নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-সুচিন্তক এবং নিষ্ঠাবান মানুষের বড় অভাব!-

১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪



ইদানিং কালে বিএনপি’র ২০৩০ ভিশন একাশ হওয়ার সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে কেমন যেনো একধরণের জ্বর জ্বর ভাব এসে গেছে! আর সেই জ্বরে ভুগতে থাকা রাজনৈতিকরা পাগলের প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন। যদিও এটা এই দেশের রাজনৈতিক নোংরা কৃষ্টিও বলতে পারি। একদিকে বলে গণতন্ত্রের (যেখানে স্বাধীন মতামত কিংবা চর্চা থাকবে) কথা অন্যদিকে ভিন্ন মতের প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা। সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন বড় দলগুলোর বড় নেতারা নোংরা ধরণের উপহাসমূলক মন্তব্য না বুঝেই দিয়ে থাকেন।

জনাব ওবায়দুল কাদের স্যার বললেন, বিএনপি’র ২০৩০ ভিশন পুরোটা জনগণের সাথে ধাপ্পাবাজি! অন্তঃসারশূর্ণ! জনাব তোফায়েল আহম্মেদ স্যার বললেন, বিএনপি’র ২০৩০ ভিশন পুরোটা আওয়ামীলীগের অনুকরণ। এখানে বিএনপি’র মৌলিক কিছু নাই। বিএনপি যা ২০৩০ সালের মধ্যে করতে চায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তা এখনই করে চলছে! জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক স্যার বললেন, খালেদা জিয়া নাকি ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে 3G আনবে? আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশে 4G আসছে। পুরো মন্তব্যগুলোই হাস্যকর।

গত পরশুদিন টকশো দেখছিলাম যদ্দুর মনে পড়ে ৭১ টিভিতে। সেখানে দুই দলের দুইজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামীলীগের ডঃ….. ( এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না) আর বিএনপি’র এ্যাডভুকেট জয়নুল আবেদিন (যদ্দুর মনে পড়ে) সেখানেও ঠিক একই চিত্র দেখলাম। ডঃ সাহেবও ঠিক পুরো ২০৩০ ভিশনটি না দেখে টকশোতে নিজের মতো করে বলতে লাগলেন আর আবেদিন সাহেব তাঁর ভুলগুলো ধরে ধরে সঠিকটা বলে দিচ্ছেন।

এখন আমি ব্যাক্তিগত ভাবে যা বুঝি, বিএনপি’র ২০৩০ ভিশন হচ্ছে তাদের আগামী দিনের ইলেকশনের জন্য নির্বাচনী মেনুপেষ্টু বা এজেন্ডা। এটার জন্য তো বিএনপি ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে ঘোষণা করার দরকার নাই। তারা আগামীতে ইলেকশনে যাওয়ার জন্য তাদের রাজনৈতিক নির্বাচনী ইজেন্ডা তারা ঘোষণা করেছে। এটাকে তিরষ্কার করার কি আছে? বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যদি এর থেকে ভালো কিছু তাদের এজেন্ডাতে রাখে তাও প্রকাশ করুক, জাতি তা দেখবে এবং শুনবে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীও তো ২০০৮ সালে ২৯শে ডিসেম্বর তাদের নির্বাচনী এজেন্ডা ঘোষণা করেছিলো। সেখানে তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে বলেছিলো, করেছে। দশ টাকায় চাল দিবে বলেছিলো, দেয়নি! ঘরে ঘরে চাকুরী দিবে বলেছিলো, দেয়নি! কই এসব নিয়ে তো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তিতা ঢেকুর তোলেন না বরং তা বাড়িয়ে বলতেই বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাহলে বিএনপি’র নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ে এতো বাড়াবাড়ির কি আছে!?

মূলত আমরা, আমাদের স্বংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আর একক স্বত্তা টিকিয়ে রাখার জন্য সত্যকে প্রতিনিয়তই গলাটিপে হত্যা করতেই বেশি পছন্দ করি। তা না হলে-
বিএনপি, প্রধান নির্বাহীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনবেন বলেছেন, এটা কি কখনো আওয়ামীলীগ ভেবেছে? বিএনপি ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন রোধ করবেন বলেছেন, এটা কি কখনো আওয়ামীলীগ বলেছে? শিক্ষিত ব্যক্তিদের মেধাক্রমিক পদবী ও চাকুরী নিশ্চিত করা হবে এবং শিক্ষিত বেকারদের ভাতা দেয়ার কথা বলেছে, এটা কি কখনো আওয়ামীলীগ ভেবেছে? বরং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কর্তাব্যক্তিরা মাঝে মাঝেই বলেছেন সব সেক্টরে কাজ করবে আওয়ামীলীগ/ছাত্রলীগ/যুবলীগ/আরো কত কি।

সত্যি কথা বলতে কি, এখন যা দেখি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজনীতি করে নিজের জন্য অর্থাৎ সব ভালো-খারাপ নিজেদের মধ্যে থাকবে এখানে অন্য কারো যায়গা হবে না। এটা তো নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্র হলো না। আমরা গণতন্ত্র বলতে বুঝি- ভালো হলে সব যায়গা থেকে সাধুবাদ পাবেন। আর খারাপ হলে, ভালোকে যায়গা ছেড়ে দিয়ে ভালো কাজ করার সুযোগ দিবেন। এটাই হচ্ছে প্রকৃত গণতন্ত্র।

