![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
আজকে আমি এমন কিছু লেখা লিখবো যা হয়তো সবার কাছে ভালো লাগবে না। বিশেষ করে যারা নিজের ইচ্ছাকেই বেশি মূল্যায়ন করে থাকেন। আর কারো না (মা-বাবা-ভাই-বোন-পাড়া-প্রতিবেশি-বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজন)। তবুও আমি এমন লিখা আমার ওয়ালে রেখে দিতে চাই। কারণ আমি তা কখনোই করিনি এবং কখনোই তা করবো না। আর কাউকে এই ব্যাপারে সহ্যও করতে পারি না। হয়তো তাদেরকে প্রতিহত করার মতো আমার কাছে এমন কোনো ক্ষমতা নেই। তবুও লিখছি-
কেউ প্রেম করে/কেউ পরকিয়া করে//
আমার হয়েছে কোনটা!
শুধু দেখে যায় আমার দু’চোখটা।। (শিল্পি আইয়্যূব বাচ্চুর একটি গানের কথা অবলম্বনে)।
আমি গত ৫ বছর ধরে আমার খুব কাছাকাছি থাকা ৩জন মানুষকে (এরা বয়সে আমার থেকে কম করে হলেও নয় বছরের ছোট হবে, এদের মধ্যে একজন সদ্য বিবাহিত আর অপর দুজন অবিবাহিত) যেভাবে দেখে আসছি তার বিশ্লেষণ ঠিক উপরে উল্লেখিত গানের লাইনের অনুকূলে। অর্থাৎ এরা কেউ প্রেম করে আবার কেউ করে পরকিয়া। এদের ক্ষেত্রে আমরা আবার কেউ কেউ কখনো বলে ফেলি, ওর মনে হয় কন্যা রাশি। তা না হলে, মেয়েরা ওকে এতো পছন্দ করে কেনো! সব মেয়েরা ওর কাছে আসতে চায় কিংবা সঙ্গে থাকতেও চায়! আরো অবাক লাগে, যখন প্রত্যেক মেয়েই জানে যে ঐ ছেলের সাথে আরো দু-এক জনের সাথে চলছে; আর তা জেনেও অন্য মেয়েরা ঐ ছেলের সাথে স্বাভাবিক এবং মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক সম্পর্ক চালিয়ে যায় কিংবা যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে!
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় ইদানিং কালের মেয়েরা নিজ ঘরে থাকার চেয়েও পরিচিত বন্ধুর সঙ্গেই বেশি সময় থাকতে পছন্দ করেন! আর এই পর্যন্ত ঐ তিনটি ছেলের অতীত থেকে এই পর্যন্ত আমি তাই দেখে আসছি। ছেলেদেরকে কখনো মেয়েদের সাথে গিয়ে রাতঅব্দি বাহিরে থাকতে দেখিনি, যদিও তারা প্রতিদিনই একসঙ্গে বাহিরে যায়। কিন্তু তারপরেও তারা (মেয়েরা) তাদের বাসায় না গিয়ে ছেলের বাসায় চলে আসে এবং একসঙ্গে নিজের অস্বাভাবিক মানসিকতাও শেয়ার করে বসে। যা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। যদিও করার কিছুই থাকে না। এদের মধ্যে একজন আবার গোপনে শেয়ার করেন না বরং সবাইকে দেখিয়ে শেয়ার করতেই বেশি পছন্দ করেন! ওনারা, ওনাদের প্রেমকে এতো বেশি উপরে তুলে ফেলেছেন যেখান থেকে আরো উপরে ওঠার কোনো সিড়িও আজঅব্দি তৈরি হয়নি; অর্থাৎ ছাদে থাকা পানির ট্যাংক এর উপরে! সেখানে ওঠে ওনারা, ওনাদের সবকিছু বিনিময় করেন, যা দেখে সত্যি বিবেকহীন হয়ে পড়ি!
