নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-শিশু কিংবা ভ্রুণ হত্যার দায় কার?-

১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫১


প্রতিদিন এত এত খবর প্রকাশ হচ্ছে যে, কোনটার মন্তব্য রেখে কোনটা করি; ভাবতেও প্রচুর সময় নষ্ট করতে হয়। তার মধ্যে গত কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া নার্সদের নিয়ে পুলিশ বাহিনী যে নাটক করলো তার একটা ছো্ট্ট মন্তব্য না করলেই নয়, তবে এ ব্যাপারে বিশদ লিখব ভাবছি। কারণ নার্সরা তাদের মৌলিকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে যখন রাস্তায়, তখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কর্তৃপক্ষ দেখান হলুদ কার্ড! আমরা আইয়ুব-ইয়াহিয়ার দুঃসাশনের কথা শুনেছি, চোখে দেখিনি; তবে বর্তমান বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী সাধারণ জনগণের সাথে যে আচরণ করতেছে তা ১৯৭১ সালে আইয়ুব-ইয়াহিয়াও করে নাই বলে প্রতিয়মান।

বাংলাদেশের পেশাজীবীরা রাজনীতি করেন না-এটা বলা যায় না। পেশাজীবীদের রাজনীতিবিদ বানিয়ে ফায়দা তোলে সরকার। তবে পেশাগত স্বার্থে তারা দাবি-দাওয়া নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচী পালন করলে এর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খোঁজা অর্থহীন। এটা ভিন্নমতের প্রতিবাদী রাজনীতিভীতি থেকে জম্ম নেয়া ফোবিয়া হলে, সেটাও একধরনের মানসিক রোগ। নিজের ছায়া দেখে ভয় পাওয়ার মতো ব্যাধি। এর নিরাময় সহজ নয়। এ প্রসঙ্গে নার্সদের সাথে সরকারের সাম্প্রতিক পুলিশি আচরণের উপমা এক অতি অমানবিক ও অসাংবিধানিক। নার্সদের সব দাবি ন্যায় সঙ্গত কিনা তা জানি না, তবুও সেটা দ্বিতীয় প্রসঙ্গ। প্রথম কথা, সরকার আন্দোলনের মুখে নার্সদের ডেকে নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চাকরিতে নিয়োগদানের ব্যাপারে তাদের দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সে অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে
পর্যায়ক্রমে তাদের নিয়োগ পাওয়ার কথা।


এমন সমঝোতার পর তারা দেখতে পেলেন পিএসসির পক্ষ থেকে নার্স নিয়োগ পরীক্ষার নতুন সময় দেয়া হয়েছে। সেই পরীক্ষা এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ধরনের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতিবাদে তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসার সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় নার্সদের দাবিদাওয়ার প্রতি সাড়া দেয়ার পরিবর্তে হামলা করে দমিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের। পুলিশি হামলার পাশাপাশি ওই হামলায় দলীয় লোকেরাও অংশ নিয়ে তাদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন কি, পুলিশি নির্যাতনে একজন নার্সের গর্ভপাতও করিয়ে দেয়ার মতো বর্বরতা প্রদর্শন না করলে কি চলতো না!? মফস্বলে দলীয় ক্যাডারদের ছোড়া গুলি গর্ভবতী মায়ের পেটে ঢুকে শিশু জখম করলো। এবার মায়ের পেটের ভ্রুণ কেড়ে নিলো পুলিশের বাড়াবাড়ি। এখন এই ভ্রুণ হত্যার দায় কার?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: পুলিশযদিরাস্ট্রের অধীন কোন বাহিনী হয় তবে এই দায় রাষ্ট্রের। যদি পুলিশ একটা স্বাধীন সংস্থ্যা হয় তাহলে এটা পুলিশেরই। আর কারও কোনো দায় নাই

১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

রুপম হাছান বলেছেন: অত্যন্ত যুক্তি নির্ভর কথা। অথচো কেউ এর দায় নেয় না কিন্তু ঘটনা ঘটাতেও কার্পন্য করে না।

অভিযুক্তদের শাস্তি দেয়া নিশ্চিত হোক, এমনটাই আশা রাখি। ধন্যবাদ ভাই নিদাঘ, আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

বেলাল উদ্দীন বলেছেন: এ সরকার শুধু নিজের প্রতি পক্ষ ভাবে, কারণ তার অবস্থান অবৈধ। আর প্রাধান মন্ট্রি নিজেও একজন মহিলা, তাও কিন্শিৎ ভাববার বিষয়।

১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

রুপম হাছান বলেছেন: সেটা হয়তোবা কিন্তু তাই বলে এমন বর্বরতা চালাতে হবে!? অবৈধ তো দেশ বিদেশের অনেকেরই কথা শুনেছি এবং দেখেছি, বাস্তব উদাহরণ তো আমাদের এরশাদ সাহেব আছেন। সে ও তো এত অত্যাচার করেনি দেশের মানুষের উপর।

ধন্যবাদ ভাই বেলাল উদ্দীন, আপনার সুচিন্তিত মতামত প্রদান করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.