তাই বলবো- কম জানা কোন অপরাধ নয়; কিন্তু না জেনেও জ্ঞানীর ভাব ধরা মূখর্তার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। নির্লজ্জ বিরোধিতা ভাল না, আপনি কিংবা আপনারা না জেনে এসব মন্তব্য করছেন নাকি জেনে বুঝে জ্ঞান পাপীদের মত সমালোচনা করছেন, জানি না! তবে আপনাদেরকে অনেক অনেক সম্মান করি জেন্টলম্যান হিসাবে, অপ্রত্যশিত কোন বেফাঁশ মন্তব্য কোনো ব্যাপারেই আপনাদের কাছ থেকে আশা করিনা! সেটা যার বেলায় হোক।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

রুপম হাছান বলেছেন: একজন সুচিন্তিক ব্যক্তি হিসেবে আমি সব সময় সত্যটাকেই গ্রহণ করার চেষ্টা করি। খারাপটাকে খারাপ বলতেই বেশি ভালো লাগে। আর ভালোটা নিশ্চয় সবাই বুঝতে পারেন। নিশ্চয় খারাপ কাজ কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। সবাই ভালোর সাথে থাকুন। ভালো কাজে সবাইকে উৎসাহ দান করুন। যদি নিজের মাঝে সামান্যতম খারাপ আশ্রয় নিয়ে থাকে আর বুঝতে পারেন যে এটা অনেকের জন্য ক্ষতি হবে, তবে সাথে সাথেই নিজের সাথে প্রতিবাদ করুন। কারণ আপনার খারাপ কাজটা আপনার জন্য হয়তো খারাপ হবে, তাতে অন্যর ক্ষতি হবে না; সেটা আপনি গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু যদি সেটা অনেকে ক্ষতির কারণ হয় তবে সে খারাপের কারণে ইসলাম আপনাকে ক্ষমা করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না খারাপের শিকার হওয়া মানুষগুলো আপনাকে ক্ষমা না করেন। ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


"রুপম হাছান বলেছেন: একজন সুচিন্তিক ব্যক্তি হিসেবে আমি সব সময় সত্যটাকেই গ্রহণ করার চেষ্টা করি। "

-আমার ভালো লেগেছে যে, আপনি নিজকে "সুচিন্তিক ব্যক্তি হিসেবে " নিয়েছেন; যদিও আপনার পোস্ট সেটা প্রমাণ করে না, ভালো

১৪ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

রুপম হাছান বলেছেন: কারো মতামত অন্যর মতামতের সাথে মিলে গেলে সেটা সবার কাছেই আরো বেশি প্রিয় লাগে। আমার মনে হয় বিষয়টি আমি পরিপূর্ণভাবে বিশ্লেষণ করে বুঝাতে পারিনি, তাই আপনার কাছে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছি। জানি না সেটার কারণ কি?

৩| ১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


" বাংলাদেশ আওয়ামীলীও তো ২০০৮ সালে ২৯শে ডিসেম্বর তাদের নির্বাচনী এজেন্ডা ঘোষণা করেছিলো। সেখানে তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে বলেছিলো, করেছে। দশ টাকায় চাল দিবে বলেছিলো, দেয়নি! ঘরে ঘরে চাকুরী দিবে বলেছিলো, দেয়নি! কই এসব নিয়ে তো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তিতা ঢেকুর তোলেন না বরং তা বাড়িয়ে বলতেই বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। "

-আওয়ামী লীগ নিজে মুলা ঝুলায়, সেজন্য তারা আপনার থেকে সহজে বিএনপি'র মুলা দেখতে পায়

১৪ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১১

রুপম হাছান বলেছেন: এটা অতি সহজ একটি কথা। কেউ যখন প্রশ্ন করে- তখন উত্তর না দিলে বলে বোকা; আর দিলে বলে গাধা। আর এটা তখনি সম্ভব হয়, যখন কেউ উত্তর দেয়া লোকটির কাছে উত্তরই আশা করে না। হয়তো সেক্ষেত্রে আপনি ঠিক বলেছেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে উত্তর না দিলেও যে অন্যায়কারীর বলে যাওয়া কথাগুলো সত্যি বলে প্রতিয়মান হতে থাকে। আর এজন্য প্রতিবাদ স্বরুপ মাঝে মাঝে দু’এক লাইন প্রতিবাদ লিখতে হয়।

ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই আপনার মূল্যবান কথা আমার সাথে শেয়ার করার জন্য।

৪| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১৬

জগতারন বলেছেন:
১০ ক্লাশ ফেল, জন্মতারিখ বদলানেওয়ালা খালেদা নেত্রী বইকি!

১৪ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

রুপম হাছান বলেছেন: হয়তোবা বলেছেন বৈকি। কিন্তু এই ১০ক্লাস ফেল মারা আর জম্মতারিখ পরিবর্তন করা ব্যাক্তিটি ইতিমধ্যে ৩বার এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। এজন্য কিন্তু আমি-আপনি ছাড়া দেশের বৃহত্তর অংশ ভোট দিয়েছিলো। নিশ্চয় তারাও ব্যাপারটি জানতো। তাই না?

এখন দেখার বিষয় হচ্ছে-এই ফেল করা ব্যাক্তি আর ডিগ্রিপ্রাপ্ত ব্যাক্তির মাঝে সবকিছুতেই কিসে ফারাক, সেটা বিবেচনা করে তারপরই জাতিকে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে মনে করি।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.