নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-আবার প্রমান করলাম আমরা হুজুগে বাঙ্গালী!-

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০০



কাশেম বিন আবু বকর কে নিয়ে ইদানিং কালে খুব সোরগোল পড়েছে অনলাইন মিডিয়াগুলোতে। আবার আমরা প্রমান করলাম, হুজুকে পাগল বাঙ্গালী! অনেকের মধ্যে এই নিয়ে খুব রস-রসিকতা খুব তুঙ্গেও দেখছি। অবাক লাগে, যারা ঐ লেখকের একটি লেখাও না পড়ে শুধু শুধু তাকে চটি লেখক উপাধি দিচ্ছে!!!

মূলত, তারাই এসব করে যারা এসবের দ্বারে-কাছেও কোনোদিন ছিলোনা এবং এখনো নেই। একজন লেখক তার মনে জমতে থাকা ভালো-মন্দ সব কিছু শেয়ার করে তার লিখনির মাধ্যমে। যদিও এই ভালো-মন্দ ব্যাপারগুলো আমাদের সবার মাঝে আছে। কিন্তু আমরা চাইলেই সেই ভালো-মন্দ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারিন না। এবং পারলেও দেখা যায় সেই লেখা সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারে না। একজন লেখক তখনই সফল, যখন তার লেখা সকলে হৃদয় থেকে গ্রহণ করে এবং তার পরবর্তী লেখাটার জন্য অধির আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করে। যেমনটা করেছিলো আমাদের হুমায়ূন আহমেদ এর বই এর জন্য।

হুয়ামুন আহমেদ ও এই রকম অজস্র বই লিখেছেন যেখানে নারী ঘটিত অনেক ব্যাপার ছিলো। কই হুয়ামূন আহমেদ কে তো কাউকে বলতে শুনিনি তিনি একজন চটি লেখক ছিলেন!?

আজকে আমি দেখলাম আমার বন্ধুদের মধ্যে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে এই কাশেম বিন আবু বকর কে নিয়ে। এবং তার লেখা নিয়ে অনেক কটূক্তি করতে দেখলাম। যা আমার কাছে ভালো লাগেনি। কারণ কম বেশি তো আমরাও লেখি। হয়তো আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো স্বীকৃতি নাই। কিন্তু অবাক হই, যাদেরকে কম-বেশি মানুষ গ্রহণ করেছে তাদের কে নিয়ে আবার কম-বেশি মানুষ অপবাদ দিতে দেখছি পিছপা হচ্ছে না। আমি বলবো, লেখকের লেখার ভালো-মন্দ নিয়ে আমাদের মন্তব্য দেয়া যেতে পারে। কিন্তু তা না করে যদি, লেখকেই অপরাধী বানিয়ে ফেলি এবং বিভিন্ন উপনামে (তিরষ্কারমূলক) তাকে ভূষিত করি সেটা নিশ্চয় সুরুচিবোধের পরিচয় বহন করে না। আর ঠিক আমরা সেটাই করছি!!!

ইদানিং জামাতী বলে সীল মারা এখন আমাদের একটা ইগো হয়ে গেছে। বিশেষ করে আমরা যারা বেশী নিজেকে আওয়ামীলীগার বলে দাবী করছি ঠিক তারাই এই কাজটি বেশি করে করছি! এই লেখকের একটি উপন্যাস আমি যতদ্দুর মনে পড়ে ৯৬-৯৭ সালে পড়েছিলাম। বাইটির নাম ছিলো ‘আবার ভালোবাসবো’। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিলো বইটির লেখাগুলো। একটা সময় আমি উপন্যাস পড়ার প্রতি বেশ মনোযোগীও হয়েছিলাম। নিশ্চয় ভালো লেখার জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। যদি খারাপ লাগতো তবে হয়তো তার অন্য বইটি পড়ার জন্য মন চাইতো না। যেমনটি আমরা অন্য লেখকের বেলায়ও করি।

