে ৭০ (সত্তর) শতাংশ ভোট পড়েছে! হিসাবটা সহজে মিলিয়ে নিন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মোট ভোটার সংখ্যা ষোল লক্ষ অধিক। সেখানে (তাদের হিসাব মতে- আনিসুল হক পেয়েছেন, ‘১ লাখ ৯১ হাজার ৭ ভোট’ অন্যদিকে তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন, ‘১ লাখ ৩৭ হাজার ৭২৮ ভোট’। এই দুটো ছাড়া বাকি প্রার্থীরা পেয়েছে প্রায় ৩০-৪০ হাজার প্লাস ভোট। হিসেব মতে এখানে প্রায় ‘৩ লাখ ৬০-৭০ হাজার ভোট কাষ্ট হয়েছে ১৬ লাখ ভোটারের মধ্যে। এখন পুরো পরিসংখ্যান টি আপনি যোগ-বিয়োগ করে বলুন ১৬ লাখ ভোটারের কত শতাংশ ভোট কাষ্ট হয়েছে! যদিও এখানে দলীয় ভাবেই বেশির ভাগ ভোট দেয়া হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বেশির ভাগই ভোট দিতে পারেন নি। এমন ভূরি ভূর প্রমাণ সকলের সামনে রয়েছে। বিশেষ করে যারা ভোট দিতে গিয়েছেন, তারা দেখেছেন কিভাবে ভোট প্রদান করা হচ্ছে! কেউ যখন তার ভোট ছাড়া ১০০টি ভোট বাড়তি মেরে নিজেকে গর্বিত মনে করেন সেখানে ঐ হিসেবও বেমানান বলে মনে করি।
বিগত দিনগুলিতে দেখে আসছি (বিশেষ করে গত দুই জাতীয় নির্বাচন ছাড়া) প্রতিটি কেন্দ্রে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন করতে। যার ফলশ্রুতিতে ঢাকসুর সাবেক ভিপি স্বাধীন দেশের সর্ব প্রথম পতাকা উত্তোলক জাতীয় চার নেতার একজন আ স ম আব্দুর রবকে ভোটের অনিয়মের কারণে দাঁবড়িয়ে কচুরিপেনা’র পুকুরে ফেলে লাথি-গুতা মারতেও শুনেছি এই সেনাবাহিনীরাই। হয়তো এখনো তাঁরাই এই দেশের ভালো কিছু প্রতিষ্ঠা করার একমাত্র আস্থার যায়গা দখল করে আছেন। চাইলে তাঁরা পারেন দেশে ভালো কিছু উপহার দিতে এবং তা হয়তো বিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে। কথায় বলে-‘পাগলেও নিজের ভালো বোঝে’। অথচ দেশপ্রেমিক, মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের রাজনৈতিক দল উপাধি নিয়ে এই দেশের ভালো’র কিছু নিয়ে ভাবেন কিনা মহান আল্লাহ এবং তাঁরা ছাড়া তৃতীয় আর কেউ জানতেও পারছেন না। কথায় কথায় বলেন, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, তালেবান ছাড়াও একজন গেলে দশজনকে চাই হিসেবে যিনি কিংবা যারা রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, তাঁরা এই দেশের জন্য কতটুকু ভাবেন একমাত্র তাঁরাই জানেন! পরিবারের অনেককে হারিয়ে দীর্ঘ ৪৩ বছর পর শত্রুদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফাঁসিতে ঝুলানোর আগ পর্যন্ত যখন ক্ষান্ত হওয়া সম্ভব না তখন তিনি কিংবা তাঁরা কিভাবে অন্য পরিবারের মেয়ে, ছেলে কিংবা উপার্জনক্ষম পুরুষকে হত্যা, খুন, গুম, পঙ্গু কিংবা ধর্ষণের মতো জগন্য কাজের প্রশ্রয় দিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন, তা বোধগম্য নয়! তাহলে তিনি কিংবা তাঁরা আসলেই কি চাচ্ছেন!? সবকিছু জেনে শুনে যিনি বলেন, ফল যাই হোক আওয়ামীলীগ মেনে নেবে; তাহলে প্রশ্ন জাগে, তিনি তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে কেনো সহযোগিতা করছেন না!? কেনো এতো ভয় পাচ্ছেন? এজন্য কি বলা যায় না তিনি সবকিছুতেই নিশ্চিত হয়েই কথা বলেন! যিনি ‘মা দুর্গা’ ফসল ভালো দিয়েছেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি কিংবা তাঁরা হয়তো এমনসব বলতেই পারেন, নাকি!? সত্যি হাসি আসে না।
আমাদের মানতে হবে, মহান আল্লাহ তায়ালা শ্রেষ্ঠ বিচারক। তিনি সব অন্যায় ক্ষমা করলেও শিরককারীকে (আল্লাহর একাত্বতার সাথে তুলনাকারী) ক্ষমা করবেন না। এই পৃথিবীতে মানুষের কৃতকর্মের বদলা দানের জন্য আল্লাহ তায়ালা আখেরাতে আদালত বসাবেন। সেই আদালতে স্বাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচার করা হবে এবং সেখানে শতভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে। আল্লাহর আদালতে মিথ্যা স্বাক্ষ্যদানের কোনো সুযোগ থাকবে না বা কোনো সুপারিশও কার্যকর হবে না। সুপারিশ যা থাকবে তা হলো, আল্লাহ যাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দিতে চান এমন তাঁর নেক বান্দাকে তিনি অনুমতি দান করবেন সেসব বান্দার জন্য, যাদেরকে তিনি ক্ষমা করতে চান। সেদিন কেউ নিজের থেকে কারো জন্য কোনো সুপারিশ করতে পারবে না। সেদিন তাঁর আদালতকে প্রভাবিত করতে পারে এমন ক্ষমতাবান সেখানে কেউ থাকবে না। আয়াতুল কুরসিতে আমরা পড়ে থাকি-‘কে আছে এমন যে তাঁর অনুমতি ব্যতিরেকে তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? এ থেকে বোঝা যায় যে, মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবী-রাসূল (বিশেষ করে মুহাম্মদ সা.) ও তাঁর কিছু নেক বান্দাহকে সুপারিশ করার জন্য অনুমতি দেবেন, যাদের জন্য তিনি তা পছন্দ করবেন। অবশ্য এটা ঠিক, কোনো সুপারিশ তাঁর ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না। তাই সকলকে সেই দিনের কথা স্বরণ করে হলেও দুনিয়াবী কাজগুলোকে সাধারণ জনগণের চাহিদা মাফিক করাই উত্তম।