এখন হয়তো আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন, তুমি সন্ধ্যায় ছাদে উঠো কেনো? কারণ আমি থাকিই বাড়ির সবচাইতে উপরের তলায় অর্থাৎ ছাদ বেষ্টিত রুমে। যেখান থেকে সবকিছু দেখা যায়। দেখার জন্য পূর্ব পরিকল্পনার প্রয়োজন হয় না। এদের মধ্যে মেয়েরাই বেশি উৎসাহ বোধ করতে দেখি। আমি অবাক হই, এরা কি প্রেম করে নাকি পতিতাবৃত্তি করে বেড়ায়!!!
আর পরকিয়ার কথা কি বলবো-অবাক হই, নিজ ঘরে (স্বামীর ক্ষেত্রে স্ত্রী কিংবা স্ত্রীর ক্ষেত্রে স্বামী) থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় কোনো ব্যক্তির প্রতি নিজের সর্বোচ্চ ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে দেখে! আর পুরুষেরা করবে না কেনো? যখন পুরুষ কোনো সুন্দর কথা বলে তখন মেয়েটি বলে তুমি বাড়িয়ে বলছো!? অর্থাৎ পুরুষটিকে আরো বেশি কিছু বলার এবং করার জন্য মেয়েটিই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উৎসাহ দিয়ে যেতে থাকে! অথচো নিজ স্বামীর ক্ষেত্রে স্ত্রী কিংবা স্ত্রীর ক্ষেত্রে স্বামী কে তা বলার জন্য যেনো সময়ও থাকে না। আর পরকিয়ায় আসক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রকৃত স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসার পরিপূর্ণভাবও তখন অনুপস্থিত থাকে। আর সেটা হবে না কেনো? কারণ নিজ স্বামী কিংবা স্ত্রীকে সেই ভালোবাসা দেয়ার মতো ভালোবাসা তো আর তার স্টকে নেই! বাকি থাকে শুধু তিক্ততা আর খারাপ আচরণ। যার ফলশ্রুতিতে প্রকৃত স্বামী-স্ত্রীর সংসার জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিষার অন্ধকার। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দুটি পরিবারের সুখের মেল-বন্ধন! এটাই কি সংসার জীবনের মূল লক্ষ্য!? নাকি পরকিয়া প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিয়ে একটা নয়া কৌশল!!!
তবুও হয়তো তাদের কাছে এসব করতে বেশি ভালো লাগে কিন্তু আমরা তা দেখে প্রতিনিয়তই লজ্জায় মরছি!
০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫২
রুপম হাছান বলেছেন: হা হা হা। এই ডিজিটাল যুগে এসে যদি কেউ বলে আমি এখনও অবুঝ!!! তাহলে উত্তর খুঁজে পেতে আমাকে আবার একটি এনালগ যুগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে! হা হা হা।
ভালো লাগলো আপনার কথা। ভালো থাকবেন।
২| ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মোটামুটি অপ্রয়োজনীয় ব্যাপার নিয়ে ফ্যানটাসী
০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
রুপম হাছান বলেছেন: হতে পারে হয়তো। তবে প্রায়ই এমন অস্বাভাবিক কর্মকান্ড দেখতে দেখতে এখন আমার কাছে এসব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কিন্তু মনে ভীষণ রাগ জমে আছে, তবুও কাউকে কিছুই বলতে পারছিনা। কারণ আমাকে সব সময় একা পথ চলতে হয়।
৩| ০৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নিজেকে সাধু জাহির করার অপচেষ্টা।
০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
রুপম হাছান বলেছেন: আমি সাধু নই। খারাপ আমার মধ্যেও আছে কিন্তু আমার খারাপটা শেয়ার কিংবা প্রকাশ করার জন্য কখনো দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তিকে প্রলুদ্ধ করেনি। তবে এখানে কোনো অপচেষ্টাও দেখানো হয়নি। কারণ আমি আমার যায়গায় সম্পূর্ণ সঠিক। আমার দ্বারা কখনো কারো ক্ষতি হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। যদিও যারা এসব করে তারাও বলবেন যে তারা কারো ক্ষতি করেন নি। কিন্তু প্রকৃতঅর্থে তারা দুজনে তো একে অপরের ক্ষতিটাই করেছেন। তবে হয়তো তাদের এসব অপকর্ম আমি সমাধান করে ফেলতে পারতাম কিন্তু খারাপদের ঐক্য আছে ভালোরা থাকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। এসব বিবেচনা করে তা সমাধান করতে পারছিনা।
৪| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবই ধর্মবিমূখতার পরিণাম...