আমি বুঝি না এতো বছর পর হঠাৎ করে এই ব্যক্তিকে নিয়ে এতো টানাটানির কি আছে!? আর কেউ উপন্যাস লিখলে সে জামাতী হয়ে যাবে কিংবা তাকে জামাতী বলে শিরোনাম করা হবে, এগুলি ঐসব ব্যক্তিদ্বয়ের গোয়ারত্তোমি ছাড়া আর কিছু না। আমার মনে হয় না, যারা না বুঝে মন্তব্যগুলো করেছে তারা সারা জীবনে ঐ ব্যক্তির দুইটা বই পড়েছে? হুজুকে বাঙ্গালী বলে একটা কথা চালু আছে আমাদের দেশে। নিজেদেরকে অতি আওয়ামীলীগার হিসেবে বর্ণনা করতে গিয়ে নিজেরাই না আবার জামাতীর পরিচয়ে আর্বিভুত হন, সেটাই দেখার বিষয়। এখানে অনেকে বলেছেন ‘বেশ্যা’ কেউ বলেছেন ‘চটি লেখক’ কেউ বলেছেন ‘জামাতী ছাগু’ কেউ লিখেছেন ‘ডান্ডি পটাস’ এসব উপনাম-ছদ্মনাম কারো সাথে না জড়িয়ে, লিখনিতে ভালো-খারাপ নিয়ে সমালোচনা করা অধিকতর শ্রেয়। কারণ প্রতিটি মানুষের ন্যুনতম সম্মান থাকে আর তার প্রতি হেয়দৃষ্টি করা, কাউকে অনুমতি প্রদান করেনি ইসলাম।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভাই গো, খালি আমরার দোষ দেইন কিতার লাগি!? :(( কাশেম বিন আবু বকর প্রমাণ করেছেন, দুনিয়ার প্রায় সব মানুষ হুজুগি। :P

জয়োস্তু!! =p~

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

রুপম হাছান বলেছেন: সেটা যদি হয়, তবে সবার মতো তিনিও! কিন্তু খারাপের যায়গাটা হচ্ছে-একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্মানকে তিরষ্কার করা। সেটা ঠিক না আমার দৃষ্টিকোণ থেকে। আর আমি সেই কথাটায় বুঝানোর চেষ্টা করছি...

ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মাদ আব্দুলহাক আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমার সাথে শেয়ার করার জন্য।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: একটা কথা বলি, আমি আসলে অত্যন্ত ভাগ্যবান লেখক, আমি ব্লগিং করি। আমার সহব্লগাররা আমার লেখা পড়ে আমাকে বকেছেন উপদেশি দিয়েছেন তাতে আমি ভুল শুদ্ধ করতে পেরেছি, জানতে পরেছি আমার লেখায় লজ্জিত হওয়ার মত বিষয় আছে না নেই। হ্যাঁ আগে ছিল। আমি লন্ডন সেয়ান হয়েছি, যা আমার কাছে তেমন কিছু নয় তা দেশের জন্য অনেক কিছু।
ব্লগিং এর সুবাদে আমি লজ্জার হাত থেকে নিস্তার পেয়েছি।

উনি আসলে বিপাকে পড়েছেন। এই বয়সে যা তা শুনতে হবে :(

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

রুপম হাছান বলেছেন: হয়তোবা আপনি ঠিক বলেছেন। তবে আমি ধরে নিবো এটিও এক ধরণের হলুদ সাংবাদিকদের হিপ্রোক্রেসি। তা না হলে, আমাদের রেল মন্ত্রী বিয়ে করেছেন ৬৮ বছর বয়সে তার অর্ধেক এর চেয়ে কম বয়সী মেয়েকে। তা নিয়ে তেমন কোনো রসিকতা তো করতে আমাদের মিড়িয়া জগতকে তো দেখিনি।

মানুষ ভুল করে তবে সেটা শোধরানোর জন্য অবশ্য আত্মসমর্থনের যায়গাটা পরিষ্কার রাখতে হবে। সেখানে ব্যক্তি ইমেজ সংকট তৈরি করে সমাধান সম্ভব নয়। আমি বলবো ইমেজ সংকট তৈরি করা এটিও সমর্থনযোগ্য নয়।

