নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলতে ফিরতে দেখা : -যাতায়াত বিড়ম্বনা-

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১০

সকাল বেলার ঘটনা-
গত কালকে (১৫/০৩/১৬-মঙ্গলবার) পল্লবী থেকে মতিঝিল এর গাড়িতে উঠার জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম এনা/১৭ গাড়ির জন্য। এমন সময় একজন ভদ্রলোক সিএনজি ভাড়া নেয়ার জন্য এদিক ওদিক করছিলেন। অথচ সামনেই অনেকগুলো সিএনজি গাড়ি ঠাই দাৰড়িয়ে আছে। অবশেষে লোকটি বিরক্ত হয়ে সেই আগের জিজ্ঞাসিত ড্রাইভারকে পুণরায় বললেন ভাই যাবেন। একজন ড্রাইভার উত্তর দিলেন যাবো বলছি তো! মিটারে যাবো না, কন্ট্রাকে যাবো; সাথে ৫০টাকা বাড়ায় দিবেন! এর ভিতর দিয়ে দুই জনের উচ্চবাচ্য হয়ে গেলো খানিকটা। পরক্ষণেই ড্রাইভার বলে উঠলেন, প্রধানমন্ত্রী আসলেও কিছু করতে পারবেন না! ওনারা বললে শুনতে হবে নাকি!?

এই কথা বলার সাথে সাথেই আমাদের লাইনে দাৰড়ানো কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে ড্রাইভারকে বকাঝকা করলেন, সাথে আমিও কিছুটা বললাম। তার কিছুক্ষণ পর সব স্বাভাবিক। বাৰধ সাধল একজন পুলিশ অফিসার! গাড়ির কাছে এসেই যখন কাগজপত্র দেখতে চাইলো, মূহুর্তের মধ্যেই যায়গাটা ফৰাকা হয়ে গেলো। যে যেভাবে পারছে পালিয়ে বাৰচলো। আর আমরাও ওদের উদ্দেশ্যে এক একজন একেক কথা বলতে লাগলাম। রহস্যময় পৃথিবীর আযিব যত প্রাণী। যে যেমনে পারতেছে ফৰাকা বুলি ছাড়তেছে। কাজের গোড়ায় ভেন্ডি! পুলিশ দেখে বেহুশ, প্রধানমন্ত্রী তো অনেক দূরের কথা... হা হা হা।

সন্ধ্যা বেলার ঘটনা (ফিরতি)-
আসার সময় অনেক্ষণ দাৰড়িয়ে থেকে গাড়ীতে উঠলাম। পুরো পথে সব ঠিক ছিল। দশ নম্বর গোল চক্করে আসার একটু আগে গাড়ীতে সমস্যা, আর যাবে না; সবাই নামেন! আগেই বলছি, যে যেমনে পারতেছে, বলে যাচ্ছে। নেমে গেলাম। এরপর পল্লবীতে আসার জন্য অন্য একটি বাসের জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম। আসলো সেফটি ৩৬ নম্বর গাড়ী। কন্ডাক্টর বলতে লাগলো ১১, ১২ - (৫ টাকা)। গাড়ীতে উঠার পর কন্ডাক্টর শুধু লোক ডাকতেছে আর উঠাচ্ছে। মানুষও উঠতেছে। আমি বললাম, সিটিং হয়েছে এবার গাড়ী টানুন। আমার কথায় কান দিলো না বাস ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টর। এখন স্ট্যান্ডিং, রড়িং, সিটিং সবই ফিলাপ হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভােব দাৰড়ানোর মত যায়গা ও নেই। তার ভেতরে ৬জন মেয়ে একজন বৃদ্ধ মহিলা দাৰড়িয়ে আছে। বৃদ্ধাকে কোনো রকম বসতে দিয়ে আমি দরজায় দাড়ালাম। এরপরেও লোক উঠতেছে দেখে আমার খুব রাগ আসলো। বললাম, এবার অন্তত উঠানো থামাও। সিটিং ভাড়া নিবা আবার গাড়ী লোকাল নিবা, এটা তো ঠিক না! কন্ডাক্টর আমাকে উত্তর দিলো-দূর মিয়া থামেন তো! আপনি তো মিয়া টাকা দেখেন না! দেখবেন ক্যামনে। এই যে দাৰাড়ায় আছে সব টাকা! হিসাব করেন কত টাকা! প্রত্যেক লোকে ৫টাকা করে। খালি ইনভেস্ট করলে হইবো? ইনকাম করতে হইবো না! হা হা হা।

অভিজ্ঞতা তিক্ত হলেও খারাপ লাগে না মাঝে মাঝে...কন্ডাক্টরের কথা শোনার পর একটু মৃদু হাসি দিলাম। রাগও শেষ বাসাও পৌৰছে গেলাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

বিজন রয় বলেছেন: বাহ! সুন্দর তো!!

২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

রুপম হাছান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.