০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
রুপম হাছান বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন ভাই। হয়তো তাই।
৫| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৬
কানিজ রিনা বলেছেন: প্রেম করে বিয়ে করে ঘরে বৌ রেখে আবার
প্রেম করে। আসলে পরবর্তী পরকীয়া কি প্রেম
নাকি নষ্ঠামি। আজকাজ পরকীয়ার তরে ঘরে
ঘরে পরিবার যেমন ভাংছে তেমন পুরুষের
পাশাপাশী নারীর অবনতি বেরেছে বৈকি।
যেসব পুরুষরা ঘরে স্ত্রী সন্তান রেখে আর
একজন নারীর সাথে সম্পর্ক করে তাদের
ধারনা থাকে স্ত্রী তার সংশার কাচ্চা বাচ্চা
রেখে যাবে কোথায়। আর নারীরা স্বামীর ঘরে
অভাব একজন বড়লোক দেখে পুরুষের হাত
ধরে ঝুলে পড়ে। এই হোল পরকীয়ার হাল
চাল, আবার এমন দেখা যায় অবিবাহীত
নারীরাও মধ্যবয়স্ক বিবাহীত পুরুষের সাথে
ঝুলে পরে। আবার কারও ঘরের বউ শুধু
মাত্র টাকার প্রলভোনে পুরুষের আনন্দে
ঝুলে পড়ে। এসব পুরুষের কথা আর কি
বলব আকাশে চিলের মত উড়ে বেড়ায় একটা
শিকার কখন পাবে।
তাই বলব যে পরিবারে পরিকীয়া ঢুকে
সে পরিবারগুল ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়।
ছেলে মেয়েরা হয় বাবা হাড়ায় নয় মা।
এইসব পরিবার গুলর সবচেয়ে ক্ষতি গ্রস্ত
হয় তাদের সন্তানেরা। আর পরকীয়া করা
দুষ্ট লোকেরা জীবন যাত্রা এতটা নির্মম হয়
যা বলে বুঝান দুষ্কর। যা আমি নিজেই
উপলদ্ধি করেছি। আমার স্বামী নামক দুষ্ট
মাতাল বহুগামী লোকের নির্মমতা পচিঁশ
বছর ধরে সয্য করেছি। আরও পরিচিত
লোকের বেলায়ও একই অবস্থা দেখেছি।
এরা স্ত্রীর দোশ দিয়ে নিজের চরিত্রকে
চরিতার্থ করায় পারদর্শী। ধন্যবাদ,
০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কানিজ রিনা আপনার সুন্দর প্রাঞ্জল ভাষায় মনের অভিব্যক্তিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। সত্যিকার অর্থে নারী এবং পুরুষের মাঝে দুই ক্যাটাগরির মানুষ রয়েছে। প্রথমত (নারী এবং পুরুষ) এরা কেউ টাকার জন্য অন্যর সাথে সময় দিতে গিয়ে নিজের সংসার নষ্ট করেন। আর দ্বিতীয়টি হলো (নারী এবং পুরুষ) এরা একে অপরের কাছ থেকে কিছুক্ষণের সামান্য সুখের অনুভূতি সব সময়ের জন্য পেতে গিয়ে নিজের অজান্তেই নষ্ট পুরুষ কিংবা নষ্টা নারী হিসেবে আর্বিভুত হন।
আমি মনে করি-এসব অপকর্ম করতে উৎসাহ যোগায় রাষ্ট্র। তার পাশাপাশি ধর্মহীনতাও আমাদের মাঝে প্রকট আকার ধারণ করেছে। যার ফলে আমরা এমন কাজ হরহামেশায় উৎসাহ নিয়ে করতে বেশি পছন্দ করছি। একমাত্র সবার সুচিন্তক মনের সচেতনতায় হয়তো পারে এসব থেকে সমাজকে বের করে আনতে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: লীলা খেলা বুঝি না। আমি এখনও অবুঝ।