বক্তরা ভালো-খারাপ নিয়ে লিখনির মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা করবে তা গ্রহণযোগ্য কিন্তু ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের হানি ঘটানো কখনোই কাম্য নয়। যেখানে ৭০এর দশকের এই লেখক কে কেউ কখনো হারিকেন দিয়েও খোঁজেনি সেখানে ২০১৭ তে এসে বুড়ো বয়সে মিড়িয়া তাকে প্রয়োজন মনে করলো কেনো? আর টিউব লাইটের আলো দিয়ে খুঁজছেও বা কেনো!? আমার মনে হচ্ছে- মিড়িয়াগুলো তাদের বিক্রির কাটতি বাড়াতেই এসব করছে আর এগুলি হচ্ছে এদের অতি বাড়াবাড়ি।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৩

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: কাশেম বিন আবুবকরের মেবি দুইটা বই পড়া হয়েছিলো যা আমার কাছে নিতান্তই গার্বেজ মনে হয়েছিলো এবং আমাদের অনেকের কাছে তা মনে হবে কিন্তু কথা হল আমাদের মত পাঠকদের জন্য কি কাশেম বিন আবুবকর কি ঠেকে আছে? সাহিত্যে কোয়ালিটি ব্যাপারটা আপেক্ষিক কিন্তু বিজনেস ব্যাপারটা ফিক্সড আর এই বিজনেস এ কাশেম বিন আবুবকর এগিয়ে আছে। বাংলাদেশে ৬৮ হাজার গ্রামে তার সাহিত্যের এক বিশাল বাজার তার এই বাজারের কাস্টমাররা ঠিক যে জিনিসটা চায় অর্থাৎ রক্ষনশীলতা নৈতিকতা ও রোমান্স সংমিশ্রনে এক হচপচ ফ্যান্টাসি সেই ব্যাপারটা কাশেম বিন আবুবকর সাপ্লাই দিয়ে যাচ্ছে গ্রাম গঞ্জের বই পড়ুয়াদের চিন্তা ভাবনা যেই যায়গায় কাশেম বিন আবুবকর ঠিক সেই যায়গায় স্ট্রোক দিচ্ছে, তার বাজার তৈরির জন্য তাকে প্রথম আলুতে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ব্যানারে কলাম লিখা লাগে নাই স্টেডিয়ামে গিয়ে মাশরাফিদের সাথে সেলফি তোলারও প্রয়োজন হয় নাই।
দিন শেষে কথা হল যে কাশেম বিন আবুবকর তো তার গেঁয়ো পাঠকদের কে তার বই গিলিয়ে ভালো টাকা উপার্জন করে নিজের ভাত কাপড়ের ব্যাবস্থা করেছে কিন্তু যেই সব শহুরে বটলার সাহিত্যিকরা আজ কাশেম বিন আবুবকরের সমালোচনা করতেসে তারা নিজেদের লেখা গুলো তাদের শহুরে প্রগতিশীল পাঠকদের কতটুকু গেলাতে পারছে, তাদের বই গুলো যতটুকু বিজনেস করছে তাতে এটলিস্ট চারুকলা বা আজিজ মার্কেটের চিপায় দাড়িয়ে গাঁজা টানার পয়সা আসছে তো?
এরা কাশেম বিন আবুবকর কে তাচ্ছিল্য করে আবার নিজেদের আলোচনায় আনার জন্য এই কাশেম বিন আবুবকর টপিকটাই বেছে নেয়
শেইম_অন

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

রুপম হাছান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আততায়ী আলতাইয়ার আপনাকে। আপনার বক্তব্যর সাথে আমি পুরোপুরি সহমত প্রকাশ করছি। আপনি অনেক গভীরে গিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন বলে আমার খুব ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে এদের জন্য আমাদের লজ্জা হয়, যারা নিজেদের টাইমলাইটে আনার জন্য অন্যর সম্মানকে ধূলায় মেশাতে কার্পণ্য করেনা।

আবারো ধন্যবাদ রইল। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.