এখন দেখি একটি নির্ভেজাল শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কিভাবে সম্ভব হতে পারে :
=> প্রথম মতে বলবো, মহান রাব্বুল আলামিনের ভয় অন্তরে ফয়দা করা এবং তাঁকে রাজি-খুশি করার ইচ্ছায় দুনিয়াবী সকল কাজকর্ম সম্পাদন করা।
=> নির্বচান কমিশনকে হতে হবে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, আত্মপ্রত্যয়ী, বিনয়ী, সৎ মন মানসিকতা সম্পন্ন, নিষ্ঠাবান, সৎচরিত্রবান, ত্যাগী, নির্ভয়া এবং আমানত রক্ষাকারী (অর্থাৎ কথা দিয়ে কথা রাখা) ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন।
=> প্রতিটি স্বশস্র প্রশাসন নির্বাচন কমিশনকে পুনাঙ্গভাবে সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসন হবে সম্পূর্ন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। অন্যায়কে তারা কখনো প্রশ্রয় দেবে না, সে যেই ব্যক্তিরই পরিচিত কিংবা দলের কিংবা দেশের হোক।
=> নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা (অথাৎ সকল তালিকাভুক্ত রাজনৈতিক দল) নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। যদি কোনো দল তাদের দলীয় সমস্যার কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে না পারে, তা নির্বাচন কমিশন এবং ঐ রাজনৈতিক দল উভয় সাংবাদিক সম্মেলন করে সাধারণ জনগণকে অবহিত করে দেবে।
=> যদি রাজনৈতিক দলাদলির অর্থাৎ সরকার পক্ষের শক্তি প্রয়োগের কারণে দুর্বল দলগুলোর অংশগ্রহন নিশ্চিত না হয় তবে ঐ নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাতিল করে দেয়া। যদিও তা একটি দুর্বল দলের পক্ষে বা কারণে হোক না কেনো। নির্বাচন কমিশনকে বুঝতে হবে এখানে সাধারণ জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার হরণ করা হয়েছে। যা সংবিধান স্বীকৃত।
=> প্রত্যেক রাজনৈতিক দলগুলোর বিশ্বাস আর আস্থা অটুট রাখার জন্য বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন করা।
=> প্রতি কেন্দ্রে ন্যুনতম ৩২ (চারদিকে ৮ জন ) জন করে সেনা প্রত্যক্ষ উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এবং কেন্দ্রে সকল রাজনৈতিক দলের ক্যাম্প স্থাপনের নিশ্চয়তা প্রদান করা। যাতে করে ভোটারা নির্ভয়ে ভোট প্রদান করতে পারেন।
=> প্রত্যেক ভোটারকে ভোটার আইডির একসেট ফটোকপি সাথে নিয়ে যাওয়া। ভোটার যখন ভোট দিবেন তখন ঐ ভোটার আইডি ভোট গ্রহনের দায়িত্বে যিনি কিংবা যারা থাকেন তাদের কর্তৃক সংরক্ষিত রাখা। তাহলে দিনের শেষে যখন ভোট গণনা শুরু হবে তখন মোট ভোট কাস্টের সাথে আইডির ফটোকপি মিলিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন সঠিক ভোট কতটি পড়েছে। এতে প্রকৃত ভোটার ও ভোট কাস্ট গণনা করতে সহজ হবে।
=> প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রের মূল ধারায় ফিরতে হলে প্রতিটি ভোটারের অভিযোগ আমলে নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এমন যদি হয় যে, কোনো কারণে একজন ভোটার তার ভোট দিতে পারেন নি কিংবা কেউ দিয়ে দিয়েছে এবং তা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক শোনার সাথে সাথে ঐ স্থানের কিংবা কমিশন ইচ্ছে করলে পুরো নির্বাচনই বাতিল করে দিতে পারেন। যা ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যে আমরা দেখতে পেয়েছি। বাংলাদেশী বংশোদ্ভত ব্রিটিশ নাগরিক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে টাওয়ার হেমলেটসের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন মাত্র চারজন ভোটার; আর তাতেই পুরো নির্বাচনই বাতিল করে দিলেন নির্বাচন কমিশন। পুনরায় ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
=> এভাবে হয়তো জাল ভোট প্রতিরোধ করা সহ একটি নির্ভেজাল নির্বাচন উপহার দেয়া অনেকখানি সম্ভব হবে। প্রতিষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র। আর এর সুফল ভোগ করবে পুরো জাতি তথা দেশ। নিশ্চয় আমি, আপনিও রয়েছি এদের ভিতরে। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.